Tag: Ladakh

Ladakh

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • Akash Prime Air Defence System: চিনের কাছে লাদাখে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সফল পরীক্ষা, এবার পাকিস্তানের হামলা রুখবে আকাশ প্রাইম

    Akash Prime Air Defence System: চিনের কাছে লাদাখে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সফল পরীক্ষা, এবার পাকিস্তানের হামলা রুখবে আকাশ প্রাইম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সময়ে জাত চিনিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রাশিয়া থেকে আনা এস ৪০০ ও দেশে তৈরি আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম জুটি একেবারে আটকে দেয় পাকিস্তানের ড্রোন-মিসাইলকে। এরই মধ্যে বুধবার এয়ার ডিফেন্স টেকনোলজিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। দেশি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের আরও শক্তিশালী সংস্করণ আনল ডিআরডিও। লাদাখে সফল পরীক্ষা হল ‘আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের’ (Akash Prime Air Defence System)। লাদাখের অতি উচ্চ পার্বত্য এলাকায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযু্ক্তিতে তৈরি আকাশ প্রাইম ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হলো।

    প্রতিকূল পরিবেশে সফল পরীক্ষা

    হাই-অল্টিটিউডে ভারতের প্রকৌশল কী ভাবে কাজ করবে সেটা দেখার জন্যই বুধবার ট্রায়াল দেয় ভারতীয় সেনা। ১৫০০০ ফুট উচ্চতায় আর্মি এয়ার ডিফেন্স এবং ডিআরডিও-র সিনিয়র অফিসারদের উপস্থিতিতে এর সফল পরীক্ষা হয়েছে। ডিআরডিও কর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুতবেগে ওড়া লক্ষ্যবস্তুতে ২ বার নিখুঁত আঘাত করেছে এই নয়া যন্ত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নত করার লক্ষ্যে একটি বড় অগ্রগতি। পরীক্ষার সময় আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দুটি উচ্চ-গতির এয়ার টার্গেটে সরাসরি হিট করে, যা এই সিস্টেমের ব্যতিক্রমী ও নির্ভুল পারদর্শিতা দর্শায়। এই পরীক্ষা একটি বিরল পরিবেশে উচ্চ ভূখণ্ডে করা হয়। যেখানে বেসিক অপারেশনও চ্যালেঞ্জিং হতে পারত। এই পরীক্ষার সাফল্য প্রমাণ করেছে অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেও এই সিস্টেম কাজ করতে পারবে।

    কোথায় কাজ করবে আকাশ প্রাইম

    ভারতীয় সেনার তৃতীয় ও চতুর্থ আকাশ রেজিমেন্টে ঢোকানো হবে আকাশ প্রাইম। যা দেশের সামগ্রিক বিমান প্রতিরক্ষা ঢালকে উন্নত করবে। এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানের জেট থেকে মিসাইল কিংবা তুরস্কের দেওয়া আধুনিক ড্রোন- সবই অকেজো করেছে। ফলে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। এই আবহে ভারতের নিরাপত্তা আরও সুসংহত করতে দেশীয় প্রযুক্তির উপরেও জোর দিচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আকাশ প্রাইম মিসাইলটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি সিকার’। এই যন্ত্রের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে সহজেই খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটি অতিউচ্চতায় কম তামপাত্রায় কাজ করতে সক্ষম। পরীক্ষার সময় রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম ও টেলিমেট্রি স্টেশন-সহ পরীক্ষার জায়গায় রেঞ্জ স্টেশগুলি ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ ও ফ্লাইটের ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

    কেন এই পরীক্ষাটি গুরুত্বপূর্ণ

    লাদাখের মতো উঁচু এবং কঠিন অঞ্চলে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় পরীক্ষা করা সহজ নয়। পাতলা বাতাস এবং ঠান্ডা আবহাওয়াতেও মিসাইলটির নির্ভুল আঘাত ভারতের প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রমাণ। এই সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি, যা আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে। এই সিস্টেম শত্রুর দ্রুতগতির বিমান এবং ড্রোনকে বাধা দিতে সক্ষম, যা সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। এই পরীক্ষার পর আকাশ প্রাইম শীঘ্রই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সিস্টেমটি কেবল সীমান্তে নয়, দেশের অভ্যন্তরে সংবেদনশীল স্থানগুলির সুরক্ষার জন্যও ব্যবহার করা হবে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলছেন যে এই সিস্টেমটি ভারতের এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে, বিশেষ করে চিন এবং পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে।

    দেশে তৈরি অস্ত্রের উপর জোর

    ভারত ইউএভি এবং সি-ইউএএস ডোমেন সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির জন্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ইউএভি (UAV) এবং সি-ইউএএস (C-UAS) ডোমেনে বর্তমানে আমদানি করা গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির স্বদেশীকরণের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। প্রদর্শনীটি নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হেডকোয়ার্টার্স ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (HQ IDS) এবং সেন্টার ফর জয়েন্ট ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (CENJOWS) এর সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলস (UAVs) এবং কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেমস (C-UAS) -এ ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির জন্য বিদেশি অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স (OEMs) -এর উপর ভারতের নির্ভরতা কমানো।

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভোর্সি কারুর পদবী নয়, তাহলে কেন বিবাহবিচ্ছেদের পর মহিলাদের নামের সঙ্গে বারবার ডিভোর্সি শব্দটি উচ্চারিত হবে, প্রশ্ন তুলল কাশ্মীর হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি শিশুর অভিভাবকত্ব মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা আবেদন খারিজ করে এই মত দেয় কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্ট। আদালত ডিভোর্সি শব্দটি আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করাকে কঠোরভাবে নিন্দা করেছে এবং এর ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    পারভেজ আহমদ খান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী আরীবের মধ্যে সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে একটি দীর্ঘকালীন বিতর্ক চলছিল। আরীবই তাদের ছোট ছেলের মূল অভিভাবক, বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বিনোদ চট্টোপাধ্যায়। পারভেজ খানকে ২০,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। পারভেজ খান তার পর্যালোচনা আবেদনপত্রে দাবি করেছিলেন যে, পূর্ববর্তী রায়টি তার আবেদনটির অধিকারিতা সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরাসরি মূল বিষয়ে রায় দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, তার মামলা শুধুমাত্র আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য রেখেছিল, কিন্তু মূল বিষয়ের উপর কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আদালত এই দাবি খারিজ করে দিয়ে জানায় যে, আবেদনটি শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ জুন রিজার্ভ করা হয়েছিল এবং আদালত ঠিকমতো মূল বিষয়টির উপরই রায় দিয়েছিল। বিচারপতি কৌল তার ৩৩ পৃষ্ঠার রায়ে উল্লেখ করেন, “মামলার মূল বিষয়টি খোলামেলা শুনানি হয়েছিল এবং আদালত অবশ্যই তার সিদ্ধান্তে স্বচ্ছ ছিল।”

    ডিভোর্সি শব্দটা অপমানজনক

    একই সাথে আদালত সাফ জানায়, যে কোনও মামলায় “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার একটি অত্যন্ত অবমাননাকর আচরণ। আদালত বলেন, “একজন নারীর নামের সঙ্গে তালাকপ্রাপ্তি শব্দ যুক্ত করা যেন তার পদবী বা জাতির অংশ হয়ে দাঁড়ায়—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অসঙ্গতিপূর্ণ। যদি একে সঠিক মনে করা হয়, তবে তালাক দেওয়া পুরুষের নামেও ‘তালাকদাতা’ শব্দ যুক্ত করা উচিত, যা অবশ্যই অশোভন হবে।” এই রায়ের পর আদালত নির্দেশ দেয় যে, কোনও আইনি নথিতে “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার করা হলে সেই নথি নিবন্ধন বা ডায়রি করা যাবে না।

  • Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারো মাস বরফে ঢাকা লাদাখের (Ladakh) সিয়াচেন এবং দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করল ভারতীয় সেনা। এর ফলে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলের খবর পাবে সেনাবাহিনী। সহজ হবে যোগাযোগ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সিয়াচেনের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে, ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরে’র সিগন্যালার-রা চরম প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিপজ্জনক দুর্গম ভূমি উপেক্ষা করে ১৮ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এলাকা পার করে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা জোরদার হবে বলে জানিয়েছে সেনা।

    কঠিন লড়াই করে সংযোগ স্থাপন

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮,০০০ থেকে ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় কাশ্মীরের কারাকোরাম পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহ। এটি বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে কর্মরত সেনাদের তীব্র ঠান্ডা, প্রচণ্ড বাতাস, এবং বরফ সহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে সেনারা বরফে ঢাকা পাহাড়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেনারা বরফে হাঁটছেন, বরফ-ঢাকা শিখরে ওঠা এবং চরম খাড়াই ঢাল পার করার পর ধীরে ধীরে কেবল স্থাপন করছেন।

    সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য

    ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘‘এই প্রথমবার এবং সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবলগুলি দক্ষতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ চালু রাখা যায়।’’ তারা আরও বলেছে, ‘‘বিপজ্জনক গর্ত এবং তীব্র ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও, সংকেতবাহিনীর সদস্যরা অটুট মনোবল এবং নিষ্ঠা নিয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন।’’ এছাড়াও, ডেমচক ও ডেপসাং সমভূমিতে গত একমাস ধরে ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের পর, এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর প্যাট্রলিং পুনরায় শুরু হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এই আবহে কারাকোরাম পর্বতমালার এই রেঞ্জগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

    বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

    পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

    তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

    এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

    ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত এবং চিন (India China Relation)। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে লাদাখের (Ladakh) ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলও। শুক্রবার তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলো এর প্রমাণ দিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে একাধিক স্থানে কাঠামোগুলোর হ্রাস দেখা গিয়েছে, যা ভারত-চিন দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের শেষের সংকেত হতে পারে। শীতের আগে দুই দেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    স্যাটেলাইট চিত্র প্রমাণ

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগে সেনা যেখানে ছিল সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই দেশের সেনাকে। মার্কিন ভিত্তিক ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট চিত্রে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন কাঠামো এবং আশ্রয়স্থল ভাঙার চিত্র দেখা গিয়েছে। অঞ্চলটিতে এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিনা কাঠামো রয়ে গেছে, যা সংঘাতকালীন সময়ে তাদের উপস্থিতির মাত্রা নির্দেশ করে। তবে, ভারতের আশা কথা রাখবে চিন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগের ছবিতে যে জায়গায় কাঠামোগুলি ধরা পড়েছিল এখন সে জায়গায় নেই।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    সীমান্তে শান্তি কাম্য

    চিনের (India China Relation) সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছিল চিনা বাহিনী। আর এবার সেই জটই কাটতে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখে (Ladakh) তৈরি করা হল পাঁচটি নতুন জেলা। সোমবার, জন্মষ্টামীর দিন নতুন জেলাগুলির নাম ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের ট্যুইট বার্তায়। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের মন্ত্রকই লাদাখের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। উন্নত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন শাহ।

    লাদাখের (Ladakh) নতুন ৫ জেলার নাম

    ২০১৯ সালেই ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় লাদাখকে। লাদাখের প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন লাদাখে দু’টি জেলা ছিল একটি লেহ এবং অপরটি কার্গিল। এ বার নতুন করে পাঁচটি জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে (Ladakh)। নতুন পাঁচটি জেলা হল- জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    অমিত শাহের পোস্ট লাদাখ নিয়ে (Ladakh)

    সমাজমাধ্যমে পোস্টে শাহ লিখেছেন, ‘‘উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুসরণ করছেন, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখকে পাঁচটি জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং নামের পাঁচটি জেলা লাদাখের (Ladakh) মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালো ভাবে এবং আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে। লাদাখের মানুষের জন্য অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share