Tag: law

law

  • Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal)। গত কয়েক দিনে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা (Judiciarys Long Vacations) নিয়ে তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। দিল্লিতে অ্যাডভোকেট জেনারেলদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা। আইন অনেক সময় সমস্যার সমাধান তো করেই না, উল্টে বিষয়টিকে জটিল করে তোলে।”

    উন্নত দেশ হওয়ার পথে বড় বাধা (Sanjeev Sanyal)

    সঞ্জীবের মতে, বিচারব্যবস্থা ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার আশার পথে সব চেয়ে বড় বাধা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনের মতো সেকেলে রীতি, ‘প্রেয়ার্স’ নামের ঔপনিবেশিক ধারা, দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার প্রথা, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব। তাঁর কথায়, “সময়ে ন্যায়বিচার মেলে না। এটা অন্যতম বড় সমস্যা।” আদালতের দীর্ঘ ছুটি দেওয়া নিয়েও আপত্তি রয়েছে সঞ্জীবের। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়?”

    ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর

    সঞ্জীবের মন্তব্যে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন আইনজীবী মহল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সঞ্জীবের ভাইরাল হওয়া বক্তব্য আদতে ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর। মনে রাখতে হবে, এটি শাসনব্যবস্থার কোনও বাইরের লোকের হালকা সমালোচনা নয়। বরং এটি সেই অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, যা প্রতিটি মামলাকারী, উদ্যোক্তা এবং নাগরিক অনুভব করেছেন। ভারতে ন্যায়বিচার দেরিতে মেলে, ব্যয়বহুল এবং অপ্রাপ্য। ভারতের আইন পেশা এখনও সবচেয়ে আঁটসাঁট একটি পেশা, যা রক্ষণশীল, ঔপনিবেশিক এবং পরিবর্তনের বিপ্রতীপ। সান্যালের মন্তব্য সরাসরি বিচারব্যবস্থার অদক্ষতার সঙ্গে দেশের বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশার মধ্যে একটা সীমারেখা টেনে দেয় বই কি!

    আইনি ডিগ্রির প্রয়োজন

    সঞ্জীবের (Sanjeev Sanyal) মতে, সব ক্ষেত্রেই আইনি ডিগ্রির প্রয়োজনও হয় না। নিজের দাবির স্বপক্ষে সওয়ালও করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সঞ্জীব বলেন, “ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা কেবল প্রক্রিয়ার কারণেই নয়, মানসিকতা ও সংস্কৃতির কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনি ব্যবস্থা মধ্যযুগীয় কাঠামোর। এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, যেমন সিনিয়র অ্যাডভোকেট, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড এবং অন্যান্য। একবিংশ শতাব্দীতে এত স্তর কেন? অনেক ক্ষেত্রে মামলা লড়তে আইনি ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয় না। কারণ আজকের বিশ্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তিও।”

    ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Judiciarys Long Vacations)

    সান্যালের বক্তব্য যে নিছক অর্থহীন, তা বলা যাবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টে সাধারণত ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দশেরা ও বড়দিনে ছোট ছোট ছুটিও থাকে। হাইকোর্টগুলিও একই ধরনের ছুটির সময়সূচি মেনে চলে। সঞ্জীবের কথায়, ‘বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়? আপনি কি পুলিশ বিভাগ বা হাসপাতালগুলিকে মাসের পর মাস বন্ধ রাখতে পারেন?’ যদিও ছুটিতেও বেঞ্চ বসে। সঞ্জীবের মতে, দীর্ঘ ছুটির এই প্রতীকী দিকটি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে, বিশেষ করে যখন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড থেকে জানা গিয়েছে, সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তাতে এই অমীমাংসিত মামলাগুলি শেষ করতে বহু বছর লেগে যাবে।

    বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা

    সান্যালের (Sanjeev Sanyal) মূল বক্তব্য হল, বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ডুইং বিজনেস ২০২০ রিপোর্টে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম স্থানে রাখা হয়েছে, যেখানে একটি বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১ হাজার ৪৪৫ দিন সময় লাগে। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রায়ই মামলার জটে আটকে থাকে। আর ভূমি ও সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধ ভারতের আদালতগুলির সবচেয়ে সাধারণ দেওয়ানি মামলার মধ্যে অন্যতম (Judiciarys Long Vacations)।

    প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতার অবস্থা

    ২০১৮ সালের কমার্শিয়াল কোর্টস অ্যাক্টের অধীনে প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতা চালু করা হয়েছিল যাতে এই জাতীয় বিরোধগুলিকে বিচার ব্যবস্থা থেকে দূরে সরানো যায়। কিন্তু বাস্তবে মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে এর সাফল্যের হার খুবই কম। আর অনেক মামলাকারীকে শেষ পর্যন্ত আবার আদালতে ফিরে যেতে হয়। ফলস্বরূপ, মামলার চাপ কমার বদলে প্রায়ই সময় এবং খরচ আরও বেড়ে যায়। এর পরিণতি হল, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়নের সময় আইনি অনিশ্চয়তাকে হিসেবের মধ্যে রাখে। ব্যবসাগুলি এমন খাতে সম্প্রসারণে দ্বিধা করে, যেখানে চুক্তি বাস্তবায়ন অপ্রত্যাশিত থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য ‘তারিখ পে তারিখ’ অর্থাৎ একের পর এক মুলতুবি শুনানি এক পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আইনের নিষ্পত্তি

    সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই আইন তৈরি করেন অতিরিক্ত জটিল করে। কারণ তাঁরা মনে করেন অল্প সংখ্যক মানুষ এর অপব্যবহার করতে পারে। এর ফলে আইনে অসংখ্য ব্যতিক্রম ও শর্ত যোগ হয়, যা পরে বিচারিক ব্যাখ্যার স্তরে স্তরে জমা হয়ে যায়। দেউলিয়াত্ব ও দেউলিয়া আইন (Insolvency and Bankruptcy Code) এই সমস্যার একটি উদাহরণ। যদিও আইনটির ৩৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে বাস্তবে মামলাগুলি প্রায় দ্বিগুণ সময় নেয় (Judiciarys Long Vacations)। যদি বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস থাকত যে এটি সোজাসাপ্টা নিয়ম দ্রুত ও আগাম অনুমানের ভিত্তিতে কার্যকর হবে, তবে আইন প্রণেতারা প্রতিরক্ষামূলক আইন বানাতে বাধ্য হতেন না। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার শুধু মামলা-পেন্ডেন্সি কমানো নয়, বরং আরও স্পষ্ট এবং সরল শাসনব্যবস্থা তৈরির শর্ত তৈরি করা।

    স্বাধীনতা হল সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ

    বিচারব্যবস্থার রক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতা হল এর সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ। এটি সঠিক, কিন্তু স্বাধীনতা মানে জবাবদিহি থেকে মুক্তি নয়। জবাবদিহি মানে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের কাছে সহজলভ্যতার জন্য জবাবদিহি থাকা। দু’টি ধারণা এক সঙ্গে রাখা (Sanjeev Sanyal) সম্ভব। বিচারব্যবস্থা হল এক্সিকিউটিভ কর্তৃত্বের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ। কিন্তু এটি ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের পথে অন্তরায়ও হয়ে উঠতে পারে, যখন এটি পুরনো পদ্ধতি আঁকড়ে ধরে থাকে, বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখে এবং আধুনিকীকরণের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের সংস্কার করতে ক্ষমতাবান করে তুলবে। তাদের উচিত নয়, জনগণের সমালোচনা থেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা (Judiciarys Long Vacations)।

    ‘বিকশিত ভারত’

    সান্যালের বক্তব্যটি শক্তিশালী। কারণ তিনি কোনও আইনজীবী বা বিচারক নন। তিনি অর্থনীতিবিদ, যিনি বিচারব্যবস্থাকে একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। বিচার বিভাগীয় সংস্কারকে ভারতের উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বিতর্ককে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর কথা গভীরভাবে অনুরণিত হয়, কারণ তা বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। যতক্ষণ না আদালত ন্যায়বিচার দিচ্ছে, ততক্ষণ সত্যি সত্যিই ভারতের অগ্রগতি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। সঞ্জীব (Sanjeev Sanyal) বলেন, “আমার দৃষ্টিতে বিচারব্যবস্থাই ‘বিকশিত ভারত’ হওয়ার এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যথা সময়ে চুক্তি কার্যকর করতে না পারা কিংবা ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হওয়া এখন এত বড় সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমি আপনাদের বলছি যদি আমরা পুরো আইনি কাঠামোয় বড় ধরনের কোনও সংস্কার না দেখি, তবে সিস্টেমের অন্য যে ক্ষেত্রেই যত কাজই করি না কেন, তার কোনও গুরুত্ব থাকবে না।”

    আগেও বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন সঞ্জীব

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে অন্য একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়ে সঞ্জীব বলেছিলেন, “এটি (বিচার বিভাগ) ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে কিছু দিক থেকে সবচেয়ে (Judiciarys Long Vacations) বড় বাধা। এটি এখন আমলাতন্ত্রের চেয়ে সময়ের চেয়েও ঢের বেশি পিছিয়ে।” তিনি তখনও বলেছিলেন, “এর বিশাল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি অবশ্য কেবল বিচারব্যবস্থাকেই দোষারোপ করব না, বিচারকদের ক্ষেত্রে – একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রয়েছে এবং বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আইনজীবী এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বার কাউন্সিল ইত্যাদির পদস্থ ব্যক্তিরা আসলে অগ্রগতি থামিয়ে দিচ্ছেন (Sanjeev Sanyal)।”

  • Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে (Terrorist Ajmal Kasab) ফাঁসিতে ঝোলানোর কারিগর আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam) সদস্য হলেন রাজ্যসভার। রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, মোট ১২জনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। নিকম তাঁদেরই একজন।

    আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam)

    স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বল নিকম আইনজীবী হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মামলা। তিন দিনের ওই হামলায় মারা গিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট ৯ জঙ্গি। দেড়শোরও বেশি নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গি হামলায়। পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছিল জলপথে। ওই হামলায় একমাত্র জীবিত অবস্থায় ধরা হয় জঙ্গি কাসভকে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই নিকমই। সেই মামলায় গোটা দেশের নজর ছিল ওই মামলার দিকে। শুধু তাই নয়, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মামলায়ও আইনজীবী হিসেবে জঙ্গিদের বিপক্ষে লড়েছেন উজ্জ্বল নিকম। অস্ত্র আইনে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে জেলের ঘানি টানানোর নেপথ্যেও ছিলেন সেই তিনিই। বর্ষীয়ান এই আইজীবীকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি।

    হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন

    উজ্জ্বল নিকম একজন সরকারি আইনজীবী সরকারের হয়ে একাধিক হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাসিন্দা তিনি। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি পরিচালনা করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি মুম্বই জঙ্গি হামলার বিচার। ১৯৯১ সালের মুম্বই বোমা বিস্ফোরণ মামলা, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং ২০০৩ সালের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বোমা হামলা সন্ত্রাস সম্পর্কিত অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছে যেখানে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গুলশন কুমার হত্যা মামলা এবং বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায়ও (Terrorist Ajmal Kasab) শানিত সওয়াল করেছিলেন তিনি।

    বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন পুরস্কারও 

    আইনের ফেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন নিকম। তার মধ্যে একটি হল মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রীও। ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজ্যসভা মনোনীত হওয়ার পর উজ্জ্বল নিকমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আইনি ক্ষেত্র এবং আমাদের সংবিধানর প্রতি তাঁর নিষ্ঠা অনুকরণীয়।” এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উজ্জ্বল নিকম শুধুমাত্র একজন সফল আইনজীবীই ছিলেন না বরং গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “তাঁর সমগ্র আইনি জীবনে তিনি (Ujjwal Nikam) সর্বদা সাংবিধানিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য এবং সাধারণ নাগরিকদের সর্বদা মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন।”

    নিকমকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    নিকমকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এটা আনন্দের যে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছেন। তাঁর সংসদীয় ইনিংসের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করায় যারপরনাই খুশি এই প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমি কখনও ভাবিনি বা আশাও করিনি যে (Terrorist Ajmal Kasab) ভারতের রাষ্ট্রপতি আমায় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর কি হাইতে কথা বলা উচিত? এও জিজ্ঞেস করলেন এনডিআই অথবা মারাঠিতে। সেটা শুনে আমরা দু’জনেই হাসতে শুরু করলাম।”

    নিকমের প্রতিক্রিয়া

    নিকম বলেন, “তারপর তিনি আমার সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথা বললেন। তিনি জানালেন যে রাষ্ট্রপতি আমায় দায়িত্ব দিতে চান। এরপর (Ujjwal Nikam) তিনি আমায় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেন। আমি তৎক্ষণাৎ হ্যাঁ বলে দিলাম।” প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সত্যিকার অর্থে এবং সততার সঙ্গে পালন করব।”

    প্রসঙ্গত, উজ্জ্বল নিকমের বাবাও ছিলেন আইনি পেশায়। তিনি ছিলেন বিচারক। উজ্জ্বল কেসিই সোস্যাইটির মানিয়ার ল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন সায়েন্সেও। জলগাঁওয়ে একজন জেলা সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন নিকম। বহু দশকের অভিজ্ঞতা ও ভারতের সব চেয়ে জটিল ও আলোচিত মামলাগুলি সামাল দিয়ে তিনি নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা কৌঁসুলি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিরিশ বছরের কেরিয়ারে তিনি মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৩৭ জনের (Terrorist Ajmal Kasab)। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৬২৮জনের (Ujjwal Nikam)।

  • Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাকবিধি না মানলে এবার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে ইরানি (Iran) নারীদের। এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহে নয়া আইন (Hijab Law) চালু করেছে তেহরান। নতুন আইনে পোশাক বিধি না মানার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে আলাদা আলাদা শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। কেউ অশোভন পোশাক পরলে কিংবা নগ্নতাকে তুলে ধরছেন বলে মনে করা হলে ভারতীয় মুদ্রায় জরিমানা হতে পারে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা।

    কড়া শাস্তির বিধান (Hijab Law)

    বারংবার একই অন্যায় করলে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। যদি কোনও মহিলার অপরাধকে ‘পৃথিবীর প্রতি অনাচার’ বলে মনে করে প্রশাসন, তাহলে ইরানের ইসলামীয় দণ্ডবিধি অনুসারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। নয়া আইন অনুসারে যাঁরা এই পোশাকবিধি লঙ্ঘন করবেন, তাঁদেরও পেতে হবে শাস্তি। কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, সংবাদমাধ্যম মায় কোনও ট্যাক্সিচালকও যদি মহিলাদের অশোভন পোশাকে দেখেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে প্রশাসনকে। না হলে, সেটাও গণ্য হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে।

    পোশাক বিধি

    ইরানে দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের জন্য কড়া পোশাক বিধি চালু রয়েছে। হিজাবে মাথা ঢাকা সে দেশে আবশ্যিক। রাস্তায় বের হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয় মহিলাদের। ইরানের প্রাক্তন ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেইনি এই নিয়ম চালু করেন। বর্তমান ধর্মগুরু আলি খামেনেইও মহিলাদের জন্য জারি রেখেছেন পোশাকবিধি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কড়াকড়ি বেড়েছে পোশাকবিধিতে (Hijab Law)। পোশাক-ফতোয়ার বিরুদ্ধে নানা সময় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়েছে সে দেশে। তার পরেও শিথিল হয়নি পোশাক বিধি। বরং প্রশাসন সেই আন্দোলন দমন করেছে কড়া হাতে। শাস্তি হয়েছে কঠোরতর।

    আরও পড়ুন: “জোর করে জমির ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা”! আতঙ্কে নদিয়ার সীমান্ত এলাকার চাষিরা

    ইরানের নয়া পোশাকবিধিকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের পশ্চিম এশিয়ার সহকারি অধিকর্তা ডায়ানা এল্টাহাওয়ে। তিনি বলেন, “নারী স্বাধীনতা ও নারীর অধিকার খর্ব করতে এই আইন চালু করা হয়েছে।” ইরানে হিজাব না পরার অপরাধে মাহসা আমিনিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় মহিলাদের। সেবার কড়া হাতে সেই আন্দোলন দমন (Iran) করেছিল ইরানের পুলিশ (Hijab Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Anti Conversion Law: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Anti Conversion Law: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Anti Conversion Law) ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad HC)। রায়ে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ক্ষেত্রে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাঁর খাতাব কিংবা ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন, ‘উত্তরপ্রদেশ প্রোহিবিশন অফ আনলফুল কনভার্সান অফ রিলিজিয়াস অ্যাক্ট, ২০২১’ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণে ব্যবস্থা (Anti Conversion Law)

    আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের ক্ষেত্রে যদি কোনও ফাদার, মওলানা, কর্মকান্দি বা অন্য কোনও খেতাবধারী জড়িত থাকেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মওলানা মহম্মদ শানে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক যুবতীকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিলেন এবং একজন মুসলিম পুরুষের সঙ্গে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন। পরে গ্রেফতার করা হয় আলমকে। জামিনের আবেদন করেন মওলানা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই নির্দেশ। একই সঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে (Anti Conversion Law)।

    ধর্ম পরিবর্তনের স্বাধীনতা

    এর আগে অন্য একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ধর্ম পরিবর্তন করার স্বাধীনতা সবারই রয়েছে। কিন্তু সেই ধর্ম পরিবর্তন হতে হবে সমাজের আপত্তি ছাড়া এবং আইনিভাবে।কীভাবে ধাপে ধাপে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে, শুনানিতে তারও একটি রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিলেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্ম পরিবর্তনে সমাজে যাতে আপত্তি না ওঠে, সেটা দেখাও কর্তব্য। এজন্য হলফনামা দাখিলের পরে ধর্ম পরিবর্তনের ইচ্ছের কথা এলাকায় বহুল প্রচারিত কোনও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে। এতে কোনও জায়গা থেকে আপত্তি না উঠলে তার পরে বিষয়টি গেটেজ নোটিফিকেশন করে চূড়ান্ত করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    আলমের কাজ ধর্মান্তর বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Anti Conversion Law)। যাঁকে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে ভুল বোঝানো, ধর্ম পরিবর্তনে জোর করা, প্রতারণা করা, আনডিউ ইনফ্লুয়েন্স, জবরদস্তি কিংবা প্রলোভন দেখানো হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আইনের ২ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, রিলিজিয়ান কনভার্টার হবেন তিনিই, যিনিই এই ধরনের নিষিদ্ধ উপায়ে ধর্ম পরিবর্তন করাবেন। আদালত (Allahabad HC) দেখেছে, আইনের এই সংজ্ঞায় অনায়াসেই সংজ্ঞায়িত করা যায় আলমকে। এই আইনের বলেই তাঁকে দায়ী করা যায় (Anti Conversion Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: স্কুলেই রাজনৈতিক সভা! ভোটের প্রচারে আইন ভাঙলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক

    Birbhum: স্কুলেই রাজনৈতিক সভা! ভোটের প্রচারে আইন ভাঙলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছুটির আগেই ছুটি হল স্কুলপড়ুয়াদের। এর কারণ হল স্কুলে হবে তৃণমূলের সভা। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে বীরভূমে (Birbhum) রাজনৈতিক সভা করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। স্কুলে এই সভা করার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বীরভূমের নানুরে সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে জনসভা করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে জনসভায় আইনমন্ত্রী সহ উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও একাধিক বিধায়ক ৷ স্কুল পড়ুয়াদের স্কুল বাতিল করায় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের আইনমন্ত্রীই তাহলে কি আইন ভেঙে জনসভা করলেন? তবে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। 

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য(Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) পাপুড়ি হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম বলেন, “সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ক্লাস হয়। আমাদের ছুটি পরে যাচ্ছে রোজার জন্য। তাই আজ এক দুই পিয়ড করে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    সভার জন্য স্কুল ছুটি?

    নুরের পাপুড়ি হাইমাদ্রাসায় (Birbhum) একটি জনসভা করে তৃণমূল-কংগ্রেস ৷ সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত মাদ্রাসার ক্লাস হয়ে থাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু, দেখা গেল এদিন বিকেল ৩ টে থেকে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৩ টে বাজার অনেক আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছে মাদ্রাসা। পুরো মাদ্রাসা তৃণমূলের দলীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বড় বড় মাইক, বক্স লাগিয়ে দুপুর থেকেই জনসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। এই জনসভার ডাক দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাজি, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল, কেতগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ প্রমুখ ৷ সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে জনসভা করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী কীভাবে এহেন কাজ করতে পারেন বলে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সব্যসাচী রায় বলেন, “আইন ভাঙায় ওস্তাদ তৃণমূল মন্ত্রী। কীভাবে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী সভা করলেন। এই প্রশ্ন তুলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছি আজই।” আবার বোলপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয় শাসকের আইন চলছে। রাজনৈতিক প্রোগাম কীভাবে স্কুলে হল এই বিষয় নিয়ে আমরা কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। এই আইনমন্ত্রীকে কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি সিবিআই দফতরে। আইন মন্ত্রী আইন ভাঙেন শুধু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Criminal Laws: ১ জুলাই চালু হচ্ছে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিন নয়া আইন

    Criminal Laws: ১ জুলাই চালু হচ্ছে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিন নয়া আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে পাশ হওয়ার পর বিল পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। গত ডিসেম্বরেই তাতে শিলমোহর দিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর মেলায় বিল (Criminal Laws) পরিণত হয়েছে আইনে। তবে এত দিন কার্যকর হয়নি তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকেই ভারতে কার্যকর হবে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি নয়া আইন। তাই সেদিন থেকে দেশের গা থেকে পুরোপুরিভাবে মুছে যাবে ঔপনিবেশিকতার তকমা।

    লোকসভায় পাশ বিল

    অগাস্ট মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে (১১ তারিখে) লোকসভায় বিল তিনটি পাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম শীর্ষক ওই তিনটি আইন (Criminal Laws) ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ জমানার প্রভাব ও দাসত্বের মানসিকতা দূর করবে।

    ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাজা মৃত্যুদণ্ড

    নয়া আইনে ১৮ বছরের কম বয়সী মহিলাকে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে সাজা হবে ২০ বছর থেকে আজীবন কারাদণ্ড। যৌন হিংসা মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিত মহিলার বয়ান তাঁরই বাড়িতে একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিবদ্ধ করার বিধানও রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়। বিয়ে কিংবা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধের ক্ষেত্রে ভোগ করতে হবে দশ বছরের কারাদণ্ড। সন্ত্রাসবাদ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও আরও কঠোর সাজার ব্যবস্থা রয়েছে নয়া আইনে।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় ২৯টি আসন পাবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, ১৮৬০ সালে তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়ান পেনাল কোড। এই বিধিই প্রতিস্থাপিত হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হয়েছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা দিয়ে। আর ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের পরিবর্তে আসছে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, এক বছরের মধ্যেই তিনটি নয়া ফৌজদারি আইনের বিধান কার্যকর করতে শুরু করবে দেশের সব থানা। যেহেতু নয়া তিন আইনই প্রযুক্তি ও ল্যাবরেটরি নির্ভর, তাই এই তিন ফৌজদারি আইনের সঙ্গে যাতে দেশের সব থানা খাপ খাইয়ে নিতে পারে, সেজন্য ৯০০টি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি অধিগ্রহণের কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র (Criminal Laws)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share