Tag: left

left

  • Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং কেরলের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচন (Assembly Bypolls)। এদিন সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঢের আগে থেকেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা (NDA)। এদিন যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে, তার মধ্যে একটি আসন পশ্চিমবঙ্গের। এটি হল নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যে চলছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    ভোট চলছে কালীগঞ্জে (Assembly Bypolls)

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনটির রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর পদ্মপ্রতীকে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির আশিস ঘোষ। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতিও। এই বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৬২টি, বুথের সংখ্যা ৩০৯। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭০ জন। বৃষ্টি মাথায় করেই সকাল থেকে বুথে বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    কড়া নিরাপত্তা বলয়

    কালীগঞ্জ কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৭০০ পুলিশ। নজরদারিতে থাকছে ২০টি ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৬টি টিম। কমিশন সূত্রে খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। নজরদারির জন্য জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে নজরদারিতে থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। ২০১১ এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ আসনটি দখল করেছিল তৃণমূল। এই দু’বারই জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে তাঁকে হারিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন (Assembly Bypolls)।

    কালীগঞ্জ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের (NDA) অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে কালীগঞ্জে বিজেপির চেয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জন্য যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ২ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের সিংহভাগই সংখ্যালঘু। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কালীগঞ্জের মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ জন। মহিলা ভোটার (NDA) ১ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন (Assembly Bypolls)।

    ভোট চলছে পাঞ্জাবে

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উপনির্বাচন হচ্ছে আপ শাসিত পাঞ্জাবের লুধিয়ানা (পশ্চিম) কেন্দ্রেও। আপ বিধায়ক গুরপ্রীত সিং গোগীর মৃত্যুর জেরে হচ্ছে অকাল নির্বাচন। কেন্দ্রের রাশ ধরে রাখতে আপ প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোরাকে। অরোরার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জীবন গুপ্তা। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ভারত ভূষণ আশু, শিরোমণি অকালি দলের তরফে লড়ছেন পরুপকার সিং ঘুম্মান।

    গুজরাটের দুই আসনেও ভোট

    উপনির্বাচন হচ্ছে গুজরাটের দুই আসনেও। একটি হল কাড়ি বিধানসভা এবং অন্যটি বিসাবদার। বিজেপি বিধায়ক কারসনভাই সোলাঙ্কির মৃত্যুতে খালি হয় কাড়ি আসনটি। গেরুয়া শিবির এখানে প্রার্থী করেছে রাজেন্দ্র চাভদাকে। আর কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন রমেশ চাভদা। আপ প্রার্থী করেছে জগদীশ চাভদাকে (Assembly Bypolls)। বিসাবদারে আগের বিধায়ক ভায়ানি ভূপেন্দ্রভাই আপ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে (NDA)। এবার ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কিরিত প্যাটেলকে। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নিতিন রানপরিয়া। আপের প্রতীকে লড়ছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা গোপাল ইটালিয়া।

    ভোট কেরলেও

    বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে কেরলের নীলাম্বুরেও। এ রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রটি খালি হয়েছিল পিভি আনওয়ারের কারণে। বাম সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়েছে দু’বার। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক আর্যাদান মোহাম্মদের পুত্র আর্যাদান শাউকতকে। রাজ্যের শাসক দল এলডিএফ প্রার্থী করেছে এম স্বরাজকে। প্রসঙ্গত, নীলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্তমানে এই কেন্দ্রের সাংসদ কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্র (Assembly Bypolls)।

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • PM Modi: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ”, তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ”, তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফের মিথ্যাচারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছেন কেরলবাসী।”

    ‘বিজেপির ওপর আস্থা বাড়ছে’

    বিজেপির ওপর খ্রিস্টান-সহ নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস যে ক্রমেই বাড়ছে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। গোয়া এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি-সহ বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে নানা সম্প্রদায়ও যে বিজেপির ওপর আস্থা রাখছেন, তাও জানিয়েছেন তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় দেশের ১০২টি কেন্দ্রে হয়ে গিয়েছে নির্বাচন। কেরলে নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। এ রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ২০টি। সেই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে শনিবার প্রধানমন্ত্রী টানেন কেরলের প্রসঙ্গ। তিনি (PM Modi) বলেন, “খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও বিজেপির ওপর ভরসা করতে শুরু করেছেন। তাঁদের কল্যাণে যা করণীয়, পার্টি তা করবে।”

    ‘কেরলেও ভিত শক্ত হচ্ছে বিজেপির’

    কেরলে খ্রিস্টানরাই নির্ণায়ক শক্তি। এ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে বিজেপির একজনও প্রার্থী জয়ী হননি। তবে কেরলে ক্রমেই যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি শক্ত হচ্ছে, এদিনের সাক্ষাৎকারে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গোয়া, যেখানে খ্রিস্টানরাই সংখ্যাগুরু কিংবা উত্তর-পূর্বের রাজ্যের কথাই ধরুন না, সেখানেও তো খ্রিস্টানরাই নির্ণায়ক শক্তি। তা সত্ত্বেও সেসব রাজ্যের অনেকগুলিতেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।” প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি উত্তরপূর্বের সিংহভাগ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রী রয়েছেন যাঁরা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। অন্যান্য সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানের মতোই আমি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দিই।”

    আরও পড়ুন: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেরলের নেতারা আমায় বলেছিলেন, কীভাবে রাজ্যে চার্চের সম্পত্তি এলডিএফ এবং ইউডিএফ সরকারের জন্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।” জেলে-সহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য মোদি সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করছে, তারও ফিরিস্তি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এলডিএফ এবং ইউডিএফের মিথ্যাচারের জেরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বীতশ্রদ্ধ। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ক্রমেই আমাদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। তাঁদের কল্যাণে যা করণীয়, আমরা তা করব।” কংগ্রেস ও বামেরা যে কেরলবাসীকে ধোঁকা দিচ্ছে, প্রসঙ্গক্রমে তাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই তিনি (PM Modi) বলেন, “দুই রাজনৈতিক দলই (কংগ্রেস ও বাম) একই মুদ্রার দুটো পিঠ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। ছাড়লেন বিধায়ক পদও। সোমবার বিধানসভায় পৌঁছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফাপত্র। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাপস। বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তাপস বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।”

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাপসের

    পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ (Tapas Roy) বলেন, “কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ রয়েছে। আজ কুণাল ঘোষ আমায় বোঝাতে এসেছিল। ও আমার সামনে শোকজ হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যাঁদের শোকজ বা সাসেপেন্ড হওয়ার কথা, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” তাপস বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    ব্যর্থ চেষ্টা, হাতছাড়া তাপস

    তাপসকে দলে ধরে রাখতে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। এদিন সাতসকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা। তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝানো হলেও, তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরেননি ঘাসফুল শিবিরের এই প্রাক্তন সেনানী। এক সময় কংগ্রেস করতেন তাপস (Tapas Roy)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে যখন তণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন, তখন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাপসও। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশ হন তাঁর অনুগামীরা। বাড়িতে ইডি কর্তারা হানা দিলে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এরপর অবশ্য চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ এদিন ছাড়লেন তৃণমূল-সঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) বাম কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ বহরমপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন ছিল। রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দলেনের ডাক দিয়েছিল বামেরা। এরপর বামকর্মীরা পুলিশের উপর ইট ছুড়লে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক লাঠচার্জ করে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ওঠে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তিনি পোস্ট অফিসে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশের মারে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দাবি কী ছিল (Murshidabad)?

    শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের পক্ষ থেকে আজ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলাশাসকের (Murshidabad) দপ্তর অভিযান করা হয়। আইন অমান্য ও জেলভরো আন্দোলনে সামিল হন সিপিএমের সমস্ত সহযোগী দলগুলি। বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে টেক্সটাইল মোড়ে এসে শেষ হয়। প্রথমে বাধা দেয় বহরমপুর পুলিশ প্রশাসন। এরপর পুরো এলাকাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। মিছিল রুখতেই রীতিমতো শুরু হয় সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ, তাতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ছোড়া হয়ে টিআর গ্যাস, মিছিল বাঞ্চাল করাই উদ্দেশ্যে ছিল।

    পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ, বিদুৎ বিল, স্মার্টমিটার বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণ বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে আইন অমান্য কর্মসূচি হল বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সি.আই.টি.ইউর আহ্বানে আইন অমান্যের কর্মসূচীর জন্য জিটি রোডে বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো বর্ধমানেও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্যের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি চলে আন্দোলনকারীদের। তারপর বাদামতলার মোড়ে ব্যারিকেডে আটকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।সেখানেই পথসভা করা হয় সিটুর পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share