Tag: Lifestyle

Lifestyle

  • Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ ব্যাধি ক্যান্সার (Cancer In Indians)। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ফি বছর তামাম বিশ্বে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভারতেও ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিম্নমানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেহিসেবি জীবনযাপনের কারণে চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ (Cancer In Indians)

    ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসকরা মূল কারণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিম্নমানের খাবার এবং জীবনযাপনের ধরনকেই। চিকিৎসকদের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রসেসড (Cancer In Indians) ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে তামাক এবং মদ্যপানের প্রবণতাও। স্থূলত্ব, স্ট্রেস এবং বেহিসেবি জীবনযাপনও তাঁদের ক্যান্সারের কারণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পরিবেশ দূষণ। ভারতীয় শহরগুলিতে দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের মতে, এ থেকেও হচ্ছে নানা ধরনের ক্যান্সার। বায়ু দূষণ এবং জল দূষণও ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ভারতীয় জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল ভার্গব বলেন, “আল্টা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং বেহিসেবি জীবনযাপন কম বয়সী ভারতীয়দের জীবনে কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের। প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা এবং এই দুইয়ের সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম না করা ভারতীয় তরুণদের স্বাস্থ্যে সৃষ্টি করছে নানা সমস্যা।” তাঁর মতে, এসব খাবার থেকে দূরে থাকা এবং জীবনযাপনের ধরন বদলালেই থাকা যাবে সুস্থ।

    আর পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    ‘ক্যান্সার মুক্ত ভারত ফাউন্ডেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি একশো জনের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন চল্লিশের নীচেই। এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৪০ শতাংশ নারী। প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে স্থূলত্বের হার বাড়ছে। বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়ার চলও বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বেহিসেবি জীবনযাপন। এসবের কারণেই বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি।” জীবন যাপনের ধরনে বদল আনলেই যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “দূষণমুক্ত পরিবেশ, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে বদলও কমিয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer In Indians)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাঁতার কেটে ফেরার পরে কিংবা বিকেলে মাঠে খেলাধুলোর শেষে বাড়িতে ফিরতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। একরত্তির চোখ বুজে আসে। টানটান করে পড়তে বসতে চায় না পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য। আবার, মাঝেমধ্যেই কোমরে কিংবা পিঠের ব্যথায় কষ্ট হয়। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই পিঠে ব্যথার (Back Pain) সমস্যায় ভুগছে।‌ এমনকি হাতে-পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অনেক শিশু। দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাবা-মায়েরা সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সন্তানের ক্লান্তিভাব বাড়লে, অতিরিক্ত হাত-পায়ের যন্ত্রণা কিংবা ঘনঘন কোমরে আর পিঠে ব্যথায় কষ্ট পেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অভিভাবকেরা কীভাবে সতর্ক হবেন? (Back Pain)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাচ্চারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারি দরকার। মাঠে খুব বেশি খেলাধুলো করলে বা দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কসরত করলে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ সব সময় থাকলে তা বিপজ্জনক। একেবারেই পড়াশোনায় মনোযোগ করতে না পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা বাড়ছে। পাশপাশি, পিঠ টানটান করে বসতে না পারলে, লাগাতার পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের কম বয়সি শিশুদের অনেক সময়েই হাতে-পায়ে গ্রোইং পেন হয়। অর্থাৎ, এই বয়সের ছেলেমেয়েদের শরীর বড় হয়। তাই পেশিতে তার প্রভাব পড়ে (Back Pain)। তাই অনেক সময়েই বিশেষ করে রাতে হাতে ও পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হয়। তবে যদি হাতে-পায়ে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হয়, তাহলে কিন্তু বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়া জরুরি। সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ সম্ভব? (Back Pain)

    শিশুদের শরীরে বাড়তি ক্যালসিয়াম সব সময় জরুরি। কারণ বাড়ন্ত শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টিতে বাড়তি নজরদারি দরকার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা রয়েছে (Back Pain)। অধিকাংশ শিশু চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তাই সন্তানের ডায়েট নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    ১) পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দুধ। তাই নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড় মজবুত হয়। আবার ক্লান্তি কমে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখতে হবে দুধ। 
    ২) দুধের পাশপাশি ছানা এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনীরের একাধিক পদ তৈরি করা যায় (Back Pain)। তাই শিশুদের একঘেয়ে লাগবে না। নিয়মিত পনীর খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া ছানা‌ ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়ার পাশপাশি এনার্জি জোগাতে বাড়তি সাহায্য করবে। 
    ৩) নিয়মিত অন্তত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তবে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য। তাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 
    ৪) মুসুর গাল, মটর, ছোলার মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ধরনের খাবারে শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ফাইবারের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই পেশি ও হাড় মজবুত হয়। 
    ৫) সন্ধ্যা কিংবা সকালের জলখাবারে সন্তানকে চাউমিন, এগরোলের পরিবর্তে সিদ্ধ ডাল, ভিজে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব সহজেই পূরণ হবে (Back Pain)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hypertension: চাপ ও অস্থিরতায় বাড়ছে হাইপারটেনশন! কেমন জীবনযাপন কমাতে পারে এই রোগ? 

    Hypertension: চাপ ও অস্থিরতায় বাড়ছে হাইপারটেনশন! কেমন জীবনযাপন কমাতে পারে এই রোগ? 

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ, মানসিক চাপ আর ব্যস্ততা নিত্যসঙ্গী। আর এসবের সঙ্গে শরীরে নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাইপারটেনশন (Hypertension) তার মধ্যে অন্যতম! ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন ভারতীয়র মধ্যে চারজন হাইপারটেনশনে ভোগেন। এরাজ্যেও বাড়ছে হাইপারটেনশনের সমস্যা। বয়স্কদের পাশাপাশি কমবয়সীদের মধ্যেও হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। তাই দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ জীবন কাটাতে জরুরি সচেতনতা। আগামী ১৭ মে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে! তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বছরভর সতর্ক থাকলে কমতে পারে বিপদ!

    হাইপারটেনশন থাকলে কোন ঝুঁকি বাড়ে? 

    হাইপারটেনশনে (Hypertension) সবচেয়ে ঝুঁকি বাড়ে হার্টের! উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া, মানসিক অস্থিরতা, মানসিক চাপের মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার হাইপারটেনশন আছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশনের (Hypertension) কিছু উপসর্গ আছে। যা থেকে বোঝা যায়, কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত কিনা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশনের প্রধান উপসর্গ হল মাথার পিছনে যন্ত্রণা। মাঝেমধ্যেই, কয়েকদিনের ব্যবধানে মাথার পিছনের অংশে অসম্ভব যন্ত্রণা হাইপারটেনশনের অন্যতম উপসর্গ! উচ্চ রক্তচাপ হাইপারটেনশনের উপসর্গ। শরীরে ক্লান্তি, কোনও কাজেই এনার্জি না পাওয়া হাইপারটেনশনের উপসর্গ।হাইপারটেনশন থাকলে বমি হয়। মানসিক অস্থিরতা হাইপারটেনশনের উপসর্গ। যদি মাঝেমধ্যেই অকারণ দুশ্চিন্তা গ্রাস করে, তবে সেটাও হাইপারটেনশনের অন্যতম উপসর্গ।

    কোন কোন খাবার মেনুতে রাখলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমবে? 

    সময়মতো চিকিৎসা যত জরুরি, তেমনি জরুরি জীবনযাপনের ধরন। বিশেষত খাবারের দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি। কারণ, সঠিক খাবারের মেনু কমিয়ে দিতে পারে সমস্যা। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাদের হাইপারটেনশন রয়েছে, তাদের খাদ্য তালিকায় বাড়তি নজর থাকুক। বিশেষত নিয়মিত পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেস্তা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ড্রাই ফ্রুটস কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই হাইপারটেনশনে খুব উপকারী পেস্তা। যে কোনও ভাবে পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    উচ্চ রক্তচাপ কমানোর হাইপারটেনশনের (Hypertension) রোগীর খুব জরুরি। তাই নিয়মিত বিনস ও ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিনস ও ডাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই হাইপারটেনশন রুখতে নিয়মিত খাবারের তালিকায় বিনস ও ডাল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। টমেটো হাইপারটেনশন রুখতে খুব উপকারী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, টমেটোতে থাকে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনালাইট। আর এই দুই উপাদান হাইপারটেনশন মোকাবিলায় সাহায্য করে। বিশেষত ক্যারোটিনালাইট হার্টের জন্য খুব উপকারী। খাবারের মেনুতে ব্রকোলি ও গাজর রাখলে হাইপারটেনশন কমাতে সাহায্য হবে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই এই সবজি খুব উপকারী। তাছাড়া গাজরে আছে ক্লোরোজোনিক ও ক্যাফেইক। এই উপাদানগুলো রক্তনালিকে ঠিকমতো কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। তাই গাজর অত্যন্ত উপকারী। 
    কমলালেবু আর কলার মতো ফলও অত্যন্ত উপকারী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। এই দুই উপদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আবার কলায় থাকে সোডিয়াম। সোডিয়াম হাইপারটেনশন (Hypertension) রুখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Beekeeping: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে মৌমাছি পালনে জোর কেন্দ্রের, উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী

    Beekeeping: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে মৌমাছি পালনে জোর কেন্দ্রের, উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈব ও প্রাকৃতিক চাষের ওপর নির্ভর করে বেড়ে উঠছে দেশের পরিবর্তনশীল কৃষি ব্যবস্থা। এবার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালনের (Beekeeping) মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা ব্যবস্থায় একটি অসাধারণ প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, মধু উৎপাদন দেশে কৃষকদের জীবনশৈলীরও পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

    লকডাউনের সময় থেকেই উদ্যোগ শুরু

    প্রসঙ্গত, গত ২০২০-২১ সালে করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন দেশবাসী। কৃষির গুরুত্ব কতখানি, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তাঁরা। যদিও, ওই সময় কেন্দ্র আত্মনির্ভরতার বার্তা দিয়েছিল। একইসঙ্গে গুরুত্ব দিয়েছিল কৃষিজ ফসলে। তার ফলস্বরূপ উষরমুক্তি প্লাস প্রকল্পে ও ১০০ দিনের কাজে সবজি চাষে জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয় সবজি চাষ, উদ্যান পালন। তাতে একদিকে যেমন বাজারে পর্যাপ্ত সবজির জোগান থাকবে, একইসঙ্গে আয় বাড়বে গোষ্ঠীর সদস্যদের। এবার কৃষকদের মৌমাছি পালনের (Beekeeping) ওপর গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    মৌমাছি পালন কীভাবে করবেন কৃষকরা?

    প্রসঙ্গত, শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন (Beekeeping)। এর জন্য দরকার বিশেষ ধরনের বাক্স, যেখানে মৌমাছিদের কলোনি থাকবে। ২০-৫০ হাজার মৌমাছি থাকবে একটি কলোনিতে। কৃষি প্রধান এলাকা, যেখানে সরষে, তিষি, ফুল চাষ হয় এবং বনভূমি এলাকায় ওই বাক্স রাখতে হবে। একজন চাষিকে কমপক্ষে ৪০-৫০টি বাক্স রাখতে হবে মৌমাছি পালনে। খরচ পড়বে ৫ হাজার টাকা। তার সঙ্গে শ্রমিকের খরচ ও কখনও মৌমাছিদের চিনি অথবা গুড়ের রস করে খাওয়ানোর খরচ। মৌমাছি পালনের মরশুম নভেম্বর থেকে মে-জুন মাস। মরশুমে একজন চাষি ২-৩ মাসে একটা কলোনিতে ১২-১৪ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। বাজারে বিভিম্ন নামী কোম্পানির থেকে অনেকগুণ উৎকৃষ্টমানের হবে এই মধু। 

    লাভজনক এবং পরিবেশবান্ধব মডেল

    প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিক থেকে ভারতে মধু উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ৭০ শতাংশ অবদান হল অসংগঠিত ক্ষেত্রের। এই নিরিখে মৌমাছি পালনকে (Beekeeping) সবচেয়ে লাভজনক এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি-ব্যবসার মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, মধু উৎপাদন আমাদের কৃষকদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবনশৈলীরও পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশের যুব জনগোষ্ঠীকে ব্যবসায়িক মনোভাবের মাধ্যমে মৌমাছি পালন এবং নতুন সম্ভাবনাগুলি উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট?

    সম্প্রতি, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ ‘মন কি বাত’-এর প্রেক্ষাপটে ভারতব্যাপী একটি সমীক্ষা করেছে। যেখানে ৪০ জন মৌমাছি পালক এবং ৪০টি মৌমাছি পালনকারী (Beekeeping) দল অংশগ্রহণ করেছিল। সমীক্ষাটি ছিল দেশের ২৬টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি জেলা জুড়ে। তাতে দেখা গেছে, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি সচেতনতা, প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনী কর্মসূচির মাধ্যমে মৌমাছি পালনের অনুশীলনকে উন্নত করতে সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের এইসব কর্মসূচি প্রায় ৩২.৫০ শতাংশ মৌমাছি পালনকারীকে অনুপ্রাণিত করেছে। মৌমাছি পালনের লাভজনক দিক প্রায় ২৭.৫০ শতাংশ ব্যক্তিকে মৌমাছি পালনে উদ্বুদ্ধ করেছে। সফলতার নিরিখে সর্বমোট ২২.৫০ শতাংশ একক মৌমাছি পালনকারী এটিকে ব্যবসায়িক উদ্যোগ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। লক্ষণীয় হল, মৌমাছি পালন সহায়ক চাষের বিকল্প হিসাবে সত্যিই একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sperm Count: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    Sperm Count: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক পুরুষই চান বাবা হতে। তবে সন্তানের (Baby) জন্ম দিতে গেলে প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শুক্রাণু বা স্পার্ম (Sperm)। লো স্পার্ম কাউন্টের (Low Sperm Count) সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকভাবে সন্তানের বাবা হতে পারেন না ওই পুরুষ। তখন তাঁকে সাহায্য নিতে হয় কৃত্রিম কোনও পদ্ধতির।

    কেন কমে যায় শুক্রাণু? গবেষকদের মতে, স্পার্মের সংখ্যা কমে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক নিবিড়। কিছু কু-অভ্যাসের ফলেই কমে যায় পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা। যদিও কোনও পুরুষই বুঝতে পারেন না, কেন কমছে তাঁর শুক্রাণুর সংখ্যা।

    আরও পড়ুন : শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে? বুঝে নিন ত্বকের এই উপসর্গ দেখেই

    শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না কোনও পুরুষ। তখন ওই দম্পতিকে ছুটতে হয় প্রজননবিদদের কাছে। চিকিৎসা করাতে ইনফার্টিলিটির। প্রয়োজনে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের সাহায্যও নিতে হয় তাঁদের। এতে খরচ হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। অথচ একটু সচেতন হলেই আটকানো যায় লো স্পার্ম কাউন্টের সমস্যা।

    বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণভাবে প্রতি মিলিলিটার সিমেনে স্পার্ম থাকা উচিত এক কোটি ৫০ লক্ষ। যত বেশি সুস্থ শুক্রাণু থাকবে, তত বেশি মাত্রায় ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সম্ভাবনাও বাড়বে। শুধু তাই নয়, স্পার্মের সচলতাও স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কারণে কমে যায় স্পার্মের সংখ্যা।

    শরীর চর্চায় অনীহা: আমরা জানি নিয়মিত শরীর চর্চা করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উন্নতি হয় প্রজনন সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের।

    ধূমপান: তামাক সেবন ও ধূমপান যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, তা আমরা জানি। তবে এই দুই ক্ষতিকারণ অভ্যাস কমিয়ে দিতে পারে স্পার্মের সংখ্যা। স্পার্মের স্বাস্থ্যহানিও ঘটায় এই দুই কু-অভ্যাস। দুর্বল স্পার্ম কখনওই ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে না। লো স্পার্ম কাউন্টের সমস্যা কমাতে এখনও ছেড়ে দিন তামাক সেবন ও ধূমপান।  

    আরও পড়ুন : নতুন বিপদ! ‘মাঙ্কিপক্স’কে অতিমারি ঘোষণা ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের

    স্বাস্থ্যকর খাবার: প্রচুর পরিমাণে তেল-মশলা দেওয়া খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার, সফট ড্রিংক পানও কমিয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর সংখ্যা। সমস্যা এড়াতে বিশেষজ্ঞরা সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন। পাতে রাখতে হবে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার। গবেষকদের মতে, আটা দিয়ে তৈরি খাবার, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, রঙিন শাকসবজি খেলে স্পার্ম কাউন্ট বাড়ে।      

    স্ট্রেস: অতিরিক্ত মানসিক চাপও কমিয়ে দিতে পারে স্পার্ম কাউন্ট। সব সময় নেতিবাচক চিন্তাভাবনাও কমিয়ে দিতে পারে স্পার্মের সংখ্যা। স্ট্রেস কমাতে যোগসন, ধ্যান করা জরুরি। তাহলেও বাড়বে শুক্রাণুর সংখ্যা।

     

LinkedIn
Share