Tag: loc

loc

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের (Pak Troops) বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। এভাবেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পাক সেনার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজস্থানে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন পাক রেঞ্জার্সের এক জওয়ান। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পাঁচটি জেলার মোট আটটি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখার গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। মনে করা হচ্ছে, গত ১০ দিনে এটিই সবচেয়ে বড় মাপের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন।

    কোন কোন  জায়গায় চলল গুলি?

    জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নওশেরা, সুন্দরবনি এবং আখনুর অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনা (Pak Troops)। তবে প্রতিক্ষেত্রেই পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। রবিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, পাক সেনার গুলি চালানোর পরে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণের পর থেকে এই ধরনের ঘটনা কমে গেলেও পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে উত্তেজনা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি (Pak Troops)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের (Pak Troops) হত্যালীলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাঁদের ধর্ম বেছে বেছে হত্য়া করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পাকিস্তানি যোগও সামনে আসে। ভারতের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়। এরপরে, গত ২৪ এপ্রিল থেকে প্রতি রাতেই বিনা প্ররোচনায় কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা (Jammu And Kashmir) বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে আসছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে।

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

  • India’s ‘Aakraman’ Exercise: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া কিসের ইঙ্গিত?

    India’s ‘Aakraman’ Exercise: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া কিসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান (Indi – Pakistan) উত্তেজনা যখন চরমে, তখনই ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) শুরু করেছে এক বড় সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। নামেই পরিষ্কার এই মহড়ার (India’s ‘Aakraman’ Exercise) উদ্দেশ্য ও বিধেয়। দেশের মধ্যাঞ্চলে শুরু হওয়া এই মহড়ার অংশ নিয়েছে বায়ুসেনার (Indian Air Force) তুখোড় যুদ্ধবিমানের বহর, যার নেতৃত্বে রয়েছে রাফাল ও সুখোই-৩০ এমকেআই স্কোয়াড্রন।

    নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ

    রাফাল স্কোয়াড্রন দুটি, আম্বালা ও হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে বিমানগুলি এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। পূর্বাঞ্চল থেকেও বেশ কিছু বিমান ও সেনা-সরঞ্জাম এই মহড়ার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বায়ুসেনার এক অফিসার জানিয়েছেন, “এটি নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ হলেও, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর মহড়ার সময়সূচি তাৎপর্যপূর্ণ। রাফাল ও সুখোই বিমানগুলি নির্ভুল ভুমি-আক্রমণ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধাভিযান অনুশীলন করছে।” যদিও ভারত সরকার বলছে এটি একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ, তবে ইতিহাস বলছে অন্য কথা। অতীত বলছে, ২০২০ সালে লাদাখ সংঘাতের আগে চিন সীমান্তে একাধিক সামরিক মহড়া চালিয়েছিল। তার মাসখানেকের মধ্যেই গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, যাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনেরও প্রায় চল্লশিের বেশি সৈন্য নিহত হয়। আবার ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ঠিক আগে, তারা Zapad নামে বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, যেখানে ২ লক্ষ সেনা, ৮০টির বেশি বিমান, ১৫টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল। এইসব নজির ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া নিছক ট্রেনিং নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা—যেটি যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রতিফলন, তেমনি শত্রু পক্ষের কাছে একটি সতর্ক সংকেত।

    কেমন চলছে অনুশীলন

    এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মিগ-২১, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, AWACS (এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম), মিড-এয়ার রিফুয়েলার ও গরুড় কমান্ডোরা। মহড়ার অনুশীলনে সমতল এলাকা থেকে শুরু করে পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণের অনুশীলন করা হচ্ছে, যা বাস্তব অভিযানের অনুরূপ। সূত্রের খবর, ইস্টার্ন সেক্টর থেকে সেন্ট্রাল সেক্টরে অনেক বায়ুসেনার সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। যেখানে এই মহড়ার আওতায় দূরদূরান্তে গিয়ে শত্রুর অবস্থানে সুনির্দিষ্ট বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। পাইলটরা বাস্তব যুদ্ধের পরিস্থিতিতে অনুশীলন করছেন, যাতে তাঁরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।

    আরব সাগরে নৌ মহড়া শুরু

    মহড়ার ঠিক আগেই পাকিস্তান আরব সাগরে নৌ-মহড়া শুরু করে এবং ২৪ ও ২৫ এপ্রিল তারিখে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য এনওটিএএম (Notice to Airmen/Mariners) জারি করে। একই সময় ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস সুরাটের মাধ্যমে সফলভাবে একটি মিড-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (MR-SAM) উৎক্ষেপণ করে, যা তাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার প্রমাণ দেয়।

    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকার 

    পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে নানা পাল্টা পদক্ষেপ করেছে—ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত এবং সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নয়াদিল্লি যে এ বার কঠোর অবস্থান নিয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তা স্পষ্ট করতে বিহারে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার বলেন, “২৬ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। ভারত প্রতিটি জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বার করবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে।”

    সক্রিয় প্রতিরোধে বিশ্বাস 

    পহেলগাঁওয়ে হামলায় সাতজন জঙ্গি শরিক ছিল, যাদের অধিকাংশই পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সাথে যুক্ত। তারা বডি-ক্যামেরা ও স্টিল কোর গোলাবারুদসহ একে-৪৭ নিয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, বিশেষত হিন্দু পুরুষদের টার্গেট করে। এরপরই ভারতের সামরিক মহড়া এবং কূটনৈতিক কৌশল থেকে স্পষ্ট—দেশ এখন আর প্রতিক্রিয়ার নীতিতে নয়, বরং সক্রিয় প্রতিরোধে বিশ্বাস করছে। ‘আক্রমণ’ মহড়া সেই বার্তাই বহন করছে। কেন্দ্রীয় সেক্টরে বর্তমানে যুদ্ধ মহড়া চলছে। এই মহড়ায় বিমান বাহিনীর পাইলটরা পাহাড়ি ও স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুশীলন করছেন।

    থর মরুভূমিতে যুদ্ধ-প্রস্তুতি

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২৫-২৬ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একাধিক পোস্ট থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে অপ্রীতিকরভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনারা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উপযুক্তভাবে জবাব দিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।” এই আবহে শুরু হয়েছে বায়ুসেনার আক্রমণ মহড়া, চলছে নৌসেনার প্রস্তুতি। একইসঙ্গে রাজস্থানে যুদ্ধ-প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। জয়পুরে সপ্তশক্তি কামান নিয়ে রাজস্থানের থর মরুভূমিতে পাক বর্ডারের কাছে যুদ্ধ-প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সীমা অতিক্রম করে স্ট্রাইক ? এই যুদ্ধ-প্রস্তুতির মাধ্যমে। প্রতিপক্ষের সীমা অতিক্রম করে কীভাবে স্ট্রাইক করা যায়, তার জন্যই ভারতের এই যুদ্ধ-প্রস্তুতি। এই যুদ্ধ-প্রস্তুতিতে প্যারা-এসএফ কম্যান্ডোর সঙ্গে ট্যাঙ্ক ও স্পেশাল আর্মড ভেহিক্যালসের ব্যবহার করা হয়েছে। শত্রুদের এলাকা কব্জা করতে এই ট্যাঙ্কের ব্যবহার করা হয়, সূত্রের খবর। এরপর প্যারা কম্যান্ডো অপারেশনের পর ফিরে আসে।

  • Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী (Pakistans Southern Strategy) হামলা আসলে কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গ্রীষ্মকালীন নাশকতা কৌশলের অঙ্গ। পাকিস্তানের (Pakistan) মদতে এই সময়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জম্মুর দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে এখনও পর্যন্ত ৩২টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে ১০০ সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ১০টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে, সেখানে ৩৫ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    গত ৬ মাসে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Pakistan)

    গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ছয় মাস ধরে জম্মুর দিক থেকে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা (Pakistans Southern Strategy)। এরমধ্যে কিছু সন্ত্রাসবাদী দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু অঞ্চলে এই সংখ্যা ৫০। কারণ জম্মু অঞ্চলে লুকানোর জায়গা কম আছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। জম্মু-কাশ্মীরের আত্মগোপন করে থাকা এই সন্ত্রাসবাদীরা (Pakistan) প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। তাদেরকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। ২০২৩ সালে এমনই ১২৫টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০০।

    গত বছরে কাশ্মীরে পর্যটক পৌঁছায় ২.৩৫ কোটি

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ছিল ১০৭। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই হামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ২৬। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনটি সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pakistan) ঘটনা ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, গত বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ২.৩৫ কোটি পর্যটক এসেছিলেন। একই সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন পাঁচ লাখ ভক্ত। শ্রীনগরের লালচকে প্রতিদিন পর্যটকদের পা পড়ত গড়ে ১১ হাজার। খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছিল ভূস্বর্গের। কারণ সেখানকার প্রধান জীবিকাই ছিল পর্যটন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং আইএসআই এমনটা চাইনি। ফলস্বরূপ, পহেলগাঁও হামলা।

  • Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে (Pakistan) ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।’ তার জেরেই পহেলগাঁওয়ে এই হামলা বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার (Terror Infrastructure) পরে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে মূলচক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লা। ভারতের সেনা কর্তারা জানান, পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এলাকায় রয়েছে। তবে লঞ্চ প্যাড এখনও সক্রিয় লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর।

    পাক সেনা প্রধানের উসকানিমূলক বক্তব্য (Terror Infrastructure)

    এই হত্যালীলার দিন কয়েক আগেই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ঘাড়ের শিরা বলে দাবি করেছিলেন। দ্বি-জাতি তত্ত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট। এটা (কাশ্মীর) আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, থাকবেও, আমরা তা ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের সংগ্রামে একা ছাড়ব না।” মঙ্গলবার ঘটনার পরে পরেই সেনাবাহিনীর এক প্রবীণ কর্তা বলেছিলেন, “৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলওসি বরাবর শক্তিশালী অন্তঃপ্রবেশ-রোধ জাল থাকায় জঙ্গিরা এখন জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার জন্য অন্য পথ ব্যবহার করছে। গত বছর এলওসিতে ১০টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। খতম হয়েছে ২৫ জন জঙ্গি।”

    বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই হামলা!

    পহেলগাঁও অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কোনও বড়ো অংশ মোতায়েন ছিল না। তবে স্থানীয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি বিশেষ বিপ্লব-বিরোধী ইউনিট দুপুরে নৃশংসতার খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি কলাম পাঠায়। সেনাকর্তাদের মতে, এই “স্বল্পখরচে, উচ্চপ্রভাব” হামলাটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সের ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফরের সময় ঘটানো হয়েছে। তামাম বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই (Terror Infrastructure) এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রমিনেন্ট ইসলামিক দেশ।

    সেনাকর্তাদের মতে, গত দু’বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ জন জঙ্গি নিকেশ হওয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে বড় ধরনের হামলার ছক কষেছিল। এক সেনাকর্তা বলেন, “পাকিস্তান ও পিওকেতে জঙ্গি পরিকাঠামো, যেখানে লস্কর-ই-তৈবা(LeT), জইশ-ই-মোহাম্মদ(JeM), ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল(UJC), আল-বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের কৌশলগত অস্ত্র, জিহাদি সেমিনার ও মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয়।” তিনি বলেন, “জেনারেল মুনিরের সম্প্রতি ভারত-বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য (Pakistan) থেকে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে (Terror Infrastructure)।” প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের। তার জেরে ফি বছর বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই চোখ টাটিয়েছে পাক সেনার।

  • Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম এক জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার সহ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে উধমপুর ও কিস্তওয়ারে শুরু হওয়া জঙ্গিদমন অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে শুক্রবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জন সংঘর্ষে মারা যায়। নিহত তিন জনের নাম, সইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নানা নাশকতা মূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাত।

    পাকিস্তান থেকে এসে বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, বহুদিন ধরে ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তান (Pakistani Terrorist) থেকে এসে উপত্যকার জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু’জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেন। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

    গত এক বছর ধরে সন্ত্রাসের ছক

    নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। এদিনের সংঘর্ষে নিহত জইশের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল।

    বারবার বানচাল জঙ্গিদের চাল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কড়া হাতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জেহাদের জাল ছিঁড়তে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে,

    আখনুরে শহিদ জওয়ান

    অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি মারা হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে এম-৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ রয়েছে।সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’

    বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টায় জঙ্গিরা

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মুর আখনুর সেক্টরে পাহাড়, জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিল সদ্য কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে নিয়ে যাওয়া অসম রাইফেলস বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করার পরেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয় বলে কিস্তওয়ারের পুলিশ সুপারের দাবি। বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় যাতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করে অভিযানে নামানো হয় আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা আরও একবার ভেস্তে গেল সেনার তৎপরতায়।

  • Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার ছ’জন জওয়ান। তাঁদের রাজৌরি (Landmine Blast in Rajouri) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর। মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া রাজৌরি জেলার নওশেরার ভবানী সেক্টরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় (নর্দার্ন) কম্যান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    কী ঘটেছিল?

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোর্খা রাইফেলসের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। সেখানেই মাটিতে লুকনো ছিল ল্যান্ডমাইনটি। একজন সেনা জওয়ান ভুলবশত একটি ল্যান্ডমাইনের উপর পা দিয়ে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের আঘাত মারাত্মক হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ রোধে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায়শই ল্যান্ডমাইন পোঁতা থাকে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কখনও ওই ল্যান্ডমাইনগুলি সরানোর কাজ চলে। যার ফলেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    নাশকতার ছক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাতেই ‘অ্যান্টি পার্সোনেল’ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক সেনা জওয়ানের পা উড়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।  তবে পাক জেহাদিরা ছক কষেই নাশকতার জন্য ল্যান্ডমাইন সরিয়ে এনেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সেনা।  

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ডোডায় হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে, প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা

    Terrorist Attack: ডোডায় হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে, প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সেনার ওপর হামলায় (Terrorist Attack) জড়িত তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করল পুলিশ। প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে, “ডোডা এবং ডেসরা এলাকায় এই তিনজন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গির কার্যকলাপের এই তিনজনই যুক্ত ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছে ওই জঙ্গিদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজ নেওয়ার জন্য একটি ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে।

    উর্দু ও পস্তো জানে জঙ্গিরা (Kupwara Encounter)

    জানা গিয়েছে জঙ্গিরা উর্দু এবং পাস্তো ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে। জঙ্গিরা “জৈশ-এ-মোহাম্মদের” সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের হ্যান্ডেলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাঁদের অবস্থান যাতে চিহ্নিত না করতে পারে সেনা এবং পুলিশ, সেই কারণে নিজেদের ফোন ব্যবহার না করে অনেক ক্ষেত্রে জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন এবং পাকিস্তানে যোগাযোগের জন্য হটস্পট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

    সেনার উপর ফের হামলা (Terrorist Attack)

    এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara Encounter) জেলার কুমকাডি ছাউনি লক্ষ্য করে পাক জঙ্গি ও সীমান্ত বাহিনীর যৌথ হামলায় (Terrorist Attack) এক ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। মেজর পর্যায়ের পদমর্যাদার এক অফিসার সহ আরও চারজন সেনা পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একজন পাক জঙ্গিও খতম হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খতম করতে অপারেশন সর্পবিনাশ শুরু করেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলঘেরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, এমনই খবর পেয়েছে সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে তাঁদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল বিজয় দিবসের পরের দিনই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হল কাশ্মীর উপত্যকায় (Jammu Kashmir)। শনিবার কুপওয়ারার (Kupwara) কামকারি এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক মেজর-সহ পাঁচ সেনা। ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। 

    কী ঘটেছিল

    সেনা সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে এলওসি-তে ওই হামলার (Jammu Kashmir) ঘটনায় পাক সেনার নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি এবং জঙ্গিদের যৌথবাহিনী ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (ব্যাট) জড়িত। শুক্রবার ওই এলাকায় জঙ্গিদের গতিবিধির ‘খবর’ এসেছিল। তারই ভিত্তিতে অভিযানে নেমে হামলার মুখোমুখি হয় সেনা।

    ব্যাট কি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা এই বাহিনীর সাহায্যেই উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে। এখন জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ভৌগোলিক অবস্থান জানার জন্য অত্যাধুনিক জিপিএস ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় সেনাও উন্নততর প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে।

    পরপর সংঘর্ষ

    শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নেরন্দ্র মোদি জঙ্গিদমনে আরও কড়া হুঁশিয়ারি দেন। ঠিক তার পরের দিনই উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Kupwara)। এর আগে গত ২৪ জুলাই লোলাব এলাকায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সেনার তরফে জানানো হয়, ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি এখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share