Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। এ বার ভোটগণনার পালা। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ। রাজ্যে বিভিন্ন দলের মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এ বারেও গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Counting Preparations) রাখছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনাকর্মী।   

    নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Counting Preparations) 

    কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    পোস্টাল ব্যালটের পর ইভিএমের ভোট গণনা 

    রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার জন্য মোট ৫৫টি কাউন্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৪১৮টি গণনাকক্ষে থাকছে ৪,৯৪৪টি টেবিল। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড ভোটগণনা হতে পারে। আর সবচেয়ে কম ৯ রাউন্ড। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ রাউন্ড করে ভোটগণনা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটদাতা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। আগে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গ‌োনার পর ইভিএমের মাধ্যমে পড়া ভোটের গণনা শুরু হবে।
    উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছু কিছু এলাকায় ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে। আর সেই আবহেই মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তাই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুম তৈরি করে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। চার পাশে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। শনিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের চাঁদঘর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ তিন জন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক  মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বারুইহুদা মনীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মলয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীর ওপর ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীদের রাগ ছিল। কারণ, বিজেপি না করার জন্য বলার পরও ভোটে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই বিজেপি কর্মীকে মাঝ রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। মারের চোটে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আরও একজন জখন হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, আচমকা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে তারা। ওরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এক প্রতিবেশী যুবতী বলেন, যেহেতু মলয় বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় কর্মী, সেই কারণে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়।  

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    বিজেপি প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তিনি বলেন, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত। তাই,  কাউন্টিং সেন্টারে যাতে আমাদের এজেন্টরা ঢুকতে ভয় পান, তারজন্য এসব সন্ত্রাস তৈরি করছে। এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিত আকারে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসিকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে শেষ দফা ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট (Re-Poll 2024) করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামে তৃণমূলের এক এজেন্টের নাম জড়ায়। পরে, তৃণমূলের ওই এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। কমিশনের নির্দেশ মেনে সোমবার দেগঙ্গার ৬১ নম্বরের ওই বুথ এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। দুটি বুথেই এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।

    ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, বিক্ষোভ (Re-Poll 2024)

    শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে (Re-Poll 2024) ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ ওঠে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সর্দারপাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন, দেগঙ্গায় বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেনস্থা

    সোমবার বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপাড়া এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। পুনরায় ভোট হচ্ছে মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম  দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে, ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু’টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথে ভোট শুরু হলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাসেম আলি। অভিযোগ নিয়ে তিনি যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর একদিন। তারপর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বালুরঘাটে (Balurghat) রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার ভোট পরবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন। সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে আসে যোগীর সুর। 

    ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব সুকান্ত মজুমদার

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি (Sukanta Majhumdar) বলেন, “গতকাল কালীগঞ্জ থানার চাঁদপুর এলাকার বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট, নদীয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীকে ধমকানো চমকানো, খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কারণ তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার এই গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনো নেতাকে ধরে বিজেপির ঝান্ডা পতাকা ধরলেও কিন্তু তারা বাচঁবেনা। উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট করা হবে। পুরো এনকাউন্টার হয়ে যাবে।” 
    অন্যদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ম্যাট্রিজ, সিএনএক্সের সমীক্ষায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar) বলেন, “আমি বুথ ফেরত সমক্ষায় খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমাদের এক্সিট পোল, বিজেপি কর্মীদের যে ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের উপর বিশ্বাস করে আমি বলতে পারি, আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবার পর একটা স্লোগান দিয়েছিলাম ‘এই বার পঁচিশ পার’। সেই স্লোগানটা আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাস করতে পারেনি। তখন দলের অবস্থা খারাপ ছিল। আজকে প্রায় আড়াই বছর পর এখন শুধু দল নয় প্রতিটি খবরের চ্যানেল বিশ্বাস করছে এইবার ২৫ পার। আমাদের টার্গেট ৩০। ৩০ পর্যন্ত যতক্ষণ না পৌঁছোচ্ছি আমাদের লড়াই চলবে। তিরিশে পৌঁছালে আমি ধরে নেবো যে আমরা জিতেছি। 

    আরও পড়ুন: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃতীয়বার মোদিজিই ক্ষমতায় 

    তৃতীয় মোদি সরকারের ইঙ্গিত, বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন এইটা নিয়ে কারোর দ্বিমত নেই। আমাদের বিরোধী পার্টির যারা লিডার তারাও জানে যে মোদিজি ক্ষমতায় আসবে্ন। সেই জন্য তো মমতা ব্যানার্জি এক তারিখের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেননা। কেন গেলেন না? কারণ উনিও জানেন মোদি আসছে। মোদির বিকল্প কিছু নেই। মোদিজি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার আরও একবারের জন্য  লাল কেল্লায় মোদিজির হাত ধরে পতাকা উঠবে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি-ই, রবিবার টানা সাতটি বৈঠকে যোগ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি-ই, রবিবার টানা সাতটি বৈঠকে যোগ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পর্ব শেষ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষে বিভিন্ন সমীক্ষার ফল বলছে তৃতীয় বারের জন্য দিল্লির মসনদে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-ই (PM Modi)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই যে ক্ষমতায় ফিরবে, সে বিষয়ে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই ভোট মিটতেই ২ জুন রবিবার ম্যারাথন বৈঠকে বসছেন তিনি। এদিন তিনি সব মিলিয়ে বৈঠক করবেন সাতটি। এর মধ্যে যেমন তাপপ্রবাহ এবং রেমাল ঘূর্ণঝড়-উত্তর পরিস্থিতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে একশো দিনের কাজের অ্যাজেন্ডার পর্যালোচনাও।

    আলোচ্যসূচি (PM Modi)

    রেমাল-উত্তর পরিস্থিতিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে। এর মধ্যে বানভাসি হয়েছে অসম। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে কিছু এলাকা। এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রথমে এই ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করবেন। তারপরের বৈঠকে আলোচ্য বিষয় তাপপ্রবাহ। দিল্লিতে এবার রেকর্ড গরম পড়েছে। তাপমাত্রার পারা ছাড়িয়েছে ৫২ ডিগ্রির চৌকাঠ। এর পরের বৈঠক হবে বৃহৎ পরিসরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে। তার পরে হবে একশো দিনের কাজের এজেন্ডা পর্যালোচনা। সব মিলিয়ে এদিনই তিনি করবেন সাতটি বৈঠক।

    রোডম্যাপের বৈঠক

    লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, নয়া সরকারের প্রথম একশো দিনে কী কাজ হবে। মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দু’টি রোডম্যাপ বানাতে হবে। একটি প্রথম একশো দিনের কাজ, আর দ্বিতীয়টি দীর্ঘ মেয়াদি রোডম্যাপ। প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকই বলে দিয়েছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রে ফেরাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায়ই তিনি বলেছিলেন, বিজেপি পাবে ৩৭০টি আসন। এনডিএর আসন মিলিয়ে পদ্ম পার্টির ঝুলিতে আসবে ৪০০টি আসন। বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোলেরও পূর্বাভাস, ৪০০ না হলেও, ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ-ই।

    আর পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রামকৃপাল

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে গোটা দেশ চষে বেড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রচার শেষ হতেই তিনি উড়ে গিয়েছিলেন দেশের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যকুমারিকায়। সেখানে ধ্যান মণ্ডপে টানা দু’দিন ধরে ধ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর ফেরেন দিল্লিতে। এনডিএ সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে ধরে নিয়েই রবিবার ম্যারাথন বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Kripal Yadav: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রামকৃপাল

    Ram Kripal Yadav: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রামকৃপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দুষ্কৃতীদের নিশানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাটলিপুত্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিদায়ী সদস্য রামকৃপাল যাদবের (Ram Kripal Yadav)  কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পাটলিপুত্রের মাসাউরি এলাকায়।

    বুথে গিয়ে মেটালেন ঝামেলা (Ram Kripal Yadav)

    জানা গিয়েছে, পয়লা জুন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আরও কয়েকটি আসনের সঙ্গে ভোট হয়েছে বিহারের পাটলিপুত্রেও। এই লোকসভা কেন্দ্রেরই একটি বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আরজেডি বিধায়ক রেখা পাশোয়ান। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বুথে ঝামেলা হচ্ছে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে চলে যান রামকৃপাল (Ram Kripal Yadav)। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পর কনভয় নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    মন্ত্রীর কনভয়ে গুলি

    মাসাউরি এলাকায় পৌঁছতেই তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে আটকে রেখে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। গুলি চালানোর খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এর পরেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। হামলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির আশ্বাস দেয়। তার পরেই ওঠে অবরোধ। পূর্ব পাটনার পুলিশ সুপার ভরত সোনি বলেন, “পাটনা-জোহানাবাদ রোডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    আর পড়ুন: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    রামকৃপালের বিরুদ্ধে বিজেপি-বিরোধীদের বাজি লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রাজ্যসভার সাংসদ মিশা ভারতী। আরজেডির প্রার্থী মিশার পিছনে রয়েছে কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, সিপিআই-এমএলের সমর্থন। তাতেও শেষ রক্ষে হবে কিনা, তা জানা যাবে ৪ জুন, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন। প্রসঙ্গত, বিহারের রাজনীতিতে লালু ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন রামকৃপাল। পরে তিনি নাম লেখান গেরুয়া খাতায়। ২০১৪ সাল থেকে তিনি পাটলিপুত্রের সাংসদ। এই দুই নির্বাচনেই তিনি (Ram Kripal Yadav) গোহারান হারিয়েছেন মিশাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সবে শেষ হয়েছে সাত দফার ভোট। আর শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় (Nadia) খুন (BJP worker Murder) হল বিজেপি কর্মী। মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখ (৩৫) কালীগঞ্জের চাঁদপুরের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে খুন করার পর হাফিজুলের মাথা নৃশংসভাবে কেটে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

    সিবিআই তদন্তের দাবি

    জানা গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুল কে খুন (BJP worker Murder) করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। খুনের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অনেক রাত পর্যন্ত দেহ আটকে রাখেন নিহতের আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ (BJP worker Murder)

    এ বিষয়ে মৃত হাফিজুল শেখের দাদা জয়েন উদ্দিন মোল্লা বলেন, “এর আগে আমরা সকলেই সিপিআইএম করতাম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিজেপিতে যোগদান করি। আর সেই কারণেই আমার ভাইকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।” তিনি বলেন, “আমার ভাই ক্যারাম খেলছিল। সকলের সামনেই দুষ্কৃতারা এসে আমার ভাইকে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। পরবর্তীকালে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা, এরপরে বোমাবাজি করে তারা।” এই ঘটনার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনিও। 

    আরও পড়ুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    ঘটনার তীব্র নিন্দা বিজেপির

    অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নদীয়া (Nadia) উত্তরের বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় হাফিজুল শেখ এবং তার দাদার নেতৃত্বে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বেড়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাফিজুল শেখ কে খুন (BJP worker Murder) করেছে। আর এই ঘটনায় রয়েছে পুলিশের মদত। আমরা অবিলম্বে যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” না হলে আগামী দিনে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবো বলে জানান তিনি। ফলে বিজেপি কর্মীর এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বলেই জানিয়েছেন অর্জুন বিশ্বাস। তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের ধারণা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা হয়েছে। তবে বর্তমানে আততায়ীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমৃতা রায়

    ঘটনার খবর পেয়ে মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। এই খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “হাফিজুল দুই মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে এটুকু শুনেছিলাম। কিন্তু তার যে এই পরিণতি হবে তা বুঝতে পারিনি। আমি শুনেছি পুলিশ আগের দিন রাতে এসে সব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। শুধুমাত্র একটা দোকান খোলা রাখতে বলেছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি সম্পূর্ণ জানাবো।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এক্সিট পোলে এনডিএ-র জয়জয়কার, দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    Lok Sabha Election 2024: এক্সিট পোলে এনডিএ-র জয়জয়কার, দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই শেষ হয়েছে সপ্তম দফার নির্বাচন। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়েছিল, তারপর থেকে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হল আজ। ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হতেই সামনে এসেছে বিভিন্ন এক্সিট পোলের সমীক্ষা। প্রতিটিতেই এনডিএ জোটের জয়জয়কার দেখা যাচ্ছে। এই আবহে ভোটারদের ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘ভারত ভোট দিল। যাঁরা নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁরা যে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, সেটা আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর।’’

    তুলোধনা ইন্ডি জোটকে 

    এরই সঙ্গে ইন্ডি জোটের নেতাদেরও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে এদিন তিনি ইন্ডি জোটকে সুবিধাবাদী বলে আক্রমণ শানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘তারা হল জাতপাতের রাজনীতির সমর্থক, সাম্প্রদায়িক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত।’’ মোদির আরও সংযোজন, ‘‘এই জোট দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করে। মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’

    ক্ষমতায় আসছে এনডিএ (Lok Sabha Election 2024)

    রিপাবলিক ভারত ও ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী (Lok Sabha Election 2024) এনডিএ পেতে পারে ৩৫৩-৩৬৮টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোট পেতে পারে ১৫৪টি কেন্দ্রের রাশ। বাকিদের ঝুলিতে যেতে পারে ৪৩-৪৮টি আসন। রিপাবলিক টিভি-পি মার্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, এনডিএ পেতে পারে ৩৫৯টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোট পেতে পারে ১৫৪টি আসন। ৩০টি আসন পেতে পারে অন্যরা। ম্যাট্রিজের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এনডিএ পাবে ৩৫৩-৩৬৮টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোটের দখলে যেতে পারে ১১৮-১৩৩টি আসনের রাশ।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    ‘জন কি বাতে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, এনডিএ পেতে পারে ৩৬২-৩৯২টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোট পেতে পারে ১২৫টি আসন। অন্যদের হাতে যেতে পারে ৪৭টি আসনের রাশ। বিজেপির নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই যে ফের বসতে চলেছেন দিল্লির মসনদে, তা জানিয়েছে এনডি টিভির সমীক্ষাও। তাদের দাবি, এনডিএ পাবে ৩৫০টি আসন। ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের দখলে যেতে পারে ১২৫-১৫০টি আসনের রাশ।

    সমীক্ষার ফল যা-ই বলুক না কেন, ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী ‘ইন্ডি’ জোট। এদিনই বৈঠক বসেছিল ‘ইন্ডি’ জোটের। এই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য উঠে আসছে তাতে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ২৯৫টি আসন পেতে চলেছে ইন্ডি জোট। এর চেয়ে কম হবে না, বরং বেশিই হবে।” রিপাবলিক পিএমএআরকিউয়ের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৩৫৯টি, ‘ইন্ডি’ জোটের দখলে যেতে পারে ১৫৪টি, অন্যরা পেতে পারে ৩০টি আসন।

    ইন্ডিয়া নিউজ-ডি ডাইনামিক্সের সমীক্ষায় দাবি, এনডিএ পাবে ৩৭১টি আসন, ‘ইন্ডি’ জোট পাবে ১২৫টি আসন, অন্যরা পাবে ৩০টি। স্কুল অফ পলিটিক্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এনডিএ পাবে ৩৬৭-৪০৩টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১২৯-১৬১টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৭-১৮টি আসন (Lok Sabha Election 2024)।

    দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা বলছে, এনডিএ পেতে পারে ২৮১-৩৫০টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১৪৫-২০১টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৩৩-৪৯টি আসন। টাইমস নাও-বুলস আইয়ের সমীক্ষায় প্রকাশ, এনডিএ পেতে পারে ৩৫৩-৩৬৮টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১১৮-১৩৩টি আসন, অন্যরা পেতে পারে ৪৩-৪৮টি আসন। নিউজ নেশনের সমীক্ষায় দাবি, এনডিএ পেতে পারে ৩৪০-৩৭৮টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১৫৩-১৬৯টি আসন, অন্যরা পেতে পারে ২১-২৩টি আসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন, ইঙ্গিত একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন, ইঙ্গিত একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা জুন, শনিবার শেষ হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হয়েছে ৫৪৩টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনও। গত মার্চ মাসে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই বিজেপি দাবি করেছিল, বাংলায় এবার আসন বাড়বে পদ্ম-পার্টির। বাংলায় যে এবার আরও বেশি কেন্দ্রে পদ্ম ফুটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    আইবি-র রিপোর্ট (Lok Sabha Election 2024)

    শেষ দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে তিনি বলেছিলেন, “দেশের মধ্যে পারফরমেন্সে এগিয়ে বঙ্গ বিজেপি।” যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দাবি, এবারও রাজ্যে ভালো করবে ঘাসফুল শিবির। ভোট কূশলী প্রশান্ত কিশোর অবশ্য দাবি করেছিলেন, বাংলায় এক নম্বর দল হবে বিজেপি। এদিকে, আইবি-র তরফে যে রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও বলা হয়েছে বিজেপি পেতে পারে ২৮-৩০টি আসন। তবে এ রাজ্যে ঠিক কারা এগিয়ে, পিছিয়েই বা কারা, কী বলছে এক্সিট পোল, আসুন (Lok Sabha Election 2024) জেনে নেওয়া যাক।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রকাশ, বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২৩-২৭টি আসন, তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৩-১৭টি আসন, বাম-কংগ্রেস পেতে পারে ১-৩টি আসন। ‘জন কি বাতে’র সমীক্ষা অনুযায়ী, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২১-২৬টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ১৬-১৮টি আসন, বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে যেতে পারে ৩টি আসন। নিউজ ১৮ মেগা এক্সিট পোলের সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেতে পারে ২১-২৪টি আসন।

    আর পড়ুন: তৃতীয় বার মোদি সরকার, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই, বলছে এক্সিট পোল

    রিপাবলিক ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্ম ফুটতে পারে ২১-২৫টি আসনে, আর ঘাসফুল মাথা তুলতে পারে ১৬-২০টি আসনে। রিপাবলিক পি এমএআরকিউয়ের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ২২টি আসন, তৃণমূল ২০টি। ইন্ডিয়া নিউজ-ডি ডাইনামিক্সের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পাবে ২১টি আসন, তৃণমূলের ঝুলিতে ১৯টি। এনডিটিভি ইন্ডিয়া-জন কি বাতের দাবি, বিজেপি পাবে ২১-২৬টি আসন, তৃণমূল ১৬-১৮টি। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, এ রাজ্যে বিজেপি পেতে পারে ৪২.৫ শতাংশ ভোট, তৃণমূল পেতে পারে ৪১.৫ শতাংশ ভোট, বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১৩.২ শতাংশ ভোট (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share