Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Nadia: বিজেপি করার অপরাধ! নদিয়ায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    Nadia: বিজেপি করার অপরাধ! নদিয়ায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। হামলার জেরে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কৃষ্ণনগরে (Nadia) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎ মাঝি নামে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মী। তাঁর বাড়ি কোতোয়ালি থানার বেলেডাঙার বিনয়পল্লি এলাকায়। দলীয় বৈঠক শেষ করে ওই বিজেপি কর্মী যখন বাড়ি যাচ্ছিলেন, তখন কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন গরুরহাটের কাছে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয় ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭৭নম্বর বুথের তৃণমূলের সদস্য সুবোধ দাস এবং তাঁর দলবল বিশ্বজিৎ মাঝিকে লোহার রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়। পরে, হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে জখম দলীয় কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে চান কৃষ্ণনগর উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    কৃষ্ণনগর (Nadia) উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র বিজেপি করার জন্যই এই ঘটনা। তবে, যেভাবে বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর দলবল। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ও জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যান। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আর্জি জানান। যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, নিজেদের মধ্যে কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে। এর পিছনে তৃণমূলের কোনও হাত নেই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: নিউ বারাকপুরের হিন্দু শরণার্থী সিএএ-তে নাগরিকত্ব পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে

    CAA: নিউ বারাকপুরের হিন্দু শরণার্থী সিএএ-তে নাগরিকত্ব পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উদ্বাস্তু বাংলাদেশী হিন্দুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ হয়। এরপর ২০২৪ সালে এই আইনের বাস্তবায়ন শুরু হয়। লোকসভা ভোটের মধ্যেই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের ভারত সরকার সিএএতে নাগরিকত্ব প্রদান করা শুরু করেছে। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থী উদ্বাস্তুদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এবার নাগরিকত্ব পেলেন নিউ বারাকপুরের বাসিন্দা।

    কেন বাংলাদেশ থেকে আসতে হয়েছিল (CAA)?

    নাগরিকত্ব পেয়ে হিন্দু যুবক বলেন, “আমি দেবপ্রসাদ গাইন, নিউ বারাকপুর লেনিনগড়ে থাকি। ২০০৫ সালে আমি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে চলে এসেছিলাম। ২০০৪ সালে তৎকালীন বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বে একটি সরকার ক্ষমতায় আসে। এই সরকার এসে দেশে ব্যাপক হিংসা শুরু করে। নির্বিচারে শুরু হয় হিন্দু নিধন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হিন্দুদেরকে ফাঁসিয়ে অত্যাচার করা হত। নিজের জন্ম ভিটায় ছিল না নিজের ধর্মপালনের অধিকার। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের চরমপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হত। তাই আমি দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু পালিয়ে আসার পরও আমাদের সুখ ছিল না। সবসময় মনে হতো এই বুঝি ভারতের পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে চলে যাবে। এই বুঝি আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এই রকম দিনের পর দিন ২০ বছর ধরে আমরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) মাধ্যমে আমাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই।”

    আরও পড়ুনঃ “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    নাগরিকত্ব পাওয়ার পর কী বললেন?

    নাগরিকত্ব পেয়ে এই হিন্দু যুবক আরও বলেন, “ভারত সরকার আমাদের জন্য একটা সুন্দর ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা হল সিএএ (CAA)। এর মাধ্যমে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সিদের জন্য নাগরিকত্বের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই পাঁচটি ধর্মের মানুষ, যাঁরা কেবলমাত্র ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশ বাংলদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কটের জন্য ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আমরা ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছি। রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে নদীতে সাঁতার কেটে সীমান্ত পার হয়ে এই পশ্চিমবঙ্গে এসেছি। সেই দিন কিছুটা মুক্তি পেলেও আজ নাগরিকত্ব পেয়ে সম্মান ফিরে পেলাম। তবে অনেকে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। আদতে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হবে না। সিএএতে আমি আবেদন করেছি কিন্তু আমার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড বাতিল হয়নি। আমরা এবার সরকারি মান্যতায় নাগরিকত্ব পেয়েছি। সব কাগজপত্র ঠিক থাকবে, শুধু অতিরিক্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় সনদপত্র পাওয়া যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naveen Patnaik: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতিতে আমলার হাত! মারাত্মক অভিযোগ মোদির

    Naveen Patnaik: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতিতে আমলার হাত! মারাত্মক অভিযোগ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় ভোট প্রচারে গিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের স্বাস্থ্য (PM Modi on Naveen Patnaik) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতির পিছনে অন্তর্ঘাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ছবিতে দেখা গেছে তাঁর হাত ভয়ংকরভাবে কাঁপছে, তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি অস্বীকার করে নবীন পট্টনায়ক বলেন, “বিগত ১০ বছর ধরে বিজেপি আমার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করছে। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট ঘিরে তোলপাড়

    প্রসঙ্গত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সামাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায় বক্তব্য রাখার সময় উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীর হাত কাঁপছে। বিষয়টি লক্ষ্য করে বিজেপি নেতা প্রাক্তন আমলা ভি কার্তিয়ান পান্ডিয়ান তার হাত সরিয়ে ক্যামেরা থেকে আড়াল করে দিচ্ছেন। সামাজ মাধ্যমে হিমন্ত বিশ্বশর্মা লেখেন, “খুবই বেদনাদায়ক ভিডিও। এখন ভিকে পান্ডিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর হাতের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করছেন। ভেবে অবাক লাগছে কীভাবে একজন প্রাক্তন আমলা যিনি তামিলনাডু থেকে এসেছেন, তিনি উড়িষ্যার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিষয়টি উদ্বেগ জনক। বিজেপি উড়িষ্যার মানুষের ভাগ্য সেই রাজ্যের মানুষের হাতেই রাখতে বদ্ধপরিকর।”

    ভিকে পান্ডিয়ানের দিকে অভিযোগের তীর

    ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর প্রাক্তন আমলা ভিকে পান্ডিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। বিজেডি নেতাদের একাংশের অভিযোগ আমলার সঙ্গে বিজেডি নেতাদের দূরত্ব সৃষ্টি চেষ্টা সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক। প্রসঙ্গত এর আগেও ওড়িশায় প্রচারে গিয়ে পান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় দখলের অভিযোগ করেছিলেন মোদি। এবারও বিজেপির সভা থেকে পান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিবেকানন্দ রক সম্পর্কে

    প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “নবীন বাবুর শুভাকাঙ্ক্ষীরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গত এক বছর ধরে তার স্বাস্থ্যের ক্রবাগত অবনতি হয়ে চলেছে। বর্তমানে তিনি নিজে কিছুই করতে পারছেন না। নবীন বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতির পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তার খতিয়ে দেখবে। নবীন বাবুর নামে ওড়িশায় পর্দার আড়ালে থেকে ক্ষমতা ভোগ করা গোষ্ঠীর কোন হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।”

    নবীনের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ (PM Modi on Naveen Patnaik)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে, নবীন পট্টনায়কের কাছের লোকেরা যখনই আমার সাথে দেখা করে, তাঁরা অবশ্যই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করে। তাঁরা আমাকে বলে যে নবীন বাবু আর নিজের থেকে কিছু করতে সক্ষম নন।  একটি “লবি” যেটি পট্টনায়কের নামে ওড়িশা সরকার পরিচালনা করছিল, তাঁরা স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী কিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেন মোদি। ওড়িশার বারিপোডায় একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi on Naveen Patnaik) বলেছেন যে বিজেডি সুপ্রিমোর “স্বাস্থ্যের অবনতি” এর পিছনে একটি ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল চোর আর হাজি নুরুল দাঙ্গাবাজ”, সপ্তম দফার ভোটপ্রচারে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল চোর আর হাজি নুরুল দাঙ্গাবাজ”, সপ্তম দফার ভোটপ্রচারে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সপ্তদফার নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে বসিরহাটে নির্বাচনী প্রচার সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের তৃণমূল শাসনে ভোট লুট, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন সহ একাধিক বিষয়ে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল চোর আর হাজি নুরুল দাঙ্গাবাজ”। লোকসভার আগে থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিশানা করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    বসিরহাটে লোকসভার ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভাইপো হেলিকপ্টারে এসে সভা করে গিয়েছেন এই মাঠে, তাই আর কেউ সভা করতে পারবে না। মামার বাড়ির আবদার! রাজা প্রতাপাতিদ্যের বংশধর মনে করছিলেন নিজেকে। এমনটা ভেবে ছিলেন কিন্তু বাস্তবে হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিজেপির সভা হয়েছে। অর্জুনের লক্ষ্য ভেদ করতে হবে। সকলে ভোট দিতে পারবেন। তৃণমূলের দিন শেষ। দেগঙ্গায় অশান্তির মূলের হাজি নুরুল। এই এলাকার এক নেতা জেলের ভিতরে আছেন। পুলিশের গাড়িতে কান্না করছিলেন। হাজার হাজার মানুষকে কাঁদিয়েছেন। তিনি আবার বলেছিলেন বসিরহাট জেতার জন্য নাকি তাঁকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। নদীর ওপারে আছেন আরেক ছোট ভাই। শওকত মোল্লা, তিনিও ব্যাগ গোছাচ্ছেন যাবেন জেলে। মাঠে কেউ নেই, আছে মাত্র পুলিশ। আজ রাতে যদি কোনও গ্রামে রাতে পুলিশ ঢুকলে, শঙ্খ বাজাবেন মায়েরা। যুবকরা বাঁশি বাজাবেন। তৃণমূল মুখে আওয়াজ করবে কিন্তু টাচ্‌ করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুনঃ মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ভোট প্রচারে বলেন, “আগে ভোট দিয়ে তারপর ভোট প্রদান করবেন। বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে। আমার নম্বর দেওয়া আছে। হোয়াটস্যাপে কল করবেন। ছবি ভিডিও পাঠাবেন। বুথ নম্বর, থানা উল্লেখ করে নাম ফোন নম্বর দিয়ে আমাকে মেসেজ করবেন। সকলকে একসঙ্গে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে। পোলিং এজেন্টের বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে ভোট দিতে হবে। বিশ্বাসযোগ্য লোক ছাড়া কেউ যেন নাম জানতে না পারেন। আইপ্যাকের চোরেরা টাকার অফার করতে পারে। আবার পুলিশ জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখতে পারে। তাই সকলকে সাবধানে থাকতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: ভোট ঘোষণার পরে ৭৫ দিনে ১৮০ কর্মসূচি, কোন রাজ্যে ক’টি জনসভা করেছেন মোদি?

    PM Modi News: ভোট ঘোষণার পরে ৭৫ দিনে ১৮০ কর্মসূচি, কোন রাজ্যে ক’টি জনসভা করেছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষের দিকে। আগামী ১ জুন রয়েছে সপ্তম দফার ভোট। তারপরেই শেষ হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। গণনা ৪ জুন। এরই মধ্যে অন্তিম দফার প্রচার-পর্ব শেষে বৃহস্পতিবার, ৩০ মে সন্ধ্যায় কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১ জুন পর্যন্ত ধ্যানরত থাকবেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসের ১৬ তারিখে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা করে কমিশন। তারপর থেকেই দেশে ম্যারাথন প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News), যা শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছে, প্রধানমন্ত্রী অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে মিছিল, জনসভা রোড শো মিলিয়ে ৭৫ দিনে ১৮০টি প্রচারের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তবে এরমধ্যে ৫৭ দিনই তিনি প্রচারের কাজে অংশ নিয়েছেন।

    সব থেকে বেশি জনসভা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রে

    প্রতিদিন গড়ে তিনি তিনটি করে কর্মসূচিতে হাজির থেকেছেন। এমনও দিন ছিল যেদিন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi News) পাঁচটি করে জনসভা করতে হয়েছে। আবার চারটি করে জনসভা করেছেন এমন দিনের সংখ্যা ২২। প্রচারে তিনি উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারত চষে বেরিয়েছেন। সারা দেশের মধ্যে চারটি রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী সব থেকে বেশি সময় দিয়েছেন এবং এগুলি হল উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, দেশের সবথেকে বেশি লোকসভার আসন রয়েছে উত্তর প্রদেশে। এবং সেই সংখ্যা ৮০। ২০১৯ সালে এনডিএ উত্তর প্রদেশে ৬৪টি আসন জিতেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারেও অনেকটা সময় দিয়েছেন এবং এখানে ২০টি জনসভা করেছেন। মহারাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সংখ্যা ১৯টি ও পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি।

    পশ্চিমবঙ্গে জনজোয়ার মোদির সভাগুলিতে 

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনায় বারবার উঠে আসছে, পশ্চিমবঙ্গের নাম। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News) রোড শো সমেত ১৮টি নির্বাচনী জনসভা করেছেন এখানে। তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ থেকে গতবারের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয় পায় বিজেপি। এই সংখ্যা এবার বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শেষ দফার প্রচারে উত্তর কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর রোড শোতে জনজোয়ার শুরু হয়। কাতারে কাতারে মানুষ দুপাশে হাজির হন প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখতে। একই চিত্র দেখা গিয়েছে বিহার এবং মুম্বইতেও।

    দক্ষিণ ভারতে ৩৫ সভা

    দক্ষিণ ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News)  নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট জোর দিয়েছেন। দক্ষিণ ভারতের ৫ রাজ্যে ৩৫টি নির্বাচনী জনসভা করেছেন তিনি। যার মধ্যে কর্নাটকে ১১টি, তেলেঙ্গনায় ১১টি, তামিলনাড়ুতে ৭টি জনসভা করেছেন তিনি। ওড়িশায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভার সংখ্যা ১০। মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী দশটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী সাতটি জনসভা করেছেন। রাজস্থানে পাঁচটি ও ছত্তিশগড়ে চারটি জনসভা নরেন্দ্র মোদি করেছেন।

    নিজের রাজ্য গুজরাটে ৫টি সভা 

    অন্যদিকে তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। পাশের পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News) সমাবেশ করেছেন চারটি। দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে প্রধানমন্ত্রী দুটি করে জনসভাতে অংশ নিয়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রধানমন্ত্রী দুটি জনসভা করেছেন এবং জম্মু-কাশ্মীরে একটি সমাবেশ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করতে সরকারি প্রকল্পে ফর্ম ফিলআপ করাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর সেই নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে আইপ্যাকের কাছে। রাজ্যে সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ইতিমধ্যে রাজ্যে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে নারী নির্যাতন নিয়ে তৃণমূল সরকার চাপের মধ্যে রয়েছে। বিজেপি নেতার এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “মহিলাদের তৃণমূল কুপ্রস্তাব যে দেবে না তার কী নিশ্চয়তা? দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে সরকারি প্রকল্পে ফর্ম ফিলাপের নামে মহিলাদের ফোন নম্বর এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কাজ করছে তৃণমূল। এই তথ্য এরপর তুলে দেওয়া হবে আইপ্যাকের কাছে। এই নম্বর এবং তথ্যকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের জনমতকে প্রভাবিত করবে তৃণমূল। তথ্যপাচারের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূল।”

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) একই ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এই ভাবে এলাকায় এলাকায় মহিলাদের নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণের কাজে লিপ্ত হবে না তো তৃণমূল? সন্দেশখালিতে যেমন মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছিল, এমন ঘটনা ঘটবে নাতো? আমার মনে হয় এইরকম ঘটনার ছক করছে তৃণমূল। আমাদের বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য তৃণমূলের চোরেরা প্রকাশ করে সম্ভ্রমহানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল নেতা দেবাশু এই কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল সরকারের তথ্য তৃণমূল নেতার কাছে কীভাবে পৌঁছাল।

    প্রধানমন্ত্রী নিশান করেছেন তৃণমূলকে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী কিন্তু তারপরেও জেলায় জেলায় নারী দর্শন, খুন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনায় বিজেপি বার বার সরব হয়েছে। সন্দেশখালির মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এই অভিযোগে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে একাধিক সময়ে। রাজ্যে মা-বোনদের নিরাপত্তা সুরক্ষা নিয়ে বুধবার কাকদ্বীপের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিশানা করেছেন তৃণমূল সরকারকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন”, নাম না করে স্বপনকে হুমকি কাকলির

    BJP: “মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন”, নাম না করে স্বপনকে হুমকি কাকলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানকার মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন। নাম না করে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আগামী ১ জুন শেষ দফার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রচারে এসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালির ইস্যু নিয়ে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। পাল্টা মমতাও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। এরপর একধাপ এগিয়ে উস্কানি মূলক ভাষণদেন কাকালি।

    ঠিক কী বললেন কাকলি (Lok Sabha Election 2024)?

    রাজ্যে ভোট (Lok Sabha Election 2024) আবহে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন প্রচার যখন জমজমাট, ঠিক সেই সময়ে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে উস্কানি মূলক মন্তব্য করেন। তিনি বিধাননগরে ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেন, “এখানকার মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন।” সেই সঙ্গে একাধিক ইস্যু যেমন-দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থীর এই উক্তিতে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তিনি পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “যাঁরা চুরি করেছে তাঁরাই ঝাঁটার বাড়ি খাবে। তৃণমূল প্রার্থী মূলত প্রচারে নেই। নিজে ভোটে (Lok Sabha Election 2024) হারবেন বলেই এই ধরনের কথা বলছেন। এটা উস্কানি এবং হিংসা ছড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। আগামী ৪ জুন বোঝা যাবে মানুষ ঠিক কাকে চান।”

    আরও পড়ুনঃ “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

    আগেও হুমকির নিদান তৃণমূলের

    উল্লেখ্য আগেও একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট(Lok Sabha Election 2024) চাইতে গেলে উস্কানি মূলক মন্তব্য করে বির্তকে জড়িয়েছেন। গত বিধানসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নিদান দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার এই লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া প্রার্থী সুভাষ সরকারকে গাছে বেঁধে রাখার উস্কানি মূলক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

    Sandeshkhali: “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গ্রামের গৃহবধূ। ভোটের মরশুমে তৃণমূল কিছু ভূয়ো ভিডিও প্রকাশ করায় এলাকার মহিলারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গ্রামের মহিলাদের দাবি, অত্যাচারের কথা মিথ্যা নয়, আমাদের কণ্ঠস্বরের উপর অন্যের কণ্ঠস্বর বাসনো হয়েছে। ইতি মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালিতে মা-বোনদের উপর অত্যাচারের কথা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করেছেন। এক বেসরকারি সাংবাদ মাধ্যমকে অত্যাচারের শিকার এক বধূ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন।

    কী বললেন গৃহবধূ (Sandeshkhali)?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই বধূ নিজের ঘরের ভিতরে জানালার ভিতর থেকে বলেন, “ভয়ের মধ্যে রয়েছি। এখন তৃণমূল বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। গুন্ডাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। ভোটের মধ্যে এসে বলছে সরকারি সুবিধা দেবো। ঘর দেবে, কাজের টাকা দেবে ইত্যাদির প্রলোভন দিচ্ছে। শেখ শাহজাহান না থাকলে কী হবে, তার থেকেও বড় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। আমার স্বামীকে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে। একটা দুটো নয় পাঁচ পাঁচটা কেস দিয়েছে। এখন ভোটের অপেক্ষায় আছি। আমাদের লড়াই চোখের জলের লড়াই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা ডেকেছিলাম, তিনি নিজে এসে আমাদের কথা শোনেননি। তাঁর নির্দেশে এই এলাকায় তৃণমূল অত্যাচার করেছে। তিনি এবার বলেছেন জিতলে আসবেন। কিন্তু যখন আমাদের দরকার তখন তিনি আসেননি।”

    আরও পড়ুনঃ ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    আর কী বললেন বধূ?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অত্যচারের শিকার এই গ্রামের বধূ আরও বলেন, “একটা সময়ে অনেকেই তৃণমূল করত এলাকায়, তৃণমূল বাহিনীর দৌরাত্ম্য আমারা দেখেছি। করোনা ভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর তৃণমূল। উত্তম-শিবুদের ভয়ে মানুষ ভয়ে ভয়ে থাকতেন। যখন তখন বাড়ির (Sandeshkhali) মহিলাদের ডেকে নিয়ে যেত ওরা। থানায় গেলে পুলিশ বলত দাদার কাছে যান, অনেক মানুষকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। রাজ্যের পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা কোনও দিন ভোট দিতে পারিনি। গত বিধানসভা ভোটের সময় আমরা বাড়ি থেকে অন্যত্র লুকিয়ে ছিলাম। ওরা বলত দাদা ডাকালেই যেতে হবে, যখন ইচ্ছে তখন তুলে নিয়ে যেত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে একই দিনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সভা, শুভেন্দুর সভাকে বাতিল করল প্রশাসন

    Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে একই দিনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সভা, শুভেন্দুর সভাকে বাতিল করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সপ্তম দফা ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। আগামী ১ জুলাই শেষ পর্বের ভোট গ্রহণ হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনে আশোকনগর, যাদবপুর, কাকদ্বীপে তিনটি জনসভা এবং কোলকাতায় একটি রোডশো করেছেন। তাঁর ভোটের প্রচার ছিল দারুণ জমজমাট। এই প্রচারের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাঙড়ে একটি সভা করার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সেই সভাকে অনুমতি দিল না প্রশাসন। ঘটনায় প্রশাসন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    ভাঙড়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল করায় বিজেপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে এই সভাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা যে স্থানীয় তৃণমূল নেতার একই দিনে সভা রয়েছে। তাই সেই জন্য বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গভীর চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। ভাঙড়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সভা করলে মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে, আর তাই শাসক দলের মনে বিজেপিকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে সভা স্থগিত হলেও নির্ধারিত সময়ে সভাস্থলে শুভেন্দু যাবেন এবং এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    আরও পড়ুনঃ “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইন শৃঙ্খলার সমস্যা

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। ৫ জন মানুষের রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। একাধিক সময়ে বোমা, গুলি, বন্দুকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একটি খুনের মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার একাধিক পুলিশ আধিকারিকদের বদল হয়েছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে সভায় অনুমতি না দেওয়ার পিছনে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের বাজারে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভার নির্বাচন। এর মধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের দ্বারা আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি কর্মী। এইবার আক্রমণের শিকার হলেন, আরামবাগের (Arambagh) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির সংখ্যালঘু বুথ সভাপতি। মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীরা রাতে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া দেয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে আক্রান্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Arambagh)?

    হুগলিতে (Arambagh) বিজেপির আক্রান্ত সংখ্যালঘু বুথ সভাপতির নাম হল মইউদ্দিন মল্লিক। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনের দিনে বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলাম। আর ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকে আমাকে অনেকবার হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। এরপর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” এই ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়ে বিজেপির প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “হারের ভয়ে তৃণমূল এই আচরণ করছে। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের জনমত ভোটে প্রকাশ পাবে।”

    আরও পড়ুনঃ সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, গুলি-বোমার আঘাতে আহত এক ব্যক্তি!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই প্রেক্ষিতে আরমাবাগের (Arambagh) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের বিষয়কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা শেখ মহম্মদ বলেন, “শুনেছি এই হামলার কথা। মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপির অপর আরেক এজেন্ট। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে এই সমস্ত করছে দুষ্কৃতীরা। তবে তৃণমূলের কেউ এই কাজে যুক্ত নয়।”  

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ও বুধবারে নির্বাচনী প্রচার করেন রাজ্যে। অপর দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ভোটের প্রচার করেন। শেষ দফা প্রচারে নির্বাচনী প্রচার রাজ্যে জমে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share