Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Lok Sabha Election 2024: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফল পছন্দ না হলে ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা। তবে সবাই নন, কেবল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) কাছে এই আবেদন করতে পারবেন। গণনা শেষের সাত দিনের মধ্যেই আবেদন জানাতে হবে ক্রস-ভেরিফিকেশনের। এজন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও অভিযোগের বয়ান জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ইভিএমে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আবেদনকারীকে ফেরত দেওয়া হবে তাঁর জমা দেওয়া টাকা। কমিশনের এহেন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া শাসক-বিরোধী সব শিবিরেই।

    ইভিএম পরীক্ষার সুযোগ (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024) সূত্রে খবর, ফল ঘোষণার পর আবেদন করলে ইভিএমের মাইক্রো-কন্ট্রোলারের (যার মাধ্যমে ভিভিপ্যাট স্লিপ মেলে) বার্নট মেমরি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন পরাজিত প্রার্থীরা। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবেন ইভিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা ইসিআইএলের ইঞ্জিনিয়ররা। জানা গিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ শতাংশ বুথে এই পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনও একটি ইভিএমে কোন প্রতীকের পাশের বোতাম কতবার টেপা হয়েছে, ভিভিপ্যাটে তার ক’বার প্রতিফলন ঘটেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখবেন মেশিন প্রস্তুতকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ররা।

    ইভিএমে কারচুপি সম্ভব নয়

    কমিশন জানিয়েছে, ভোট গণনায় জড়িত আধিকারিকদের কর্মশালায় বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নির্দেশিকা জারি করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, “নির্দেশিকা প্রকাশের জন্য এখনও অনেক সময় রয়েছে।” প্রসঙ্গত, ইভিএমের ক্ষেত্রে সেমি-কন্ডাক্টর যন্ত্রটি পরীক্ষা করলেই বোঝা যায়, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে কিনা। নির্বাচন কমিশন বারংবার দাবি করেছে, ইভিএমে কোনওভাবেই কারচুপি করা সম্ভব নয়। কিন্তু ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    আর পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    এঁদেরই কেউ কেউ আবার ব্যালট পেপারের যুগে ফিরে যাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন নানা সময়। তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ব্যালটে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একাধিকবার। বিরোধীদের এই সব অভিযোগে সন্দেহ দানা বাঁধতে পারে ভোটারদের মনেও। হেরো প্রার্থীর পাশাপাশি ভোটারদের মনে জন্ম নেওয়া সেই সন্দেহ নিরসনেরই ইভিএম পরীক্ষা করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কমিশনের (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election 2024) প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। আর ভোটের এই আবহে বাকি পাঁচ দফার মত এবার ষষ্ঠ দফায় দেশ জুড়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যে বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওডিশার ৬টি, উত্তর প্রদেশের ১৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়েছে। 
    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে সারা দেশ জুড়ে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৮টি আসনে ভোট (Lok Sabha election 2024) দানের হার ৬৩.৩৭ শতাংশ। ষষ্ঠ দফায় ১১,১৩,১৬,৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৭,০৫,৪৪,৯৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ ভোটারদের হার ৬১.৯৫ শতাংশ, মহিলা ভোটারদের হার ৬৪.৯৫ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটের হার ১৮.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

    রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল? 

    তবে শুধু ভোট দানের হারই নয় একইসঙ্গে কোন কেন্দ্রে কত ভোট (Lok Sabha election 2024) পড়েছে, রবিবার সে তথ্যও প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের আট কেন্দ্রে ভোট পড়ার গড় হার ৮২.৭১ শতাংশ। এবার আট কেন্দ্রের মধ্যে শীর্ষে বিষ্ণুপুর। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৫.৯১ শতাংশ। বিষ্ণুপুরের পরেই আছে তমলুক। সেখানে ভোটের হার ৮৪.৭৯ শতাংশ। কাঁথির ভোটের হার ৮৪.৭৭ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে এবার ৮৩.৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.১৭ শতাংশ। মেদিনীপুরে ভোটের হার ৮১.৫৬ শতাংশ। বাঁকুড়ায় ভোটের হার ৮০.৭৫ শতাংশ। তবে পুরুলিয়ায় ভোটের হার সর্বনিম্ন। সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৭৮.৩৯ শতাংশ।   

    দেশের কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল? (Lok Sabha election 2024)

    অন্যদিকে কমিশনের (Election Commission) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে রেকর্ড ভোট পড়েছে। সেখানে ভোটের হার ৫৮.৬৯ শতাংশ। হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬৪.৮০ শতাংশ৷ ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে যথাক্রমে ৭৪.৪৫ শতাংশ এবং ৬৫.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।  
    কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ষষ্ঠ দফায় পুরুষদের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমন বিহারে মহিলা ভোটারের হার ৬২.৯৫ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটারের হার ৫১.৯৫ শতাংশ। একইভাবে উত্তর প্রদেশে মহিলা ভোটারের হার ৫১.৩১ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৫৭.১২ শতাংশ। বিহার, উত্তর প্রদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের ছবিও এক। এ রাজ্যে মহিলা ভোটারের হার ৮৩.৮৩ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৮১.৬২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    তবে কমিশন তার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে যে, এই ভোটদানের হারের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্ভুক্ত নয়। চূড়ান্ত ভোটদানের ফলাফল ৪ জুন পোস্টাল ব্যালট গণনা এবং মোট ভোট (Lok Sabha election 2024) গণনার সাথে যুক্ত হওয়ার পরে জানা যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, চলল গুলি-বোমা, আহত এক

    Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, চলল গুলি-বোমা, আহত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সপ্তমদফা লোকসভা নির্বাচন জমে উঠেছে কিন্তু এর মধ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তির খবর উঠে এসেছে। ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর (Lok Sabha Election 2024)। এলাকার গড়দেওয়ান গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকেই চলছে একালায় পুলিশের টহল। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার। আবার একেবারে যেন সিনেমার দৃশ্য! তখনও স্কুটিতে যুবক। এক যুবক গুলি বিদ্ধ না হলেও পিঠ এবং বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আর্তনাদ চিৎকার শুনতে পেয়েছেন পথ চলতি মানুষ। ঘটনা ঘটেছে নদিয়াতে। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। 

    জয়নগরে গুলি (Lok Sabha Election 2024)!

    জানা গিয়েছে, গড়দেওয়ান পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তপন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি মোড়ে বসে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) ভোটার স্লিপ গোছানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। অল্পের জন্য গুলি লাগেনি গায়ে। গুলির শব্দ শুনে দোকানে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ধাওয়া করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমার ঘায়ে গুরুতর যখম হন তিনি। বোমা-গুলির শব্দে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন, এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

    বুকের পাশ ছুঁয়ে যায় গুলি (Lok Sabha Election 2024)

    জানা গিয়েছে নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অজয় মাহাতো। বাড়ি কল্যাণী থানার চরজাজিরা এলাকায়। তিনি বলেন, “আমি স্কুটি করে যাচ্ছিলাম, আচমকা পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলি বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কে মারল কিছুই বুঝতে পারিনি। কেন মারল তাও আমরা বুঝতে পারছি না। ওরা কতজন ছিল তাও বুঝতে পারছি না। সবটাই পিছন থেকে করেছে।” কিন্তু রাজ্যে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবাহে কারা এই ভাবে গুলি করল তা নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারলাম না। এরপর তাঁকে স্থানীয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    ১ জুন সপ্তম দফা ভোট

    রাজ্যে আগামী ১ জুন সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024)। রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল এই জেলায়। একাধিক বার শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, কোন্দল, ঝগড়া, হত্যা ইত্যাদি ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এখন শেষ দফা লোকসভা নির্বাচনে কমিশন কী ভূমিকা পালন করে তাই  দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: অর্জুনের আশঙ্কাই সত্যি হল! ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি

    Lok Sabha Election 2024: অর্জুনের আশঙ্কাই সত্যি হল! ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল গন্ডগোল করতে পারে, এমনই আশঙ্কা করে কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তাঁর আশঙ্কা প্রকাশ করার মধ্যে গণনার ঠিক আগেই ফের ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতার বাড়ি সামনে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Lok Sabha Election 2024)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট মিটলেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার আগেই নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে ভাটপাড়ায়। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি উমাশঙ্কর সিংয়ের বাড়ির সামনে মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আটচালা বাগান রোড এলাকায় গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমি দোকানে বসেছিলাম। আচমকা বোমাবাজির আওয়াজ শুনে ছুটে আসি। ঘটনাস্থলে এসে দেখি রাস্তায় ধোঁয়া হয়ে রয়েছে। বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে চলে গিয়েছে।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ভয়েস মেসেজ করে অর্জুন সিংকে গুলি করে খুন করার হমকি দেওয়া হয়। এনিয়ে পুলিশ কমিশনারেটের পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    বোমাবাজি করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল

    বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই মানুষকে ভয় দেখাতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা নানান পন্থা অবলম্বন করছে। বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। আর এলাকায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ফলে, কারা বোমাবাজি করেছে তা পরিষ্কার। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব আপনারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করুন, না হলে এর পাল্টা প্রতিরোধ তৈরি হলে তখন সামাল দিতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সপ্তম দফা ভোটের আগে বাংলায় শেষ সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন মোদি। সেই সভায় বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মথুরাপুরের অশোক পুরকাইত, জয়নগরের অশোক কান্ডারি এবং ডায়মন্ড হারবারের অভিজিৎ দাস উপস্থিত ছিলেন।

    তৃণমূলের একটাই অস্ত্র এটা হতে দেবো না‘ (Narendra Modi)

    তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ কে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, “তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ বাংলাকে উল্টো দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির প্রতি বাংলার ভালবাসা তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। সেই জন্য ওরা ক্ষেপে গিয়েছে। কী সব বলে। বাংলার প্রতি তৃণমূলের ঘৃণা দেখতে পাওয়া যায়। ওদের কাছে একটাই অস্ত্র – ‘এটা হতে দেবো না’। উন্নয়নের জন্য মোদি যা করে, তৃণমূল হতে দেব না বলে বাধা দেয়।

    বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চায় তৃণমূলের

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘আমরা সত্তরোর্ধ্বদের জন্য আয়ুষ্মান প্রকল্প এনেছি। কিন্তু তৃণমূল বলছে, ‘‘বাংলায় এটা হতে দেবো না’। কেন্দ্র সরকার মৎস্যজীবীদের এত যোজনা চালাচ্ছে। কত টাকা দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূল সেই সব যোজনা হতে দেয়নি। তৃণমূলের মানুষের জন্য কোনও সহানুভূতি নেই। শুধু তোলাবাজ এবং কাটমানি নিয়েই ওদের যত ভাবনা। এই তৃণমূলকে কি সাজা দেবেন না? মথুরাপুরে নদী কাটা বন্ধ করতে কেন্দ্র টাকা পাঠায়। তৃণমূল সেই টাকা খেয়ে নিয়েছে। তৃণমূল সব কাজে কাটমানি চায়। বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চাই ওদের।’’

    মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দিচ্ছে তৃণমূল

    এদিনের সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে। এমন দল বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে না। তুষ্টিকরণের জন্য সংবিধানের ওপরও হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। আমাদের সংবিধান দলিতদের সংরক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু, বাংলায় তার লুট হয়েছে। মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।”

    তৃণমূল বাংলার অস্তিত্ব নষ্ট করতে চায়

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল মঠ এবং সন্তদের অপমান করে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানের সন্তদের অপমান করে গালিগালাজ দেই। তৃণমূলের গুণ্ডা এই সব মঠে হামলা চালাচ্ছে। মোদি আরও বলেন, “ভারত বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতি থেকে তৃতীয় বড় অর্থনীতি হতে চলেছে। বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলা হওয়ার প্রয়োজন। চার জুন থেকেই বিকশিত ভারত নির্মাণ হবে। এই জন্য বাংলা থেকে বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে হবে। এই জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।”

    এই নির্বাচন আলাদা!

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই নির্বাচনে বাংলায় এটা আমার শেষ সভা। এরপর আমি ওড়িশা, পঞ্জাবে চলে যাব। আমার শেষ সভায় এই পবিত্র মাটিতে আসার সুযোগ পেয়েছি। এই নির্বাচন আলাদা এবং অদ্ভুত। মানুষ ১০ বছরের উন্নতি এবং ৬০ বছরে দুর্দশা দেখেছে। ভারতে অনাহারের ছিল। যে দেশ আমাদের থেকে ছোট ছিল, তারা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের কাছে যুব সম্প্রদায় এবং এত বুদ্ধিমত্তা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সারা বিশ্বে ভারতের গুণগান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ১৯০০টি কিউআরটি মোতায়েন করা হবে, বলে জানাল কমিশন। আগামী ১ জুন শনিবার সারা দেশে শেষ তথা সপ্তম দফা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। ষষ্ঠ দফার ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে কুইক রেসপন্স টিমের দেখা মেলেনি এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তাই শেষ দফায় বাড়ানো হল সংখ্যা।

    কোথায় কত বাহিনী

    শনিবার, ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে। তালিকায় রয়েছে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক স্পর্শকাতর বুথ। তাই সপ্তম দফার ভোট সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সতর্ক নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ১৯০০টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে সপ্তম দফায়। এর মধ্যে কলকাতাতেই থাকবে মোট ৬০০টি  কিউআরটি। ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে কলকাতায় মোতায়েন করা হবে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাসাতে থাকবে ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাকপুরে মোতায়েন করা হবে ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বারুইপুরে থাকবে ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ছাড়াও সন্দেশখালির যে লোকসভার অন্তর্গত, সেই বসিরহাটে থাকবে ১১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিধাননগর কমিশনারেটে মোতায়েন করা হবে ৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ডায়মন্ড হারবারে রাখা হবে ১১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সুন্দরবনের দায়িত্বে থাকবে ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces)।

    আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    অশান্তি এড়ানো লক্ষ্য

    সপ্তম তথা শেষ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের তিন পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যে ৯টি কেন্দ্রে আগামী শনিবার ভোট রয়েছে, তার মধ্যে বসিরহাট ও দমদম লোকসভা আসনের অন্তর্গত পুলিশ অফিসারদের বদলি করা হয়েছে। সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নলবথ, বসিরহাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান এবং রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, তিন পুলিশ আধিকারিককে ভোটের কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বিকল্প নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। বুথ পাহারা এবং কিউআরটি-র পাশাপাশি নাকা তল্লাশিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Forces) ব্যবহার করা হবে। প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের মতে, ষষ্ঠ দফার ভোটে কেশপুর, গড়বেতার কিছু এলাকায় গোলমাল হয়েছিল। সেখানে কিউআরটি দেরিতে পৌঁছন নিয়ে অভিযোগও উঠেছিল, তাই শেষ দফায় সতর্ক কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: হুগলিতে ইভিএম বদল হতে পারে! আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন লকেট  

    Locket Chatterjee: হুগলিতে ইভিএম বদল হতে পারে! আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন লকেট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হুগলির স্ট্রং রুম পরিদর্শন করতে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। এই জেলার এইচআইটি কলেজে তৈরি করা হয়েছে স্ট্রং রুম। ইভিএম মেশিনের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইভিএম বদল হতে পারে। আর তাই আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন তিনি। পাল্টা তৃণমূল বিজেপি প্রার্থীকে দেখে তৃণমূলের কর্মীরা গো ব্যাক স্লোগান দিলে, বিজেপিও জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলে। ফলে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয় ঘটনাস্থলে। 

    ইভিএম বদল হয়ে যেতে পারে (Locket Chatterjee)?

    হুগলি লোকসভার কেন্দ্রের স্ট্রং রুমকে ঘিরে এই কলেজ এলাকার চত্বরকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ বাহিনীকেও নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই ইভিএম বদল হয়ে যেতে পারে। ঠিক এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট (Locket Chatterjee)। তাই রবিবার রাতে স্ট্রং রুমে হাজির হন তিনি। আবার স্ট্রং রুম এইচআইটি কলেজের পাশেই রয়েছে বেসরকারি ইঞ্জিনারিং কলেজ। ঠিক এই কলেজের পিছন দিয়ে অন্ধকার পুকুর পাড় দিয়ে স্ট্রং রুমে পৌঁছে যান তিনি। এরপর খবর পেয়ে চন্দননগর থানার পুলিশ এসে হাজির হয় ঘটনাস্থলে।

    কী বললেন লকেট?

    বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) বলেন, “স্ট্রং রুম পাহার হচ্ছে কিন্তু পিছন দিকের জায়গা নিরাপদ নয়। পিছনে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। তাই এখানে নিরাপদ করতে ক্যামেরা লাগাতে হবে।” এরপর জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ রেমাল দুর্যোগে হাসপাতালে বন্ধ জেনারেটর, দেওয়া গেল না অক্সিজেন-নেবুলাইজার, মৃত্যু সদ্যোজাতের!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলার তৃণমূল নেতা গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের বৈতরণী পাড় করতে চাইছেন। তিনি এখানে একটি গিমিক তৈরি করতে চাইছেন। দল নিয়ে ঢুকে পড়েছেন। বুথ এবং স্ট্রং রুমের মধ্যে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।” উল্লেখ্য এই কেন্দ্র হল তারাকা প্রার্থী কেন্দ্র। বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) এবং তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৪ জুন ফলাফল ঘোষণার দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Inner Conflict: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    TMC Inner Conflict: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি চতুর্থ দফায় ভোট পর্ব মিটেছে বর্ধমানে। আর ভোট মিটতেই এবার প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Conflict)। পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) খণ্ডঘোষ এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বিরোধের জেরে সোমবার রাতে খণ্ডঘোষের উখরিদের শেরপাড়ায় মারধরের ঘটনায় জখম হন পাঁচ জন। ঘটনার পরে তাদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জখম পাঁচ জনের মধ্যে উখরিদ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ হাবিবুর রহমান, তার ছেলে সেখ মেহবুব রহমান ওরফে আকাশ ও ভাইপো সেখ মাইনুল রহমান রয়েছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (TMC Inner Conflict)

    মেহবুব রহমানের দাবী তারা খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের অনুগামী। সেই জন্য ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের (ফাগুন) নির্দেশে তার অনুগামীরা হঠাৎই আক্রমণ করে। মেহবুব রহমান জানান, তারা গ্রামের শেরপাড়ায় বসে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নির্দেশে একদল লোক মোটরবাইকে এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে ছিল রড লাঠি ও টাঙ্গি। 

    গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণ 

    জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির ভাই ও ছেলে এলাকায় ঠিকাদারি করছে। অপার্থিব ইসলামের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্বের (TMC Inner Conflict) কারণ এই ঠিকাদারি নিয়েই। গোটা ব্লকের সব ঠিকাদারি কাজ করবে অপার্থিব ইসলামের ছেলে ও ভাইপো। আর সেটা নিয়ে বাধা দেওয়াতেই অশান্তির সূত্রপাত।   

    স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য  

    এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলি হোসেন মণ্ডল বলেন, “বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি অনুগামীদের দ্বন্দ্বের (TMC Inner Conflict) জন্যই গ্রামে মারপিট ও অশান্তি হয়। শেরপাড়ায় অতর্কিতে হামলা চালায় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির লোকজন। জখম পাঁচজনকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খণ্ডঘোষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে প্রথমে তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অপার্থিব ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “এই ঘটনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আর গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Conflict) বা বিবাদের কোন বিষয়ই নয়।”

    আরও পড়ুন: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    বিজেপির দাবি 

    অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “এখানকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Conflict) দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নিজেদের মধ্যেই কাটমানি, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই আছে। আর এই দুই দলের মধ্যে টেন্ডার নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে দ্বন্দ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের কারণেই গতকাল সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। গোটা ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট ভাবে আতঙ্কিত।” এছাড়াও এদিন তিনি গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বকে দায়ী করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী শনিবারই শহরে সপ্তম দফা তথা ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের শেষ দফার ভোট রয়েছে। কিন্তু তার আগেই রবিবার মধ্যরাতে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে শহর ও শহরতলী। একটানা বৃষ্টির প্রভাবে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার একাধিক এলাকা। আর সেই আবহেই এবার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের (Sougata Roy) জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন নিয়ে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    শুভেন্দুর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ পদে হ্যাটট্রিক করেছেন সৌগত। এবারও সেই এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাঁর এলাকার জলমগ্ন পরিস্থিতির অবস্থা নিয়েই কার্যত খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর বক্তব্য, সৌগতর (Sougata Roy) কাজ দেখে মনে হচ্ছে, তৃণমূলে তিনি নব্য। শুভেন্দু বলেন, ”১৫ বছর ধরে সাংসদ। ১৫ বছর ধরে পুরসভার ক্ষমতায়। ১৩ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায়। কিন্তু নির্বাচনের আগে, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে, জল জমে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে কি খোঁচাচ্ছেন উনিই জানেন! বাঁশটা কিন্তু ভোটারদের চিনিয়ে দিলেন, ১ জুন আপনার জন্য তোলা থাকল।” এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এদিন এমনই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর পোস্টের ক্যাপশনে শুভেন্দু ‘দুর্বল চিত্রনাট্য’ ও ‘কাঁচা অভিনেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সঙ্গে আরও লিখেছেন, ‘বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়।’ 

    ভোট বলেই কি সাংসদের এমন তৎপরতা?- উঠছে প্রশ্ন 

    প্রসঙ্গত, এদিন ঘূর্ণিঝড়ের পরে এলাকা পরিদর্শনে বের হন তৃণমূল প্রার্থী (Sougata Roy)। কখনও সটান পে লোডারের চালকের সিটে বসে পড়ছেন বছর ৭৬-এর সৌগত, আবার কখনও ধুতি গুটিয়ে নর্দমায় বাঁশ নিয়ে জলে জোর খোঁচাখুচি করছেন। আর ভোটের আগে তাঁর এই চিত্রকেই ‘চিত্রনাট্য’ বলে বর্ণনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।   
    অন্যদিকে সৌগত রায়ের (Sougata Roy) এমন কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে, ভোট বলেই কি সাংসদের এমন তৎপরতা? যদিও শুধু সৌগত নয়, পে লোডারে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে বরানগর উপ নির্বাচনে এবারের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।  
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Roadshow: আজ কলকাতায় মেগা রোড-শো মোদির, রয়েছে অশোকনগর ও বারুইপুরে জোড়া সভাও

    PM Modi Roadshow: আজ কলকাতায় মেগা রোড-শো মোদির, রয়েছে অশোকনগর ও বারুইপুরে জোড়া সভাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু, স্বামীজিকে স্মরণ করে শেষ। সপ্তম দফার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Roadshow)। আজ, মঙ্গলবার উত্তর কলকাতায় রোড-শো করবেন মোদি। কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে তাঁর প্রচার কর্মসূচী রয়েছে। টানা দু’দিনের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে শুরু হবে যাত্রা। বিধান সরণী হয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে গিয়ে শেষ হবে। স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শেষ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    শহরে মোদির সারাদিন

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম সভা হবে দুপুর আড়াইটে নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। এর পরে বিকেল ৪টে বারুইপুরের সভা শেষ করে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উত্তর কলকাতায় শুরু হবে তাঁর রোড-শো (PM Modi Roadshow)। কলকাতা উত্তর আসনে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে শুরু করে রোড-শো যাওয়ার কথা ছিল শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত। কিন্তু পরে একই পথ থাকলেও শুরু ও শেষের জায়গা বদলে গিয়েছে। শ্যামবাজার থেকে হাতিবাগান হয়ে বিবেকানন্দ রোড ও বিধান সরণির সংযোগস্থলে আসবে মোদির রোড-শো। বিজেপি ঠিক করেছে, এই পথে মোট ৪০ জায়গায় মঞ্চ বেঁধে মোদিকে স্বাগত জানানো হবে। প্রতিটি মঞ্চে বাংলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র তুলে ধরা হবে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির সামনে থেকে এই বর্ণাঢ্য রোড-শো শুরু হবে।

    সাধু-সাক্ষাত প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রোড-শো শুরুর (PM Modi Roadshow) আগে বিকেল ৫টা নাগাদ মোদি বাগবাজারে সারদা দেবীর বাড়ি (মায়ের বাড়ি)-তে যাবেন। প্রায় ৪০ মিনিট তিনি সারদা ভবনে থাকতে পারেন। সেই নির্দিষ্ট সময়ে বাগবাজার সারদা মায়ের বাড়িতে কয়েকজন সাধু ও মহারাজদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতায় এসে সারদাদেবী এই বাড়িতেই থাকতেন। শোনা যায়, এই বাড়ির ছাদ থেকে নাকি সেই সময় দক্ষিণেশ্বর মন্দির দেখা যেত। বিজেপি সূত্রে খবর, রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে মোদির। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি কখনই এই বাড়িতে আসেননি। মঙ্গলবার, তিনি প্রথমবার এই বাড়িতে আসবেন। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সামরিক ড্রোনের চাহিদা তুঙ্গে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিপুল উৎপাদন ভারতেই

    প্রস্তুতি তুঙ্গে

    ইতিমধ্যে রাজ্য স্তরের প্রধান সারির নেতারা এই নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর রোড-শোয়ের (PM Modi Roadshow) যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা সেরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনকে (Lok Sabha Election 2024) সামনে রেখে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোড-শো এই প্রথম। সেক্ষেত্রে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে নির্ধারিত রুট ও সংলগ্ন এলাকা। কর্মসূচি শুরুর অনেক আগে থেকেই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামিকালের রোড-শোর জন্য দিল্লি থেকে এসেছে বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি। গাড়িটি সল্টলেকের বিজেপির কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য দিল্লি থেকে মোট পাঁচটি বিশেষ টিম এসেছে কলকাতায়। এদিনের কর্মসূচি শেষে রাজভবনে রাত কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বুধবার মথুরাপুরে আর একটি সভা করতে পারেন তিনি। সুকান্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই রোড-শো ঐতিহাসিক চেহারা নেবে। রোড-শোয়ে ২ লক্ষের বেশি মানুষের জমায়েত হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share