Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Bankura: ভোটের জন্য বন্ধ রাখা হল ছাতনার ৩০০ বছরের ঐতিহাসিক ‘রানীর গাজন’

    Bankura: ভোটের জন্য বন্ধ রাখা হল ছাতনার ৩০০ বছরের ঐতিহাসিক ‘রানীর গাজন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর বাঁকুড়ায় (Bankura) পালিত হয় ঐতিহাসিক রানীর গাজন। এই উৎসব প্রত্যেকবার বাংলায় ১১ জ্যৈষ্ঠ ছাতনা রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজন হয়ে থাকে। অত্যন্ত প্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ উৎসব হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়। কিন্তু এই বছর ওই দিন পড়েছে ২৫ মে। আবার ওই দিনই হল ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণের দিন। প্রশাসনের অনুরোধে ওই দিনে গাজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    রাজবাড়ির বিজ্ঞাপন (Bankura)

    জানা গিয়েছে, ভোটের দিনেই ছাতনার রানির গাজনের (Bankura) অনুষ্ঠান পড়ায় এবার তা বন্ধ রাখা হবে। রাজবাড়ির বর্তমান প্রতিনিধি প্রদীপ সিংহদেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সংবাদ সকলকে জানিয়েছেন। তবে ধর্মীয়রীতি, পরম্পরা, লোকাচার অক্ষুণ্ণ থাকবে। জান গিয়েছে, রানী আনন্দকুমারী এই অনুষ্ঠানের প্রবর্তন করেছিলেন।

    রাজবাড়ির বক্তব্য

    ছাতনা (Bankura) রাজবাড়ির বর্তমান রাজা প্রদীপ সিংহদেও বলেন, “আনুমানিক ৩০০ বছর পুরানো এই গাজন। নির্জন থাকার কারণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে রীতি মেনেই ২৪ তারিখ সমস্ত কাজ করা হবে।” বাঁকুড়ার নানাবিধ লোকসংস্কৃতির উপাদানের মধ্যে গাজন হল একটি গুরুত্বপূর্ণ লোক উৎসব। এই গাজনকে উপভোগ করার জন্য আবার পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    তিনশ বছরের পুরাতন এই গাজন

    আজকের দিনে রাজতন্ত্র না থাকলেও রাজার প্রবর্তিত ধর্মীয় লোকাচার এখনও অক্ষত। বাঁকুড়া (Bankura) জেলার পশ্চিম সীমান্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল ছাতনা। সবুজ বনে ঘেরা ছাতনা রাজবাড়ির মা মৃন্ময়ীর দুর্গামন্দির। একসময় সামন্তভূমের রাজধানী আজ থেকে প্রায় তিনশো বছর আগে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন তৎকালীন রানি আনন্দ কুমারী। রানির হাত ধরে শুরু হয়েছিল গাজন। প্রতি বছর এই গাজনে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু ষষ্ঠ দফার নির্বাচন থাকায় এই বছর গাজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এলাকার মানুষ এই নিয়ে মনে বিষাদের ছায়া। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পোস্টাল ব্যালট ভোটে কারচুপি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panihati: পোস্টাল ব্যালট ভোটে কারচুপি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে প্রবীণদের পোস্টাল ভোটে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) এলাকায়। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা যে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাতে পারে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। বুধবার অকল্পনীয় সেই ঘটনার সাক্ষীই হলেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পানিহাটি (Panihati) পুরসভা এলাকার অমরাবতীতে প্রবীণ নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করছিলেন সেক্টর অফিসারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক আধিকারিক। সেই সময় সিনিয়র সিটিজেনদের ব্যালট ভোট নিয়ে বেআইনি হচ্ছে বলে বিজেপির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা- কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা কথা বলতে গেলে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পানিহাটির অমরাবতী এলাকায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো এজেন্টের মাধ্যমে পোস্টাল ভোট করানোর অভিযোগ তুলে সেক্টর অফিসারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার (Panihati) চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, বিজেপি বহিরাগত লোকজনদের নিয়ে এসে ওই এলাকায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট করার চেষ্টা করছে। আমরা কোনও ভুয়ো এজেন্ট দিইনি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে বিজেপি ভোটের আগে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই এই গন্ডগোল হয়েছে। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি করে জিততে চাইছে তৃণমূল। কারণ, মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই ওরা এখন এসব করে নিজেদের পক্ষে ভোট করতে চাইছে।  ভুয়ো এজেন্টের নামে সই করে ফলস ভোট দেওয়াচ্ছে তৃণমূল। এসব আমরা ধরে ফেলি। বাধা দিতে গেলেই ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    Nandigram: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর দোকান, ভাঙচুর-বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত এলাকা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না যায় তাই নন্দীগ্রাম থানা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। আজ সোনাচূড়া, মনসা বাজার এলাকয় বিজেপির পক্ষ থেকে বন্‌ধ পালিত হয়। অপর দিকে বিকেল পাঁচটায় সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সকাল থেকেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)

    ২৫ মে শনিবার ভোট, আজই নন্দীগ্রামে (Nandigram) নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। কিন্তু ইতিমধ্যে এক বিজেপি কর্মী মহিলাকে খুনের ঘটনায় বিজেপি ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে এলাকায়। মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর, দোকান। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০০ কোম্পানির উপর বাহিনীকে এলাকায় মজুত করা হয়েছে। আরও ফোর্স নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ব্যানার লাগাতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। এরপর বিজেপি সমর্থিত মহিলাকে খুন করা হয়। তবে এই খুনের পিছনে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি মূলক ভাষণকেই বিজেপি দায়ী করেছে। এরপর বিজেপি আজ প্রতিবাদে বন্‌ধ ডাকা হয়।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, “একজন মহিলাকে নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুন করা হয়েছে। আমি গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় তা আমি জানি। কেষ্ট, শাহজাহানরা কোথায়? সব কিছুর বদল হবে। একজন মাঝ বয়সী মহিলাকে মেরে দিলে বদলা অবশ্যই হবে।” নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ“নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    কী বলেছিলেন অভিষেক?

    তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকে সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া আর আর দু’নম্বর ব্লকের বয়ালনগর ১, বয়াল ২ এই জায়গায় যাঁরা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তাঁদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে। এর পরিণতি খুব খারাপ হবে সতর্ক করলাম। কোনও বাবা বাঁচাবে না। কেউ বাঁচাবে না।” আবার তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “অভিষেক কোনও প্ররোচনা দেননি। আক্রমণের কথা তিনি বলেননি। বিজেপির পতাকা বাঁধার লোক নেই ওই এলাকায়।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বৈধতার নথি জমা দিতে বলে রাজ্যের শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে ঠিক এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদেরদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্য শিক্ষকদেরদের বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল।”

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মমতার সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “শিক্ষকদেরকে এখন ২ শ্রেণীতে ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। আমাদের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কথা অনুসারে শিক্ষক ও ব্যতিক্রমী শিক্ষক। এসএসসি আদালতে গিয়ে বলেছে প্রায় ৮ হাজার অযোগ্য শিক্ষক রয়েছে। এই অযোগ্যদের বাঁচাতে গিয়ে গোটা রাজ্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষককে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়া হচ্ছে। সেই জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে আগামী ২৭ মের মধ্যে চাকরি সংক্রান্ত নথি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দেওয়া দিতে হবে। যাঁরা আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে চাকরি পেয়ছেন তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়ার মানে কী? এমন কী কিছু শিক্ষক, যাঁরা কয়েক বছরের মধ্যে অবসর নেবেন তাঁদের কাছেও তথ্য চাওয়া হচ্ছে। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    ভোট পরবর্তী হিংসা হাওড়ায়! বিজেপির কর্মীর বাড়িতে পড়ল পর পর বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আর কী বললেন?

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা দফতরের কাছে এই তথ্য তো থাকা উচিত। এসএসসি-র সুপারিশ পত্র চাওয়া উচিত। ত্রিশ বছর আগে এসএসসি ছিল না। সেই সময় কমিটির মাধ্যামে চাকরি হত। কমিটি চিঠি পাঠাত। সেই চিঠি এখন খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। অযোগ্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। বার বার সকল শিক্ষকদের হেয় এবং অপমান করা হচ্ছে। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। সিপিএম যদি চাকরি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে সেগুলিকে বার করুক। সিপিএম ধোয়া তুলসি পাতা নয়। সিপিএমের লোকগুলি এখন তৃণমূলের গিয়েছে।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই কাটছে। ছোটখাটো কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও গণ্ডগোলের খবর সামনে আসেনি। সাত দফার মধ্যে বাকি রয়েছে আর দু দফা। তারপরেই এবারের মত শেষ হবে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোট মটে গেলেও হিংসার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভোটের পরেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। 

    কমিশনের সিদ্ধান্ত 

    ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফল ঘোষণার পরেও আরও প্রায় ১৫ দিন এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি মিলিয়ে ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের বাছাই করা কিছু এলাকায় মোতায়ন রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিআইএসএফ-এর কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশিও রাখা হতে পারে বাহিনী (Central Force)। তা-ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা

    গত বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্য জুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিরোধী দলের দশ জনের বেশি সমর্থক-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহত হন অনেকে। সে সময় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শাসকদল তৃণমূলের দিকে। মূলত সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এ বার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরে এ রাজ্য সন্ত্রাসের ছবি ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য থেকে চলে গেলেই শুরু হতে পারে সংঘর্ষ। তাই সেই আশঙ্কা থেকেই ভোটের ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: অভিষেকের সভার পরই বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Lok Sabha Election 2024: অভিষেকের সভার পরই বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। হামলার জেরে মহিলা কর্মী খুনের পাশাপাশি ৮ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। ষষ্ঠদফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Lok Sabha Election 2024)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটপ্রচারের (Lok Sabha Election 2024) শেষ লগ্নে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই সময়ই বাইকে করে আসা এক দল দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রখিবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রাখিবালার ছেলে সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় রাখিবালাসহ অন্যদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা রখিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাখিবালার ছেলে সঞ্জয়বাবুকে  অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় জখম আরও প্রায় ৭ জন বিজেপি কর্মীর নন্দীগ্রাম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে বলে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। তৃণমূলে বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে এই হামলা চালিয়েছে। অভিষেকের সভার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের ওপর যে ভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এই হামলা জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: অমিতের সভামঞ্চে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির, আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে

    Sisir Adhikari: অমিতের সভামঞ্চে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির, আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলের কাঁথির বিদায়ী সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বিজেপিতে অফিসিয়ালি যোগদান করেননি তিনি। তাঁর ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী এবার বিজেপির প্রার্থী। সৌমেন্দুর হয়ে প্রচারে বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। শুধু উপস্থিতই থাকলেন না, বক্তৃতাও করলেন তিনি। আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়তে  পারে একমাত্র বিজেপি। 

    বিজেপির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল তিন অধিকারীকে (Sisir Adhikari)

    বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ছেলে সৌমেন্দুর হয়ে প্রথম থেকেই তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির (Sisir Adhikari) নিজের আসনে প্রচারে নেমেছিলেন। বুধবারও কাঁথিতে বিজেপির জনসভায় প্রথম থেকে উপস্থিত ছিলেন শিশির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মঞ্চে নিয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় শাহকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে যান শিশির। করজোড়ে প্রণাম করে কাঁথিতে শাহকে স্বাগত জানান তিনি। সৌমেন্দুকে বিজেপির যুবনেতা অ্যাখ্যা দিয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী করার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে শিশির-পুত্র শুভেন্দুর লড়াইকে যখন কুর্নিশ করেন শাহ, তখন মঞ্চে বসে হাততালি দিতে দেখা যায় শিশিরকে। সৌমেন্দুর পাশাপাশি ওই সভাতে পিতার সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই প্রথম বিজেপির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল তিন অধিকারীকে।

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরে সারাক্ষণ মঞ্চে থেকেছেন শিশির

    এদিনের সভায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে না-নিলেও গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরে সারা ক্ষণ মঞ্চে থেকেছেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালেও শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল শিশিরকে (Sisir Adhikari) । সে বছরের ১ মার্চ এগরার জনসভায় শাহের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে দিন পদ্ম প্রতীকের পতাকা হাতে তুলে নেননি। তবে, ২০২০ সালের ১৯ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় যে দিন শাহের হাত ধরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সে দিনই কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’ তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল। শিশির সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও, তিনি যে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের কাছেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramkrisha Mission: জমির মালিক মিশনই, তবুও কেন গ্রেফতার হলনা প্রদীপ? প্রশ্ন পুলিশের বিরুদ্ধে

    Ramkrisha Mission: জমির মালিক মিশনই, তবুও কেন গ্রেফতার হলনা প্রদীপ? প্রশ্ন পুলিশের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার তদন্তে আজবকাণ্ড! ১৫ বছরের আগে অন্যত্র চলে যাওয়া মহারাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এই মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে হামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। আবার শিলিগুড়ি ডিসিপি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, মূল অভি যুক্ত প্রদীপ ‘বেপাত্তা’। তবে কেন তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে লঘু ধারা? উত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মিশনের হামলায় অভিযুক্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের আজ আদালতে তোলা হলে, বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলে, “আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে”।

    পুলিশের বক্তব্য (Ramkrisha Mission)

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “১৯ মে মাঝ রাতে সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ রায় আরও ১০-১২ জন মিশনে (Ramkrisha Mission) ঘরে ঢুকে হামলা করে। মিশনের কর্মীদের ভয় দেখানো হয় এবং মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও নষ্ট করে দেওয়া হয়। প্রদীপ রায় একটি কেস করেছে। তার দাবি, রামকৃষ্ণ মিশনের জমির মালিক সে। উত্তরাধিকার সূত্রে টুকা সিংয়ের কাছ থেকে এই জমি পেয়েছে প্রদীপ। কিন্তু তদন্তে জানা গিয়েছে, এই টুকা সিং অনেক আগে জমি বিক্রি করে দিয়েছে হরদুয়াল সিং গিল বলে এক ভদ্রলোকের কাছে। সে আবার বিক্রি করেছে এসকে রায়ের কাছে। এসকে রায় আবার জমিদান করেছে রামকৃষ্ণের কাছে। ফলে আদলাতের নির্দেশ অনুযায়ী জমির মালিক রামকৃষ্ণ মিশনই। তবে ল্যান্ড রেকর্ড অনুযায়ী জমি রয়েছে টুকা সিংয়ের নামেই। মিউটেশন হয়নি।”

    অধরা মূল অভিযুক্ত!

    রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কেন গ্রেফতার করা হয়নি প্রশ্ন করলে পুলিশ তার উত্তর ঠিক করে দিতে পারেননি। অথচ সেই মিশনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। এমনকি এফআইআর কপিতে ১৫ বছর আগে জলপাইগুড়ি থেকে চলে যাওয়া স্বামী অক্ষয়ানন্দ মহারাজের নাম রয়েছে। তিনি বর্তমানে প্রয়াগেরাজে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে কীভাবে এফআইআর করল পুলিশ? আবার মিশনের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছে সেখানে অভিযুক্তের নামের প্রদীপ রায়ের নাম থাকলেও, অস্ত্র আইনের মামলা রুজু করেনি পুলিশ। সবটা মিলিয়তে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে অনেক।

    গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বক্তব্য

    রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলা থাকার সন্দেহে যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আজ বুধবার তাদের আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বক্তব্য, “আমাদের জোর করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্দোষ। আমারা কেউ হামলার সঙ্গে যুক্ত নই।

    আরও পড়ুনঃহাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে শনিবার ১৯ মে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩৫ জনের একটি বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrisha Mission)  ঘরে ঢুকে হামলা করে। একই সঙ্গে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। এরপর মিশনের সন্ন্যাসীদের শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে বাড়ি থেকে বাইরে করে দেওয়া হয়। একই ভাবে পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউজলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় শহরে বাড়তি নিরাপত্তা, থাকবে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় শহরে বাড়তি নিরাপত্তা, থাকবে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম পাঁচ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) মোটামুটি নির্বিঘ্নে কেটেছে। বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার ঘটনা ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য বড় কোনও খবর সামনে আসেনি৷ সাত দফার মধ্যে বাকি আর দুই দফা। তবে এর মধ্যে সপ্তম দফায় ভোট রয়েছে শহরে। আর তার জেরেই শেষ দফায় শহরে বাড়ানো হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। 

    ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব লালবাজারের কাঁধে 

    আগামী ১ জুন ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে কলকাতায়। মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হবে লালবাজারকে। সেই ভোট-পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটাতে কলকাতা পুলিশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে ১০ কোম্পানি ইতিমধ্যেই শহরে রয়েছে। বুধবারের মধ্যে শহরে চলে আসার কথা ২১ কোম্পানির। আর বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central forces)  আগামী শনিবার, ষষ্ঠ দফার ভোটের পরে শহরে চলে আসবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central forces) জাওয়ানদের সঙ্গে থাকছেন কলকাতা পুলিশের কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। 
    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এ বার বুথের সংখ্যা কমেলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় এ বার মোট বুথের সংখ্যা ৫১৫৮টি এবং ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৪০টি। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার মতো লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। এ ছাড়া, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছুটা অংশও রয়েছে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায়। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় লালবাজারের অধীনে চলে আসায় এ বার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নিরাপত্তা সামলাতে হবে লালবাজারকে। 

    আরও পড়ুন: লজ্জা! ফের রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিককে সরাল কমিশন

    স্পর্শকাতর বুথ গুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা 

    সূত্রের খবর, এ বার প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর। তাই প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। লালবাজার জানিয়েছে, এ বার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নিরাপত্তায় গোটা শহরে থাকছে ২৩০টি কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি। যাতে থাকবে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবেন এক জন করে কলকাতা পুলিশের অফিসার। এ ছাড়া, থাকছে কলকাতা পুলিশের কর্মী-অফিসারদের নিয়ে গঠিত ৩৪৭টি সেক্টর মোবাইল। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবে ওই সেক্টর মোবাইল। এ ছাড়াও থাকছে এইচআরএফএস এবং আরটি মোবাইল ভ্যান। সেগুলিতে অবশ্য থাকবে কলকাতা পুলিশের বাহিনী।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: হাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    Lok Sabha Election 2024: হাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলকে ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলেরই সংঘর্ষ বাধে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় মিছিল নিয়ে তৃণমূল বনাম তৃণমূলে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সকলেই হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থক, কিন্তু একপক্ষ আদি তৃণমূল, ওপর পক্ষ নব্য তৃণমূল।

    কীভাবে ঘটল গোষ্ঠী সংঘর্ষ (Lok Sabha Election 2024)?

    বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের সমর্থনে আদি-নব্যের জোড়া মিছিলের মুখোমুখি হতেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আদি-নব্যের সংঘাতে লাঠি-বাঁশ-ইট নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন আটপুকুর অঞ্চল থেকে আদি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন। অন্যদিকে বিহারী এলাকা থেকে নব্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আরও একটি মিছিল নিয়ে বের হয়। দু’টি মিছিল বিহারী অঞ্চলে মুখোমুখি হতেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, আদি তৃণমূলের লোকজন নব্য তৃণমূলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়ে বলে অভিযোগ। দুই শিবিরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাদানুবাদ হয় বলে খবর। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য

    তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী হাফিজুল ইসলাম ঢালি বলেন, “এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আমরা হাজি নুরুল সাহেবের সমর্থক। অপর দিকের কর্মীরাও তৃণমূল কর্মী। আমরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে ছিলাম সঙ্গে সাংবাদিকেরাও ছিলেন। আমাদের উপর বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। আমাদের লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়। ধারালো অস্ত্র, বাঁশ-রড দিয়ে মারা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতী মিজানুর রহমান, আইনুল ইসলাম সহ আরও অনেকে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।”

    আরও পড়ুনঃ “পতন এসে গেছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ

    এদিকে গোলমালের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। শেষে পুলিশি তৎপরতায় আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে তৃণমূল শিবির খানিকটা চাপে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share