Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার ৭ মে ছিল তৃতীয় দফার নির্বাচন। সারা দেশে নির্বিঘ্নে ভোটদান হলেও ভোট শেষে রাতের অন্ধকারে ঘটল অগ্নিকান্ডের (Betul fire incident) ঘটনা। আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় দমকল। ধীরে ধীরে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জানা গেছে, বাসে মোট ছটি ইভিএম ছিল। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Betul fire incident)

    ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গোলা গ্রামের কাছে ঘটেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের বেতুল ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম (Electronic Voting Machines) নিয়ে বাসে ফিরছিলেন পোলিং অফিসারেরা। ঠিক সেই সময় পথে হঠাৎ বাসে আগুন (Betul fire incident)লেগে যায়। হঠাৎ করে আগুন লেগে যাওয়ায় বাস থেকে চালক-সহ সকলে নেমে যান। দুটি ইভিএম মেশিন অক্ষত অবস্থায় বের করা গেলেও বাকি চারটি ইভিএম আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
    জানা গেছে, বেতুলের ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮, ২৭৯ এবং ২৮০ নম্বর বুথের ইভিএম–এর ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে (Election commission) জানানো হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বিচার করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে ওই ছটি বুথে আবারও ভোট হবে কি না। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হয়েছে (Lok Sabha election 2024), তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১, উত্তরপ্রদেশের ১০, মধ্যপ্রদেশের ৯ টি, ছত্তীসগঢ়ের ৭ টি, বিহারের ৫ টি, অসমের ৪ টি, গোয়ার ২ টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১ টি এবং দমন ও দিউয়ের ১ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেতুল লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দফায় মোট ৭২.৬৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় (Betul fire incident) ইভিএম মেশিন গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কমিশন আবারও এই কেন্দ্রে পরবর্তীতে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা সময়ই বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Radhika Khera: “ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় আমায় অফার করা হয়েছিল মদ”, তোপ কংগ্রেসত্যাগী নেত্রীর

    Radhika Khera: “ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় আমায় অফার করা হয়েছিল মদ”, তোপ কংগ্রেসত্যাগী নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এআইসিসির মুখপাত্র রাধিকা খেরা (Radhika Khera)। সোমবারই তোপ দাগলেন পুরনো দলের বিরুদ্ধে। দলের হিন্দু বিরোধী আদর্শ অনুসরণ না করায় দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে ধমক দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রাধিকার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’ হয়েছিল, সেই যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন রাধিকাও। সেই সময় তাঁকে মদ্যপান করতে বলা হয়েছিল।

    রাধিকার অভিযোগ (Radhika Khera)

    সদ্য কংগ্রেস-ত্যাগী রাধিকা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’র সময় ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখা আমায় মদ অফার করেছিলেন। সেই সময় তিনি এবং দলের পাঁচ-ছ’জন মদ্যপ অবস্থায় আমার ঘরের দরজায় করাঘাত করেছিলেন। আমি বিষয়টি শচিন পাইলট এবং জয়রাম রমেশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি।” তাঁর (Radhika Khera) দাবি, কংগ্রেসের হিন্দুত্ব-বিরোধী আদর্শ অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

    ‘আমায় ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল’

    রাধিকা বলেন, “৩০ তারিখ সন্ধ্যায় আমি কংগ্রেসের রাজ্য অফিসে সুশীলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমায় দেখেই গালাগালি দিতে শুরু করেন তিনি। চড়া গলায় কথা বলতে থাকেন। তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা আমায় ঘরবন্দি করে ফেলেন। তিনি এবং তাঁর দুই রাজ্য মুখপাত্র আমায় গালাগালি দিতে থাকেন। আমি আর্ত চিৎকার করি। কিন্তু কেউই দরজা খোলেননি। উল্টে আমায় মারধর করা হয়। আমি কংগ্রেসের মহামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাই। কিন্তু কেউই আমার অভিযোগকে পাত্তা দেননি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’!

    গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাধিকা। বলেন, “কংগ্রেসের গায়ে যে হিন্দুত্ব-বিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি কখনওই বিশ্বাস করতাম না। তবে সেদিন(২২ জানুয়ারি) সত্যটা প্রকাশ্যে আসে।” তিনি বলেন, “আমি সব সময় শুনতাম যে কংগ্রেস রামের বিরোধী, সনাতন ধর্ম বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী। কিন্তু আমি কখনও এটা বিশ্বাস করতাম না। কারণ মহাত্মা গান্ধী প্রত্যেকটা বৈঠক শুরুর আগে গাইতেন ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’। ঠাকুমার সঙ্গে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পর আমি কংগ্রেসের আসল চেহারাটা দেখতে পাই। আমি কেন অযোধ্যায় গিয়েছিলাম, জিজ্ঞাসা করা হয়। আমায় ধমকও দেওয়া হয় (Radhika Khera)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রীম কোর্টে এসএসসি মামলা শুনানিতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম ওঠায় তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কয়েকজন আইনজীবী অভিজিৎবাবুর নাম নিয়ে তাঁর রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু এই নাম নেওয়ায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি (Abhijit Ganguly)?

    মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। শুনানির সময় কিছু তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবীর পক্ষ থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম তোলা হয়। এমনকী তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। এখানেই থেমে থাকেননি আইনজীবীরা, প্রয়োজনে এই প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থীকে শাস্তি দেওয়ার দাবিও করা হয়। এমন কথা শুনেই তীব্র ভর্ৎসনার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছি। এখানে কোনও প্রাক্তন বিচারপতির আচরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “আজ তৃণমূলের উকিলরা আমার নাম করে সুপ্রিম কোর্টে বলতে গিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলে একজন ছিলেন, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাঁদের মুখের ওপরে বলে দিয়েছেন, কাদা ছোড়াছুড়িত জায়গা এটা নয়। এখানে কাদা ছুড়বেন না। এতে তৃণমূলের খুব মন খারাপ হয়েছে। কারণ চোরগুলোকে আমিই ধরা শুরু করেছিলাম।”

    এদিন শুনানিতে ২৫৭৫৩ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদলত। চাকরিতে এখন বহাল থাকবেন। একই সঙ্গে অযোগ্যদের বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদলাত। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন নেই।     

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রীদের চাপেই এসএসসির চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে এসএসসি কমিশন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঠিক এই ভাবেই আক্রমণ করলেন নির্বাচনী সভা থেকে। গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে প্রচারেও গিয়ে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    আবার মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ওপরে স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে মোট ২৫৭৫৩ জনের চাকরি আপাতত বাতিল হচ্ছে না। তবে কেউ অযোগ্য বলে বিবেচিত হলে ওই সময়কালে পাওয়া বেতন সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে।

    ঠিক কি বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিজেপি যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে থাকবে। তাঁদের জন্য বিজেপি বিশেষ লিগাল সেল এবং পোর্টাল খুলবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সব কিছু করা হচ্ছে। ঠিক তারপরই এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের সংখ্যা জানিয়েছেন। তবে আদলাতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে ২ মে ২০২২ সালে যাঁরা মন্ত্রীসভার বৈঠকে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ছিলেন তাঁদের সবার জেলা থাকা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃপ্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে তারকারাও সমানভাবে দায়ী, জানাল দেশের শীর্ষ আদালত

    প্রধানমন্ত্রী কী বলেছিলেন?

    গত শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নদিয়া, বীরভূম এবং বর্ধমানে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এসএসসি নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার সভায় বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যাঁরা অকারণে সাজার কবলে পড়েছেন তাঁদের জীবন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। আমি রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে পরামর্শ দিতে চাই, দুর্নীতির মধ্যে অনেক যোগ্য রয়েছেন। বাকিদের পাপ এই নির্দোষরা ভোগ করছেন। সৎ এবং যোগ্যদের পাশে পার্টি দাঁড়াবে। আমি রাজ্য বিজেপিকে বলছি, রাজ্য স্তরে একটি লিগাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে হবে। দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রার্থীদের পাশে থাকা দরকার।” এই প্রসঙ্গে মোদি আরও বলেন, “যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্থ তাঁদের সাজা হোক। কিন্তু অনেক সৎ মানুষ আছেন যাঁদের কাছে আসল ডিগ্রি রয়েছে এখন তাঁরা ফেঁসে গিয়েছেন। সৎ লোকেদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি কাজ করবে, এটা মোদীর গ্যারান্টি”। এবার মোদির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন এদিন।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তৃতীয় ধাপ। ৭ মে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের ১০ রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৩ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে (third phase of Lok Sabha polls) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬১.৪৫%। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় অশান্তির অভিযোগ ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু সে রাজ্যেও নির্বিঘ্নেই মিটেছে তৃতীয় পর্ব।

    তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তরপ্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, ছত্তিশগড়ের ৭টি, বিহারের ৫টি, অসমের ৪টি, গোয়ার ২টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১টি এবং দমন ও দিউয়ের ১টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। 

    তৃতীয় দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট (Lok Sabha Election 2024) 

    লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিহারে ৫৬.০১%, ছত্তিশগড়ে ৬৬.৮৭%, মহারাষ্ট্রে ৫৩.৪০%, অসমে ৭৫.২৬%, গোয়ায় ৭৪.২৭%, কর্নাটকে ৬৬.০৫%, মধ্যপ্রদেশে ৫৫.১৩%, উত্তরপ্রদেশে ৬২.২৮%, পশ্চিমবঙ্গে ৭৩.৯৩% এবং গুজরাটে ৫৫.২২% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

    উল্লেখ্য বড় বড় রাজ্যগুলিতে যেখানে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার অত্যধিক পরিমাণে কম, সেখানে কার্যত উলটো পথে হাঁটছে বাংলা। প্রথম তিন দফাতেই অসম ও গোয়ার পর বাংলায় ভোটের হার অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। পাশাপাশি মহিলা ভোটারের হারও পুরুষদের তুলনায় বেশি। 

    কোন দফায় কত ভোট পড়ল? 

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য অনুযায়ী, ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে তৃতীয় পর্বে। ২০১৯ সালে যে পরিসংখ্যান ছিল ৬৭.৩৩ শতাংশ। এবারের প্রথম দফার নির্বাচনে ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) হয়। ভোটের হার ছিল ৬৬.১৪%। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৬.৭১%।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ১১ কোটির বেশি ভোটার দেশের ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। এবার ভারতের ৫৪৩ আসনে নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষে রক্ত ঝরল জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভা এলাকায়। বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুরের গণকর এলাকার। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ হামলাকারী তৃণমূলীদের গ্রেফতারের দাবিতে রঘুনাথগঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। সেই অবরোধে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে।

    বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায় তৃণমূল (Jangipur)

    মঙ্গলবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই ধনঞ্জয় ঘোষের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বুথের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তাঁর প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে একাধিক জায়গায়। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরের গণকর ২৬৮ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয় তৃণমূলের লোকজন। চোখের সামনে দলীয় এজেন্টকে মারতে দেখেই বিজেপি কর্মী অশোক কর্মকার বুথের মধ্যেই ছুটে যান। বিজেপি কর্মী অশোকবাবু বলেন, আমার অপরাধ আমার দলের এজেন্টকে আমি বাঁচাতে গেছি। এরপরে ওরা বুথ থেকে আমাকে তাড়া করে। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেঠায়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তৃণমূল বুথে ভোট লুট করেছে। আমরা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    পুলিশ বিজেপির অবরোধে লাঠিচার্জ করে

    বিজেপি প্রার্থী (Jangipur) ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, পুলিশ দলদাস হিসেবে কাজ করছে। বুথের মধ্যেই আমাদের দলের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে। দলীয় কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।  পুলিশ আমাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার খড়গ্রাম ব্লকের পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোপীনাথপুর গ্রামের ৩৯ নম্বর বুথে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jangipur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে উত্তর গোপীনাথপুরের (Jangipur) ৩৯ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। এদিন দুপুরেব দিকে এই বুথের কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোট করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বুথের কংগ্রেসের এজেন্ট আবুল বাসারের বলেন, বেলা বারোটা নাগাদ আমাকে তৃণমূলের কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। পরে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি প্রাণভয়ে ওই বুথ ছেড়ে বেরিয়ে আসি। তারপরই তৃণমূল দেদার ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আবসার সেখ বলেন, এখানে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সমস্ত দলেরই এজেন্ট বুথের মধ্যে আছেন। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কারণ, এখানে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মিথ্যা অভিযোগ করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন।

    আরও পড়ুন: ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! পুলিশ আধিকারিককে ধমক দিলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ায় হামলা তৃণমূলের

    সামশেরগঞ্জের (Jangipur) যোতকাশী গ্রামে ১২৫ নম্বর বুথে কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের যোতকাশী গ্রামে সোমবার রাতে তৃণমূলের লোকজন বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিয়ে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। সেই হুমকি উপেক্ষা করে মইদুল সেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ইব্রাহিম সেখ ও রেজাউল হক নামে দুই তৃণমূল কর্মী প্রথমে ভোট দিতে বাধা দেয়। কংগ্রেস কর্মী আপত্তি জানালে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলার জেরে কংগ্রেস কর্মীর পা ভেঙে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নিয়ে এসে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।                                                      

  • Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথাও আবার বুথ থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন ভোট দিতে না পারা ভোটাররা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার নদিয়ার করিমপুর বিধানসভার থানারপাড়া থানার শুভরাজপুর এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার মধ্যে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা পড়ে। এই বিধানসভার শুভরাজপুর এলাকায় এদিন সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে, বুথের আগে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করে রেখেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের একটি বড় অংশ বিরোধী সমর্থক। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে ভোট লুট করতে পারছে না তৃণমূল। তাই, বুথে যাওয়ার মুখে তৃণমূল জমায়েত করে রেখেছে। কেউ ভোট দিতে গেলেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখাচ্ছে। ফলে, আমরা কেউ ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারছি না। এক ভোটার বলেন, ৩৫ নম্বর বুথে আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল। আমি বুথে গেলে বলা হয়, ভোট হয়ে গিয়েছে চলে যা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কেউ কিছু করল না। আমি ভোট না দিয়ে বুথ থেকে ফিরে এসেছি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে আমরা ভোট দিতে পারিনি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    সাগরপাড়া বুথে ভুয়ো ভোটার!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার রওশননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭২ নম্বর বুথের ভেতরেই চলল তুমুল উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এক ভুয়ো ভোটার বুথে আসেন। তাঁর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় সিপিএম এজেন্ট আপত্তি জানান। এরপরই তৃণমূলের এজেন্ট সহ কর্মীরা তাঁকে বুথের ভিতরের মারধর করে বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের কারণে ভোটদান কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    Malda: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা (Malda) উত্তরের হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রামপঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ ১২২ নম্বর বুথ। সাড়ে তেরোশো ভোটার। বুথের মধ্যে ছিল সমস্ত আয়োজন। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে প্রিসাইডিং অফিসার সকলেই উপস্থিত। কিন্তু, যাদের জন্য এত আয়োজন, সেই ভোটাররা কেউ বুথ মুখী হননি। তবে, বুথের কাছে পোস্টার হাতে একাধিক দাবি নিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন ভোটাররা। বিকাল ৪ পর্যন্ত ওই বুথে একটি ভোটও পড়েনি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    ভোট না দিয়ে অবস্থানে ভোটাররা (Malda)

    রাজ্যে জুড়ে ভোটের আগে ভোট বয়কট করার অভিযোগ অনেক শোনা যায়। পরে, ভোটারদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, মালদা উত্তরের (Malda) হবিবপুরের মঙ্গলপুরার ১২২ নম্বর বুথের ঘটনাটি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, এই বুথের বাসিন্দারা আগাম ভোট বয়কট করার কথা ঘোষণা করেননি। তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের কাছে রেখেছিলেন। কিন্তু, সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় এদিন বুথে গিয়ে ভোট না দেওয়ার সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, কেউ বাড়ির মধ্যে ছিলেন না। বাড়ির মহিলারা সকাল থেকে বুথের বাইরে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার পোস্টার হাতে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ আধিকারিক থেকে প্রশাসনের আধিকারিক সকলেই বহু চেষ্টা করার পরও ভোটারদের ভোটদানে ব্যবস্থা করতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের (Malda) বক্তব্য, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নেই। এলাকায় নেই কোনও ব্রিজ। ফলে, বাসিন্দাদের চরম নাকাল হতে হয়। বহুবার প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়েছে। দিনের পর দিন ভোটের প্রচারে এসে নেতারা আশ্বাস দেন, সব উন্নয়ন হয়ে যাবে। অথচ ভোট মিটলে কারও দেখাটুকু মেলে না। কথা শোনার কেউ থাকে না আর। তাই  আমরা এদিন ভোট দেওয়ার পরিবর্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছি। আমরা দাবি আদায়ের জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। আগে আমাদের দাবি পূরণ করে দিলে আমরা এই আন্দোলন করতাম না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti)। আপামর বাঙালির কাছে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এবছর ভোটের আবহের মধ্যেই পড়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। আর সেই কারনেই এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও রাশ টানল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কেবল মুখ্যসচিব-সহ সরকারি স্তরের আধিকারিকরা সরকারিভাবে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করতে পারবেন।

    কমিশনের নির্দেশ (Election Commission)

    ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সাধারণ বাঙালি, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নেতা–মন্ত্রীরা কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বা রবীন্দ্র জয়ন্তীর কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বুধবার রবীন্দ্র সদনে থাকতে পারবেন না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে কমিশন (Election Commission)। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র সদনে। প্রত্যেক বছরের এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা। তবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে এবার সেটি আর হচ্ছে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি রবীন্দ্র জয়ন্তী সংক্রান্ত ব্যানার বা হোর্ডিং ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন:সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    আগেও দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে রাজ্য সরকারকে শর্তসাপেক্ষে ‘‌বাংলা দিবস’‌ পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পয়লা বৈশাখ পালন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল, সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি অফিসাররাই। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট ছিল রাজ্যে। তার আগে ১৪ এপ্রিল ছিল পয়লা বৈশাখ। কিন্তু তাতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও। আর পয়লা বৈশাখের পর এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti) পালনের ক্ষেত্রেও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share