Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Narendra Modi: স্বাধীনতার পর প্রথম আসছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী, জন-সুনামি হবে মোদির সভায়, দাবি বিজেপির

    Narendra Modi: স্বাধীনতার পর প্রথম আসছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী, জন-সুনামি হবে মোদির সভায়, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে আসছেন রায়গঞ্জে। বিজেপি নেতা, কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি উন্মাদনা তুঙ্গে সাধারণ মানুষেরও। পাড়ায়-পাড়ায়, হাটে-বাজারে, প্রতিটি চায়ের দোকানের আড্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে চর্চা চলছে।

    মোদির সভার প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে (Narendra Modi)

    জানা গিয়েছে, ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় সস্ত্রীক এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই সময়ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। এমনকী ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানের ছাদে উঠে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছিলেন। একটি ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন একাধিক মানুষ। পথসভা করলেও কোনও প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেননি রায়গঞ্জে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে আগামী ১৬ই এপ্রিল নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এসপিজি কমান্ডোরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করে, সভাস্থল সহ আসা-যাওয়ার রাস্তা, হেলিপ্যাড এবং গোটা শহরের সার্বিক অবস্থা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছেন।

    জন্মের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাব, বলল রায়গঞ্জবাসী

    ইতিমধ্যে বায়ুসেনার একাধিক MI17 হেলিকপ্টার এসে রায়গঞ্জ স্টেডিয়াম ও মিরুয়ালে অবস্থিত বিএসএফ ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে এসে ট্রায়াল দিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভা ঘিরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। শুধু বিজেপি নেতা-কর্মী নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও চরম উদ্দীপনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে। গণেশ দাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা খুব উৎসাহী, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখতে পাব। জন্মের পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে রায়গঞ্জে দেখতে পাব।” বাপ্পা সাহা নামে রায়গঞ্জের অপর এক বাসিন্দা বলেন, “এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে সভা করবেন। অবশ্যই দেখতে যাব। আমরা সাধারণ মানুষ খুবই উৎসাহী।” রায়গঞ্জের অপর এক বাসিন্দা তথা ছাত্রী সুস্মিতা দাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসছেন, আমরা খুবই এক্সাইটেড। খুব ভালো লাগছে যে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসবেন। রায়গঞ্জের উন্নয়ন হোক এটাই চাই।” কৌশিক সরকার নামে এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তো কোনও দলের নয়, প্রধানমন্ত্রী সবার। এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসছেন, অবশ্যই ভালো। সাধুবাদ জানাই।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    জন সুনামি হবে 

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “আগামী কাল লক্ষাধিক মানুষের জন-সুনামি হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ,উদ্দীপনা, রোমাঞ্চ কাজ করছে, তা কল্পনাতীত। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন বাজারে, দোকানে, প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভাতে আসার নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ লক্ষ্য করেছে। আমরা চিন্তায় রয়েছি যে এত লোককে কোথায় জায়গা দেব? তাই সাধারণ মানুষের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, এবং প্রধানমন্ত্রীর সভা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সমস্তটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    Narendra Modi: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) এগিয়ে আসতেই প্রার্থীর হয়ে ভোটের ময়দানে প্রচারে নামলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি (Rajnath Singh)। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জয়গান করে বিশ্বের দরবারে ভারত কোন উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেকথাই তুলে ধরলেন রাজনাথ সিং। সব মিলিয়ে তাই উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভোটপ্রচার বেশ জমজমাট।

    মোদি প্রসঙ্গে কী বলেছেন রাজনাথ (Narendra Modi)?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সভা থেকে মনোজ টিগ্গার (Manoj Tigga) হয়ে প্রচারের সময় রাজনাথ তুলে ধরেন, কীভাবে এক ফোনেই কাতারে কর্মরত ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসারদের ফাঁসির সাজা আটকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনাথ সিং এদিনের সভায় বলেন, “ভারতীয় নৌসেনার কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কাতারের কিছু সংস্থায় কাজ করতেন। সেখানে তাঁদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেই খবর প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছিলেন কাতারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। আর তার দু-তিন দিনের মধ্যেই সেখানকার প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রাক্তন নৌসেনার অফিসারদের ফাঁসির সাজা মুকুব করে দিয়েছিলেন এবং এরপর তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতে ফিরে আসেন।”

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ

    এর পাশাপাশি রাজনাথ সিং-এর বক্তব্যে উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কথাও। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েছিলেন সেখানে। সেই সময়েও কীভাবে আটকে পড়া পড়ুয়াদের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) উদ্ধার করেছিলেন, সে কথাও মনে করালেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরই চার ঘণ্টার জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় এবং সাড়ে ২২ হাজার ভারতীয় দেশে ফিরে আসেন। এই সাফল্য দেশের জন্য বড় বিষয়।”

    আরও পড়ুন: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    মোদির জয়গান

    উল্লেখ্য, সামনেই রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আগামী ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তাই তার আগে শেষ মুহূর্তের রবিবাসরীয় প্রচারে মোদির (Narendra Modi) জয়গান করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যদিও পাহাড়ের মাটিতে বিজেপির (BJP) গড় বেশ শক্তই রয়েছে। তার মধ্যেই জনসাধারণের মধ্যে বিজেপির হাওয়া সতেজ রাখতে উদ্যোগী রাজনাথ সিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Congress clash: অধীরের গড়ে কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের দাদাগিরি! বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর

    BJP Congress clash: অধীরের গড়ে কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের দাদাগিরি! বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের (baharampore) স্কোয়ার ময়দানে একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্ক (Debate) সভা চলাকালীন বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার (youth morcha) সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ (BJP Congress clash) উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মূল অভিযোগের তীর কংগ্রেস নেতা শিলাদিত্য হালদারের দিকে। তাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে হামলা করেছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা আয়োজিত এই বিতর্ক সভায় বিজেপির উদ্দ্যেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর উত্তর দিতেই মারমুখী হয়ে ওঠে কংগ্রেস (congress) কর্মীরা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরির গড়ে এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (BJP Congress clash)

    মুর্শিদবাদ জেলার বিজেপি সহ-সম্পাদিকা অনামিকা ঘোষ বলেন, “বিতর্ক করতে শিক্ষিত সমাজের লোকেরা আসে। সেখানে কী করে এখানকার পাঁচটি টার্মের সাংসদ এইরকম দুষ্কৃতীদের পাঠালেন। তিনি কি ভয় পেয়ে গিয়েছেন? প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীরা ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের উপর হামলা (BJP Congress clash) করে। কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা বিজেপির যুব মোর্চাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করছে। তবে বিজেপির যুবকর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পাশে তৃণমূলের সমর্থকেরা ছিল কিন্তু তারা গোটা ঘটনাপর্ব চলাকালীন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”

    প্রতিবাদে থানা ঘেরাও

    এই রাজনৈতিক আক্রমণের ঘটনায় অশান্তির পর্ব শেষে বিজেপি (BJP) বহরমপুর (baharampore) থানা ঘেরাও করে। একইসঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের (BJP Congress clash) গ্রেফতার করতে হবে। এরকম সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য যদি চলতে থাকে, তাহলে মানুষ ভোট দিতে পারবে না। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় আন্দোলন করা হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ ওড়িশায় লাভ জিহাদের শিকার তরুণী! খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল যুবক 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    বিজেপি কর্মীদের এই হামলার (BJP Congress clash) ঘটনায়, পাল্টা কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, “জনসমক্ষে নিজেদের কথা তুলে ধরতে না পেরে রণভঙ্গ করে বিজেপি ময়দান ত্যাগ করেছে। কংগ্রেসের কর্মীরা চিৎকার চেঁচামেচি কিছুই করেনি। হামলার ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেস কোনও ভাবেই জড়িত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attacks On BJP: বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রচার গাড়িতে আক্রমণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    Attacks On BJP: বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রচার গাড়িতে আক্রমণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) প্রচার গাড়ির ওপর হামলার (Attacks On BJP) অভিযোগের আঙুল উঠল তৃণমূলের (TMC) দিকে। বুধবার রাতে বিজেপির একাধিক প্রচার গাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাঁকুড়ার (bankura) ইন্দাস থানার খোসবাগ এলাকায় রাতের অন্ধকারে গাড়িগুলি ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। শুধুমাত্র গাড়ি ভাঙচুরই নয় পাশাপাশি গাড়িতে থাকা প্রচারের সব ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে হামলাকারীরা। একই ভাবে কর্মীদের করা হয় ব্যাপক মারধর। তবে ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই হামলার (Attacks On BJP) ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির এক নেতা বক্তব্য দিয়ে বলেন, “এদিন রাতে নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকশিত ভারতের প্রচার মূলক দুটি গাড়ি বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এলাকা থেকে ইন্দাসের দিকে যাচ্ছিল। কারণ শুক্রবার ইন্দাস এলাকায় বিকশিত ভারতের একটি প্রদর্শনী হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই ইন্দাসের খোসবাগ এলাকায় আসতেই বিকশিত ভারতের ওই দুটি গাড়ির উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাংচুর এবং বিজেপি কর্মীদের উপর চলে ব্যাপক মারধর। তবে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। মানুষ ভোটে জবাব দেবেন।”

    অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিশের (Attacks On BJP)

    ঘটনায় গাড়ির চালকেরা ইন্দাস থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ইন্দাস থানার পুলিশ (police) সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। এরপরে ই-মেলের মাধ্যমে পুলিশকে ও নির্বাচন কমিশনকে গোটা ঘটনাটি জানায় বিজেপি নেতৃত্ব। একই সঙ্গে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে রাজ্যের শাসক দলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুনঃ “চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব”- তৃণমূলের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে গোটা ঘটনাটিকে বিজেপির সাজানো বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বরং বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ (saumitra khan) নিজের দলের লোকেদের দিয়ে ভাঙচুর (Attacks On BJP) করিয়ে সমবেদনা আদায়ের চেষ্টা করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে বাহিনীর সঙ্গে ১০ হাজার রাজ্য পুলিশও থাকবে, জানাল কমিশন

    Election Commission: রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে বাহিনীর সঙ্গে ১০ হাজার রাজ্য পুলিশও থাকবে, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট রয়েছে ১৯ এপ্রিল। কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোটে কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও মোতায়েন করা হবে। প্রথম দফায় তিন কেন্দ্রের লোকসভা ভোটে ১০ হাজারেরও বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। এমনটাই জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটের তিন দিন আগে পুলিশ পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কেন্দ্রগুলিতে।

    নির্বাচন কমিশন মোতায়েন করবে ১০,৮৭৫ পুলিশ কর্মী 

    প্রসঙ্গত প্রথম দফার ভোটে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট রয়েছে। ওই তিনটি কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশন মোতায়েন করবে ১০,৮৭৫ পুলিশ কর্মী। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ৩,৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবেন। ভোটে তিন দিন আগেই ১৬ এপ্রিল দুপুরের মধ্যে ওই পুলিশ কর্মীদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে (Election Commission) পৌঁছে যেতে বলা হবে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি তিন কেন্দ্রে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, আপাতত প্রথম দফার ভোটের জন্য ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা হবে। যার মধ্যে আলিপুরদুয়ারে থাকবে ৬৩ কোম্পানি বাহিনী, কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি বাহিনী এবং জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি বাহিনী।

    তিন কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৪টি

    জানা গিয়েছে, প্রথম দফার ভোটে তিন কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী (Election Commission) দিয়ে ভোট করাতে হলে বিধানসভা কিছু ১৬ থেকে ১৮ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন হয়। ৩টি লোকসভায় মোট বিধানসভা ২১টি। অর্থাৎ ঠিকঠাক বাহিনী দিয়ে ভোট করালে নূন্যতম ৩৩৬ কোম্পানিরও বেশি বাহিনী প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত সারা রাজ্যে মোট ২৭৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন সকলে রাজ্যে এসে পৌঁছাতে পারেননি। তাই প্রথম দফায় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার পর যে কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে গেলে খাবারের বিলে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ ছাড়। উত্তরাখণ্ডে ভোটারদের উৎসাহ দানের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে মৌ স্বাক্ষর করা হয়েছে।

    কতদিন, কীভাবে মিলবে পরিষেবা

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ এপ্রিল ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বেরিয়ে কোনও ভোটার যদি হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে যান, তবে খাবারের বিলে তিনি ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিষেবা ভোগ করতে পারবেন ভোটারেরা। উত্তরাখণ্ডের সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সভাপতি এই প্রসঙ্গে জানান, খাবারের বিলে ছাড় দেওয়ার আগে আঙুলে কালির ছাপ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন আদপে তাঁরা ভোট দিয়েছেন কি না। উত্তরাখণ্ডের হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা সমস্ত হোটেল ও রেস্তরাঁতেই এই অফার পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    কেন এই উপহার

    আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু দেশে। ১ জুন সাত দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষের পর ৪ জুন জানা যাবে কারা ফিরছে মসনদে। উত্তরাখণ্ডে প্রথম দফায় ভোট হবে। উত্তরাখণ্ডে ৫টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।  ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই অফার দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য ইলেকটোরাল অফিসার বিজয় কুমাক যোগদান্দে এই বিষয়ে বলেছেন, “রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়াতে একাধিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। উত্তরাখণ্ড হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবনা এনেছিল এবং নির্বাচন কমিশন এতে রাজি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    Loksabha Election 2024: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে তৃণমূলকে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি (Loksabha Election 2024)। দশম দফার প্রার্থিতালিকায় ঘোষণা করা হল বাংলার এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। আসানসোলে পদ্ম প্রতীকে লড়বেন প্রবীণ বিজেপি নেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী চিত্র তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা। আর আলুওয়ালিয়া ‘ভূমিপুত্র’।

    আসানসোলের ‘ভূমিপুত্র’ (sabha Election 2024)

    পদ্ম-প্রার্থীর জন্ম আসানসোলে। পড়াশোনা সেন্ট জোসেফ স্কুলে। বাবার চাকরির সূত্রে অসমে চলে গেলেও, আসানসোলের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন হয়নি তাঁর। কলেজের পাট চুকিয়ে আলুওয়ালিয়া আইন পড়তে শুরু করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিয়ে করেন অবিভক্ত বর্ধমানের মেয়েকে। সেই অর্থে তিনি বাংলার জামাই। পদ্ম চিহ্নে এই প্রথম নয়, আগেও লড়েছেন পাঞ্জাবি আলুওয়ালিয়া (Loksabha Election 2024)। দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে জিতে পা রাখেন সংসদে। পরে জয়ী হন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকেও। এবার লড়ছেন আসানসোল কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রে শত্রুঘ্নকে মাত দিতে বিজেপি প্রথমে প্রার্থী করেছিল ভোজপুরি শিল্পী পবন সিংকে। পরে কিস্তি মাত দিতে তাঁকে সরিয়ে ঘোষণা করা হয় আলুওয়ালিয়ার নাম।

    রাজনীতির আঙিনায় মৌ-লোভীর দল!

    ২০১৪ সালে আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করে সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে। পদ্মের টিকিটে হইহই করে জিতে যান রাজনীতির আঙিনায় সদ্য পা রাখা বাবুল। মোদি ম্যাজিকে ভর করে উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও জয়ী হন বাবুল। পরে মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ায় পদ্ম-মালঞ্চ ছেড়ে মধুর খোঁজে বাবুল গিয়ে বসেন ঘাসফুলে। বাবুল সাংসদ পদে ইস্তফা দিতেই অবাঙালি অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তাঁর নিজস্ব ক্যারিশ্মার জেরেই আসানসোলের কালো হিরের খনিতে ফোটে ঘাসফুল। সেই শত্রুঘ্নকেই ফের প্রার্থী করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    আরও পড়ুুন: “ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলার জামাই। নাম ঘোষণা হয়েছে শুনে তিনি বলেন, “প্রার্থিতালিকা দেখেই জানলাম। বৃহস্পতিবারই আসানসোলে যাচ্ছি।” পক্ষকালের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে আলুওয়ালিয়াকে। আজ পর্যন্ত হারেননি নির্বাচনে। এবারও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আলুওয়ালিয়া জিতলে বিজেপি মোক্ষম জবাব দিতে পারবে এক ‘গুণীজন’কে। মধুর লোভে যিনি পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। পদ্মকানন ছেড়ে যিনি আশ্রয় নিয়েছেন ‘দুর্নীতি’র পাঁকে বেড়ে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা ঘাসফুলের জঙ্গলে (Loksabha Election 2024)।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কদিন বাদেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), শেষ মুহূর্তে কোমর বেঁধে প্রচার চালাচ্ছেন সব দলের প্রার্থীরাই। তবে এই শাসক-বিরোধী দলের ভোটের লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর। তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচারে আসবেন তাই সরকারি স্কুল ছুটি! এই রাজ্যের সরকারি স্কুল এখন রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। কয়েকদিন আগে বীরভূমের এক স্কুলেই হয়েছে তৃণমূল মন্ত্রীর রাজনৈতিক সভা। এদিন ফের স্কুলে রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কমিশনে নালিশের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে (Dev at Alipurduar)।

    নিরাপত্তা অজুহাতে স্কুল ছুটি (Dev at Alipurduar)!

    সোমবার আলিপুরদুয়ারে (Aliporeduar) ভোট প্রচারে আসেন এবারের লোকসভা ভোটের ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর দেব আসবে বলেই নিরাপত্তা অজুহাতে ছুটি দেওয়া হল স্কুল। অন্তত নোটিশে তাই উল্লেখ করেছে আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের নোটিশে (school notice) স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব ক্লাস চতুর্থ পিরিয়ডের পরে ছুটি হয়ে যাবে, কারণ সাংসদ শ্রী দীপক অধিকারী (Dev at Alipurduar) সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ আকাশ পথে হেলিকপ্টারে বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করবেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    বিদ্যালয়ে ছুটি দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রসঙ্গে জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্চ অমিত কুমার দত্ত বলেছেন, “স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড হয়েছে, মাইক বাজছে। ক্লাস করাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যেহেতু আমাদের এখানে ব্যবস্থা হয়েছে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” এবার আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনায় আবারও বন্ধ হল পঠন-পাঠন। তবে দেব (Dev at Alipurduar) আসবে বলে নিরাপত্তা রক্ষার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের (election) জন্য বা ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে কেন বারবার পঠনপাঠনে বাধা হচ্ছে সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে স্কুলের শিক্ষক মুখে কিছু না বললেও তাঁর উপর যে চাপ রয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিজেপি। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের (Dev at Alipurduar) প্রার্থী মনোজ টিগ্গা এই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। তাই শিশুদের পড়াশুনা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। তাঁরা ভোটের জন্য যা খুশি করতে পারেন। তবে আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো।”

    আরও পড়ুনঃ শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতের তাৎপর্য

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এদিকে জেলার (Dev at Alipurduar) তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলে কে হেলিপ্যাড তৈরি করেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবো।” আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যসভার সদস্য আরও বলেন, “এই কেন্দ্রে বিজপির হার যে নিশ্চিত তা বুঝে গিয়েছেন তাঁরা। সে জন্যই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত পর্বে দীর্ঘ সময় দেশ শাসন করেছে কংগ্রেস। ফি বার নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে নিয়ম করে প্রকাশ করেছে ইস্তাহারও। তবে সেসবই মিথ্যার ফুলঝুরি। কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছে জনতা। এতে লাভ হয়েছে একটা। বছরের পর বছর রাজত্ব করে গিয়েছে গান্ধী পরিবার। বাবার পর মেয়ে, মেয়ের পর তাঁর ছেলে… রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের টিকি বাঁধা ছিল গান্ধী পরিবারের কাছে। তাই দীর্ঘ সময় কংগ্রেস চালকের আসনে বসলেও ফুলেফেঁপে উঠেছেন নেতারা। দেশ এগোয়নি এক পা-ও।

    মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024)

    বারংবার ঠকতে ঠকতে কংগ্রেসের ওপর বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছেন দেশবাসী। তাই ২০১৪ সালে দেশের চালকের আসনে মানুষ বসায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএকে। যে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে মানুষ কংগ্রেস নয়, ভরসা করেছে বিজেপির ইস্তাহারের ওপর। কারণ তার আগে প্রত্যেকবার কংগ্রেসের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেওয়া হলেও, তা কীভাবে পূরণ করা হবে তার কোনও দিশা দেখানো হয়নি। কখনও তোষণের রাজনীতি, কখনও আবার জোটের নামে ঘোঁট পাকিয়ে কংগ্রেস শাসন করে গিয়েছে দেশ। ভোট সর্বস্ব রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে ভারতকে কীভাবে জগৎ সভায় ফের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো যায়, তা ভাবতে ভুলেই গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার জেরে কংগ্রেসের আমলে রাশিয়ার বাইরে ভারতকে সেভাবে কেউ চিনত বলে মনে হয় না। এর এক এবং একমাত্র কারণ, কীভাবে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা যাবে তা নিয়ে ভেবেছে কংগ্রেস, দেশের কী হবে, গরিবের কী হবে তা কখনও ভাবেননি ইন্দিরা গান্ধী কিংবা তাঁর উত্তরসূরিরা। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছিল দেশ।

    ইস্তাহার রয়েছে, দিশা নেই

    আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেস যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তার পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’। তাতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, অগ্নিপথ তুলে দেওয়া, জাতগণনা সহ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমার টাকা কোথা থেকে আসবে, অগ্নিপথ কীভাবে তোলা যাবে, বিকল্পই বা কী, এত বড় একটা দেশে জাতগণনাই বা কীভাবে সম্ভব, তার কোনও দিশা নেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ‘ন্যায়পত্রে’।  দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস জনমোহিনী ইস্তাহার তৈরি করেছে তো বটে, কিন্তু, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। গোটাটাই আষাঢ়ে গল্প ছাড়া কিছুই নয়। এই সমস্ত ফাঁকা প্রতিশ্রুতি কেবলমাত্র যে এক শ্রেণির ভোটারকে কেন্দ্র করেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট— দেশের উন্নতি, প্রগতি রসাতলে যাক, জনমোহিনীর ধোঁয়া দিয়ে নিজেদের আখেরেটা গোছাতে পারলেই হল।

    কংগ্রেসের পদাঙ্ক অনুসরণ তৃণমূলেরও

    কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূলের দশাও তাই। সর্বভারতীয় দল বলে নিজেদের দাবি করলেও, আদতে ক্ষমতায় রয়েছে কেবল পশ্চিমবঙ্গে। ক্ষমতায় থাকতে কংগ্রেসের মতো তারাও বেছে নিয়েছে সস্তার রাজনীতি। তাদেরও লক্ষ্য হল, দান-খয়রাতি এবং তোষণের রাজনীতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন-প্রকারেন। এই হাটুরে রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া সরকারি নানা প্রকল্পের টাকা অকাতরে বিলানো হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা ‘শ্রী’-যুক্ত (যুবশ্রী ইত্যাদি) কোনও প্রকল্পে। খয়রাতির পয়সা পেয়ে জনগণও উজাড় করে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই ধরাকে সরা জ্ঞান করে কার্যত লুটে খাওয়ার রাজনীতি করে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অনেক নেতাই। সামান্য মাছ বিক্রেতা থেকে কেউ বনে গিয়েছেন কোটিপতি, কেউ আবার কালীঘাটের কমবেশি ৪০টি প্লটের মালিক হয়েছেন স্রেফ ‘রাজনীতি’ করে। রাজ্যে শিল্প নেই। বাম রাজত্বের পর যে ক’টা কলকারখানায় সাতসকালে ভোঁ বাজত, শ্রমিক-কর্মচারিরা ডিউটি ধরতে ছুটতেন, তৃণমূলের শাসনে সেক’টিতেও তালা ঝুলেছে। কলকারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বের না হওয়ায় হয়তো দূষণ খানিক কমেছে, তবে পেটে গামছা দিয়ে পরিবার নিয়ে পড়ে ছিলেন শ্রমিকরা।

    (ঢপের) চপ শিল্প

    মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ধরে রেশনে মুফতে চাল দিচ্ছে, তাই দু’বেলা খাবার জুটছে এই সব পরিবারে। না হলে যে কী হত! অবশ্য রোজগারের (Lok Sabha Election 2024) উপায় বের করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তাঁর পরামর্শ, চপ শিল্প করুন। তিনি আউড়ে গিয়েছেন, সেই অমোঘ সত্যবাণী, কোনও কাজই ছোট নয়। হক কথা। তবে কেন তাঁর দলের নেতারা রাজনীতি করে ‘কামাই’ করছেন? কেন চপের দোকান খুলছেন না? আর সবাই (ঢপের) চপ শিল্প চালালে ক্রেতাই বা জুটবে কোত্থুকে? তার দিশা নেই এই সর্বজ্ঞের কাছে। তাই বাংলার অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার। হা-চাকরি দশা। বিরাট বিরাট ডিগ্রিধারীরাও পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্য চলে যাচ্ছেন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে!

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    এবার তাকানো যাক মুদ্রার উল্টো পিঠে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের বিজয়রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। পদ্ম-ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি নেই, রয়েছে নির্ভেজাল আশ্বাস, নিশ্চিত দিশা। যার জেরে গত ১০ বছরে দেশ এগিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতিতে। এখন আর মানুষকে পিঁপড়ের ডিম খেতে হয় না। খিদের জ্বালায় কাঁদতে থাকা ছেলেকে ভোলাতে এখন আর দেশের কোনও মাকে হাঁড়িতে কেবলই জল গরম করতে হয় না। রেশনে পাওয়া চালেই হয় ভাত। কাঠের জ্বালের বদলে হেঁসেলে চলে এসেছে সস্তার উজালা গ্যাস। এখন দ্রুত রান্না সেরে, ছেলে মেয়েকে খাইয়ে স্কুলে পাঠিয়ে ভারতের কোনও এক অখ্যাত গাঁয়ের বধূও হাতে ফাইভ জি মোবাইল নিয়ে চন্দ্রাভিযানের লাইভ শো দেখেন।

    ভারত যে এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে! পূরণ হয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন (Lok Sabha Election 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi News: ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ’’, ছত্তিশগড়ের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi News: ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ’’, ছত্তিশগড়ের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News)। ছত্তিশগড়ের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ।’’ প্রধানমন্ত্রী সোমবারই তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘রামনবমী খুব বেশি দূরে নয়। চলতি বছরের রামনবমী এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রামলালা তাঁবুর বদলে মন্দিরে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ৫০০ বছর পরে আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ছত্তিশগড়ের ননীহালের (ননীহালকে রামচন্দ্রের মামা বাড়ি মানা হয়) সবথেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা।’’ গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরও কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেসের র‌য়াল ফ্যামিলি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।’’

    বস্তারের জনসভা

    সোমবারে ছত্তিশগড়ের বস্তারে (PM Modi News) সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সেখানে এই কথাগুলি তাঁকে বলতে শোনা যায়। প্রসঙ্গত, বস্তারে ভোট রয়েছে প্রথম দফাতেই। তা হল ১৯ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও দাবি করেন, রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করাতে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে কংগ্রেস কোন পর্যায়ে তোষণ নীতিতে পৌঁছেছে। কংগ্রেস যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তা বাস্তবিক পক্ষের মুসলিম লিগের ইস্তাহার।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi News) এদিন আরও দাবি করেন, ‘‘যাঁরা যাঁরা সেদিনকার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে কংগ্রেস পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে।’’

    দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হবে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News) এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস মনে করত যে তাদের কাছে দেশবাসীকে লুট করা লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে মোদি সেই লাইসেন্সকে ক্যানসেল করে দিয়েছে। মোদি সেই ক্ষমতা পেয়েছে, তার কারণ মোদিকে সেই লাইসেন্স দিয়েছে দেশের জনগণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদির জন্য ভারতই হল পরিবার। আমি সর্বদাই ব্যস্ত থাকি, আমার দেশকে রক্ষা করার জন্য। আমি যদি বলি যে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হবে, তারা তখন বলে যে দুর্নীতিকে বাঁচাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share