Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Central Force: এপ্রিলের শুরুতেই আসছে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী, জানাল নির্বাচন কমিশন

    Central Force: এপ্রিলের শুরুতেই আসছে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সামনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হত্যার সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ৫০-র বেশি হয়েছে। ভোট ঘোষণার অনেক আগেই তাই রাজ্যের জন্য সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। ৯২০ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গে। বাহিনী সংখ্যায় (Central Force) পশ্চিমবঙ্গ পিছনে ফেলে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকেও। ধাপে ধাপে রাজ্যে আসছে তারা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে।

    কোন কোন বাহিনী আসছে রাজ্যে

    এপ্রিলে রাজ্যে আসতে চলা ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। বাহিনী আসছে এই খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘পর্যাপ্তবাহিনী ছাড়া বাংলায় নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়, একথাটা আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি।’’

    ২ দফায় এসেছে ১৫০ কোম্পানি বাহিনী

    ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে। প্রথম দফায়, ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিন আরও ৫০ বাহিনী (Central Force)। জেলায় জেলায় বাহিনী রুটমার্চও করছে। সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ নির্মাণ ও সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে।

    ৭ দফায় নির্বাচন

    উল্লেখ্য, সারা দেশে নির্বাচন সাত দফায় হবে। প্রতিটি দফাতেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসন থাকবেই। প্রথম দফার নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় প্রথম দফার তিনটি আসনের ভোটে ২২৫ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ব্যবহার করা হতে পারে।

     

    আরও পড়ুন: ইন্ডি জোটে জট, কোচবিহার আসনে বামের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ইন্ডি জোটে জট, কোচবিহার আসনে বামের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী

    Lok Sabha Election 2024: ইন্ডি জোটে জট, কোচবিহার আসনে বামের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাতে ফের জটে ইন্ডি জোট। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগেই একা লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন অন্যতম শরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরবর্তীতে জোটে থেকে যায় বামদলগুলি এবং কংগ্রেস। সেইমতো প্রার্থীও ঘোষণা করে তারা। কিন্তু গতকালই সারাদেশের ৪৬টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তালিকায় রয়েছে কোচবিহার আসনটিও। সেখানে হাত চিহ্নে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন প্রিয়া রায়চৌধুরী। অন্যদিকে এই কোচবিহার কেন্দ্রেই রাজ্য বামফ্রন্ট তাদের প্রথম পর্যায়ের যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছিলেন, কোচবিহার কেন্দ্রে বাম সমর্থিত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নীতিশ চন্দ্র রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এবার সেখানেই কংগ্রেসকেও প্রার্থী ঘোষণা করতে দেখা গেল।

    দড়ি টানাটানি পুরুলিয়া আসন নিয়েও

    অন্যদিকে, পুরুলিয়া আসন নিয়ে (Lok Sabha Election 2024) কংগ্রেস এবং বামেদের চাপানউতোর চলছে। সেখানে কংগ্রেস ইতিমধ্যে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে নেপাল মাহাতোকে। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক নাছোড়বান্দা রয়েছে।  তারা ওই আসন কোনওভাবেই ছাড়বে না। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া আসনে বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে। খুব অঘটন না ঘটলে এখানে বিজেপিই জিততে চলেছে সব ঠিকঠাক থাকলে, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পরিবারতন্ত্র বজায় থাকল কংগ্রেসে

    শনিবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার আসন (Lok Sabha Election 2024) ছাড়া অসমের ১টি, ছত্তিশগড়ের ১টি, জম্মু ও কাশ্মীরের ২টি, মধ্য প্রদেশের ১২টি আসনে, মহারাষ্ট্রের ৩টি আসনে, মণিপুরের ২টি আসনে, মিজোরামের ১টি আসনে, রাজস্থানের ৩টি আসনে, তামিলনাড়ুর ৭টি আসনে, উত্তর প্রদেশের ৯টি আসনে এবং উত্তরাখণ্ডের ২টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই প্রার্থী তালিকায় রয়েছে পি চিদাম্বরমের পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের নাম। প্রতিটি পর্যায়ে প্রার্থী ঘোষণায় কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের ছাপ রেখেই চলেছে। অন্যদিকে প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো কট্টর হিন্দু বিরোধী নেতাও।

     

    আরও পড়ুন: বিজেডির সঙ্গে জোট নয়, লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশায় একাই লড়বে বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh Crisis: হিমাচলে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ৬ বিদ্রোহী বিধায়ক

    Himachal Pradesh Crisis: হিমাচলে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ৬ বিদ্রোহী বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh Crisis) ছ’জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের পাশাপাশি তিন নির্দল এমএলএ শনিবার যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। শিমলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উপস্থিতিতে মোট ৯ বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে। জানা গিয়েছে, ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিন নির্দল এমএলএ ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনের মুখোমুখি হবেন।

    বিজেপিতে আসা কংগ্রেস বিধায়করা

    বিজেপিতে যোগদানকারী (Himachal Pradesh Crisis) বিধায়করা হলেন— রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)-কে প্রার্থী করবে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি, তিন নির্দল— আশিস শর্মা (হামিরপুর), হোশিয়ার সিংহ (দেহরা) এবং কৃষ্ণলাল ঠাকুর (নালাগড়)। ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ককে বরখাস্ত করেন হিমাচলের স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া। তাঁর এহেন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের পরেই গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানায় আগামী ৭ মে ওই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে।

    রাজ্যসভায় ‘ক্রস ভোটিং’

    হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেস (Himachal Pradesh Crisis) সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ স্পিকার বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। তবে তার ঠিক ২ দিন আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁদের সঙ্গেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন কংগ্রেস সরকারের সমর্থক তিন নির্দলও। নির্বাচনে ‘ক্রস ভোটিং’-র জেরে কংগ্রেস প্রার্থী তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের হিমাচল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ৩৫। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের রইলেন ৩৪ জন বিধায়ক। বিজেপির রয়েছে ২৫ বিধায়ক। বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেক কংগ্রেস বিধায়কই (Himachal Pradesh Crisis)। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) অনেক ভোটার কাঁটাতারের ওপারে থেকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। নিজেদের প্রার্থীদের কখনই চোখে দেখেননি তাঁরা। নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলতেও পারেননি কোনও দিন। দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র লোকসভা ভোটের প্রচার করলেন এই এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে। প্রচারে নজর কাড়লেন সংবাদ মাধ্যমের। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের প্রচারে মানুষের মন জয় করতে সবপক্ষ ময়দানে নেমে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Malda)?

    দক্ষিণ মালদার (Malda) বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র বলেন, “এই কাঁটাতারের ওপারের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করার জন্য একমাত্র দায়ী হল কংগ্রেস। আগের সাংসদেরা ভোটে জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের কোনও খোঁজ নেননি। নেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নেই কোনও স্কুল। মানুষকে পেট চালাতে কাঁটাতার পার করে আসতে হয়। এলাকার সাংসদ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও দিন মানুষের কথা ভাবেননি। মানুষ অভিযোগ কাকেই বা জানাবেন? জনপ্রতিনিধিদের কেউ চোখে দেখেননি সেইসব এলাকার মানুষজন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর মেলেনি। আইসিডি সেন্টার নেই। নেই জল জীবন মিশনের জল। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা।” কাঁটাতারের ওপারের জনগণের এইসকল বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা।

    কোন এলাকায় প্রচার করলেন?

    কালিয়াচক (Malda) থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা এই ভূখণ্ডের মধ্যে একশোর বেশি ভোটার এবং ৩০০ পরিবারে রয়েছে। কাঁটাতারের ওই পার থেকে এসে মানুষকে কাজ করতে হয়। নিয়মিত কাঁটা তারের সীমান্ত খোলা হয়, এরপর মানুষ এসে কাজ করেন। এই এলাকার ভারত ভূ-খণ্ডের মানুষের কাছে সরকারি কোনও প্রকল্পের সাহায্য পৌঁছায়নি বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেস জেলা (Malda) সভাপতি অর্জুন হালদার বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বিধায়ক হিসাবে কী কাজ করছেন, আগে তার হিসাব দিন। আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখা উচিত।” আবার তৃণমূল কগ্রেসের সহ-সভাপতি বলেন, “তিনি শহরের বিধায়ক, শহরের জন্য কী করেছেন আগে জানান। গ্রামে কী করেছেন? আমরাও তো বিরোধী দলে ছিলাম। সেই সময় সিপিএম শাসনে ছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে, আবদার করে কাজ করাতাম। বিধায়ক হিসাবে উনি কী করেছেন, আমরাও জানতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বিধি। এবার সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল আসানসোলের (Asansol) পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Asansol)

    মঙ্গলবার আসানসোল (Asansol) কুলটির ডিসেরগড়ে পীরবাবার মাজারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে তিনি চাদরও চড়ান। এর পরই দেখা যায় মাজার চত্বরে থাকা দুঃস্থ মানুষদের টাকা বিলি করছেন তিনি। বিধায়কের টাকা বিলির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ( যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর বিপরীতে বিজেপি তারকা প্রার্থী পবন সিংকে টিকিট দিয়েছিল। তাঁর গানে বঙ্গ নারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের জেরে লোকসভা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান পবন। যদিও পরে শোনা যায় ঘনিষ্ঠ মহলে ফের ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ভোজপুরী গায়ক। বর্তমানে আসানসোল লোকসভা আসনে নতুন করে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। তারই মাঝে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক। যদিও টাকা বিলির বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন সাধারণ মানুষ নেই। তাঁদের কাছে রেশন, চাকরি, কয়লা, জমি চুরির টাকা রয়েছে। তৃণমূল তাই টাকা দিয়ে ভোটারদের কেনার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।” কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর সাধারণ মানুষ নেই। এই ভোটে তৃণমূলের অবস্থা খারাপ। সংখ্যালঘুরাও তাঁদের পাশে নেই। তাই চুরির টাকা দিয়ে ভোটার কেনার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পর থেকে কমিশনের কাছে জমা পড়ল লাখের ওপর অভিযোগ

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পর থেকে কমিশনের কাছে জমা পড়ল লাখের ওপর অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৬ মার্চ শনিবার দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ (Lok Sabha Election 2024) করেছে কমিশন। নির্বাচন ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যেই কমিশনের কাছে ভোট সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে এক লাখেরও বেশি। প্রথম দফায় রাজ্যের যে আসনগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হল কোচবিহার। দেখা যাচ্ছে, কোচবিহার লোকসভা থেকেই সব থেকেই বেশি অভিযোগ এসেছে।

    সাংবাদিক বৈঠক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে

    বুধবার, এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম নিয়োগী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২৬টি অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024) জমা পড়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচন রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। এই তিন আসনের মধ্যে কোচবিহার থেকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে মোট ৫,৭২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া সিইও-র দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, চার দিনে আলিপুরদুয়ার থেকে ৩,৪৫৮টি অভিযোগ, জলপাইগুড়ি থেকে ১,৯২৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অতিরিক্ত সিইও আরও জানিয়েছেন, রাজ্য, কেন্দ্র এবং কমিশনের ২৪টি সংস্থা মিলে গত ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৮১ কোটি ২১ টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে।

    প্রথম দফার মনোনয়ন বুধবার থেকে শুরু হয়েছে

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল (cVigil) নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও ধরনের অভিযোগ জানালে ১০০ মিনিটের মধ্যে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে কমিশন। বিগত দিনগুলিতে ওই অ্যাপে ২৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকেই দেশে লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। সাত দফায় সারা দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিমবঙ্গেও সাত দফায় নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। প্রথম দফার মনোনয়ন বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বেআইনি কালো টাকার ব্যবহারকে আটকাতে কমিশনের কড়া পদক্ষেপ

    Lok Sabha Election 2024: বেআইনি কালো টাকার ব্যবহারকে আটকাতে কমিশনের কড়া পদক্ষেপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ভোটে বেআইনি অর্থ বা কালো টাকার ব্যবহারকে আটকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, অবৈধ লেনদেন আটকাতে এখন থেকে ব্যাঙ্কের গাড়িতে নজরদারি চালানো হবে। এটিএমে টাকা পাঠানোর গাড়িকেও পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অপর দিকে বাংলায় নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত ৮১ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কমিশনের বক্তব্য (Lok Sabha Election 2024)

    গত শনিবার লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “এইবারের ভোটে ৪ ‘ম’ বা ‘এম’ বিষয়ে অপব্যবহার আটকাতে কড়া নজর রাখবে কমিশন। এই ৪ ‘এম’ বা ‘ম’-এর মধ্যে একটি হল মানি পাওয়ার বা আর্থিক ক্ষমতা। দেশের রাজনৈতিক দলগুলি আর্থিক ক্ষমতার জোরে ভোট কিনে থাকে। তাই এই প্রবণতাকে কড়া হাতে দমন করবে কমিশন।” এই দমন করার অন্যতম কৌশল হল এটিএম ভ্যানে নজরদারি। গাড়িতে নজরদারি, ব্যাঙ্কের গাড়ি বা এটিএমের টাকা পাঠানোর গাড়িতে ‘কিউআর কোড’ ব্যবহার করা হবে।

    ৮১ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত

    লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে নগদ, মদ ও মাদক মিলিয়ে ৮১ কোটি টাকার সামগ্রী বাংলায় নির্বাচন কমিশন বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। গত ১ মার্চ থেকে বেআইনি মদ বাতিল হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২৬ টি এমসিসি ভঙ্গের ঘটনার তথ্য জমা পড়েছে। ১৯ শে এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলপুরদুয়ারে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে কোচবিহারেই ৬ হাজারের বেশি। একই সঙ্গে দার্জিলিং, উত্তর মালদা, দক্ষিণ মালদা, আসানসোল, বনগাঁ, কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ, এই ৬ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে কমিশন। এইসন জায়গায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মনে করে বাড়তি নজর রাখবে কমিশন। বেআইনি টাকা উদ্ধারের ঘটনা ২০১৪ সালে যেমন হয়েছে, ঠিক ২০২১ সালেও হয়েছে। ফলে বাংলায় কমিশনের নজর যে বিশেষভাবে রয়েছে, সেকথা বলা বাহুল্য।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা হাতিনগর বকুলতলায় সকালে চায়ে পে চর্চায় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন “এখানে বিপুল সমর্থন দিয়েছেন আমার মা বোনেরা। তাঁরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছেন এবং যুব সমাজও দাঁড়িয়ে পাশে। আজ এখানকার সবাই মোদির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ফেলে দিয়ে নতুন সরকার এখানে আনবেন।” অপর দিকে মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকর নিজের জয় নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী।

    তৃণমূল-কংগ্রেসকে আক্রমণ নির্মল সাহার (Murshidabad)

    ডাক্তার নির্মল সাহা ভোটের প্রচারে বের হয়ে বলেন, “সেদিনের আর বেশি দেরি নেই, তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবেই এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গঠন করবে এই রাজ্যে। অধীরের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন কাজ নয়। আমি চিকিৎসক হিসেবে বহু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছি। যখন তাঁদের কাছে গিয়ে ভোট চাইবো, তখন আমার এবং দলের আদর্শ নিরিখে আমাকে ভোট দিবেন, এটাই আমার আশা। জেলাবাসীকে একটা কথাই বলবো, এর আগে যাঁকে লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে প্রশ্ন করুন বহরমপুরে (Murshidabad) তিনি কী কাজ করেছেন? আবার আগামী পাঁচ বছর জয়ী হলে কী কাজ করবেন? ইউসুফ পাঠান আপনাদের কাছে এসে নিশ্চয়ই ভোট চাইবে। তাঁর কাছে জানতে চাইবেন তিনি এখানে কী করবেন?”

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর

    এর আগেও দলের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকরকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রার্থী ঘোষণা করায় আরও বড় লড়াই হবে। গৌরীশঙ্কর বলেন, “এটা নতুন কিছু না। রাজনীতিতে দল সামলাতে হয়, আবার কখনও নির্বাচনে লড়াইও করতে হয়। এবারের টিমটি পুরো ইয়াং, তাঁদেরকে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে সুবিধা হবে। মানুষের ভরসার একমাত্র জায়গা বিজেপি। সেই ভরসার জায়গাকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককেই নামতে হবে। প্রার্থী যেই হোক না কেন তার জন্য অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা বিজেপিকে জয়যুক্ত করতে অত্যন্ত আশাবাদী।”

    গৌরীশংকরের পরিচয়

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে এবারে বিজেপির প্রার্থী মুর্শিদাবাদ বিধানসভার জয়ী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। গৌরীশংকর ঘোষ ভারতীয় জনতা পার্টির একজন রাজনীতিবিদ। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার এম জে ব্লকের হাড়িভাঙ্গা প্রদাদপুরের বাসিন্দা। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ করেছেন। ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভার সদস্য হিসাবে মুর্শিদাবাদ থেকে নির্বাচিত হন। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সিংহ রায়কে ২৪৯১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। বর্তমান মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থীর সিলমোহর দেয়। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি বর্তমানে শাসকদল তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক। গত ২০১৯ সালের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আবু তাহের খান, কংগ্রেসের আবু হেনা, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান এবং বিজেপির হুমায়ুন কবীর।

    ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ভোট কেমন ছিল?

    ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। তিনি মোট ভোট পেয়েছিলেন ৬০৪৩৪৬, কংগ্রেসের আবু হেনা মোট ভোট পেয়েছিলেন ৩৭৭৯২৯, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান ভোট পেয়েছিলেন ১৮০৭৯৩ এবং হুমায়ুন কবীর বিজেপির হয়ে ভোট পেয়েছিলেন ২৪৭৮০৯। এইবার ঘরের ছেলে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ মুর্শিদাবাদ লোকসভার প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না”, দিনহাটায় তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি

    Cooch Behar: “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না”, দিনহাটায় তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে, প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিলে দেখে নেবো বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলে নেতা। লোকসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের আচরণবিধি লাগু হয়েছে। ইতিমধ্যে কোচবিহারে (Cooch Behar) তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের খবর উঠে এসেছে। ব্লকের তৃণমূল নেতা বলেন, “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না।” দিনহাটার চওড়া বাজারে কোনও ব্যবসায়ী যদি বিজেপিকে ভোট দেন, তাহলে ফল ভুগতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই তৃণমূল নেতা। ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি।

    কোন তৃণমূল নেতা হুমকি দেন (Cooch Behar)?

    গতকাল মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের প্রচার করতে গিয়ে দিনহাটা (Cooch Behar) ব্লক তৃণমূল নেতা বিশু ধর বিজেপিকে ভোট দিলে ফল খারাপ হবে বলে হুমকি দেন। যদিও এই এলাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের পরিচিত বলে জানা যায়। তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে প্রচারে যান। দোকানে দোকানে গিয়ে হুমকি দিয়ে নেতা বিশু ধর বলেন, “বিজেপিকে ভোট দেওয়ার পর যদি বিপদে পড়েন, তাহলে আমাদের কাছে যাবেন না, নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি যাবেন। এখানে কোনও পদ্ম ফুলের হয়ে প্রচার করা যাবে না। কেউ যদি মনে করেন এটা হুঁশিয়ারি, তাহলে হুঁশিয়ারিই এটা। উদয়নের দরজা সব সময় খোলা। বর্তমান বিজেপির এমপিকে একদম পাওয়া যায় না। যে কাজ করবে না, তাঁকে ভোট দেওয়া যাবে না।”

    বিজপির বক্তব্য?

    ব্লক (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা বিশু ধর আরও বলেন, “এলাকার ভোট অন্য কোথাও পড়লে আমরা দেখে নেবো। আগের বারের ভোটে ৭০০০ ভোটে হেরেছি আমরা। এই চাওড়া বাজারে থাকতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। যদি একটিও ভোট বাইরে যায় তাহলে আমরা পাশে থাকব না।” ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা সমালোচনা করে বলেন, “ভোটের আগে থেকেই এলাকার মানুষকে উত্তপ্ত করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নরকের কিট ছাড়া আর কিছুনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    Firhad Hakim: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, ফিরহাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মারা যান ৯ জন। আহতও হন বহু। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে তা, মেয়রের খাস তালুক বলেই পরিচিত। ঘটনার পরে সোমবারই গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিজেপির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মেয়র।

    বিজেপির চিঠি

    মেয়র ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার পর পরেই বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত  সিইওকে চিঠি লেখেন। সেখানে শিশির লেখেন, ‘‘কলকাতা বন্দর এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণ বিধি অমান্য করেছেন। কলকাতা পুরনিগমের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড মেটিয়াবুরুজে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার ৪৮ ঘন্টাও অতিবাহিত না হতেই, ১৮৫এসি কলকাতা বন্দরের টিএমসি বিধায়ক (Firhad Hakim), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী এবং কেএমসির মেয়র ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’’ বিজেপি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছে, মেটিয়াবুরুজের কেএমসি ১৩৪ ওয়ার্ডে একটি বেআইনি ভবন ধসে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ফিরহাদ হাকিম দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্য সরকারের যেকোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতেই পারতেন। কিন্তু টিএমসির একজন রাজনৈতিক নেতা যিনি স্থানীয় বিধায়কও, তিনি কীভাবে এই ঘোষণা করছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।

    কমিশনের ব্যাখা

    বিজেপির অভিযোগ যে অযৌক্তিক নয়, তা কমিশনের ব্যাখাতেই পরিষ্কার। কমিশনের ব্যাখা হল, আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে পারেন না। অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিরা কোনও ধরনের ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করতে পারেন না। প্রয়োজন পড়লে মুখ্যসচিব বা কোনও অফিসারকে এই ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু এই কাজ আধিকারিকদের বদলে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিজে করলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share