Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • BJP: গণনার আগে বারাকপুরে গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি, ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ

    BJP: গণনার আগে বারাকপুরে গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি, ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার ঠিক আগেই বারাকপুরে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি (BJP) কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে এক দিক থেকে উঠছে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান। অন্যদিকে, থেকে উঠছে “জয় বাংলা” স্লোগান। এছাড়াও সোমবার রাতে ভাঙড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হুগলিতে বিজেপি এজেন্টদের পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘাটালেও সোমবার রাতে স্ট্রংরুমে উত্তেজনা তৈরি হয়।

    বারাকপুরে গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি (BJP)

    মঙ্গলবার বারাকপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গণনাকেন্দ্রের সামনে বিরাট লাইন দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তারক্ষী ও দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন বিজেপি (BJP) প্রার্থী অর্জুন সিং। সঙ্গে সঙ্গে চলে আসেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনিও এসে হুঙ্কার দেন, “যেখানে যেখানে ফোর্স নিয়ে ঢুকবে অর্জুন, আমিও সেখানে যাব। ” বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে গণনাকেন্দ্রে বহিরাগত ঢোকাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে বিজেপির এজেন্টদের সঙ্গে বহিরাগতদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পায়ের তলায় মাটি নেই বুঝে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: গণনা চলছে ওড়িশা, অন্ধ্র বিধানসভা ভোটেরও, কোন রাজ্যের কুর্সিতে কে?

    ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ!

    মঙ্গলবার গণণা শুরুর আগেই ভাঙড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের উত্তর কাশীপুরের চালতাবেড়িয়ায় বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ৫ জন। আহতদের মধ্যে একজন আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বোমা তৈরির সময়ই বিস্ফোরণ হয় বলে অনুমান পুলিশের। বিস্ফোরণে আহত ৫ জনকেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

    হুগলিতে বিজেপি এজেন্টদের হেনস্থা পুলিশের

    গণনার আগেই হুগলিতে বিজেপি (BJP) এজেন্টদের ব্যাপক হেনস্থা করছে পুলিশ। এই অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে চুঁচুড়া থানায় যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস। পরিকল্পিতভাবে আমাদের এজেন্টদের নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আমি বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি।

    ‘স্ট্রং রুমের ভিতর অস্থায়ী কর্মী!

    সোমবারই ভোটগণনায় অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশকে অমান্য করেই ঘাটালের স্ট্রংরুমে অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। ‘স্ট্রং রুমের ভিতর অস্থায়ী কর্মী কেন?’ প্রশ্ন তোলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। রাতেই ঘাটাল লোকসভার স্ট্রং রুমের সামনে উত্তেজনা শুরু হয়। মহকুমাশাসকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ম্যাজিক ফিগার পার, এনডিএ জোট এগিয়ে ২৯৫ আসনে, দিল্লির মসনদে ফের মোদি-ই

    Lok Sabha Election 2024: ম্যাজিক ফিগার পার, এনডিএ জোট এগিয়ে ২৯৫ আসনে, দিল্লির মসনদে ফের মোদি-ই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক সকাল ৮টায় শুরু হল ভোট গণনা। বিকেল সাড়ে পাঁচটার খবর অনুযায়ী, দেশে এনডিএ জোট ২৯৭ আসনে (জয়ী/এগিয়ে)। ইন্ডি জোট (জয়ী/এগিয়ে) ২২৯ আসনে। অন্যান্যেরা ১৭ আসনে। রাজ্যে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল (জয়ী/এগিয়ে) ২৯ আসনে। বিজেপি ১২ আসনে (জয়ী/এগিয়ে) এবং কংগ্রেস ১টি আসনে (জয়ী/এগিয়ে)।

    জয়পুর আসন জিতে নিয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী মঞ্জু শর্মা। কর্নাটকের মধ্যা আসনে জয়ী এনডিএ জোটসঙ্গী জেডিএস প্রার্থী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। অন্যদিকে, ওই রাজ্যের চিত্রদুর্গ আসনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী গোবিন্দ কারজোল।

    বারাণসী কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাইয়ের থেকে যোজনখানেক এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অমিত শাহ এগিয়ে রয়েছেন গান্ধিনগর থেকে৷ নাগপুরে এগিয়ে নিতিন গড়করিও৷ দিল্লিতে মনোজ তিওয়ারি এগিয়ে, পুরীতে এগিয়ে বিজেপির সম্বিত পাত্র৷ মুম্বইয়ে এগিয়ে পীযূষ গোয়েল৷ হিমাচলে এগিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত৷ গুনাতে এগিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিদিশাতে এগিয়ে শিবরাজ সিং চৌহান। 

    ছয় সপ্তাহব্যাপী, সাত দফার ম্যারাথন ভোটগ্রহণ-পর্বের পর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) শেষ লগ্ন এসে উপস্থিত। আজ ফল ঘোষণা। কড়া নিরাপত্তায় সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়েছে ভোট গণনা। রাজ্যের ৪২ সহ দেশের ৫৪২ আসনের ভোট গণনা (Election Result) হচ্ছে। কারণ, একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। সেটি গুজরাটের সুরাট আসন। ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গড়ার জন্য যে কোনও দল বা জোটের সামনে জাদু-সংখ্যা বা ম্যাজিক ফিগার হল ২৭২।

    দুপুরের মধ্যেই ফল স্পষ্ট

    ভোট (Lok Sabha Election 2024) শুরু ইস্তক, ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়েছে বিজেপি। উপর্যুপরি, এনডিএ জোটের জন্য লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪০০। প্রায় সবকটি বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাসে কেন্দ্রে তৃতীয় বার মোদি সরকারেরই ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে। সেই পূর্বাভাস মিলেছে কি না, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। জানা যাবে, কারা সরকার গঠন করতে চলেছে। 

    বাংলায় গণনা

    দেশের সঙ্গে বাংলার ৪২ কেন্দ্রেরও ফল প্রকাশ। এদিন মোট ৫৫ গণনা কেন্দ্রে করা হয়েছে কাউন্টিংয়ের আয়োজন। কাউন্টিং হলের সংখ্যা ৪১৮। রাজ্যের মোট ভোটার ৭ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৬ জন। ৫০৭ জন প্রার্থীর রেজাল্ট জানতে গড়ে গণনা হবে রাউন্ড ১৭। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণনা হওয়ার কথা ২৩ রাউন্ড। আর সবচেয়ে কম ভোট গণনার হওয়ার কথা ৯ রাউন্ড। কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সবথেকে বেশি ৭টি গণনা কেন্দ্র রয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে ৪টি, দার্জিলিঙে ৩টি, রায়গঞ্জে ২টি এবং অন্যান্য জায়গায় একটি করে গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গরমে ভোট দানের হার কম! আগামী নির্বাচন এপ্রিলে শেষের ইঙ্গিত

    কড়া নিরাপত্তা

    প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। ৩ লক্ষেরও বেশি পোস্টাল ব্যালট জমা পড়েছে। তারপর খোলা হবে ইভিএম। ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনায় মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনা কর্মী থাকছেন। কমিশন সূত্রে খবর, প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত লাগু থাকছে ১৪৪ ধারা। গণনা (Election Result) কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রথম পর্যায়ে থাকছে লাঠিধারী ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মীরা। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকছে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ। আর তৃতীয় পর্যায়ে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় থাকছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও থাকছেন ২৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: গরমে ভোট দানের হার কম! আগামী নির্বাচন এপ্রিলে শেষের ইঙ্গিত 

    Lok Sabha Election 2024: গরমে ভোট দানের হার কম! আগামী নির্বাচন এপ্রিলে শেষের ইঙ্গিত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা (Lok Sabha Election 2024)। ভোটগ্রহণ চলেছে প্রায় দেড়মাস ধরে। গত ১৬ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটপর্ব শুরু হয়। একে একে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন সাত দফা ভোট সম্পন্ন হয়। প্রবল গরম এবং ভয়ংকর তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজ্যের মানুষকে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। ভোটের হারও কম হয়েছে। তাই আাগমী লোকসভা নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করার ইঙ্গিত দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    কী বললেন রাজীব কুমার

    সোমবার, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ‘হিটওয়েভের কারণে একাধিক রাজ্যে কম ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার দেখা গিয়েছে। সে কারণে পরবর্তী লোকসভা ভোট অর্থাৎ ২০২৯ সালের সাধারণ নির্বাচন এপ্রিল মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।’ তবে এর ফলে ভোটের দফা কমবে কি না, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা  দেননি রাজীব কুমার।

    কেন ভোটের হার কম

    উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ভোট হয়েছিল শীতকালে। ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল ভোট, প্রক্রিয়া শেষ হয় মার্চ মাসে। ২০১৯ সালের থেকে চলতি নির্বাচনে অধিকাংশ দফাতেই ভোটের হার অত্যন্ত কম। প্রায় প্রতিটি দফাতেই দেখা গিয়েছে ভোটারদের উপস্থিতি কম। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, দিল্লির মত রাজ্যে কম ভোটের হার রীতিমতো চোখে পড়েছে। আসলে তাপপ্রবাহ ও অতিরিক্ত গরমের কারণে নাজেহাল মানুষ ভোট দিতে আর ঘরের বাইরে যাননি। বরং ঘরের ভিতরেই ছুটি কাটিয়েছেন। 

    আরও খবর: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    রাজীব কুমার বলেন, ‘চলতি ভোটের মরশুমে ভারত এবার ৬৪২ মিলিয়ন নিবন্ধিত ভোটার নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে। ২০২৪ সালের সাত পর্বের লোকসভা নির্বাচনে সমস্ক রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। ৩১২ মিলিয়ন মহিলাও ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা! জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা! জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার ঠিক আগে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোট পরিবর্তী এই হিংসার  (Post Poll Violence) ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার বিধানপল্লি এলাকায়। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, গণনার আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল  এই  হামলা  চালিয়েছে।  থানায়  অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুধু হুগলি জেলা নয় রাজ্যের  একাধিক জেলায় বিজেপি কর্মীর ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল। গণনার আগে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের বাড়ির জলের পাইপলাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ (Post Poll Violence)

    ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর লোকসভার গোসাবায়। জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীদের বাড়ির জলের পাইপলাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট মিটতেই গোসাবার আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজারিপাড়ায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ির জলের পাইপলাইন কেটে দেওয়া হয় বলে খবর। জলের পাইপলাইন কেটে দেওয়ার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনায় হিঙ্গলগঞ্জ বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি  নতুন করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আইএসআই এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।  দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ করেছে। উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরআইট এলাকার ঘটনা। এরই মধ্যে নদিয়ার কালীগঞ্জে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় তুমুল হইচই বাধে। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে খুন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহতের নাম হাফিজুর শেখ। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। কালীগঞ্জের পঁচা চাঁদপুরের রেললাইন পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন হাফিজুর। তাঁর বাড়ির অদূরে ঘটনাটি ঘটে। শনিবার সন্ধ্যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে খুন করা হয় বলে দাবি। ঘটনার পর কালীগঞ্জ থানা ও নাকাশিপাড়া থানার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দেহ আটকে রাখে আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Recover: গণনার আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার সকেট বোমা, হুগলিতে ৬৭০টি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত

    Bomb Recover: গণনার আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার সকেট বোমা, হুগলিতে ৬৭০টি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার ঠিক আগে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদে। একইসঙ্গে হুগলি জেলায় প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। ভোটের আগে এত বাজি এবং বোমা উদ্ধার (Bomb Recover) হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

    মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার সকেট বোমা (Bomb Recover)

    মুর্শিদাবাদের রানিনগর এলাকায় গণনার ঠিক আগে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার (Bomb Recover) হল। জানা  গিয়েছে,  রানিনগর থানার চুয়াপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশের একটি পাটের জমিতে প্লাস্টিকের জার রাখা ছিল। একই সঙ্গে পাশে রাখা ছিল একটি বস্তাও। সেই বস্তার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে বোমার জায়গাটি ঘিরে রাখে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জঙ্গলের মধ্যে পড়ে ছিল বোমাগুলি। আমরা ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি। সেই সময়ই দেখতে পাই। যদি ফেটে যেত তাহলে অনেক কিছু হয়ে যেতে পারত। এই ঘটনায় আমরা চরম আতঙ্কিত।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    হুগলিতে ৬৭০টি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার

    নির্বাচনের ফলাফলের আগের দিন হুগলির ধনেখালি থেকে প্রায় ৬৭০টি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার (Bomb Recover) করা হয়েছে। চলতি কথায় গাছ বোমা হিসেবে পরিচিত। ধনেখালি থানার মির্জানগর গ্রামে বাঁশ ঝাড় থেকে এই বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধনেখালি থানার মির্জানগর গ্রামে অবৈধ আতশবাজি মজুত করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। সেই মতো গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে একটি বাঁশের ঝোঁপ থেকে ৬৭০ টি গাছ বোমা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। কে বা কারা বোমগুলি মজুত করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গণনার আগেই  এত পরিমাণ শব্দবাজি উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোটের পর সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন ফাল্গুনী পাত্র, শুনলেন অত্যাচারের কথা

    Sandeshkhali: ভোটের পর সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন ফাল্গুনী পাত্র, শুনলেন অত্যাচারের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গত পয়লা জুন লোকসভার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাল্টা পুলিশ গ্রামের বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার শুরু করেছিল। পুলিশ এবং তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বাসন্তী হাইওয়ে আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ইতিমধ্যে আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ঠিক তাঁর মধ্যেই মহিলাদের বিক্ষোভে উপস্থিত হন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। আক্রান্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে দেন হুশিয়ারি।

    এলাকার মহিলাদের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই এলাকায় ভোটের দিন থেকেই পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীরা একযোগে আক্রমণ করে চলেছে। বাড়ির মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। মারের আঘাতে বেশকিছু মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ির পুরুষদের পুলিশ ধরপাকড় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার তৃষ্ণা দাস বলেন, “গতকাল আমাদের পুলিশ বেধড়ক মারধর করেছে। আমরা মাঠের জল ঠেলে কোনও ক্রমে পালিয়ে ছিলাম। আজ আবার সকাল থেকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। কেন আমরা তৃণমূলকে ভোট দিলাম না? কেন বিজেপিকে ভোট দিলাম? এই কথা বলে আমাদেরকে মারধর করা হচ্ছে। পুলিশ মারের সময় হুমকি দিয়ে বলেছে, এমন জায়গায় মারব কাউকে দেখাতে পারবি না। মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। জলের মধ্যে ফেলে পুলিশ বাড়ির ছেলেদের মারধর করা হয়। তৃণমূলের গুন্ডারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই নির্যাতন করছে। আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি। অত্যন্ত অসহায়বোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    কী বললেন ফাল্গুনী পাত্র

    বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেছেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ভোট পরবর্তী কালে এই বর্ষা-বৃষ্টির মধ্যে সাধারণ মানুষের উপর একযোগে অত্যাচার করছে তৃণমূল এবং পুলিশ। অত্যাচার বেড়ে গেলে অধর্ম বাড়ে। এই অধর্মের সমাপ্ত দ্রুত হবে। আমরা নির্যাতিতাদের পাশে রয়েছি। দলের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। পুলিশকেও জবাব দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনা কেন্দ্রে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনা কেন্দ্রে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় এক মাসের বেশি সময় বালুরঘাট কেন্দ্রে ইভিএমগুলি স্ট্রংরুমে বন্দি রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা  এতদিন রাত পাহারায় ছিলেন পালা করে। মাঝে একাধিকবার তৃণমূল প্রার্থী এসে ঘুরে গেছেন স্ট্রংরুম। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি ভোটের পর আর স্ট্রংরুমে আসতে পারেননি। রবিবার রাতে তিনি স্ট্রংরুমে যান। কথা বলেন, নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে এবং দায়িত্বে থাকা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে।

    গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন (Sukanta Majumdar)

    বালুরঘাট কলেজে স্ট্রংরুমে ইভিএম কতটা সুরক্ষিত রয়েছে তা দেখতে বিজেপি প্রার্থী বালুরঘাট কলেজে পৌঁছান। যদিও স্ট্রংরুম পর্যন্ত তিনি যাননি। সিসিটিভি দেখেই তিনি স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সিসিটিভি ঠিকমতো কাজ করে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা রেখেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গণনার দিন তৃণমূল গোলমালের চেষ্টা করতে পারে। তবে, তাতে কোনও কাজ হবে না। কারণ, বিজেপি স্ট্রং রয়েছে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। অপরদিকে, মানুষের রায় বিজেপির দিকে গিয়েছে বলেই তিনি জানান। তিনি বলেন, আর ভোট পরবর্তী  হিংসার ঘটনা ঘটেই  চলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এক মাস রাখতে হবে বলে কমিশনে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    গণনা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনে সুকান্ত

    বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গণনা কেন্দ্রের সামনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং গেটের সামনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য কমিশনে জানিয়েছি। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুনর্নির্বাচনেও অশান্তি। বারাসতের কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপি নেতা গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল জানে তারা ভোট লুট ও গন্ডগোল ছাড়া তারা জিততে পারবে না। বিস্তীর্ণ এলাকা কাকদ্বীপ,কদম্বগাছি এই সব জায়গায় তৃণমূল অভয়ারণ্য করে রেখেছে। ইচ্ছে মতো ভোট লুট করছে।

    কাউন্টিং এজেন্টদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার!

    গণনা প্রস্তুতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেনা, গণনা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আমরা শুধু একটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত আছি। বিভিন্ন জায়গায় কাউন্টিং এজেন্টদের বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিচ্ছে এবং পুরোনো কোনও মামলা দিয়ে তাঁদেরকে গণনার আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই রকম চেষ্টা পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচনা কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা খবর পেয়েছি, আই প্যাকের লোকজন কাউন্টিং এজেন্ট হয়ে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারে। এই বিষয়টিও কমিশনকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের গণনা পর্ব। ইতিমধ্যে রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি কটা আসন পাবে, তা নিয়ে সমীক্ষার হিসাব রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেছে। রাজ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে যে বেশি আসন পেতে চলেছে, এই নিয়ে বিজেপি দারুণ আশাবাদী। ইতিমধ্যে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বিজেপির জয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।” উল্লেখ্য মমতা বুথ ফেরত সমীক্ষা মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আগেই।

    কী বললেন নিশীথ (Nisith Pramanik)?

    কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “দেশে ৪০০-বেশি সিট নিয়ে এনডিএ সরকার গঠন করবে। পশ্চিমবঙ্গে ২৫টির বেশি আসন পাবে বিজেপি। তবে ৩০ পেরিয়ে গেলেও অবাক করার কিছু নেই। উত্তরবঙ্গের ফলাফল নিশ্চিত ভাবে ভালো হবে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে রোড-শো, জনসভায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। মানুষের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই লক্ষ্যটা বোঝা গিয়েছিল। নির্বাচনের আগেই মানুষ নিজের মনকে স্থির করে ফেলেছিলেন। কোথায় ভোট দেবেন তা বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। আগের বার থেকে আমাদের আসন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।”

    আরও পড়ুনঃমুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    আর কী বললেন?

    গণনার আগের দিন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “এই বারের লোকসভার নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। ভাঙড়ে আইএসএফ তৃণমূলের শক্তিকে প্রতিরোধ করেছে। যেখানে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখান করছে সেখানেই অত্যাচার বৃদ্ধি করেছে ওরা। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায় শাসক দল। তৃণমূল আসলে কাউন্টিং এজেন্টদের ধরে রাখতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের ইতিহাসে রেকর্ড, ভারতে ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার

    Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের ইতিহাসে রেকর্ড, ভারতে ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস সৃষ্টি করল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। দেশে এই প্রথম নির্বাচন-পর্ব চুকে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিন কর্তা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচনের দিকে নজর ছিল তামাম বিশ্বের। কত মানুষ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, কত প্রাণ বলিদান হয়, রক্ত ঝরে কিনা, মূলত এসবের দিকেই নজর ছিল বিশ্ববাসীর।

    বিশ্ব রেকর্ড (Lok Sabha Election 2024)

    এবার লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, এবার ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার। জি৭-এর সদস্য দেশগুলির মোট ভোটারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ৫৪০টি আসনে। এবার হচ্ছে মাত্র ৩৯টি। গত চার দশকের মধ্যে এবার সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরেও। রাজীব বলেন, “উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত। এবার প্রথম হিংসা হয়নি ভোটে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার মতো জায়গায় আগে কী হত, তা আপনারা দেখেছেন, এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না।”

    বাজেয়াপ্ত টাকার পরিমাণ

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এবার লোকসভা নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এটাও কমিশনের তৎপরতার ফল। আগে কীভাবে টাকা ছড়ানো হত, মদ-শাড়ি দেওয়া হত, তা আপনারা দেখেছেন। দক্ষিণ ভারতে কীভাবে টাকা দেওয়া হত, তাও দেখেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা ভুয়ো খবর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। এবার অবশ্য সেভাবে কিছু হয়নি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে ভুয়ো ছবি-ভিডিও সেভাবে ছড়ায়নি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৪৯৫টি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরই সমাধান করা হয়েছে। অনেক বড় নেতাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

    আর পড়ুন: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    ভোট গণনা-পর্বেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান রাজীব। বলেন, “ভোটগণনা খুবই বলিষ্ঠ একটি প্রক্রিয়া। দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ বুথ রয়েছে। ৩০-৩৫ লাখ পোলিং এজেন্ট থাকবেন বাইরে। থাকবে নজরদারি দলও। থাকবেন গণনা অফিসাররা। কোনও ভুল হতেই পারে না। সিসি ক্যামেরা থাকবে। মানুষের ভুল হতেই পারে, তবে গণনায় কারচুপির কোনও সম্ভাবনাই নেই (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share