Tag: London

London

  • PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাক্ষরিত হল ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল এ বার তা বাস্তবায়িত হল লন্ডনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা। দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যচুক্তির চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হয়েছিল। এবার মোদির সফরের সময়েই তা বাস্তব রূপ পেল। চুক্তি স্বাক্ষরের পর, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ‘ইউকে-ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩৫’ নামে একটি নতুন কৌশলগত রূপরেখা প্রকাশ করেন, যা আগামী দিনে ভারত-ব্রিটেন অংশীদারিত্বের দিকনির্দেশ ও লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ভারত এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন

    ভারতের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটেনের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই চুক্তিকে ভারত ও ব্রিটেনের ‘যৌথ উন্নয়নের নীলনকশা’ হিসেবে অভিহিত করেন। চুক্তির আওতায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    চুক্তির ফলে কী লাভ হবে

    এই চুক্তির ফলে কী লাভ হবে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ব্রিটেনের বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভারতের কৃষিজাত পণ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য ব্রিটেনের বাজার আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই চুক্তির ফলে ভারতের তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, মৎস্যজীবী এবং ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।

    ব্রিটেনে কাজের সুযোগ বাড়বে

    চুক্তি অনুযায়ী, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো মসলা জাতীয় কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডাল ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন ভারতের মৎস্যজীবীরাও—চিংড়ি, টুনা-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য এখন ব্রিটেনে শুল্কছাড়াই রফতানি করা যাবে। চুক্তির আওতায় শুধু ভারত নয়, ব্রিটেনেরও কিছু পণ্য ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য ও পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। আইটি, আইন, শিক্ষা, ব্যাংকিং ইত্যাদি পেশাজীবীরা সহজেই ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন এই চুক্তির মাধ্যমে।

    কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ আমাদের দুই দেশ একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    কী বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    এই ঐতিহাসিক চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।”

    ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে

    ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। এর ফলে ব্রিটিশ সংস্থাগুলির জন্য সফট ড্রিংকস, প্রসাধনী, গাড়ি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো পণ্য ভারতে রফতানি করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষভাবে লাভবান হবেন হুইস্কি নির্মাতারা। আগে যে হুইস্কির ওপর ভারতীয় শুল্ক ছিল ১৫০ শতাংশ, তা প্রথম ধাপে কমে ৭৫ শতাংশে নামবে, এবং আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও হ্রাস পেয়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এর ফলে ব্রিটেনের জন্য ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

  • PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার তাঁর সফর শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা (India UK Trade Deal)। তাঁর এই সফরের একটি বড় ফল হতে পারে ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর।

    কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেওয়া। স্টার্মার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেকার্স-এ। এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রামীণ বাসভবন। এর অবস্থান লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

    এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কার

    গত মে মাসে ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করে। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারতীয় রফতানির ৯৯ শতাংশই শুল্কমুক্ত হবে। স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে রফতানি করাও আরও সহজ হবে। ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও। প্রসঙ্গত, এফটিএ নিয়ে গত তিন বছর ধরে আলোচনা চলছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। শেষমেশ (PM Modi) চূড়ান্ত হয় চুক্তিটি। সেই চুক্তিটিতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিটেন সফরে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ শতাংশ বাণিজ্য মূল্যের আওতায় পড়া প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে (India UK Trade Deal)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক-সহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।” প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ সালে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডী। ব্রিটেন ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, যার মোট লগ্নির পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত

    এদিকে, ব্রিটেনে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেনে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় কোম্পানি ১ লাখের কাছাকাছি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে (PM Modi)। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভারতের উন্নয়নের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারতের অগ্রগতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় (India UK Trade Deal)।”

    চার দিনে দুই দেশ সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। এই সময় চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে তিনি দু’দিন থাকবেন ব্রিটেনে, আর বাকি দু’দিন থাকবেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছেন রাজার দেশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। লন্ডন সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। সেখানেও তিনি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে। ২৬ জুলাই মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জমানায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতীয় (India UK Trade Deal) সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বৈঠক চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। রাত্রি ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে (PM Modi)।

  • Sunjay Kapur: একটা মৌমাছি কেড়ে নিল প্রাণ! পোলো খেলতে খেলতেই মৃত্যু করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের?

    Sunjay Kapur: একটা মৌমাছি কেড়ে নিল প্রাণ! পোলো খেলতে খেলতেই মৃত্যু করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোলো খেলতে যাওয়াই কাল হল। মাঠেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী শিল্পপতি সঞ্জয় কাপূর। বৃহস্পতিবার সকালেও টের পাননি যে তাঁর শিয়রে মৃত্যু এসেছে। এই দিন বেলায় লন্ডনের এক ক্লাবে পোলো খেলতে যান সেখানেই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ একটা মৌমাছি গলায় ঢুকে যায় সঞ্জয়ের। চেষ্টা করে সেটা বার করতে না পারায় ঘাবড়ে যান, বিচলিত হয়ে যান। চিকিৎসা করার কোনও সুযোগ দেননি সঞ্জয়। ৭ ঘণ্টা আগে আমেদাবাদে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে টুইট করেছিলেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছিলেন সেই সব পরিবারকে।

    করিশ্মার বাড়ির সামনে ভিড়

    ২০০৩ সালে শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরকে বিয়ে করেন করিশ্মা কাপূর। দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। সামাইরা ও কিয়ান। প্রায় ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল করিশ্মা-সঞ্জয়ের। কিন্তু সঞ্জয়ের সঙ্গে সুখী ছিলেন না অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকে নাকি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয় করিশ্মাকে। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে সঞ্জয়। সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। মূলত গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা তাঁর। ভারতীয় মুদ্রায় ১০,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সঞ্জয়ের। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরদের তালিকায় তিনি রয়েছে ২৭০৩ নম্বরে। ২০১৬ সালে করিশ্মা ও সঞ্জয়ের বিচ্ছেদ হয়। তার পর মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই করিশ্মার বাড়ির সামনে ছবিশিকারিদের ভিড়। কাঁদো কাঁদো মুখে গাড়ি থেকে নেমে সোজা ঢুকে গেলেন করিনা কপূর। থমথমে মুখ নিয়ে করিশ্মার বাড়িতে ঢোকেন মালাইকা আরোরা, সইফ আলি খানেরা।তারকাদের ভিড় সামলাতে এ দিন রাত থেকেই করিশ্মার বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা। অবাঞ্ছিত ঘটনা রুখতে বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে এ দিন রাতে পাহারা দিতে দেখা যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি করিশ্মা, এমনকি কোনও বিবৃতিও দেননি।

    সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় ছিল সঞ্জয়

    সঞ্জয় কাপূর পোলো খেলাকে শুধু খেলা নয়, জীবনের একটা বড় অংশ হিসেবে দেখতেন। ঘোড়া ও খেলার প্রতি গভীর ভালবাসার জন্যই তাঁর এই খেলায় প্রবেশ এবং পরবর্তী সময়ে একটি নিজস্ব পোলো টিম ‘ওরাস’ গঠন। সেদিন তিনি খেলছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী জয়সল সিং-এর দল ‘সুজন’-এর বিরুদ্ধে। খেলাই হয়ে উঠল জীবনের শেষ অধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় ছিল সঞ্জয়। তিনবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রথম বিয়ে হয় মুম্বইয়ের ডিজাইনার নন্দিতা মহতানির সঙ্গে, সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০০০ সালে। ২০০৩-এ বিয়ে করলেন বলিউড ডিভা করিশ্মা কাপুরকে। তাঁদের দুই সন্তান — সামাইরা ও কিয়ান। ২০১৬-তে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন দুই অভিভাবক মিলেই।

  • Mamata Banerjee in London: রাজ্যে হিন্দুরা কি সুরক্ষিত? শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লন্ডনে কড়া প্রশ্নের মুখে মমতা

    Mamata Banerjee in London: রাজ্যে হিন্দুরা কি সুরক্ষিত? শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লন্ডনে কড়া প্রশ্নের মুখে মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কেলগ কলেজে বক্তৃতার মাঝেই তাল কাটল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee in London)। মমতার ভাষণের মধ্যেই বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও মমতার সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতি নিয়ে লন্ডনের কলেজে প্রশ্ন তুললেন হিন্দু ছাত্ররা। সিঙ্গুর থেকে টাটার চলে যাওয়া থেকে আরজি কর কাণ্ড, প্রশ্ন এল দর্শকাসন থেকে। দর্শকদের একাংশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় মমতার। সমালোচকদেরই সাম্প্রদায়িক স্বৈরাচার মনোভাব সম্পন্ন বলে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী।

    লন্ডনে প্রশ্নের মুখে মমতা

    বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে বক্তৃতা রাখেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in London)। রাজ্যের নারী, শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে ভাষণ দেন মমতা। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সমালোচকদের প্রশ্ন, বাংলা থেকে টাটাকে তাড়িয়েছেন কেন? ভরা সভাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলেও আক্রমণ করেন প্রশ্নকর্তা। এদিন শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িক তোষণ ইস্যু নিয়েও কড়া প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়েই প্রশ্নের সম্মুখীন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথার মাঝেই দর্শকদের একাংশ হাততালিও দিতে থাকেন।

    আরজিকর নিয়ে প্রশ্ন

    লন্ডনে গিয়ে আরজি কর কাণ্ড নিয়েও প্রশ্নের মুখে মমতা (Mamata Banerjee in London)। এদিনের বক্তব্যের বিষয়ই ছিল রাজ্যের নারী, শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন। স্বাভাবিকভাবেই আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা ছিলই। কলেজের ভাষণে আরজি কর নিয়ে প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ওটা বিচারাধীন বিষয়। আর এটা রাজনৈতিক মঞ্চ নয়।” শুরু থেকে অনুষ্ঠানের ছন্দ ঠিক থাকলেও তাল কাটে আর জি করের প্রসঙ্গে দর্শকদের তরফে প্রশ্ন উঠতেই। আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন দর্শকরা। আরজি কর ক্রাউড ফান্ডিং প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। দর্শক আসন থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনার রাজ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে আপনারা মন্ত্রীরা বলে আঙুল ভেঙে দেবে।’ দর্শকের এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ অনিকেত-দিলীপের

    আরজিকর কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। তিনি বলেন, ‘অভয়ার ন্যায়বিচার যদি না দেন, তাহলে বাংলার মানুষ কেন, সারা বিশ্বের মানুষ অভয়ার পাশে দাঁড়াবেই। সকল বিশ্ববাসী পাশে আছে। আমাদের স্লোগানে আমরা বলেছিলাম, ‘আর জি কর দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক, বিশ্ব দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক। সেটাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আমরা চাই সিবিআইও দেখুক, বিচার দিক অভয়াকে। কারা নেপথ্যে ছিল, কারা প্রমাণ নষ্ট করেছিল প্রকাশ্যে আসুক।’ শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যে আরজি কর কলেজে কী ঘটেছে তার জবাব তাঁকে দিতে হবে। দিলীপ বলেন, “আমরা আগে বলেছিলাম যে তিনি যখন যুক্তরাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে যাবেন, তখন তাঁকে আরজি কর কলেজে কী ঘটেছে তার জবাব দিতে হবে। বাংলায় আরজি কর-এর মতো ঘটনা ঘটছে। এখানে মহিলারা নিরাপদ নন। যদি কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে তাঁকে উত্তর দিতে হবে। সেখানকার লোকেরা এখানে প্রশ্ন করবে।”

    হিন্দুরা কতটা সুরক্ষিত প্রশ্ন মমতাকে

    এদিন বক্তৃতার মাঝে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee in London) বলতে শোনা গিয়েছে, দিদি কিছু নিয়ে ভাবে না। কারও পরোয়া করে না। এরপরই দর্শকদের আচরণ সংযত করতেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন লন্ডনে হিন্দু ছাত্ররা, মমতার কাছে জানতে চান বাংলায় কতজন হিন্দুকে মরতে হয়েছে। তিনি কেন মুসলিমদের তোষণ করে যান? সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন মমতা। তিনি বলেন, এমন আচরণ করে  ছাত্ররা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই অসম্মান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এও বলতে শোনা গিয়েছে, “আমায় ধরতে পারলে ধরো। না ধরতে পারলে, লড়তে এসো না।”  হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার জন্য, আমি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সকলের ঐক্যের পক্ষে, আপনারা নন। কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলবেন না, সব ধর্মের কথা একসঙ্গে বলুন।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দর্শক আসন থেকে’গো অ্যাওয়ে’ স্লোগানও ওঠে।

    সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ, হিন্দুদের গণহত্যা

    ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত মালব্য একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে ভিডিওতে দেখা যাওয়া বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন লন্ডনের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee in London) মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্য সোশ্যাল সাইটে লেখেন “লন্ডনের কেলগ কলেজে বাঙালি হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন, আরজি করের মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা, সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ, হিন্দুদের গণহত্যা এবং ব্যাপক দুর্নীতির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্লোগান তোলেন।” বিজেপি নেতা আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য “অপমান”। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টানা কয়েকটি পোস্টার… তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য কলঙ্ক। বাংলার ঐতিহ্য ধ্বংস করে তাদের এত অপমানের মধ্যে ফেলার জন্য হিন্দু বাঙালি প্রবাসীরা তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে চান।”

    ভারতের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ

    এক ব্যবসায়ী প্রশ্ন করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে কিনা। মমতা এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি ভিন্নমত পোষণ করি। বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা রয়েছে। যদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তবে কি আপনি মনে করেন আমরা লাভবান হতে পারব?” মমতার এই কথার প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতা প্রবীণ ভান্ডারি। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মমতার এই মন্তব্য ভারতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে।

    হিন্দু ছাত্রদের অভিযোগ

    অনুষ্ঠান শেষে, হিন্দু ছাত্ররা জানায়, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দুর্নীতিপূর্ণ এবং অগণতান্ত্রিক শাসন” এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, মমতার (Mamata Banerjee in London) রাজ্যে ছাত্র নির্বাচন নেই, স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে এবং ছাত্র আন্দোলন দমন করা হয়েছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতি চালাচ্ছেন মমতা। হিন্দুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে নানা জায়গায়। ভাঙা হচ্ছে দেবী মূর্তি। রাজ্য সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

  • S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সঙ্গে এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে (Donald Trump) দিল্লি আশ্চর্য হয়নি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক নেতারা যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই করেন বা অন্তত চেষ্টা করেন। তাঁরা সব সময় সফল হন না, বা সব সময় যা চান, তা পান না। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে। এই আবহে আমি মনে করি, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা দেখেছি এবং শুনেছি, তার বেশিরভাগটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই আমি একটু অবাক হয়েছি যে অন্যরা তা দেখে অবাক হচ্ছেন।”

    বহু মেরুকরণ

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী। আমাদের কখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে। আমাদের ওপর এমন কোনও বোঝা নেই যা আমরা বহন করে চলেছি।” ব্রিকস দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বদলি খুঁজছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রারূপে মার্কিন ডলারের বদলি খোঁজার কোনও নীতি ভারতের নেই।” তিনি বলেন, “মার্কিন ডলার মুদ্রা রূপে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উৎস। আর আমরা বিশ্বে আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেই।”

    বুধ-সন্ধ্যায় চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান ও ভূমিকা’ শীর্ষক এক অধিবেশনেও যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি ট্রাম্পের বহু মেরুকরণের উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মধ্যে একটি বড় যৌথ উদ্যোগ হল কোয়াড, যা এমন একটি বোঝাপড়া যেখানে প্রত্যেকে তাদের ন্যায্য অংশ প্রদান করে। এখানে ফ্রি রাইডার্স কেউ নেই। এটি (Donald Trump) একটি ভালো মডেল, কার্যকরীও বটে (S Jaishankar)।”

  • S Jaishankar: কানাডার পথে ব্রিটেন! লন্ডনে জয়শঙ্করের কনভয়ে হামলার চেষ্টা খালিস্তানপন্থীদের

    S Jaishankar: কানাডার পথে ব্রিটেন! লন্ডনে জয়শঙ্করের কনভয়ে হামলার চেষ্টা খালিস্তানপন্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফরে থাকা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) কনভয়ে হামরা চেষ্টা করল খালিস্তানপন্থীরা (Khalistani Extremists)। এর ফলে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিঘ্নও ঘটে। বুধবারে বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রী যখন চ্যাথাম হাউস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির দিকে ছুটে যায় এবং ব্রিটেনের পুলিশের সামনেই ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই ব্যক্তি মন্ত্রীর (S Jaishankar) কনভয়ের দিকে ছুটছে এবং ভারতের তিরঙ্গা পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এর পাশাপাশি তাকে খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান দিতেও শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে এবং অন্যান্য উগ্রপন্থীদের সরিয়ে নেয়।

    বৈঠকস্থলের বাইরে বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের

    আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) যেখানে বৈঠক করছিলেন, তার ঠিক বাইরেই খালিস্তানপন্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেখানে খালিস্তানের পতাকা ওড়ানো হয়। দেওয়া হয় খালিস্তানের দাবিতে স্লোগানও। অতীতে দেখা গিয়েছে, কানাডায় এধরনের ভারত-বিরোধী প্রচার করছে খালিস্তানপন্থীরা। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হয়েছে। সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ব্রিটেনেও। বিশেষ করে, ব্রিটেনের বর্তমান কিথ স্টার্মার প্রশাসন বরাবরই ভারত-বিরোধীদের প্রতি আশ্চর্যজনকভাবে উদাসীন। গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থী ও ইসলাম-মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে কারণে, অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন, ব্রিটেনের অবস্থাও ধীরে ধীরে কানাডার মতো হচ্ছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রী

    ৪ মার্চ থেকে ব্রিটেন সফর করছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর এই সফর চলবে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত। বুধবার দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) চেভেনিং হাউসে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করনে। জানা গিয়েছে, ওই আলোচনায় বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, কৌশলগত সমন্বয় সহ নানা দিক উঠে এসেছে। চ্যাথাম হাউসের এই আলোচনার শেষে এক সাংবাদিক এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar) জিজ্ঞাসা করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন? এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং জানান, এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তিনি আরও জানান যে, ভারত ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এদিন তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, কাশ্মীরের অমীমাংসিত অংশটি বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান।

  • Success Story: লন্ডনের চাকরি ছেড়ে আইএএস হন দিব্যা, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে গ্রামে করেন জলের ব্যবস্থা

    Success Story: লন্ডনের চাকরি ছেড়ে আইএএস হন দিব্যা, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে গ্রামে করেন জলের ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএসসি, ক্যাট, জয়েন্ট এন্ট্রাস দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয় (Success Story)। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে যেকোনও একটিতেও পাশ করা যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য মনে করা হয়। আমাদের প্রতিবেদনে এমন একজন আইএএস আধিকারিক (IAS Divya Mittal) সম্পর্কে জানব যিনি এই তিনটি কঠিন পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন। হরিয়ানার দিব্যা মিত্তাল। প্রথমে জয়েন্ট এন্ট্রাস, তারপর ক্যাট এবং অবশেষে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। কাজে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের জেলা শাসক হিসেবে। এখানকার হালিয়া ব্লকের লাহুরিয়াদহ গ্রামে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও জল ছিল না। আইএএস আধিকারিক হিসেবে দিব্যা মিত্তাল ওই গ্রামে প্রথম জলের ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই কাজের জন্য সকলেই দিব্যাকে কুর্নিশ জানান।

    দিব্যা মিত্তাল হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা (Success Story)

    জানা যায়, দিব্যা মিত্তাল হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা (Success Story)। তিনি কোনওরকম কোচিং ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি-র CSSE পরীক্ষায় পাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রথমে তিনি আইপিএস অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে মনস্থির করেন আইএস অফিসার হবেন। তাই আবার দেন ইউপিএসসি। র‌্যাঙ্ক আসে ৬৮। নির্বাচিত হন আইএএস আধিকারিক হিসেবে।

    লন্ডনে চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন

    দিব্যা মিত্তালের যাত্রা শুরু হয়েছিল দিল্লি আইআইটি থেকে। বিটেক ডিগ্রি নেওয়ার পরে তিনি ক্যাট পরীক্ষা দেন (Success Story)। এরপরে আইআইএম বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরে লন্ডনের একবড় কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। তবে, দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনে। শুরু করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে,তাঁর স্বামী গগনদীপ সিংও একজন আইএএস অফিসার।

    পড়ুয়াদের কী টিপস দিলেন দিব্যা?

    ইউপিএসসির পরীক্ষার্থীদের প্রতি দিব্যার টিপস, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতেই হবে। তিনি বলেন যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই নিজেদের লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। মুসৌরির এলবিএসএনএএ-তে, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানেই অসাধারণ পারফরম্যান্সের (Success Story) অশোক বাম্বাওয়ালে পুরস্কার পান দিব্যা মিত্তাল।

  • Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবুর-কন‍্যার দাবি, “কোনও কোটা ছিল না। সব দাবি মানা হয়েছিল। কিন্তু, দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন চলে? এই আন্দোলনে কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এটা যে গভীর চক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছিল। লাশ চাইনি আমি, তাই সরতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। হিন্দু-সংখ্যালঘুদর উপর নির্বিচারে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।” রবিবার ব্রিটেনের এক সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় এমনই দাবি করলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অশান্ত বাংলাদেশে এখন অরাজকতা

    ব্রিটেনে আওয়ামি লিগের সমর্থকরা রবিবার একটি সভার আয়োজন করেছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সভাতেই ভাষণ দিলেন হাসিনা। সভায় হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনও শান্তি নেই সেখানে। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরে শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনও সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’’ এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। হাসিনা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ। বাংলাদেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে।” 

    আওয়ামি লিগ যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, সেকথা তুলে ধরেন হাসিনা। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম। আমি মানুষের জীবন নিতে আসিনি। আমি মানুষের জীবন উন্নত করেছি। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি বলেই আমাকে এখন বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করছে।” আওয়ামি লিগের গণসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র লিগ’ হাসিনার এই বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছে। 

    সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার

    সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রান্ত হন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। হাসিনার এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আইনজীবী পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ কেউ আইনজীবী দাঁড় করাতে না পারলে সরকারের তরফে আইনজীবী দেওয়া দরকার।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী হাসিনা। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    হাসিনা এ-ও দাবি করেছেন, জনবিক্ষোভের সময় তিনি ‘শক্তি প্রয়োগ’ করেননি। যদি তা করতেন, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ যেত। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শক্তি প্রয়োগ করলে লাশ পড়ত। আমি চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।’’ এর পরেই নোবেলজয়ী ইউনূসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ইউনূস মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’’ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে? কেন মন্দির, গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে? তবে, এই কালো দিন দূর হবে বলেই আশা হাসিার। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ধনতেরাসে ঘরে এল লক্ষ্মী! ১০২ টন সোনা ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI: ধনতেরাসে ঘরে এল লক্ষ্মী! ১০২ টন সোনা ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধনতেরাসে (Dhanteras 2024) ব্রিটেন থেকে ১০২ টন সোনা দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সোনা সংরক্ষণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫৫ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ৫১০.৫ টনই বর্তমানে দেশে সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৮৫৫ টন সোনার মধ্যে ৩২৪ টন সোনা ব্রিটেনের দুটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং অপরটি হল ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট। ১৬৯৭ সাল থেকেই দ্য ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড বিশ্বব্যাপী সোনা সংরক্ষণের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। এর অবস্থান হল ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে।

    দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনার দাম

    দেশের আভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনার দাম। বর্তমানে মুম্বইয়ে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৮ হাজার ৭৪৫ টাকায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামীতে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। আগামী বছরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৮৫ হাজার টাকায় পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত মে মাস নাগাদও প্রায় ১০০ টনেরও বেশি ওজনের সোনা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে এত বেশি পরিমাণ সোনা একসঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যায়নি ভারত।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোদি সরকার সোনা দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে (RBI)

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোদি সরকারের নির্দেশে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইংল্যান্ডের ভল্ট থেকে সোনা দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। দু’বছরে এখনও এখনও পর্যন্ত ২১৪ টন সোনা এল দেশে। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের ভল্টে থাকা সোনা দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়েছিল আরবিআই (RBI)। কেন্দ্রের তরফে সবুজ সংকেত মেলার পরই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে যত পরিমাণ সোনা রয়েছে, তার এক-চতুর্থাংশ মার্চের শেষে ব্রিটেন থেকে নিয়ে আসা হয়।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রবাসীদের প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে

    Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রবাসীদের প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে একের পর এক মন্দির। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অসহায় হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) ও ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের (London) রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে শত শত মানুষ সামিল হন।

    প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ (Bangladesh Protest Rally)

    বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) এবং ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা আইকনিক বিগ বেনের কাছে জড়ো হন। সেখান থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে এগিয়ে যান। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে সরব হন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও যোগ দিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। বিশেষ করে, হিন্দুরা যাঁরা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশজুড়ে গণহত্যার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। মিছিলে প্রতিবাদকারীদের হাতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা ৫ অগাস্ট সারা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ৪০টিরও বেশি ঘটনার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    বিক্ষোভকারীরা কী বললেন?

    প্রতিবাদ মিছিলের (Bangladesh Protest Rally) পর প্রতিবাদকারীদের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের জন্য এটা একটি গুরুতর হুমকি। চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং নির্দিষ্ট কিছু ইসলামিক সংগঠন রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙচুর করে অপমান করা হয়েছে। এসব ঘটনা ইঙ্গিত করে যে চরমপন্থীরা রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে রেখে এসব করছে। কারণ, ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে মূর্তি নিষিদ্ধ।

    বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ

    হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ (Bangladesh Protest Rally) জুড়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। এর আগে,  অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনও (এজেএ) বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। মঙ্গলবার ৬ অগাস্ট  জারি করা একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনের সিইও রবার্ট গ্রেগরি বলেন, “বাংলাদেশে আমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ভয়ঙ্কর ফুটেজ দেখেছি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অবশ্যই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share