Tag: Loneliness

Loneliness

  • Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে আরেকটি মহামারি, যার নাম আত্মহত্যা (Suicide)! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে এই সমস্যা। অধিকাংশ সময়েই অসাবধানতার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বাড়ালেই সমস্যা কমতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদ ঘটার আগে অসচেতনতার কারণে কিছুই টের পাওয়া যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এখনও তলানিতে। পরিবারের পাশে থাকা মানসিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক সমস্যা হলে পরিবারকেই আগে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার আক্রান্তের সমস্যা বুঝতেই পারে না। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়। তাই আত্মহত্যা আরেকটি মহামারির আকার ধারণ করছে।

    ভারতের পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক? (Suicide)

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতোই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি।‌ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। পাশপাশি, উদ্বেগজনকভাবে কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন ভারতে আত্মহত্যা বেড়েছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ খারাপ ব্যবহার এবং একাকিত্ব। কর্মক্ষেত্রে কিংবা পরিবারের কাছের মানুষের লাগাতার খারাপ ব্যবহারের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত হেনস্থার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবসাদগ্রস্ত হলেও তাঁরা অধিকাংশ সময়, তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকছেন না। এর ফলে তাঁরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না। বরং, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

    কীভাবে চিহ্নিত করবেন? (Suicide)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতোই আত্মহত্যার প্রবণতারও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সে সম্পর্কে সতর্ক আর সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই অভ্যাস বদলে যাওয়া, এর প্রথম লক্ষণ! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেল। নিজের মতোই সময় কাটাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে কোনও বিষয়েই কথা বলা বা আলোচনা করছেন না। তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের আচরণ দেখা দিলে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ১২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর বন্ধ করে নিজেদের মতো থাকে। অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, নিজের মতো থাকার অভ্যাসে একাকিত্ব গ্রাস করছে কিনা (Suffering)!

    নানান ওষুধে অভ্যস্ত?

    পরিবারের কেউ হঠাৎ করেই নানান ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ নানা রকমের ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুঝতে হবে, তাঁর মধ্যে নানা রকম অ্যাংজাইটি কাজ করছে। তাই সতর্কতা জরুরি। ভীষণ রকমের উদ্বেগ থেকেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    আলোচনা করা জরুরি

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা বলে, ‘আমাকে নিয়ে বেশি দিন‌ সমস্যা থাকবে না!’ কিংবা ‘এই রকম সমস্যায় তোমাদের আর পড়তে হবে না’, এই ধরনের কথা! এগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অভিভাবকদের অনেকেই এই ধরনের মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সন্তান এই রকম কথা বললে, তার সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সময় দেওয়া দরকার। তার নানান কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তবেই বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠে পা রেখেই বাড়ছে নানান রোগ। নানান ওষুধের গুণে দীর্ঘ জীবন পেলেও, সুস্থ জীবনযাপন এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, বন্ধুহীন নিঃসঙ্গ জীবন (Loneliness) কমাচ্ছে জীবন‌ যাপনের মান। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে এক সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    আন্তর্জাতিক এক সংস্থার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একাকিত্ব বাড়ছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ দেশের একাধিক বড় শহরে অধিকাংশ মানুষ বন্ধুহীন জীবন কাটাচ্ছেন। তাই বাড়ছে একাকিত্ব। যার জেরে নানান রোগের জটিলতাও বাড়ছে‌।

    কী সমস্যা বাড়ায় একাকিত্ব? (Loneliness)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। দীর্ঘদিন একাকিত্বের সমস্যায় ভুগলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। জেরেন্টোলজিস্টদের (বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ) একাংশ জানাচ্ছে, বয়স্কদের একাধিক রোগের কারণ এই একাকিত্ব। একাকিত্বের জেরে বাড়ছে মানসিক অবসাদ। তার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাচ্ছে। অনেক বয়স্করাই একা থাকার জন্য ঠিক মতো নিয়মিত রান্না করেন না। সময় মেনে অনেকেই খাবার খান না। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আবার একাকিত্বের জেরে বাড়ছে নানান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। ফলে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও বাড়ছে। তাই হৃদরোগ থেকে কিডনির জটিল অসুখ, সবকিছুর পিছনেই রয়েছে একাকিত্বের মতো‌ সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব (Loneliness) এক ধরনের মানসিক অবস্থা। একা থাকা মানেই একাকিত্ব নয়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে থেকেও এই একাকিত্বের সমস্যায় ভোগেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানেরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে কেউ থাকেন না। পরিবার বলতে আশপাশে কেউ নেই। এমন মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাকিত্বের মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছুই ভালো না লাগা, হঠাৎ খুব নিঃসঙ্গ মনে হওয়া, যে কোনও বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ। প্রয়োজনীয় থেরাপি ও ওষুধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, একাকিত্বের সমস্যা (Multiple Diseases) এড়াতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
    নিয়মিত সকালে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে নিয়মিত হাঁটলে পরিবেশের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সকালে হাঁটার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখার পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ক্লান্তি দূর করে‌। সকালে বহু মানুষের সঙ্গে সহজেই দেখা হয়। তাই মন হালকা থাকে। একাকিত্ব গ্রাস করে না।

    বই পড়ুন

    বই পড়ার অভ্যাস জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক এখন একা (Loneliness) থাকেন। দিনভর তাদের সঙ্গ দেওয়ার মানুষের অভাব। তাই দরকার বই পড়ার অভ্যাস। এতে দিনের অনেকটা সময় সুন্দরভাবে কাটানো যায়। এর ফলে একাকিত্ব গ্রাস করার সুযোগ কম। আবার নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে (Multiple Diseases)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) চোখ না রাখলে দিন যেন সম্পূর্ণ হয় না। দিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন দেওয়া হয়, তেমন আবার নিজের দিনভর নানা কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের। অফিস কিংবা ক্লাসের মাঝেও সময় পেলেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। আবার অনেকের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করতে করতে সময়ের হিসেব রাখাই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানোর অভ্যাস, একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? (Social Media)

    বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয়তা বাড়ছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের। মূলত তরুণ প্রজন্মের কাছেই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো। আমেরিকার একদল গবেষক বিশ্ব জুড়ে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত প্রজন্ম নিয়ে এক গবেষণা চালিয়েছেন। আর সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক বিপদের ঝুঁকির আশঙ্কা। তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে শরীর ও মনের একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এই অভ্যাসে তাদের নানা কাজের মধ্যে গভীর প্রভাব পড়ছে। তাই এবিষয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আসক্তি বাড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া

    মনোরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাস আসক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় কাটানোর অভ্যাস মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তার জেরেই এক ধরনের আসক্তি বাড়ায়। আর এই আসক্তির জেরে যে কোনও বিষয়ে আসক্তির প্রবৃত্তি বাড়ায়। এর জেরে সামাজিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে মেশা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ক্রমাগত লাইক, কমেন্ট এবং ফলোয়ার বাড়ানোর ইচ্ছে এই আসক্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে‌। ফলে জটিলতা আরও বাড়ে।

    মনঃসংযোগ নষ্ট করে (Social Media)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে মনোসংযোগ নষ্ট হয়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিকাংশ ভিডিও খুব কম সময়ের হয়। তার জেরে বড় কোনও ছবি দেখা কিংবা দীর্ঘ সময় একটি বই পড়ার জন্য যে‌ ধরনের ধৈর্য্য দরকার তা থাকে না। দীর্ঘ সময় ধরে একটা কাজ যত্ন করে করার জন্য যে ধরনের ক্ষমতা প্রয়োজন হয়, মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা কমতে থাকে। যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ হারায়। কোনও কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করতে হলে এক ধরনের বিরক্তি তৈরি হয়। যার প্রভাব কাজে পড়ে।

    ড্রাই আইয়ের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে

    সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে চোখের শুষ্কতার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ড্রাই আই কিংবা চোখের শুষ্কতার মতো রোগ অর্থাৎ, চোখ দিয়ে লাগাতার জল পড়া, চোখ জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া আর চোখে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইলের স্ক্রিনের আলো দীর্ঘ সময় চোখে পড়ার জেরে বিশেষত রাতে অন্ধকার ঘরে দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখার জেরে এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ে।

    সমস্যা এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Social Media)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের ওতোপ্রোত অংশ। কোনও ভাবেই তাকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যাবে না। বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ঘোষণা, সরকারি তথ্যও অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারা যায়। তাই এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কতটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাদ্দ থাকবে, সে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ সতর্ক না থাকলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়বে। কখনই একটানা আধঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো যাবে না। পাশপাশি , কোনও জরুরি কাজের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) সময় কাটানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তবেই মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Depression: মানসিক অবসাদ ৫৮ শতাংশ রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে! কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Depression: মানসিক অবসাদ ৫৮ শতাংশ রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে! কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীরের পাশপাশি বাড়ছে মনের রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের রোগ সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পাশপাশি মনের অসুখ নিয়েও সচেতনতা জরুরি। না হলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, মনের অসুখ বাড়িয়ে দিচ্ছে শরীরের একাধিক রোগ। তাই মানসিক রোগ (Depression) নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? (Depression)

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জানা‌ গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে মানসিক অবসাদ।‌ গোটা বিশ্বের প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ মানসিক অবসাদে ভুগছেন।‌ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একাকিত্ব থেকেই অবসাদ হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম তিন অবসাদে (Depression) ভোগা দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ভারতীয় মানসিক অবসাদের শিকার। আর এই অবসাদের অন্যতম কারণ একাকিত্ব। 
    ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষত, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো সমস্যা বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানসিক অবসাদগ্রস্থের এই ধরনের রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি ৫৮ শতাংশ বেশি থাকে। অধিকাংশ মানসিক অবসাদগ্রস্থের নানান শারীরিক সমস্যা থাকে। যার অধিকাংশই জীবনযাপনের ধরনের জন্য হয়।

    কেন বাড়ছে মানসিক অবসাদ? (Depression)

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে মানসিক অবসাদের সমস্যা বাড়ছে। তার প্রধান‌ কারণ একাকিত্ব। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাকিত্ব মানে একা থাকা নয়। একাকিত্ব হল এমন এক মানসিক অবস্থা, যখন একজন ভাবেন, তিনি একা (Depression)। তাঁর পাশে কেউ নেই। তাঁর সমস্যা, তাঁর ভাবনা‌ বলার মতো কেউ তাঁর কাছে নেই। সেখান থেকেই অবসাদের সমস্যা তৈরি হয়। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অধিকাংশ মানুষ পরিবারের সঙ্গেও‌ ঠিকমতো সময় কাটাতে পারেন না।‌ ফলে, নিজের মনের কথা ভাগ করে‌ নেওয়ার সুযোগ ক্রমশ কমছে। সেখান থেকেই অবসাদের মতো মানসিক সমস্যা বাড়ছে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব? (Depression)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাকিত্ব দূর করতে পারলেই অনেকটা সমস্যা মোকাবিলা হবে। মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ কমলে একাধিক শারীরিক সমস্যা কমে। এটা একাধিকবার প্রমাণ হয়েছে। তাই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা কমাতে মানসিক স্বাস্থ্য (Depression) সুস্থ রাখতেই হবে। তবেই সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব। তাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।‌ দিনে অন্তত একবার পরিবারের সকলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় একে অপরের সঙ্গে কথা বলে সারাদিনে কে কী করল, বিভিন্ন ঘটনা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। এতে মানসিক চাপ কমে। এছাড়া নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে‌ যোগাযোগ করা জরুরি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া হোক কিংবা সরাসরি বসে কথা বলা, নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ একাকিত্ব কাটাতে বিশেষ সাহায্য করে। স্কুল জীবন বা কর্ম জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে একাকিত্ব কমে‌। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন কিছুটা সময় সমবয়সীদের সঙ্গে কাটানোর পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    তবে, মানসিক অবসাদের সমস্যা জটিল হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, অনেক সময় নির্দিষ্ট ওষুধ আর থেরাপির প্রয়োজন হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loneliness: একাকিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাড়তি ওজনের, দাবি গবেষকদের

    Loneliness: একাকিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাড়তি ওজনের, দাবি গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়তি ওজন বা ওবেসিটি আজকে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বের মতো ভারতবর্ষেও বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছেন অসংখ্য মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাড়তি ওজন অনেক কিছুই রোগ টেনে আনে। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের অন্যতম কারণ হল বাড়তি ওজন। মানুষের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে আজ এইসব রোগের কারণে। বাড়তি ওজনকে কম করতে মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। কেউ জিমে যেতে পছন্দ করেন, কেউ বা সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করেন। শারীরিক কসরতে নিজেদের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে এমন অনেক পদ্ধতিই দেখা যায়। বাড়তি ওজন কমাতে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নিয়মিত বিভিন্ন ডায়েট চার্টও ফলো করেন অনেকে।

    মার্কিন গবেষণা কী বলছে

    সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে যে বাড়তি ওজনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে একাকিত্বেরও (Loneliness)।  একাকিত্ব  (Loneliness) এক ভয়ঙ্কর সমস্যা বলা যেতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে নিজের অনুভূতির যথার্থ প্রকাশ করতে না পারা থেকেই একাকিত্বের অনুভূতি চরম আকার ধারণ করে। যেমন ধরুন কোনও মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন সেই মেয়েটির মধ্যে একাকিত্ব  (Loneliness) আরও ভালোভাবে লক্ষ্য করা যাবে। একাকিত্ব  (Loneliness) বিভিন্ন রকমের হয় বাঙালি বাড়িতে অনেকেই আছেন যাঁরা আধ্যাত্মিকতা নিয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা যে কোনও সম্পর্কে খুব সহজে জড়ান না, একা জীবন উপভোগ করতে চান। আবার এই একাকিত্ব  (Loneliness) অন্যরকম হয়ে ওঠে যখন মা-বাবা সন্তানকে বোঝেনা কিংবা সন্তান যখন মা বাবার অবাধ্য হয়। আবার যে কোনও নতুন অবস্থায়, নতুন জায়গায় গেলে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য না হওয়া অবধি এই একাকীত্ব দেখা যায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সমীক্ষাতে দেখা গেছে যে সে দেশের কলেজ ছাত্রদের ৪৪ শতাংশ ছাত্রই বলছে যে তাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি এবং তারা ওভারওয়েট বা বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছে। শুধুমাত্র তাই নয় এই বাড়তি ওজনের সঙ্গে একাকিত্বে  (Loneliness)র সরাসরি সম্পর্ক দেখা গেছে সেদেশে।
    এই মার্কিন গবেষণায় গবেষকরা ছাত্রদের দুটি দলে ভাগ করেন এবং সেখানে দেখা যায় যেসমস্ত ছাত্র কম একাকিত্বে  (Loneliness) ভুগছে তাদের মধ্যে শারীরিক অনুশীলনের পরিমাণটা অপেক্ষাকৃত বেশি আছে এবং যারা বেশি একাকিত্বে  (Loneliness) ভুগছে তাদের মধ্যে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি আছে এবং তারা শারীরিক অনুশীলনও কম করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • AI Systems: ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতলে’, বলছে সমীক্ষা

    AI Systems: ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতলে’, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীও। এক সময় কাজ করত মানুষ। এখন কাজ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems)। আর এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতল গহ্বরে। যার জেরে অফিস থেকে ফিরেও ক্লান্ত শরীরে বিছানা নিলেও, কাটাতে হচ্ছে বিনিদ্র রাত। এই একাকিত্ব কাটাতে এই সব কর্মীদের একটা বড় অংশ কাজ শেষে মদ্যপানেও মেতে উঠছেন। যার ছাপ পড়ছে শরীরে। সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোশিয়েসনের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষকরা চার দেশে সমীক্ষা করেছিলেন। এই চারটি দেশ হল, আমেরিকা, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া। অনলাইন জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের ওই গবেষণাপত্রটি।

    “মানুষ সমাজবদ্ধ জীব”

    গবেষকদের প্রধান যিনি, তিনি পক মান টাং। চাকরি করতেন একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে। ব্যবহার করতেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems)। মূলত তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয় গবেষণা। ট্যাং বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে অনেক কাজই হয়ে গিয়েছে অনায়াস। তবে এর বিপদও রয়েছে। এটি কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।” ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহকারি অধ্যাপক বলেন, “মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করলে তার ছাপ কর্মীর ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে পারে।”

    নিরাপত্তাহীনতা

    গবেষকরা দেখেছেন, যাঁদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে, তাঁরা উদ্বেগে ভুগছেন। অনুভব করছেন নিরাপত্তাহীনতা। সামাজিক যোগাযোগ সম্পর্কেও বেশ উদ্বিগ্ন। একাকিত্ব গ্রাস করছে তাঁদের। তাঁরা ভুগছেন নিদ্রাহীনতায়। তাইওয়ানের একটি বায়োমেডিক্যাল কোম্পানিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems) নিয়ে কাজ করেন এমন ১৬৬ জন ইঞ্জিনিয়রের ওপরও সমীক্ষা করা হয়েছিল টানা তিন সপ্তাহ ধরে। দেখা গিয়েছে, এঁদের প্রত্যেককেই গ্রাস করেছে একাকিত্ব।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’

    ‘কী হয়, কী হয়’ ভাব এঁদের নিত্য সঙ্গী। এঁদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এঁরা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। কাজের শেষে নিত্য পান করে মদ। একই ছবি উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার ১২৬ জন রিয়েল এস্টেট কনসালটেন্টের ওপর সমীক্ষা চালিয়েও। টাং বলেন, “যত দিন যাবে ততই বাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। তাই যাঁরা তা নিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের এর বিপজ্জনক দিক সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share