Tag: love jihad

love jihad

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। মুজফ্ফরনগরের বুধানা এলাকার একটি ঘটনায় অপহরণ ও ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠেছে। তফসিলি জাতির বছর উনিশের এক তরুণীকে এক মুসলমান ব্যক্তি প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্যক্তি মিরাটের পাঞ্চলি বাজার্গ গ্রামের বাসিন্দা। সে বিবাহিত। তার চারটি সন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি বিয়ে আড়াল করে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও ‘লাভ জেহাদে’র উদাহরণ বলেই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এদিকে, কনৌজের একটি গ্রামের বছর সতেরোর এক ছাত্রী সপ্তাহ দুয়েক ধরে নিখোঁজ ছিল। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, হিন্দু ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীটি বোরখা পরে রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে ইমরান নামের এক মুসলমান যুবক।

    বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর

    দেবী প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার আমলা শহরে। খবরে প্রকাশ, কালী মূর্তি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়া হয়। শোভাযাত্রাটি যখন পীর মঞ্জিল এলাকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই কাছাকাছি দোকানের পিছন দিক থেকে দুষ্কৃতীরা পাথর ছোড়ে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলার। সাংকিসা থানা এলাকার তফসিলি জাতির এক পরিবারের বছর পনেরোর কিশোরী নিখোঁজ। পরিবারের অভিযোগ, গ্রামেরই এক মুসলমান যুবক ওই নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি কিছুদিন ধরে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। তাকে বাড়ি ছাড়তেও রাজি করিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটার পর ওই পরিবার থেকে সোনার গয়না ও নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকাও খোয়া গিয়েছে (Roundup Week) বলে অভিযোগ।

    কিশোরীকে গণধর্ষণ

    পরিবারের দাবি, অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা আগেই বিষয়টি জানত (Hindus Under Attack)। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশেরই বালাঘাট জেলার লালবাড়া থানা এলাকায় বছর পনেরোর এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই হিন্দু কিশোরীকে চারজন মুসলিম, যাদের মধ্যে আবার দু’জন নাবালিকাও রয়েছে, ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই কিশোরীর আপত্তিকর ভিডিও তোলে। পরে তা ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করতে থাকে। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। পলাতক একজনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। বিদেশের ছবিটাও খুব একটা আলাদা কিছু নয় (Hindus Under Attack)। আমেরিকার টেক্সাসে হনুমান মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এবং গণেশ চতুর্থীর শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু-বিদ্বেষী আক্রমণ শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার ক্যারোলিনায় নির্মীয়মাণ একটি মুরুগন মন্দিরকে ঘিরে নতুন করে হিন্দু- বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের পেছনে থাকে এমন কিছু ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাখ্যা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ, যেখানে হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গেঁথে রয়েছে। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দু-বিদ্বেষের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক ধরনের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব রয়েছে (Roundup Week)। এটি হিন্দুফোবিয়া এবং ঘৃণাজনিত অপরাধ করার জন্য অনুকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে। এই সূক্ষ্ম, অথচ রোজকার বৈষম্য চোখ এড়িয়ে যেতে পারে, যদি না কেউ বর্তমানে থাকা আইন ও কার্যপদ্ধতির ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করে (Hindus Under Attack)।

    উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার কথা। আপাত দৃষ্টিতে এটি দূষণ-সংক্রান্ত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে যখন হিন্দু উৎসবগুলির ক্ষেত্রেই এমনতর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয় এবং এসব নিষেধাজ্ঞার নেপথ্য শক্তিশালী যুক্তির অভাব থাকে, তখনই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির মুখোশ খুলে পড়ে, বেরিয়ে পড়ে আসল মুখ (Hindus Under Attack)।

  • Hindus Under Attack: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু বিদ্বেষ, লাভ জিহাদ, ‘ল্যান্ড জিহাদ’, আর কী?

    Hindus Under Attack: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু বিদ্বেষ, লাভ জিহাদ, ‘ল্যান্ড জিহাদ’, আর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৫ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১১ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে।

    ভারতেও নিরাপদ নন হিন্দুরা (Hindus Under Attack)

    ধর্মনিরপেক্ষ ভারতেও নিরাপদ নন হিন্দুরা। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুজাতা ভাট, যিনি বিতর্কিত ধর্মস্থল মামলার কেন্দ্রীয় চরিত্র, দাবি করেছেন যে তিনি এক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ‘গুটি’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘বুরুদে’ গ্যাংয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং তাঁকে মিথ্যা অভিযোগ করতে প্রলুব্ধ করে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। মুরথল রোডে অবস্থিত শ্রী রাম পার্কে ইসলামপন্থী দুষ্কৃতীরা দোলনা ও বেঞ্চে ‘আই লাভ মহম্মদ’ ও ‘লাভ জিহাদ’–এর মতো আপত্তিকর স্লোগান লিখে দেয়। আলিগড়ের এক হিন্দু নার্সিং শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ফের সামনে এসেছে ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যু। ১৮ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী খায়ের রোডের একটি হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। অভিযোগ, তাঁর সহকর্মী মহম্মদ আবদুল প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করেছে। পাঞ্জাবের জলন্ধরে “আই লাভ মহম্মদ” পোস্টার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা হিংসার আকার ধারণ করে। সেখানে মুসলিম বিক্ষোভকারী ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

    হিন্দু দেব-দেবীদের অবমাননা

    গুজরাটের ভাদোদরার পুলিশ খোদিয়ারনগরের বাসিন্দা নীলেশ নাঞ্জি জিতিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যেখানে হিন্দু দেব-দেবীদের অবমাননা করা হয়েছে (Hindus Under Attack)। ওড়িশার কটকে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা-সহ বহু মানুষ জখম হন। অভিযোগ, স্থানীয় ইসলামপন্থীরা ঝাঞ্জিরমঙ্গলা ভাগবত সাহি পূজা কমিটির বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বাজানো গান ও ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিবাদ করে। এনিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ, বোতল ছোড়ার খবর মিলেছে। কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুলিশ সুপারের একটি রিপোর্টে মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো আধিকারিকদের একটি চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যারা ধর্মস্থল মন্দির মামলায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছিল। তদন্তে (Roundup Week) বেঙ্গালুরুর জন সাইমন এবং হুব্বলির মাদন বুগুড়ি-সহ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তারা মানবাধিকার কমিশনের নাম ভাঙিয়ে আধিকারিকদের ভয় দেখাত এবং মন্দিরকে ঘিরে মিথ্যা গল্প ছড়াত। উত্তরপ্রদেশের দেরাদুনের বিকাশনগরে আকিব নামে এক ব্যক্তি এক নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পকসো আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে আকিবকে (Hindus Under Attack)।

    ‘ল্যান্ড জিহাদ’

    মাইসুরু জেলার সালিগ্রামা শহর থেকে এক চাঞ্চল্যকর ‘ল্যান্ড জিহাদে’র ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ইসলামপন্থীরা একটি সরকারি স্কুলের ভবনের একাংশ ভেঙে দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে। অভিযোগ, সেখানে অনুমোদন ছাড়াই শেড ও পার্কিং লট তৈরি করা হচ্ছে। চিত্রপতি সংভাজিনগরের চিকলঠানা এলাকায় গরু পাচার ও অবৈধ জবাই বিরোধী হিন্দু কর্মী গণেশ শেলকের ওপর হামলা চালায় উগ্র ইসলামপন্থীরা।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে হিন্দু মেয়েদের নিরাপত্তা ও আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলি নিয়ে সারা অঞ্চলে তীব্র বিতর্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সাহজনওয়া এলাকার নওশাদ চৌরাহায় স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে মারধর করে (Roundup Week)। সে বিহারের বাসিন্দা, নাম মনসুর আলি। অভিযোগ, সে এক হিন্দু মহিলাকে বোরখা পরতে বাধ্য করেছিল, তাকে নিয়েও পালানোর চেষ্টা করছিল (Hindus Under Attack)। কর্নাটকে হুব্বাল্লিতে রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে কোরানের আয়াত পাঠ করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের তোষণ নীতির জন্যই এভাবে সরকারি প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশের ছবি

    বাংলাদেশের ছবিটাও ভয়াবহ। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, ভুয়ো ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাবাচক বক্তব্য—এসবই হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পুরসভা এলাকায় স্থানীয় থানার অদূরে নৃশংসভাবে খুন করা হয় জনৈক নারায়ণ পালকে (Roundup Week)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের একটি গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না (Hindus Under Attack)।

  • Love Jihad: উত্তরপ্রদেশে ফের লাভ জিহাদের পর্দা ফাঁস, হিন্দুর ভেক ধরে প্রতারণা করে চলেছিল মুসলিম যুবক

    Love Jihad: উত্তরপ্রদেশে ফের লাভ জিহাদের পর্দা ফাঁস, হিন্দুর ভেক ধরে প্রতারণা করে চলেছিল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খোঁজ মিলল ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) চক্রের হদিশ। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক হিন্দু তরুণীর দাবি, মহম্মদ নাভেদ ওরফে কাসিব পাঠান (Muslim Man Arrested) তার ধর্ম গোপন করে তাঁকে ফাঁদে ফেলে এবং তারপর ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেল এবং পরে ইসলাম ধর্ম নিতে বাধ্য করে। ওই তরুণীর দাবি, বছর দুয়েক আগে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে তাঁর পরিচয় হয় কাসিব পাঠানের সঙ্গে। পাঠান মুসলমান পরিচয় লুকিয়ে ‘শিব ভার্মা’ নাম দিয়ে একটি ভুয়ো আইডি খোলে। ওই তরুণীর সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন সে সব সময় নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিত। তিলক এবং কলাওয়া পরে এবং হিন্দু দেব-দেবীর নামে শপথ নিয়ে পাঠান ওই তরুণীর বিশ্বাস অর্জন করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠানের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেম গাঢ় হয়।

    তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Love Jihad)

    অভিযোগ, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঠান ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। এজন্য পাঠান শাহজাহানপুরের মহল্লা সিনজাইয়ে একটি ঘরও ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেও সে নিজেকে শিব ভার্মা বলেই পরিচয় দিয়েছিল। ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সে তাকে ব্ল্যাকমেলও করতে শুরু করেছিল। পাঠান ওই তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতেও চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে, শারীরিক সম্পর্কের কারণে ওই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যরা যার মধ্যে তার ভাই কাইফ ও সামান এবং তাদের বাবা-মা আলম খান এবং উজমা খান সবাই মিলে ওই তরুণীকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। গর্ভপাত করতে অস্বীকার করলে পাঠান তাঁর পেটে লাথি মারে। তিন মাসের মাথায় গর্ভপাত হয়ে যায় ওই তরুণীর।

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়

    এর পর তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। পাঠান তাঁর সঙ্গে মালিক এবং চাকরের সম্পর্কের মতো আচরণ করত। ওই তরুণী এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে খুন করে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তার পরেও নিতান্তই নিরুপায় হয়ে ওই তরুণী থেকে যান পাঠানের (Muslim Man Arrested) সঙ্গেই। ১১ জুলাই সুযোগ বুঝে ওই তরুণী পাঠানের মোবাইল পরীক্ষা করতে থাকেন। তখনই তিনি জানতে পারেন, পাঠান, তার ভাই কাইফ এবং তাদের বন্ধু আকিল হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। পাঠানের ফোনে লক্ষ্মী, মেধা এবং শত শত হিন্দু তরুণীর অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও-ও দেখতে পান। পরে ওই তরুণী সে সব নিয়ে পাঠানকে প্রশ্ন করলে, সে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পাঠান তাঁকে বলেছিল, হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Love Jihad) স্থাপন করা মুসলমানদের কাছে খুবই পুণ্যের কাজ। তাই ওই তরুণী পাঠানকে নিরস্ত করতে পারবে না।

    লাভ জিহাদের মুখোশ

    পাঠানের লাভ জিহাদের মুখোশ খুলে পড়তেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। গত ১২ জুলাই তিনি প্রধান অভিযুক্ত কাসিব পাঠান, তার দুই ভাই কাইফ ও সমন, কাসিবের বন্ধু আকিল এবং কাসিবের বাবা-মা আলম খান ও উজমা খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পাঠানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পাঠান শিব ভার্মা নামে হিন্দু যুবকের ছদ্মবেশ ধারণ করে অন্তত ১৮ জন হিন্দু মেয়েকে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এবং পরে চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করে (Love Jihad)। তদন্তকারীরা এও জানতে পারেন, পাঠান একা এই কাজ করছিল না। এই চক্রের সঙ্গে (Muslim Man Arrested) জড়িত ছিল তার ভাই কাইফ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

    পাঠানের চারটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রামের হদিশ

    তদন্তকারীরা পাঠানের চারটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রামের হদিশ পেয়েছেন। এগুলিতে সব মিলিয়ে ১৯০০-রও বেশি ছবি ছিল, যার অনেকগুলিতেই বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে পাঠানের ছবি ছিল। তাঁদের ধারণা, এই প্রোফাইলগুলি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হত, মানসিকভাবে প্রভাবিত করা হত এবং পরে তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে সেই ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে ধর্মান্তরিত করা হত। পুলিশ সুপার অশোক কুমার মিনা বলেন, “অভিযুক্ত পাঠান জেরায় কবুল করেছে যে সে একই কৌশলে ১৮জন হিন্দু মেয়েকে টার্গেট করেছিল।” এই চক্রের সঙ্গে সম্প্রতি বললামপুরে ধরা পড়া আর একটি গ্রুমিং চক্রের (Muslim Man Arrested) সঙ্গে যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Love Jihad)।

  • Devendra Fadnavis: লাভ জিহাদ রুখতে আইন আনছে ফড়ণবীশ সরকার, তৈরি হল কমিটি

    Devendra Fadnavis: লাভ জিহাদ রুখতে আইন আনছে ফড়ণবীশ সরকার, তৈরি হল কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের (Devendra Fadnavis) নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার ৭ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করল। এই কমিটি লাভ জিহাদের (Love Jihad) বিরুদ্ধে আইনের খসড়া তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্রের ডিজিপি জানিয়েছেন যে ওই প্যানেল আলোচনা করবে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক, সামাজিক ন্যায় বিচার মন্ত্রকের সঙ্গে।

    কী বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)

    একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গেও আলোচনা চালাবে ওই কমিটি। জানা গিয়েছে, তারপরেই লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কিরকম আইন আনা যেতে পারে সেরকম খসড়া তৈরি করা হবে। এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis) বলেন, এ ধরনের পরিকল্পনা আমরা আগেই নিয়েছিলাম। বিশেষত সেই ধরনের কেসগুলিতে যেখানে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ করানো হয়, লাভ জিহাদের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ধর্মান্তকরণ করানোর অনেক অভিযোগই সামনে আসে দেশের একাধিক রাজ্যে। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সহ অন্যান্য রাজ্যে আইন চালু রয়েছে।

    এমন আইন আসতে পারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)

    লাভ জিহাদ রুখতে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারা বর্তমান স্থিতিকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং সেই মতোই আইনের খসড়া তৈরি করবে। এই নথি গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে। এর পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও লাভ জিহাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিষয়ে অবগত করানো হবে। ২০২৩ সালেই দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis) এনিয়ে বলেছিলেন। প্রসঙ্গত, সেসময় তিনি ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেসময় তিনি বলেছিলেন, যে অনেক ঘটনাই সামনে আসছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মেয়েদের বিয়ে করে তাঁদেরকে ধর্মান্তকরণ করে নেওয়া হয়েছে। তাই চারিদিক থেকে দাবি উঠছে এর বিরুদ্ধে আইন তৈরির জন্য। ২০২৩ সালে তিনি যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাতে সিলমোহর পড়ল ২০২৫ সালে।

  • VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের শেষ ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এঁরা অন্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    লাভ জিহাদ (VHP)

    পরিষদের দাবি, লাভ জিহাদের (Love Jihad) হাত থেকে তারা রক্ষা করেছে ৩ হাজার তরুণীকে। শনিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ১৮তে তিনদিনের শিবির চলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। লাভ জিহাদের নামে হিন্দু তরুণীদের ভিন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। এভাবেই বহু মুসলমান ধর্মান্তরিত করেছেন হিন্দু মহিলাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সক্রিয় হওয়ায় সেই হার কিছুটা কমেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।

    ঘর ওয়াপসি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, গত বছরের শেষ ছ’মাসে তারা ১৯ হাজার হিন্দুকে ঘরে ফিরিয়েছেন। এঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিষদের দাবি, এই ১৯ হাজারের ঘর ওয়াপসি সম্পন্ন হয়েছে সম্মতি, আধ্যাত্মিক এবং আইনি পরামর্শের মাধ্যমে। যাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে (VHP)। কেবল হিন্দু নন, গো-মাতাও রক্ষা করেছে পরিষদ। এই সময়সীমায় তারা অবৈধ কষাইখানা থেকে রক্ষা করেছে ৯৭ হাজার ৯৩৪টি গরুকে।

    গত মাসেই হিন্দুদের এই সংগঠন দাবি করেছিল, হিন্দু জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তারা এও বলেছিল, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। আয়োজিত সন্ত সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংড়া বলেন, “হিন্দুদের কমে যাওয়া জন্মহার দেশের হিন্দু জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। হিন্দু সমাজের সম্মানিত সাধুরা আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্মগ্রহণ করা উচিত।” তাঁর দাবি, ভারতে হিন্দুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যেমনভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিপীড়ন (Love Jihad) চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী ও সীমাহীন অধিকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের ওপর একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে (VHP)।”

  • Love Jihad: লাভ জিহাদের অভিযোগ ভোপালে, কোর্ট চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও অভিযুক্তের ওপর

    Love Jihad: লাভ জিহাদের অভিযোগ ভোপালে, কোর্ট চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও অভিযুক্তের ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) অভিযোগ উঠল ভোপালে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করতে আসে এক মুসলিম ব্যক্তি। এরপরেই লাভ জিহাদের অভিযোগে ভোপালের জেলা আদালত চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপরে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ হলেন ওই হিন্দু মহিলার মা। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি নানাভাবে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। এ কথা শোনার পরেই ভোপালের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় ভোপালজুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালত লাভ জিহাদ (Love Jihad) নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দেয়। কোর্ট জানায়, এটি এমন একটি কাজ যেখানে মুসলমান পুরুষরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য টার্গেট করে মিথ্যে বিয়ের নামে ছদ্মবেশে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে।

    লাভ জিহাদ, কী বলল আদালত (Love Jihad)

    উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালতের মতে, ‘লাভ জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু অরাজকতাবাদী উপাদান দ্বারা ভারতের ওপর আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা। এটি একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ, যা সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। সম্প্রতি এই আদালতই এক মুসলমান যুবককে এক হিন্দু মহিলাকে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ৪২ পাতার একটি নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রবি কুমার দেওয়াকার জানান, লাভ জিহাদের মাধ্যমে অবৈধ ধর্মান্তরণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এবং তিনি ভারত সরকারকে এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, লাভ জিহাদের (Love Jihad) অপরাধটা একটা সিন্ডিকেট দ্বারা চালানো হচ্ছে। যারা অ-মুসলিম, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের মানুষদের মগজ ধোলাই করে নারী ও শিশুদের প্রভাবিত করছে।

    উত্তরপ্রদেশের ঘটনা

    উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় একটি কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার কোর্স করতে গিয়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় এক হিন্দু তরুণীর। আলম ওই তরুণীকে আনন্দ বলে পরিচয় দেন। এই পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আলম। শারীরিক সম্পর্কের এই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে আলম। অভিযোগ, তারপর থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিওটি দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, গর্ভপাতও করানো হয়। এরপরে হিন্দু ওই তরুণীকে আলম ও তার পরিবার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। এরপরেই মামলা দায়ের হয় আদালতে। তারই পর্যবেক্ষণে বরেলি আদালত এমন মন্তব্য করে।

  • Uttarakhand: লাভ জেহাদ ও ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে মহা পঞ্চায়েত সভা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Uttarakhand: লাভ জেহাদ ও ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে মহা পঞ্চায়েত সভা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার, ১ ডিসেম্বর, বেশ কতগুলি হিন্দু সংগঠন মিলে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরাকাশিতে মহা পঞ্চায়েত সভার আয়োজন করে। এই সভার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয় দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডে লাভ জেহাদ ও ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন হায়দরাবাদের বিজেপি নেতা রাজা সিং।

    কী বললেন বক্তারা?

    সভায় রাজা সিং (T Raja Singh) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ধামির উচিত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একটি চায় পে চর্চা করার। কারণ যোগী আদিত্যনাথই ধামিকে বলতে পারতেন ঠিক কিভাবে ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আমরা কখনও ল্যান্ড জেহাদকে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) প্রশ্রয় দেব না।’’ অন্যদিকে, গঙ্গোত্রির বিধায়ক সুরেশ সিং চৌহান সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং তিনি বলেন, ‘‘কোথাও কোথাও এই শহরের ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা সফলতা দেব না। এখানে কোনও রকমের মাংস, ডিম বা মদের দোকান আমরা তৈরি করতে দেব না।’’

    জেলা প্রশাসন শর্ত সাপেক্ষে সভার অনুমতি দেয় 

    প্রসঙ্গত মহা পঞ্চায়েতসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে জেলা প্রশাসন বেশ কিছু শর্ত চাপায় হিন্দু সংগঠনগুলির (Uttarakhand) ওপর। সেখানে বলা হয় যে এমন কিছু বক্তব্য রাখা যাবে না, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়। জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনটির আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং এই সম্মেলনে ৫০০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে উদ্যোক্তারা (Uttarakhand) আরও বড় মহাপঞ্চায়েত সভার করার বিষয়ে জানিয়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অনুজ ওয়ালিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা তো শুরু আমরা উত্তরাখণ্ড জুড়ে আরও সভা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru: ইসলামি কালা যাদু মতে সন্তানকে খুনের চেষ্টা! লাভ জিহাদের শিকার হিন্দু মহিলা

    Bengaluru: ইসলামি কালা যাদু মতে সন্তানকে খুনের চেষ্টা! লাভ জিহাদের শিকার হিন্দু মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের লক্ষ্য হল, মুসলিম পুরুষরা নিজের আসল পরিচয় আত্মগোপন করে হিন্দু সেজে প্রথমে মন্দিরে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে। কিছু দিন পরে মুসলমান পরিচয় দিয়ে বিবাহিত স্ত্রীকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মুম্বই, কর্নাটকে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। হিন্দু মহিলাদের হিন্দু নাম-পরিবর্তন ও ধর্ম-পরিবর্তন করে শরিয়া মতে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। আর না করতে চাইলে চলে অকথ্য অত্যাচার, এমনকী খুনও করা হয়! এই ভাবেই হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করে চলে লাভ জিহাদের ষড়যন্ত্র। সম্প্রতি, এমনই একটি লাভ জিহাদের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে বেঙ্গালুরুতে  (Bengaluru)। 

    ইসলাম গ্রহণের জন্য ব্যাপক মারধর অত্যাচার (Bengaluru)

    খবরে প্রকাশ, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একজন হিন্দু মহিলা নিজের এবং তাঁর ছেলের সুরক্ষা চেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করেনি। ওই হিন্দু মহিলা বলেন, “আমার স্বামী সাদ্দাম আমার ৩ বছরের সন্তানকে কালা জাদুর জন্য খুন করতে চেয়েছিলেন। আমি, ২৭ সেপ্টেম্বর আরকে পুরম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ২৮ অক্টোবর পুলিশের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলাম। ওই সময় আমাকে এবং ছেলেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য ব্যাপক ভাবে মারধর করা হয় এবং খুনের চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়। এমনকী আমার মাকেও টার্গেট করা হয়। আমি, পুলিশকে সাদ্দাম ও নিয়াজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় ছিল না। তবে আমার কোনও ক্ষতি হলে সাদ্দামকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করব।”

    ছদ্মবেশে হিন্দু রীতিতে মহিলাকে বিয়ে

    মহিলার দাবি, ওই হিন্দু মহিলার সঙ্গে ২০২০ সালে সাদ্দামের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সময় সাদ্দাম নিজের পরিচয় আধি ঈশ্বর নামের একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিলেন। যেহেতু সাদ্দাম তাঁকে বিয়ে করতে আগ্রহী ছিলেন, তাই ২০২০ সালের নভেম্বরেই হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন। এই সময়ে সাদ্দাম একজন হিন্দু বলেই জানতেন মহিলা। মহিলা তাঁর অভিযোগে জানান, ২০২১ সালে তাঁদের ছেলের জন্ম হয়। তাঁদের ছেলের জন্মের পর সদ্দাম বারবার বলত ছেলেকে একটি অনুষ্ঠানের জন্য জবাই দিতে চান এবং এতে অনেক অর্থ আসবে। কিন্তু  অত্যচার আরও বেশি বেশি হওয়ায় জীবনের ভয়ে ছেলেকে নিয়ে তুমাকুরুতে (Bengaluru) চলে যান ওই হিন্দু মহিলা। মহিলার দাবি, সাদ্দাম এবং সঙ্গী ল্যাংদা নায়াজ খোঁজ করে ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ নন হিন্দু মহিলা এবং তাঁর পুত্র।

    হিন্দু মহিলা আরও বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে প্রবঞ্চনা হয়েছে। পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করানো হয়েছে। বিবাহের পর আমার ধর্ম এবং নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি পুলিশকে সাদ্দাম ও নিয়াজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। প্রতিসময় আমকে ওরা নজরে রাখতে চায়। হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য সব সময় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার ছেলে এবং মায়ের জন্য উদ্বিগ্ন। আমি জরুরি ভিত্ততে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু পুলিশ সক্রিয়তা দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত আমার সুরক্ষার ব্যবস্থা করেনি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গেও দেখা করেছি। লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি। সাদ্দামের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চাই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে আশ্বাস

    কেআর পুরমের (Bengaluru) এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ওই হিন্দু মহিলা ২০২১ সালে আরকে পুরমে তাঁর বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তুমাকুরুতে থাকতেন এবং বর্তমানে নেলামঙ্গলার কাছে বসবাস করছেন। সেপ্টেম্বরে তাঁর অভিযোগটি একটি পিটিশন হিসাবে নিয়েছিলাম এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলাম। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামীর ফোন নম্বর দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে নম্বর দিয়েছেন তা সংযোগ করা যাচ্ছে না। আমরা এটাও জানতে পারি যে তিনি পুলিশ কমিশনারের অফিসেও গিয়েছিলেন। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের ভিত্তিতে আমরা আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: টার্গেট হিন্দু মেয়েরা! ব্যাপকহারে চলছে ‘লাভ জিহাদ’, বড় মন্তব্য আদালতের

    Love Jihad: টার্গেট হিন্দু মেয়েরা! ব্যাপকহারে চলছে ‘লাভ জিহাদ’, বড় মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লাভ জিহাদ (Love Jihad) এমন একটি কাজ যেখানে মুসলমান পুরুষরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য টার্গেট করে মিথ্যে বিয়ের নামে ছদ্মবেশে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে।’ পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালত।

    লাভ জিহাদ, কী বলল আদালত (Love Jihad) 

    আদালতের মতে, ‘লাভ জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু অরাজকতাবাদী উপাদান দ্বারা ভারতের ওপর আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা। এটি একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ, যা সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। সম্প্রতি এই আদালতই এক মুসলমান যুবককে এক হিন্দু মহিলাকে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ৪২ পাতার একটি নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রবি কুমার দেওয়াকার জানান, লাভ জিহাদের মাধ্যমে অবৈধ ধর্মান্তরণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এবং তিনি ভারত সরকারকে এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, লাভ জিহাদের (Love Jihad) অপরাধটা একটা সিন্ডিকেট দ্বারা চালানো হচ্ছে। যারা অ-মুসলিম, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের মানুষদের মগজ ধোলাই করে নারী ও শিশুদের প্রভাবিত করছে।

    ধর্মান্তরণের চেষ্টা

    সরকারি পক্ষের মতে, একটি কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার কোর্স করতে গিয়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। আলম ওই তরুণীকে আনন্দ বলে পরিচয় দেন। এই পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আলম। শারীরিক সম্পর্কের এই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে আলম। অভিযোগ, তারপর থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিওটি দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, গর্ভপাতও করানো হয়।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা

    হিন্দু ওই তরুণীকে আলম ও তার পরিবার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। আদালত এই ঘটনাকে লাভ জিহাদ বলে অভিহিত করে। আদালতের মন্তব্য, এমন ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড একটি পুরো ধর্মের বদনাম ঘটায়। এই ধরনের মামলায় বিদেশি অর্থায়নের সম্ভাবনাও স্বীকার করেছে আদালত। বিচারকের নির্দেশ, আদালতের এই রায়ের একটি কপি সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ, বেরিলিকে পাঠাতে হবে, যাতে জেলার থানাগুলোকে সতর্ক করা হয়। আদালতের নির্দেশ, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তর আইন ২০২১-এর আওতায় ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০২১ সালের আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে পুলিশের মহাপরিচালক ও প্রধান সচিবকেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Love Jihad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Love Jihad: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    Love Jihad: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বড় সাফল্য  হিন্দু সংগঠনগুলির। সম্প্রতি, একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই রাজ্য থেকে লাভ জিহাদ-এর খপ্পর থেকে ছ’শোর বেশি হিন্দু মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ (Hindu Jagran Manch), রুদ্র সেনা (Rudra Sena) এবং বৈদিক মিশন (Vaidik Mission)।

    লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিরুদ্ধে লড়াই হিন্দু সংগঠনগুলির

    দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মান্তরণ এবং শোষণের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, রুদ্র সেনা, বৈদিক মিশনের মতো হিন্দু সংগঠনগুলি। এই সংগঠনগুলি লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এ পর্যন্ত ৬০০-রও বেশি মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্বল মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে এই সংগঠনের নেতারা।

    সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন এবং তার আশেপাশের এলাকায় ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad)  ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বিশেষ করে দরিদ্র হিন্দু মেয়েদেরকে ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্যে প্রেমের সম্পর্কে ফাঁদে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, রুদ্র সেনা, এবং বৈদিক মিশনের মতো কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। তারা অসহায় মেয়েদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। উত্তরাখণ্ডের পবিত্র দেবভূমিতে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ রোধে সদা সক্রিয় এই সংগঠনগুলি।

    লাভ জিহাদ কী (Love Jihad)

    ভালোবাসা ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করেন মুসলিম ছেলেরা। বাধ্য করা হয় ধর্মান্তকরণে। হিন্দু-মুসলিম বিবাহে আপত্তি নেই। কিন্তু জোর করে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টাই হল লাভ জিহাদ। বিয়ের পর শুরু হয় অত্যাচার। কখনও কখনও মেরেও ফেলা হয় মেয়েটিকে। এরকম বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মানুষ। কেরলের হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে জোর করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কী ভাবে যুক্ত করা হয়েছে তা নিয়েই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি পরিচালকের তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। সারা দেশে এক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে লাভ জিহাদ। 

    ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে লড়াই

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ভিন্ন ধর্মে বিবাহ (Love Jihad) নিয়ে আইন থাকলেও সম্প্রতি সেখানে লাভ জিহাদের ঘটনা বাড়ছে। রুদ্র সেনার নেতা রাকেশ তোমার ‘উত্তরাখণ্ডি’ দাবি করেছেন যে প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে মুসলিম পুরুষরা বিশেষত জৌনসার বাওয়ার উপজাতীয় বেল্টের মেয়েদের টার্গেট করছে। তিনি জানান, এই ছেলেরা মিথ্যে, মূলত ভুয়ো হিন্দু পরিচয় দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রলোভনমূলক কৌশল ব্যবহার করে দরিদ্র এবং নাবালিকা মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর শুরু হয় যৌন নির্যাতন। অভিযোগ, এই মেয়েদের সঙ্গে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তাঁদের নানা গোপন মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। তারপর সেই ভিডিও রেকর্ড দেখিয়ে চলে ব্ল্যাকমেল। সব শেষে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হয়। রাকেশ জানান, গত দুই বছর ছয় মাসে রুদ্র সেনা ৩৮ জন মেয়েকে লাভ জিহাদের ‘চক্র থেকে’ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই মেয়েদের তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে তারা।

    বৈদিক মিশনের আইনি লড়াই

    বৈদিক মিশনের প্রধান ব্যক্তি জগদ্বীর সাইনির গলাতেও উদ্বেগের সুর। তিনি উল্লেখ করেছেন যে পাসওয়া দুন অঞ্চলে এমন ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে, যার অনেকগুলিই বর্তমানে আইনি পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে। তিনি চারজন দরিদ্র মেয়ের হয়ে আদালতে লড়াই করছেন যারা, মুসলিম ছেলেদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রচেষ্টা

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি মুকেশ আনন্দ জানিয়েছেন, গত দশ বছরে তারা লাভ জিহাদের (Love Jihad) ৫৮৫টি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। উত্তরাখণ্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) অভিনব কুমার জানিয়েছেন, এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ডেও চালু আছে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন। ফলে পুলিশ-প্রশাসন খবর পেলেই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়। মেয়েদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই বিয়ে কি সত্যিই প্রেমের পরিণতি নাকি অন্য কিছু। কোনওরকম সন্দেহ হলেই পদক্ষেপ করা হয়। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি, বেশিরভাগ সময়েই মেয়েরা ভয়ে কিছু বলতে পারে না।

    সক্রিয় সরকার (Uttarakhand)

    সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের পুরুলা শহর, দারচুলা, চামোলি, নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ (Love Jihad) ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের (Love Jihad) মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share