Tag: Made In India

Made In India

  • iPhone 17 Pro: দীপাবলির আগে চাহিদা মেটাতে বাজারে এলো ভারতে তৈরি আইফোন ১৭ প্রো

    iPhone 17 Pro: দীপাবলির আগে চাহিদা মেটাতে বাজারে এলো ভারতে তৈরি আইফোন ১৭ প্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে ভারতে তৈরি আইফেন ১৭ প্রো (iPhone 17 Pro) এবং প্রো ম্যাক্স (iPhone 17 Pro Max) এই সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন রিটেল স্টোরে পৌঁছতে শুরু করেছে। এতে করে দেশে সরবরাহ ঘাটতি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এই বছর দেশে উৎপাদন বেড়েছে, রিটেলারদের অভিযোগ— আইফোন (iPhone 16) সিরিজের তুলনায় এবার মাত্র ৬০ শতাংশ ইউনিটই সরবরাহ করা হয়েছে। তবুও, অ্যাপল-এর বিক্রি গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বিশেষ করে নতুন ডিজাইনের আইফোন-এর প্রতি চাহিদা প্রবল।

    ভারতে চাহিদা প্রচুর

    গত বছরের তুলনায় এবার ভারতে তৈরি প্রো মডেলগুলোর বাজারে পৌঁছানোর সময় অনেকটাই কমেছে। সূত্র জানিয়েছে, “২০২৪-এ গ্লোবাল লঞ্চ আর ভারতে তৈরি ইউনিটের মধ্যে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান ছিল, কিন্তু এবার সেই ব্যবধান অনেকটাই কম।”প্রাথমিকভাবে, আ্যাপল সাধারণত আমদানি করা ইউনিট দিয়েই বাজারে ধাপে ধাপে প্রবেশ করে, ফলে অনেক সময় সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়। তবে এবার অ্যাপল আগেভাগেই উচ্চ চাহিদা অনুমান করে আমদানি করা ইউনিটের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। বর্তমানে ফক্সকন এবং টাটা পরিচালিত পেগাট্রন তৈরি করছে আইফোন ১৭ প্রো, এবং উইসট্রন (কর্নাটক ও হোসুরে) তৈরি করছে আইফোন ১৭-এর বেস মডেল। ফক্সকন-এর শ্রীপেরুম্বুদুর প্লান্টে তৈরি হচ্ছে অ্যাপল-এর সবচেয়ে স্লিম মডেল, আইফোন এয়ার (iPhone Air)। যদিও এই উৎপাদনের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রফতানি হচ্ছে, তবে ভারতীয় বাজারও কিছুটা উপকৃত হচ্ছে।

    সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে চলছে ঘাটতি

    অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলর অ্যাসোসিয়েশন (All India Mobile Retailers Association) এবং দক্ষিণ ভারতের ওআরএ (Organised Retailers of South India) জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে প্রো মডেলগুলোর সংকট চলছে। অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলর অ্যাসোসিয়েশন (AIMRA) একটি চিঠিতে জানিয়েছে, “এই বছর আমাদের সদস্যরা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম ইউনিট পেয়েছেন। এর ওপর অনেক সময় পুরনো আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেলগুলোর সাথে নতুনগুলো জোড়া দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা ডিজকাউন্টসহ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।” ওরা বলেছে, “যখন ক্রেতারা খোলা বাজারে এই ফোনগুলোর জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে রাজি হয়, তখন রিটেলারদের ওপর ব্ল্যাক মার্কেটিং-এর অভিযোগ আসে, যা তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতায় আঘাত করছে।”

    দীপাবলির আগে সরবরাহে উন্নতি

    বেশ কয়েকজন রিটেলার জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে ভারতে তৈরি ইউনিট বাজারে পৌঁছাতে শুরু করায় সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। “দশেরা সময়ে প্রো মডেলের ঘাটতির কারণে বিক্রি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।” এক আধুনিক রিটেল চেইনের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে দীপাবলির আগে এই ঘাটতি পূরণের আশা করছেন তাঁরা। আরও এক রিটেলার জানান, “যদি সরবরাহ এমনই অব্যাহত থাকে, তাহলে দীপাবলির পরেও বিক্রি ভালো চলবে।” অ্যাপলের নতুন প্রজন্মের এই আইফোনে রয়েছে উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম, প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী প্রসেসর।

    আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম

    আইফোন ১৭ সিরিজের বেস মডেলের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম ৮২,৯০০ টাকা। আইফোন এয়ার- এর ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১,১৯,৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১,৩৪,৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ফোনের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম ১,৪৯,৯০০ টাকা। অ্যাপেল স্টোর ৬ মাস পর্যন্ত নো-কস্ট ইএমআই অপশনের সুবিধা দেবে ক্রেতাদের। এছাড়াও থাকছে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুবিধা। আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কার্ডে ফোন কিনলে এই ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাবেন ক্রেতারা।

    অ্যাপল-এর রিটেল প্রসার এবং বিক্রি বৃদ্ধি

    অ্যাপল বর্তমানে ভারতে চারটি নিজস্ব রিটেল স্টোর চালু করেছে — মুম্বাইয়ের বিকেসি ও দিল্লির সাকেতের পরে নতুন করে বেঙ্গালুরু ও পুনেতে দুটি স্টোর খুলেছে। শুধু বিকেসি এবং সাকেত স্টোরেই প্রথম বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যার ৬০ শতাংশ এসেছে ছোট সাকেত স্টোর থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে এবার প্রো মডেলের অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ হয়ে “ডাবল ডিজিটে” পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চিনে এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতে এবার প্রো মডেলের অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ হয়ে “ডাবল ডিজিটে” পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চীনে এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। অ্যাপল-এর গড় বিক্রয়মূল্য (ASP) এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India’s Electronics: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্য! ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতে গত এক দশকে ছয় গুণ বৃদ্ধি

    India’s Electronics: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্য! ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতে গত এক দশকে ছয় গুণ বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইলেকট্রনিক্স (India’s Electronics) উৎপাদন খাতে গত এক দশকে ছয় গুণ বৃদ্ধি ঘটেছে। এই বৃদ্ধিকে সামনে রেখে মোদি সরকার (Modi Govt Targets) ২০৩০–৩১ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। আইফোন, স্মার্ট টিভি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ছাড়াও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টও ভারতে তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, কফি মেশিন, বিল্ট-ইন-রেফ্রিজরেটর এবং এয়ার ফ্রায়ারের মতো পণ্য যেগুলি আগে পুরোপুরি ভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো, সেগুলি এ বার ভারতে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    উৎপাদন ও রফতানিতে রেকর্ড বৃদ্ধি

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪–১৫ সালে যেখানে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১.৯ লক্ষ কোটি টাকা, তা ২০২৪–২৫ সালে বেড়ে হয়েছে ১১.৩ লক্ষ কোটিতে। পাশাপাশি রফতানিতেও বিশাল বৃদ্ধি ঘটেছে— ৩৮,০০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে  ৩.২৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে, অর্থাৎ আট গুণেরও বেশি। এই খাতে প্রায় ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যা ভারতের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। সরকার বলছে, এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘আত্মনির্ভর ভারত’, এবং প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিম-এর মতো উদ্যোগ। এ ছাড়াও, দক্ষ জনশক্তি ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স খাতে গতি এনেছে। ২০২০–২১ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত এই খাতে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (FDI) এসেছে।

    সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপে গতি

    সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কৌশলগত নীতিগত সহায়তা দেশীয় উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এবং বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।” ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ভারতের ইলেকট্রনিক্স রফতানির শীর্ষ পাঁচটি গন্তব্য দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি। সরকারের লক্ষ্য, বর্তমান গতি বজায় রেখে ২০৩০–৩১ সালের মধ্যে ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতকে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেমে রূপান্তরিত করা। এর মধ্যে থাকবে উপাদান (component), উৎপাদনের সম্প্রসারণ, বিশ্ববাজারে আরও সংহত হওয়া এবং ডিজাইন-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনে জোর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক বৈচিত্র্য এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কারের কারণে ভারত পূর্ব এশীয় অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম একটি বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারক কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে।

    বড় বড় কোম্পানি দেশেই পণ্য তৈরি করছে

    ভারতে ইলেকট্রনিক শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানাচ্ছেন, ভারতে তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স (BIS)-এর কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার (QCO)-এর সার্টিফিকেশনের দরকার পড়ে। গত ৮-৯ মাসে সেই এই তালিকায় যোগ হয়েছে একাধিক ইলেট্রনিক্স প্রোডাক্ট। ইউরেকা ফোর্বসের রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বড় বাজার রয়েছে ভারতে। এই পণ্য তৈরির জন্য ডিক্সন টেকনোলজির সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এই সংস্থা। ভারতে পণ্য তৈরির বিষয়ে ডিক্সন টেকনোলজিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অতুল লাল বলেছেন, ‘বিআইএস-এর নিয়ম অনেক ব্রান্ডের কাছেই এখন ট্রিগার হিসাবে কাজ করছে। যদিও কিছু পণ্যের বাজার সত্যিই খুবই ছোট। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রবণতা ব্যবসার সুযোগ তৈরি করেছে।’ ইউরেকা ফোর্বসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। ডিক্সন টেকনোলজি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অন্যতম বৃহৎ কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার।

    আমদানি সংক্রান্ত জটিলতাও কমেছে

    ডিক্সনের মতো একাধিক সংস্থার ইতিমধ্যেই ভারতে উৎপাদন কেন্দ্র খুলেছে। যার মধ্যে অন্যতম ইউরোপের সংস্থা লিবহের। সম্প্রতি অওরঙ্গাবাদে বিল্ট-ইন-রেফ্রিজরেটরের প্ল্যান্ট তৈরি করেছে এই সংস্থা। বছরে মাত্র ১৪ থেকে ১৫ হাজার ইউনিটের বিক্রি থাকলেও কারখানা তৈরি করেছে এই সংস্থা। ওই সংস্থার ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সেলস) কপিল আগরওয়াল বলেছেন, ‘আগে আমরা জার্মানি থেকে আমদানি করতাম। ফ্যাক্টরি সার্টিফিকেশন খুবই বিরক্তিকর একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু প্ল্যান্ট তৈরি হওয়ায় আমদানি সংক্রান্ত জটিলতাও কমেছে। আমাদের বিশ্বাস এই পণ্যের বাজার আগামী দিনে অনেকটা বাড়বে।’ ক্রম্পটন গ্রিভেস, হ্যাভেলস ইন্ডিয়ার মতো একাধিক সংস্থা অ্যানুয়াল রিপোর্টে নিজেদের পণ্য স্থানীয় স্তরে তৈরির ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে। গত এক বছরে এই সব সংস্থা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে লোকালাইজ প্রোডাকশনও বাড়িয়েছে।

    মোবাইল উৎপাদনে ভারতের নজির

    ভারতের মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্প এই খাতে সবচেয়ে বড় সাফল্যের গল্প। গত এক দশকে এই খাত ২৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে— ২০১৪–১৫ সালে ১৮ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০২৪–২৫ সালে তা পৌঁছেছে ৫.৪৫ লক্ষ কোটিতে। বর্তমানে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী দেশ। ২০১৪ সালে যেখানে মাত্র ২টি মোবাইল উৎপাদন ইউনিট ছিল, এখন সেই সংখ্যা ৩০০-রও বেশি। রফতানিতে এসেছে ১২৭ গুণ বৃদ্ধি— ২ লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে শুধুমাত্র অ্যাপল একাই ১.১ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ডিভাইস রফতানি করেছে ২০২৪ সালে। একটি বড় মাইলফলক হিসেবে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারত চিনকে টপকে যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রফতানির দিক থেকে শীর্ষে পৌঁছেছে— যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

  • Diwali in India: চিনা জিনিসে না! “আপনার দীপাবলি, ভারতীয় দীপাবলি”, দেশীয় পণ্যের রেকর্ড বিক্রির আশা

    Diwali in India: চিনা জিনিসে না! “আপনার দীপাবলি, ভারতীয় দীপাবলি”, দেশীয় পণ্যের রেকর্ড বিক্রির আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে চলছে উৎসবের মরসুম। নবরাত্রি, দশেরা, দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজো, দিওয়ালির (Diwali in India) পালা। এই সময় দেশ জুড়ে কেনাকাটা বাড়ে। একে অপরকে উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে ঘর সজানোর পালা। আলোয় আলোয় সেজে ওঠে শহর থেকে গ্রাম, অলি-গলি থেকে রাজপথ। এই বছর দীপাবলির উৎসবে ভারতের বাজারে দেশীয় পণ্যের জয়যাত্রা চোখে পড়ার মতো। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর সাধারণ সম্পাদক তথা চাঁদনি চক-এর সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, এবারের দীপাবলিতে ভারতে তৈরি জিনিসের (Vocal for Local) বিক্রি ৪.৭৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে — যা হবে এক নতুন মাইলস্টোন।

    ভোকাল ফর লোকাল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি বলেছেন, ‘বর্তমানে আমাদের (ভারতে) দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্য জুড়ে গিয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হবে। আমাদের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কিনতে হবে। প্রতিটি বাড়িকে স্বদেশি পণ্যের প্রতীক বানাতে হবে, প্রতিটি দোকানকে স্বদেশি পণ্যে সাজাতে হবে।’ ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে ভারত জুড়ে চালু হয়েছে পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) নতুন কাঠামো। এরপরই গর্বের সঙ্গে স্বদেশি পণ্য (Vocal for Local) কেনাবেচা করার আহ্বান জানান মোদি। প্রতিটি রাজ্যে স্বদেশি পণ্যের উৎপাদনের গতি আরও বৃদ্ধি করার জন্যও রাজ্য সরকারগুলোকে পরামর্শ দেন তিনি। বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ তৈরি করারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে এগোলে, তবেই আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ আহ্বান এবং সাম্প্রতিক জিএসটি হ্রাসের ফলেই দীপাবলিতে ভারতে তৈরি জিনিস বিক্রি বাড়বে বলে জানান প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানই দেশীয় পণ্য বিক্রির মূল চালিকা শক্তি, বলে জানান খান্ডেলওয়াল। তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা ও উৎসাহ এতটাই বেড়েছে যে, চিনা পণ্যের চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে।

    গত চার বছরের বিক্রির ধারাবাহিক বৃদ্ধি

    ২০২১: ১.২৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২২: ২.৫০ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৩: ৩.৭৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৪ : ৪.২৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৫: ৪.৭৫ লাখ কোটি টাকা (লক্ষ্যমাত্রা)

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের চাহিদা

    প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানান, দিল্লিতেই রেকর্ড পণ্য বিক্রির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দীপাবলী উপলক্ষে রাজধানীতে ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পণ্য বিক্রি হতে পারে বলে আশা। বাজারে দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই বছর বিক্রি বাড়ার পিছনে দুটি বড় কারণ হল মোদিজির স্বদেশি আহ্বান এবং জিএসটি হ্রাস। এই জিএসটি হ্রাস যেন উৎসবের উপহার হয়ে এসেছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ের জন্য।” এই সম্মেলন স্থলেই একটি ক্ষুদ্র প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য প্রদর্শিত হয়। যার গুণগত মান ছিল খুবই ভাল। এই সব পণ্যের মূল্যও ছিল সাধ্যের মধ্যে।

    ‘ভারতীয় পণ্য – আমাদের গর্ব’ অভিযান

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘ভারত যখন উন্নয়নের শিখরে ছিল, তখন দেশের অর্থব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল ক্ষুদ্র-মাঝারি-কুটির শিল্প। ভারতে তৈরি পণ্যের মান অত্যন্ত ভালো হতো। সেই গৌরবময় অধ্যায়কে পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশীয় পণ্যের মান এমন হবে, যা গোটা বিশ্বে ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশবাসীকে এগোতে হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন স্বদেশি মন্ত্রে শক্তি পেয়েছে, তেমনই দেশের উন্নতিতেও স্বদেশি মন্ত্রই শক্তি জোগাবে।’ জাতির উদ্দেশে মোদি জানিয়েছিলেন, দেশকে আত্মনির্ভর করার জন্যই জিএসটি হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে দেশবাসীর সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক পণ্য সস্তা হয়ে যাবে। দেশবাসী নিজেদের পছন্দমতো জিনিস সহজেই কিনতে পারবেন। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর তরফে সম্প্রতি সারা দেশে একটা প্রচার অভিযান শুরু করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারতীয় সামগ্রী – আমাদের স্বাভিমান’। এর অংশ হিসেবে এই দীপাবলিকে উদযাপন করা হবে ‘আপনার দীপাবলি – ভারতীয় দীপাবলি’ হিসেবে।

    চিনা পণ্যের চাহিদায় ধস

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর থেকেই ভারতীয় বাজারে চিনা পণ্যের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। আমদানিকারকরা আর চিন থেকে দীপাবলি সংক্রান্ত পণ্য খুব বেশি আনে না। দেশ তৈরি নানান আলোক বাতি দিয়েই সেজে ওঠে বাড়ি-ঘর, পথ-ঘাট। বাজারে চিনা সামগ্রীর অনুপস্থিতি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র বাণিজ্যিক নয়, এটি ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাস ও দেশীয় অর্থনীতির প্রতি আস্থার প্রতিফলন, বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এবারের দীপাবলি (Diwali in India) শুধু আলোর উৎসব নয়, দেশীয় শিল্প ও আত্মনির্ভর ভারতের এক নতুন সূচনা, বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

  • PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কার টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে – সেটা ডলার হোক কিংবা পাউন্ড, কালো টাকা হোক বা সাদা – তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু সেই টাকায় যে উৎপাদন হবে, তার ঘাম যেন আমার দেশের মানুষের হয়।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কিনতে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ফের একবার গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার চেতনার (US Tariffs) আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান। এদিন হানসালপুরে মারুতি সুজুকির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারা উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এমন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবে, যেগুলি তৈরি হবে ভারতে।” দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ কারা করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হল, যে পরিশ্রম করে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে, তা যেন ভারতীয়দের হয়।” এভাবে মারুতি সুজুকিও একটি স্বদেশি কোম্পানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুজুকি মোটরসের প্রতিশ্রুতি (PM Modi)

    সুজুকি মোটরস আগামী পাঁচ থেকে ছ’বছরে ভারতে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি। তিনি বলেন, “গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুজুকি ভারতের চলাচলের যাত্রায় গর্বের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতের টেকসই সবুজ পরিবহণের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে এবং বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) নির্মাণে অবদান রাখতে।” এর ঠিক একদিন আগে সোমবার এই আমেদাবাদেই একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবার উচিত মেড ইন্ডিয়া পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ব্যবসায়ীদের উচিত তাঁদের দোকান বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া, যেখানে লেখা থাকবে যে তাঁরা শুধু স্বদেশি পণ্যই বিক্রি করেন।” এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে দেশকে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল শুধুমাত্র আমদানি কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য (US Tariffs)।”

    মার্কিন শুল্কহারের চোখ রাঙানি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেলের অব্যাহত আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PM Modi) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার একটি কারণ হল, আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল আমদানিকে ঘিরে দুই দেশের মতভেদ। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, “মোদির কাছে কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা সবটাই সহ্য করব (US Tariffs)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে (এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আর জঙ্গি ও তাদের প্রভুদের ছেড়ে কথা বলে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের সেনাদের বীরত্ব এবং সুদর্শন চক্রধারী মোহনের ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। আজ আমরা জঙ্গি এবং তাদের প্রভুদের ছেড়ে দিই না, সে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমেদাবাদে ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহেসানা–পালানপুর রেলপথ ডাবল লাইন, কালোল–কাড়ি–কাটোশন এবং বেচরাজি–রানুজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন, এবং কাটোশন রোড থেকে সবরমতী পর্যন্ত নতুন যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর সূচনা। তিনি রামাপীর নো টেকরোয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বস্তি পুনর্নির্মাণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং গান্ধীনগরে রাজ্য-স্তরের ডেটা স্টোরেজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সারদার প্যাটেল রিং রোড প্রশস্তকরণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন (US Tariffs)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নানা প্রোডাক্ট উৎপাদন করছে ভারত থেকে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের। মঙ্গলবার মারুতি সুজুকির ই-ভিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মেড ফর ওয়ার্ল্ডে’র স্লোগানও দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডে’র সূচনা।” মঙ্গলবার গুজরাটে মারুতি সুজুকির বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Vehicle) ই-ভিটারার উৎপাদনের শুভারম্ভ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকি। তাদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত এসইউভি ই-ভিটারার উৎপাদন শুরু করেছে। গুজরাটের হানসালপুর প্ল্যান্ট থেকে গাড়িটির প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গাড়িটির।

    ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় নয়া অধ্যায় (PM Modi)

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং ভারতের জাপানি রাষ্ট্রদূত কেইচি ওনো। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের এই আবহে আজ ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় একটি নয়া অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। ভারত এখন মেক ইন ইন্ডিয়া ছাড়িয়ে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে ভারতে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি রফতানি করা হবে ১০০টি দেশে। এর সঙ্গে সঙ্গে হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেক্ট্রোলাইট উৎপাদনও আজ থেকে শুরু হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থামব না এবং ভারত সেমি-কন্ডাক্টর সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি আগামী সপ্তাহে জাপান সফরে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। মারুতি দিয়ে শুরু হওয়া যাত্রা এখন বুলেট ট্রেনে পৌঁছেছে। ২০ বছর আগে গুজরাট-জাপান সম্পর্ক এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।”

    ভারত-জাপান বন্ধুত্বে নয়া মাত্রা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের আবহে ভারত-জাপান বন্ধুত্ব এক নয়া মাত্রা পেয়েছে। ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি আছে। ভারতের জনসংখ্যার সুবিধা আছে। আমাদের দক্ষ কর্মী রয়েছে। আজ সুজুকি জাপান ভারতে উৎপাদন করছে। এখানে তৈরি গাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে জাপানে। এটি কেবল ভারত ও জাপানের সম্পর্কের শক্তির প্রতীক নয়, বরং ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী আস্থার প্রতিফলন।” তিনি বলেন, “এক অর্থে, মারুতি সুজুকির মতো (Electric Vehicle) কোম্পানিগুলি মেক ইন ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছে। এখন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে যে ইভিগুলি চলবে, সেগুলির গায়ে লেখা থাকবে – মেড ইন ইন্ডিয়া। আজ, সমগ্র বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এমন সময়ে কোনও রাজ্যেরই পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত প্রতিটি রাজ্যেরই। যার ফলে ভারতে আসা বিনিয়োগকারীরা এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে ভাবতে শুরু করেন যে – আমি কি এই রাজ্যে যাব নাকি ওই রাজ্যে (PM Modi)।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজকের দিনটি ভারতের আত্মনির্ভরতার অভিযাত্রা এবং সবুজ পরিবহণের কেন্দ্র হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন। হানসালপুরের অনুষ্ঠানে ই-ভিটারা উদ্বোধন করা হবে। এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকল সম্পূর্ণভাবে ভারতে নির্মিত এবং এটি একশোরও বেশি দেশে রফতানি করা হবে। আমাদের ব্যাটারি ইকোসিস্টেমকে (Electric Vehicle) আরও শক্তিশালী করতে, গুজরাটের একটি কারখানায় হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেকট্রোড উৎপাদনও শুরু হবে (PM Modi)।”

  • India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Free Trade) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী—নরেন্দ্র মোদি এবং কেয়ার স্টারমার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। এই আবহে, চুক্তির উপকারিতা এবং এতে রাজ্যওয়ারি কী কী লাভ হতে চলেছে, তা আগেভাগেই তুলে ধরেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)?

    নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) মাধ্যমে এবার থেকে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটেনে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রস্তুত। ভারতীয় সামগ্রী আরও সহজে ও শুল্কছাড় সুবিধা পেয়ে ব্রিটেনে রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে, বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

    কোন রাজ্য থেকে কী কী পণ্য এবার সহজেই ব্রিটেনে রফতনি করা যাবে

    জম্মু-কাশ্মীর: পশমিনা, তশর সিল্ক, বাসমতী চাল, কাঠের তৈরি কাশ্মীরি ক্রিকেট ব্যাট

    পাঞ্জাব ও দিল্লি: জলন্ধরের স্পোর্টস সামগ্রী, বাসমতী চাল

    উত্তরপ্রদেশ: আগ্রা ও কানপুর থেকে চামড়ার পণ্য, মিরাট থেকে খেলাধুলার সামগ্রী, খুরজা থেকে মাটির জিনিসপত্র

    গুজরাট: বন্ধনী কাপড়, মরবি সিরামিক্স, হীরা

    মহারাষ্ট্র: কোলাপুরের চামড়ার জুতো, আইটি পরিষেবা সংক্রান্ত সামগ্রী

    তামিলনাড়ু: কাঞ্চিপুরম শাড়ি, হলুদ (টারমেরিক), থাঞ্জাভুরের পুতুল, ভেলোরের চামড়ার পণ্য

    পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিং চা, বালুচরী শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল

    অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা: কফি, হলুদ, ডিজিটাল সার্ভিস সংক্রান্ত পণ্য

    কেরল ও ত্রিপুরা: রাবারজাত পণ্য, হলুদ

    বিহার: ভাগলপুর সিল্ক, গ্লাস ক্লিপস, মাখানা

    রাজস্থান: জয়পুরের গয়না ও অলঙ্কার

    হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড: স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী

    প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৈরি জিনিসও পাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) ফলে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি থেকে পণ্য অত্যন্ত সহজে ও কম খরচে ব্রিটেনে রফতানি করা যাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক উৎপাদন, সব কিছু পণ্যের জন্য এবার খুলে গেল আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা।
    উদাহরণস্বরূপ, বিহারের হাতে তৈরি মাখানা, ভাগলপুর সিল্ক এবং কাঁচের গয়না, যেগুলি এতদিন স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে বিক্রি হত, এবার সেগুলিও শুল্কছাড় সুবিধায় ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কারণ, চুক্তির আওতায় প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক (tariff) কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ভারত থেকে যেসব পণ্য ব্রিটেনে রফতানি হবে, সেগুলির দাম কমে যাবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে।

    এই চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক (India UK Free Trade)

    এছাড়াও এই চুক্তির একটি বড় দিক হল, ভারতীয় পেশাদারদের (professional workers) জন্য ব্রিটেনের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অন্যান্য দক্ষ পেশাদারদের জন্য ব্রিটেনে কাজের ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে। এই চুক্তিকে তাই দুই দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

    ২০২৩ জি-২০ সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়

     ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় (India UK Free Trade) এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিও ঘটে। তবে এর মাঝেই ব্রিটেনে পালাবদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বিশেষ করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করাই হয়ে ওঠে অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয়, স্টারমার শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ একাধিক খাতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। অবশেষে, স্টারমারের সরকারের সময়েই বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

  • iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ (Made in India) প্রকল্পের বড় জয়। শীঘ্রই ভারতে শুরু হতে চলেছে আইফোনের প্রো মডেলের ফোনের উৎপাদন। এই প্রথমবার, আইফোনের যে কোনও প্রো মডেলের উৎপাদন চিনের বাইরে শুরু করতে চলেছে অ্যাপল। আর তা হতে চলেছে ভারতে। জানা গিয়েছে, প্রথমে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro) সিরিজের ফোনগুলি উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে, আইফোন ১৭ প্রো সিরিজের ফোনগুলি শুধুমাত্র ভারতেই উৎপাদিত হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।এর ফলে, মোবাইল উৎপাদনে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চিনের একাধিপত্যে বিরাট বিরাট ধাক্কা দিল ভারত। সেইসঙ্গে, ভারতীয় বাজারে কোম্পানির প্রভাবকে বিশেষভাবে প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

    অ্যাপলের গ্লোবাল প্রোডাকশন ভারতে (iPhone 16 Pro models)

    জিএসএম (GSM) এরিনার একটি রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশের পরপরই ভারতে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro models) এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স (iPhone 16 Pro Max) এর উৎপাদন শুরু করতে চলেছে ফক্সকন (Foxconn India)৷ এতদিন পর্যন্ত, শুধুমাত্র চিনেই এই উৎপাদন গত ৭ বছর ধরে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ভারতে উৎপাদন করে ম্যানুফাকচারিং বেসের গণ্ডি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে অ্যাপল। চলতি বছরের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আইফোন উৎপাদনের প্রায় ১৪ শতাংশ তৈরি হয়েছিল ভারতে। আগামী বছরের মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে বছরে ২৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরসঙ্গে, আইফোন ১৬ প্রো-র (iPhone 16 Pro) সিরিজ যুক্ত হলে, এই পরিসংখ্যান আরও বৃদ্ধিপাবে। 

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    বৃহত্তর শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে

    ভারতে (Made in India) অ্যাপলের (Apple) আইফোন (iPhone 16 Pro models) উৎপাদনের বিষয়টি দেশের বৃহত্তর শিল্প প্রবণতাকে আরও সুনিশ্চিত করবে। আবার একই সঙ্গে ভূ-রাজনীতির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কোম্পানিগুলি উৎপাদনের জন্য একক ভাবে কোনও দেশের উপর খুব বেশি নির্ভর করার ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনায় অ্যাপল দেশের ক্রমবর্ধমান বাজার সম্ভাবনাকে পুঁজি করে আরও শক্তিশালী হতে চাইবে। ফলে ভারতে এই আইফোন উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে শুধু অ্যাপলেরই নয়, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিরও উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুখোই ফাইটার (Su 30 Fighter Jet) জেট রফতানি করবে ভারত। ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (HAL) তৈরি করবে এই সুখোই যুদ্ধবিমান। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থা এবার থেকে সুখোই ৩০ ফাইটার জেট তৈরি করবে এবং বিদেশে রফতানি করবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতার এটি একটি অসাধারণ নিদর্শন। রাশিয়ার এই বিমান পৃথিবীর বহু দেশে বিমান বাহিনীতে ব্যবহার হচ্ছে। ভারতের নিজস্ব ভান্ডারেও ২৫০-র বেশি সুখোই-৩০ ফাইটার জেট রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফাইটার জেট তৈরি নয়, ফাইটার জেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও রফতানি করা হবে।  

    ফাইটার জেট রফতানি করবে ভারত (Su 30 Fighter Jet)

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হ্যালের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে ভারত প্রতিরক্ষা রফতানির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এর আগে ভারত শুধুমাত্র ছোটখাটো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করত। এবার থেকে ভারত বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় (Su 30 Fighter Jet) প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হবে। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতকে আরও মজবুত করবে।

    নাসিকে তৈরি হবে যুদ্ধ বিমান (HAL)

    সূত্রের খবর (HAL) নাসিকে এই ফাইটার জেট তৈরি করা হবে। এর জন্য রাশিয়ার তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। রাশিয়া এই বিমানের আসল নির্মাতা। রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করায় ভারত নিজ দেশেই বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যৌথ উদ্যোগে বিমানগুলি তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তারপরেই দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    ভারত এবং রাশিয়া উভয়পক্ষই যৌথ উদ্যোগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই (Su 30 Fighter Jet) রাশিয়ান বিমান তৈরি করবে। দুই দেশের বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় লড়াকু বিমান তৈরি করার পাশাপাশি তৃতীয় কোনও বন্ধু রাষ্ট্রকেও এই বিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Google: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    Google: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপলের সাফল্য দেখে এগিয়ে এল গুগল (Google)। ভারতে তৈরি (Made in India) পিক্সেল ফোন এবার ইউরোপ ও আমেরিকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে তারা। এই বিষয়ে গুগল ফক্সকন এবং ডিক্সনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্যাডগেটের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুতে ফক্সকনের প্ল্যান্টে ট্রায়াল ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করেছে গুগল। 

    কবে হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা (Google)

    ভারতে ফোন তৈরি নিয়ে এখনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি গুগল। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এ বিষয়ে ঘোষণা করতে পারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েব ব্রাউজিং প্ল্যাটফর্ম। সূত্রের খবর, গুগল (Google) পিক্সেলের বেস ভেরিয়েন্ট তৈরি করবে ডিক্সন। অন্যদিকে, প্রো ভেরিয়েন্ট তৈরি করবে ফক্সকন। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষেই ডিক্সন গুগলকে তার ক্লায়েন্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। দাবি করা হচ্ছে, ভারতে এই মুহূর্তে পিক্সেল ফোনের চাহিদা কম, তাই এখানে তৈরি ফোনগুলি বাইরে রফতানি করবে। এক্ষেত্রে গুগল ভারত সরকারের পিক্সেল স্কিমের সুবিধা নেবে। ভারতে তৈরি ফোনগুলি প্রথমে ইউরোপে এবং তারপরে আমেরিকাতে সরবরাহ করা হবে। 

    আরও পড়ুন: রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভিড় নিয়ন্ত্রণই চিন্তা পুলিশের

    কবে থেকে রফতানি (Google)

    ভারতে তৈরি ফোন রফতানির সংখ্যা বিগত কয়েক বছর ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে মোবাইল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই মোবাইল রফতানিতে গতি এসেছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ হল পিএলআই স্কিম ও আমেরিকান আইফোন উৎপাদনকারী সংস্থা অ্যাপল-এর ভারতে আগমন। এবার গুগল (Google) এলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেড ইন ইন্ডিয়া (Made in India) প্রকল্প যে আরও গতি পাবে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ সূত্রে খবর, গুগল সেপ্টেম্বরে ভারতে পিক্সেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে এবং উৎপাদন সঠিক ভাবে গতি পেলে রফতানি শুরু করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share