Tag: Made In India

Made In India

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

  • PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কার টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে – সেটা ডলার হোক কিংবা পাউন্ড, কালো টাকা হোক বা সাদা – তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু সেই টাকায় যে উৎপাদন হবে, তার ঘাম যেন আমার দেশের মানুষের হয়।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কিনতে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ফের একবার গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার চেতনার (US Tariffs) আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান। এদিন হানসালপুরে মারুতি সুজুকির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারা উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এমন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবে, যেগুলি তৈরি হবে ভারতে।” দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ কারা করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হল, যে পরিশ্রম করে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে, তা যেন ভারতীয়দের হয়।” এভাবে মারুতি সুজুকিও একটি স্বদেশি কোম্পানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুজুকি মোটরসের প্রতিশ্রুতি (PM Modi)

    সুজুকি মোটরস আগামী পাঁচ থেকে ছ’বছরে ভারতে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি। তিনি বলেন, “গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুজুকি ভারতের চলাচলের যাত্রায় গর্বের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতের টেকসই সবুজ পরিবহণের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে এবং বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) নির্মাণে অবদান রাখতে।” এর ঠিক একদিন আগে সোমবার এই আমেদাবাদেই একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবার উচিত মেড ইন্ডিয়া পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ব্যবসায়ীদের উচিত তাঁদের দোকান বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া, যেখানে লেখা থাকবে যে তাঁরা শুধু স্বদেশি পণ্যই বিক্রি করেন।” এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে দেশকে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল শুধুমাত্র আমদানি কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য (US Tariffs)।”

    মার্কিন শুল্কহারের চোখ রাঙানি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেলের অব্যাহত আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PM Modi) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার একটি কারণ হল, আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল আমদানিকে ঘিরে দুই দেশের মতভেদ। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, “মোদির কাছে কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা সবটাই সহ্য করব (US Tariffs)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে (এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আর জঙ্গি ও তাদের প্রভুদের ছেড়ে কথা বলে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের সেনাদের বীরত্ব এবং সুদর্শন চক্রধারী মোহনের ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। আজ আমরা জঙ্গি এবং তাদের প্রভুদের ছেড়ে দিই না, সে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমেদাবাদে ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহেসানা–পালানপুর রেলপথ ডাবল লাইন, কালোল–কাড়ি–কাটোশন এবং বেচরাজি–রানুজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন, এবং কাটোশন রোড থেকে সবরমতী পর্যন্ত নতুন যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর সূচনা। তিনি রামাপীর নো টেকরোয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বস্তি পুনর্নির্মাণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং গান্ধীনগরে রাজ্য-স্তরের ডেটা স্টোরেজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সারদার প্যাটেল রিং রোড প্রশস্তকরণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন (US Tariffs)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নানা প্রোডাক্ট উৎপাদন করছে ভারত থেকে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের। মঙ্গলবার মারুতি সুজুকির ই-ভিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মেড ফর ওয়ার্ল্ডে’র স্লোগানও দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডে’র সূচনা।” মঙ্গলবার গুজরাটে মারুতি সুজুকির বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Vehicle) ই-ভিটারার উৎপাদনের শুভারম্ভ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকি। তাদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত এসইউভি ই-ভিটারার উৎপাদন শুরু করেছে। গুজরাটের হানসালপুর প্ল্যান্ট থেকে গাড়িটির প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গাড়িটির।

    ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় নয়া অধ্যায় (PM Modi)

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং ভারতের জাপানি রাষ্ট্রদূত কেইচি ওনো। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের এই আবহে আজ ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় একটি নয়া অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। ভারত এখন মেক ইন ইন্ডিয়া ছাড়িয়ে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে ভারতে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি রফতানি করা হবে ১০০টি দেশে। এর সঙ্গে সঙ্গে হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেক্ট্রোলাইট উৎপাদনও আজ থেকে শুরু হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থামব না এবং ভারত সেমি-কন্ডাক্টর সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি আগামী সপ্তাহে জাপান সফরে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। মারুতি দিয়ে শুরু হওয়া যাত্রা এখন বুলেট ট্রেনে পৌঁছেছে। ২০ বছর আগে গুজরাট-জাপান সম্পর্ক এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।”

    ভারত-জাপান বন্ধুত্বে নয়া মাত্রা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের আবহে ভারত-জাপান বন্ধুত্ব এক নয়া মাত্রা পেয়েছে। ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি আছে। ভারতের জনসংখ্যার সুবিধা আছে। আমাদের দক্ষ কর্মী রয়েছে। আজ সুজুকি জাপান ভারতে উৎপাদন করছে। এখানে তৈরি গাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে জাপানে। এটি কেবল ভারত ও জাপানের সম্পর্কের শক্তির প্রতীক নয়, বরং ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী আস্থার প্রতিফলন।” তিনি বলেন, “এক অর্থে, মারুতি সুজুকির মতো (Electric Vehicle) কোম্পানিগুলি মেক ইন ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছে। এখন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে যে ইভিগুলি চলবে, সেগুলির গায়ে লেখা থাকবে – মেড ইন ইন্ডিয়া। আজ, সমগ্র বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এমন সময়ে কোনও রাজ্যেরই পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত প্রতিটি রাজ্যেরই। যার ফলে ভারতে আসা বিনিয়োগকারীরা এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে ভাবতে শুরু করেন যে – আমি কি এই রাজ্যে যাব নাকি ওই রাজ্যে (PM Modi)।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজকের দিনটি ভারতের আত্মনির্ভরতার অভিযাত্রা এবং সবুজ পরিবহণের কেন্দ্র হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন। হানসালপুরের অনুষ্ঠানে ই-ভিটারা উদ্বোধন করা হবে। এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকল সম্পূর্ণভাবে ভারতে নির্মিত এবং এটি একশোরও বেশি দেশে রফতানি করা হবে। আমাদের ব্যাটারি ইকোসিস্টেমকে (Electric Vehicle) আরও শক্তিশালী করতে, গুজরাটের একটি কারখানায় হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেকট্রোড উৎপাদনও শুরু হবে (PM Modi)।”

  • India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Free Trade) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী—নরেন্দ্র মোদি এবং কেয়ার স্টারমার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। এই আবহে, চুক্তির উপকারিতা এবং এতে রাজ্যওয়ারি কী কী লাভ হতে চলেছে, তা আগেভাগেই তুলে ধরেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)?

    নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) মাধ্যমে এবার থেকে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটেনে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রস্তুত। ভারতীয় সামগ্রী আরও সহজে ও শুল্কছাড় সুবিধা পেয়ে ব্রিটেনে রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে, বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

    কোন রাজ্য থেকে কী কী পণ্য এবার সহজেই ব্রিটেনে রফতনি করা যাবে

    জম্মু-কাশ্মীর: পশমিনা, তশর সিল্ক, বাসমতী চাল, কাঠের তৈরি কাশ্মীরি ক্রিকেট ব্যাট

    পাঞ্জাব ও দিল্লি: জলন্ধরের স্পোর্টস সামগ্রী, বাসমতী চাল

    উত্তরপ্রদেশ: আগ্রা ও কানপুর থেকে চামড়ার পণ্য, মিরাট থেকে খেলাধুলার সামগ্রী, খুরজা থেকে মাটির জিনিসপত্র

    গুজরাট: বন্ধনী কাপড়, মরবি সিরামিক্স, হীরা

    মহারাষ্ট্র: কোলাপুরের চামড়ার জুতো, আইটি পরিষেবা সংক্রান্ত সামগ্রী

    তামিলনাড়ু: কাঞ্চিপুরম শাড়ি, হলুদ (টারমেরিক), থাঞ্জাভুরের পুতুল, ভেলোরের চামড়ার পণ্য

    পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিং চা, বালুচরী শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল

    অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা: কফি, হলুদ, ডিজিটাল সার্ভিস সংক্রান্ত পণ্য

    কেরল ও ত্রিপুরা: রাবারজাত পণ্য, হলুদ

    বিহার: ভাগলপুর সিল্ক, গ্লাস ক্লিপস, মাখানা

    রাজস্থান: জয়পুরের গয়না ও অলঙ্কার

    হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড: স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী

    প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৈরি জিনিসও পাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) ফলে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি থেকে পণ্য অত্যন্ত সহজে ও কম খরচে ব্রিটেনে রফতানি করা যাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক উৎপাদন, সব কিছু পণ্যের জন্য এবার খুলে গেল আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা।
    উদাহরণস্বরূপ, বিহারের হাতে তৈরি মাখানা, ভাগলপুর সিল্ক এবং কাঁচের গয়না, যেগুলি এতদিন স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে বিক্রি হত, এবার সেগুলিও শুল্কছাড় সুবিধায় ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কারণ, চুক্তির আওতায় প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক (tariff) কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ভারত থেকে যেসব পণ্য ব্রিটেনে রফতানি হবে, সেগুলির দাম কমে যাবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে।

    এই চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক (India UK Free Trade)

    এছাড়াও এই চুক্তির একটি বড় দিক হল, ভারতীয় পেশাদারদের (professional workers) জন্য ব্রিটেনের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অন্যান্য দক্ষ পেশাদারদের জন্য ব্রিটেনে কাজের ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে। এই চুক্তিকে তাই দুই দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

    ২০২৩ জি-২০ সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়

     ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় (India UK Free Trade) এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিও ঘটে। তবে এর মাঝেই ব্রিটেনে পালাবদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বিশেষ করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করাই হয়ে ওঠে অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয়, স্টারমার শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ একাধিক খাতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। অবশেষে, স্টারমারের সরকারের সময়েই বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

  • iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ (Made in India) প্রকল্পের বড় জয়। শীঘ্রই ভারতে শুরু হতে চলেছে আইফোনের প্রো মডেলের ফোনের উৎপাদন। এই প্রথমবার, আইফোনের যে কোনও প্রো মডেলের উৎপাদন চিনের বাইরে শুরু করতে চলেছে অ্যাপল। আর তা হতে চলেছে ভারতে। জানা গিয়েছে, প্রথমে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro) সিরিজের ফোনগুলি উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে, আইফোন ১৭ প্রো সিরিজের ফোনগুলি শুধুমাত্র ভারতেই উৎপাদিত হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।এর ফলে, মোবাইল উৎপাদনে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চিনের একাধিপত্যে বিরাট বিরাট ধাক্কা দিল ভারত। সেইসঙ্গে, ভারতীয় বাজারে কোম্পানির প্রভাবকে বিশেষভাবে প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

    অ্যাপলের গ্লোবাল প্রোডাকশন ভারতে (iPhone 16 Pro models)

    জিএসএম (GSM) এরিনার একটি রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশের পরপরই ভারতে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro models) এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স (iPhone 16 Pro Max) এর উৎপাদন শুরু করতে চলেছে ফক্সকন (Foxconn India)৷ এতদিন পর্যন্ত, শুধুমাত্র চিনেই এই উৎপাদন গত ৭ বছর ধরে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ভারতে উৎপাদন করে ম্যানুফাকচারিং বেসের গণ্ডি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে অ্যাপল। চলতি বছরের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আইফোন উৎপাদনের প্রায় ১৪ শতাংশ তৈরি হয়েছিল ভারতে। আগামী বছরের মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে বছরে ২৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরসঙ্গে, আইফোন ১৬ প্রো-র (iPhone 16 Pro) সিরিজ যুক্ত হলে, এই পরিসংখ্যান আরও বৃদ্ধিপাবে। 

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    বৃহত্তর শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে

    ভারতে (Made in India) অ্যাপলের (Apple) আইফোন (iPhone 16 Pro models) উৎপাদনের বিষয়টি দেশের বৃহত্তর শিল্প প্রবণতাকে আরও সুনিশ্চিত করবে। আবার একই সঙ্গে ভূ-রাজনীতির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কোম্পানিগুলি উৎপাদনের জন্য একক ভাবে কোনও দেশের উপর খুব বেশি নির্ভর করার ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনায় অ্যাপল দেশের ক্রমবর্ধমান বাজার সম্ভাবনাকে পুঁজি করে আরও শক্তিশালী হতে চাইবে। ফলে ভারতে এই আইফোন উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে শুধু অ্যাপলেরই নয়, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিরও উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুখোই ফাইটার (Su 30 Fighter Jet) জেট রফতানি করবে ভারত। ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (HAL) তৈরি করবে এই সুখোই যুদ্ধবিমান। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থা এবার থেকে সুখোই ৩০ ফাইটার জেট তৈরি করবে এবং বিদেশে রফতানি করবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতার এটি একটি অসাধারণ নিদর্শন। রাশিয়ার এই বিমান পৃথিবীর বহু দেশে বিমান বাহিনীতে ব্যবহার হচ্ছে। ভারতের নিজস্ব ভান্ডারেও ২৫০-র বেশি সুখোই-৩০ ফাইটার জেট রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফাইটার জেট তৈরি নয়, ফাইটার জেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও রফতানি করা হবে।  

    ফাইটার জেট রফতানি করবে ভারত (Su 30 Fighter Jet)

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হ্যালের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে ভারত প্রতিরক্ষা রফতানির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এর আগে ভারত শুধুমাত্র ছোটখাটো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করত। এবার থেকে ভারত বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় (Su 30 Fighter Jet) প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হবে। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতকে আরও মজবুত করবে।

    নাসিকে তৈরি হবে যুদ্ধ বিমান (HAL)

    সূত্রের খবর (HAL) নাসিকে এই ফাইটার জেট তৈরি করা হবে। এর জন্য রাশিয়ার তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। রাশিয়া এই বিমানের আসল নির্মাতা। রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করায় ভারত নিজ দেশেই বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যৌথ উদ্যোগে বিমানগুলি তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তারপরেই দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    ভারত এবং রাশিয়া উভয়পক্ষই যৌথ উদ্যোগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই (Su 30 Fighter Jet) রাশিয়ান বিমান তৈরি করবে। দুই দেশের বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় লড়াকু বিমান তৈরি করার পাশাপাশি তৃতীয় কোনও বন্ধু রাষ্ট্রকেও এই বিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Google: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    Google: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপলের সাফল্য দেখে এগিয়ে এল গুগল (Google)। ভারতে তৈরি (Made in India) পিক্সেল ফোন এবার ইউরোপ ও আমেরিকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে তারা। এই বিষয়ে গুগল ফক্সকন এবং ডিক্সনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্যাডগেটের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুতে ফক্সকনের প্ল্যান্টে ট্রায়াল ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করেছে গুগল। 

    কবে হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা (Google)

    ভারতে ফোন তৈরি নিয়ে এখনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি গুগল। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এ বিষয়ে ঘোষণা করতে পারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েব ব্রাউজিং প্ল্যাটফর্ম। সূত্রের খবর, গুগল (Google) পিক্সেলের বেস ভেরিয়েন্ট তৈরি করবে ডিক্সন। অন্যদিকে, প্রো ভেরিয়েন্ট তৈরি করবে ফক্সকন। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষেই ডিক্সন গুগলকে তার ক্লায়েন্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। দাবি করা হচ্ছে, ভারতে এই মুহূর্তে পিক্সেল ফোনের চাহিদা কম, তাই এখানে তৈরি ফোনগুলি বাইরে রফতানি করবে। এক্ষেত্রে গুগল ভারত সরকারের পিক্সেল স্কিমের সুবিধা নেবে। ভারতে তৈরি ফোনগুলি প্রথমে ইউরোপে এবং তারপরে আমেরিকাতে সরবরাহ করা হবে। 

    আরও পড়ুন: রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভিড় নিয়ন্ত্রণই চিন্তা পুলিশের

    কবে থেকে রফতানি (Google)

    ভারতে তৈরি ফোন রফতানির সংখ্যা বিগত কয়েক বছর ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে মোবাইল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই মোবাইল রফতানিতে গতি এসেছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ হল পিএলআই স্কিম ও আমেরিকান আইফোন উৎপাদনকারী সংস্থা অ্যাপল-এর ভারতে আগমন। এবার গুগল (Google) এলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেড ইন ইন্ডিয়া (Made in India) প্রকল্প যে আরও গতি পাবে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ সূত্রে খবর, গুগল সেপ্টেম্বরে ভারতে পিক্সেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে এবং উৎপাদন সঠিক ভাবে গতি পেলে রফতানি শুরু করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Steel: উদ্যোগ কেন্দ্রের, দেশে উৎপাদিত ইস্পাতে সাঁটানো হচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল

    Indian Steel: উদ্যোগ কেন্দ্রের, দেশে উৎপাদিত ইস্পাতে সাঁটানো হচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্যোগী হয়েছিল স্টিল মন্ত্রক (Indian Steel)। ফলতে শুরু করেছে তার সুফল। ভারতে তৈরি স্টিলের প্রোডাক্টের ৮০ শতাংশেরই ওপর সাঁটানো হচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল। গত বছরের নভেম্বরে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। তার জেরেই তামাম বিশ্বে বিকোচ্ছে মেড ইন ইন্ডিয়ার স্টিল প্রোডাক্ট।

    শুরু হয়েছে ব্র্যান্ডিং(Indian Steel)

    সরকারি এক আধিকারিকের দাবি, ‘স্টিল মন্ত্রক প্রথম এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়। তার পরেই শুরু হয় ব্র্যান্ডিং। সেই প্রচেষ্টার জেরেই প্রথম দফায় দেশে উৎপাদিত ১২৫ মিলিয়ন টন স্টিলের মধ্যে ৮০ মিলিয়ন স্টিলে ব্র্যান্ডিং হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, ভারতীয় স্টিল (Indian Steel) উৎপাদনকারীরা প্রোডাক্টের ক্যাটেগরির ওপর কমন লেবেল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। প্রতিটিতে মেড ইন ইন্ডিয়া লোগো লাগাতে যে সাইজ এবং জায়গা প্রয়োজন, তাও ঠিক করে ফেলেছেন।

    মেড ইন ইন্ডিয়া লেবেল

    সূত্রের খবর, দেশের সব আইএসপি নির্বাচিত কিছু স্টিল প্রোডাক্টের ওপর ব্র্যান্ডিং করতে শুরু করে দিয়েছে। তারা তাদের নয়া প্রোডাক্টে মেড ইন ইন্ডিয়া লেবেল সেঁটে দিচ্ছে। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর থেকে এটা শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে, আরআইএনএল, জেএসপিএল এবং টাটা স্টিল লিমিটেড তাদের একশো শতাংশ প্রোডাক্টেই মেড ইন ইন্ডিয়া লেবেলিং করছে। বাকিরা জুনের মধ্যেই এই কাজ শেষ করে ফেলবে।কী কারণে ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন? সরকারি সূত্রের দাবি, সমস্ত স্টিল প্রোডাক্টের ওপর মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড লেবেল সাঁটানো থাকলে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়বে।

    আর পড়ুন: হরিয়ানা কংগ্রেসে ‘রাম’ধাক্কা, বিজেপিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ, নাতনি

    উৎসাহিত হবেন উৎপাদকরা। তাঁরাও তাঁদের প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিং করতে শুরু করবেন। যার সুফল কুড়োবে ভারতীয় অর্থনীতি। লম্বা দৌড়ে আদতে লাভবান হবে ইন্ডিয়ান স্টিল সেক্টর। তামাম বিশ্বে তার একটা নিজস্ব বাজার তৈরি হবে। জানিয়ে দেবে বিশ্ব বাজারে ভারতের অবস্থানটা ঠিক কোথায়।

    ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই এই স্লোগান দিয়েছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোডাক্টের গায়ে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল সাঁটানো থাকলে ভারত এবং বিশ্বে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া মিশন আত্মনির্ভর ভারতের পরিপূরক হয়ে উঠবে। সূত্রের দাবি, এই কনসেপ্টটি প্রথম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেটাকেই কার্যকর করছে স্টিল মন্ত্রক (Indian Steel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • AK-203: সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ২৭ হাজার অত্যাধুনিক ‘একে-২০৩’ কালাশনিকভ, কী বিশেষত্ব?

    AK-203: সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ২৭ হাজার অত্যাধুনিক ‘একে-২০৩’ কালাশনিকভ, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে উঠে এল প্রায় ২৭ হাজার দেশে নির্মিত (Made in India) ‘একে-২০৩’ অ্যাসল্ট রাইফেল (AK-203)। কালাশনিকভ ঘরানার এই অত্যাধুনিক রাইফেল প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে ভারতেই। এটি তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল ফ্যাক্টরি লিমিটেড (আইআরআরপিএল)। জানা গিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে, আরও ৮ হাজার একে-২০৩ রাইফেল সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    আইআরআরপিএল হল ভারত ও রুশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী ২ সংস্থার যৌথ উদ্যোগ। ভারতের অ্যাডভান্সড উইপন্স অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (পূর্বতন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড) এবং রুশ সংস্থা কালাশনিকভ কনসার্ন — যা বিশ্বখ্যাত একে-৪৭ রাইফেল নির্মাণের জন্য পরিচিত— এর মধ্যে যৌথ অংশিদারিত্বে তৈরি হওয়া সংস্থা। এই সংস্থার কারখানা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের অমেঠির কোরওয়াতে। 

    ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট উৎপাদন

    দেশীয় ইনস্যাসকে সরিয়ে নতুন প্রধান অ্যাসল্ট রাইফেলের খোঁজ করছিল সেনা (Indian Army) ও আধাসামরিক বাহিনী। বিশ্বের একাধিক রাইফেলের তুল্যমূল্য বিচার করে ২০২০ সালে একে-২০৩ (AK-203) রাইফেলকে বেছে নেওয়া হয়। স্থির হয়, বাহিনীর প্রয়োজনকে মাথায় রেখে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার একে-২০৩ কেনা হবে। এর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সে বছরেই। চুক্তির মূল্য ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, ১ লক্ষ রাইফেল সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে। বাকি ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে তৈরি হবে এদেশেই (Made in India)। 

    কোভিড অতিমারীর কারণে বিলম্ব

    কিন্তু, দরদাম করতে ও কোভিড অতিমারীর কারণে, দেশে উৎপাদনের কাজ থমকে যায়। এর মধ্যে ২০২১ সালে রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার একে-২০৩ (AK-203) রাইফেল চলে আসে ভারতীয় বাহিনীর (Indian Army) জন্য। কোভিড-উত্তর কালে, কারখানায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় প্রথম ব্যাচের উৎপাদন। ৬ মাস আগে, দেশে নির্মিত এই অত্যাধুনিক কালাশনিকভ রাইফেলের পরীক্ষা শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেনার থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত মতামত নিয়েই এই রাইফেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। এবার, দেশে তৈরি সেই একে-২০৩ রাইফেল চলে এল বাহিনীর হাতে।

    এক-একটি রাইফেল নির্মাণ খরচ কত?

    সূত্রের খবর, এক-একটি রাইফেল তৈরি করতে খরচ প্রায় ১১০০ মার্কিন ডলারের মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯০ হাজারের মতো। এর মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারাখানা তৈরি করার খরচ ধরা হয়েছে। কালাশনিকভের অন্যান্য সিরিজের মতোই একে-২০৩ (AK-203) রাইফেলটিও গ্যাস-চালিত ও ম্যাগাজিন-নির্ভর। এর থেকে ৭.৬২ এমএমx৩৯ ক্যালিবারের গুলি নিক্ষিপ্ত হয়। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় (Indian Army) হাতে রয়েছে মার্কিন নির্মিত সিগ-সয়ার রাইফেল। এই রাইফেলেও একই ক্যালিবারের গুলি ব্যবহৃত হয়। ফলে, কার্যকারিতা ও ব্যবহারযোগ্যতার দিক দিয়ে একে-২০৩ নিয়ে সেনার অসুবিধে হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, “কারও সর্বনাশ, তো কারও পৌষ মাস।” বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্যটি কিঞ্চিৎ সংধোধন করে বলাই যায়, “চিনের সর্বনাশ, ভারতের পৌষ মাস।” ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক কাজের কথায়। এতদিন বিশ্ববাজারে (Made In India) একচেটিয়া রাজ করছিল চিনে খেলনা। সেই বাজারে গুঁড়ি মেরে থাবা বসাচ্ছিল ভারত।

    বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত (Made In India)

    বর্তমানে চিনকে টপকে বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতে তৈরি খেলনা। ১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২৩ অর্থবর্ষ – এই সময়সীমার মধ্যে বিশ্বে ভারতের খেলনা রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ শতাংশ। আমদানি কমে গিয়েছে ৫২ শতাংশ। ভারতে খেলনা বিক্রি করতে গেলে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্সের অনুমোদন প্রয়োজন। তাছাড়া বেসিক কাস্টমস ডিউটি বাড়ানো হয়েছে ৭০ শতাংশ। তার জেরেই পিছিয়ে পড়ছে চিন, চুটিয়ে ব্যবসা করছে ভারতীয় খেলনা কোম্পানিগুলি। মুনাফা ভালো হওয়ায় ভারতে দিন দিন বাড়ছে খেলনা কারখানাও।

    কমেছে চিন নির্ভরতা 

    খেলনাশিল্প সূত্রে খবর, স্পিন মাস্টা, হাসব্রো, ম্যাট্টেলের গ্লোবাল ব্যান্ড খেলনা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি সোর্সিংয়ের জন্য নির্ভর করত ইটালিয়ান মেজর ড্রিম প্লাস্ট, মাইক্রোপ্লাস্ট এবং ইনকাসের। এতদিন এরা চায়না খেলনার ওপর নির্ভর করত। বর্তমানে চিন-প্রীতি ছেড়ে ভারতীয় খেলনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে তারা। চিনে খেলনার ওপর এতদিন নির্ভর করত ভারতও (Made In India)। বর্তমানে চিন নির্ভরতা কমেছে ৮০ শতাংশ। চেন্নাই ভিত্তিক ফানস্কুলের মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক আর জেসওয়ান্ত বলেন, “বিআইএস চিনা ক্ষমতার অনুমোদন দেবে বলে আমি মনে করি না। চিন থেকে খেলনা আমদানি কমেছে। দেশীয় খেলনার উৎপাদন বাড়ায় কমেছে আমদানি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    ১০ বছর আগেও ভারত থেকে সোর্সিং হত দৈবাৎ। আর এখন অনেক কোম্পানিই ভারতে সেটআপ তৈরি করেছে।” কেবল খেলনা নয়, ফানস্কুল এমআরএফ নামের টায়ারও উৎপাদন করে। এই কোম্পানিই এখন ভারতে তৈরি খেলনা পাঠাচ্ছে হাসব্রো, স্পিন মাস্টার, ফ্লেয়ার, আর্লি লার্নিং সেন্টার এবং ড্রুমন্ড পার্ক গেমসকে। দিল্লি ভিত্তিক আমদানি-রফতানিকারী সংস্থা আরপি অ্যাসোসিয়েটসের মালিক পবন গুপ্তা বলেন, “ভারতে খেলনা উৎপাদন বাড়ছে। অনেকে ভারতে তাঁদের সেটআপ তৈরি করেছেন। বহু ক্রেতা যারা এতদিন চিন থেকে সোর্সিং করত, তারা এখন চিনের থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশের দিকে তাকাচ্ছে। এদের মধ্যে ভারতও রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকায় মাইক্রোপ্লাস্ট, ড্রিম প্লাস্ট এবং ইনকাসের মতো অনেক বড় বড় কোম্পানিও রয়েছে (Made In India)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share