Tag: madhyom news

madhyom news

  • Bangladesh: “পাকিস্তানে ফিরে যান”, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে বিক্ষোভের মুখে ইউনূস

    Bangladesh: “পাকিস্তানে ফিরে যান”, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে বিক্ষোভের মুখে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানে ফিরে যান” সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে ইউনূসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা (Bangladesh)। গত ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতারিত কররা পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে জামাত, তৌহিদি এবং বিএনপির কট্টর সমর্থকেরা। যে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সম্পর্ক ছিল না, আজ ইউনূসের (Muhammad Yunus) জমানায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। বিনা ভিসায় অবাদ যাতায়েত শুরু হয়েছে। আবার দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে একাধিক সামরিক চুক্তি। ফলে এই অশান্ত বাংলাদেশ নির্মাণের আসল কারিগর প্রধান উপদেষ্টা। তাই সামনে পেয়ে আমেরিকার মাটিতে বিক্ষোভ দেখান আম বাংলাদেশি জনতা।

    সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার (Bangladesh)

    গত শুক্রবার নিউইয়র্কে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সদর দফতরের বাইরেই শোনা যায়, “ইউনূস পাকিস্তানি। দ্রুত পাকিস্তানে ফিরে যাও।” হাসিনা সমর্থক এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শান্তিতে জয়ী অশান্তির জনক মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, “বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসন ব্যবস্থার আকস্মিক পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার নেমে এসেছে। দেশে যেভাবে হিংসা এবং ভয়ের বাতাবরণ নেমে এসেছে, তাতে অনেক মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দুষ্কৃতীদের মনে ভয় নেই।”

    ধ্বংসের পথে বাংলাদেশ

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ইসলামী মৌলবাদী এবং কট্টর সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশে ইউনূস (Muhammad Yunus) ক্ষমতায় টিকে আছেন। বাংলাদেশকে তালিবানিদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং জৈনদের নিঃশেষ করার খেলা খেলছে সন্ত্রাসীরা। হিন্দু ধর্মের একজন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রেখেছে এই অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য ভাস্কার্যকে চির তরে ধ্বংস করেছে দুষ্কৃতীরা। দেশের অর্থনীতি এবং শিল্প-বাণিজ্য সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসের পথে। বাংলাদেশকে (Bangladesh) মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে দেওয়ার কাজ করছে এই নির্মম সরকার।”

  • Bhagat Singh: প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন ভগত সিং, যুবসমাজের আইকন

    Bhagat Singh: প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন ভগত সিং, যুবসমাজের আইকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ সেপ্টেম্বর আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিং (Bhagat Singh)- এর জন্মদিন। আজ সারা দেশজুড়ে এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মজয়ন্তী (Birth Day) পালন করছে। পরাধীন ভারতে তিনি ছিলেন নির্ভীক অকুতোভয়ী এবং অদম্যসাহসী। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে যোগদান করেছিলেন। তাঁকে ঘিরে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ শাসকদের। ফাঁসির মঞ্চে হাসির জয়গান দিয়ে বরণ করেছিলেন মৃত্যু। এই বিপ্লবীর অবদান স্বাধীনতা উত্তর ভারতে আজও অম্লান। ভগত সিং এখন শুধু নাম নয় অনুপ্ররণা।

    প্রত্যক্ষ সংগ্রামকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠপথ(Bhagat Singh)

    ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন পশ্চিম পঞ্জাবে জন্মগ্রহণ (Birth Day) করেছিলেন ভগত সিং (Bhagat Singh)। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজের জীবনকে ভারত মাতার মুক্তির জন্য উৎস্বর্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর সহযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন রাজগুরু ও সুখদেব। তাঁদের ব্রিটিশ বিরোধী কর্মকাণ্ড দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দিয়েছিল। ১৯৯১ সালে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ড ব্যাপক ভাবে মনে প্রভাব ফেলছিল। যে ভাবে ব্রিটিশ শাসক জেনারেল ডায়ার নিরাপরাধ নারী ও শিশুদের হত্যা করেছিল, তাতে ব্রিটিশ বিরোধী প্রত্যক্ষ সংগ্রামকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠপথ বলে মনে করেন ভগত সিং।

    জন সন্ডার্সকে হত্যা করেছিলেন

    ভগত সিং (Bhagat Singh) ভারতকে স্বাধীন করতে হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ড অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিল। ব্রিটিশদেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন নিজে। তিনি ভালো ভাবেই জানতেন আবেদন-নিবেদন নীতিতে দেশের স্বাধীনতা আসবে না। প্রয়োজন একটি বড় সংগ্রামের। বধির ভারতীয়ের মনে-প্রাণে যাতে সাড়া জেগে ওঠে সেই জন্যই প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশ নেন ভগত সিং। তিনি লালা লাজপত রায়কে হত্যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। প্রতিবাদে ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর লাহোর জেলা পুলিশের সদরদফতরের বাইরে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যা করেছিলেন। ১৯২৮ সালের ৮ এপ্রিল বটুকেশ্বর দত্তের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিধানসভায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক বা ইনকিলাব জিন্দাবাদের ধ্বনিও তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাণ্ডারি হিসেবে গ্রেফতার করেছিল। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। তাঁর আত্মবলিদান দেশের জন্য আজও স্মরণীয়।

  • Thalapathy Vijay:  বিজয় থলপতির সভায় পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত ৩৯ জনের, তদন্তের নির্দেশ স্ট্যালিনের

    Thalapathy Vijay:  বিজয় থলপতির সভায় পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত ৩৯ জনের, তদন্তের নির্দেশ স্ট্যালিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলাগা ভেটরি কাজাগম দলের প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণ ভারতের অভিনেতা বিজয় থলপতি (Thalapathy Vijay)। শনিবার তাঁর একটি বড় জনসভায় ব্যাপক পরিমাণে জনসমাগম হয়েছিল। উপচে পড়া ভিড়ে কার্যত বক্তৃতা থামিয়েই দিতে হয় তাঁকে। উপস্থিত পুলিশ বেসামাল হয়ে পড়েছিল। মাত্রাছাড়া ভিড়ের কারণে পদপৃষ্ট (Stampede) হয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশুও। বেশকিছু জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু।

    অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন (Thalapathy Vijay)

    এই মর্মান্তিক (Thalapathy Vijay) ঘটনায় তামিলনাড়ু প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত, ৩৯ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৭ জন মহিলা, ৪ জন ছেলে এবং ৫ জন মেয়ে। ২৬ জন পুরুষ এবং ২৫ জন মহিলা সহ ৫১ জন গুরুতর ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কারুর জেলায় বিজয়ের দল তামিলাগা ভেত্র্রি কাজাগামের একটি রাজনৈতিক সমাবেশের সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। সম্পূর্ণ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তামিলনাড়ু সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত করবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদীশনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন।”

    রাজনৈতিক সভায় পদপৃষ্ঠ

    ২০২৬ সালেই এই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজয়। ২০২৪ সালেই বিজয় তাঁর দলের স্থাপনা করেন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক সভায় আগেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এদিনের সভায় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ভিড়ে ঠাসা একটি জায়গায় বিজয় (Thalapathy Vijay) গাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তারপর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেই শুরু হয় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

    আগেও হয়েছিল পদপৃষ্ঠ

    বিজয় (Thalapathy Vijay) নিজের এক্স হ্যান্ডলে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। আমার যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা নেই। যাদের আত্মীয়দের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমি সমব্যাথি। মৃতদের প্রতি আমি শোক প্রকাশ করছি। হাসপাতালে ভর্তিদের প্রতি দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” তবে বিজয়ের সভায় এই প্রথম পদপৃষ্ঠ (Stampede) হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আগে গত বছরের অক্টোবরে এই ঘটনা ঘটে। সেই বারও মোট ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বারবার এই ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতির একাংশ মানুষ।

  • Ramakrishna 475: “মার সেই রূপ—সেই ভুবনমোহন রূপ— কৃষ্ণময়ীর রূপ!—কিন্তু চাউনীতে যেন জগৎটা নড়ছে!”

    Ramakrishna 475: “মার সেই রূপ—সেই ভুবনমোহন রূপ— কৃষ্ণময়ীর রূপ!—কিন্তু চাউনীতে যেন জগৎটা নড়ছে!”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    ঠাকুরের নিজ মুখে কথিত সাধনা বিবরণ

     

    অষ্টসিদ্ধি ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ—গুরুগিরি ও বেশ্যাবৃত্তি 

    শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনায় প্রলোভন (Temptation)—ব্রহ্মজ্ঞান ও অভেদবুদ্ধি 
    শ্রীরামকৃষ্ণ ও মুসলমান ধর্ম

    “সাধনার সময় ধ্যান করতে করতে আমি আরও কত কি দেখতাম। বেলতলায় ধ্যান করছি, পাপপুরুষ এসে কতরকম লোভ দেখাতে লাগল। লড়ায়ে গোরার রূপ ধরে এসেছিল। টাকা, মান, রমণ সুখ নানারকম শক্তি, এই সব দিতে চাইলে। আমি মাকে ডাকতে লাগলাম। বড় গুহ্যকথা। মা দেখা দিলেন, তখন আমি বললাম, মা ওকে কেটে ফেলো। মার সেই রূপ—সেই ভুবনমোহন রূপ—মনে পড়ছে। কৃষ্ণময়ীর রূপ!—কিন্তু চাউনীতে যেন জগৎটা নড়ছে!”

    ঠাকুর (Ramakrishna) চুপ করিলেন। ঠাকুর আবার বলিতেছেন—“আরও কত কি বলতে দেয় না!—মুখ যেন কে আটকে দেয়!

    “সজনে তুলসী এক বোধ হত! ভেদ-বুদ্ধি দূর করে দিলেন। বটতলায় ধ্যান করছি, দেখালে একজন দেড়ে মুসলমান (মোহম্মদ) সানকি করে ভাত নিয়ে সামনে এল। সানকি থেকে ম্লেচ্ছদের খাইয়ে আমাকে দুটি দিয়ে গেল। মা দেখালেন, এক বই দুই নাই। সচ্চিদানন্দই নানারূপ ধরে রয়েছেন। তিনিই জীবজগৎ সমস্তই হয়েছেন। তিনিই অন্ন (Kathamrita) হয়েছেন।”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বালকভাব ও ভাবাবেশ

    (গিরিশ, মাস্টার প্রভৃতির প্রতি)—“আমার বালক স্বভাব। হৃদে বললে, মামা, মাকে কিছু শক্তির (Ramakrishna)  কথা বলো,—অমনি মাকে বলতে চললাম! এমনি অবস্থায় রেখেছে যে, যে ব্যক্তি কাছে থাকবে তার কথা শুনতে হয়। ছোট ছেলের যেমন কাছে লোক না থাকলে অন্ধকার দেখে—আমারও সেইরূপ হত! হৃদে কাছে না থাকলে প্রাণ যায় যায় হত! ওই দেখো ওই ভাবটা আসছে!— কথা (Kathamrita) কইতে কইতে উদ্দীপন হয়।”

  • Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগের মুহূর্তেই ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে পাশের হার নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এইবার টেটের ফলাফল ঘোষণায় জানা গিয়েছে পাশের হার ২.৪৭ শতাংশ। আগে পাশের হার বেশি ছিল কিন্তু এবার পাশের হার ঠিক কোন কারণে কম, তাই প্রশ্ন করেন সুকান্ত। আগে কি জল মেশানো হতো? এবার তাহলে কম হচ্ছে। যুবকদের কি মমতা সরকার চাকরি দিতে চাইছে না? অপর দিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্‌হাকে (Chandranath Sinha) শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রেখেছে ইডির বিশেষ আদালত। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ কথা, “চন্দ্রনাথ নিয়ে আদালতের রায়ে আমরা মর্মাহত।”

    মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তাল। ২৪ সেপ্টেম্বরে টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে আগের বারের তুলনায় পাশের হার খুব কম। একই দিনে এবার ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ করা অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমেছেন। ২০২২ সালে টেটে পাশ করেছিলেন মোট ৫৭ হাজার। ২০২৩ সালে টেটে উত্তীর্ণদের সংখ্যা সেই বারের তুলানায় অনেক কম। এইবারে পাশের সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন। মোট চাকরি প্রার্থী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৫৪ জন।

    তৃণমূলকে তোপ দেগে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই তৃণমূল সরকার রাজ্যের যুবক বেকারদের চাকরি দেবে না। ২০২২ সালে ৫৭ হাজার পাশ করল, ২০২৩-এ মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪! তাহলে কি আগে অতিরিক্ত করে পাশ করানো হয়েছিল? আগে তো অনেক বেশি করে পাশ হতো আর এবার এতো কেন কম হল? তাহলে কি আগে সবটাই দুর্নীতি করে করা হত? সরকারের মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার।” তবে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, “তাঁর মন্তব্য অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য। পাশের হার দিয়ে ফলাফল বিচার করা যায় না।”

    অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে

    ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেয়ে চন্দ্রনাথ (Chandranath Sinha)  বলেন, “বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।” তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রাখাকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই ধরনের অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে তদন্ত। আদালতের রায়ে আমরা ভীষণ ভাবে মর্মাহত। কীভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে তার কারণ খোঁজ করতে হবে। আদালতের রায় যদিও বিচারাধীন বিষয় তবুও এই রায় রাজ্যবাসীর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

    তল্লাশি অভিযানে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হেয়েছিল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর ওপর। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে তিনি জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। নিজের বৌয়ের নামে বেনামে সম্পত্তি এবং আবাসন নির্মাণের ব্যবসা চালাতেন বলে একাধিক তথ্য আদালতে তুলে ধরেছে ইডি।

    চরম চাপে তৃণমূল

    উল্লেখ্য রাজ্যের তৃণমূল সরকার শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুর নিয়োগ, বালি-কয়লা-গরু-পাথরপাচার এবং নারী নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে চরম ব্যাকফুটে। দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে বন্দি। আরও একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা জেলে বন্দি বা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে তৃণমূলের দুর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ায় আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব সহজে তৃণমূল পাড় হবে না তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Railway Employees Bonus: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস দেবে মোদি সরকার

    Railway Employees Bonus: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস দেবে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস (Railway Employees Bonus) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) ও নবরাত্রির মধ্যে এই সুখবরে রেলকর্মী মনে খুশির আবহ তৈরি করেছে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেলকর্মীদের অসাধারণ কর্মক্ষমতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উৎসবের আবহে যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের প্রতি কতটা সজাগ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় রাখে, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সেটাও একবার প্রমাণিত হল।

    ১৮৬৫.৬৮ কোটি টাকার পিএলবি দেওয়া হবে (Railway Employees Bonus)

    রেলমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, রেলের কর্মীদের কাজের প্রতি নিষ্ঠার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সিদ্ধান্ত (Railway Employees Bonus) নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে উৎসবের মরশুমে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১০,৯১,১৪৬ জন রেল কর্মচারীকে ১৮৬৫.৬৮ কোটি টাকায় ৭৮ দিনের পিএলবি বা প্রোডাক্টিভিটি লিঙ্কড বোনাস অনুমোদন করেছে। ঠিক এমন কথাই জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। প্রতিবছর এই বোনাস দেওয়া হয় পুজোর সময়। গত বছরও এই বোনাস ১১,৭২,২৪০ জন রেল কর্মচারীদের ২,০২৮.৫৭ কোটি টাকা পিএলবি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবছর প্রায় ১০.৯১ লক্ষ নন গেজেটেড রেল কর্মচারীকে ৭৮ দিনের বেতনের সমপরিমাণে পিএলবি (Railway Employees Bonus) দেওয়া হয়। পিএলবি হল মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনুপ্রাণিত করার পুরস্কার। একে একপ্রকার ইনসেনটিভ বলাও হয়ে থাকে।

    প্রয়োজন অতরিক্ত ব্যয়কে রোধ

    অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের টাকায় আর কেনা যাবে না অপ্রয়োজনীয় জিনিস। দীপাবলির (Durga Puja 2025) আগে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এবার থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারি অর্থে আর কেনা যাবে না অন্যান্য উৎসবের উপহার সামগ্রীও। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যয় বিভাগের তরফ থেকে নির্দেশিকা তাৎক্ষণিক ভাবেই কার্যকর হয়েছে। প্রয়োজন অতরিক্ত ব্যয়কে রোধ করতে এবং জনসাধারণের অর্থের বিচক্ষণতাকে আরও সক্রিয় করতে এই নির্দেশিকা সরকারের রেলমন্ত্রক সাংবাদিক সম্মলেন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজস্ব শৃঙ্খলা ও জনসাধারণের সম্পদের ব্যবহারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে, ভারত সরকারের সব মন্ত্রক দীপাবলি ও অন্যান্য উৎসবের (Durga Puja 2025) জন্য উপহার সম্পর্কিত জিনিসপত্রের ওপর কোনও ব্যয় করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • West Bengal Weather Report: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নতুন নিম্নচাপ! পঞ্চমী থেকে কি ফের ভাসবে কলকাতা?

    West Bengal Weather Report: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নতুন নিম্নচাপ! পঞ্চমী থেকে কি ফের ভাসবে কলকাতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে লাগাতার বৃষ্টিতে (West Bengal Weather Report) জমা জলে বিধ্বস্ত কলকাতা। পুজোর শুরুতে এক দিনেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০০ মিলিমিটারের বেশি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন পাইকারি এবং খুচরো ব্যবসায়ীরা। শহরজুড়ে (Kolkata Weather Report) প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ব্যাপক পরিমাণে জল জমে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পুজো উদ্যোক্তরা। অনেক জায়গায় এখনও জল না নামায় জনজীবন ব্যাপক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে আবহাওয়া দফতর ফের একবার দক্ষিণে নিম্নচাপ ঘনিয়ে আসার কথা জানিয়েছে। শনিবার পঞ্চমী থেকেই ব্যাপক বৃষ্টির কথা জানিয়েছে, চলবে ষষ্ঠীর সকাল পর্যন্ত। কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

    মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ (West Bengal Weather Report)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, “বঙ্গোপসাগরে (West Bengal Weather Report) নতুন করে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। শনিবারের মধ্যে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল দিয়ে সেই নিম্নচাপ স্থলভাগের উপর প্রবেশ করবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অষ্টমীতে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর রাত থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ষষ্ঠী পর্যন্ত সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি

    বৃহস্পতিবার কলকাতা (Kolkata Weather Report) এবং দক্ষিণবঙ্গের (West Bengal Weather Report) বেশকিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একইভাবে বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায়। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। পঞ্চমীর দিনে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। তবে ষষ্ঠী পর্যন্ত সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি চলবে। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গে নেই সতর্কতা

    তুলনায় উত্তরবঙ্গে (West Bengal Weather Report) বৃষ্টির সম্ভাবনা কম রয়েছে। দুই এক জায়াগায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সতর্কতা রয়েছে একইভাবে কোচবিহারেও। আপাতত ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা নেই উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে।

  • Ramakrishna 474: “যারা শুদ্ধভক্ত তারা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না”

    Ramakrishna 474: “যারা শুদ্ধভক্ত তারা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    ঠাকুরের নিজ মুখে কথিত সাধনা বিবরণ

    অষ্টসিদ্ধি ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ—গুরুগিরি ও বেশ্যাবৃত্তি 

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঠাকুরের নাম করিয়া ব্যারাম ভাল করিব—এই কথা মাঝে মাঝে বলিতেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—যারা হীনবুদ্ধি তারা সিদ্ধাই চায়। ব্যারাম ভাল করা, মোকদ্দমা জিতানো, জলে হেঁটে চলে যাওয়া—এই সব। যারা শুদ্ধভক্ত তারা ঈশ্বরের (Ramakrishna) পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না। হৃদে একদিন বললে ‘মামা! মার কাছে কিছু শক্তি চাও, কিছু সিদ্ধাই চাও।’ আমার বালকের স্বভাব—কালীঘরে জপ করবার সময় মাকে বললাম, মা হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাইতে। অমনি দেখিয়ে দিলে সামনে এসে পেছন ফিরে উবু হয়ে বসলো—একজন বুড়ো বেশ্যা, চল্লিশ বছর বয়স—ধামা পোঁদ—কালাপেড়ে কাপড় পরা—পড় পড় করে হাগছে! মা দেখিয়ে দিলেন যে, সিদ্ধাই এই বুড়ো বেশ্যার বিষ্ঠা! তখন হৃদেকে গিয়ে বকলাম আর বললাম, তুই (Kathamrita) কেন আমায় এরূপ কথা শিখিয়ে দিলি। তোর জন্যই তো আমার এরূপ হল!

    “যাদের একটু সিদ্ধাই থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা, লোকমান্য এই সব হয়। অনেকের ইচ্ছা হয় গুরুগিরি করি—পাঁচজনে গণে মানে—শিষ্য-সেবক হয়; লোকে বলবে, গুরুচরণের ভাইয়ের আজকাল বেশ সময়—কত লোক আসছে যাচ্ছে—শিষ্য-সেবক অনেক হয়েছে—ঘরে জিনিসপত্র থইথই করছে!—কত জিনিস কত লোক এনে দিচ্ছে—সে যদি মনে করে—তার এমন শক্তি হয়েছে যে, কত লোককে খাওয়াতে পারে।

    “গুরুগিরি (Ramakrishna) বেশ্যাগিরির মতো।—ছার টাকা-কড়ি, লোকমান্য হওয়া, শরীরের সেবা, এই সবের জন্য আপনাকে বিক্রি করা। যে শরীর মন আত্মার দ্বারা ঈশ্বরকে (Kathamrita) লাভ করা যায়, সেই শরীর মন আত্মাকে সামান্য জিনিসের জন্য এরূপ করে রাখা ভাল নয়। একজন বলেছিল, সাবির এখন খুব সময়—এখন তার বেশ হয়েছে—একখানা ঘরভাড়া নিয়েছে—ঘুঁটে রে, গোবর রে, তক্তপোশ, দুখানা বাসন হয়েছে, বিছানা, মাদুর, তাকিয়া—কতলোক বশীভূত, যাচ্ছে আসছে! অর্থাৎ সাবি এখন বেশ্যা হয়েছে তাই সুখ ধরে না! আগে সে ভদ্রলোকের (Ramakrishna) বাড়ির দাসী ছিল, এখন বেশ্যা হয়েছে! সামান্য জিনিসের জন্য নিজের সর্বনাশ!”

  • Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনার পরেপরেই প্রবল বর্ষণে (Rain in Kolkata) জমা জলে নাজেহাল কলকাতা শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকা। ইতিমধ্যে শহরে ১০ জনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত দুদিন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। বিপর্যয় উত্তরণে বেসামাল হয়ে আগেভাগেই সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এত বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে এমন ইঙ্গিত তো আগে থেকেই আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল! প্রস্তুতি বা সুরক্ষার ব্যাপার ভেবে কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা? কলকাতায় জলজমার জন্য ফরাক্কা-ডিভিসিকে দায়ী করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মিথ্যাচারকে একযোগে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু-সুকান্ত (Suvendu Adhikari)। মমতার দাবিকে খারিজ করেছে ডিভিসিও। তারাও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, “ফরাক্কার জল কলকাতায় যায় না।” পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগে কলকাতাবাসী, আর তাতেই চরম চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।

    ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার (Rain in Kolkata)

    বৃষ্টির জল জমে কার্যত অবরুদ্ধ গোটা কলকাতা শহর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, “রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে। তিনি এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিকে (Rain in Kolkata) হঠাৎ ও আকস্মিক বলে চালানোর চেষ্টা করে আসল সত্যকে চেপে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করলেন। আসলে তিনি এবং তার সরকার প্রশাসনিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন।”

    সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন

    কলকাতার মেয়র ববি হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আবহাওয়া দফতর (IMD) আগেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন হবার অনেক আগেই রাজ্য সরকার এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। মানুষ জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন আর শহরের জলমগ্ন রাস্তায় তাদের প্রাণহীন দেহ ভাসছে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যও রাজ্যবাসীকে দেখতে হচ্ছে কারণ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। আগাম সতর্কতা পেয়েও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শুধুমাত্র প্রশাসনিক অবহেলা ও অব্যবস্থার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেলো। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতে মাননীয়া ঈশ্বরের দোহাই দিচ্ছেন।”

    পুজোর আগে এতোগুলি মৃত্যু

    জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সিইএসসি এবং সঞ্জীব গয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ বিষয়ের উপর নজর রাখছেন তিনি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পাল্টা সুকান্ত মজুমদার, মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “পুজোর আগে এতোগুলি পরিবার নিজেদের পরিজনদের হারালেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপর যে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তা ঠিক নয়। দায় এড়িয়ে অন্যের অপর দায় চাপানো ঠিক নয়। দেশের কোনও মেট্রোপলিটন শহরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে না । সম্প্রতি বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদে জল জমে ছিল কিন্তু বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে কোনও মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। কলকাতায় বারবার এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার! সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কাদের সম্পর্ক রয়েছে? ভোটের সময় কারা টাকা নিয়েছে সবাই জানে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

    ডিভিসির অজুহাত মমতার

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতাকে ঢাকতে সামাজিক মাধ্যমে ডিভিসির ওপর দায় ঠেলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আকস্মিক দুর্যোগের (Rain in Kolkata) আক্রমণে বিপর্যয়ে কলকাতা শহরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ডিভিসির একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল, নদী, খাল সব টইটুম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল, যেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার ওপরে এলো জল।” পাল্টা ডিভিসির সাফ কথা, “ডিভিসির জল কলকাতায় যায় না। আমতা হয়ে গঙ্গায় মিশে যায়, কলকাতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”

  • Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে পুরস্কার দেবেন ১১ কোটি টাকা। কার্যত এমন প্রস্তাব করার অভিযোগে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। ২০২৫ সালের ১৫ অগাস্টে স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় উস্কানির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এই কুখ্যাত জঙ্গির বিরুদ্ধে বাইরের দেশে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের ছক করার মতো আরও গুরুতর একাধিক মামলা রয়েছে।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার)!

    নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হলেন নিষিদ্ধ খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তবে এই সংগঠন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে চললেও ভারতের অভ্যন্তরে বিশেষ করে পঞ্জাবকে অস্থির করে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পাতাকা উত্তোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছিলেন। এই কথা পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান যে জঙ্গি উৎপাদন করে একথা সকলেই জানে, আর তাই ভারতের ক্ষতি করতে পান্নুন পাকিস্তানকে সবসময়ে পাশে চান।

    খালিস্তানের মানচিত্রে

    পান্নুনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬১ (২), ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন-এর ধারা ১০ এবং ১৩ ব্যবহার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে তা ২০২৫ সালের ১০ অগাস্ট পাকিস্তানের লাহোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মিট দ্য প্রেসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় পান্নুনের। ওয়াশিংটন, ডিসি থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এই জঙ্গি।

    তবে এফআইআরে বলা হয়, “ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়ার সময় পান্নুন দাবি করেন, দিল্লি হবে খালিস্তান (Khalistani Pannun)। সেইসঙ্গে একটি গণভোটের ভিত্তিতে মানচিত্রকে উন্মোচন করেছিলেন। তাঁর প্রস্তাবিত খালিস্তানের মানচিত্রে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ এবং দিল্লিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। মামলায় (NIA) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পানুন্নের নাম ছাড়াও আরও অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তিদেরও যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনা এবং উস্কানি দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

LinkedIn
Share