Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 255: “তোমার সমস্ত—দেহ, মন, গৃহ, পরিবার, জীব, জগৎ—এ-সব তোমার, আমার কিছু নয়—এইটির নাম জ্ঞান”

    Ramakrishna 255: “তোমার সমস্ত—দেহ, মন, গৃহ, পরিবার, জীব, জগৎ—এ-সব তোমার, আমার কিছু নয়—এইটির নাম জ্ঞান”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ৺খেলাৎ ঘোষের বাটীতে শুভাগমন—বৈষ্ণবকে শিক্ষা

    সকলে চুপ করিয়া আছেন।

    বৈষ্ণবভক্ত—মহাশয়, ঈশ্বরকে ভাববই বা কেন?

    বৈষ্ণবকে শিক্ষা—জীবন্মুক্ত কে? উত্তম ভক্ত কে? ঈশ্বরদর্শনের লক্ষণ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-বোধ যদি থাকে, তাহলে তো জীবন্মুক্ত। কিন্তু সকলের এটি বিশ্বাস নাই, কেবল মুখে বলে। ঈশ্বর আছেন, তাঁর ইচ্ছায় এ-সমস্ত হচ্ছে, বিষয়ীরা শুনে রাখে—বিশ্বাস করে না।

    “বিষয়ীর (Kathamrita) ঈশ্বর কেমন জান? খুড়ী-জেঠীর কোঁদল শুনে ছেলেরা যেমন যেমন ঝগড়া করতে করতে বলে, আমার ঈশ্বর আছেন।

    “সব্বাই কি তাঁকে ধরতে পারে? তিনি ভাল লোক করেছেন, মন্দ লোক করেছেন, ভক্ত করেছেন, অভক্ত করেছেন—বিশ্বাসী করেছেন, অবিশ্বাসী করেছেন। তাঁর লীলার ভিতর সব বিচিত্রতা, তাঁর শক্তি কোনখানে বেশি প্রকাশ, কোনখানে কম প্রকাশ। সূর্যের আলো মৃত্তিকার চেয়ে জলে বেশি প্রকাশ, আবার জল অপেক্ষা দর্পণে বেশি প্রকাশ।

    “আবার ভক্তদের ভিতর থাক থাক আছে, উত্তম ভক্ত, মধ্যম ভক্ত, অধম ভক্ত। গীতাতে এ-সব আছে।”

    বৈষ্ণবভক্ত—আজ্ঞা হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—অধম ভক্ত বলে, ঈশ্বর আছেন—ওই আকাশের ভিতর অনেক দূরে। মধ্যম ভক্ত বলে, ঈশ্বর সর্বভূতে চৈতন্যরূপে—প্রাণরূপে আছেন। উত্তম ভক্ত বলে, ঈশ্বরই নিজে সব হয়েছেন, যা কিছু দেখি ঈশ্বরের (Kathamrita) এক-একটি রূপ। তিনিই মায়া, জীব, জগৎ এই সব হয়েছেন—তিনি ছাড়া আর কিছু নাই।

    বৈষ্ণবভক্ত—এরূপ অবস্থা কি কারু হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁকে দর্শন না করলে এরূপ অবস্থা হয় না, কিন্তু দর্শন করেছে কিনা তার লক্ষণ আছে। কখনও সে উন্মাদবৎ—হাঁসে কাঁদে নাচে গায়। কখনও বা বালকবৎ—পাঁচ বৎসরের বালকের অবস্থা। সরল, উদার, অহংকার নাই, কোন জিনিসে আসক্তি নাই, কোন গুণের বশ নয়, সদা আনন্দময়। কখনও পিশাচবৎ— শুচি-অশুচি ভেদবুদ্ধি থাকে না, আচার-অনাচার এক হয়ে যায়! কখনও বা জড়বৎ, কি জেন দেখেছে! তাই কোনরূপ কর্ম করতে পারে না—কোনরূপ চেষ্টা করতে পারে না।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কি নিজের অবস্থা সমস্ত ইঙ্গিত করিতেছেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বৈষ্ণবভক্তের প্রতি)—“তুমি আর তোমার”—এইটি জ্ঞান (Kathamrita)। “আমি আর আমার”—এইটি অজ্ঞান।

    “হে ঈশ্বর, তুমি কর্তা, আর আমি অকর্তা—এইটি জ্ঞান। হে ইশ্বর, তোমার সমস্ত—দেহ, মন, গৃহ, পরিবার, জীব, জগৎ—এ-সব তোমার, আমার কিছু নয়—এইটির নাম জ্ঞান।

    “যে অজ্ঞান সেই বলে, ঈশ্বর ‘সেথায় সেথায়’,—অনেক দূরে। যে জ্ঞানী, সে জানে ঈশ্বর ‘হেথায় হেথায়’—অতি নিকটে, হৃদয়মধ্যে অন্তর্যামীরূপে, আবার নিজে এক-একটি রূপ ধরে রয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে সংকটে পোশাক শিল্প, কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার শ্রমিক, বেশিরভাগই মহিলা

    Bangladesh: বাংলাদেশে সংকটে পোশাক শিল্প, কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার শ্রমিক, বেশিরভাগই মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর সংকটে বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনীতি। বাংলাদেশে রফতানি অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হল এই পোশাক শিল্প (Garment Workers)। এই পোশাক শিল্পই এবার একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান। ইউনূস সরকারের জমানায় ব্যাপক মন্দাও দেখা দিয়েছে পোশাক শিল্পে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালেই ৭৬টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোশাক কারখানাগুলিতে কর্মরত ছিলেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। এর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে যে এই শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে পোশাক শিল্পে। বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে জানাচ্ছেন যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক পোশাক কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হতে পারে। 

    পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন সভাপতির বিবৃতি (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানি কারকদের একটি সংগঠন রয়েছে। তার নাম হল পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি। এই সমিতিরই প্রাক্তন সভাপতি এস এম ফজলুল হক বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমে সামনে এসেছে তাঁর বিবৃতি। বিভিন্ন জায়গায় তিনি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। নিজের বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমানে পোশাক শিল্প ব্যাপক সংকটে রয়েছে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কারখানা চলছে। বেশিরভাগ কারখানাকে শুধুমাত্র কিছুটা লাভ করার জন্য ব্যাপক লড়াই করতে হচ্ছে। এই মেশিনগুলি যত বেশি সময় ধরে চলবে, ততই আর্থিক বোঝা বেশি হবে।’’

    বিশ্ববাজারে দাম কমেছে বাংলাদেশি (Bangladesh) পোশাকের

    কিন্তু এর কারণ কী? কেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সংকটে পড়ল? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের দামে মন্দা দেখা দিয়েছে। তাই কারখানার মালিকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে দেশগুলি আছে, সেগুলি বাংলাদেশি পোশাকের দাম পাঁচ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে চাপ পড়ছে বাংলাদেশের কারখানার মালিকদের ওপরে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে সেখানে বাংলাদেশি পোশাকের দাম কমানো হয়েছে ৮ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি পোশাকের দাম কম দেখা যাচ্ছে তিন শতাংশ। এই কারণে কারখানার মালিক এবং উৎপাদনকারীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

    প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার

    একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নানা কারণও সামনে এসেছে। যেমন ব্যাঙ্ক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি। মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশি (Bangladesh) টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন। কাঁচামালের আমদানির খরচ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে শুল্কবৃদ্ধি। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকঠাক না হওয়া। এই একাধিক কারণ রয়েছে বাংলাদেশে পোশাকের বাজারে মন্দা দেখা দেওয়ার। অন্যদিকে, গত অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে যেভাবে গণভবন দখল করা হয় এবং পুরো বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলা হয়, এই সময়ে সেদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ও একটি আঘাত নেমে আসে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে।

    ইউনূস সরকারকে প্রচ্ছন্ন তোপ পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন নেতার

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতে রফতানি ছিল ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার। জামাত-বিএনপির মদতে চলা ইউনূস সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে তোপ দেগেছেন পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন নেতা এস এম হক। তিনি বলেন, ‘‘দেশের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ স্বাভাবিকভাবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাস থেকে যে ধরনের জঙ্গলের রাজত্ব, আতঙ্কের রাজত্ব বাংলাদেশ শুরু হয়েছে, তা শিল্পক্ষেত্রকেও ব্যাপক আঘাত দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমেই ডুবছে ইউনূস জমানায়।

    কিছু উদাহরণ

    কেয়া গ্রুপের পোশাক কারখানার কর্মীরা গত ২ জানুয়ারি সকালে জানতে পারেন তাঁদের চাকরি আর থাকছে না। কারণ গ্রুপটি তাদের কারখানাগুলিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবেই কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার জনেরও বেশি। জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় তাঁদের। অনেক জায়গায় ২৯ ডিসেম্বর থেকেই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন। কারণ নভেম্বর মাসের বেতনই হাতে পাননি বেশিরভাগ শ্রমিক। বন্ধ হওয়া কারাখানার মালিকরা জানিয়েছেন, বর্তমান অস্থিতিশীল বাজারের কারণেই কারখানাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি হল বেক্সিমকো গ্রুপ। যার কর্ণধার হলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ সালমান এফ রহমান। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই সংস্থা তাদের ১৫টি কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা করে। এতে অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Verdict: রায়ে সন্তুষ্ট নন, চলবে আন্দোলন, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Verdict: রায়ে সন্তুষ্ট নন, চলবে আন্দোলন, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Verdict) মামলায় গতকাল সোমবারই সামনে এসেছে চূড়ান্ত রায়। ধর্ষণ-খুনে একমাত্র অপরাধী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্য়ু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাসের পর্যবেক্ষণ, সঞ্জয় রায়ের অপরাধ ‘বিরলতম’ নয়। তাই তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিচ্ছে আদালত। প্রসঙ্গত, এই রায় সামনে আসতেই তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বড় অংশের মধ্যে। আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম নেতা আসফাকুল্লা নাইয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সঞ্জয় যে একা নয়, আরও অনেকে ওই ঘটনায় জড়িত এটা বোঝার জন্য কোনও আইনজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই শুরু থেকেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে আমাদের প্রশ্ন ছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। আরজি করের (RG Kar Verdict) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলবে।’’ বস্তুত, এদিন রায়দানের পরেই বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন, এই রায় নিয়ে আপত্তি থাকলে তাঁরা হাইকোর্টে যেতে পারেন।

    কেন ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়েছিল পুলিশ, প্রশ্ন জুনিয়রদের (RG Kar Verdict)

    প্রসঙ্গত, অনেকের মতো জুনিয়র চিকিৎসকরাও ভেবেছিলেন বিরলতম অপরাধ হিসেবে সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা শোনাবে শিয়ালদা আদালত। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কথায়, ‘‘যেভাবে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসককে কর্মস্থলে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, তাকে বিরলতম আখ্যা দেয়নি আদালত। এটা দুর্ভাগ্যের। তাই অপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলবে।’’ তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘শুধু সঞ্জয় রায় একা যদি দোষী হবে তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কেন ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে এত তৎপর হয়ে উঠেছিল?  কেন তড়িঘড়ি শেষকৃত্য করা হল? দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানালেও কেন তা গুরুত্ব দেওয়া হল না?’’

    অর্ধেক জাজমেন্টের উপর রায় দেওয়া হয়েছে দাবি জুনিয়রদের

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Verdict) হাসপাতালের প্রাক্তনী চিকিৎসক তাপস প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমরা সম্পূর্ণ খুশি নই। আমরা সেদিন খুশি হব যেদিন বাকি অপরাধীরাও ধরা পড়বে। তার সঙ্গে ফাঁসির সাজা শোনানো হবে।’’ মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্রের কথায়, ‘‘এটা বিচারের নামে প্রহসন। মূল চক্রী কারা? এই ঘটনার মোটিভ কী, তা বের করতে হবে। আমরা হতাশ। আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’’ জুনিয়র চিকিৎসক সৌমদীপ রায় বলেন, ‘‘এখানে আমাদের খুশি হওয়ার কিছুই নেই। কারণ প্রশ্ন আছে অনেকগুলি। যার উত্তর পাওয়া যায়নি। যে দোষী, তার সঙ্গে সমপরিমাণে দোষী তথ্যপ্রমাণ লোপাটকারীরাও। এখানে অর্ধেক জাজমেন্টের ওপর রায় দেওয়া হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 254: “এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ,—ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়”

    Ramakrishna 254: “এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ,—ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ৺খেলাৎ ঘোষের বাটীতে শুভাগমন — বৈষ্ণবকে শিক্ষা

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ৺খেলাৎ ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করিতেছেন। রাত্রি ১০টা হইবে। বাটী ও বাটীর বৃহৎ প্রাঙ্গণ চাঁদের আলোতে আলোকময় হইয়াছে। বাটীতে প্রবেশ করিতে করিতে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। সঙ্গে রামলাল, মাস্টার, আর দু-একটি ভক্ত। বৃহৎ চকমিলান বৈঠকখানাবাড়ি, দ্বিতলায় উঠিয়া বারান্দা দিয়া একবার দক্ষিণে অনেকটা গিয়া, তারপর পূর্বদিকে আবার উত্তরাস্য হইয়া অনেকটা আসিয়া অন্তঃপুরের (Kathamrita) দিকে যাইতে হয়।

    ওইদিকে আসিতে বোধ হইল যেন বাটীতে কেহ নাই, কেবল কতকগুলি বড় বড় ঘর ও সম্মুখে দীর্ঘ বারান্দা পড়িয়া আছে।

    ঠাকুরকে (Ramakrishna) উত্তর-পূর্বের একটি ঘরে বসানো হইল, এখনও ভাবস্থ। বাটীর যে ভক্তটি তাঁহাকে আহ্বান করিয়া আনিয়াছেন, তিনি আসিয়া অভ্যর্থনা করিলেন। তিনি বৈষ্ণব, অঙ্গে তিলকাদি ছাপ ও হাতে হরিনামের ঝুলি। লোকটি প্রাচীণ। তিনি খেলাৎ ঘোষের সম্বন্ধী। তিনি দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুরকে মাঝে মাঝে গিয়া দর্শন করিতেন। কিন্তু কোন কোন বৈষ্ণবের ভাব অতি সঙ্কীর্ণ। তাঁহারা শাক্ত বা জ্ঞানীদিগের বড় নিন্দা করিয়া থাকেন (Kathamrita)। ঠাকুর এবার কথা কহিতেছেন।

    ঠাকুরের সর্বধর্ম-সমন্বয়—The Religion of Love

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বৈষ্ণবভক্ত ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—আমার ধর্ম ঠিক, আর অপরের ধর্ম ভুল—এ মত ভাল না। ঈশ্বর এক বই দুই নাই। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকে ডাকে। কেউ বলে গড, কেউ বলে আল্লা, কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে শিব, কেউ বলে ব্রহ্ম। যেমন পুকুরে জল আছে—একঘাটের লোক বলছে জল, আর-একঘাটের লোক বলছে ওয়াটার, আর-একঘাটের লোক বলছে পানি—হিন্দু বলছে (Kathamrita) জল, খ্রীষ্টান বলছে ওয়াটার, মুসলমান বলছে পানি, —কিন্তু বস্তু এক। মত—পথ। এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ,—ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী নানাদিক থেকে এসে সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়।

    “বেদ-পুরাণ-তন্ত্রে, প্রতিপাদ্য একই সচ্চিদানন্দ। বেদে সচ্চিদানন্দ (ব্রহ্ম)। পুরাণেও সচ্চিদানন্দ (কৃষ্ণ, রাম প্রভৃতি)। তন্ত্রেও সচ্চিদানন্দ (শিব)। সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম, সচ্চিদানন্দ কৃষ্ণ, সচ্চিদানন্দ শিব।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh: মাথায় ‘বাসা বেঁধেছে’ পায়রা! সব সময়ের সঙ্গী সেই হরিপুরী, মহাকুম্ভে ভাইরাল ‘কবুতর বাবা’

    Mahakumbh: মাথায় ‘বাসা বেঁধেছে’ পায়রা! সব সময়ের সঙ্গী সেই হরিপুরী, মহাকুম্ভে ভাইরাল ‘কবুতর বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Mahakumbh) ভক্তদের নজর কাড়ছেন ‘কবুতর বাবা’। ইতমধ্যে জোর চর্চা চলেছে ‘চাওয়ালা বাবা’, ‘আইআইটি বাবা’, ‘মাসকিউলার বাবা’কে নিয়ে। এবার প্রয়াগরাজের মহাপূর্ণকুম্ভে নজরে ‘কবুতর বাবা’। তাঁকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে। ‘কবুতর বাবা’ আসলে মহন্ত রাজপুরীজি মহারাজ। তাঁর মাথার ওপরে সর্বদা বসে থাকে সাদা রঙের একটি পায়রা। ‘কবুতর বাবা’র মাথায় রয়েছে জটা। সেখানেই ‘বাসা বেঁধেছে’ ওই পায়রা। জানা গিয়েছে, বিগত ন’বছর ধরে এভাবেই রাজপুরীজি মহারাজের মাথায় রয়েছে পায়রাটি। আর ঠিক এই কারণেই মহাকুম্ভে তিনি পরিচিত হয়েছেন ‘কবুতর বাবা’ (Kabutar Baba) নামে।

    কী বলছেন ‘কবুতর বাবা’ (Mahakumbh)? 

    ‘কবুতর বাবা’ (Kabutar Baba) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর পায়রার নাম হরিপুরী। তাঁর কথায়, ‘‘আট-ন’বছর ধরে এই পায়রাই আমার সব সময়ের সঙ্গী।’’ সর্বক্ষণ ‘কবুতর বাবা’র মাথাতেই বসে থাকতে দেখা যায় পায়রাটিকে। দেখে মনে হবে যেন, মাথাতেই বাসা বেঁধেছে ওই পায়রা। ‘বাবা’র মতে, পায়রা প্রেম আর সদ্ভাবের প্রতীক।

    ‘চাওয়ালা বাবা’ চা খেয়েই কাটান সারাদিন (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, কুম্ভ শুরু হতেই বেশ কয়েক জন (Mahakumbh) ‘বাবা’কে ঘিরে কৌতূহল আর উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। তার মধ্যে রয়েছেন এক ‘চাওয়ালা বাবা’। চা বিক্রি করেন না। তবে চা খেয়েই থাকেন সারাদিন। সে কারণেই তাঁর ‘চাওয়ালা বাবা’ নামে পরিচিত। জানা গিয়েছে, তিনি ৪১ বছর ধরে মৌনী রয়েছেন। মহাকুম্ভে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে অনলাইনে শিক্ষাদান করছেন।

    সম্প্রতি, চর্চায় উঠে এসেছে ‘আইআইটি বাবা’র নাম 

    সম্প্রতি, চর্চায় উঠে এসেছে ‘আইআইটি বাবা’র নাম (Mahakumbh)। কুম্ভ মেলায় যাওয়া ভক্তরা তেমনটাই নাম দিয়েছেন এঁকে। এই সাধু পড়াশোনা করেছেন দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে। তার পরেই তিনি বেছে নিয়েছেন আধ্যাত্মিকতার পথ। অন্যদিকে রাশিয়ার ৭ ফুট উচ্চতার পেশিবহুল ‘মাসকিউলার বাবা’ও সকলের নজরে এসেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা, দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়, কী প্রতিক্রিয়া দিলেন সুকান্ত?

    RG Kar Case: আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা, দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়, কী প্রতিক্রিয়া দিলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) রায় ঘোষণা হল শিয়ালদা আদালতে (Sealdah Court)। এই মামলায় বিচারক অনির্বাণ দাস দোষী সাব্যস্ত করেন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সাজা ঘোষণা করা হবে। যদিও এদিন আদালত কক্ষে ফের একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সঞ্জয়। দোষী সঞ্জয়ের বক্তব্য, এই কাজ একার পক্ষে করার সম্ভব নয়। কিন্তু বিচারক জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সব অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে। রায় ঘোষণা হতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিক্রিয়া দেন, ‘‘প্রথম থেকেই বলেছি ৫ দিন কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্তভার ছিল সেই সময় কী কী তথ্য-প্রমাণ কোথায় গিয়েছে তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। ফলে আপাতত সঞ্জয় রায় ধরা পড়েছে। কিন্তু সঠিক তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকলে কী হত সেটা বোঝা যেত। কিন্তু, এই মুহূর্তে তো সেই পরিস্থিতি নেই। তবে সঞ্জয় (RG Kar Case) যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ওর সর্বোচ্চ সাজা হোক আমরা চাইব।’’

    ৫ মাস ৯ দিন পরে সম্পন্ন হল রায়দান (RG Kar Case)

    শনিবার শিয়ালদা আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিবিআই প্রথম থেকেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের ফাঁসির আবেদন করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটেও সঞ্জয়কে একা দোষী হিসেবে দাবি করেছিল। গত বছরের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর (RG kar Case) হাসপাতালে এমন নারকীয় ঘটনাটি সামনে আসে। শনিবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত। মূল ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পরে সম্পন্ন হল রায়দান।  

    বায়োলজিক্যাল প্রমাণের উপরে নির্ভর করেছে সিবিআই

    শিয়ালদা আদালতে ‘ইন-ক্যামেরা ট্রায়াল’-এর সময় (রুদ্ধদ্বার বিচারপ্রক্রিয়া) বায়োলজিক্যাল প্রমাণের উপরে নির্ভর করে সিবিআই। ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা রিপোর্ট, টক্সিলজি রিপোর্ট, লেয়ারড ভয়েস অ্যানালিসিসের মতো বিভিন্ন প্রমাণ আদালতের সামনে পেশ করে সিবিআই। এই প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: বিগত ১০০ বছরে সব’কটি কুম্ভে হাজির হয়েছেন শিবানন্দ বাবা, দাবি শিষ্যদের

    Mahakumbh 2025: বিগত ১০০ বছরে সব’কটি কুম্ভে হাজির হয়েছেন শিবানন্দ বাবা, দাবি শিষ্যদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপক যোগ প্রশিক্ষক স্বামী শিবানন্দ। তাঁর শিষ্যদের দাবি, বিগত ১০০ বছরে প্রয়াগরাজ, নাসিক, উজ্জয়িনী এবং হরিদ্বারে যতগুলি কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রত্যেকটিতেই অংশগ্রহণ করেছেন শিবানন্দ বাবা (Mahakumbh 2025)। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ২১ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নেন স্বামী শিবানন্দ। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে তখনই জানানো হয়, তাঁর বয়স ১২৫ বছর।

    জন্ম ১৮৯৬ সালে (Mahakumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট তাঁর জন্ম হয়। এখনও পর্যন্ত স্বামী শিবানন্দ যোগ-প্রাণায়াম-ধ্যানের মাধ্যমে নিজেকে তরতাজা রেখেছেন। প্রতিদিন সকালে তিনি এর অনুশীলন করেন। প্রতি সকালে তাঁর শিষ্যরা গুরুদেবের দর্শনের জন্য হাজির হন। ১২৮ বছর বয়সি বাবার পূর্বতন জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ফাল্গুন ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, বাবা খুবই গরিব পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবার যখন চার বছর বয়স, তখনই তাঁকে হস্তান্তর করা হয় ওমকারানন্দ গোস্বামীর হাতে। তারপরে সেই সাধুর নির্দেশেই স্বামী শিবানন্দ তাঁর পরিবারকে দেখতে আসেন। তখন তাঁর বয়স ছয় বছর। ছোটবেলাতেই স্বামী শিবানন্দের বোন এবং পিতামাতা মারা যান বলেও জানান ফাল্গুন ভট্টাচার্য।

    যুবদের প্রতি কী বার্তা দেন স্বামী শিবানন্দ ?

    তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন হিরামন বিশ্বাস। তিনি জানালেন যে পদ্মশ্রী পাওয়ার জন্য তিনি কোথাও আবেদন পত্র জমা করেননি। মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর শিষ্য, তাঁর গুরুকে পদ্মশ্রী দেওয়ার জন্য জানিয়েছেন। বর্তমানে বাবা বারাণসীর দুর্গাকুণ্ডে থাকেন বলে জানিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা। সম্প্রতি তিনি মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) শিবির থেকে ফিরেছেন। যুবদের প্রতি বার্তা হিসেবে স্বামী শিবানন্দ প্রায় বলেন, ‘‘প্রতিদিন খুব সকালে তোমরা ঘুম থেকে ওঠো এবং অন্তত আধঘণ্টা সময় দাও যোগ ও প্রাণায়ামের জন্য। সঠিকভাবে জীবন পদ্ধতি মেনে চলো এবং যা কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস সেগুলিকে ছেড়ে দাও।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রথম কোনও কুম্ভে হাজারেরও বেশি মহিলা সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নিতে চলেছেন

    Mahakumbh 2025: প্রথম কোনও কুম্ভে হাজারেরও বেশি মহিলা সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নিতে চলেছেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। প্রয়াগরাজে দেখা যাচ্ছে, নারী সশক্তিকরণের প্রতিফলন। জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে হাজারেরও বেশি মহিলা তপস্বী দীক্ষা গ্রহণ করবেন এবং সন্ন্যাস ধর্ম পালনের ব্রত নেবেন। মৌনী অমাবস্যার অমৃত স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই সময়তেই অসংখ্য মহিলাকে দীক্ষা নিতে দেখা যাবে।

    সন্ন্যাসিনী শ্রী পঞ্চদশনাম জুনা আখড়ার তপস্বিনী কী বলছেন? 

    ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আখড়া সন্ন্যাস ধর্মে (Mahakumbh 2025) দীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে চলতি মহাকুম্ভে একদম রেকর্ড স্থাপন হতে পারে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা তপস্বী সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নিতে পারেন। সন্ন্যাসিনী শ্রী পঞ্চদশনাম জুনা আখড়ার তপস্বিনী দিব্যা গিরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের আখড়ার অধীনে ২০০-রও বেশি মহিলা তপস্বী সন্ন্যাসধর্মে দীক্ষা (Diksha) নেবেন। অন্যদিকে, অন্যান্য আখড়াগুলিকে জুড়লে, সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভাবনা। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি তাঁরা দীক্ষাদান করবেন।

    গুজরাতে সংস্কৃত বিষয়ের ছাত্রী দীক্ষা নিচ্ছেন সন্ন্যাস ধর্মে

    সন্ন্যাস ধর্মে (Mahakumbh 2025) দীক্ষা নিচ্ছেন এমনই একজন এসেছেন গুজরাট থেকে। তিনি রাধেনন্দ ভারতী। পিএইচডির এই ছাত্রীর বিষয় হল সংস্কৃত। গুজরাটের কালিদাস রামেটক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তিনি। জানা গিয়েছে, আধ্যাত্মিকতার অনুশীলনের জন্য তিনি সংসার ধর্ম ত্যাগ করছেন এবং সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করতে চলেছেন। বিগত ১২ বছর ধরে তিনি তাঁর গুরু সেবায় নিযুক্ত থেকেছেন এবং বর্তমানে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করছেন। প্রসঙ্গত, শ্রী পঞ্চদশনাম জুনা আখড়া ইতিমধ্যে সন্ন্যাসিনীদের জন্য নতুন একটি শাখাও তৈরি করেছে এবং যার নাম দিয়েছে সন্ন্যাসিনী শ্রী পঞ্চদশনাম জুনা আখড়া। এই সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে যে হিন্দু ধর্মে (Mahakumbh 2025) আধ্যাত্মিকতাতে পুরুষদের সমান মহিলারাও অংশগ্রহণ করতে পারেন। সনাতন ধর্মে আধ্যাত্মিকতার অনুশীলনে কোনও লিঙ্গবৈষম্য নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naga sadhus: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    Naga sadhus: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ নাকি কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস! এমনই পোস্টার সাঁটিয়ে বেশ কয়েকজন প্রচার করতে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে। এই ঘটনায় নাগা সন্ন্যাসীদের (Naga sadhus) মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। তাঁরা সেখানে জমায়েত করেন ও হিন্দু-বিরোধী প্রচারের পুরো সেট-আপটি গুটিয়ে দেন। হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেন তাঁরা (Naga sadhus)। এ নিয়ে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পোস্টারটি। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘‘কুম্ভ হল কুসংস্কারের মেলা। যদি স্বাধীনতা চাও, তাহলে নিজের বুদ্ধিকে জাগ্রত করো।’’

    আচার্য প্রশান্তর বইয়ের দোকানের কাছেই ঘটে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত, আচার্য প্রশান্তর একটি বইয়ের দোকানের কাছেই এমন কাজ শুরু করে বেশ কিছু লোকজন। হিন্দু-বিরোধী এমন প্রচার সভায় সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়ে যান নাগা সাধুরা (Naga sadhus) এবং পোস্টারে লেখা ওই কথাগুলি দেখে তাঁরা রেগে যান।

    যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি

    এই ঘটনা সামনে আসতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্টে পরিণত হয়েছে যে মহাকুম্ভ মেলা তাকে কুসংস্কার বলে আসলে হিন্দু বিরোধী মানসিকতার (Anti Hindu Activists) প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে। এ ধরনের কাজ যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন হিন্দু সমাজের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbha 2025: জুনা আখরার মহামণ্ডলেশ্বরকে খুনের ছক? মহাকুম্ভে হিন্দু সেজে এসে ধৃত মুসলিম যুবক

    Maha Kumbha 2025: জুনা আখরার মহামণ্ডলেশ্বরকে খুনের ছক? মহাকুম্ভে হিন্দু সেজে এসে ধৃত মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে সাধুকে খুনের পরিকল্পনা? গ্রেফতার আয়ুব নামের এক যুবক। জানা গিয়েছে, এই মুসলিম যুবক নিজের পরিচয় হিন্দু হিসেবে দেয় এবং আয়ুষ নাম নিয়ে মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) যতি নরসিংহনন্দ নামের সাধুর তৈরি শিবিরের কাছে চলে যায়। প্রসঙ্গত, যতি নরসিংহনন্দ (Yati Narsinghanand) হলেন গাজিয়াবাদে অবস্থিত দাসনা মন্দিরের প্রধান পূজারী এবং জুনা আখরার মহামণ্ডলেশ্বর (প্রধান)। ইতিমধ্যে পুলিশ আয়ুবকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

    দেখা করতে চায় নরসিংহানন্দের সঙ্গে

    সম্প্রতি, আয়ুষ নাম নিয়ে যতি নরসিংহনন্দের (Yati Narsinghanand) ক্যাম্পের সামনে চলে যায় আয়ুব এবং সেখানে সে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকে। সে সেখানে বলে যে, নরসিংহনন্দের সঙ্গে দেখা করতে চায়। এরপরেই ওই ক্যাম্পের বাকি সাধুরা পুলিশকে খবর দেয়। তখনই তার আসল পরিচয় সামনে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আয়ুব আলি জানিয়েছে, সে উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জের বাসিন্দা এবং তার বাবার নাম হচ্ছে সাকির আলি। তারা দুই ভাই এবং তিন বোন। আয়ুব দাবি করেছে সে একা এবং নিজের ইচ্ছাতেই কুম্ভমেলায় (Maha Kumbha 2025) এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, এখানে আসার অনুমতি নেই, এটা সে জানত না। পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, সে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজে এসেছে গোরক্ষপুর হয়ে।

    কী জানালেন যতি নরসিংহনন্দ (Maha Kumbha 2025) 

    প্রসঙ্গত, যতি নরসিংহনন্দ (Yati Narsinghanand) এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, হতে পারে এ বিষয়ে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল। কয়েক মাস আগে ১০ হাজার মৌলবাদীদের একটি একটি ভিড় গাজিয়াবাদে মন্দির প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন যতি নরসিংহনন্দ। প্রসঙ্গত যতি নরসিংহনন্দ বর্তমানে দুজন নিরাপত্তা রক্ষী পান এবং এ দুজনেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্মী। প্রসঙ্গত, নরসিংহনন্দের (Yati Narsinghanand) ওপর এমন হামলার ষড়যন্ত্র আগেও হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দাসনা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন মৌলবাদীকে। এরা প্রত্যেকেই ওই মন্দিরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। তারও আগে ২০২৩ সালের মে মাসে ও ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে একই ঘটনা সামনে আসে। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন মৌলবাদীকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share