Tag: madhyom news

madhyom news

  • Maha Kumbha 2025: জুনা আখরার মহামণ্ডলেশ্বরকে খুনের ছক? মহাকুম্ভে হিন্দু সেজে এসে ধৃত মুসলিম যুবক

    Maha Kumbha 2025: জুনা আখরার মহামণ্ডলেশ্বরকে খুনের ছক? মহাকুম্ভে হিন্দু সেজে এসে ধৃত মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে সাধুকে খুনের পরিকল্পনা? গ্রেফতার আয়ুব নামের এক যুবক। জানা গিয়েছে, এই মুসলিম যুবক নিজের পরিচয় হিন্দু হিসেবে দেয় এবং আয়ুষ নাম নিয়ে মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) যতি নরসিংহনন্দ নামের সাধুর তৈরি শিবিরের কাছে চলে যায়। প্রসঙ্গত, যতি নরসিংহনন্দ (Yati Narsinghanand) হলেন গাজিয়াবাদে অবস্থিত দাসনা মন্দিরের প্রধান পূজারী এবং জুনা আখরার মহামণ্ডলেশ্বর (প্রধান)। ইতিমধ্যে পুলিশ আয়ুবকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

    দেখা করতে চায় নরসিংহানন্দের সঙ্গে

    সম্প্রতি, আয়ুষ নাম নিয়ে যতি নরসিংহনন্দের (Yati Narsinghanand) ক্যাম্পের সামনে চলে যায় আয়ুব এবং সেখানে সে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকে। সে সেখানে বলে যে, নরসিংহনন্দের সঙ্গে দেখা করতে চায়। এরপরেই ওই ক্যাম্পের বাকি সাধুরা পুলিশকে খবর দেয়। তখনই তার আসল পরিচয় সামনে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আয়ুব আলি জানিয়েছে, সে উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জের বাসিন্দা এবং তার বাবার নাম হচ্ছে সাকির আলি। তারা দুই ভাই এবং তিন বোন। আয়ুব দাবি করেছে সে একা এবং নিজের ইচ্ছাতেই কুম্ভমেলায় (Maha Kumbha 2025) এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, এখানে আসার অনুমতি নেই, এটা সে জানত না। পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, সে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজে এসেছে গোরক্ষপুর হয়ে।

    কী জানালেন যতি নরসিংহনন্দ (Maha Kumbha 2025) 

    প্রসঙ্গত, যতি নরসিংহনন্দ (Yati Narsinghanand) এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, হতে পারে এ বিষয়ে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল। কয়েক মাস আগে ১০ হাজার মৌলবাদীদের একটি একটি ভিড় গাজিয়াবাদে মন্দির প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন যতি নরসিংহনন্দ। প্রসঙ্গত যতি নরসিংহনন্দ বর্তমানে দুজন নিরাপত্তা রক্ষী পান এবং এ দুজনেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্মী। প্রসঙ্গত, নরসিংহনন্দের (Yati Narsinghanand) ওপর এমন হামলার ষড়যন্ত্র আগেও হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দাসনা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন মৌলবাদীকে। এরা প্রত্যেকেই ওই মন্দিরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। তারও আগে ২০২৩ সালের মে মাসে ও ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে একই ঘটনা সামনে আসে। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন মৌলবাদীকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ইমরান খানকে ১৪ বছরের সাজা শোনাল পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন আদালত

    Imran Khan: ইমরান খানকে ১৪ বছরের সাজা শোনাল পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার পাক দুর্নীতি দমন আদালত সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) ১৪ বছরের সাজা শোনাল। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ইমরান খানকে আল কাদির ট্রাস্ট (Al Qadir Trust case) দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। একইসঙ্গে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁকেও সাত বছরের সাজা ঘোষণা করেছে পাক আদালত। এছাড়াও ইমরানকে ১০ লক্ষ এবং বুশরারকে ৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান।

    ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলায় গ্রেফতার হন ইমরান (Imran Khan)  

    ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলায় আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে (Imran Khan)। পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল এই গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলেছিলেন। এর পরে লাহোর হাইকোর্ট পরবর্তীকালে ইমরানের জামিনের আর্জিও মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু দেশদ্রোহ সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ইমরানকে। সেকারণে পিটিআই প্রধানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

    জন্মদিনেই বিচার পেল নিহত শিশুকন্যা, ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

    ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৬৪৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে

    প্রসঙ্গত, আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে ১৯ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৬৪৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ইমরান (Imran Khan) , তাঁর স্ত্রী বুশরার বিরুদ্ধে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিল পাক তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো যার সংক্ষিপ্ত নাম হল ন্যাব। ২০২৩ সালের ১ মে ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল এই তদন্তকারী সংস্থা। তারপরেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gurap: জন্মদিনেই বিচার পেল নিহত শিশুকন্যা, ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

    Gurap: জন্মদিনেই বিচার পেল নিহত শিশুকন্যা, ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির গুড়াপে (Gurap) পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হল দোষীর। শুক্রবারই এই রায় শোনালেন চুঁচুড়া পকসো আদালতের বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, গুড়াপকাণ্ডে ফাঁসির সাজা হল প্রতিবেশী প্রৌঢ় অশোক সিংয়ের। ঘটনার ৫৫ দিনের মাথায় এই রায় ঘোষণা করল চুঁচুড়া আদালত (Hooghly)। প্রসঙ্গত, এদিনই ছিল নির্যাতিতা শিশু কন্যার জন্মদিন। আদালতের রায়ের পরই কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতার মা। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আজই মেয়েটার জন্মদিন। জন্মদিনে কেক খেতে চেয়েছিল মেয়েটা! সেটা তো আর খাওয়াতে পারলাম না।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে খুশি তিনি।

    সরকারি আইনজীবীর বিবৃতি (Gurap) 

    গতবছরের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যাবেলা হঠাৎই বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই শিশুকন্যা (Gurap)। নির্যাতিতার বাবা বাজারে যাওয়ার সময় তাকে খেলা করতে দেখেছিলেন। মেয়ে মাংস খাবে বলে বায়না করেছিল, তাই আনতে গিয়েছিলেন বাবা। ফিরে এসে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপরেই অশোক সিং নামে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর পরেই অভিযুক্তকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত বুধবারই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি আইনজীবী তখন বলেছিলেন, ‘‘নতুন যে বিএনএস আইন এসেছে, তাতেই এত দ্রুত বিচারপর্ব শেষ হল। বিচারপর্ব শুরু হওয়ার পর বড়দিনের সময় সাত দিন ছুটি ছিল। না-হলে আরও আগে নিষ্পত্তি হত মামলার। এটা সম্ভব হয়েছে পুলিশের সঠিক তদন্তের ফলে।’’

    প্রতিবেশীদের বয়ান (Gurap) 

    প্রসঙ্গত, অশোকের বাড়িতে কম্বল ও কাঠ দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির দেহ পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পর থেকে আমরা সকলেই খোঁজাখুঁজি করছিলাম সেই দিন। অশোককেই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। পরে ওর বাড়ি থেকেই পাওয়া গিয়েছিল মেয়েটিকে। কাঠ, কম্বল চাপা দিয়ে রেখে দিয়েছিল। ওর স্বভাব খারাপ। নিজের মেয়ের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করত। আগেও এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছিল। পরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। আমরা ওর ফাঁসি চেয়েছিলাম।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SpaceX Starship: আকাশজুড়ে ছড়াল ধ্বংসাবশেষ, কী কারণে মাঝপথেই ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের স্টারশিপ?

    SpaceX Starship: আকাশজুড়ে ছড়াল ধ্বংসাবশেষ, কী কারণে মাঝপথেই ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের স্টারশিপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে মাঝপথেই বিলীন স্পেস এক্স স্টারশিপ (SpaceX Starship)। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অক্সিজেন লিক হওয়াকে দায়ী করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সংস্থার সিইও ইলন মাস্ক সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, সাত বারের বিপত্তি সত্ত্বেও পরবর্তী উৎক্ষেপণ সম্পর্কে তিনি যথেষ্ঠ আশাবাদী। মাস্কের দাবি, একই রকমের সমস্যা, যাতে আর পরবর্তীকালে না হয় সেজন্য তাঁরা চেষ্টা চালাবেন। এরপর থেকে দুবার করে পরীক্ষা করা হবে লিকগুলি, সেটাও তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পুরো রকেটটি ছিল ৩৭ তলা বাড়ির সমান ছিল।

    আট মিনিটের মধ্যেই ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা যায় (SpaceX Starship) 

    বৃহস্পতিবার (আমেরিকার সময়) ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ (SpaceX Starship) রকেটের সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালায়। তবে, উৎক্ষেপণের আট মিনিটের মধ্যেই ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা যায়। রকেটটি ভেঙে পড়ে। স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তবে সাফল্যের বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। স্পেসএক্সের প্রতিনিধি কেট টাইস বলেন, ‘‘আমাদের রকেট ধ্বংস হয়েছে। আমরা হতাশ, তবে এমন পরীক্ষার মাধ্যমেই ভবিষ্যতে সফল হওয়া সম্ভব।’’

    ‘‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত’’

    রকেট ভেঙে পড়ার দৃশ্যের ভিডিও তুলে এক্সে পোস্ট করেন কয়েকজন নেটাগরিক। নিজের সংস্থার (SpaceX Starship) রকেট ভেঙে পড়ার সেই ভিডিও শেয়ার করে ঠাট্টার সুরে ইলন মাস্ক (Elon Musk) লেখেন, ‘‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত।’’

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে টেক্সাসের বোকা চিকা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে স্টারশিপ রকেট মহাশূন্যে পাঠায় স্পেসএক্স। উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত বুস্টারটি লঞ্চ প্যাডে ফিরে আসে এবং সেটিকে ‘ক্যাচ’ করা হয়। তবে মহাকাশের দিকে ছুটে যাওয়া রকেটটি ধ্বংস হয়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড ৬ জুনিয়র ডাক্তার, মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতি চিকিৎসক পড়ুয়াদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 253: “তুমি রামজীবনপুরের শীলের মতো—ঈশ্বরেতেও মন আছে, আবার সংসারেও মন আছে”

    Ramakrishna 253: “তুমি রামজীবনপুরের শীলের মতো—ঈশ্বরেতেও মন আছে, আবার সংসারেও মন আছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    যদু মল্লিকের বাড়ি—সিংহবাহিনী সম্মুখে—‘সমাধিমন্দিরে

    গান সমাপ্ত হইলে আবার ভাবোন্মত্ত হইয়া যদুকে বলিতেছেন, “কি বাবু, কি গাইব? ‘মা আমি কি আটাশে ছেলে’—এই গানটি কি গাইব?” এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) গাহিতেছেন:

    মা আমি কি আটাশে ছেলে।
    আমি ভয় করিনে চোখ রাঙালে ॥
    সম্পদ আমার ও রাঙাপদ শিব ধরেন যা হৃৎকমলে।
    আমার বিষয় চাইতে গেলে বিড়ম্বনা কতই ছলে ॥
    শিবের দলিল সই রেখেছি হৃদয়েতে তুলে।
    এবার করব নালিশ নাথের আগে, ডিক্রি লর এক সওয়ালে ॥
    জানাইব কেমন ছেলে মোকদ্দমায় দাঁড়াইলে।
    যখন গুরুদত্ত দস্তাবিজ, গুজরাইব মিছিল চালে ॥
    মায়ে-পোয়ে মোকদ্দমা, ধুম হবে রামপ্রসাদ বলে।
    আমি ক্ষান্ত হব যখন আমায় শান্ত করে লবে কোলে ॥

    ভাব একটু উপশম হইলে বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি মার প্রসাদ খাব।”

    ৺সিংহবাহিনীর প্রসাদ আনিয়া ঠাকুরকে দেওয়া হইল।

    শ্রীযুক্ত যদু মল্লিক বসিয়া আছেন। কাছে কেদারায় কতকগুলি বন্ধুবান্ধব বসিয়াছেন; তন্মধ্যে কতকগুলি মোসাহেবও আছেন।

    যদু মল্লিকের দিকে সম্মুখ করিয়া ঠাকুর চেয়ারে বসিয়াছেন ও সহাস্যে কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের সঙ্গী ভক্ত কেউ কেউ পাশের ঘরে, মাস্টার ও দুই একটি ভক্ত ঠাকুরের কাছে বসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—আচ্ছা, তুমি ভাঁড় রাখ কেন?

    যদু (সহাস্যে)—ভাঁড় হলেই বা, তুমি উদ্ধার করবে না!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য)—গঙ্গা মদের কুপোকে পারে না!

    সত্যকথা ও শ্রীরামকৃষ্ণ—“পুরুষের এককথা” 

    যদু ঠাকুরের কাছে অঙ্গীকার করিয়াছিলেন, বাটীতে চন্ডীর গান দিবেন। অনেকদিন হইয়া গেল চন্ডীর গান কিন্তু হয় নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কই গো, চন্ডীর গান?

    যদু—নানা কাজ ছিল তাই এতদিন হয় নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে কি! পুরুষ মানুষের এককথা!

    “পুরুষ কি বাত, হাতি কি দাঁত।

    “কেমন, পুরুষের এককথা, কি বল?”

    যদু (সহাস্যে)—তা বটে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তুমি হিসাবী লোক। অনেক হিসাব করে কাজ কর,—বামুনের গড্ডী খাবে কম, নাদবে বেশি, আর হুড়হুড় করে দুধ দেবে! (সকলের হাস্য)

    ঠাকুর কিয়ৎক্ষণ পরে যদুকে বলিতেছেন (Kathamrita), বুঝেছি, তুমি রামজীবনপুরের শীলের মতো—আধখানা গরম, আধখানা ঠাণ্ডা। তোমার ঈশ্বরেতেও মন আছে, আবার সংসারেও মন আছে।

    ঠাকুর দু-একটি ভক্তসঙ্গে যদুর বাটীতে ক্ষীর প্রসাদ, ফলমূল, মিষ্টান্নাদি খাইলেন। এইবারে ৺খেলাৎ ঘোষের বাড়ি যাইবেন।

     

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha kumbh 2025: মাঝরাতে ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব, কঠোর ব্রত পালন, মহাকুম্ভে শুরু নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া

    Maha kumbh 2025: মাঝরাতে ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব, কঠোর ব্রত পালন, মহাকুম্ভে শুরু নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠিন ব্রতের মধ্য দিয়ে হওয়া যায় নাগা সাধু (Naga Sadhu)। মৌনী অমাবস্যার আগেই, সাতটি শৈব এবং উদাসীন আখড়া নতুনভাবে নাগা সাধুদের নিয়োগ করবে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য নাগা সাধুদের অনেক কঠিন ব্রতের মধ্য দিয়েই যেতে হয়। মধ্যরাতে তাঁদের ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব দিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।

    ১৮০০-রও বেশিজনকে দীক্ষা দেওয়া হবে (Maha kumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, ১৮০০-রও বেশিজনকে দীক্ষা দেওয়া হবে নাগা সাধুর। মহানির্বাণী, নিরঞ্জনী, অটল, অগ্নি, আবাহন সহ উদাসীন আখড়ায়, এই নাগা সাধু নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই নতুনভাবে দীক্ষিতরা নাগা সন্ন্যাসী (Maha kumbh 2025) হবেন। তার প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাঁরা খাবার ও জল ছাড়া তপস্যা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে নাগা সাধু দীক্ষিত (Maha kumbh 2025) হবেন?

    শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে নাগা সাধুদের (Maha kumbh 2025) নিয়োগ। এই পর্ব চলবে মৌনি অমাবস্যা পর্যন্ত। জুনা আখড়ার মহন্ত রমেশ গিরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথমে সাধুরা আখড়ার ধর্মীয় পতাকার নীচে তপস্যা শুরু করবেন। জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা ধরে এই তপস্যা করবেন নাগা সাধুরা। এই সময় তাঁরা (Naga Sadhu) অন্ন বা জল কোনওটাই গ্রহণ করবেন না। এরপর তাঁরা মাঝরাতে গঙ্গায় ১০৮ বার ডুব দিয়ে অমৃতস্নান করবেন। এরপর তাঁদের ক্ষৌর কর্ম এবং বিজয় হবন করা হবে। এখানে পাঁচজন গুরু নব সন্ন্যাসীদের বিভিন্ন জিনিস অর্পণ করবেন। এরপর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা দেবেন। এরপর ফের হবন বা যজ্ঞ হবে। প্রসঙ্গত, ১৯ জানুয়ারির সকালে কটিবস্ত্র খুলে নাগায় রূপান্তরিত করা হবে। উল্লেখ্য, নাগা সন্ন্যাসীদের (Maha kumbh 2025) পোশাক পরে বা দিগম্বর আকারে বসবাসের বিকল্পও দেওয়া হয়। যাঁরা বস্ত্র নিয়ে থাকেন, তাঁরা অমৃতস্নানের সময় শুধুমাত্র নাগা রূপে স্নান করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saif Ali Khan: লক্ষ্য ছিল সইফের ছোট ছেলে জেহ্! পুলিশকে দেওয়া পরিচারকের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    Saif Ali Khan: লক্ষ্য ছিল সইফের ছোট ছেলে জেহ্! পুলিশকে দেওয়া পরিচারকের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার গভীররাতে নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হয় বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan Attacked)। ঘাড়ে, হাতে, পিঠে ছয়বার কোপ মারা হয় তাঁকে। গতকাল বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার হয় অভিনেতার। এরই মধ্যে একাধিক ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসছে। সইফ-করিনার চার বছরের ছেলে জাহাঙ্গিরের (জেহ্) ঘরে ঢুকেছিল হামলাকারী। দাবি করেছিল ১ কোটি টাকা! এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। তবে কি টার্গেট ছিল সইফ-করিনার চার বছরের ছেলে? উঠছে প্রশ্ন। সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ছোট ছেলের দেখভাল করেন এক নার্স। তাঁর নাম ফিলিপ। তিনি পুলিশকে যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা এককথায় ভয়াবহ।

    পুলিশকে দেওয়া নার্সের বিবৃতি (Saif Ali Khan)

    পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই নার্স বলেন, ‘‘আমি ১৫ জানুয়ারি রাত ১১ টা নাগাদ সইফ আলি খানের ছোট ছেলে জাহাঙ্গির (৪) ওরফে জয়বাবাকে খাওয়াই এবং বিছানায় শুইয়ে দিই। আনুমানিক রাত দুটো নাগাদ একটি শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি সোজা উঠে পড়ি। আমি লক্ষ্য করি বাথরুমের দরজা খোলা ছিল। আলো জ্বলছিল। তখন আমি মনে করলাম যে কারিনা ম্যাডাম জাহাঙ্গিরকে দেখতে এসেছেন। কিছু না ভেবে আমি শুয়ে পড়লাম। কিন্তু অস্বস্তির অনুভূতি থেকেই গেল।’’

    পুলিশকে ফিলিপ বলেন, ‘‘এরপর বাথরুমে কে আছে তা দেখার জন্য আমি এগিয়ে গেলাম। তখনই ভিতর থেকে একজন বেরিয়ে এল এবং জাহাঙ্গিরের বিছানার দিকে এগিয়ে গেল। ভয় পেয়ে আমি দ্রুত জাহাঙ্গিরের কাছে গেলাম। আক্রমণকারী তখন আমার দিকে ইশারায় বলল, কোনও শব্দ করবে না। সেই মুহূর্তে জাহাঙ্গিরের আয়া জুনু তিনিও জেগে ওঠেন। লোকটি তাঁকে সতর্ক করে বলেন যে তিনি যেন কোনও শব্দ না করেন! লোকটির বাঁ হাতে একটা লাঠি এবং ডান হাতে একটি লম্বা পাতলা ছুরির মতো জিনিস ছিল।’’

    নার্সের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    ফিলিপ তাঁর বয়ানে বলেন, ‘‘জাহাঙ্গিরকে রক্ষা করার চেষ্টায় আমি আক্রমণকারীকে বাধা দিলাম। লোকটি তখন ছুরি হাতে আমার ওপর আক্রমণ করে। আমার উভয় হাতকে আহত করে। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কী চাও? কত টাকা চাও? সে বলল- এক কোটি টাকা। এমন সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হতে করিনা ম্যাডাম ছুটে ঘরে ঢুকে পড়লেন। সঙ্গে ছিলেন সইফ স্যার (Saif Ali Khan)। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কে? তুমি কী চাও? লোকটি তখন লাঠি এবং ছুরি হাতে সইফ স্যারকে আক্রমণ করল।’’

    ফিলিপ আরও বলেন, ‘‘আর একজন নার্স যিনি ঘরে প্রবেশ করেছিলেন, সেই গীতাকেও আক্রমণ করে ওই দুষ্কৃতি। এরইমধ্যে আমরা তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে ওপরের তলায় পালিয়ে গেলাম। এমন সময় হই হট্টগোলে অন্যান্য কর্মীরা ঘুম থেকে উঠে পড়েন এবং যখন ওই ঘরে ঢুকলাম, যেখানে আক্রমণকারী এসেছিল, তখন লোকটিকে কোথাও দেখা গেল না। সইফ  স্যারের (Saif Ali Khan Attacked) ঘাড়, ডান কাঁধ, পিঠ, বাম হাতের কব্জি, কুনুইতে আঘাত লাগে, রক্তপাত শুরু হয়। অন্যদিকে নার্স গীতার ডান হাতের কব্জি, পিঠ, মুখে আঘাত লাগে।’’

    ওই নার্স জানিয়েছেন যে, লোকটি ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সি। এবং তাঁর গায়ের রং কালো। শরীর রোগা। লম্বায় ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। পরনে ছিল কালো প্যান্ট মাথায় টুপি সহ শার্ট ছিল। গোটা মামলার তদন্ত জোরকদমে শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। ইতিমধ্য়েই আততায়ীর খোঁজ করতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। সইফের (Saif Ali Khan) বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। কিন্তু এখনও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। খোঁজ চলছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড ৬ জুনিয়র ডাক্তার, মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতি চিকিৎসক পড়ুয়াদের

    Junior Doctors: স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড ৬ জুনিয়র ডাক্তার, মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতি চিকিৎসক পড়ুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে ১২ জন চিকিৎসক সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা সরকার। ওই ১২ জনের ভিতর ছ’জন রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors)। ছয় জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে, এই দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্ত্রী রোগ এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে বাকি সব বিভাগেও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ছয় জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই কর্মবিরতি চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    কোন ছয় জুনিয়র (Junior Doctors) ডাক্তারকে সাসপেন্ড করল রাজ্য?

    সাসপেন্ডের তালিকায় যে ছ’জন পিজিটি চিকিৎসক পড়ুয়া রয়েছে তাঁরা হলেন— মৌমিতা মণ্ডল, পূজা সাহা, জাগৃতি ঘোষ, ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু, মণীশ কুমার এবং সুশান্ত মণ্ডল। জানা গিয়েছে,  নির্দেশের পরেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Medinipur Medical College) জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দীকে ইমেল করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁরা বৈঠক করেন, তারপরেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নেন।

    কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)? 

    জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors) জানিয়েছেন, তাঁরা সিনিয়র ডাক্তার এবং প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানেই কাজ করেন। এমন অবস্থায় তাঁদের ওপর দায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছন জুনিয়ররা। তাঁদের আরও দাবি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ‘দুর্নীতি’কে ঢাকতে গিয়ে তাঁদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি মেদিনীপুর মেডিক্যালের পিজিটি ডাক্তারদের। তাঁরা বলেন, “যেখানে আমরা মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করি, সেখানে আমাদের সমাজের শত্রু বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh: বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্ট, মহাকুম্ভ পরিদর্শন করলেন ১০ দেশের ২১ জনের প্রতিনিধি দল

    Maha Kumbh: বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্ট, মহাকুম্ভ পরিদর্শন করলেন ১০ দেশের ২১ জনের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের একটি বৃহত্তম ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ্ররাজে (Prayagraj) শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh)। বৃহস্পতিবারই দশটি বিভিন্ন দেশের ২১ জনের একটি প্রতিনিধিদল প্রয়াগরাজের (Prayagraj) সঙ্গমস্থলকে পরিদর্শন করেন। তাঁরা এএনআই-কে সাক্ষাৎকারও দেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন গায়ানার দিনেশ পারসাউদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমি এখানে গঙ্গা নদীতে পবিত্র স্নান করতে চেয়েছিলাম। সেই ইচ্ছা আমার পূরণ হয়েছে। আমি সকলকে এই অনুষ্ঠানে এসে পবিত্র গঙ্গা নদীতে স্নান করতে বলছি।’’

    চতুর্থ দিন পর্যন্ত ৬ কোটিরও বেশি ভক্তের অংশগ্রহণ

    অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে এসেছিলেন এল আজাব। তিনি বলেন, ‘‘আমি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছি। (Maha Kumbh) এটি একটি চমৎকার অনুষ্ঠান। এটি পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ। সুসংগঠিতভাবে এই সমাবেশকে আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশও রয়েছে। সরকার সবকিছু খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে যে এই সমাবেশে ৬ কোটিরও বেশি ভক্ত অংশগ্রহণ করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    কোন কোন দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন

    আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলটিতে ফিজি, ফিনল্যান্ড, গায়ানা, মালয়েশিয়া, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাশাহির (ইউএই) প্রতিনিধিরা ছিলেন। ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মহাকুম্ভের পরবর্তী শাহি স্নানের তারিখগুলির মধ্যে রয়েছে ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা – দ্বিতীয় শাহি স্নান), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী – তৃতীয় শাহি স্নান), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা চতুর্থ শাহি স্নান) এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহা শিবরাত্রি পঞ্চম শাহি স্নান)। প্রসঙ্গত, ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের আসর বসেছে প্রয়াগরাজে। এর বিরাট আয়োজন, ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও অসাধারণ পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাধুসন্ত, মুনিঋষি ও যোগী-সন্ন্যাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই মেলা ব্যাতিক্রমী, আধ্যাত্মিক উদ্দীপনার আকর্ষণীয় মোক্ষধাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে মেয়র ফিরহাদের পদত্যাগ দাবি সুকান্তর, কী বললেন তিনি?

    BJP: বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে মেয়র ফিরহাদের পদত্যাগ দাবি সুকান্তর, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় এবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার জেরে তৃণমূল সরকারকে দুর্নীতি ইস্যুতে আবারও একবার তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। নিজের বিবৃতিতে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কলকাতা কর্পোরেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কর্পোরেশনই আছে প্রত্যেকেই একটা নীতি মেনে চলে, ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ আপনার যে কোনও ধরনের প্ল্যান পাশ হয়ে যাবে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের জন্য কিছু মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, এমন অবস্থায় পদত্যাগ করা উচিত মেয়রের।’’

    মঙ্গলবার আচমকাই হেলে পড়ে (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বাঘাযতীনে হেলে পড়ে একটি আস্ত বহুতল। এই ঘটনা দেখে শিউরে উঠেছেন সকলে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা ওই বহুতলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কয়েকদিন ধরেই বহুতলটি হেলে পড়তে শুরু করেছিল। এই সময়ে বহুতলটিতে কাজ শুরু করা হয়। তখন তার আবাসিকদের ভাড়া বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মেরামতির কাজ চলাকালীন আচমকা ফের হেলে পড়ে বহুতলটি। ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    এত বড় কনস্ট্রাকশনে কোনও কাউন্সিলর পয়সা পায়নি, মানতে হবে?

    এই ঘটনায় এলাকাবাসীদের ক্ষোভও সামনে এসেছে। তাঁরা কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানাচ্ছেন যে, জলাজমির ওপরে বহুতলটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মেয়রের পদত্যাগ দাবি করে সুকান্ত মজুমদার (BJP) আরও বলেন, ‘‘এত বড় কনস্ট্রাকশনে কোনও কাউন্সিলর পয়সা পায়নি, এটা আমাদের মেনে নিতে হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ওই কাউন্সিলরকে কান ধরে জেলের ভিতর ঢোকানো। কিন্তু উনি ঢোকাবেন না, সেটাও আমি জানি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share