Tag: madhyom news

madhyom news

  • Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ব্যাপক ভিড় নাগা সাধুদের। প্রবল শীতেও তাঁরা বস্ত্র ধারণ করেন না। সাম্প্রতিক, ৮ বছরের নাগা সাধু গোপাল গিরির একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ঈশ্বরই তাঁর জ্যাকেট। এই কারণে তাঁর ঠান্ডা লাগে না। নাগা সাধুরা (Naga Sadhu) শূন্য কিংবা মাইনাস তাপমাত্রাও সহ্য করতে সক্ষম। কীভাবে সম্ভব হয় এটি? চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মানুসারে, মানুষ পোশাক ছাড়া মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে নাগা সাধুরা একথা একেবারেই মানেন না। তাঁরা মনে করেন, আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে চরম ঠান্ডা সহ্য করা যায়।  ঠিক এই কারণে তাঁরা তিন ধরনের সাধনা করেন।

    নাগা সাধুদের তিন ধরনের সাধনা (Maha Kumbh 2025)

    অগ্নি সাধনা: নাগা সাধুরা (Naga Sadhu)  একধরনের ধ্যান অনুশীলন করেন। এই অনুশীলনের মাধ্যমে তাঁদের শরীরের মধ্যে আগুনের উপাদান জমতে থাকে। এভাবেই প্রবল শীতেও তাঁদের শরীর উষ্ণ থাকে।
     
    নাড়ি শোধন: নাড়ি শোধন প্রাণায়ামের মাধ্যমে, নাগা সাধুরা তাঁদের শরীরের মধ্যে বায়ুপ্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। এভাবেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত এবং উষ্ণ থাকে। 

    মন্ত্রোচ্চারণ: অন্যদিকে নাগা সাধুদের মতে, মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেও তাঁদের শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়, যা শরীরে তাপ তৈরি করে। প্রবল ঠান্ডার তাপমাত্রা এভাবেই সহ্য করতে পারেন তাঁরা।

    ছাই দিয়ে ঢাকা থাকে শরীর, কাজ করে অন্তরকের  (Maha Kumbh 2025)

    এ ছাড়া (Maha Kumbh 2025) নাগা সাধুরা ছাই দিয়ে তাঁদের শরীর ঢেকে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি একটি অন্তরক স্তর হিসেবে কাজ করে। ছাইতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এভাবেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান তিনি। মেতে ওঠেন উৎসবে। বারবার এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। সোমবারও সেই ছবিই দেখা গেল দিল্লিতে। দিল্লির নারাইনা গ্রামে লোহরি (Lohri) উৎসবে সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে। দুই উৎসবে সামিল হয়ে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সুস্বাস্থ্য কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান

    বুধবার সন্ধ্যায় নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গ্রামে আসায়, ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। কারও কারও চোখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়। এক নাবালকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। এরপর লোহরি উৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

    সকলকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর ভারত-সহ বহু জায়গার মানুষের কাছে লোহরির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা আশার প্রতীক। কৃষি ও কৃষকদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই উৎসবের।’’ সবাইকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে

    নারাইনা গ্রামে যাওয়ার আগে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির দিল্লির বাড়িতে পোঙ্গল এবং সংক্রান্তি পালনেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সে নিয়েই তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলাম মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে। এখানে সাক্ষী থাকলাম দূর্দান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সারা দেশে আজকে (সোমবার) পালিত হচ্ছে সংক্রান্তি ও পোঙ্গল উৎসব।’’ সকলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তিনি প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। পোঙ্গল উৎসবে সামিল হয়ে রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি ভোগী অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেন। শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বলেই মানা হয় লোহরিকে। এটি মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই পালন করা হয়। শীতের শেষের দিকে রবিশস্য কাটার সময় তা পালিত হয়। অন্যদিকে, পোঙ্গল উৎসব সূর্যকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: দিতে হয় ৫ ডুব! আজ মকর সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নান

    Maha Kumbh 2025: দিতে হয় ৫ ডুব! আজ মকর সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, পৌষ পূর্ণিমার তিথিতে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। সকাল থেকেই শাহি স্নানে ভক্তদের ভিড় দেখা গিয়েছে। হয়েছে প্রথম শাহি (রাজকীয়) স্নানও। আজ, মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন দ্বিতীয় শাহি স্নান হচ্ছে, যা অনেকক্ষেত্রে অমৃত স্নান বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ শেষ হতে চলেছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রয়েছে মহাশিবরাত্রি এবং ওই দিনেই মহাকুম্ভের সমাপন হবে। হিন্দু ধর্মে মতে, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) স্নানকে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মানা হয়। মনে করা হয় মহাকুম্ভে স্নান করলে ভক্তদের সকল প্রকার কষ্ট দূর হয় এবং পাপ থেকে মুক্তিলাভ করা যায়। 

    প্রথম দুটি বাদ দিয়ে শাহি স্নানের অন্যান্য তারিখগুলিও আমরা জেনে নেব

    তৃতীয় শাহি স্নান (Shahi Snan) সম্পন্ন হবে মৌনী অমাবস্যায় দিনটি পড়েছে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

    চতুর্থ শাহি স্নান (Maha Kumbh 2025) সম্পন্ন হবে বসন্ত পঞ্চমীতে বাংলায় যেদিন সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হবে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি

    পঞ্চম শাহি স্নান সম্পন্ন হবে মাঘী পূর্ণিমায় ১২ ফেব্রুয়ারি

    ষষ্ঠ শাহি স্নান (Maha Kumbh 2025) অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মহা শিবরাত্রি

    প্রথম স্নান করবেন নাগা সন্ন্যাসীরা (Maha Kumbh 2025)

    মহাকুম্ভে শাহি স্নানের বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। মহাকুম্ভে প্রথমে স্নান করেন নাগা সন্ন্যাসীরা। বহু শতাব্দী ধরে এই প্রথা চলে আসছে। অন্যদিকে, সাংসারিক মানুষদের জন্য মহাকুম্ভ স্নানের নিয়ম কিছুটা আলাদা। ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, নাগা সাধুদের স্নানের পরই গৃহস্থদের স্নান করা উচিত। স্নান করার সময় ৫টি ডুব দিতে বলছেন বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। আবার স্নানের সময় সাবান বা শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের উপাদান জলকে দূষিত করে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভে শাহিস্নান করার পরে দান করতে হয় এবং এর পরেই হনুমানজি ও বাসুকিনাগের দর্শন করা উচিত। মনে করা হয় স্নানের পরে যদি কোনও ভক্ত, এই দুটির মধ্যে একটি মন্দিরেও না যান তাহলে তাঁর স্নানকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    মহাকুম্ভে ভক্তদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত

    মহাকুম্ভে শামিল হওয়া ভক্তদের শুদ্ধ ও পবিত্র থাকা উচিত এবং সাধুদের স্নান করার পরেই সাধারণ মানুষদের স্নানে নামা উচিত।
     
    মহাকুম্ভের স্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেটা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
     
    মহাকুম্ভ মেলায় অহিংসা নীতি মেনে চলা প্রয়োজন।
     
    মহাকুম্ভে যে কোনও মাদকদ্রব্য সেবন করাও নিষেধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মাইকেল, বর্তমানে বাবা মোক্ষপুরী, সামিল মহাকুম্ভে

    Maha Kumbh 2025: মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মাইকেল, বর্তমানে বাবা মোক্ষপুরী, সামিল মহাকুম্ভে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) যোগ দিতে প্রয়াগরাজে ব্যাপক ভিড় সাধু-সন্তদের। এর মধ্যেই সবার নজর কাড়ছেন বাবা মোক্ষপুরী। বাবা মোক্ষপুরীর (Baba Mokshpuri) আসল নাম মাইকেল। আদতে তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। জানা যায়, এক সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যও ছিলেন তিনি! বর্তমানে নিজের জীবন সনাতন ধর্মের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি জুনা আখারার অন্যতম সদস্য। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মের প্রচারই এখন তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য।

    বাবা মোক্ষপুরী কী বললেন?

    মার্কিন সেনা থেকে একেবারে হিন্দু সাধু (Maha Kumbh 2025)? কীভাবে সম্ভব হল এমন যাত্রা? এনিয়ে বাবা মোক্ষপুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন আমিও আর পাঁচজনের মতো অতি সাধারণ ছিলাম। আমি পরিবারের সঙ্গে, আমার স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসতাম। বেড়াতে ভালোবাসতাম। আমি সেনাবাহিনীতেও যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু, তারপর একদিন আমি অনুভব করলাম, জীবনে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আর তখন থেকেই শুরু হল আমার মুক্তিলাভের পথ অনুসন্ধানের প্রয়াস।’’ জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে প্রথমবার ভারতে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলেও।

    ছেলের মৃত্যু ঘুরিয়ে দেয় জীবনের মোড় (Maha Kumbh 2025)

    মাইকেল থেকে বাবা মোক্ষপুরী (Maha Kumbh 2025) হয়ে যাওয়া সাধু বলেন, ‘‘সেই ভারতে আসাটা আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। সেই সময়েই আমি প্রথম যোগাভ্যাস ও ধ্যান সম্পর্কে অবগত হই। প্রথমবার জানতে পারি সনাতন ধর্মের কথা। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। আর এভাবেই আমার জীবনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয়। এখন আমার মনে হয়, আসলে ওটাই ছিল আমার প্রতি ঈশ্বরের ডাক।’’ তবে মাইকেলের জীবনে ঘটেছিল অতি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তাঁর একমাত্র সন্তানের অকালমৃত্যু হয়। এই ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ওই মর্মান্তিক ঘটনাটাই আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল, জীবনে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সেই সময়ে আমি যোগাভ্যাস এবং ধ্যান করা শুরু করি। তাতে কঠিন সময়টা পার করতে কিছুটা সুবিধা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। চলবে দেড় মাস (১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি)। প্রশাসনের অনুমান, ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত ভিড় করতে করতে পারেন মেলাকে কেন্দ্র করে। মহাকুম্ভকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে তাঁবু থেকে অস্থায়ী শৌচালয় এমনকী, মহিলাকে পোশাক পরিবর্তনের জন্য চেঞ্জিং রুমও তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা (Maha Kumbh 2025) 

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১২ কিলোমিটার অস্থায়ী ঘাট। সেখানেই পবিত্র ডুব দেবেন ভক্তরা। ৪০০ কিলোমিটার অস্থায়ী পায়ে চলার রাস্তাও নির্মাণ করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মহাকুম্ভের ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষের চলার ক্ষেত্রে (Prayagraj) কোনওরকম সমস্যা না হয়।

    ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি (Maha Kumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভকে (Maha Kumbh 2025) সর্বাঙ্গসুন্দর করতে থাকছে আরও ব্যবস্থাপনা। ইতিমধ্যে ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। ২০১টি রাস্তা, অলি-গলিগুলিকেও সংস্কার করা হয়েছে। ১৮০০ হেক্টর জমির ওপর পার্কিং তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয়

    মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসা ভক্তদের জন্য ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৪৪টি চেঞ্জিং রুম। এরসঙ্গে থাকছে ২৫ হাজার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী টানা ৪৫ দিন ধরেই কাজ করবেন। মেলা প্রাঙ্গণকে আলোকিত করতে ৬৯ হাজার এলইডি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীদের প্রয়াগরাজে পৌঁছতে কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য ৩ হাজার স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও

    অন্যদিকে, ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 249: “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই, দেখো যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না”

    Ramakrishna 249: “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই, দেখো যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মাইরি বলছি, আমার যদি একটুও অভিমান হয়।

    মণি—গ্রীস দেশে একটি লোক ছিলেন, তাঁহার নাম সক্রেটিস। দৈববাণী হয়েছিল যে, সকল লোকের মধ্যে তিনি জ্ঞানী। সে ব্যক্তি অবাক্‌ হয়ে গেল। তখন নির্জনে অনেকক্ষণ চিন্তা করে বুঝতে পারলে। তখন সে বন্ধুদের বললে, আমিই কেবল বুঝেছি যে, আমি কিছুই জানি না। কিন্তু অন্যান্য সকল লোকে বলছে, “আমাদের বেশ জ্ঞান হয়েছে।” কিন্তু বস্তুতঃ সকলেই অজ্ঞান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি এক-একবার ভাবি যে, আমি কি জানি যে এত লোকে আসে! বৈষ্ণবচরণ খুব পণ্ডিত ছিল। সে বলত, তুমি যে-সব কথা বল সব শাস্ত্রে পাওয়া যায়, তবে তোমার কাছে কেন আসি জানো? তোমার মুখে সেইগুলি শুনতে আসি।

    মণি—সব কথা শাস্ত্রের সঙ্গে মেলে। নবদ্বীপ গোস্বামীও সেদিন পেনেটীতে সেই কথা বলছিলেন। আপনি বললেন যে, “গীতা গীতা” বলতে বলতে “ত্যাগী ত্যাগী” হয়ে যায়। বস্তুতঃ তাগী হয়, কিন্তু নবদ্বীপ গোস্বামী বললেন, ‘তাগী’ মানেও যা ‘ত্যাগী’ মানেও তা, তগ্‌ ধাতু একটা আছে তাই থেকে ‘তাগী’ হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার সঙ্গে কি আর কারু মেলে? কোন পণ্ডিত, কি সাধুর সঙ্গে?

    মণি—আপনাকে ঈশ্বর স্বয়ং হাতে গড়েছেন। অন্য লোকদের কলে ফেলে তয়ের করেছেন — যেমন আইন অনুসারে সব সৃষ্টি হচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—(সহাস্যে রামলালাদিকে)—ওরে, বলে কিরে!

    ঠাকুরের হাস্য আর থামে না। অবশেষে বলিতেছেন, মাইরি বলছি, আমার যদি একটুও অভিমান হয়।

    মণি—বিদ্যাতে একটা উপকার হয়, এইটি বোধ হয় যে, আমি কিছু জানি না, আর আমি কিছুই নই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক ঠিক। আমি কিছুই নই!—আমি কিছুই নই!—আচ্ছা, তোমার ইংরেজী জ্যোতিষে বিশ্বাস আছে (Kathamrita)?

    মণি—ওদের নিয়ম অনুসারে নূতন আবিষ্ক্রিয়া (Discovery) হতে পারে, ইউরেনাস (Uranus) গ্রহের এলোমেলো চলন দেখে দূরবীন দিয়ে সন্ধান করে দেখলে যে, নূতন একটি গ্রহ (Neptune) জ্বলজ্বল করছে। আবার গ্রহণ গণনা হতে পারে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা হয়ে বটে।

    গাড়ি চলিতেছে,—প্রায় অধরের বাড়ির নিকট আসিল। ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন:

    “সত্যেতে থাকবে, তাহলেই ইশ্বরলাভ হবে।”

    মণি—আর-একটি কথা আপনি নবদ্বীপ গোস্বামীকে বলেছিলেন (Kathamrita), “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই। দেখো, যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না!—আমি তোমায় চাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ওইটি আন্তরিক বলতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Case: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Saline Case: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Case) তোলপাড় রাজ্য। প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যুর খবরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ রোগীর পরিবার-পরিজনদের মধ্যে জমেছে ব্যাপক ক্ষোভ। বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেক রোগীর পরিবারই। এনিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপিও। বুধবার জন্ম নিয়ে শুক্রবারই মাতৃহারা হয়ে পড়ে সদ্যোজাত। জানা গিয়েছে, আরও চারজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মেদিনীপুরে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রবিবার রাতে, তাঁদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।

    এই আবহে মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি এনেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির তো কেউ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না, এমন কটাক্ষও করেন শুভেন্দু। এপ্রসঙ্গে তাঁর নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জাল ওষুধ কারবারীদের টাকার মোটা অংশ কালীঘাটে পৌঁছে যায় বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। এই কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সের এফআইআর হওয়া উচিত বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।

    স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Case)  ইডি তদন্ত চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা  

    স্যালাইনকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কেউ সরকারি হাসপাতালে যায় না, বেসরকারি হাসপাতালে যায়। (চিকিৎসা করাতে) সিঙ্গাপুরে যায়, আমেরিকায় যায়। এক কোটি টাকা ডিপোজিট রাখতে হয় এমন জায়গায় যায় চিকিৎসা করতে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির ওখানে চিকিৎসা হয়। আমাদের সাধারণ মানুষকে মারছে।’’ একইসঙ্গে তিনি স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে ইডির তদন্তের দাবিও তুলেছেন। অতীতে একাধিকবার নিজের চিকিৎসা করাতে বিদেশে যেতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন শুভেন্দু তাঁকেই তোপ দাগলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    রাজ্যের স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি ট্যুইট (বর্তমানে এক্স মাধ্যম) করার পরে নির্দেশিকা (Saline Case) দিয়েছে। ১৩ জনের কমিটি যেটা গিয়েছিল তারা রিপোর্ট দিয়েছে সন্ধ্যার পরে। অনেক কিছু হবে। ইডি যাতে এই তদন্তটা নেয়, সেটা আমরা দাবি করেছি। আমি নাড্ডাজিকে বলেছি, ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল (DCGI) আছে। তারা এসে ব্যবস্থা নিক। নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নিতে হবে। ব্ল্যাকলিস্টেড কোম্পানিকে দিয়ে টেন্ডার করিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত শনিবারই নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    কালীঘাটের সঙ্গে টাকার লেনদেনের অভিযোগ বিরোধী দলনেতার  

    কালীঘাটের সঙ্গে টাকার লেনদেন (Saline Case) হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর হলেন বহরমপুরের মুকুল ঘোষ।  এই মুকুল ঘোষের সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে।’’

    কয়েকশো ভুয়ো ওষুধ কোম্পানি আছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর

    নিজের এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমার কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর আছে যে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামক কোম্পানিটির ডিরেক্টরদের নামে কয়েকশো ভুয়ো কোম্পানি রয়েছে। তাদের ফার্মের ওপর এত গুরুতর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে (Saline Case)  নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করার অনুমতি পায়?’’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের উচিত বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা 

    শুভেন্দু অধিকারীর মতে, এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে বড় মাথার যোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার তো মনে হয় স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সের এফআইআর হওয়া উচিত। কারণ, ২০২২ সালে যে কোম্পানির মেয়াদ শেষ, নারায়ণ স্বরূপ নিগম কী করে ৬ মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন এই কোম্পানিকে? এক্সচেঞ্জ অফ মানি। সিঙ্গল অ্যাজেন্ডা টু আর্ন মানি, টু কালেক্ট মানি। অনলি থিং ইজ মানি। টিএমসি মিনস মানি মানি মানি। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাজিকে অনুরোধ করেছি যাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার কমিশনার এই বিষয়ে অ্যাকশন নেন। আমি মনে করি, ইডির এই কেসটা নিয়ে নেওয়া উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজে শুরু হল মহাকুম্ভ, পৌষ পূর্ণিমায় ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব ভক্তদের

    Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজে শুরু হল মহাকুম্ভ, পৌষ পূর্ণিমায় ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল মহাকুম্ভ। প্রয়াগরাজে প্রথম শাহি স্নান (Shahi Snan) সম্পন্ন হল সোমবার। এদিন ব্রাহ্মমুহূর্তে ভোর ৩টে ২০ নাগাদ পুণ্যার্থীরা ডুব দেন ত্রিবেণী সঙ্গমে- গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর (পৌরাণিক) মিলনস্থলে। পবিত্র উৎসবে মেতে ওঠেন ভক্তরা। ২০২৫ সালের এই কুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) ৪০ কোটি ভক্তের সমাবেশ হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। যার শুরুটা হল সোমবার থেকেই।

    চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (Maha Kumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ উৎসব (Maha Kumbh 2025) শুরু হল ১৩ জানুয়ারি থেকে, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উল্লেখ্য, কুম্ভমেলা প্রতি ৪ বছর অন্তর হয়। প্রতি ৬ বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভমেলা। প্রতি ১২ বছরে একবার হয় পূর্ণকুম্ভ মেলা। আর প্রতি ১২টি পূর্ণকুম্ভ অর্থাৎ ১৪৪ বছর পর আসে একটি মহাকুম্ভ মেলা। এবার পূর্ণ কুম্ভের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে মহাকুম্ভও। ভারতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, পরম্পরা, আধ্যাত্মিকতা প্রতিফলিত হয় এই মহাকুম্ভের সমাবেশে। মহাকুম্ভের যে ভিড়ের অনুমান প্রশাসনের তরফ থেকে করা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার যে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হতে চলেছে এটি।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    এই কুম্ভ মেলাকে (Maha Kumbh 2025) কেন্দ্র করে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বক্ষণের জন্য মোতায়ন রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা বোট নিয়েও টহল দিচ্ছে, যাতে শাহি স্নানে কোনও রকমের বিপত্তি না ঘটে। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশও নিজেদের কাজ করছে, যাতে মহাকুম্ভে আসার পথে ভক্তদের কোনও অসুবিধা না হয়। মহাকুম্ভের যে জায়গাগুলিতে শাহি স্নান হবে সেখানে জলের ভিতরে চলতে পারে এমন ড্রোনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক। অন্যদিকে, ১২০ মিটার ওপরে উড়তে পারে এমন ড্রোনও মহাকুম্ভ মেলাকে সর্বক্ষণ পাখির চোখে দেখছে। এর পাশাপাশি কোনও ভক্ত অসুস্থ হয়ে গেলে সেখানকার জন্য একাধিক স্বাস্থ্য শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। ড্রোন ছাড়াও আড়াই হাজারের বেশি ক্যামেরা সর্বক্ষণ তদারকি করছে গোটা কুম্ভ মেলাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 248: “তাঁর চৈতন্যে জগতের চৈতন্য। এক-একবার দেখি, ছোট ছোট মাছের ভিতর সেই চৈতন্য কিলবিল করছে!”

    Ramakrishna 248: “তাঁর চৈতন্যে জগতের চৈতন্য। এক-একবার দেখি, ছোট ছোট মাছের ভিতর সেই চৈতন্য কিলবিল করছে!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    “তাঁর কাণ্ড কি কিছু বুঝা যায় গা! কাছে তিনি — অথচ বোঝবার জো নাই, বলরাম কৃষ্ণকে ভগবান বলে জানতেন না।”

    মণি—আজ্ঞা হাঁ! আপনি ভীষ্মদেবের কথা যেমন বলেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, হাঁ, কি বলেছিলাম বল দেখি।

    মণি—ভীষ্মদেব শরশয্যায় কাঁদছিলেন, পাণ্ডবেরা শ্রীকৃষ্ণকে বললেন, ভাই, একি আশ্চর্য! পিতামহ এত জ্ঞানী, অথচ মৃত্যু ভেবে কাঁদছেন! শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ওঁকে জিজ্ঞাসা কর না, কেন কাঁদছেন! ভীষ্মদেব বললেন, এই ভেবে কাঁদছি যে, ভগবানের কার্য কিছুই বুঝতে পারলাম না! হে কৃষ্ণ, তুমি এই পাণ্ডবদের সঙ্গে সঙ্গে ফিরছ, পদে পদে রক্ষা করছ, তবু এদের বিপদের শেষ নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর মায়াতে সব ঢেকে রেখেছেন — কিছু জানতে দেন না। কামিনী-কাঞ্চন মায়া। এই মায়াকে সরিয়ে যে তাঁকে দর্শন করে সেই তাঁকে দেখতে পায়। একজনকে বোঝাতে বোঝাতে (ঈশ্বর একটি আশ্চর্য ব্যাপার) দেখালেন, হঠাৎ সামনে দেখলাম, দেশের (কামারপুকুরের) একটি পুকুর, আর-একজন লোক পানা সরিয়ে যেন জলপান করলে। জলটি স্ফটিকের মতো। দেখালে যে, সেই সচ্চিদানন্দ মায়ারূপ পানাতে ঢাকা,—যে সরিয়ে জল খায় সেই পায়।

    “শুন, তোমায় অতি গুহ্য কথা বলছি! ঝাউতলার দিকে বাহ্যে করতে করতে দেখলাম—চোর কুঠরির দরজার মতো একটা সামনে, কুঠরির ভিতর কি আছে দেখতে পাচ্ছি না। আমি নরুন দিয়ে ছেঁদা করতে লাগলাম, কিন্তু পারলুম না। ছেঁদা করি কিন্তু আবার পুরে আসে! তারপর একবার এতখানি ছেঁদা হল!”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এই কথা বলিয়া মৌনাবলম্বন করিলেন। এইবার আবার কথা কহিতেছেন, “এ-সব বড় উঁচু কথা—ওই দেখ আমার মুখ কে যেন চেপে চেপে ধরছে!

    “যোনিতে বাস স্বচক্ষে দেখলাম (Kathamrita)!—কুকুর-কুক্কুরীর মৈথুন সময়ে দেখেছিলাম।

    “তাঁর চৈতন্যে জগতের চৈতন্য। এক-একবার দেখি, ছোট ছোট মাছের ভিতর সেই চৈতন্য কিলবিল করছে!”

    গাড়ি শোভাববাজারের চৌমাথায় দরমাহাটার নিকট উপস্থিত হইল। ঠাকুর আবার বলিতেছেন:

    “এক-একবার দেখি বরষায় যেরূপ পৃথিবী জরে থাকে,—সেইরূপ এই চৈতন্যতে (Kathamrita) জগৎ জরে রয়েছে।

    “কিন্তু এত তো দেখা হচ্ছে, আমার কিন্তু অভিমান হয় না।”

    মণি (সহাস্যে)—আপনার আবার অভিমান!

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) ফের নিশানা করা হল অসম রাইফেলসকে। শনিবারই মণিপুরের কামজং জেলায় অসম রাইফেলসের একটি ঘাঁটিতে ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, শনিবার হংবেং এলাকার নাগা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। সেই সময় কাঠবোঝাই গাড়িটি আটকে দেন অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) জওয়ানরা। তখন থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

    গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু

    ঘটনার জেরে মণিপুরের (Manipur Violence) কাংপোকপি জেলার গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। জেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ থাকবে। দিন কয়েক আগেই কাংকোপকি জেলায় পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, তারপরে ফের সামনে এল এমন ঘটনা। এই ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা এবং সিআরপিএফ আধিকারিকেরা।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর 

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur Violence)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share