Tag: madhyom news

madhyom news

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর সোনমার্গ সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন ওমর, ‘অপেক্ষায় আছি’, বললেন মোদি

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর সোনমার্গ সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন ওমর, ‘অপেক্ষায় আছি’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উদ্বোধন করবেন শ্রীনগর-লাদাখ জাতীয় সড়ক প্রকল্পের আওতায় সোনমার্গের জেডমোরহ সুড়ঙ্গের। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। চারিদিকে সাজোসাজো রব। প্রস্তুতি-পর্ব খতিয়ে দেখতে ময়দানে স্বয়ং কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কাশ্মীরে চলা উন্নয়নকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন পোস্টের উত্তরও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, আকূল আগ্রহে তিনি অপেক্ষা করছেন সোনমার্গে যাওয়ার জন্য।

    মোদির (PM Modi) এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট 

    এক্স মাধ্যমে ওমর আবদুল্লার পোস্ট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘সোনমার্গ যাওয়ার জন্য আকূল আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আর আপনি এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটনের বিষয়ে একদম ঠিক দিকটিই তুলে ধরেছেন।’’ প্রসঙ্গত, তিন মাস আগেই এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গিয়েছে। অবশেষে এবার হতে চলেছে উদ্বোধন। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের আরও একটি অন্যতম সুড়ঙ্গ প্রকল্প জোজিলা টানেল তৈরি হয়ে যাবে আগামী বছরের মধ্যেই।

    কেন্দ্রের প্রকল্পে উন্নয়ন হবে এলাকার, মনে করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, এদিনই সোনমার্গের জেডমোরহ সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছে যান ওমর। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আগমনের প্রস্তুতি কেমন চলছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে এক্স হ্যান্ডলে তাঁর সোনমার্গের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে ওমর লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সোনমার্গ কতটা তৈরি তা খতিয়ে দেখতেই সেখানে গিয়েছিলাম। জেডমোরহ সুড়ঙ্গের উদ্বোধনের মাধ্যমে সোনমার্গে গোটা বছরই এবার ভিড় বাড়বে পর্যটকদের। উন্নয়ন হবে এলাকার। যার জেরে আর স্থানীয় মানুষজনদেরও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে না। এছাড়াও, এবার কার্গিল ও লেহ-তে যাওয়ার ঝক্কি অনেকটাই কমবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের তরফে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রবিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে এনিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকে। ভারতের  প্রতিনিধি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump) 

    প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি সোমবার আমেরিকার ৪৭-তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওই দিনই আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডি ভ্যান্স। জানা গিয়েছে, এই সফরে আমরিকার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলবেন জয়শঙ্কর। এছাড়া, এই কর্মসূচিতে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গেও বাক্যবিনিময়ও করবেন তিনি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিও।

    মোদিকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, প্রকাশ্যে একাধিকবার মোদিকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের সামনে শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমন্ত্রণ পেয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলেই, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সহ  অন্যনান্যরা। ওয়াশিংটন ডিসি-তে এই অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গিয়েছে। তার পরে প্রেসিডেন্টের কক্ষে গিয়ে রীতি মেনে কিছু এগজিকিউটিভ অর্ডারে সই করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে স্ট্যাটুটায়ারি হলে আয়োজন করা হবে মধ্যাহ্নভোজের। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের। ওইদিনই পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউ ধরে চলবে কুচকাওয়াজ। শেষে ‘ইনগরাল বলস’ দিয়ে শেষ হবে গোটা অনুষ্ঠান। তারপরেই সরকারি ভাবে কাজ শুরু করবে নতুন প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের আগমনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই ভালো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Masterda Surya Sen: আজ ‘মাস্টারদা’র আত্মবলিদান দিবস, ১২ জানুয়ারি ফাঁসি হয় বিপ্লবী সূর্য সেনের

    Masterda Surya Sen: আজ ‘মাস্টারদা’র আত্মবলিদান দিবস, ১২ জানুয়ারি ফাঁসি হয় বিপ্লবী সূর্য সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মাস্টারদা (Masterda Surya Sen) সূর্য সেনের আত্মবলিদান দিবস।  ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি তাঁর ‘ফাঁসি’ হয়। ফাঁসির আগে মাস্টারদার ওপর নৃশংস অত্যাচার চালায় ব্রিটিশ পুলিশ। পিটিয়ে হাতুড়ি দিয়ে সূর্য সেনের দাঁত ও নখ ভাঙা হয়। গোটা শরীরের হাড়পাঁজরা টুকরো টুকরো করা হয়। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। মৃত্যু ঘোষণার পরে সূর্য সেনের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিয়ে সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়নি।

    জন্ম ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ (Masterda Surya Sen) 

    জানা যায়, বিপ্লবী সূর্য সেনের (Masterda Surya Sen) আসল নাম সূর্যকুমার সেন। ডাকনাম ছিল কালু। ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর মায়ের নাম ছিল শশীবালা সেন এবং পিতার নাম রাজমণি সেন। জানা যায়, পিতা-মাতার অকালপ্রয়াণের পর কাকা গৌরমণি সেনের কাছে বড় হন মাস্টার দা সূর্য সেন। দয়াময়ী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, নন্দনকাননের ন্যাশনাল হাইস্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ ও পরে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে তিনি পড়তে আসেন বলে জানা যায়। বহরমপুর থেকে থেকে বিএ পাশ করে চট্টগ্রামে (Chittagong) ফিরে ন্যাশনাল হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।

    মাথার দাম ঘোষণা করা হয় ১০ হাজার

    পরে দেওয়ানবাজারে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এ সময় থেকেই বিপ্লবীদলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বাড়তে থাকে। তখনই তিনি হয়ে ওঠেন ‘মাস্টারদা’ (Masterda Surya Sen)। ইংরেজ শাসকের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় আজও যা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। ব্রিটিশদের ত্রাস মাস্টারদার (Masterda Surya Sen) মাথার দাম প্রথমে ৫০০০ টাকা এবং পরবর্তীতে ১০,০০০ টাকা ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, গৈরলা গ্রামে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকাকালীন তাঁকে ধরে ব্রিটিশ পুলিশ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: মহাকাশে দুই উপগ্রহের হ্যান্ডশেক! ইসরোর ‘স্পেস ডকিং’ এগোল আরও একধাপ

    ISRO: মহাকাশে দুই উপগ্রহের হ্যান্ডশেক! ইসরোর ‘স্পেস ডকিং’ এগোল আরও একধাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে দুটি কৃত্রিম উপগ্রহকে (Satellite) হ্যান্ডশেক করাতে চায় ইসরো (ISRO)। এক্ষেত্রে ‘স্পেস ডকিং’ পরীক্ষা করানো হয়। আজ রবিবার ভোরে সেই পরীক্ষাতে আরও এক ধাপ এগিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। দুটি উপগ্রহকে তিন মিটার পর্যন্ত কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পর ফের আবার তাদের পিছিয়ে আনা হয়। ইসরো জানিয়েছে, রবিবারের তথ্য বিশ্লেষণের পরে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্পেস ডকিংয়ের পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা ১৫ মিটার এবং তিন মিটার পর্যন্ত সফল হয়েছে। তারপর ফের আবার সেগুলিকে নিরাপদ দূরত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরও তথ্য বিশ্লেষণের পর স্পেস ডকিং প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই ডকিং প্রক্রিয়া শুরু হয় (ISRO)
     
    জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই ডকিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে (ISRO) নিয়ে যাওয়া হয় ১৫ মিটার ব্যবধান পর্যন্ত। তারপর আরও কাছাকাছি এগিয়ে যায় তারা। ইসরোর (Satellite)  তরফে জানানো হয়েছে, দু’টি উপগ্রহের মধ্যে যখন দূরত্ব তিন মিটার হয়, তখনই তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কী এই স্পেস ডকিং?

    ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে জানানো হয়েছে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহ স্পেডেক্স ১ (চেজার) এবং স্পেডেক্স ২ (টার্গেট) একই গতিবেগে ছুটবে। দূরত্বও একই পাড়ি দেবে তারা। এরপর মহাকাশে একই উচ্চতায় পৌঁছবে তারা। ৪৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় একই বিন্দুতে একত্রিত হবে তারা। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার নাম স্পেস ডকিং।

    গত ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি-সি৬০ রকেট উৎক্ষেপণ করে ইসরো

    ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই পরীক্ষার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের (ISRO) পিএসএলভি-সি৬০ রকেট উৎক্ষেপণ করে ইসরো। ওই রকেটের প্রধান পেলোড হিসেবেই পাঠানো হয়েছিল স্পেডেক্স ১ এবং ২-কে। জানা গিয়েছে, ২৪টি সেকেন্ডারি পেলোডও পাঠানো হয়েছিল সেসময়। পিএসএলভি-সি৬০ মিশনের প্রধান রয়েছেন জয়কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেই লক্ষ্যপূরণের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল এই স্পেস ডকিং। স্পেস ডকিং সফল হলে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে ইসরো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Expired Saline: স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুরে মৃত প্রসূতি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    Expired Saline: স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুরে মৃত প্রসূতি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় (Expired Saline) মৃত্যু প্রসূতির, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও চারজন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একের পর এক রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠন। মমতা জমানার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে তোপ দেগেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। চিকিৎসা পরিকাঠামোয় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তারা।

    তোপ বিজেপির

    দলের এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেখানে লেখা হয়েছে- ‘‘মমতা জমানার লজ্জাজনক বেহাল অবস্থা সামনে এসেছে। একজন গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে (Expired Saline)। আরও কয়েকজন তাঁদের জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। মায়েদের জীবনের বিনিময়ে এটাকেই কি উন্নয়ন বলে? এমন গাফিলতির কারণে হাসপাতালগুলিই মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।’’

    মৃত মামনি রুইদাস (Expired Saline)

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিম্নমানের স‌্যালাইন ও ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে রোগীদের। স‌্যালাইনের বোতলে ছত্রাকও (Expired Saline) মজুত ছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। গত শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুইদাস(২০) নামে এক প্রসূতি (Pregnant Woman Dies)। জানা গিয়েছে, বুধবারই এক সন্তানের জন্ম দেন মামনিদেবী। তারপরেই তাঁর অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। শুক্রবারই মারা যান তিনি। জানা যাচ্ছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের কারণে অসুস্থ হয়েছেন আরও চারজন, তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গাড়ি করিয়া দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ি হইতে বাহির হইয়া কলিকাতা অভিমুখে আসিতেছেন। সঙ্গে রামলাল ও দু-একটি ভক্ত। ফটক হইতে বহির্গত হইয়া দেখিলেন চারিটি ফজলি আম হাতে করিয়া মণি পদব্রজে আসিতেছেন। মণিকে দেখিয়া গাড়ি থামাইতে বলিলেন। মণি গাড়ির উপর মাথা রাখিয়া প্রণাম করিলেন।

    শনিবার, ২১শে জুলাই, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, (৬ই শ্রাবণ), আষাঢ় কৃষ্ণা প্রতিপদ, বেলা চারিটা। ঠাকুর অধরের বাড়ি যাইবেন, তৎপরে শ্রীযুক্ত যদু মল্লিকের বাটী, সর্বশেষে ৺খেলাৎ ঘোষের বাটী যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণির প্রতি, সহাস্যে)—তুমিও এস না—আমরা অধরের বাড়ি যাচ্ছি।

    মণি যে আজ্ঞা বলিয়া গাড়িতে উঠিলেন।

    মণি ইংরেজী পড়িয়াছেন, তাই সংস্কার মানিতেন না, কিন্তু কয়েকদিন হইল ঠাকুরের নিকটে স্বীকার করিয়া গিয়াছিলেন যে, অধরের সংস্কার ছিল তাই তিনি অত তাঁহাকে ভক্তি করেন। বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই। তাই ওই কথা বলিবার জন্যই আজ ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা, অধরকে তোমার কিরূপ মনে হয়?

    মণি—আজ্ঞে, তাঁর খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অধরও তোমার খুব সুখ্যাতি করে।

    মণি কিয়ৎক্ষণ চুপ (Kathamrita) করিয়া আছেন; এইবার পূর্বজন্মের কথা উত্থাপন করিতেছেন।

    কিছু বুঝা যায় না—অতি গুহ্যকথা 

    মণি—আমার ‘পূর্বজন্ম’ ও ‘সংস্কার’ এ-সব তাতে তেমন বিশ্বাস নাই; এতে কি আমার ভক্তির কিছু হানি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে এই বিশ্বাস থাকলেই হল; আমি যা ভাবছি — তাই সত্য; আর সকলের মত মিথ্যা; এরূপ ভাব আসতে দিও না। তারপর তিনিই বুঝিয়ে দিবেন।

    “তাঁর কাণ্ড মানুষে কি বুঝবে? অনন্ত কাণ্ড! তাই আমি ও-সব বুঝতে আদপে চেষ্টা করি না। শুনে রেখেছি তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে। তাই ও-সব চিন্তা না করে কেবল তাঁরই চিন্তা করি। হনুমানকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি, হনুমান বলেছিল (Kathamrita), ‘আমি তিথি নক্ষত্র জানি না, কেবল এক রাম চিন্তা করি।’

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UGC: দেশের ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল ইউজিসি, রয়েছে রাজ্যের দুই

    UGC: দেশের ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল ইউজিসি, রয়েছে রাজ্যের দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি (UGC) সম্প্রতি ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ২টি। দুটির অবস্থানই কলকাতায়। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইউজিসির (UGC) প্রকাশ করা এই তালিকায় থাকা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি করে যে, সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে নিবন্ধীত নয় বলেই জানিয়েছে ইউজিসি। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি তো করায় কিন্তু নিবন্ধন না থাকার কারণে ভবিষ্যতে চাকরিক্ষেত্রে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। ইউজিসির নিয়মানুযায়ী নিবন্ধন পেতে যে ধরনের অ্যাকাডেমিক ও পরিকাঠামোগত মানদণ্ড থাকা উচিত তা নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (Fake University)।

    ভর্তির আগে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে বলেছে ইউজিসি (UGC)

    এই ধরনের ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (UGC) নিজেদের মতোই চলে। ইউজিসির নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে এরা। এর ফলে বেশ কিছু পড়ুয়ার সময় ও অর্থ দুই-ই অপব্যয় হয় এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে। তাই ইউজিসি বারবার সতর্ক করেছে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের। ইউজিসি পড়ুয়াদের আবেদন জানিয়েছে, কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য দেখে নেওয়ার। ভর্তি হওয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা তাও যেন যাচাই করতে বলা হয়েছে। ইউজিসি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইউজিসি আইন ১৯৫৬-এর অধীনে নিবন্ধীত সেগুলিই কেবলমাত্র ভারতে ডিগ্রি দিতে পারে। 

    কোন কোন প্রতিষ্ঠান (Fake University) রয়েছে এই তালিকায়?

    ১) ক্রাইস্ট নিউ টেস্টামেন্ট ডিমড ইউনিভার্সিটি, গুন্টুর

    ২) বাইবল ওপেন ইউনিভার্সিটি অফ ইন্ডিয়া, ভাইজাগ

    ৩) এআইআইপিএইচএস গভর্নমেন্ট ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৪) কমার্শিয়াল ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, দিল্লি

    ৫) ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৬) ভোকেশনাল ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৭) এডিআর সেন্ট্রিক জুরিসডিকাল ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৮) আইআইএসই, দিল্লি

    ৯) বিশ্বকর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট, দিল্লি

    ১০) আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি

    ১১) বড়গণভি সরকার ওয়ার্ল্ড ওপেন ইউনিভার্সিটি, বেলগাঁও

    ১২) সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটি, কেরল

    ১৩) আইআইইউপিএম, কোঝিকোড়

    ১৪) রাজা আরাবিক ইউনিভার্সিটি, নাগপুর

    ১৫) শ্রী বোধি অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন, পুদুচেরি

    ১৬) গান্ধী হিন্দি বিদ্যাপীঠ, প্রয়াগ, এলাহাবাদ

    ১৭) নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড়

    ১৮) ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ, লখনউ

    ১৯) মহামায়া টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, নয়ডা

    ২০) ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন, কলকাতা

    ২১) ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ, কলকাতা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ramlala Pran Pratishtha) প্রথম বর্ষ পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পৌষ মাসের শুক্ল দ্বাদশীতে হয়েছিল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha)। যাকে কুর্ম দ্বাদশীও বলে। সেই তিথি পড়েছে আজ, শনিবার। এদিন দুধ, দই, ঘি, মধু সহকারে পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হয় রামলালার। এরপর গঙ্গাজলে রামের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। জানা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৫ হাজার ভক্তকে রাম-কথা শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার বর্ষপূর্তি (Ramlala Pran Pratishtha) উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সবাইকে শুভকামনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, তপস্যা ও লড়াইয়ের পর এই মন্দির আমাদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার দিকটিই তুলে ধরে।’’‌

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ 

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ। ৬ লক্ষ বার শ্রীরামের মন্ত্রোচ্চারণ হবে এদিন। একইসঙ্গে পাঠ করা হবে রামরক্ষা স্তোত্র ও হনুমান চালিশা। শনিবার মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) একতলায় দুপুর ৩-৫টা পর্যন্ত চলবে রাগসেবা। এরপর ৬টা থেকে শুরু হবে ভজন-কীর্তন অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রামলালার (Ramlala) জন্য ৫৬ রকমের ভোগ তৈরি করা হয়েছে। রামলালার পুজো সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৫০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে অযোধ্যাকে (Ayodhya)

    প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir)। এদিনই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছেন অযোধ্যায়। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। এত ভক্তের ভিড় সামাল দিতে পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। ৫০ কুইন্টাল ফুলদিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা রাম মন্দিরকে (Ramlala Pran Pratishtha)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, বছরের পয়লা দিনে ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে প্রয়াগরাজে জড়ো হতে পারেন ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বেশ কতগুলি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে, যাতে এই মহাকুম্ভ পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে এক বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বার্তাটি হল, বিশ্বের এত বড় ইভেন্টকেও পরিবেশবান্ধব রাখা যায় এবং পরিবেশের কোনও রকমের ক্ষতি না করে, সেটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর এই লক্ষ্যেই জাপানি প্রযুক্তি (Mahakumbh 2025) ব্যবহার করে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আশেপাশে ইতিমধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ঘন অরণ্য তৈরির পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এর ফলে বিশুদ্ধ বাতাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন ভক্তরা।

    প্রসঙ্গত, যে স্থানে কুম্ভ হচ্ছে সেটি দেখভাল করে প্রয়াগরাজ পুরসভা। সেই কর্পোরেশন কুম্ভ মেলাকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলতে জাপানি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘন অরণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা অক্সিজেন ব্যাঙ্কের কাজ করবে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই প্রয়াসে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে যে সবুজায়ন হয়েছে এমনটাই নয়, এর পাশাপাশি সেখানকার বাতাসও অনেক উন্নত হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে বাতাসের গুণগত মান। এর মাধ্যমে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গোটা প্রয়াগরাজে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহাকুম্ভকে সফল করতে এটি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের একটি বড় প্রয়াস।

    যোগী সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক

    এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতও সামনে এসেছে। এমনই একজন হলেন ডক্টর এনবি সিং। যিনি এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। উদ্ভিদ বিদ্যা বিষয়ের এই অধ্যাপক সারা প্রয়াগরাজেই পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ‘গ্রিনারি গুরু’ বা ‘সবুজ গুরু’। কারণ একাধিক পদক্ষেপ তিনি করেছেন সবুজায়নের ওপর। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও অনেক কাজ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত দূষণ বাড়ছে এবং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এর কারণ হচ্ছে বনাঞ্চল ধ্বংস করে শহর গড়া।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র তাপমাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই সময়ে মেরু অঞ্চলের বরফও গলে যেতে শুরু করেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর অন্যতম কারণ হল গাছ কাটা এবং বনাঞ্চল ধ্বংস। তবে এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের অধ্যাপক ডঃ এনবি সিং মনে করেন যে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি প্রযুক্তি হল একটি দুর্দান্ত টেকনিক, যার মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত ঘন অরণ্যের বৃদ্ধি কিভাবে করা যাবে সেই উপায় বাতলে দেয় এই জাপানি টেকনিক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দিন ও রাতে তাপমাত্রার ফারাকও অনেকটাই কমে যায়, বিশেষত গ্রীষ্মকালে। জাপানি প্রযুক্তিতে বনাঞ্চল বৃদ্ধির এই পদ্ধতিতে একটি স্বাস্থ্যকর জীববৈচিত্র গড়ে ওঠে। শুধুমাত্র তাই নয়, এর পাশাপাশি মাটির গুণগত মান অনেকটা বেড়ে যায় এবং তা চাষযোগ্য হয়। একই সঙ্গে বনাঞ্চলগুলি অজস্র প্রাণী ও পাখির বাসভূমিও হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যদি বনাঞ্চল থাকে, তাহলে সেখানকার তাপমাত্রা এমনিতেই চার থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর পাশাপাশি ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে আরও একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় যা পরিবেশের পক্ষে খুবই উপযোগী।

    দশটি স্থানকে বেছে নেয় প্রয়াগরাজের প্রশাসন

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলতে এবং প্রয়াগরাজের বাতাসের গুণগত মানকে বাড়াতে সেখানকার পুরসভা শহরের দশটি স্থানকে বেছে নেয়। এখানে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ৮০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিগত দু’বছর ধরে চারা গাছ রোপন করা হয়। এই গোটা প্রকল্পের তদারকি করেন ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ সিং। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চারা গাছ রোপন করেছিলাম প্রয়াগরাজের নৈনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অঞ্চলে। বছর দুই আগে। এই প্রত্যেকটি চারাগাছই বর্তমানে দশ থেকে বারো ফুট লম্বা হয়ে উঠেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ওই জায়গাতে বর্জ্য পড়ে থাকত। প্রথমে শিল্পের বর্জ্যগুলিকে সেখান থেকে সরানো হয়। তারপরে মাটির গুণগত মান বাড়ানো হয় এবং সেখানে জৈব সার ফেলা হয়। তারপরেই বৃক্ষরোপণ করা হয়।’’ অন্যদিকে আর এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আর কে মিশ্রা বলেন, ‘‘এইভাবে বনাঞ্চল বৃদ্ধির ফলে গোটা এলাকাতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। কম জায়গার মধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলার পদ্ধতি হল জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তি। মহাকুম্ভে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এই সবুজায়নের সাক্ষী থাকবেন।’’

    বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে মিয়াওয়াকি প্রকল্প (Mahakumbh 2025) শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকে। ২০২৩-২৪ সালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রয়াগরাজের নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ৬৩টি স্থানের, ৩৪,২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণে চারা গাছ রোপনকে মাইলস্টোন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় একটি বর্জ্য এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কারণ এখানে শিল্প বর্জ্যগুলিকে ফেলা হত। কিন্তু বর্তমানে তা পরিবেশবান্ধব এবং সবুজায়নের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সবটাই হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে।

    প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার, তারও পরিবর্তন হয়েছে

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার এবং সেটিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে। জানা গিয়েছে প্রয়াগরাজের ওই বর্জ্য এলাকায় এখনও পর্যন্ত নয় হাজার বর্গমিটার জুড়ে ২৭টি আলাদা আলাদা জায়গায় ২৭ হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্থান একটি ঘন অরণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ঘন অরণ্য স্থাপনের জন্য নেওয়া হয়নি। তার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং বাতাস যাতে বিশুদ্ধ থাকে সেজন্যও নেওয়া হয়েছে। এই দুই স্থান ছাড়াও প্রয়াগরাজের আরও ১৩টি জায়গাতে জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যে অরণ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন গাছ রোপন?

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে শুধুমাত্র ঘন অরণ্যই স্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা আরও সহজ হয়েছে এবং এর পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় লোকজনেরও প্রচুর উপকার হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঔষধি গাছ, ফলের গাছও রোপন করা হয়েছে। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের আওতায় যে গাছগুলি রোপন করা হয়েছে, সেগুলি হল আম, মহুয়া, নিম, পিপল, অর্জুন, তুলসী আমলা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি গুলমোহর, ব্রাহ্মী রোপন করা হয়েছে। লেবু, বাঁশ ইত্যাদি গাছও রোপন করা হয়েছে।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার

    এবার আমরা জেনে নেব ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা হলেন, জাপানের এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তাঁর নাম আকিরা মিয়াওয়াকি। ১৯৭০ সালে তিনি এই প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিসরে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়। খুবই কাছাকাছি গাছগুলিকে রোপন করা হয় এই পদ্ধতিতে। এরফলে খুব দ্রুত তারা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও চারাগাছ রোপনের করার পরে সেটি বৃক্ষ হতে যত সময় লাগে, তার দশগুণ তাড়াতাড়িভাবে বাড়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে।  এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে বাড়ে মাটির গুণগত মান। উন্নত হয় জীববৈচিত্র্য। বনাঞ্চল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমান দিনে শহর বাড়ছে। বাড়ছে শিল্প। এরফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই আবহে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যকে সঠিক রাখতে খুবই প্রয়োজন ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ পুর কমিশনার চন্দ্রমোহন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা ঘন অরণ্য তৈরি করতে পেরেছি জাপানি প্রযুক্তির সহায়তায়।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ডকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সম্প্রতি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের স্থানকে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board) বলে দাবি করা হয়েছিল। সে নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘এটা আসলে ওয়াকফ বোর্ড নয়, এটা হল জমি মাফিয়াদের বোর্ড।’’

    যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের জমি দাবি করার জন্য মহাকুম্ভে আসবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকুম্ভে মুসলিমদের প্রবেশ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর যাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত। কিন্তু যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর আস্থা রেখে যে কোনও ধর্মের মানুষ যদি গঙ্গাস্নান করতে আসেন, মহাকুম্ভের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ যদি জমি দাবি করতে আসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা জমি

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, ‘‘কোটি কোটি ভক্ত ১২ বছর পরে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাই এখানে কোনও রকমের বৈষম্য থাকবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নানা অজুহাতে ওয়াকফ বোর্ড যে সমস্ত জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে, তার প্রতিটা জমি ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে।’’ এই সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে মহাকুম্ভ। অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ড জমি মাফিয়াদের একটি বোর্ডে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানেই ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দেখা হবে, সেখানেই তদন্ত করা হবে এবং তা সঠিক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share