Tag: madhyom news

madhyom news

  • Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল ব্যাঙ্কিং (Bank News) ও টাকা সংক্রান্ত নিয়ম (Financial Rule Change)। গ্রাহক হিসেবে আপনার জীবনেও পড়তে পারে একাধিক প্রভাব। পরিষেবা পেতে কি আরও বেশি খরচ হবে? ব্যাঙ্কিং নিয়ম থেকে আধার একাধিক ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে ৫টি নিয়ম। আসুন দেখে নিই কোন কোন নিয়ম বদলে যাচ্ছে।

    এসবিআইতে অতিরিক্ত চার্জ (Financial Rule Change)

    ১ নভেম্বর থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড (Financial Rule Change) ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। ক্রেড বা মোবিকুইক-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে করা শিক্ষা-সম্পর্কিত পেমেন্ট যেমন স্কুল বা কলেজের ফিতে ১ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। আবার যদি ১০০০ টাকার বেশি এসবিআই কার্ডের (Bank News) সঙ্গে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট লোড অর্থাৎ পেটিএম বা ফোন-পে করেন তাহলে ১ শতাংশ ফি করে চার্জ দিতে হবে।

    আধার আপডেট

    শিশুদের জন্য আধার কার্ড আপডেটের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে ইউআইডিএআই। শিশুদের জন্য বায়োমেট্রিক আপডেট এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে আধার কার্ডে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর আপডেটের জন্য খরচ হবে ৭৫ টাকা। আঙুলের ছাপ বা চোখের স্ক্যান খরচ হবে ১২৫ টাকা। তবে কোনও প্রকার নথি ডাউনলোড না করেই মৌলিক বিবরণ- যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা—আপডেট করতে করতে পারবেন।

    জিএসটিসিতে সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে জিএসটি কাঠামোতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। আগের চারটি স্ল্যাব ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ, ২৮ শতাংশ–কে আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাদ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকারক পণ্যের উপর এখন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি হারে প্রযোজ্য হবে। সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই এই সরলীকরণ করা হয়েছে।

    লকারে মনোনয়ন সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank News) জন্য মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলিকে (Financial Rule Change) সংশোধন করা হয়েছে। এখন একটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট, লকার, নিরাপদ করতে সর্বাধিক চারজন মনোনীত করা যেতে পারে। মনোনীত ব্যক্তির নাম সংযোজন করবে। ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই তহবিল থেকে সব এক্সেসকে সহজ করা হবে।

    পেনশনে সুবিধা

    তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুখবর বার্তা রয়েছে। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থায় ইউনিফায়েড পেনশন স্কিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই পরিষেবায় যে সব গ্রাহকরা সুবিধা পেতে চান, দ্রুত আবেদন করতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে কর্মীরা নিজেদের বিকল্পগুলিকে পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা করার বিশেষ সুযোগ পাবেন।

  • NCERT: স্কুলের বিজ্ঞান পাঠ্যে আয়ুর্বেদ পড়ানো হবে, জানাল এনসিইআরটি

    NCERT: স্কুলের বিজ্ঞান পাঠ্যে আয়ুর্বেদ পড়ানো হবে, জানাল এনসিইআরটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির এনসিইআরটি-র (Ayurveda Chapters) বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। ছাত্র–ছাত্রীদের প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান, চিকিৎসা ব্যবস্থা, পরম্পরা, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান দেওয়ার জন্য এই পাঠ্যক্রমকে বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর শুরু করেছে মোদি সরকার। প্রাচীন ভারতের জ্ঞান-পরম্পরা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা, ভারতীত্ববোধে পড়াশোনা করার সিলেবাস গঠন এবং তাকে  কার্যকরতে বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

    কীভাবে পড়ানো হবে (Ayurveda Chapters)?

    এনসিইআরটি শিক্ষা ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদকে (Ayurveda Chapters) অন্তর্ভুক্তি করে জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে মেয়েরা এবার থেকে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ পড়বে। আয়ুর্বেদ প্রাচীন ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য জ্ঞানকাণ্ড। সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই আয়ুর্বেদ (NCERT) চর্চা হয়ে আসছে। এবার এই জ্ঞান চর্চার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে রাখা হয়েছে। বেসরকারি একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিইআরটি একই ভাবে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষা পাঠক্রমে যথা কলেজগুলিতেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সহযোগিতার কাজে পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ রীতিমতো ভাবনা চিন্তা শুরু করে পাঠ্যক্রম তৈরির কাজে একাধিক পদক্ষেক গ্রহণ করেছে।

    কিউরিওসিটি-র তৃতীয় অধ্যায়

    এনসিইআরটির (NCERT) নির্দেশক দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেছেন, বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ যুক্ত করে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। শরীর, বিদ্যা এবং মনকে একদিকে পরিচালিত করতে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে কিউরিওসিটি-র তৃতীয় অধ্যায়ে পরিচয় হিসেবে রাখা হয়েছে। দৈনিক জীবন, ঋতকালীন পরিচর্চা, শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।

    আয়ুষ মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব বলেছিলেন, “এনসিইআরটি, ইউজিসি উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেদের কোর্স মডিউল তৈরি করতে এক যোগে কাজ করছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাস্থ্য এবং নীতিগত শিক্ষা সম্পর্কে যেন ভালো করে জানতে পারে তাই এই প্রচেষ্টা চলছে। একই ভাবে নীতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষণ পদ্ধতি এবং স্কীল ডেভলোপমেন্ট বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। আর তাই পাঠ্যে আয়ুর্বেদ (Ayurveda Chapters) যুক্ত করা হয়েছে।”

  • Ramakrishna 495: “যার জ্ঞান হয়েছে, তার নিন্দার ভয় কি? কামারের নেয়াই, কত হাতুড়ির ঘা পড়েছে, কিছুতেই কিছু হয় না”

    Ramakrishna 495: “যার জ্ঞান হয়েছে, তার নিন্দার ভয় কি? কামারের নেয়াই, কত হাতুড়ির ঘা পড়েছে, কিছুতেই কিছু হয় না”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

      প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    অবতার বা নরলীলার গুহ্য অর্থ—দ্বিজ ও পূর্বসংস্কার 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—মনুষ্যলীলা কেন জান? এর ভিতর তাঁর কথা শুনতে পাওয়া যায়। এর ভিতর তাঁর বিলাস, এর ভিতর তিনি রসাস্বাদন করেন।

    “আর সব ভক্তদের ভিতর তাঁরই একটু একটু প্রকাশ! যেমন জিনিস অনেক চুষতে চুষতে একটু রস, ফুল চুষতে চুষতে একটু মধু। (মাস্টারের প্রতি) তুমি এটা বুঝেছ?”

    মাস্টার-আজ্ঞা হাঁ, বেশ বুঝেছি।

    ঠাকুর (Ramakrishna) দ্বিজর সহিত কথা কহিতেছেন। দ্বিজর বয়স ১৫।১৬, বাপ দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ করিয়াছেন। দ্বিজ প্রায় মাস্টারের সঙ্গে আসেন। ঠাকুর তাঁহাকে স্নেহ করেন। দ্বিজ বলিতেছিলেন, বাবা তাঁকে দক্ষিণেশ্বরে আসিতে দেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (দ্বিজর প্রতি) — তোর ভাইরাও? আমাকে কি অবজ্ঞা করে?

    দ্বিজ চুপ করিয়া আছেন।

    মাস্টার—সংসারের আর দু-চার ঠোক্কর খেলে যাদের একটু-আধটু যা অবজ্ঞা আছে, চলে যাবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বিমাতা আছে, ঘা (blow) তো খাচ্ছে।

    সকলে একটু চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—একে (দ্বিজকে) পূর্ণর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিও না।

    মাস্টার—যে আজ্ঞা। (দ্বিজর প্রতি)—পেনেটিতে যেও।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তাই সব্বাইকে বলছি—একে পাঠিয়ে দিও; ওকে পাঠিয়ে দিও। (মাস্টারের প্রতি) তুমি যাবে না?

    ঠাকুর পেনেটির মহোৎসবে যাইবেন। তাই ভক্তদের সেখানে যাবার কথা বলিতেছেন।

    মাস্টার—আজ্ঞা, ইচ্ছা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—বড় নৌকা হবে, টলটল করবে না। গিরিশ ঘোষ যাবে না?

    হাঁ’ ‘না’ “Everlasting Yea— Everlasting Nay”

    ঠাকুর দ্বিজকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা এত ছোকরা আছে, এই বা আসে কেন? তুমি বল, অবশ্য আগেকার কিছু ছিল!

    মাস্টার—আজ্ঞা হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সংস্কার। আগের জন্মে কর্ম করা আছে। সরল হয়ে শেষ জন্মে। শেষ জন্মে খ্যাপাটে ভাব থাকে।

    “তবে কি জানো?—তাঁর ইচ্ছা। তঁর ‘হাঁ’তে জগতের সব হচ্চে; তঁর ‘না’তে হওয়া বন্ধ হচ্চে। মানুষের আশীর্বাদ করতে নাই কেন?

    “মানুষের ইচ্ছায় কিছু হয় না, তাঁরই ইচ্ছাতে হয়—যায়!

    “সেদিন কাপ্তেনের ওখানে গেলাম (Kathamrita)। রাস্তা দিয়ে ছোকরারা যাচ্ছে দেখলাম। তারা একরকমের। একটা ছোকরাকে দেখলাম, উনিশ-কুড়ি বছর বয়স, বাঁকা সিঁতে কাটা, শিস দিতে দিতে যাচ্ছে! কেউ যাচ্ছে বলতে বলতে, ‘নগেন্দ্র! ক্ষীরোদ!’

    “কেউ দেখি ঘোর তমো;—বাঁশী বাজাচ্ছে,—তাতেই একটু অহংকার হয়েছে। (দ্বিজর প্রতি) যার জ্ঞান হয়েছে, তার নিন্দার ভয় কি? তার কূটস্থ বুদ্ধি — কামারের নেয়াই, তার উপর কত হাতুড়ির ঘা পড়েছে, কিছুতেই কিছু হয় না।

    “আমি (অমুকের) বাপকে দেখলাম রাস্তা দিয়ে যাচ্চে।”

    মাস্টার—লোকটি বেশ সরল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিন্তু চোখ রাঙা।

  • Mumbai: ১৭ জন শিশুকে অপহরণ করে পুলিশের গুলিতে মৃত রোহিত আর্য

    Mumbai: ১৭ জন শিশুকে অপহরণ করে পুলিশের গুলিতে মৃত রোহিত আর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের (Mumbai) পোয়াই এলাকায় ১৭ জন শিশুকে অপহরণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত রোহিত আর্য পুলিশের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার কাজের অভিযানের সময় আর্য এয়ারগান ব্যবহার করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান, যার ফলে পুলিশকেও পাল্টা এক রাউন্ড গুলি চালাতে হয়। গুলিটি আর্যর (Rohit Arya) বুকের ডান দিকে লাগে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এখন জেজে হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত চলছে।

    ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের বন্দি করা হয়েছিল (Mumbai)

    টানটান উত্তেজনায় একবারে নাটকীয় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএ স্টুডিও (Mumbai) নামে একটি ছোট ফিল্ম স্টুডিওর ভেতরে। অভিযোগ যেখানেই আর্য একদল শিশুকে অডিশন দেওয়ার নাম করে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে রেখেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। যদিও শিশুদের কোনও রকম হতাহতের খবর মেলেনি। তাদেরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পোয়াই থানার একটি দল দুপুর ১:৪৫ নাগাদ একটি অপহরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু আর্য শিশুদের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন। যখন তিনি তাদের হত্যার হুমকি দেন, তখন পুলিশ জোর করে বাথরুমে প্রবেশ করে এবং ১৭ জন শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করে।

    ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন

    ঘটনার আগে, আর্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে অপহরণকেই বেছে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি (Mumbai)। তিনি বলেন, “আমি রোহিত আর্য (Rohit Arya) আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে, আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে বন্দি করে রেখেছি। সহজ দাবি, নৈতিক দাবি এবং কয়েকটি প্রশ্ন। তোমাদের সামান্যতম ভুল পদক্ষেপও আমাকে বাধ্য করবে। এই জায়গাটিকে আগুনে পুড়িয়ে দেবো।” তবে তিনি কোনও অর্থ চাননি এবং সন্ত্রাসী যে নন, সেই কথাও জানান। ঘটনাস্থল থেকে এয়ারগান এবং কিছু রাসায়নিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে এগুলি দিয়েই অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি এইরকম কাণ্ড কেন করলেন, তার তদন্ত করতে নেমেছে পুলিশ।

  • Second Moon of Earth: পৃথিবীর রয়েছে আরও এক আধা-চাঁদ! ২০৮৩ পর্যন্ত চারপাশে ঘুরবে এই প্রতিবেশী

    Second Moon of Earth: পৃথিবীর রয়েছে আরও এক আধা-চাঁদ! ২০৮৩ পর্যন্ত চারপাশে ঘুরবে এই প্রতিবেশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর আরও এক উপগ্রহের সন্ধান মিলেছে। আগামী ৬০ বছর ধরে চাঁদের আরও এক সঙ্গীর উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় এই উপগ্রহ এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই মহাজাগতিক বস্তুর নাম ‘২০২৫ পিএন৭’ (2025 PN7)। তবে চিরকালীন হয়তো এই উপগ্রহ থাকবে না। আগামী কয়েকে দশকের জন্য সঙ্গী হবে এই উপগ্রহ। চাঁদের অর্ধ (Second Moon of Earth) বলা হয় তাকে। মহাকাশের জগতে এই আলোড়ন জাগানো খবরে রয়েছে অনেক চমকপ্রদ তথ্য।

    ২০৮৩ সাল পর্যন্ত থাকবে পৃথিবীর পাশে

    পৃথিবীর দ্বিতীয় উপগ্রহ (Second Moon of Earth) হিসেবে ২০২৫ পিএন৭ হল আসলে আধা অর্ধেক উপগ্রহ। একে মহাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় কোয়াসি মুন বা আধা চাঁদ। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত সেটি পৃথিবী ও চাঁদকে সঙ্গ দেবে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর চারপাশে জাগতিক নিয়মে ঘুরে বেড়াচ্ছা ২০২৫ পিএন৭। এই আধা চাঁদ ৩৬৫ দিনের কাছাকাছি সময়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৫ পিএন৭ হল একটি গ্রহাণু। এর নামকরণ করা হয়েছে মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্জুনের নামানুসারেই। সৌরজগতের অন্তর্গত সমস্ত গ্রহাণু অবশ্য অর্জুন গ্রহাণু নামেই পরিচিত। এই উপগ্রহ পৃথিবীর মতো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।

    আয়তন ১৮-৩৬ মিটার

    ২০২৫ পিএন৭-এর আবিষ্কর্তা হলেন ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াইয়ের বিজ্ঞানীরা। এই বছর গ্রীষ্মকালেই এই উপগ্রহের প্রথম সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। ২০২৫ পিএন৭–এর আয়তন জানা গিয়েছে ১৮-৩৬ মিটার। বিজ্ঞানীরা একে সহজ কথায় বলেছেন একটি ছোট বিল্ডিং-এর সমান। পৃথিবী থেকে এই উপগ্রহের (Second Moon of Earth) দূরত্ব ৪০ লক্ষ কিলোমিটার। পৃথিবী যেমন কক্ষপথ ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে একই ভাবে সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করছে এই ২০২৫ পিএন৭।

    সূর্য এই উপগ্রহকে ধরে রেখেছে

    উল্লেখ্য, চাঁদের কাছাকাছি উপগ্রহের বিষয়টি এই প্রথম নয়। আগেও কয়েকবার এই রকম চাঁদের আবির্ভাব হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, “সাধারণত সকলেই নিজের নিজের কক্ষপথে সমান্তরালে ঘোরাঘুরি করে। পৃথিবীর সঙ্গে গতি সমান রেখে ঘুরে চলে এই ২০২৫ পিএন৭ (Second Moon of Earth)। সময়ে সময়ে গতি কমে বাড়ে। কখনও পৃথিবী থেকে এগিয়ে যায় আবার কখনও কখনও পিছিয়ে যায়। তবে গতির আমূল পরিবর্তন হয় না। তবে ছয়ের দশক থেকেই এই পৃথিবীর কাছেই রয়েছে এই উপগ্রহ। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত পৃথিবীকে এই উপগ্রহ সঙ্গী হিসেবে থাকবে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে। সূর্য এই উপগ্রহকে ধরে রেখেছে। তবে ঠিক মতো নিজের কক্ষে ঘোরার জন্য বাকি গ্রহেরও কমবেশি প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট আটটি উপগ্রহের (2025 PN7) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও বহুকিছু গবেষণার অধীন।”

    গ্রহাণুগুলির গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে

    মহাকাশ গবেষক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস বলেন, “এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এলেও প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থান করে। এটি চাঁদের গড় দূরত্ব (২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৫ মাইল)-এর চেয়ে কিছুটা কম। বর্তমানে টেলিস্কোপ দিয়ে যখন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে তখনই ভালো করে দেখা যায়।”

    তবে বিজ্ঞানীদের মত ২০২৫ পিএন৭ (Second Moon of Earth) ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। মহাকাশের অভিকর্ষ, কার্যকারিতা, গতিপ্রকৃতি, গঠন, আচরণ, ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতেও বেশ সুবিধা হবে। পৃথিবীর এই সঙ্গী গ্রহাণুগুলির গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে। সেই সময় ভিজি আবিষ্কারের মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে আবিষ্কৃত প্রথম গ্রহাণু ভিজির কক্ষপথ ছিল পৃথিবীর মতোই। সেই সময়ে, এর কাছাকাছি আসার ফলে বিজ্ঞানীরা একটি ভিনগ্রহী (2025 PN7) অনুসন্ধানের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান করতে শুরু করেছিলেন।

  • Ramakrishna 494: “‘সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয়? কুকুর যা তা খায়, তাই বলে কি কুকুর জ্ঞানী?”

    Ramakrishna 494: “‘সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয়? কুকুর যা তা খায়, তাই বলে কি কুকুর জ্ঞানী?”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    “মার পাদপদ্মে ফুল দিয়ে যখন সব ত্যাগ করতে লাগলাম, তখন বলতে লাগলাম, ‘মা! এই লও তোমার শুচি, এই লও তোমার অশুচি; এই লও তোমার ধর্ম, এই লও তোমার অধর্ম; এই লও তোমার পাপ, এই লও তোমার পুণ্য; এই লও তোমার ভাল, এই লও তোমার মন্দ; আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও।’ কিন্তু এই লও তোমার সত্য, এই লও তোমার মিথ্যা এ-কথা বলতে (Kathamrita) পারলাম না।”

    একজন ভক্ত বরফ আনিয়াছিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) পুনঃপুনঃ মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাঁগা খাব কি?”

    মাস্টার বিনীতভাবে বলিতেছেন, “আজ্ঞা, তবে মার সঙ্গে পরামর্শ না করে খাবেন না।”

    ঠাকুর অবশেষে বরফ খাইলেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—শুচি-অশুচি—এটি ভক্তি ভক্তের পক্ষে। জ্ঞানীর পক্ষে নয়। বিজয়ের শাশুড়ী বললে, ‘কই আমার কি হয়েছে? এখনও সকলের খেতে পারি না!’ আমি বললাম, ‘সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয়? কুকুর যা তা খায়, তাই বলে কি কুকুর জ্ঞানী?’

    (মাস্টারের প্রতি)—“আমি পাঁচ ব্যান্নন দিয়ে খাই কেন? পাছে একঘেয়ে হলে এদের (ভক্তদের) ছেড়ে দিতে হয়।

    “কেশব সেনকে বললাম, আরও এগিয়ে কথা বললে তোমার দলটল থাকে না!

    “জ্ঞানীর অবস্থায় দলটল মিথ্যা—স্বপ্নবৎ।…

    “মাছ ছেড়ে দিলাম। প্রথম প্রথম কষ্ট হত, পরে তত কষ্ট হত না। পাখির বাসা যদি কেউ পুড়িয়ে দেয়, সে উড়ে উড়ে বেড়ায় (Kathamrita); আকাশ আশ্রয় করে। দেহ, জগৎ—যদি ঠিক মিথ্যা বোধ হয়, তাহলে আত্মা সমাধিস্থ হয়।

    “আগে ওই জ্ঞানীর অবস্থা ছিল। লোক ভাল লাগত না। হাটখোলায় অমুক একটি জ্ঞানী আছে, কি একটি ভক্ত আছে, এই শুনলাম; আবার কিছুদিন পরে শুনলাম, ওই সে মরে গেছে! তাই আর লোক ভাল লাগত না। তারপর তিনি (মা) মনকে নামালেন, ভক্তি-ভক্ততে মন রাখিয়ে দিলেন।”

    মাস্টার অবাক্‌, ঠাকুরের (Ramakrishna) অবস্থা পরিবর্তনের বিষয় শুনিতেছেন। এইবার ঈশ্বর মানুষ হয়ে কেন অবতার হন, তাই ঠাকুর বলিতেছেন।

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক ট্যুইটার)-এর এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’ দ্বারা অনুপ্রাণিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ‘গ্রোকিপিডিয়া’ বাজারে আনলেন সংস্থার কর্তা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk)। এই গ্রোকিপিডিয়াকে বহুল-প্রচলিত উইকিপিডিয়ার একটি বিকল্প হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলন মাস্ক বলেছেন, ‘‘গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সত্য-নির্ভর প্ল্যাটফর্ম হবে। উইকিপিডিয়ার মতো পক্ষপাতদুষ্ট নয়।’’

    ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ (Elon Musk)

    এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে এলন মাস্ক (Elon Musk) বলেন, “অনলাইন বিশ্বকোষটি হতাশাজনক ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। যদিও গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) বিষয়বস্তু উইকিপিডিয়া এবং ব্রিটানিকার মতো বিশ্বকোষের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি উক্ত বিষয়বস্তুর একটি অংশকেই ধারণ করে। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ রয়েছে। আগামী দিনে এই পরিসর আরও বাড়বে।

    উইকিপিডিয়া-গ্রোকিপিডিয়ার ফলাফলে পার্থক্য

    সাধারণত, উইকিপিডিয়ায় অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং বামপন্থী, সেকুলারপন্থী মতাদর্শকে এর বিষয়বস্তুতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতি বিশ্বকোষ হওয়ার নীতির বিরুদ্ধে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উইকিপিডিয়া অনুসারে, লিঙ্গ হল একজন পুরুষ (বা ছেলে), মহিলা (বা মেয়ে), বা তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ার সামাজিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং আচরণগত দিকগুলির পরিসরে মানুষ। অপর দিকে গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) এটিকে যেমনটি হওয়া উচিত তেমন সংজ্ঞায়িত করে। তাতে বলে এটি জৈবিক লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে পুরুষ বা মহিলা হিসাবে বংশবিস্তার এবং সন্তান ধারণের বাস্তব জ্ঞানে সংজ্ঞায়িত। উভয়ের বিশ্লেষণ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য হল, উইকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় মত ও আদর্শ মেনে। অপরে গ্রোকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় তথ্যের উপর ভিত্তি করে।

    গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) কন্টেন্টগুলি একই বৃহৎ ভাষা মডেল দ্বারা তৈরি করা হয়েছে যা এক্স-এ গ্রোক চ্যাটবট দ্বারা নির্ভর করে তৈরি হয়। লাইভ ব্যবহারকারীর ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে, যা ক্রমাগত আপডেটের অপশনও দেবে। তবে বর্তমান ব্যবহারকারীরা উইকিপিডিয়ার মতো গ্রোকিপিডিয়ার কন্টেন্ট সম্পাদনা করতে পারবেন না। ত্রুটিযুক্ত লেখা নির্বাচন করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা ত্রুটি বা ভুল বোতামে ক্লিক করতে পারবেন। সঠিক তথ্য এবং উৎসসূত্র সহ নানা তথ্য প্রদান করা যাবে। কন্টেন্টের পরিবর্তন তাৎক্ষণিক হবে না। তবে বর্তমানে গ্রোকিপিডিয়ার কেবলমাত্র পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

  • Ramakrishna 493: “বড় গরম পড়াতে মাস্টারেরও শরীর অসুস্থ, মাকে বলেছি, মা! ভাল করে দাও, আর কুলপি খাব না”

    Ramakrishna 493: “বড় গরম পড়াতে মাস্টারেরও শরীর অসুস্থ, মাকে বলেছি, মা! ভাল করে দাও, আর কুলপি খাব না”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

     প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দিরে সেই পূর্বপরিচিত ঘরে বিশ্রাম করিতেছেন। আজ শনিবার, ১৩ই জুন, ১৮৮৫, (৩২শে জৈষ্ঠ, ১২৯২) জৈষ্ঠ শুক্লা প্রতিপদ, জ্যৈষ্ঠ মাসের সংক্রান্তি। বেলা তিনটা। ঠাকুর খাওয়া-দাওয়ার পর ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতেছেন।

    পণ্ডিতজী মেঝের উপর মাদুরে বসিয়া আছেন। একটি শোকাতুরা ব্রাহ্মণী ঘরের উত্তরের দরজার পাশে দাঁড়াইয়া আছেন। কিশোরীও আছেন। মাস্টার আসিয়া প্রণাম করিলেন। সঙ্গে দ্বিজ ইত্যাদি। অখিলবাবুর প্রতিবেশীও বসিয়া আছেন। তাঁহার সঙ্গে একটি আসামী ছোকরা।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ একটু অসুস্থ আছেন। গলায় বিচি হইয়া সর্দির ভাব। গলার অসুখের এই প্রথম সূত্রপাত।

    বড় গরম পড়াতে মাস্টারেরও শরীর অসুস্থ। ঠাকুরকে সর্বদা দর্শন করিতে (Kathamrita) দক্ষিণেশ্বরে আসিতে পারেন নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—এই যে তুমি এসেছ। বেশ বেলটি। তুমি কেমন আছ?

    মাস্টার—আজ্ঞা, আগেকার চেয়ে একটু ভাল আছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বড় গরম পড়েছে। একটু একটু বরফ খেও। আমারও বাপু বড় গরম পড়ে কষ্ট হয়েছে। গরমেতে কুলপি বরফ—এই সব বেশি খাওয়া হয়েছিল। তাই গলায় বিচি হয়েছে। গয়ারে এমন বিশ্রী গন্ধ দেখি নাই।

    “মাকে বলেছি, মা! ভাল করে দাও, আর কুলপি খাব না।

    “তারপর আবার বলেছি, বরফও খাব না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও সত্যকথা—তাঁহার জ্ঞানী ও ভক্তের অবস্থা

    “মাকে যেকালে বলছি ‘খাব না’ আর খাওয়া হবে না। তবে এমন হঠাৎ ভুল হয়ে যায়। বলেছিলাম (Ramakrishna), রবিবারে মাছ খাব না। এখন একদিন ভুলে খেয়ে ফেলেছি।

    “কিন্তু জেনে-শুনে হবার জো নাই। সেদিন গাড়ু নিয়ে একজনকে ঝাউতলার দিকে আসতে বললুম। এখন সে বাহ্যে গিছল, তাই আর-একজন নিয়ে এসেছিল। আমি বাহ্যে করে এসে দেখি যে, আর-একজন গাড়ু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে গাড়ুর জল নিতে পারলুম না। কি করি? মাটি দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলুম—যতক্ষণ না সে এসে জল দিলে(Kathamrita)।

  • Khagen Murmu: হাসপাতাল থেকে বাড়ি, ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বলয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন

    Khagen Murmu: হাসপাতাল থেকে বাড়ি, ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বলয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরাকাটায় ত্রাণবিলি করতে গিয়ে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীতের আক্রমণে রক্তাক্ত হয়েছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। গুরুতর অবস্থায় হাসপতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সোমবার রাতে শিলিগুড়ির নেওয়াটিয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথেই মালদার বাড়িতে ফেরেন তিনি। তবে চোখে দেখছেন ঝাপসা, চোয়াল এবং দাঁতে ভীষণ ব্যথা। কথা বলা বারণ। তরল খাবার খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক আরও কিছুদিন রেস্টে থাকতে বলেছেন। তবে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে কিছুটা আরও সুস্থ হলে দিল্লি এইমসে যাবেন ডাক্তার দেখাতে।

    ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা (Khagen Murmu)

    খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) স্ত্রী বলেন, “ডাক্তার বলেছেন দেড় মাস বিশ্রাম নিতে। সেই সঙ্গে কথা বলা বারণ।” এদিকে বিজেপি (BJP) সাংসদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কদমপুর বাঁধ রোডের বাড়িতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আগে ছিল ২ জন রক্ষী এখন হয়েছে ১১ জন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমতি ছাড়া কাউকেই ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে খগেনের পর দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তার গাড়িও দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিল। তিনিও নাম করে তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

    হত্যার চক্রান্ত?

    গত ৬ অক্টোবর বন্যা এবং ধস কবলিত জলপাইগুড়িতে মানুষকে ত্রাণদিতে গিয়ে মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। দুষ্কৃতীদের আঘাতে মাথা ফেটে গিয়েছিল তাঁর। আবার সেই সঙ্গে মারে চোটে চোখে মুখে ব্যাপক আঘাত লেগেছিল। আঘাতে নাকের হাড় এবং চোখের নিচের হাড়ে বিরাট ক্ষতি হয়েছিল। ভাঙচুর করা হয়েছিল গাড়িও। এই ভাবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। হাতে বেশ পরিমাণে আঘাত পেয়েছিলেন। বিজেপির দাবি গোটা হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত এবং তৃণমূলের নেতারা খগেন-শঙ্করকে মেরে ফেলার বড় চক্রান্ত করেছিল।

    জঙ্গলের রাজত্ব

    তবে বিজেপি সাংসদ খগেন (Khagen Murmu) হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। আইসিইউতে ভর্তি থাকাকালীন নাগরাকাটার প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমরা ওখানে ত্রাণ দিতে যাই, এরপর রাস্ততেই দেওয়া হয় বাধা আমাদের। আমাদের বলা হয় আপনারা এখানে থেকে যান নয়তো খুব খারাপ হবে। এরপর ধাক্কা মারতে মারতে আমাদের এলাকা থেকে সারানো হয়েছে। আমরা কোনও রকম দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছি। দুষ্কৃতীরা গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে। গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দিয়েছে। গাড়িতে বড় বড় পাথর ছুড়ে মেরে ছিল। তিন-চার জায়গায় ফ্র্যাকাচার হয়।” মুখরক্ষা করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য হাসপাতালে খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছলেন। কিন্তু আহত বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যাননি। শঙ্কর অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁকে দেখতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানতে চাইলে সরাসরি না করে দেন তিনি। তবে খগেন মমতাকে তোপ দেগে বলেন, “মমতার কাছে সবটাই ছোট ঘটনা। কোনও বড় ঘটনা ঘটেইনি। এই রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।”

    এলাকায় ভয়সৃষ্টি করাই প্রধান উদ্দেশ্য

    যদিও ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। রাজ্যের একজন নির্বাচিত সাংসদকে কীভাবে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করতে পারে। পুলিশ প্রশাসন কীভাবে কাজ করছে। একজন জনপ্রতিনিধির যদি সামাজিক নিরাপত্তা না থাকে তাহলে একজন সাধারণ মানুষের হাল কি হবে? প্রশাসন কেন আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি জোর দেয়নি। অপর দিকে যারা যারা এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বা নাম পাওয়া গিয়েছে পুলিশ তাঁদের ধরপাকড় পর্যন্ত করেনি। বিজেপির (BJP) স্পষ্ট অভিযোগ, তৃণমূল নিজেদের দুষ্কৃতীদের দ্বারা এই রকম হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে এবং পুলিশ যাতে অপরাধীদের না গ্রেফতার করে তারও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় শাসকদলের নেতারা। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন তাই বিজেপির সাধারণ কর্মী—সমর্থকদের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতেই হামলার ঘটনা বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

LinkedIn
Share