Tag: madhyom news

madhyom news

  • Pravasi Bharatiya Divas: ৮-১০ জানুয়ারি ওড়িশায় আয়োজিত হতে চলেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’

    Pravasi Bharatiya Divas: ৮-১০ জানুয়ারি ওড়িশায় আয়োজিত হতে চলেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন সাড়ম্বরে পালিত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার (Odisha) ভুবনেশ্বরে এই অনুষ্ঠান হবে। ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা এবং প্রবাসী ভারতীয়রা সমস্ত দেশ থেকে হাজির হবেন এই সম্মেলনে (Pravasi Bharatiya Divas)। প্রবাসী ভারতীয়দের এই সম্মেলনের আয়োজনে ওড়িশা সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকার পূর্বোদয় নীতি গ্রহণ করেছে এবং সেখানে অন্যতম রাজ্য হল ওড়িশা। প্রবাসী ভারতীয় দিবস ওড়িশায় আয়োজনের মাধ্যমে মোদি সরকার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে সেরাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন।

    কেন ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস (Pravasi Bharatiya Divas)

    প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে ১৯১৫ সালের ৯ জানুয়ারি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই ঘটনার স্মৃতিতেই প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালিত হয়। চলতি বছরে এটা আয়োজিত হতে চলেছে ওড়িশায় এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে উঠে আসবে সেরাজ্যের উন্নয়নের নানা বিষয়। বিদেশ থেকে আগত প্রবাসী ভারতীয়রা দেখবেন ওড়িশা সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কর্মসূচি (Pravasi Bharatiya Divas)। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের যে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং পূর্বাঞ্চলের প্রতি সরকারের যে নীতি সেটাও পর্যবেক্ষণ করবেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ ওড়িশা (Pravasi Bharatiya Divas)

    ওড়িশার ভুবনেশ্বরকে (Pravasi Bharatiya Divas) বলা হয় মন্দিরের শহর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং শিল্প – এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে কীভাবে এগিয়ে চলেছে ওড়িশা, সেটাই প্রচার করা হবে প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে। ওড়িশা খনিজ সম্পদেও পরিপূর্ণ। কয়লা থেকে লোহা, বক্সাইট প্রভৃতি মাটির নিচে প্রচুর পরিমাণে মজুদ রয়েছে এখানে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা দেশের ২৫ শতাংশ লোহাই রয়েছে ওড়িশাতে। সারাদেশে যত পরিমাণে স্টিল উৎপাদন হয়, তার দশ শতাংশই আসে ওড়িশা থেকে। লোহার পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে ওড়িশা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maulana Masood Azhar: হৃদরোগে আক্রান্ত জঙ্গি মাসুদ আজহার, ভর্তি হাসপাতালে

    Maulana Masood Azhar: হৃদরোগে আক্রান্ত জঙ্গি মাসুদ আজহার, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার (Maulana Masood Azhar) হৃদরোগে আক্রান্ত। বর্তমানে এই জঙ্গি নেতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন মাসুদ আজহার (Maulana Masood Azhar)। আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে সূত্রের খবর। এরপরে তাঁকে তড়িঘড়ি পাকিস্তানের হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    করাচির কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকার সময়েই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সেখানে থেকেই সড়কপথে তাঁকে দ্রুত পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁকে করাচির কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদ থেকে কার্ডিওলজিস্টরা গিয়েছেন মাসুদকে দেখতে। সূত্রের খবর, মাসুদকে (Maulana Masood Azhar) রাওয়ালপিন্ডির সবথেকে বড় সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

    ২০১৯ সালে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে দেশের সংসদে ভয়াবহ জঙ্গি (Jaish E Mohammed) হামলা হয়। এই হামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন মাসুদ (Maulana Masood Azhar)। বছর পাঁচেক আগে ২০১৯ সালে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বের বহু দেশে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভারতেও একাধিক মামলায় মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে এই জয়েশ প্রধান। প্রসঙ্গত মাসুদ আজহারের জন্ম পাকিস্তানে, ১৯৬৮ সালে। শুধু সংসদ হামলা নয়, ভারতে অন্যান্য জঙ্গি হামলার সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িত রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাশাপাশি ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ব্রিটেনে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন মাসুদ আজহার। ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলা, পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাতেও মাসুদ আজহারের নাম উঠে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ আঞ্জি খাদ (Anji Khad Bridge) সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। প্রথম ট্রায়াল রানের ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘জম্মু কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন ডানার সংযোগ করা হল। ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল ভারতের প্রথম কেবল ব্রিজে।’’ প্রসঙ্গত, আঞ্জি খাদ সেতুর দৈর্ঘ্য হল ৪৭৩.২৫ মিটার। এই সেতুটি নদী থেকে ৩৩১ মিটার উচ্চে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেল সেতু হল আঞ্জি খাদ।

    ছুটতে পারে বন্দে ভারত (Indian Railway)

    প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি হল এই আঞ্জি খাদ রেল সেতু। মনে করা হচ্ছে, এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটতে পারে। এনিয়ে আগেই আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যদি এমনটা হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দে ভারতে করে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে।

    মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়

    জানা গিয়েছে, একটি মাত্র স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই আঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন (Indian Railway)। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসেই একটি ট্যুইট বার্তায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, আঞ্জি খাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়। এই সেতুর ৯৬টি কেবলের সবকটি জোড়া হেয়েছে। এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INDI: ইন্ডি জোটে বড়সড় ফাটল! কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় আম আদমি পার্টি

    INDI: ইন্ডি জোটে বড়সড় ফাটল! কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় আম আদমি পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটে (INDI) বড়সড় ফাটল! প্রশ্নের মুখে কংগ্রেসের নেতৃত্ব। আম আদমি পার্টি (AAP) কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ইন্ডি জোট থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানাল। এই ঘটনা বিরোধী জোটের অনৈক্যকে ফের একবার সামনে আনল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সামনেই রয়েছে দিল্লির নির্বাচন, সেই আবহে এমন অনৈক্য বিজেপিকে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

    আম আদমি পার্টিকে তোপ কংগ্রেসের  (INDI)

    জানা যাচ্ছে, ইন্ডি জোটের (INDI) সবচেয়ে বড় শরিক কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। এ নিয়ে জোটের অন্যান্য আঞ্চলিক শরিক, যেমন সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে আপ, এমনটাই দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালকে যতবার ‘মউকা’ দেওয়া হয়েছে, ততবারই তিনি ‘ধোঁকা’ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে মাকেন দাবি করেন, ‘‘২০১৩ সালে কেজরিওয়ালকে সমর্থন করা কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। সেটাই দিল্লিতে কংগ্রেসের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ।’’ শুধু তাই নয়, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খোদ শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করা হয়েছে।

    ইন্ডি জোটে  (INDI) কংগ্রেসের চাপ বাড়ল

    এভাবে ইন্ডি জোটের বড় শরিক কংগ্রেস সরাসরি কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করছে, সেটা মেনে নিতে নারাজ আপ। জানা গিয়েছে, ক্ষুব্ধ আপ এবার ইন্ডি জোট থেকে পুরোপুরি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে উদ্যোগী হয়েছে। যা নিয়ে অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচন ঘিরে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে। মহারাষ্ট্রেও একই অবস্থা। মহাবিকাশ আগাড়ির মধ্যে সুসম্পর্ক আগের মতো নেই। আম আদমি পার্টির বিদ্রোহে ইন্ডি জোটে কংগ্রেসের চাপ আরও খানিকটা বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 232: “বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত…সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ”

    Ramakrishna 232: “বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত…সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    দক্ষিণেশ্বরে দশহরাদিবসে গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে

    রাখাল, অধর, মাস্টার, রাখালের বাপ, বাপের শ্বশুর প্রভৃতি 

    একজন ভক্ত—ঈশ্বর (Ramakrishna) যদি সবই করছেন, তবে ভালমন্দ, পাপ-পুণ্য—এ-সব বলে কেন? পাপও তাহলে তাঁর ইচ্ছা?

    রাখালের বাপের শ্বশুর—তাঁর ইচ্ছা আমরা কি করে বুঝব?

    “Thou Great First Cause least understood”— Pope.

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পাপ-পুণ্য আছে, কিন্তু তিনি নিজে নির্লিপ্ত। বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত। তাঁর সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ; যেমন গাছের মধ্যে কোনটা আমগাছ, কোনটা কাঁঠালগাছ, কোনটা আমরাগাছ। দেখ না দুষ্ট লোকেরও প্রয়োজন আছে। যে-তালুকের প্রজারা দুর্দান্ত, সে-তালুকে একটা দুষ্ট লোককে পাঠাতে হয়, তবে তালুকের শাসন হয়।

    আবার গৃহস্থাশ্রমের (Kathamrita) কথা পড়িল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—কি জানো, সংসার করলে মনের বাজে খরচ হয়ে পড়ে। এই বাজে খরচ হওয়ার দরুন মনের যা ক্ষতি হয়, সে ক্ষতি আবার পূরণ হয়, যদি কেউ সন্ন্যাস করে। বাপ প্রথম জন্ম দেন, তারপরে দ্বিতীয় জন্ম উপনয়নের সময়। আর-একবার জন্ম হয় সন্ন্যাসের সময়। কামিনী ও কাঞ্চন এই দুটি বিঘ্ন। মেয়েমানুষে আসক্তি ঈশ্বরের পথ থেকে বিমুখ করে দেয়। কিসে পতন হয়, পুরুষ জানতে পারে না। যখন কেল্লায় যাচ্ছি, একটুও বুঝতে পারি নাই যে, গড়ানে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। কেল্লার ভিতর গাড়ি পৌঁছুলে দেখতে পেলুম, কত নিচে এসেছি। আহা, পুরুষদের বুঝতে দেয় না! কাপ্তেন বলে, আমার স্ত্রী জ্ঞানী! ভূতে যাকে পায়, সে জানে না যে, ভূতে পেয়েছে! সে বলে, বেশ আছি! (সকলে নিস্তব্ধ)

    “সংসারে শুধু যে কামের ভয়, তা নয়। আবার ক্রোধ আছে। কামনার পথে কাঁটা পড়লেই ক্রোধ।”

    “মাস্টার—আমার পাতের কাছে বেড়াল নুলো বাড়িয়ে মাছ নিতে আসে, আমি কিছু বলতে পারি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কেন! একবার মারলেই বা, তাতে দোষ কি? সংসারী ফোঁস করবে! বিষ ঢালা উচিত নয়। কাজে কারু অনিষ্ট যেন না করে। কিন্তু শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য ক্রোধের আকার দেখাতে হয়। না হলে শত্রুরা এসে অনিষ্ট করবে। ত্যাগির ফোঁসের দরকার নাই।

    একজন ভক্ত—মহাশয়, সংসারে তাঁকে পাওয়া বড়ই কঠিন দেখছি। কটা লোক এরকম হতে পারে? কি! দেখতে তো পাই না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কেন হবে না? ও-দেশে শুনেছি, একজন ডেপুটি, খুব লোক—প্রতাপ সিং; দান-ধ্যান, ঈশ্বরে ভক্তি, অনেক গুণ আছে। আমাকে লতে পাঠিয়েছিল (Kathamrita)। এইরকম লোক আছে বইকি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 231: “তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে, পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো”

    Ramakrishna 231: “তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে, পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    দক্ষিণেশ্বরে দশহরাদিবসে গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে

    রাখাল, অধর, মাস্টার, রাখালের বাপ, বাপের শ্বশুর প্রভৃতি 

    আজ দশহরা (২রা আষাঢ়), জৈষ্ঠ শুক্লা দশমী, শুক্রবার, ১৫ই জুন, ১৮৮৩। ভক্তেরা শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করিতে দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে আসিয়াছেন। অধর, মাস্টার দশহরা উপলক্ষে ছুটি পাইয়াছেন।

    রাখালের বাপ ও তাঁহার শ্বশুর আসিয়াছেন। বাপ দ্বিতীয় সংসার করিয়াছিলেন। ঠাকুরের নাম শ্বশুর অনেকদিন হইতে শুনিয়াছেন। তিনি সাধক লোক, শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। রাখালের বাপের শ্বশুরকে এক-একবার দেখিতেছেন (Kathamrita)। ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া আছেন।

    শ্বশুর—মহাশয়, গৃহস্থাশ্রমে কি ভগবান লাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—কেন হবে না? পাঁকাল মাছের মতো থাক। সে পাঁকে থাকে, কিন্তু গায়ে পাঁক নাই। আর ঘুষকীর মতো থাক। সে ঘরে-কন্নার সব কাজ করে কিন্তু  মন উপপতির উপর পড়ে থাকে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) উপর মন ফেলে রেখে সংসারের কাজ সব কর। কিন্তু বড় কঠিন। আমি ব্রহ্মজ্ঞানীদের বলেছিলুম, যে-ঘরে আচার তেঁতুল আর জলের জালা সেই ঘরেই বিকারের রোগী! কেমন করে রোগ সারবে? আচার তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে। পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো। আর বিষয় তৃষ্ণা সর্বদাই লেগে আছে; ওইটি জলের জালা। এ তৃষ্ণার শেষ নাই। বিকারের রোগী বলে, এক জালা জল খাব! বড় কঠিন। সংসারে নানা গোল। এদিকে যাবি, কোঁস্তা ফেলে মারব; ওদিকে যাবি, ঝাঁটা ফেলে মারব; এদিকে যাবি জুতো ফেলে মারব। আর নির্জন না হলে ভগবানচিন্তা হয় না। সোনা গলিয়ে গয়না গড়ব তা যদি গলাবার সময় পাঁচবার ডাকে, তাহলে সোনা গলানো কেমন করে হয়? চাল কাঁড়ছ একলা বসে কাঁড়তে হয়। এক-একবার চাল হাত করে তুলে দেখতে হয়, কেমন সাফ হল। কাঁড়তে কাঁড়তে যদি পাঁচবার ডাকবে, ভাল কাঁড়া কেমন করে হয়?

    উপায়—তীব্র বৈরাগ্য; পূর্বকথা—গঙ্গাপ্রসাদের সহিত দেখা 

    একজন ভক্ত—মহাশয়, এখন উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আছে। যদি তীব্র বৈরাগ্য হয়, তাহলে হয়। যা মিথ্যা বলে জানছি, রোখ করে তৎক্ষণাৎ ত্যাগ কর। যখন আমার ভারী ব্যামো, গঙ্গাপ্রসাদ সেনের কাছে লয়ে গেল। গঙ্গাপ্রসাদ বললে, স্বর্ণপটপটি খেতে হবে, কিন্তু জল খেতে পাবে না; বেদানার রস খেতে পার। সকলে মনে করলে, জল না খেয়ে কেমন করে আমি থাকব। আমি রোখ কল্লুম আর জল খাব না। ‘পরমহংস’! আমি তো পাতিহাঁস নই—রাজহাঁস! দুধ খাব।

    “কিছুদিন নির্জনে থাকতে হয়। বুড়ী ছুঁয়ে ফেললে আর ভয় নাই। সোনা হলে তারপরে যেখানেই থাক। নির্জনে থেকে যদি ভক্তিলাভ (Kathamrita) হয়, যদি ভগবানলাভ হয়, তাহলে সংসারেও থাকা যায়। (রাখালের বাপের প্রতি) তাই তো ছোকরাদের থাকতে বলি। কেননা, এখানে দিন কতক থাকলে ভগবানে ভক্তি হবে। তখন বেশ সংসারে গিয়ে থাকতে পারবে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে। কখনও রাতের দিকে বাড়ছে তাপমাত্রা, আবার কখনও ভোরে শীতের আমেজে মুড়ে যাচ্ছে আশপাশ। আর তার মাঝেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।শিশু থেকে বয়স্ক, অধিকাংশ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি (Cough and cold)। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশে এই কাশির দাপট আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কাশির ভোগান্তি বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ শিশু এবং প্রবীণ নাগরিক।

    কেন বাড়ছে কাশির দাপট? (Cough and cold)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার খামখেয়ালির জন্যই সর্দি-কাশির দাপট বেড়েছে। কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডা, আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশি আসলে অ্যালার্জির প্রকাশ। শ্বাসনালীতে যে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হলে কাশি হয়। এই সময়ে আবহাওয়ার বারবার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এখন দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান উপশম করবে?

    লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যথেষ্ট থাকলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই দুই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই নিয়মিত এই দুই ফল খেলে কাশির (Cough and cold) ভোগান্তিও কমবে।

    রান্নায় আদা

    রান্নায় আদার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে (Suffering) আদা খুবই উপকারী। কাশির অন্যতম কারণ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। তাই এই সময়ে নিয়মিত আদা খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

    এলাচ ও লবঙ্গ (Cough and cold)

    এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে কাশির উপশম হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ এবং লবঙ্গ, এই দুই মশলা ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই মশলা। তাই এই সময়ে এই দুই মশলা রান্নায় থাকলে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমবে। কাশির দাপট ও কমবে। 
    সকালে এক চামচ মধু নিয়ম করে খেলে কাশির ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির দাপট কমাতে ও এই আবহাওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

    তুলসী পাতা

    কাশির দাপট কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তুলসী পাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসী পাতায় রয়েছে একাধিক উপাদান। তুলসী পাতা খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্তি ঘটে‌। তাই কাশি-সর্দির (Cough and cold) বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 230: “মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়”

    Ramakrishna 230: “মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তকে শিক্ষা—ব্যাকুল হয়ে আর্জি কর—ঠিক ভক্তের লক্ষণ

    “তোমরা এত কষ্ট করে এখানে এসেছ, তোমরা ঈশ্বরকে (Ramakrishna) খুঁজে বেড়াচ্ছ। সব লোক বাগান দেখেই সন্তুষ্ট, বাগানের কর্তার অনুসন্ধান করে দু-একজন। জগতের সৌন্দর্যই দেখে, কর্তাকে খোঁজে না।”

    হঠযোগ, রাজযোগ ও বেলঘরের ভক্ত—ষড়চক্র ভেদ ও সমাধি 

    (গায়ককে দেখাইয়া)—ইনি ষড়চক্রের গান গাইলেন। সে-সব যোগের কথা। হঠযোগ আর রাজযোগ। হঠযোগী শরীরের কতকগুলো কসরৎ করে; উদ্দেশ্য—সিদ্ধাই, দীর্ঘ আয়ু হবে, অষ্টসিদ্ধি হবে; এই সব উদ্দেশ্য। রাজযোগের উদ্দেশ্য—ভক্তি, প্রেম, জ্ঞান, বৈরাগ্য। রাজযোগই ভাল।

    “বেদান্তের সপ্তভূমি, আর যোগশাস্ত্রের ষড়চক্র অনেক মেলে। বেদের প্রথম তিনভূমি, আর ওদের মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর। এই তিন ভূমিতে গুহ্য, লিঙ্গ, নাভির মনের বাস। মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অর্থাৎ অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়, আর জ্যোতিঃদর্শন হয়। সাধক বলে, ‘এ কি! এ কি!’

    “পঞ্চভূমিতে মন উঠলে, কেবল ঈশ্বরের (Ramakrishna) কথাই শুনতে ইচ্ছা হয়। এখানে বিশুদ্ধচক্র। ষষ্ঠভূমি আর আজ্ঞাচক্র এক। সেখানে মন গেলে ঈশ্বরদর্শন হয়। কিন্তু যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলো—ছুঁতে পারে না, মাঝে কাচ ব্যবধান আছে বলে।

    “জনক রাজা পঞ্চভূমি থেকে ব্রহ্মজ্ঞানের উপদেশ দিতেন। তিনি কখনও পঞ্চমভূমি, কখনও ষষ্ঠভূমিতে থাকতেন।

    “ষড়চক্র ভেদের পর সপ্তমভূমি। মন সেখানে গেলে মনের লয় হয়। জীবাত্মা পরমাত্মা (Kathamrita) এক হয়ে যায়—সমাধি হয়। দেহবুদ্ধি চলে যায়, বাহ্যশূন্য হয়; নানা জ্ঞান চলে যায়; বিচার বন্ধ হয়ে যায়।

    “ত্রৈলঙ্গ স্বামী বলেছিল, বিচারে অনেক বোধ হচ্ছে; নানা বোধ হচ্ছে। সমাধির পর শেষে একুশদিনে মৃত্যু হয়।

    “কিন্তু কুলকুণ্ডলিনী জাগরণ না হলে চৈতন্য হয় না!”

    ঈশ্বরদর্শনের লক্ষণ 

    “যে ঈশ্বরলাভ (Kathamrita)  করেছে, তার লক্ষণ আছে। সে হয়ে যায়—বালকবৎ, উন্মাদবৎ, জড়বৎ, পিশাচবৎ। আর তার ঠিক বোধ হয় ‘আমি যন্ত্র আর তিনি যন্ত্রী; তিনিই কর্তা, আর সকলেই অকর্তা।’ শিখরা যেমন বলেছিল, পাতাটি নড়ছে সেও ঈশ্বরের ইচ্ছা। রামের ইচ্ছাতেই সব হচ্ছে—এই বোধ। তাঁতী যেমন বলেছিল, রামের ইচ্ছাতেই কাপড়ের দাম এক টাকা ছয় আনা, রামের ইচ্ছাতেই ডাকাতি হল; রামের ইচ্ছাতেই ডাকাত ধরা পড়ল। রামের ইচ্ছাতেই আমাকে পুলিশে নিয়ে গেল, আবার রামের ইচ্ছাতেই আমাকে ছেড়ে দিল।”

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ঠাকুর একবারও বিশ্রাম করেন নাই। ভক্তসঙ্গে অবিশ্রান্ত হরিকথা হইতেছে। এইবার মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তেরা ও অন্যান্য ভক্তেরা তাঁহাকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়া, ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna)  ঠাকুরদের দর্শন করিয়া নিজ নিজ স্থানে প্রত্যাগমন করিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • History Of Christmas: যীশুর জন্মের আগে থেকেই ক্রিসমাস পালনের রীতি ছিল ইউরোপে!

    History Of Christmas: যীশুর জন্মের আগে থেকেই ক্রিসমাস পালনের রীতি ছিল ইউরোপে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস উৎসব (History Of Christmas) পালিত হয়। এই পবিত্র উৎসবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। বাঙালির কাছে ক্রিসমাস মানে ঘুরতে যাওয়া, পিকনিক করা। ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস উৎসব পালনের রীতি বিশ্বে অনেক পুরনো। এর যেমন একটা ধর্মীয় বিষয় রয়েছে। তেমনই ক্রিসমাসে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃতিও দেখা যায়। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এই দিনে তাঁদের উপাস্য যীশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যীশু হলেন একজন ধর্মীয় নেতা, যাঁর শিক্ষা মেনে চলেন খ্রিস্টানরা। এদিন  ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। একে অপরকে উপহার বিনিময় করেন খ্রিস্টানরা। গির্জায় গিয়ে তাঁরা প্রার্থনা করেন। পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার রীতিও দেখা যায়। এদিন তাঁরা এও বিশ্বাস করেন যে সান্তাক্লজ এসে তাঁদের উপহার দিয়ে যাবেন।

    কীভাবে শুরু হয়েছিল ক্রিসমাস পালন (Christmas)?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যীশুর আগমনের (History Of Christmas) কয়েক শতাব্দী আগেই প্রথমদিকে ইউরোপীয়রা শীতকালে এই দিনটি পালন করতেন। ২২ ডিসেম্বরের পর থেকেই উত্তর গোলার্ধে ধীরে ধীরে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে এবং রাতের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে। সূর্যালোকের সময় বাড়ার ফলে, এই সময়েই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উৎসব পালন করার রীতি দেখা যেত। অন্যদিকে, ইউরোপের অন্যতম দেশ স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় ২১ ডিসেম্বর থেকেই বড়দিন পালনের রীতি দেখা যেত। এই সময়ে তাঁরা বাড়িতে আগুন জ্বালাতেন এবং ১২ দিন ধরে পালন করা হত বড়দিন। ডিসেম্বরে শেষে ইউরোপে যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে থেকেই উৎসবের এমন মেজাজ দেখা যেত। এই সময় তাঁরা গবাদি পশুকে হত্যা করে, তাদের মাংস খেত। সঙ্গে থাকত মদ এবং বিয়ার। অন্যদিকে জার্মানিতে শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে তাদের দেবতা উডেনকে সম্মান জানাতে বড়দিন পালন করা হত, জার্মান জাতির বিশ্বাস ছিল যে ওডেন আকাশ পথে গমন করতেন এবং মানুষের ভাগ্য় নির্ধারণ করতেন।

    রোমে সাটুরনালিয়া দেবতার সম্মানে পালন করা হত উৎসব

    অন্যদিকে, রোমে এই উৎসব এক মাস (History Of Christmas) ধরে পালন করা হত। রোমান ধর্মে কৃষি দেবতা ছিলেন সাটুরনালিয়া। তাঁরই সম্মানে শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে শুরু করে পুরো একমাস ধরে পালন চলত উৎসব। এই সময়ে ক্রীতদাসদেরও সাময়িক স্বাধীনতা দেওয়া হত। তাঁদের ছুটি দেওয়া হত। একই সঙ্গে শীতকালে রোমানরা জুভেনালিয়া নামের একটি উৎসব পালন করতেন। এই উৎসবে রোমান শিশুদের সম্মান একটি ভোজের ব্যবস্থা করা হত এবং সেখানকার উচ্চ বংশজাতরা ২৫ ডিসেম্বর সূর্যদেবতা মিত্রার জন্মদিন পালন করতেন। বিশ্বাস করা হয়, মিত্রা হলেন একজন শিশু দেবতা। যিনি একটি শিলা থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মিত্রার জন্মদিন ছিল বছরের সবচেয়ে পবিত্র দিন। তাই এটা স্পষ্ট, শুধুমাত্র যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবেই যে বড়দিন এমনটা নয়, বড়দিন পালনের ইতিহাস দেখলে আমরা বুঝতে পারছি যে যীশুর জন্মের আগেও বড় দিন পালনের রীতি ইউরোপে ছিল।

    প্রথমদিকে যীশুর জন্ম সেভাবে উদযাপন করা হয়নি

    প্রথমদিকে যীশুর জন্ম সেভাবে উদযাপন করা হয়নি। চতুর্থ শতাব্দীতে গির্জার সঙ্গে যুক্ত ধর্মীয় কর্তা ব্যক্তিরা প্রথম যীশুর জন্মদিনকে ছুটি হিসেবে পালন করা সিদ্ধান্ত নেন। জানা যায়, বাইবেলে যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে কোনও তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে কিছু সূত্রে দাবি করা হয়, যে যীশুখ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল বসন্ত কালে। তবুও পোপ জুলিয়াস-১, ২৫ ডিসেম্বর বেছে নেন যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে। এর পরবর্তীকালে এই প্রথাটি ৪৩২ সালের মধ্যে মিশরে এবং ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই ২৫ ডিসেম্বর যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হতে থাকে। অর্থাৎ শীতকালীন উৎসবের যে প্রথা সেই রীতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে ইউরোপ। শীতকালীন উৎসবটা কেন্দ্রীভূত হতে থাকে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে। এখানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন গির্জার ধর্ম প্রচারকরা। তাঁরা সেভাবেই ২৫ ডিসেম্বর যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

    ইংল্যান্ড আমেরিকায় নিষিদ্ধ হয়েছিল ক্রিসমাস 

    অন্যদিকে, ১৭ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে ইউরোপে ক্রিসমাস (History Of Christmas) উদযাপনের পদ্ধতি অনেকটাই বদলে যায়। ১৬৪৫ সালে ইংল্যান্ড দখল করেন অলিভার ক্রোমওয়েলের বাহিনী। এই সময় তাঁরা অবক্ষয় থেকে ইংল্যান্ডকে বাঁচানোর জন্য সে দেশের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই তাঁরা ক্রিসমাসকে বাতিল বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসলে, ফের ক্রিসমাসের প্রচলন শুরু হয়। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দিকে ক্রিসমাস ছুটির দিন ছিল না। ১৬৫৯ থেকে ১৬৮১ সাল পর্যন্ত সে দেশের বস্টনে বড়দিন উদযাপন নিষিদ্ধ ছিল। যে কেউ ক্রিসমাস পালন করলে তাঁকে জরিমানা পর্যন্ত করা হত। পরবর্তীকালে উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আমেরিকায় ক্রিসমাস পালন শুরু হয়।

    সান্তাক্লজের ইতিহাস

    অন্যদিকে ক্রিসমাস উৎসবের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সান্তাক্লজ। আবার সান্তাক্লজ নামের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, সেন্ট নিকোলাস নামে এক সন্ন্যাসীর কথা। যিনি ২৮০ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। সেন্ট নিকোলাস, তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সমস্ত সম্পদ দরিদ্র এবং অসুস্থদের সাহায্য করার জন্য বিতরণ করেছিলেন। এই সময় তিনি গ্রামাঞ্চলগুলিতে ভ্রমণ করতেন ও সেখানকার বাচ্চা ছেলে, অসুস্থ রোগী এবং নাবিকদের কাছে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বিতরণ করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে ওই সেন্ট নিকোলাস সকলের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত হতে থাকেন। পরবর্তীকালে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে নিউইয়র্কে সেন্ট নিকোলাস আমেরিকার সংস্কৃতির মধ্যে প্রবেশ করেন। সেন্ট নিকোলাসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাচ নাগরিকরা সেন্টার ক্লাস নামে ডাকতেন। পরবর্তীকালে সেন্টার ক্লাস নাম থেকে আসে সান্তাক্লজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neem Stick: দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নিম দাঁতন! শক্ত হয় মাড়ি, দূরে থাকে ব্যাকটেরিয়া

    Neem Stick: দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নিম দাঁতন! শক্ত হয় মাড়ি, দূরে থাকে ব্যাকটেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই মানব সমাজ তার পুরনো অভ্যাসের দিকেই ফিরে চলেছে। কারণ এই অভ্যাসগুলি সম্পূর্ণটাই প্রাকৃতিক এবং বিশুদ্ধ উপাদানে পরিপূর্ণ। সেই রকমই একটি অভ্যাস হল নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা (Neem Stick)। প্রাচীন ভারতে নিম দাঁতন (Dental Health) দিয়ে দাঁত মাজার চল ছিল। বর্তমান আমলে তা আবার ফিরে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিম গাছ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার রীতিকে বলা হয় নিম দাঁতন। 

    নিম দাঁতন (Neem Stick) রাসায়নিক মুক্ত

    নিম দাঁতন করার অন্যতম উপকারিতা হল যে এটি সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব। এর পাশাপাশি প্লাস্টিকের যে টুথব্রাশ আমরা ব্যবহার করি তার বিকল্প হিসেবেও কাজ করে নিম দাঁতন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে নিম হল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এই কারণে নিম দাঁতন যে কোনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও প্রতিরোধ করে। এছাড়া নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা মাড়িকে শক্ত করে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিম দাঁতন (Neem Stick) দিয়ে দাঁত মাজার উপকারিতা

     ক্যাভিটিস প্রতিরোধ: নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে, তা ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।

    মাড়ি মজবুত: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে প্রতিদিন নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি মজবুত হয় এবং মাড়িতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

    মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না: নিমের প্রাকৃতিক উপাদানে এর পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না।

    এছাড়াও দাঁতের সাদা রং অপরিবর্তিত রাখে, দাঁতের যে কোনও অংশ ফুলে ওঠা রোধ করতে নিম দাঁতন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

    কীভাবে ব্যবহার করবেন নিম দাঁতন

    প্রথমেই ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি নিম দাঁতন নিতে হবে, ঠিক পেন্সিলের আকারের।

    এরপরে তার যে কোনও একটি প্রান্ত চিবিয়ে নিতে হবে।

    এটা যখন ব্রাশের আকৃতির হয়ে যাবে, তখন ধীরে ধীরে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

    নিম ডাল (Neem Stick) ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন

    মাউথফ্রেশনার-সহ নানা ধরনের কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক কিছু উপকার হলেও,তা কখনওই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য নিম ডাল খুবই উপযোগী, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিমডাল ব্যবহারের আগে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

    গাছের ডালকে অবশ্যই ভালো করে ভেঙে ব্যবহার করতে হবে।

    নিমডালে দাঁত মাজার আগে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share