Tag: madhyom news

madhyom news

  • Arsh Dalla: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি আরশ ডাল্লা গ্রেফতার হতেই হস্তান্তরের আর্জি জানাল দিল্লি

    Arsh Dalla: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি আরশ ডাল্লা গ্রেফতার হতেই হস্তান্তরের আর্জি জানাল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) আরশ ডাল্লাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রক কানাডা সরকারের কাছে দাবি জানাল। কানাডার এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশের অন্টারিওর মিল্টনের গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরশ ডাল্লাকে (Arsh Dalla)। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারত জোরালো দাবি তুলল। 

    কী বলছেন ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র?

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ কানাডা সরকারের ওই গ্রেফতারির খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা প্রত্যর্পণের অনুরোধ করছি। ভারতে আরশ ডাল্লার (Arsh Dalla) অপরাধমূলক অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে এটা প্রত্যাশিত যে ভারতেও তার বিচার হওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুন: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    ২০২৩ সালেই তাঁকে গ্রেফতারির আবেদন জানায় দিল্লি

    প্রসঙ্গত, কানাডায় ২৮ অক্টোবর গুলি চালনার মামলায় তাঁকে (Arsh Dalla) অভিযুক্ত করা হয়। আরশ ডাল্লার (Khalistani Terrorist) বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো সহ ৫০টিরও বেশি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে তাঁকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে ভারত। তখনই ভারত সরকার কানাডার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করার জন্য। যদিও সেই আবেদন মানেনি কানাডা সরকার। অবশেষে ভারতের দাবিই মান্যতা পেল। গ্রেফতার করা হল আরশ ডাল্লাকে।

    ২০১৮ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিল ডাল্লা (Arsh Dalla)

    জানা গিয়েছে, কানাডাতে খুন হওয়া খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল আরশ ডাল্লা। ২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডায় বাইরে হত্যা করা হয় নিজ্জরকে। ২০১৮ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিল ডাল্লা (Khalistani Terrorist)। সেখানকার সারে নামে একটি জায়গাতে সে বসবাস করত। এমনটাই কানাডার সংবাদ মাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ডাল্লা লক্ষ্যবীর নামের একটি গ্যাংয়ের সঙ্গেও যুক্ত।

     

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 194: “সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ, তারপরেই ছাদ, মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম”

    Ramakrishna 194: “সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ, তারপরেই ছাদ, মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যখন তিনি সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় করেন তখন তাঁকে সগুণ ব্রহ্ম, আদ্যাশক্তি বলি। যখন তিনি তিন গুণের অতীত তখন তাঁকে নির্গুণ ব্রহ্ম, বাক্য-মনের অতীত বলা যায়; পরব্রহ্ম।

    “মানুষ তাঁর মায়াতে পড়ে স্ব-স্বরূপকে ভুলে যায়। সে যে বাপের অনন্ত ঐশ্বর্যের অধিকারী তা ভুলে যায়। তাঁর মায়া ত্রিগুণময়ী। এই তিনগুণই ডাকাত, সর্বস্ব হরণ করে; স্ব-স্বরূপকে ভুলিয়ে দেয়। সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ—তিন গুণ। এদের মধ্যে সত্ত্বগুণই ঈশ্বরের পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সত্ত্বগুণও নিয়ে যেতে পারে না।

    “একজন ধনী বনপথ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তিনজন ডাকাত এসে তাকে ঘিরে ফেলল ও তার সর্বস্ব হরণ করলে। সব কেড়ে-কুড়ে নিয়ে একজন ডাকাত বললে, ‘আর একে রেখে কি হবে? একে মেরে ফেল’—এই বলে তাকে কাটতে এল। দ্বিতীয় ডাকাত বললে, ‘মেরে ফেলে কাজ নেই, একে আষ্টে-পিষ্টে বেঁধে এইখানেই ফেলে রেখে যাওয়া যাক। তাহলে পুলিসকে খবর দিতে পারবে না।’ এই বলে ওকে বেঁধে রেখে ডাকাতরা চলে গেল। খানিকক্ষণ পরে তৃতীয় ডাকাতটি ফিরে এল। এসে বললে, ‘আহা তোমার বড় লেগেছে, না? আমি তোমার বন্ধন খুলে দিচ্ছি।’ বন্ধন খুলবার পর লোকটিকে সঙ্গে করে নিয়ে ডাকাত পথ দেখিয়ে দেখিয়ে চলতে লাগল। সরকারী রাস্তার কাছে এসে বললে, ‘এই পথ ধরে যাও, এখন তুমি অনায়াসে নিজের বাড়িতে যেতে পারবে।’ লোকটি বললে, ‘সে কি মহাশয়, আপনিও চলুন; আপনি আমার কত উপকার করলেন। আমাদের বাড়িতে গেলে আমরা কত আনন্দিত হব।’ ডাকাতটি বললে, ‘না, আমার ওখানে যাবার জো নাই, পুলিশে ধরবে।’ এই বলে সে পথ দেখিয়ে দিয়ে চলে গেল।

    “প্রথম ডাকাতটি তমোগুণ, যে বলেছিল, ‘একে রেখে আর কি হবে, মেরে ফেল।’ তমোগুণে বিনাশ হয়। দ্বিতীয় ডাকাতটি রজোগুণ; রজোগুণে মানুষ সংসারে বদ্ধ হয়, নানা কাজ জড়ায়। রজোগুণ ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়। সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ। তারপরেই ছাদ। মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম। ত্রিগুনাতীত না হলে ব্রহ্মজ্ঞান হয় না।”

    আচার্য—বেশ সব কথা হল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—(সহাস্যে)—ভক্তের স্বভাব কি জানো? আমি বলি তুমি শুন, তুমি বল আমি শুনি! তোমরা আচার্য, কত লোককে শিক্ষা দিচ্ছ। তোমরা জাহাজ, আমরা জেলেডিঙি। (সকলের হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে জামুইতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির, ৬,৬৪০ কোটির প্রকল্পের সূচনা

    PM Modi: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে জামুইতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির, ৬,৬৪০ কোটির প্রকল্পের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জনজাতি গৌরব দিবস পালন করতে বিহারের জামুইতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। এই দিনটিকে মোদি সরকার জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda) দেড়শতম জন্মবার্ষিকী পালন হচ্ছে দেশজুড়ে। এই উপলক্ষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জামুইতে ভগবান বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)? 

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এনিয়ে লেখেন, ‘‘জনজাতি গৌরব দিবসে ভগবান বিরসা মুন্ডার দেড়শতম জন্মবার্ষিকীর শুভারম্ভ হল। এই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জামুইয়ের ভূমি থেকে আমি সমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনেদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ 

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিনই ভগবান বিরসা মুন্ডার স্মরণে একটি মুদ্রা এবং পোস্টাল স্ট্যাম্পও চালু করেন। এর পাশাপাশি, এদিন তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একাধিক উন্নয়মূলক প্রকল্পের। যার মূল্য ৬,৬৪০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলি আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজে লাগবে বলে জানান তিনি।

    মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন জামুইতে পা রাখতেই জনগণের উন্মাদনা তুঙ্গে ওঠে। মৌসুমী দেবী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এখানে মোদিজিকে দেখতে এসেছি। তিনি কৃষকদের তথা দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমরা তাঁরই জন্য বিনামূল্য রেশন পরিষেবা পাচ্ছি করোনাকাল থেকে। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’’ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Janjatiya Gaurav Divas), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার উপনির্বাচনে অশান্তি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দেশের হিংসার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার (Mamata Banerjee) সেখানকার আইন-শৃঙ্খলাকে একদম পকেটে ভরে নিয়েছে এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে তোষণ করার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামী দিনে তা বাংলাদেশ হতে চলেছে।’’ 

    নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী

    একইসঙ্গে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, সিদ্ধারামাইয়াকেও তিনি তোপ দাগেন এবং বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।’’ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁর রাজ্যে অপারেশন লোটাস চালাতে চাইছে বিজেপি। এভাবেই কংগ্রেসের সরকারকে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়েই তাঁকে তোপ দাগেন গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেই একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কর্নাটক সরকার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছে। কংগ্রেস সরকার সে রাজ্যের টেন্ডারেও তোষণের রাজনীতি করছে। শুধু মুসলিম হওয়ার জন্য যদি রিজার্ভেশন দেওয়া হয়, তাহলে তার থেকে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে!’’

    সুইৎজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ হবে বোরখা, কী বলছেন গিরিরাজ (Giriraj Singh)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডে বোরখা নিষিদ্ধ হতে চলেছে। ২০২৫ সালের সালের ১ জানুয়ারি থেকে সে দেশে নিষিদ্ধ হবে বোরখা। এ নিয়ে গিরিরাজ বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিবর্তনের যুগ চলছে। নারী সশক্তিকরণের যুগ চলছে।’’ অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দেশে একটি নতুন সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে উগ্র মৌলবাদীদের ফতোয়ার কারণে মহিলারা সেই সমস্ত জায়গাতেও বোরখা (Burqa) পরছেন, যেখানে হয়ত তার দরকারই নেই।’’ গিরিরাজের দাবি, ‘‘মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে। এদেশে ১০০ কোটিরও বেশি হিন্দুর কাছে এগুলি নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার কারণ রাহুল গান্ধী কিংবা লালু প্রসাদ যাদব, তাঁরা হচ্ছেন ‘ভোটের সওদাগর’। তাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এগুলো সমর্থন করছেন। এদিন গিরিরাজ জমিয়তে-উলেমা-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানিকেও তীব্র আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে ইত্তেহাদ-ই-মিলাদি কাউন্সিলের প্রধান তকবীর রাজাকেও তিনি একহাত নেন। তাঁর মতে, ‘‘এঁরা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।’’

    বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে

    এদিন তিনি (Giriraj Singh) আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে। মুসলিম দেশগুলিতে বোরখার বিরুদ্ধে নারীরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে উগ্র মৌলবাদীরা নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করেছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় জায়গাতেও তাঁরা বোরখা (Burqa) পরছেন।’’ প্রসঙ্গত, মুসলিম নেতা মাদানি সম্প্রতি বলেছেন যে, পাঁচ লাখ লোক তাঁরা জমায়েত করবেন, ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে। আইনের বিপক্ষে গিয়ে তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন গিরিরাজ।

    গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী!

    সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও তোপ দেগেছেন তিনি। তিনি (Giriraj Singh) বলেন, ‘‘সারাদেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সবচেয়ে বেশি কংগ্রেস দল। কারণ তারাই দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। শুধুমাত্র তাই নয়, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’ খাড়্গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘খাড়্গে সাহেব আপনার উদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না, কারণ ভারতবর্ষের যুবসমাজ বর্তমানে জেগে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Guru Nanak Jayanti: স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে অমৃত দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস, আজ গুরু নানক জয়ন্তী

    Guru Nanak Jayanti: স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে অমৃত দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস, আজ গুরু নানক জয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর গুরু নানক জয়ন্তী। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানককে (Guru Nanak Jayanti) ‘বাবা নানক’ নামেও অভিহিত করা হয়। জানা যায়, ১৪৬৯ সালে গুরু নানকের জন্ম হয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিবের এক হিন্দু পরিবারে। শিখ ধর্মের এই প্রবর্তক আজীবন অগণিত মানুষকে দিশা দেখিয়েছেন। জীব সেবার নানা পথের সন্ধান তিনি দিয়েছেন। আজও তিনি সমাজকল্যাণের এক বটবৃক্ষ হয়ে রয়েছেন। গুরু নানকের জন্মদিন অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়। এই দিন শিখ (Sikhism) ধর্মাবলম্বী মানুষরা নগর কীর্তন বের করেন, শোভাযাত্রা করেন, গুরু নানকের উদ্দেশে স্তব গান করেন।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, ছোট থেকে গুরু নানকের (Guru Nanak Jayanti) মধ্যে ছিল প্রবল ঈশ্বর চিন্তা। অল্প বয়সেই নানকের বিয়ে হয় বলে জানা যায়। এরপরে কিছুকাল তিনি হিসাব রক্ষকের কাজও করেন। জানা যায়, প্রত্যহ সূর্যোদয়ের ১ ঘণ্টা আগে গুরুনানক নদীতে স্নান করতেন। এরকমই একটি অভিজ্ঞতার কথা কথিত হয়ে রয়েছে। ৩০ বছর বয়সে ভোরবেলায় নানক একদিন নদীতে স্নান করতে যান। সে সময় ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয় বলে কথিত রয়েছে। জানা যায়, ঈশ্বর (Sikhism) তাঁকে এক কাপ অমৃত দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তোমার মাধ্যমে আমার নাম মহিমান্বিত হবে। তোমাকে যে অনুসরণ করবে আমি তাকে রক্ষা করব। জীবনে দাতব্য (দান), অজু (পরিচ্ছন্নতা), সেবা (সেবাকার্য) এবং সিমরান (প্রার্থনা)-র ওপর জোর দিতে নানককে পরামর্শ দেন ঈশ্বর। জানা যায়, গুরু নানক তাঁর বার্তা ছড়িয়ে দিতে হেঁটে ভ্রমণ করেছিলেন, শ্রীলঙ্কা, বাগদাদ, মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন।

    গুরু নানকের (Guru Nanak Jayanti)  গুরুত্বপূর্ণ ১০ বাণী

    ১) ‘‘নিজের কাজ নিজে করো, কারও সাহায্য ছাড়াই কাজ করার চেষ্টা করো’’

    ২) ‘‘কোনও কুসংস্কারকে মনে প্রশ্রয় দিও না। কারণ কুসংস্কার মনের মধ্যে ভয় তৈরি করে। জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়।’’

    ৩) ‘‘যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।’’

    ৪) ‘‘যাঁর নিজের উপরে কোনও বিশ্বাস নেই, তিনি ভগবানকে কী করে বিশ্বাস করবেন!’’

    ৫) ‘‘জঙ্গলের মধ্যে ঢুকলে আলোর সন্ধান পাবে না। তাই উদার হও’’

    ৬) ‘‘ঈশ্বর আর মানুষ আলাদা নয়, মানুষকে ভালোবাসলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।’’

    ৭) ‘‘এমন কথাই সব সময় বলা উচিত যেখানে অন্যরা সেটা শুনে আপনাকে শ্রদ্ধা সম্মান করতে পারে।’’

    ৮) ‘‘ব্যক্তির তাঁর আয়ের ১০ ভাগ দাতব্য কাজে এবং ১০ ভাগ সময় ঈশ্বরের ভক্তির জন্য ব্যয় করা উচিত।’’

    ৯) ‘‘টাকা সবসময় পকেটে থাকা উচিত। এটি আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি রাখা উচিত নয়।’’

    ১০) ‘‘খারাপ কাজ করার চিন্তা করা উচিত নয় এবং কাউকে নির্যাতন করা উচিত নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birsa Munda: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    Birsa Munda: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উলিহাতু। মেরেকটে আড়াইশো পরিবারের বাস গ্রামে। মোট জনসংখ্যা ১,১২৬। এমন গ্রামের সংখ্যা ভারতে নেহাত কম নয়। গুণতে গেলে কয়েক লাখে থামতে হবে। তবে হঠাৎ উলিহাতু নিয়ে আলোচনা কেন? কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই গ্রামে? উত্তর হল, ছোট্ট প্রত্যন্ত এই গ্রাম এক দেশ বিখ্যাত যোদ্ধার জন্মভূমি। যাঁকে তাঁর অনুগামীরা ‘ধরতি আবা’ বলতেন। অর্থাৎ কিনা স্বয়ং ভগবান। যাঁকে দমানোর জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মাঠে নামতে হয়েছিল। তিনি মুন্ডা বিদ্রোহের অবিসংবাদী নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda)। আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর তাঁর ১৫০তম জন্মদিন। মুন্ডা শব্দটি সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার প্রকৃত অর্থ ‘গ্রাম প্রধান’।

    বিরসা মুন্ডার মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda)। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভ্যাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। এরফলে অরণ্যের ওপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর-ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে (Birsa Munda) হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা।

    বিরসার জন্মদিন ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ (Janjatiya Gaurav Divas)

    ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাতে আজও পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ ‘বিরসা মুন্ডা’কে ‘ভগবান বিরসা মান্দা’ হিসাবে পুজো করে থাকেন। এমন একজন ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব যিনি তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার কেন্দ্র- যিনি ভারতের সম্পদ, তিনি ব্রাত্য থেকেছে বরাবর। তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাত’, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Janjatiya Gaurav Divas), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসাবে উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে’’, মহারাষ্ট্রে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে’’, মহারাষ্ট্রে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharastra) নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে।’’ মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের লড়াইকে তিনি আখ্যা দেন সম্ভাজি মহারাজের বনাম ঔরঙ্গজেবের লড়াই হিসেবে। এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের তুলোধনা করেন ৩৭০ ধারা ইস্যুতেও। তিনি বলেন, ‘‘ যে ধারা কাশ্মীরকে আলাদা সংবিধান তৈরি করার অধিকার দিয়েছিল, ফের আবার তা ফিরিয়ে আনতে চলেছে কংগ্রেস ও জোট সঙ্গীরা।

    ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী 

    এরপরই তিনি জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, ‘‘মহারাষ্ট্র কি কংগ্রেসকে সমর্থন করে? যারা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে।’’ তারপরেই জনগণের (PM Modi) উদ্দেশ্যে তিনি দুটির মধ্যে একটিকে বাছতে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘একদিকে রয়েছে সম্ভাজি মহারাজের সমর্থকরা, অন্যদিকে রয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমর্থকরা। জনগণকে ঠিক করতে হবে তারা কাকে বাছবে। এদিন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে (Maharastra)। সেখানেই কংগ্রেসকে এক হাত নেন তিনি। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রস্তাব পেশ করেছে যাতে আর্টিকেল ৩৭০কে ফিরিয়ে আনা যায়। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস কখনও চায় না কাশ্মীর অখণ্ড ভারতের অংশ হোক।

    প্রত্যেক ভারতবাসী চায় জম্মু-কাশ্মীর শাসিত হোক বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থেকেই

    নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যখন কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারা মুক্ত করেছিলাম তখন কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গীরা এর বিরোধিতা করেছিল, সংসদে দাঁড়িয়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, তারা আদালতের দরজাতে কড়া নেড়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তারা ফের একবার সেই ৩৭০ ধারাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধান তারা চাইছে।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতবাসী চায় জম্মু-কাশ্মীর শাসিত হোক বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থেকেই।’’ প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেসের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘‘তারা জাতভিত্তিক জনগণনা চাইছে এবং তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসিদের মধ্যে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    Ghar Wapsi: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ৩০টি পরিবারের প্রায় ১৫০ জন হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তাঁদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল সনাতন ধর্মে (Sanatan Dharma)। গত ১০ নভেম্বর, ঘর ওয়াপসির (Ghar Wapsi) এই অনুষ্ঠান বৈদিক রীতি মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, হিন্দুদের খ্রিস্টান করার চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন পাস্তুর বিজ্জু ম্যাথিউ নামের এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি কেরলে। পুলিশের জেরার মুখে পাস্তুর জানিয়েছেন, ৩০০ হিন্দু পরিবারকে তিনি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে, দরিদ্র হিন্দুদের বিয়ে দিয়ে, শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে অথবা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা দিয়েই ধর্মান্তকরণের কাজ করতেন।

    উত্তরপ্রদেশের মিরাটের কঙ্করখেদা পুলিশ স্টেশনের ঘটনা 

    জানা গিয়েছে, ম্যাথিউ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই এই কাজে সক্রিয় ছিলেন। এই ঘটনার মামলা দায়ের হতেই ম্যাথিউকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের কঙ্করখেদা পুলিশ স্টেশনে। স্থানীয়দের সূত্রে খবর, ম্যাথিউ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই বিগত আড়াই মাস ধরে এই এলাকায় ভাড়ায় ছিলেন (Ghar Wapsi)। সেখানেই খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণের কাজ করতেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে বন্ধু হয়ে পাশে ছিলেন, ‘ডমিনিকা’-র সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ধর্মান্তকরণের তিন পদ্ধতি 

    প্রতি রবিবার নিজের বাড়িতে তিনি প্রার্থনাসভার আয়োজন করতেন এবং হিন্দুদের (Ghar Wapsi) সেখানে আহ্বান জানাতেন। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের (Sanatan Dharma) চোখে পড়তেই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে ম্যাথিউস তিন ধরনের প্ররোচনা দিতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, দরিদ্র হিন্দুদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের বিবাহের খরচ বহন করতেন, দ্বিতীয়ত, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁদেরকে দিতেন, তৃতীয়ত কেউ অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: জোর ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণায়! ১৫ নভেম্বর থেকে ৩ দিনের সম্মেলন করছে আরএসএস

    RSS: জোর ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণায়! ১৫ নভেম্বর থেকে ৩ দিনের সম্মেলন করছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণাকে যুব সমাজের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করতে তিন দিনের সম্মেলন করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এই সম্মেলন। যার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। এই সম্মেলনের নাম রাখা হয়েছে ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’ (Vision For Viksit Bharat)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন বলে পরিচিত ‘ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল’, গুরুগ্রামে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। সেখানকার এসজিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হবে এই সম্মেলন।

    সারা দেশ থেকেই ছাত্র-তরুণ-শিক্ষকরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন 

    কবীন্দ্র তালিয়ান হলেন বর্তমানে ‘ইউথ ইউনাইটেড ফর ভিশন অ্যান্ড অ্যাকশন’- এই মঞ্চের আহ্বায়ক। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দেশজুড়ে ছাত্ররা, শিক্ষকরা এবং যুবসমাজ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা আশাবাদী এই সম্মেলন সফল হবে।’’ সম্মেলনকে সফল করতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সমেত ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে হাজির হয়েছেন গুরুগ্রামে। জানা যাচ্ছে, ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধিরাও ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন সেখানে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গবেষণাপত্র জমা করবেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    কী জানালেন ভারতীয় শিক্ষণ মন্ডলের জাতীয় সভাপতি?

    ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের জাতীয় সভাপতি সচ্চিদানন্দন জোশি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে গবেষকরা গবেষণাপত্র জমা করবেন। তারপর সেগুলিকে বাছাই করা হবে। যেগুলি মনোনীত হবে, সেগুলিকে প্রদর্শন করা হবে। সচ্চিদানন্দ জোশি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণাতে (Vision For Viksit Bharat) বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সম্মেলন দেশজুড়ে যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত (RSS) করবে এবং তা গ্রামীণ বিকাশ এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে সংরক্ষণে সাহায্য করবে। জানা যাচ্ছে, এই সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরও ব্যবহার করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share