Tag: madhyom news

madhyom news

  • Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তীব্র ভাবে উত্তাল। তৃণমূলের তৈরি করা এসআইআর সম্পর্কিত বিভ্রান্তি আগুনে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে নিবিড় তালিকা সংশোধনে হিন্দুদের অভয় দিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

    চোর সরকারকে উৎখাত করবই (Sukanta Majumdar)

    এসআইআর নিয়ে কোনও ভয় নেই। চিন্তামুক্ত থাকতে বলেন রাজ্যবাসীকে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বিজেপির সকল নেতৃত্ব মিলে ঠিক করেছি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোর সরকারকে উৎখাত করবই। আর তা হলেই আমাদের শান্তি হবে। নয়তো আমাদের শান্তি নেই। তৃণমূল এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল বলবে মুসলমানদের বাদ দিয়ে দিয়ে দেবে। আমি বলব মসুলিমদের কোনও ভয় নেই। ভারতীয় নাগরিকদের কেউ ছুঁতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে আগতদের চিহ্নিত করা হবে। ভারতীয়রা এই দেশে আছেন থাকবেন।”

    ধর্মীয় বিভাজনের চক্রান্তকে সমালোচনা করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “আমরা প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ, ওরা ছদ্মবেশী ধর্ম নিরপেক্ষ। আমরা লড়াই চাই না। নরেন্দ্র মোদি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ চান। সিএএতে আবেদন করে নিজেদের অধিকারকে রক্ষা করুন।”

    ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত মালদা জেলায় শরণার্থী হিন্দুদের কাছে বিরোধী দলনেতার গ্যারান্টি এবং আবেদন সিএএ-তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করুন। ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি থাকছি, সমস্যা হবে না। মমতা এবং তাঁর পুলিশ বলছে সিএএতে আবেদন করলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। পেহেলগাঁওতে নিহত বিতান অধিকারীকে কেবলমাত্র হিন্দু বলেই খুন হতে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীকে সিএএতে আবেদন করিয়ে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি।”

  • Ramakrishna 490: “যতক্ষণ ‘আমি’ টুকু থাকে ততক্ষণ ভেদবুদ্ধি, ‘আমি’ গেলে কি রইল তা কেউ জানতে পারে না”

    Ramakrishna 490: “যতক্ষণ ‘আমি’ টুকু থাকে ততক্ষণ ভেদবুদ্ধি, ‘আমি’ গেলে কি রইল তা কেউ জানতে পারে না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও অবতারতত্ত্ব

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)—অনন্ত ঢুকুতে চাও কেন? তোমাকে ছুঁলে কি তোমার সব শরীরটা ছুঁতে হবে? যদি গঙ্গাস্নান করি তা হলে হরিদ্বার থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত কি ছুঁয়ে যেতে হবে? ‘আমি গেলে ঘুচিবে জঞ্জাল’। যতক্ষণ ‘আমি’ টুকু থাকে ততক্ষণ ভেদবুদ্ধি। ‘আমি’ গেলে কি রইল তা কেউ জানতে পারে না,— মুখে বলতে (Kathamrita) পারে না। যা আছে তাই আছে! তখন খানিকটা এঁতে প্রকাশ হয়েছে আর বাদবাকিটা ওখানে প্রকাশ হয়েছে,—এ-সব মুখে বলা যায় না। সচ্চিদানন্দ সাগর!—তার ভিতর ‘আমি’ ঘট। যতক্ষণ ঘট ততক্ষণ যেন দুভাগ জল,—ঘটের ভিতরে একভাগ, বাহিরে এক ভাগ। ঘট ভেঙে গেলে—এক জল—তাও বলবার জো নাই!—কে বলবে?

    বিচারান্তে ঠাকুর ত্রৈলোক্যের সঙ্গে মিষ্টালাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তুমি তো আনন্দে আছ?

    ত্রৈলোক্য—কই এখান থেকে উঠলেই আবার যেমন তেমনি হয়ে যাবে। এখন বেশ ঈশ্বরের উদ্দীপনা হচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—জুতো পরে থাকলে, কাঁটা বনে আর তার ভয় নাই। ‘ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য’ এই বোধ ধাকলে কামিনী-কাঞ্চনে আর ভয় নাই।

    ত্রৈলোক্যকে মিষ্টমুখ করাইতে বলরাম কক্ষান্তরে লইয়া গেলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ত্রৈলোক্যের ও তাঁহার মতালম্বী লোকদিগের ভক্তদের নিকট বর্ণনা করিতেছেন। রাত নয়টা হইল।

    অবতারকে কি সকলে চিনিতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গিরিশ, মণি ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—এর আকি জানো! একটা পাতকুয়ার ব্যাঙ কখনও পৃথিবী দেখে নাই; পাতকুয়াটি জানে; তাই বিশ্বাস করবে না যে, একটা পৃথিবী আছে। ভগবানের আনন্দের সন্ধান পায় নাই, তাই ‘সংসার, সংসার’ করছে।

    (গিরিশের প্রতি)—“ওদের সঙ্গে বকচো কেন? দুইই নিয়ে অছে। ভগবানের আনন্দের আস্বাদ না পেলে, সে আনন্দের কথা বুঝতে পারে না। পাঁচবছরের বালককে কি রমণসুখ বোঝানো যায়? বিষয়ীরা যে ঈশ্বর ঈশ্বর করে, সে শোনা কথা। যেমন খুড়ী জেঠিরা কোঁদল করে, তাদের কাছ থেকে বালকেরা শুনে শেখে আর বলে(Kathamrita), ‘আমার ঈশ্বর আছেন’, ‘তোর ঈশ্বরের দিব্য।

  • Sardar Vallabhbhai: ‘লৌহমানব’ বল্লভ ভাইয়ের ১৫০তম জন্মদিনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পালিত হবে ‘জাতীয় একতা দিবস’

    Sardar Vallabhbhai: ‘লৌহমানব’ বল্লভ ভাইয়ের ১৫০তম জন্মদিনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পালিত হবে ‘জাতীয় একতা দিবস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের লৌহমানব বলা হয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai)। তিনি দেশের একতা এবং অখণ্ডতার প্রতীক। দেশের জাতীয় সংহতি রক্ষায় তার ভূমিকা বিশেষ ভাবে স্মরণীয়। এই বছর ৩১ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন সার্ধশতবর্ষে পদার্পণ করবে। তাই তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে ‘জাতীয় একতা দিবস’ (Rashtriya Ekta Diwas) পালন হয়ে থাকে গোটা দেশ জুড়ে। এইবারেও বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজন হতে চলেছে। প্যাটেল নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং ভারতীয়ত্ববোধের তাগিদে স্বাধীনতা উত্তর ভারতে ৫৬০টির বেশি দেশীয় রাজ্যকে এক জাতিতে একত্রিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর এই অসামান্য কীর্তি দেশের কাছে আজও স্মরণীয়।

    ব্রিটিশ বিরোধী ছিলেন বল্লভভাই (Sardar Vallabhbhai)

    গুজরাটের কুর্মী পরিবারে জন্মে ছিলেন প্যাটেল (Sardar Vallabhbhai)। পিতা-মাতা ছিলেন জভেরভাই এবং লাডবাঈ। তাঁর বাবা ঝাঁসির রানীর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। মা ছিল অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ। গুজরাটি মিডিয়ামে প্রথম জীবনে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। গোধরায় প্র্যাকটিস করেন। তবে তাঁর কাজের গুণে ব্রিটিশ সরকার নানা প্রলোভন দিয়েছিল কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সারা জীবন ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতাই করেন। লবণ আইন সত্যাগ্রহ, অসহযোগ আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলনে গান্ধীজির সঙ্গে একজোট হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও অখণ্ডতার জন্য কাজ করেন (Rashtriya Ekta Diwas)।

    কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রদর্শনী

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai) জন্ম দিবসে গুজরাটের নর্মদা জেলার একতা নগরে প্যারোড এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। তবে এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা, শৃঙ্খলা এবং বীরত্ব প্রদর্শন করবে। একই ভাবে এই জাতীয় একতা দিবসের কুচকাওয়াজে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআইএসএফ, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বা আইটিবিপি এবং সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি অংশগ্রহণ করবে। আবার অসম, ত্রিপুরা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজ্যের এনসিসি বাহিনী এই কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করবে। তবে প্রদর্শনীতে ঘোড়া ও উটে চড়েও বাহিনীরা প্রদর্শনী দেখাবে। সঙ্গে থাকবে নানা মার্শাল আর্ট ও যুদ্ধের মহড়া।

    মার্শাল আর্টস প্রদর্শন করবেন মহিলারা

    প্যাটেলের জন্মদিনে (Sardar Vallabhbhai) কুচকাওয়াজে থাকবে মহিলা পুলিশ অফিসার এবং সাধারণ কর্মীদের অংশগ্রহণও। প্রধানমন্ত্রী গার্ড অফ অনার প্রধানে নেতৃত্ব দেবেন একজন মহিলা অফিসারকে। সিআইএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর মহিলা কর্মীরা মার্শাল আর্টস প্রদর্শন করবেন। কেউ কেউ আবার নিরস্ত্র ভাবে যুদ্ধের মহড়া প্রদর্শন করবেন। এই সব কিছুর উদ্দেশ্য হল দেশে নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়ণকে তুলে ধরা। দেশের নারীদের শৌর্যকে তুলে ধারাই জাতীয় একতার প্রতীক (Rashtriya Ekta Diwas)। তবে অনুষ্ঠান এখানেই থেমে থাকছে না সঙ্গে গুজরাট পুলিশের ঘোড়া বাহিনী, আসাম পুলিশের মোটর সাইকেল ডেয়ারডেভিল শো এবং বিএসএফের উট কন্টিজেন্ট এবং উট মাউন্টেডব্যাণ্ডের একটি মারচিং দলও থাকবে। এটাও বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে করছেন অনেকে।

    কুকুরের কুচকাওয়াজ

    বল্লভভাই-এর (Sardar Vallabhbhai) ১৫০ তম জন্মদিনে বিএসএফের তরফে ভারতীয় নানা জাতের কুকুরকে দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে রামপুর হাউন্ড, মুধোল হাউন্ডের দক্ষতাকে প্রদর্শন করবে। এই জাতের কুকুরগুলি বিএসএফের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। আত্মনির্ভর সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় এই উদ্যোগকে বিশেষ ভাবে সফল করেছে। তবে সর্বভারতীয় পুলিশ কুকুর প্রতিযোগিতায় মুধোল হাউন্ড রিয়া প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই বছরে কুকুরের কুচকাওয়াজে কুকুর স্কোয়াডে নেতৃত্ব দেবে।

    ১০টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে

    ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বা এনসিসি ক্যাডেট এবং স্কুল ব্যান্ড তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের জাঁকজমককে আরও বাড়িয়ে তুলবে। তরুণ এনসিসি ক্যাডেটরা তাদের শৃঙ্খলা এবং উৎসাহের মাধ্যমে একতার বার্তা দেবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সূর্য কিরণ দলের একটি দর্শনীয় বিমান প্রদর্শনীতে কুচকাওয়াজকে আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধি করবে।

    তবে বৈচিত্র্যের মধ্যে বার্তা দিতে বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলোও এই প্রদর্শনীতে ব্যবহার হবে। জাতীয় একতার (Sardar Vallabhbhai) প্রতীক হিসবে এনএসজি, একডিআরএফ, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, আন্দামান ও নিকোবর, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং পণ্ডিচেরির ১০টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে। জাতীয় একতা দিবসে সিআরপিএফের পাঁচজন কর্মকর্তাকে শৌর্যচক্র এবং বিএসএফের ১৬ জনকে বীরত্বের পদক দেওয়া হবে।

  • Mauritius: মরিশাসের গঙ্গাতালাওতে মা দুর্গার ১০৮ ফুটের মূর্তি এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

    Mauritius: মরিশাসের গঙ্গাতালাওতে মা দুর্গার ১০৮ ফুটের মূর্তি এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরিশাসে (Mauritius) গঙ্গাতালাওতে মা দুর্গার ১০৮ ফুটের একটি মূর্তি ভক্তদের বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই মূর্তি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দেবীমূর্তি। মা দুর্গার (Maa Durga) এই মূর্তিকে রাজকীয় স্থাপত্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। মা দুর্গার স্মৃতিস্তম্ভটি এই দ্বীপের গভীরে গ্রথিত করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের গভীর আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক এই দীপ্তিমান মূর্তি। উল্লেখ্য ভারতের সঙ্গে মরিশাসের ধর্মীয় যোগ বহু প্রাচীন। ভারতের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের প্রধান বিনিময়স্থল হল এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। হিন্দুদের জন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এখন উল্লেখযোগ্য জায়গা হল মরিশাস।

    ২০০০ ঘনমিটার কংক্রিট এবং ৪০০ টন লোহা ব্যবহারে নির্মিত (Mauritius)

    হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের উজ্জ্বলা শক্তিরূপা মা দুর্গার (Maa Durga) মূর্তির প্রতি যে কেবল মরিশাসের (Mauritius) হিন্দু সমাজেরই আস্থা রয়েছে তা নয়, ভারতের হিন্দুদের কাছেও এখন আধাত্মিক সাধানার প্রধানস্থলে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছয় বছর সময় লেগেছিল এই সম্পূর্ণ মূর্তি নির্মাণের কাজটিতে। তবে নির্মাণের জন্য সকল অর্থ ভক্তদের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে ২০০০ ঘনমিটার কংক্রিট এবং ৪০০ টন লোহা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিরাট স্থাপত্য নির্মাণে নানা রকমের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু শৈল্পিক ভাবনাই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে শ্রদ্ধা, আধ্যাত্মবোধ এবং ভক্তির আনন্দভাবও।

    মরিশাসের এই অঞ্চলটি প্রধান তীর্থস্থান

    শক্তি, সুরক্ষা এবং মাতৃত্বের প্রতীক হলেন এই মা দুর্গা। তিনি মোট আট হাতে চিরাচরিত দুর্গার অস্ত্র ধারণ করে রয়েছেন এবং সঙ্গে রয়েছে সিংহ বাহন। দেবী মূর্তি যেখানে স্থাপনা করা হয়েছে তাকে গঙ্গাতালাও বা গ্র্যান্ড বেসিন নামেও জানা যায়। চারিদিকে সবুজে ঘেরা এবং জলের মধ্যে অবস্থিত দেবীদুর্গা (Maa Durga)। ভারতে গঙ্গার জলধারার মতো পবিত্র ভাবা হয় এই গঙ্গাতালাও বা গ্র্যান্ড বেসিনকে (Mauritius)। মরিশাসের এই অঞ্চলটি প্রধান তীর্থস্থান। এখানে ভাগবান শিবের মূর্তিও রয়েছে। শিবের আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলকে আরও সমৃদ্ধ করতে দেবী দুর্গার এই বিরাট মূর্তি স্থাপনা করা হয়েছে। এখানে প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হন। এই জলাশয়ের কাছেই মহাশিব রাত্রি, নবরাত্রি পালিত হয়। বেদমন্ত্র পাঠ, ধর্মকথা, পুজো এবং ভজন কীর্তনে পরিমণ্ডল বিরাট আকার নেয়। তবে নবরাত্রি বা দুর্গা পুজোর সময় বিরাট আকারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থ ক্ষেত্রে পরিণত হয়। আর তাই ধর্মীয় আধ্যাত্মিকার থেকেও এখন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের উল্লেখযোগ্য প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই জায়গা।

  • Delhi Artificial Rain: দূষণরোধে দিল্লিতে হবে কৃত্রিম বৃষ্টি, জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

    Delhi Artificial Rain: দূষণরোধে দিল্লিতে হবে কৃত্রিম বৃষ্টি, জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: বায়ু দূষণে (Delhi Air Pollution) নাজেহাল দেশের রাজধানী দিল্লির আবহাওয়া। বিগত কংগ্রেস সরকার, আপ সরকার দেশের এই প্রাণকেন্দ্রের দূষণ নিয়ে খুব একটা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টিপাত নিয়ে দেশের আইআইটিগুলি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাকেই কাজে লাগাবে দিল্লি বিজেপি। বায়ু দূষণ রোধে দিল্লি সরকার এই বছর প্রথমবার দেশের জাতীয় রাজধানীর বুকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত (Delhi Artificial Rain) ঘটাবে। তবে এই বৃষ্টির কথা খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা নিজেই জানিয়েছেন।

    ২৮, ২৯, ৩০ হবে কৃত্রিম বৃষ্টি (Delhi Artificial Rain)

    দিল্লির বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, “২৮, ২৯, ৩০ অক্টোবর দিল্লির আকাশে মেঘ থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদি সব রকম অনুকূল পরিবেশ ঠিক থাকে তাহলে ২৯ অক্টোবর ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হতে পারে। বুরারি এলাকায় ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে।” ত্দবে দিল্লিতে এই প্রথমবার ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে (Cloud Seeding) কৃত্রিম বৃষ্টিপাত (Delhi Artificial Rain) করানো হতে পারে দূষণ রুখতে।

    দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলন, “আইআইটি কানপুর থেকে দিল্লি পর্যন্ত একটি ট্রায়াল ফ্লাইট ওড়ানো হয়েছে। মীরট, খেকরা, বুরারি, আলিগড় আবার কানপুরে ফিরে গিয়েছে। খেকরা এবং বুরারির মধ্যে ক্লাউড সিডিং করা হয়েছে।”

    ৩.২১ কোটি টাকার খরচে হবে বৃষ্টি

    কৃত্রিম বৃষ্টির (Delhi Artificial Rain) এই প্রক্রিয়ায় মোট খরচের কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, “৩.২১ কোটি টাকার এই উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হবে। একটি বিশেষ বিমান উড়বে উত্তর পশ্চিম দিল্লি এবং দিল্লির আশপাশের এলাকা দিয়ে। সেখানে জলীয় বাষ্প পূর্ণ মেঘের উপরে সিলভার আয়োডিনের ন্যানোপার্টিক্যাল, আয়োডাইজড নুন ও রক স্টলের মিশ্রণ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর জেরে মেঘে জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হবে এবং বৃষ্টি বর্ষণ করবে।”

    উল্লেখ্য দিল্লি সরকার আইআইটি কানপুরের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ৫টি ক্লাউড সিডিং (Cloud Seeding) ট্রায়াল করার কথা জানা গিয়েছে। উত্তর পশ্চিম দিল্লিতেও ক্লাউড সিডিং ট্রায়াল করা হবে। দীপবালির পর দিল্লির বাতাসের মান মারাত্মক আকার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণমান ছিল ৪২৯। ব্যাপক পরিমাণে আতশবাজি পড়ানোর ফলে গোটা রাজধানী ধুলোর চাদরে ঢেকে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হলেই চোখ জ্বালা, শ্বাস কষ্টের মতো নানা সমস্যার দেখা মিলছে।

  • Ramakrishna 489: “প্রেমই ঈশ্বরের সারাংশ— যে মানুষ দিয়ে ঈশ্বরের প্রেম আসে তাকেই আমাদের দরকার”

    Ramakrishna 489: “প্রেমই ঈশ্বরের সারাংশ— যে মানুষ দিয়ে ঈশ্বরের প্রেম আসে তাকেই আমাদের দরকার”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও অবতারতত্ত্ব

    একজন ভক্ত (ত্রৈলোক্যের প্রতি)—আপনার বইয়েতে দেখলাম আপনি অবতার মানেন না। চৈতন্যদেবের কথায় দেখলাম।

    ত্রৈললোক্য—তিনি নিজেই প্রতিবাদ করেছেন,—পুরীতে যখন অদ্বৈত ও অন্যান্য ভক্তেরা ‘তিনিই ভগবান’ (Ramakrishna) এই বলে গান করেছিলেন, গান শুনে চৈতন্যদেব ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ঈশ্বরের অনন্ত ঐশ্বর্য। ইনি যেমন বলেন ভক্ত ঈশ্বরের বৈঠকখানা। তা বৈঠকখানা খুব সাজান বলে কি আর কিছু ঐশ্বর্য নাই?

    গিরিশ—ইনি বলেন, প্রেমই ঈশ্বরের সারাংশ—যে মানুষ দিয়ে ঈশ্বরের প্রেম আসে তাকেই আমাদের দরকার। ইনি বলেন, গরুর দুধ বাঁট দিয়ে আসে, আমাদের বাঁটের দরকার। গরুর শরীরে অন্য কিছু দরকার নাই; হাত, পা কি শিং।

    ত্রৈলোক্য—তাঁর প্রেমদুগ্ধ অনন্ত প্রণালী দিয়ে পড়ছে! তিনি যে অনন্তশক্তি!

    গিরিশ—ওই প্রেমের কাছে আর কোন শক্তি দাঁড়ায়?

    ত্রৈলোক্য—যাঁর শক্তি তিনি মনে (Kathamrita) করলে হয়! সবই ঈশ্বরের শক্তি।

    গিরিশ—আর সব তাঁর শক্তি বটে,—কিন্তু অবিদ্যা শক্তি।

    ত্রৈলোক্য—অবিদ্যা কি জিনিস! অবিদ্যা বলে একটা জিনিস আছে না কি? অবিদ্যা একটি অভাব। যেমন অন্ধকার আলোর অভাব। তাঁর প্রেম আমাদের পক্ষে খুব বটে। তাঁর বিন্দুতে আমাদের সিন্ধু! কিন্তু ওইটি যে শেষ, একথা বললে তাঁর সীমা করা হল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্য ও অন্যানা ভক্তদের প্রতি)—হাঁ হাঁ, তা বটে। কিন্তু একটু মদ খেলেই আমাদের নেশা হয়। শুঁড়ির দোকানে কত মদ আছে সে হিসাবে আমাদের কাজ কি! অনন্ত শক্তির খপরে আমাদের কাজ কি?

    গিরিশ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)—আপনি অবতার মানেন?

    ত্রৈলোক্য—ভক্ততেই ভগবান (Ramakrishna) অবতীর্ণ। অনন্ত শক্তির manifestation হয় না,—হতে পারে না!—কোন মানুষেই হতে পারে না।

    গিরিশ—ছেলেদের ‘ব্রহ্মগোপাল’ বলে সেবা (Kathamrita) করতে পারেন, মহাপুরুষকে ঈশ্বর বলে কি পূজা করতে পারা যায় না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)—অনন্ত ঢুকুতে চাও কেন? তোমাকে ছুঁলে কি তোমার সব শরীরটা ছুঁতে হবে? যদি গঙ্গাস্নান করি তা হলে হরিদ্বার থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত কি ছুঁয়ে যেতে হবে? ‘আমি গেলে ঘুচিবে জঞ্জাল’।

  • Weather Update: আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’! বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    Weather Update: আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’! বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Weather Update) তৈরির ব্যাপক অনুকূল পরিস্থিতি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার সকালে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। ক্রমে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মন্থা’। ২৫ অক্টোবর, শনিবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে বিরাট আকার নেবে। ২৬ তারিখ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপের ফলে সৃষ্টি হওয়া সকল পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে আবহাওয়া দফতর।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)?

    শুক্রবার হাওয়া অফিস থেকে একটা বুলেটিন দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর ঘূর্ণাবর্তের (Weather Update) প্রভাব নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। গত কয়েক ঘণ্টায় ধীরে ধীরে তা পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। ২৭ অক্টোবর সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। তারপর গতিবিধি কেমন হবে পরিস্থিতি দেখে আরও ঠিক করে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

    আবার এই সপ্তাহের শেষে এবং আগামী সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও রকম সতর্কতা জারি করা হয়নি। আগামী সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় বৃষ্টি হবে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে শনিবার থেকে বৃষ্টি হবে।

    কলকাতার আবহাওয়া কেমন?

    কলকাতার (Kolkata Weather) আবহাওয়া (Weather Update) শুক্রবার মোটের উপর পরিষ্কার। শহরের আকাশ মেঘ মুক্ত। বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন থাকবে ৪৪ শতাংশ। তবে সোমবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম থাইল্যান্ডে দেওয়া হয়েছে ‘মন্থা’। উৎসবের আবহে ঝড়ের প্রভাব যেন থামছেই না। শীতের আগে ঘূর্ণিঝড়ের একের পর এক প্রভাবে বাংলা যেন আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছে। ঝড় এবং বৃষ্টির প্রভাব শীত না পড়া পর্যন্ত কি অবস্থায় থাকে তা নিয়ে একাংশের মনে উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে।

  • BJP: কলকাতা এবং শহরতলির ২৮টি বিধানসভায় কত ভোট বেড়েছে? ভোট ম্যাপিং করছে বঙ্গ-বিজেপি

    BJP: কলকাতা এবং শহরতলির ২৮টি বিধানসভায় কত ভোট বেড়েছে? ভোট ম্যাপিং করছে বঙ্গ-বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির (BJP) ভোট শতাংশ কত? গত বিধানসভার পর লোকসভায় কত আসন বেড়েছে? এলাকাভিত্তিক ২৮টি বিধানসভায় বিজেপির হাল কেমন? সল্টলেক অফিসে ভোট ম্যাপিং (BJP Vote Mappping) করতে চলেছে বিজেপি। সমর্থন এবং ভোট, আগে থেকে অনেক পরিমাণেই বেড়েছে। তাই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে কীভাবে রণনীতি গ্রহণ করবে সেই নিয়েও এদিন বিস্তর আলাপ-আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    এলাকাভিত্তিক প্রধান ইস্যুগুলি কী (BJP)?

    ভোট ম্যাপিং-এর আলোচনায় দলের তরফে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভুপেন্দ্র যাদব, সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব। অপরে রাজ্য বিজেপির পক্ষে থাকবেন শমীক ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। তবে জানা গিয়েছে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, যাদবপুর-কেন্দ্রের চার সাংগঠনিক জেলার মোট ২৮টি বিধানসভা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ম্যাপিং (BJP Vote Mappping) হবে। গত কয়েকটি নির্বাচনে কেমন ফলাফল হয়েছে তা বুঝেই আলোচনা হবে। কোন এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গে কত ব্যবধান, এলাকাভিত্তিক প্রধান ইস্যুগুলি কী? কোথায় মুসলিম জনসংখ্যা কেমন? ইত্যাদি এই নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। একই ভাবে তফশিলি ভোটার কোথায় কি পরিমাণে রয়েছে? সেই সব এলাকায় দলের কেমন আন্দোলন রয়েছে, আরও আন্দোলন করলে কতটা সাড়া মিলবে ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হবে। কতগুলি বুথ কমিটি গঠন হয়েছে, দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি কেমন-সহ নানান বিষয়ে অতীত আর বর্তমানের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ করা হবে। এই বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে আগামীদিনে কলকাতা এবং শহরতলির অংশে ভোটের রণনীতি ঠিক করা হবে।

    বাম-কংগ্রেস সুবিধা দেয় তৃণমূলকে

    উল্লেখ্য, লোকসভার ভোটে কলকাতা পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি (BJP)। খুব অল্প ব্যবধানে ১০টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তারা। আবার লোকসভা ভোটে তুলনামূলক দমদমে অনেক এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির অবশ্য দাবি, সিপিএম ২ লক্ষ ৪০ হাজার ভোট না কাটলে দমদম লোকসভা হতো বিজেপির (BJP Vote Mappping) দখলে। ফলে এই ভাবে বাম-কংগ্রেস কত ভোট কেটে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিয়েছে সেই দিকেও নজর দেবে বিজেপি। তৃণমূলকে হারাতে বাম-কংগ্রেসের কাটা ভোটকে কীভাবে বিজেপির খাতে আনা যায় তাই নিয়ে চলছে বিস্তর ভাবনা চিন্তা।

  • SIR: বঙ্গে এসআইআর শুরু নভেম্বরে শেষ জানুয়ারিতে, জানাল নির্বাচন কমিশন

    SIR: বঙ্গে এসআইআর শুরু নভেম্বরে শেষ জানুয়ারিতে, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই হতে চলেছে এসআইআর। দ্রুত ভোটার তালিকা সংশোধন এবং পরিমার্জন করে করা হবে এসআইআর (SIR)। এই কাজকে সম্পন্ন করতে বুধবার থেকে একাধিক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-দের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সুখবীর সিং ও বিবেক যোশী।

    জানুয়ারির মধ্যেই হবে কাজ শেষ (SIR)

    গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুই দিন দিল্লিতে এই বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা মতোই কাজ হয়েছে। বৈঠকের শেষে একটি বিশেষ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দুইদিন জুড়ে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এসআইআর (SIR) এবং প্রস্তুতি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে হবে। উপস্থিত মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার বা সিওদের তা নিয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “সিইওদের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন সংক্রান্ত প্রস্তুতির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাঁদের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।”

    ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকেই নজর

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতো গোটা দেশজুড়েই এসআইআর (SIR) হবে। তবে কোথায় কোন রাজ্যে কোন সময়ে হবে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমিশনের ইঙ্গিত ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকেই। কারণ ভোটের আগে ভাগেই এই রাজ্যগুলিতে নিবিড় তালিকার কাজ শেষ করতে চাইছে কমিশন। গত দুই দিনের বৈঠকে সামনেই ভোট রয়েছে এমন কেন্দ্র শাসিত এবং রাজ্যগুলিকে নিয়েই বৈঠক করা হয়েছে। এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিয়েছেন মনোজ আগরওয়াল। একই ভাবে তামিলনাড়ু এবং অসমের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে কমিশন। তবে এসআইআর-এর আবহেই বাংলার ৬০০ জন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন (Election Commission)। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে কেন অনীহা দেখাচ্ছেন? এই বিষয়ে কারণ দেখাতে বলেছে কমিশন। তবে বিএলও-র কাজে সাধারণত দায়িত্বে থাকেন রাজ্য সরকারের কর্মী বা স্কুল শিক্ষকেরা। ফলে কাজ ফেলে বা স্কুলের পড়ানো ছেড়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি উল্টো। যেহেতু এই রাজ্যে তৃণমূল এসআইআর চায় না, তাই কাজ না করার জন্য বিএলওদের আগেই ধমকি দেওয়া হয়েছে। এমন কি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় দেখে নেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ফলে নিবিড় তালিকা সংশোধন নিয়ে কর্মীদের মনে ভয়ের একটা বিষয় তো রয়েই গিয়েছে।

  • Pakistan: টমেটো ৬০০ টাকা কেজি! আফগান সংঘর্ষের ফলে পাকিস্তানে অগ্নিমূল্য সবজি, প্রবল ক্ষোভ জনমানসে

    Pakistan: টমেটো ৬০০ টাকা কেজি! আফগান সংঘর্ষের ফলে পাকিস্তানে অগ্নিমূল্য সবজি, প্রবল ক্ষোভ জনমানসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জঙ্গি হামলা করে পাকিস্তানকে এখন কড়া মাসুল গুনতে হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায় কার্যত নাজেহাল এই সন্ত্রাসের মদতপুষ্ট রাষ্ট্রটি। এবার আফগানিস্তানের সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষে পাকনাগরিকদের জীবন এখন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। দেশের আম জনতার দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী এবং পানীয় পণ্যে লেগেছে আগুন (Food Crisis)। গত একমাসে ৩০-৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। অত্যধিক অগ্নিমূল্যে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন চরম বিপাকে। টমেটোর কেজি ছুঁয়েছে ৬০০ টাকা। এই রকম খবর কেবল বাইরের দেশের নয় খোদ পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য তুলে ধরেছে। একে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হিংসাত্মক কার্যকলাপ এবং অপর দিকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে না পারার অক্ষমতা শাহবাজ শরীফের সরকারকে বিরাট বেকায়দায় ফেলেছে। ইতিমধ্যে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

    কাঁচামালের আমদানি নেই (Pakistan)!

    পাকিস্তানের (Pakistan) সংবাদ মাধ্যম বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ-উত্তেজনার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম আকাশছোঁয়া। রাওয়ালপিন্ডি শহরে টমেটোর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা প্রতি কেজি। স্থানীয় সবজি (Food Crisis) ব্যবসায়ী ইউনিয়ানের সভাপতি গোলাম কাদের বলেন, “টমেটোর চাহিদা খুব বেশি। অপর দিকে চাহিদার তুলনায় আমদানি নেই। আফগানিস্তান থেকে টমেটো রফতানি বন্ধ রয়েছে। কাঁচামালের সরবরাহ ঠিক করে না হলে দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।”

    সবজির অগ্নিমূল্য

    পাকিস্তান (Pakistan) দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন রাওয়ালপিন্ডিতে সবজির দাম নিয়ে বলেছে, দাম বেশি হওয়ার কারণে ছোট ছোট সবজি বিক্রেতারা টমেটো, মটর, আদা, রসুন বিক্রি ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন। রসুনের বাজার মূল্য দৈনিক ৪০০-তে পৌঁছে গিয়েছে। আদার দাম হয়েছে ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি। পিঁয়াজের দাম ১২০ টাকা প্রতি কেজি এবং মটরের দাম ৫০০ টাকা। ক্যাপসিকামের প্রতিকেজি (Food Crisis) মূল্য হয়েছে ৩০০ টাকা। ঢেঁড়সের দামও পৌঁছে গিয়েছে একই স্তরে। শসা ১৫০ টাকা কেজি এবং লাল গাজর ২০০ টাকা কেজি হয়েছে। লেবু হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি। এছাড়াও ছোট ছোট ছোলার দাম হয়েছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। এই ভাবে চড়া দামে জীবন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    আকাশ ছোঁয়া ফলের বাজার

    শুধু সবজির বাজারই আকাশছোঁয়া (Food Crisis) নয়। একইভাবে আগুন লেগেছে ফলের বাজারেও (Pakistan)। আপেলের মূল্য হয়েছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি। আঙুর ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডালিমের মূল্য ৪০০ টাকা প্রতি কেজি। পেয়ারার দাম কেজিতে ১৭০ টাকা। একটি নারকেলের মূল্য ৪০০ টাকা। এক ডজন কলার মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কমলালেবুর দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অগ্নিমূল্যে আমজনতার জীবন এখন নাভিশ্বাসে উঠেছে।

    কেন সংঘাত?

    আফগানমুলুকে পাকিস্তানের (Pakistan) বিমান হামলার ঘটনা তালিবানের প্রশাসন মোটেও ভালো নজরে নেয়নি। সেই সঙ্গে শরণার্থীদের সঙ্গে পাকিস্তান আর্মির অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার দুই দেশের সম্পর্ক এখন একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। এক্স হ্যান্ডলে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা একে অপরের নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ এড়ানোর বিষয় এবং পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করে সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্যের বাইরে অন্যকোনও বক্তব্যকে অবৈধ হিসেবে ধরা হবে। তবে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার ঘটনা থেকেই। পাকিস্তানের একমন্ত্রী অবশ্য সমস্ত কিছুর জন্য ভারতকেই দায়ী মনে করেছেন। তবে আজ এই পাকিস্তান যে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্রমেই ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে একথা আন্তর্জাতিক গবেষকদের অধিকাংশইরাই মনে করছেন।

LinkedIn
Share