Tag: madhyom news

madhyom news

  • Bangladesh: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    Bangladesh: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ ঘটা করে গণভবন দখল হয়েছিল! বাধ্য করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে ইস্তফা দিতে! অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরে সে দেশের জামাত ও বিএনপি’র সদস্যরা স্বাধীনতার উৎসব পালন করতে থাকেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বেলাগাম হয় বাংলাদেশের অসংখ্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মুরগির ডিম। দিনকয়েক আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সে দেশে এক-একটি মুরগির ডিমের দাম পৌঁছেছিল ১৫-১৬ (বাংলাদেশি) টাকায়। এই অবস্থায় ‘ভারতকে ইলিশ দেব না’, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশকে শেষমেষ হাত পাততে হল ভারতের কাছেই। ভারত থেকে ডিম যাওয়ার পরে বাংলাদেশিরা স্বস্তি পেল। 

    ভারত থেকে গেল প্রায় আড়াই লক্ষ ডিম (Bangladesh)  

    ভারত-বিরোধী একাধিক পোস্ট এখনও দেখা যাচ্ছে। যেখানে জামাত বিএনপি’র সমর্থকরা সদর্পে ঘোষণা করছেন, তাঁরা ভারত-বিরোধী। তবে শত্রু দেশের কাছে হাত পেতে ডিম নিতে তাদের সে অর্থে কোনও লজ্জা লাগছে না! হাজার হোক সবার আগে তো পেটের চিন্তা! অনেকেই তাই ব্যঙ্গের সুরে বলছেন যে বাংলাদেশিদের (Bangladesh) একাংশ সমাজ মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা বলছেন, অথচ তাঁরাই এখন ডিমের অভাবে ভারতের কাছে হাত পাতছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভারত থেকে গেল ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি মুরগির ডিম। ওজনের হিসাবে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি।

    বাংলাদেশে অর্ধক হল ডিমের দাম

    অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ সেই ডিম আমদানি করতেই এক ধাক্কায় ডিমের দাম সেখানে নেমে গিয়েছে অনেকটাই কমেছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় ভারত থেকে যাওয়া প্রতিটি ডিমের দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের উপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ থেকে ৭.৫০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে যেখানে এই দর পৌঁছে গিয়েছিল ১৫-১৬ (বাংলাদেশি) টাকা প্রতি পিস।

    ভারতকে ইলিশ দেব না…

    শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন পুজোর ‘উপহার’ হিসেবে আসত পদ্মার ইলিশ।সেই ধারাবাহিকতা ভেঙে এ বার উৎসবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই ইউনূস সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে না। এই মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রককে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই আবহেই বাংলাদেশে (Bangladesh) পৌঁছাল মুরগির ডিম। ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিমের গাড়ি পৌঁছনোর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘আমদানি করা ডিমের গুণগতমান পরীক্ষার পর সেগুলি মঙ্গলবারই বাজারজাত করা হয়েছে।’’

    পাশে থাকতে জানে ভারত

    ইলিশের যোগান থেকে ভারতের থেকে বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে নিলেও, ভারত কিন্তু, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রয়োজনের সময় মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত প্রমাণ করল যে, এই দেশ উদারতা জানে। ভারত যাকে বন্ধু মনে করে, তার পাশে দাঁড়াতে জানে। যে কারণে, ইলিশ নিয়ে বাংলাদেশের বড় বড় কথা সত্ত্বেও ভারত ডিম নিয়ে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়নি। ১১০৪টি কার্টনের মাধ্যমে ওই বিপুলসংখ্যক ডিম বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করে। সমস্ত ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা।

    আরও ডিম আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে

    বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী শহরে ‘হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন’ নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। রফতানি হয়েছে ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এবিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস্ হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। তার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘‘ডিমের বাজারে অস্থিরতা দূর করার জন্য আরও বেশি ডিম আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুও হয়েছে। এই ভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ আবার অল্পমূল্যে ডিম কিনতে পারবেন।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমেল করে ১০ আন্দোলনকারীকে নবান্নে যাওয়ার বার্তা দেন স্বাস্থ্য সচিব। ঘটনাক্রমে এই স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG kar)। শেষে তাঁকে দিয়েই ইমেল পাঠানো হল! ফলত, ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় হয়ে রয়েছেন তাঁরা। 

    স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা (RG kar)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এই ইমেল পাঠানো হয়।ইমেলের মাধ্যমে এদিন বৈঠকের কথা বলা হলেও আন্দোলনকারীরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে নবান্নে যাননি। উল্টে তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) কাছ থেকে ইমেল আসা অপমানজনক। ইমেলের শুরুতে শুধু ‘স্যার’ লেখা নিয়েও আপত্তি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। সেখানে স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্য়ন্ত কর্মবিরতি চলবে। এপ্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো জানিয়েছিলেন, তাঁরা (জুনিয়র ডাক্তার) শিক্ষানবিশ, গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে তাহলে রাজ্য সরকার মানুষকে পরিষেবা কীভাবে দেবে? মঙ্গলবার কাজে যোগ না দিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। একাধিক দাবিও জানান। পাঁচটার পরই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল পান আন্দোলনকারীরা। নবান্নে বৈঠকের জন্য বার্তা পাঠানো হয়।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)

    আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘এদিন আমরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে এসেছিলাম। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছিলাম। সেই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা আমরা সদর্থক হিসেবে দেখছি না। স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) তরফে আসা ইমেল আমাদের কাছে অপমানজনক।’’ তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনার পথ খোলা রাখতে চান বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নবান্নের শীর্ষ স্তর থেকে বার্তা এলে তাঁরা ভেবে দেখবেন। মাত্র দশ জনকে বৈঠকে ডাকায় ব্যাপক অসন্তুষ্ট হয়েছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)। তাঁরা বলেন, ‘‘দশ জনকে ডাকা অসম্মানজনক বলে মনে করছি।’’ প্রতিনিধি দলে কতজন থাকবেন, তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নবান্নে রাজ্য সরকারের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই তাঁরা ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের যুক্তি, তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। কিন্তু বৈঠকের জন্য যে মেলটি পাঠানো হয়েছে, তা এসেছে স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
       (গীতা — ১২।৫)

    ভক্তিযোগ যুগধর্ম—জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—দাস আমি—ভক্তের আমি—বালকের আমি

    বিজয় (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়! আপনি ‘বজ্জাৎ আমি’ ত্যাগ করতে বলছেন (Kathamrita)। ‘দাস আমি’-তে দোষ নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, দাস আমি অর্থাৎ আমি ঈশ্বরের দাস, আমি তাঁর ভক্ত—এই অভিমান। এতে দোষ নাই বরং এতে ঈশ্বরলাভ হয়।

    বিজয়—আচ্ছা, যার “দাস আমি” তার কাম-ক্রোধাদি কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঠিক ভাব যদি হয়, তাহলে কাম-ক্রোধের কেবল আকার মাত্র থাকে। যদি ঈশ্বরলাভের পর “দাস আমি” বা “ভক্তের আমি” থাকে, সে ব্যক্তি কারু অনিষ্ট করতে পারে না। পরশমণি ছোঁয়ার পর তরবার সোনা হয়ে যায়, তরবারের আকার থাকে, কিন্তু কারু হিংসা করে না।

    নারিকেল গাছের বেল্লো শুকিয়ে ঝরে পড়ে গেলে কেবল দাগমাত্র থাকে। সেই দাগে এইটি টের পাওয়া যায় যে, এককালে ওইখানে নারিকেলের বেল্লো ছিল। সেইরকম যার ঈশ্বরলাভ হয়েছে, তার অহংকারের দাগমাত্র থাকে, কাম-ক্রোধের আকারমাত্র থাকে; বালকের অবস্থা হয়। বালকের যেমন সত্ত্ব, রজঃ, তমো গুণের মধ্যে কোন গুণের আঁট নাই। বালকের কোন জিনিসের উপর টান করতেও যতক্ষণ—তাকে ছাড়তেও ততক্ষণ। একখানা পাঁচ টাকার কাপড় তুমি আধ পয়সার পুতুল দিয়ে ভুলিয়ে নিতে পার। কিন্তু প্রথমে খুব আঁট করে বলবে (Kathamrita) এখন—না আমি দেব না। আমার বাবা কিনে দিয়েছে। বালকের আবার সব্বাই সমান—ইনি বড়, উনি ছোট, এরূপ বোধ নাই। তাই জাতি বিচার নাই। মা বলে দিয়েছে, ও তোর দাদা হয়, সে ছুতোর হলেও একপাতে বসে ভাত খাবে। বালকের ঘৃণা নাই, শুচি-অশুচি বোধ নাই। পায়খানায় গিয়ে হাতে মাটি দেয় না।

    কেউ কেউ সমাধির পরও ভক্তের আমি, দাস আমি নিয়ে থাকে। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ভক্ত, তুমি ভগবান—এই অভিমান ভক্তের থাকে। ঈশ্বরলাভের পরও থাকে, সব আমি যায় না। আবার এই অভিমান অভ্যাস করতে করতে ঈশ্বরলাভ হয়। এরই নাম ভক্তিযোগ।

    ভক্তির পথ ধরে গেলে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। ভগবান সর্বশক্তিমান, মনে করলে ব্রহ্মজ্ঞানও দিতে পারেন। ভক্তেরা প্রায় ব্রহ্মজ্ঞান চায় না। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ছেলে, তুমি মা—এই অভিমান রাখতে চায়।

    বিজয়—যাঁরা বেদান্ত বিচার করেন, তাঁরাও তো তাঁকে পান?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, বিচারপথেও তাঁকে পাওয়া যায়। একেই জ্ঞানযোগ বলে। বিচারপথ বড় কঠিন। তোমায় তো সপ্তভূমির কথা বলেছি। সপ্তভূমিতে মন পৌঁছিলে সমাধি হয়। ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়। কিন্তু কলিতে জীব অন্নগত প্রাণ, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা কেমন করে বোধ হবে? সে-বোধ দেহবুদ্ধি না গেলে হয় না। আমি দেহ নই, আমি মন নই, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব নই, আমি সুখ-দুঃখের অতীত, আমার রোগ, শোক, জরা, মৃত্যু কই?—এ-সব বোধ কলিতে হওয়া কঠিন। যতই বিচার কর, কোন্‌খান থেকে দেহাত্মবুদ্ধি এসে দেখা দেয়। অশ্বত্থগাছ এই কেটে দাও, মনে করলে মূলসুদ্ধ উঠে গেল। কিন্তু তার পরদিন সকালে দেখ, গাছের একটি ফেঁকড়ি দেখা দিয়েছে! দেহাভিমান যায় না। তাই ভক্তিযোগ কলির পক্ষে ভাল, সহজ।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Radha Ashtami 2024: আজ রাধাষ্টমী, কীভাবে পালন করবেন? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য

    Radha Ashtami 2024: আজ রাধাষ্টমী, কীভাবে পালন করবেন? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024)। এই দিনটিকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ বলে মানা হয়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতেই রাধাষ্টমীর উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পরেই দেশ-বিদেশে এই উৎসব (Hindu Festival) পালিত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই বিশেষ দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধারানি। এই শুভ তিথিতে রাধারানি এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে বলেই বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, এই দিনটি রাধাজয়ন্তী নামেও পরিচিত।

    রাধাষ্টমীর তিথি (Radha Ashtami 2024)

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে রাধাষ্টমীর তিথি শুরু হয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র, ইংরেজির ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ১৪ মিনিট থেকে। অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে আজ বুধবার ২৬ ভাদ্র, বুধবার ইংরেজির ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে অষ্টমী তিথি আরম্ভ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। অষ্টমী তিথি শেষ হবে আজ সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।

    রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) তাৎপর্য

    রাধাষ্টমীর ব্রতে (Hindu Festival) বাড়ির মহিলারা উপবাস রাখেন এবং রাধারানির পাশাপাশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন। মনে করা হয় এতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) ব্রত পালন করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অবারিত সৌভাগ্য ও সন্তান লাভের ইচ্ছা পূরণ হয়। ঘরে আসে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, বাড়িতেও দেবী লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান হয়। এই কারণে তাদের কখনও আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না।

    রাধাষ্টমীর ব্রতপালনে কোন কোন কাজ করবেন

    রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024) উপবাসের নির্জলা উপবাস পালন করুন এবং শুভ সময়ে পুজো করুন।

    ভক্তদের রাধারানি সহ ভগবান শ্রী কৃষ্ণেরও পুজো করা উচিত এদিন। কারণ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ হলেন শ্রী রাধার আরাধ্য দেবতা।

    ব্রত পালনের দিনে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।

    ব্রত পালনের শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করুন যাকে রাধারমণ বলা হয়। এতে রাধারানি খুব খুশি হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone 16: ভারতে লঞ্চ হল অ্যাপলের আইফোন ১৬, দাম শুরু ৭৯ হাজার টাকা থেকে

    Apple iPhone 16: ভারতে লঞ্চ হল অ্যাপলের আইফোন ১৬, দাম শুরু ৭৯ হাজার টাকা থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের বাজারেও অ্যাপল লঞ্চ করল আইফোন ১৬ সিরিজ (Apple iPhone 16)। সোমবার রাতে আইফোন প্রস্তুত কারক সংস্থা অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজ, আইফোন ১৬ প্লাস সিরিজ এবং আইফোন ১৬ প্রো সিরিজ লঞ্চ করেছে। আইফোন ১৬-এ অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ভাইব্রেন্ট কালার, ২০০০ নিটস ব্রাইটনেসের একটি ডিসপ্লে রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং আইফোন ১৬ প্লাস-এ (Apple iPhone 16) রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে। এতে ক্যামেরা কন্ট্রোলও পাওয়া যাচ্ছে। এটি এক ধরনের নতুন বাটন যা পাওয়ার বাটনের ঠিক নিচে দেওয়া আছে।

    ভারতে দাম (Apple iPhone 16)

    ভারতে আইফোন ১৬-এর দাম ৭৯,০০০ টাকা এবং আইফোন ১৬ প্লাস-এর দাম ৮৯,৯০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, আইফোন ১৬ প্রো মডেলের দাম শুরু হচ্ছে ১,১৯,৯০০ টাকা থেকে। সবচেয়ে দামি ফোন হল আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স, যার দাম ১,৪৪,৯০০ টাকা। প্রসঙ্গত, এই মডেলগুলি বুক করা যাবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। সেদিন থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বুক করা যাবে। এই ফোনটি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরই আইফোন ১৫ এবং ১৫ প্রো সিরিজ গত বছর লঞ্চ করা হয়েছিল। আইফোন ১৬ সিরিজে ডিজাইন থেকে শুরু করে ক্যামেরা সেন্সর এবং চিপসেটেও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সও। নতুন মডেলে (Apple iPhone) রয়েছে এ১৮ চিপসেট। একইসঙ্গে আইওএস-১৮ আছে নতুন সিরিজে ৷

    ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য (Apple iPhone 16)

    আইফোন ১৬-র ক্যামেরা সেন্সরগুলি আইফোন ১৫-র তুলনায় অনেকটাই অত্যাধুনিক। আপগ্রেড ক্যামেরা (Apple iPhone) সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে নতুন মডেলে। আইফোন ১৬-র স্ট্যান্ডার্ড ভেরিয়েন্টে একটি নতুন ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি কম আলোর সেন্সরও উন্নত করা হয়েছে। আইফোন ১৬ সিরিজের ক্যামেরায় ডিএসএলআর স্টাইল শাটার বাটন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, একটি ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যা ২এক্স টেলিফটো লেন্সের সঙ্গে আনা হয়েছে। এতে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি সাপোর্ট করে। এর সাহায্যে ৬০ এফপিএস রেটে ৪কে ভিডিও শ্যুট করা সম্ভব হবে।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur violence: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    Manipur violence: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফের অশান্তি ছড়িয়েছে মণিপুরে। গত কয়েকদিনের হিংসায় এখনও পর্যন্ত আটজনের (Manipur violence) মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই আবহে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মণিপুর শাখা একটি বৈঠক করে গত শনিবার। আরএসএস-এর (RSS) প্রদেশ স্তরের এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় সে রাজ্যের হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে। এরপরেই সংবাদমাধ্যমে আরএসএস-এর মণিপুর শাখা এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মণিপুর শাখা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সাধারণ নাগরিক সমাজের ওপরে কুকি জঙ্গিরা যে ধরনের হামলা চালাচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সঙ্ঘের প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘এই হামলাগুলির মধ্যে ড্রোন, রকেট, মিসাইল- এ সমস্ত কিছু ব্যবহার হচ্ছে। এই ধরনের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের (Manipur violence) ব্যবহার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক যোগও রয়েছে।’’

    কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক (Manipur violence)

    রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) এই প্রেস বিবৃতিতে। ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘শান্তি এখনও ফেরানো যায়নি মণিপুরে (Manipur violence)। দীর্ঘদিন ধরে এই অশান্তি চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক এই বিষয়ে এবং মণিপুরের শান্তিকে প্রতিষ্ঠা করুক। কারণ অনেকদিন ধরে অশান্ত মণিপুরে ভুগছে সাধারণ মানুষ।’’ জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষ কীভাবে অসুরক্ষিত (Manipur violence) হয়ে রয়েছেন সে নিয়েও। কুকি জঙ্গিদের এই আগ্রাসন ঠেকানো অতি শীঘ্র দরকার বলেই মনে করছে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) মনে করছে, কড়া পদক্ষেপই একমাত্র মণিপুরের অশান্তিকে ঠেকাতে পারে।

    কীভাবে অশান্ত হল মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে। দেড় বছর ধরে হিংসা চললেও এখনও থামেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    অহং কিন্তু যায় না—“বজ্জাৎ আমি”—“দাস আমি” 

    যে আমিতে সংসারী করে, কামিনী-কাঞ্চনে (Ramakrishna) আসক্ত করে, সেই আমি খারাপ। জীব ও আত্মার প্রভেদ হয়েছে, এই আমি মাঝখানে আছে বলে। জলের উপর যদি একটা লাঠি ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে দুটো ভাগ দেখায়। বস্তুত, এক জল; লাঠিটার দরুন দুটো দেখাচ্ছে।

    অহং-ই এই লাঠি। লাঠি তুলে লও, সেই এক জলই থাকবে।

    বজ্জাৎ আমি কে? যে আমি বলে (Kathamrita), আমায় জানে না? আমার এত টাকা, আমার চেয়ে কে বড়লোক আছে? যদি চোরে দশ টাকা চুরি করে থাকে, প্রথমে টাকা কেড়ে লয়, তারপর চোরকে খুব মারে; তাতেও ছাড়ে না, পাহারাওয়ালাকে ডেকে পুলিসে দেয় ও ম্যাদ খাটায়, বজ্জাৎ আমি বলে, জানে না—আমার দশ টাকা নিয়েছে! এত বড় আস্পর্ধা!

    বিজয়—যদি অহং না গেলে সংসারে আসক্তি যাবে না, সমাধি হবে না, তাহলে ব্রহ্মজ্ঞানের পথ অবলম্বন করাই ভাল, যাতে সমাধি হয়। আর ভক্তিযোগে যদি অহং থাকে তবে জ্ঞানযোগই ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুই-একটি লোকের সমাধি হয়ে ‘অহং’ যায় বটে, কিন্তু প্রায় যায় না। হাজার বিচার কর, ‘অহং’ ফিরে ঘুরে এসে উপস্থিত। আজ অশ্বত্থগাছ কেটে দাও, কাল আবার সকালে দেখ ফেঁকড়ি বেরিয়েছে। একান্ত যদি ‘আমি’ যাবে না, থাক শালা ‘দাস আমি’ হয়ে। ‘হে ঈশ্বর! তুমি প্রভু, আমি দাস’ এইভাবে থাক। ‘আমি দাস’, ‘আমি ভক্ত’ এরূপ ‘আমিতে’ দোষ নাই; মিষ্ট খেলে অম্বল হয়, কিন্তু মিছরি মিষ্টির (Kathamrita) মধ্যে নয়।

    জ্ঞানযোগ ভারী কঠিন। দেহাত্মবুদ্ধি না গেলে জ্ঞান হয় না। কলিযুগে অন্নগতপ্রাণ—দেহাত্মবুদ্ধি, অহংবুদ্ধি যায় না। তাই কলিযুগের পক্ষে ভক্তিযোগ। ভক্তিপথ সহজ পথ। আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে (Ramakrishna) লাভ করবে, কোন সন্দেহ নাই।

    যেমন জলরাশির উপর বাঁশ না রেখে একটি রেখা কাটা হয়েছে। যেন দুই ভাগ জল। আর রেখা অনেকক্ষণ থাকে না। দাস আমি, কি ভক্তের আমি, কি বালকের আমি—এরা যেন আমির রেখা মাত্র।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 129: “লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না”

    Ramakrishna 129: “লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

     সপ্তভূমি—অহংকার কখন যায়— ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা 

    জ্ঞানলাভ হলে অহংকার যেতে পারে। জ্ঞানলাভ হলে সমাধিস্থ হয় (Kathamrita)। সমাধিস্থ হলে তবে অহং যায়। সে জ্ঞানলাভ (Ramakrishna) বড় কঠিন।

    বেদে আছে (Kathamrita) যে, সপ্তমভূমিতে মন গেলে তবে সমাধি হয়। সমাধি হলেই তবে অহং চলে যেতে পারে। মনের সচরাচর বাস কোথায়? প্রথম তিনভূমিতে। লিঙ্গ, গুহ্য, নাভি—সেই তিনভূমি, তখন মনের আসক্তি কেবল সংসারে—কামিনী-কাঞ্চনে। হৃদয়ে যখন মনের বাস হয়, তখন ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) জ্যোতিঃদর্শন হয়। সে ব্যক্তি জ্যোতিঃদর্শন করে বলে একি! একি! তারপর কণ্ঠ। সেখানে যখন মনের বাস হয়, তখন কেবল ঈশ্বরীয় কথা কহিতে ও শুনিতে ইচ্ছা হয়। কপালে—ভ্রূমধ্যে—মন গেলে তখন সচ্চিদানন্দরূপে দর্শন হয়, সেই রূপের সঙ্গে আলিঙ্গন স্পর্শন করতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু পারে না। লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না। সপ্তমভূমিতে মন যখন যায়, তখন অহং আর থাকে না—সমাধি হয়।”

    বিজয়—সেখানে পৌঁছিবার পর যখন ব্রহ্মজ্ঞান হয়, মানুষ কি দেখে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সপ্তমভূমিতে মন পৌঁছিলে কি হয় মুখে বলা যায় না।

    জাহাজ একবার কালাপানিতে গেলে আর ফিরে না। জাহাজের খপর পাওয়া যায় না। সমুদ্রের খপরও জাহাজের কাছে পাওয়া যায় না।

    নুনের ছবি সমুদ্র মাপতে গিছিল। কিন্তু যাই নেমেছে, অমনি গলে গেছে! সমুদ্র কত গভীর কে খপর দিবেক? যে দিবে, সে মিশে গেছে। সপ্তমভূমিতে মনের নাশ হয়, সমাধি হয়। কি বোধ হয়, মুখে বলা (Kathamrita) যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মমতার উৎসব-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সুকান্ত-শমীকরা, ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররাও

    RG Kar: মমতার উৎসব-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সুকান্ত-শমীকরা, ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘উৎসব মন্তব্য’-এর তীব্র বিরোধিতা (RG Kar) করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। গতকালই মমতার এমন মন্তব্যের জেরে ফুঁসছে রাজ্যের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। এবার এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের নেতাদের (West Bengal BJP) গলায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কী মনে করেন? গোটা রাজ্যের মানুষ কি ওঁর দলের চাকর বাকর নাকি! উনি ঠিক করে দেবেন মানুষ কখন আন্দোলন শেষ করবে?’’

    উনি ওনার ভাইপো ভাতিজাকে নিয়ে উৎসব পালন করবেন

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্তর বক্তব্য, ‘‘গোটা বাংলা ভারাক্রান্ত (RG Kar)। জীবনে কখনও যে মা মিছিলে হাঁটেননি, তিনিও পথে। নির্যাতিতাকে সকলে কন্যা, মা, সহোদরা মনে করে আন্দোলনে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সমব্যথী হয়ে রাজ্যের মানুষকে সমবেদনা জানানোর। তা না করে আন্দোলনকে ভয় পেয়ে তিনি মানুষকে পুজোর আনন্দে মাততে বলছেন! এটা নিন্দনীয়।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘বাংলার মানুষ এই উৎসব মন খারাপ নিয়েই পালন করবে। দেবী দুর্গা আসেন, উমাকে নিজের ঘরের মেয়ের মত বরণ করি আমরা। এবার বাঙালি মন খারাপ করেই পালন করবেন পুজো। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আনন্দ উচ্ছ্বাস হয়েছে। উনি ওনার ভাইপো ভাতিজাকে নিয়ে পালন করবেন কোনও অসুবিধা নেই।’’

    মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শমীক ভট্টাচার্যের

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির (West Bengal BJP) রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এই কথায় স্বৈরাচারীর স্বর রয়েছে। উৎসব তো হয় মনের আনন্দে। মনে আনন্দ থাকলে (RG Kar) তবেই তো উৎসব। উনি তো মানুষের আনন্দটাই কেড়ে নিয়েছেন। তাই মানুষই মানুষের পথ ঠিক করবে।’’ শমীক ভট্টাচার্যের আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দলের নিচু তলার কর্মী-সমর্থকেরাও বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন।

    মমতার মন্তব্যকে ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁদের একজনের কথায়, ‘‘আমরা সেদিনই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করব, সেদিনই দেবী দুর্গাকে আহ্বান করতে পারব যেদিন আমাদের অভয়া বিচার পাবে। তাঁর আগে আমাদের কোনও উচ্ছ্বাস নেই।’’ আরেক আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘খুবই দুঃখজনক। আমরা এই বক্তব্যকে ধিক্কার জানাই। যেখানে সারা বিশ্ব জাস্টিসের দাবিতে কথা বলছে, আর উনি খেলা-মেলা-উৎসব দিয়ে মানুষকে ভোলাতে চাইছেন। আর কিছু বলার ভাষা নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা! আজ ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা! আজ ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) ইসুতে ক্রমশই ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্য আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ঠিক এই আবহে আজ মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত অভিযানের (Swasthya Bhawan Rally) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত ৯ অগাস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তীব্র আন্দোলন তৈরি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচারের দাবিতে তাঁরা পথে নেমেছেন। এর আগে লালবাজারের অভিযানও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সামনে ১ মাস ধরেই চলছে লাগাতার অবস্থান।

    মমতা সরকার দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা (RG Kar) 

    প্রসঙ্গত, সোমবার জেনারেল বডির বৈঠকের পরে রাত ১১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar) জানিয়ে দেন, তাঁরা যে পাঁচ দফা নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেই দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদি আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার (সুপ্রিম কোর্ট সেই ডেডলাইন দিয়েছে) মধ্যে রাজ্য সরকার তাঁদের (জুনিয়র ডাক্তারদের) দাবি মেনে নেয়, তবেই কর্মবিরতি (Swasthya Bhawan Rally) তোলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। প্রসঙ্গত আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফাও চাইলেন তাঁরা।

    জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথম থেকে যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন

    পাঁচ দফা দাবিগুলি হল— 

    ১) আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

    ২) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যাঁরা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। 

    ৩) সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। 

    ৪) রাজ্যের (RG Kar) সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    ৫) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share