Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 110: “সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি, পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!”

    Ramakrishna 110: “সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি, পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) শ্যামপুকুর বিদ্যাসাগর স্কুলের দ্বারে গাড়ি করিয়া আসিয়া উপস্থিত। বেলা তিনটা হইবে। গাড়িতে মাস্টারকে তুলিয়া লইলেন। রাখাল ও আরও দু-একটি ভক্ত গাড়িতে আছেন। আজ বুধবার ১৫ই নভেম্বর ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ, কার্তিক শুক্লা পঞ্চমী। গাড়ি ক্রমে চিৎপুর রাস্তা দিয়া গড়ের মাঠের দিকে যাইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ আনন্দময়—মাতালের ন্যায়—গাড়ির একবার এধার একবার ওধার মুখ বাড়াইয়া বালকের ন্যায় দেখিতেছেন। মাস্টারকে বলিতেছেন (Kathamrita), দেখ, সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি। পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ গড়ের মাঠে উইলসনের সার্কাস দেখিতে যাইতেছেন। মাঠে পৌঁছিয়া টিকিট কেনা হইল। আট আনার অর্থাৎ শেষশ্রেণীর টিকিট। ভক্তেরা ঠাকুরকে লইয়া উচ্চস্থানে উঠিয়া এক বেঞ্চির উপরে বসিলেন। ঠাকুর আনন্দে বলিতেছেন, বাঃ এখান থেকে বেশ দেখা যায়।

    রঙ্গস্থলে নানারূপ খেলা অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখা হইল। গোলাকার রাস্তায় ঘোড়া দৌড়িতেছে। ঘোড়ার পৃষ্টে একপায়ে বিবি দাঁড়াইয়া। আবার মাঝে মাঝে সামনে বড় বড় লোহার রিং (চক্র)। রিং-এর কাছে আসিয়া ঘোড়া যখন রিং-এর নিচে দৌড়াতেছে, বিবি ঘোড়ার পৃষ্ঠ হইতে লম্ফ দিয়া রিং-এর মধ্যে দিয়া পুনরায় ঘোড়ার পৃষ্ঠে আবার একপায়ে দাঁড়াইয়া! ঘোড়া পুনঃপুনঃ বনবন করিয়া ওই গোলাকার পথে দৌড়াইতে লাগিল, বিবিও আবার ওইরূপ পৃষ্ঠে দাঁড়াইয়া!

    সার্কাস সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নামিয়া আসিয়া ময়দানে গাড়ির কাছে আসিলেন। শীত পড়িয়াছে। গায়ে সবুজ বনাত দিয়া মাঠে দাঁড়াইয়া কথা (Kathamrita) কহিতেছেন, কাছে ভক্তেরা দাঁড়াইয়া আছেন। একজন ভক্তের হাতে বেটুয়াটি (মশলার ছোট থলেটি) রহিয়াছে। তাহাতে মশলা বিশেষতঃ কাবাব চিনি আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে আবেদন করলেন জেলবন্দি ইমরান

    Imran Khan: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে আবেদন করলেন জেলবন্দি ইমরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। গত রবিবারই তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর তরফ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

    ইমরানের (Imran Khan) সঙ্গে দৌড়ে আরও দুই প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী 

    প্রসঙ্গত, ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তাঁর হয়ে এক প্রতিনিধি এই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারাগারে থেকেই চ্যান্সেলর বা আচার্যের পদে লড়বেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও বরিস জনসনও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।

    কী বলছেন ইমরান খানের উপদেষ্টা?

    ইমরান খানের (Imran Khan) উপদেষ্টা পিটিআই নেতা জুলফিকার বুখারি এবিষয়ে বলেন, ‘‘ইমরান খানের নির্দেশ মতোই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর নির্বাচন ২০২৪-এ তাঁর আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’’ চলতি বছরের জুলাই মাসে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে একটি সাক্ষাৎকার দেন ইমরানের দলের নেতা সৈয়দ জুলফি বুখারি। তখনই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর চ্যান্সেলর পদে লড়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি আভাস দেন।

    ৮০ বছর বয়সি ক্রিস প্যাটেন ইস্তফা দিয়েছেন

    সম্প্রতি ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি তথা টোরি পার্টির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৮০ বছর বয়সি ক্রিস প্যাটেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) চ্যান্সেলর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ক্রিস প্যাটেন প্রায় ২১ বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নির্বাচনের সময় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতকদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয়। তবে এবার সেই প্রথা ভেঙে অনলাইনে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক হন ইমরান

    প্রসঙ্গত, ইমরান খান ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অক্সফোর্ড (Oxford University) বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দেশের সমস্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Central Health Ministry)। হাসপাতালের ভিতরে কোনও অপরাধ, প্রতিরোধ বা মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে আইন রয়েছে, তা ধারা-সহ প্রকাশ্যে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের নির্দেশ

    সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (RG Kar) তরফ থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ সামনে আসে। এর পাশাপাশি, হাসপাতালের যে অংশ সিসি ক্যামেরায় আসে না, সেই ডার্ক স্পটগুলিকেও চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সমস্ত হাসপাতালগুলিতে প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগেরও কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

    সিসি ক্যামেরা হতে হবে ‘হাই রেজোলিউশন’-এর (RG Kar)

    আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে এনেছে কর্তৃপক্ষের একের পর এক গাফিলতি। নাইট ডিউটির সময় মহিলা চিকিৎসক-নার্সদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন সমাজের সব মহলই। কর্মক্ষেত্রে সিসিটিভির যথাযথ ব্যবহারের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসক সমাজ থেকে বিভিন্ন মহল (RG Kar)। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নির্দেশিকাতে (Central Health Ministry) পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, শুধু ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েই দায় সারা যাবে না। সেই সিসি ক্যামেরা হতে হবে ‘হাই রেজোলিউশন’-এর। রোগীর পরিবারকে হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট নিয়মের উল্লেখ রয়েছে নয়া নির্দেশিকায়।

    যাতায়াতের গতিবিধিতে নজরদারি

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর কোনওভাবেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। সোমবারের নির্দেশেই তা স্পষ্ট। সোমবারের নির্দেশিকায় কেন্দ্রের অধীনস্ত সকল হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত হাসপাতালগুলিতে কারা ঢুকছেন, কারা বের হচ্ছেন, অর্থাৎ যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • RG Kar: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ! লালবাজারে তলব পাওয়া ২ চিকিৎসককে নিয়ে মিছিল ডাক্তারদের

    RG Kar: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ! লালবাজারে তলব পাওয়া ২ চিকিৎসককে নিয়ে মিছিল ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের পরিচয় ফাঁস এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্যের দুই সিনিয়র চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে সোমবার তলব করে লালবাজার (Lalbazar)। যদিও গুজব ছড়ানোর বিষয়ে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে চিকিৎসক মহলের বড় অংশকে। এরই প্রতিবাদে দুই ডাক্তারকে নিয়ে এদিন মিছিল করে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন চিকিৎসকরা। পাল্টা চিকিৎসকদের রুখতে রীতিমতো ব্যারিকেড করল পুলিশ। সাম্প্রতিক ইতিহাসে রাজ্যে এমন ঘটনা বেনজির বলেই মনে করছে ওয়াকিহবহল মহল। আন্দোলন যে বর্তমানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ, এমনটা বলছেন কেউ কেউ।

    ফিয়ার্স লেনে চিকিৎসকদের মিছিল আটকায় পুলিশ (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫ নম্বর ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তলব করা হয় দুই চিকিৎসককে। এরই প্রতিবাদে সরব হন শহরের বাকি ডাক্তাররাও। ব্যারিকেড (RG Kar) করে ফিয়ার্স লেনে চিকিৎসকদের মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখান থেকেই দুই চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে নিয়ে লালবাজারের দিকে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। দুই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীরাও ছিলেন। লালবাজারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন জড়ো হন চিকিৎসকরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে দেখা যায় কুণাল সরকার ও সুবর্ণ গোস্বামীকে।

    ৯ অগাস্টের ঘটনাটি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে 

    সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘সবাই জানেন এ রাজ্যে যে ঘৃণ্য অপরাধ ঘটেছে, সেই অন্যায়কে ধামাচাপা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। আমরা চাইলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা মুখোমুখি লড়াই করতে চেয়েছিলাম। সবশেষে বলি, চোখ যত রাঙাবে, মিছিল তত বাড়বে।’’ সুবর্ণ গোস্বামী আরও বলেন, ‘‘আরজি করে (RG Kar) এই ঘটনার আগে থেকেই আমরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবাদ করে এসেছি। ৯ অগাস্টের ঘটনাটি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কোনও ভুল তথ্য ছড়ায়নি। আমাদের তরফে কোথাও নির্যাতিতার নাম সামনে আসেনি, যা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ করেছিলেন।’’

    দেশের বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি 

    সুবর্ণ গোস্বামী আরও বলেন, ‘‘যে অটোপসি রিপোর্ট নিয়ে আমরা কথা বলেছি, তা নির্যাতিতার বাবার তরফে বলা হয়েছিল। আমরা সাতটি সংগঠনের তরফে যখন তাঁদের বাড়িতে যাই, সেই সময় বলা হয় যে, এটা নিয়ে আপনারা সরব হন। তার ওপর ভিত্তি করেই দেশের বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলি। সেটাই সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছি।’’ চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, ‘‘জীবনে কত পরীক্ষা দিয়েছি, আজকে পুলিশ আমাদের প্রশ্ন করতে চায়। আজকে পুলিশ (Lalbazar) আমার বিবেক, বুদ্ধি, সমাজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর চায়, সব প্রশ্নের উত্তর দেব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ৩১ বছরের একজন সতীর্থকে চিরতরে হারিয়েছি। এই গ্লানি রয়ে গিয়েছে। মনে রাখতে হবে সমাজের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। রাজ্যের মানুষের কাছে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এখন ডাক্তারদের একসঙ্গে আসতে হবে। পারস্পরিক আলোচনা করতে হবে। একতরফা বলে যাওয়ার সময় এটা নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে, আশঙ্কা করত মেয়ে’, দাবি নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar: ‘পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে, আশঙ্কা করত মেয়ে’, দাবি নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের মৃত্যুর জন্য আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট ডিপার্টমেন্টকেও দায়ী করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে তাঁরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতাকে সব সময় চাপে রাখা হত। জ্বরের সময় নির্যাতিতাকে কাজ করানোরও অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার (RG Kar) বাবার কথায়, ‘‘মেয়ের ভিপি চাপে রাখত। জ্বর হলেও ছুটি দিত না। এক বার একটি বাইক ওকে ধাক্কা দেয়। আঘাত লাগে। তার পরেও ছুটি দেয়নি।’’ নির্যাতিতার মায়ের (RG Kar Victims Mother) দাবি, পড়াশোনাতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে কারণে, এ সব বিষয়ে নজর দিতেন না চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে সব কিছু এড়িয়ে যেত। এ সবে নজর দিলে পড়াশোনায় ক্ষতি হবে বলে এড়িয়ে যেত। আপনারা বুঝতে পারছেন, আরজি করে কী হত?’’ নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে, এমন আশঙ্কাও ছিল তাঁদের মেয়ের। তাঁর কথায়, ‘‘ভয় ছিল। চাপ ছিল, ওপরমহলের।’’

    ভরসা সিবিআইয়ে (RG Kar) 

    হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। নির্যাতিতার বাবা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের ওপর ‘আস্থা রাখতে হবে’ তাঁদের। নিজেদের বেশ কিছু সন্দেহের কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা এবং মা। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘সন্দেহ হচ্ছে, অন্যত্র কোথাও খুন হয়েছে। যত ক্ষণ না জানতে পারছি, সুনিশ্চিত হতে পারছি না।’’ নিহতের (RG Kar) মা বলেন, ‘‘জানতে পেরেছি, মেয়ের দেহ যে ভাবে আমাদের দেখানো হয়েছে, সে ভাবে ছিল না। দেহে জামাকাপড় ছিল না, এটা আমরা জানতে পেরেছি। সিবিআইকে সব বলব। আমাদের মনে হচ্ছে, আমাদের আড়াল করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে।’’

    নির্যাতিতার ডায়েরির ‘ছেঁড়া পাতা’র ছবি রয়েছে বাবার কাছে

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদেরও শাস্তির দাবিও তুলেছেন তাঁরা। নির্যাতিতার মা (RG Kar Victims Mother) বলেন, ‘‘ওই ক্ষতবিক্ষত দেহ, যে দেহে জামা কাপড় নেই, তা দেখে এক জন বলছেন, আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এটা হতে পারে না। আড়াল করার চেষ্টা না হলে এ রকম হতে পারে না। আত্মহত্যা বলা হয়েছে, এটাও অপরাধ। পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তি চাইছি প্রথম থেকে।’’ আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের ডায়েরি থেকে ‘ছেঁড়া পাতা’-র ছবি তাঁর কাছে রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে এদিন জানিয়েছেন নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা। তাঁর আরও দাবি, সিবিআই চাইলে তিনি তা দিতে প্রস্তুত। কী লেখা রয়েছে সেই ডায়েরির ‘ছেঁড়া পাতা’-য়? এই নিয়ে তদন্তের স্বার্থে তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে যা লেখা ছিল, তার সারমর্ম হল, মৃত চিকিৎসক ‘সুখে’ থাকতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    RG Kar Hospital: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রবিবারই এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দলীয় কর্মসূচির কথা বলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ‘তিলোত্তমা’ বা ‘অভয়া’-র খুন-ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। একই দাবিতে এ সপ্তাহে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচিরও আয়োজন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন ঘুঘুর বাসা। আমরাও বিচার চাই। অবিলম্বে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। সিবিআইকে বলব, পুলিশ এবং আরজিকর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে টেলিফোনিক কথাবার্তায় নজর দিতে।’’

    সিএম-এর পদত্যাগ চাই

    রবিবার বাংলা বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘সিএম-এর পদত্যাগ চাই। সোমবার আদালতে যাব। ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট লাগাতার ধর্নায় বসবে দলের বিভিন্ন সেল। স্বাস্থ্য ভবনেও অভিযান চালানো হবে।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘লকেট-সহ আমাদের যাঁদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা লালবাজারে যাবেন না। অন্য কেউ যদি আমাদের তরফে আইনি সহায়তা চান আমরা দিতে প্রস্তুত। আরজিকর (RG Kar Hospital) ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যান।’’

    মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে

    সুকান্ত মজুমদার এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে। মঙ্গলবার ধর্না কর্মসূচির (RG Kar Hospital) প্রথম দিন উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দেবেন দলের সাংসদেরা। বৃহস্পতিবার ধর্নামঞ্চে থাকবেন দলের সমস্ত শাখা সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সদস্যেরা। শুক্রবার দলের মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ধর্না কর্মসূচি চলবে। সুকান্ত জানিয়েছেন, ধর্না কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের তরফে অনুমতি না মিললে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    সোমবার রাখি বন্ধন কর্মসূচি (RG Kar Hospital)

    সোমবার রাখি পূর্ণিমার দিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কলকাতার ১৫টি জায়গায় এবং প্রতিটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘রাখিবন্ধন উৎসব’ পালন করবেন মহিলা মোর্চার সদস্যারা। প্রসঙ্গত, মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই কর্মসূচি বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    কী বললেন শুভেন্দু

    রবিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘‘যাঁরা ভোট দিয়ে এই সরকারকে এনেছিলেন, তাঁরা এবার বুঝুন। সময় এসেছে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার। যে কেউ নবান্ন চলোর ডাক দিন, আমি আছি। এই রাজ্যের সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছে না। অন্যদিকে একটা খেলা যেখানে রাজনীতির সম্পর্ক নেই সেটাও আয়োজনে ব্যর্থ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি সোমবারেই ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে পুজো অর্পণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাদেবের (Mahadev) আশীর্বাদে দূর হয় জীবনের যাবতীয় সমস্যা ও বাধা বিঘ্ন। জীবনে নেমে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এমনিতে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো সব বারেই করা যায়, তবে সোমবার কেন বিশেষ দিন? পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, চন্দ্রদেবতা সোমবারে দেবাদিদেব মহাদেবকে পুজো করেন। খুশি হয়ে শিব (Shiva Puja) চন্দ্র দেবতাকে বরদান করেছিলেন। আবার শিবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য দেবী পার্বতী ১৬টি সোমবার ব্রত করেছিলেন বলে জানা যায়। তাই সোমবার শিব পুজোর জন্য বিশেষ দিন হয়ে রয়েছে। সোমবারে (Mahadev) ভগবান শিবের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ক ও শুভ বলে মনে করা হয়।

    পূর্ণিমা অনুযায়ী আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার

    হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সনাতন ধর্মে এই মাসটি শিবকে (Shiva Puja) সমর্পিত করা হয়েছে। এই মাসে নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করলে মহাদেবের কৃপায় সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। এ বছর শ্রাবণ মাসে দুর্লভ সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। দুটি পদ্ধতিতে শ্রাবণ মাসের গণনা করা হয়। সংক্রান্তি অনুযায়ী ও পূর্ণিমা অনুযায়ী। পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী গত ২২ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাস শুরু হয়েছিল এবং শেষ হচ্ছে আজ সোমবার অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট। অন্য দিকে সংক্রান্তি অনুযায়ী ১৬ জুলাই সূর্য কর্কট রাশিতে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রান্তির পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাসের সূচনা ধরা হয় এবং তা শেষ হয় গত ১৭ অগাস্ট। অর্থাৎ পূর্ণিমা অনুযায়ী দেখলে এ বছর ৫টি সোমবার থাকছে। আবার সংক্রান্তি অনুযায়ী গণনা করলে ৪টি সোমবার পাওয়া যায়। পূর্ণিমা অনুযায়ী তাই আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনের সময় বিশেষ কিছু রীতি পালন করলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব (Mahadev), এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়েছে বিশেষ কিছু পুজোর পদ্ধতিও। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালন নিয়ে জ্যোতিষীরা বলছেন, যদি কারও কুণ্ডলীতে বিবাহের যোগ না থাকে বা বিবাহে বাধা আসে, তাহলে শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনে সে বাধা কেটে যায়।

    সোমবার শিব (Mahadev) পুজোর পদ্ধতি

    সোমবার ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবাদিদেব মহাদেব অত্যন্ত ভক্তবৎসল এবং নিষ্ঠা ও ভক্তি সহযোগে পুজো করলেই তিনি তুষ্ট হয়ে যান। শাস্ত্র বিশারদরা বলেন, শুধু বেলপাতা, ফুল, ফল, জলেই তুষ্ট হন মহাদেব।  তবে তার সঙ্গে শিবলিঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে ভগবান সহজেই প্রসন্ন হন। সোমবার শিবলিঙ্গে কী কী নিবেদন করলে তিনি তুষ্ট হবেন?

    শিবলিঙ্গের পুজো করার আগে শ্রী গণেশ, ভগবান বিষ্ণু, নবগ্রহ এবং দেবী পার্বতীর পুজো করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। শিবলিঙ্গে বেলপত্র, ফুল ইত্যাদি উৎসর্গ করুন। কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন, এরপর পঞ্চমেব, পঞ্চামৃত, মিষ্টি, ফল, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদি নিবেদন করুন এবং সব শেষে শিবের আরতি করুন।
            
    শিবের রুদ্রাভিষেক করলেও ভালো ফল মেলে। ভক্তরা নিজেদের ইচ্ছাপূরণের জন্য বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করেন।  ঘি দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে সন্তানের সুখ হয়। অন্যদিকে গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করলে দুঃখ ও পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। 
            
    অন্যদিকে, আখের রস দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে মহাদেব সহজেই খুশি হন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে।
            
    শিব মন্দিরে প্রদীপ দান করলেও দেবাদিদেব মহাদেব ভক্তদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। বিশ্বাস করা হয়, এদিন কাঁচা চালের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে দান করলে পিতৃদোষ দূর হয়। 
            
    শিবলিঙ্গে প্রিয় জিনিসগুলি অর্পণ করার পর ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা, এতে শুভ ফল পাওয়া যায়। আবার শিব মন্দিরে রুদ্রাক্ষ নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের হয় বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

    শিবপুজোর আরও খুঁটিনাটি

    অবশ্যই সকালে স্নান করে শিবলিঙ্গের পুজো করা উচিত। 
            
    শিবলিঙ্গে (Mahadev) জাফরান অর্পণ করলে ভক্তদের জীবনে সুখ-শান্তি আসে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে চিনি দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
            
    ভোলেনাথ সুগন্ধিও খুব পছন্দ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে মনের চিন্তা শুদ্ধ হয় বলে ধারণা। শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।

    শিব পুরাণ অনুসারে, শিবলিঙ্গের পুজো জীবনের অনেক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে। এছাড়া মানসিক ও শারীরিক কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় শিব পুজোর মাধ্যমে। শিবলিঙ্গ সম্পর্কে একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যে, কলিযুগে কুষমান্ড ঋষির পুত্রই সর্বপ্রথম শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan 2024), হিন্দু ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব। প্রতি বছর ভাই-বোনের সম্পর্কের এই পবিত্র উৎসব পালিত হয় শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু-সুখী-সমৃদ্ধ জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভাইয়েরা তাঁদের বোনদের সারা জীবন রক্ষা করার আশ্বাসও দেন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ভাই বা দাদাকে রাখি বাঁধার আগে আরতি করা হয় এবং তারপর কপালে তিলক লাগানো হয়। এর পর ভাই দিদির পা স্পর্শ করেন অথবা বোন দাদার পা স্পর্শ করেন।

    কখন শুরু হল তিথি (Raksha Bandhan 2024)? 

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি আজ অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট সোমবার ভোর ৩:০৪ মিনিট থেকে শুরু গিয়েছে এবং রাত ১১:৫৫ মিনিটে শেষ হবে।

    রাখি বাঁধার শুভক্ষণ কখন

    এ বছর রাখি (Raksha Bandhan 2024) বাঁধার শুভ সময় হল দুপুর ১:৪৬ থেকে ৪:১৯ মিনিট পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট। এর পাশাপাশি সন্ধ্যা ০৬:৫৬ মিনিট থেকে ০৯:০৭ মিনিট পর্যন্তও থাকবে শুভ সময়, প্রায় ২ ঘন্টা ১১ মিনিট। এবার রাখি বন্ধনে (Hindu Festival) ভদ্রা থাকবে সকালে। ভদ্রা থাকবে সকাল ০৫ টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে রাখি বাঁধতে বারণ করছেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের মতে, ভদ্রা যেখান থেকেই হোক না কেন, এটি অশুভ ফল দেয়। ভদ্রা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    সারা দেশেই পালিত হবে উৎসব 

    রাখি বন্ধনের (Raksha Bandhan 2024) হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে (Hindu Festival) ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনি

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন।

    মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ

    চলতি বছরে রাখি পূর্ণিমার দিন মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ রয়েছে, বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। যার ফলে রাখি পূর্ণিমার দিন অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। রাখির দিন রাজ পঞ্চক, শ্রাবণ সোমবার, শ্রাবণ পূর্ণিমার উপবাস ও স্নান, অন্যদিকে সবার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ ও শোভন যোগ গঠিত হতে চলেছে।

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি (Raksha Bandhan 2024) পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর 

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর। ভক্তি ভরে এদিন পুজো ও দান করলে ব্যাপক পুণ্যলাভ হয় বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। এদিন নিয়ম মেনে বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজো করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata News: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    Kolkata News: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে কলকাতার (Kolkata News) রাস্তায় হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার সাহা (Singer Durnibar) ও তাঁর স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহর। প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক। জানা গিয়েছে, রাস্তাতেই দুর্নিবার-মোহরের ওপর চড়াও হয় একদল লোক। অভিযোগ, দুর্নিবারের গলা চেপে ধরে তারা। গোটা ঘটনাটি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে সরব হন গায়ক।

    কী বলেছেন দুর্নিবার? (Kolkata News)

    নিজের ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও পোস্ট করেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। তাঁকে সেখানে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি দুর্নিবার, আমার সঙ্গে আছে মোহর। আমাদের সঙ্গে ঠিক এক ঘণ্টা আগে কলকাতার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে, নাকতলার ভিতরে একটা রাস্তার মোড়ে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে।’’ গায়কের অভিযোগ, কোনও রকমের রোড ব্লকেজের নোটিশ না থাকা সত্ত্বেও একদল লোক রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছিলেন। তখন গায়ক ৫-৬বার হর্ন দিয়ে বলেন, ‘‘এটা দুপুরবেলা, রাস্তা ঠিক করার সময় নয়। সরে যান গাড়িটা যেতে দিন। তখনই তাঁরা (লোকগুলি) তেড়ে আসেন।’’

    ওঁরা আমার গলা চেপে ধরে 

    এরপরেই তাঁর ওপর হামলা করার অভিযোগ করেন গায়ক (Singer Durnibar)। তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন ওঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হই। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ওঁরা আমার গলা চেপে ধরে (গলার দাগ দেখিয়ে)। আমার গলায় ভীষণ ব্যাথা, এখনও ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতেও দাগ দেখতে পাবেন। নিজে বাঁচতে আমিও হামলাকারীদের একজনের গলা ধরি। তখন ওঁরা ৩-৪জন মিলে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উল্টোদিকে নিয়ে যান।’’ মোহর তখনও নামেনি, ও বেগতিক দেখে (Kolkata News) নামে। ও যখন নামে তখনও আমার একজন গলা চেপে ধরে আছে, হাত ধরে আছে। যাতে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।’’ সব শেষে দুর্নিবার জানান, যাঁরা রাস্তায় কাজ করছিলেন, তাঁরা কিন্তু কোনও মিস্ত্রী নন, স্থানীয় বাসিন্দা।

    কী বললেন মোহর?

    ফেসবুকের (Kolkata News) ওই ভিডিওতে দুর্নিবারের সঙ্গে মোহরও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এত কিছুর পরে বলব, কিছু ভালো মানুষ হয়ত আছেন। এক ভদ্রলোক আমাকে দেখে কাঁদতে শুরু করেছিলেন। বলেন, মা তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো, চতুর্দিকে যা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না কেন হচ্ছে, তুমি প্লিজ গাড়িতে বসো। আমিও এখনও বিষয়টা থেকে বের হতে পারছি না। ভর দুপুর বেলা! কী বলব লোককে? কেউ কখনও বাইরে বের হবেন না!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুরে নিজের হিন্দু সহপাঠীকেই ছুরি মারে দশম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। এর পরেই সেখানে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ (Udaipur Police)। শুক্রবারের এই ঘটনার পরে, ১৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বেআইনি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে শনিবারই গুঁড়িয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। রাজস্থান পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনবিভাগ অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবারকে একটি নোটিশ পাঠায় শনিবার সকালেই এবং সেই নোটিশের ভিত্তিতে বাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায় তারা। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবার বাড়ির মালিকানার কোনও রকমের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

    কী বলছেন উচ্ছপদস্থ পুলিশ আধিকারিক? 

    এর পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বুলডোজার অ্যাকশনের পরে উদয়পুর রেঞ্জের আইজি অজয় লাম্বা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অভিযুক্ত ছাত্র ও তার বাবাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে শনিবার প্রথমে বুলডোজারের মাধ্যমে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙার আগে এলাকাটি খালি করতে বলে পুলিশ। কিন্তু তখনই এলাকার মানুষজন পুলিশকে বাধা দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতিও তৈরি হয়। উদয়পুর জেলার (Rajasthan News) মধুবন এলাকায় ছুরি চালানোর ঘটনার পরেই সম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে যায় শুক্রবারে। সেখানকারই একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় ওই অভিযুক্ত।

    অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ হেফাজতে (Rajasthan News) 

    জানা গিয়েছে, আপাতত ওই অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ (Udaipur Police) হেফাজতেই রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা শহরে এবং তার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই পুলিশ গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং যে কোনও ধরনের জমায়েতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুক্রবারই রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুর শহরের জেলা প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে, কারণ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা করে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share