Tag: Magnus Carlsen

Magnus Carlsen

  • The Rising Indian Chess: ৯ বছরের ভারতীয় খুদের কাছে হার বাঁচালেন কার্লসেন, ৪২ জন দাবাড়ুকে ৪২.৩ লক্ষ বৃত্তি কেন্দ্রের

    The Rising Indian Chess: ৯ বছরের ভারতীয় খুদের কাছে হার বাঁচালেন কার্লসেন, ৪২ জন দাবাড়ুকে ৪২.৩ লক্ষ বৃত্তি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৯ বছরের ভারতীয় দাবাড়ুর (The Rising Indian Chess) কাছে প্রায় হেরেই যাচ্ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেন। কোনও মতে বাঁচলেন তিনি। দিল্লির খুদে দাবাড়ু আরিত কপিলের (Aarit Kapil vs Magnus Carlsen) বিরুদ্ধেই লজ্জার মুখে পড়েছিলেন কার্লসেন। ‘আর্লি টাইটেল্ড টিউসডে’ নামক একটি দাবা প্রতিযোগিতায় এমনটাই দেখা গেল। আসলে সরকারি সহায়তায় গত কয়েক বছরে ভারতে দাবার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। অন্য খেলার মতোই দাবার উন্নতিতেও সক্রিয় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। সম্প্রতি নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা দিতে অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন (AICF) চালু করেছে ‘টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড স্কিমও (TNPSS)’।

    ভারতীয় দাবাড়ুর কাছে বেকায়দায় কার্লসেন

    জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-৯ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আরিত। কার্লসেনের বিরুদ্ধে খেলতে বসে বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুকে চাপে ফেলে দিয়েছিল সে। খুদে দাবাড়ু পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল। কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সুবিধাজনক জায়গায় থাকলেও কার্লসেনকে হারাতে পারেনি সে। হারের মুখ থেকে ম্যাচ ড্র করে স্বস্তি পান কার্লসেন। ‘আর্লি টাইটেল্ড টিউসডে’ প্রতিযোগিতাটি ছিল অনলাইনে। আরিত খেলছিলেন জর্জিয়ার একটি হোটেল থেকে। কিছু দিন আগে ভারতের গুকেশের বিরুদ্ধে হেরেছিলেন কার্লসেন। নরওয়ে ওপেনের ষষ্ঠ রাউন্ডে কার্লসেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় পিছিয়ে ছিলেন গুকেশ। সেখান থেকে ফিরে আসেন ভারতীয় দাবাড়ু। তাঁর কাছে হার মানতে পারেননি কার্লসেন। রেগে টেবিলে ঘুষি মেরেছিলেন তিনি।

    আরিত কে

    রাজধানী দিল্লি থেকে উঠে আসা ৯ বছর বয়সি আরিত কপিল ইতিমধ্যেই দেশের এক উজ্জ্বল দাবা প্রতিভা হিসেবে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অনূর্ধ্ব-৯ চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করার পর, বর্তমানে তিনি অংশ নিচ্ছেন অনূর্ধ্ব-১০ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে, যা জর্জিয়াতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দু’টি পর্বে জিতেছে আরিত। তৃতীয় পর্বের ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। এটাই আরিতের প্রথম আন্তর্জাতিক সাফল্য নয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, ক্লাসিক্যাল দাবায় আমেরিকান গ্র্যান্ডমাস্টার রাসেত জিয়াতদিনোভকে পরাজিত করে আরিত। ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত কিআইআইটি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন টুর্নামেন্টে রাসেতকে হারিয়ে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারানোর নজির গড়ে আরিত। ভারতীয় দাবা দুনিয়ায় এই ক্ষুদে তারকার উত্থান নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য এক বড় আশার বার্তা বহন করছে। তবে কার্লসেনের সঙ্গে ড্র করলেও ‘আর্লি টাইটেল্ড টিউসডে’ প্রতিযোগিতা জিততে পারেনি আরিত। ১০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতেরই দাবাড়ু ভি প্রণব। কার্লসেন পেয়েছেন ৯.৫ পয়েন্ট। একই পয়েন্ট পান হান্স মোকে নিয়েমানও। টাইব্রেকারে জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন তিনিই।

    সরকারি সাহায্য ভারতে দাবার ক্রম উন্নতি

    গত কয়েক বছর ধরে দাবায় এগোচ্ছে ভারত। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, ডি গুকেশ, অর্জুন এরিগাইসিরা বিশ্ব দাবায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সেই তালিকায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা দিতেই অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন (AICF) চালু করেছে ‘টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড স্কিম (TNPSS)’। এই প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ অর্থবছরের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে মোট ৪২ জন জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ স্থান অধিকারকারী দাবাড়ুকে মোট ৪২,৩০,০০০ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। প্রতি খেলোয়াড় পেয়েছেন ৬০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এই ৪২ জন দাবাড়ু বাছাই করা হয়েছে গত বছরের জাতীয় প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। বৃত্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা অনূর্ধ্ব-৭ থেকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগ পর্যন্ত খেলে। ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই এই টাকা দেওয়া হবে।

    কত টাকার বাজেট

    টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড প্রকল্পের জন্য মোট বাজেট বরাদ্দ ৬.১৫ কোটি টাকা। এই তহবিল খেলোয়াড়দের কোচিং, ভ্রমণ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যয় বহনে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “খেলো ইন্ডিয়া” ও “গ্রাসরুট অ্যাথলিটস”-এর উন্নয়নের আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে, অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন (AICF) এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এআইসিএফ-এর সভাপতি নিতিন নারাং বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা আমাদের অনেক প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়ের স্বপ্নকে থামিয়ে দিয়েছে। ‘টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড স্কিম (TNPSS)’ এই সমস্যার বিরুদ্ধে আমাদের জবাব। খেলোয়াড়-কেন্দ্রিক নীতির মাধ্যমে আমরা চেসে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের পাশে দাঁড়াতে চাই। এই প্রথমবার, আমরা আমাদের ‘স্বর্ণ কন্যা ও পুত্রদের’ ভবিষ্যতের জন্য সরাসরি বিনিয়োগ করছি। এটি কেবল এককালীন সহায়তা নয়, বরং তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।” এই প্রকল্প দেশের দাবা পরিকাঠামোকে মজবুত করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে দাবা মহল। এর ফলে ভবিষ্যতে ভারতের দাবা বিশ্বমঞ্চে আরও উচ্চতায় পৌঁছবে, এই আশাই করছেন সবাই।

    বৃত্তিপ্রাপ্ত দাবা খেলোয়াড়দের পূর্ণ তালিকা:

    অনূর্ধ্ব-৭ (U7)
    ছেলে: দেবনারায়ণ কল্লিয়াথ, প্রয়াঙ্ক গাঁওকর, আরাধ্য গুইন
    মেয়ে: আরন্যা আর, অর্পিতাংশী ভট্টাচার্য, সাইআস্তা সিংপেন

    অনূর্ধ্ব-৯ (U9)
    ছেলে: নিধিশ শ্যামল, আরিত কপিল, দিবিথ রেড্ডি আদুল্লা
    মেয়ে: কিয়ান্না পরিহার, দিবি বিজেশ, বংশিকা রাওয়াত

    অনূর্ধ্ব-১১ (U11)
    ছেলে: মাধবেন্দ্র প্রতাপ শর্মা, অদ্বিক অমিত আগরওয়াল, আরাভ এ
    মেয়ে: প্রতিতি বরদলৈ, আদ্যা গৌড়া, দিবি বিজেশ

    অনূর্ধ্ব-১৩ (U13)
    ছেলে: রেয়ান মোঃ, শেরলা প্রতমেশ, প্রণব সাই রাম আর এস
    মেয়ে: সারণ্য দেবী নারাহারী, নিবেদিতা ভি সি, নিহিরা কৌল

    অনূর্ধ্ব-১৫ (U15)
    ছেলে: ইলামপারথি এ আর, ভাজ ইথান, শেরলা প্রতমেশ
    মেয়ে: প্রিশিতা গুপ্ত, জৈন আশিতা, সপর্যা ঘোষ

    অনূর্ধ্ব-১৭ (U17)
    ছেলে: শ্রীরাম আদর্শ উপ্পালা, অর্পিথ এস বিজয়, জয়বীর মহেন্দ্রু
    মেয়ে: তেজস্বিনী জি, কীর্তিকা বি, অনুপম এম শ্রীকুমার

    অনূর্ধ্ব-১৯ (U19)
    ছেলে: আদিরেড্ডি অর্জুন, সৌরথ বিশ্বাস, জয়বীর মহেন্দ্রু
    মেয়ে: মৃত্তিকা মল্লিক, ভেলপুলা সারায়ু, স্নেহা হালদার

  • Magnus Carlsen vs D Gukesh: রাগে টেবিলে ঘুষি! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে হারালেন ভারতের ডি গুকেশ

    Magnus Carlsen vs D Gukesh: রাগে টেবিলে ঘুষি! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে হারালেন ভারতের ডি গুকেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দোম্মারাজু গুকেশের (Magnus Carlsen vs D Gukesh) কাছে কেরিয়ারে প্রথম বার হার মানলেন ম্যাগনাস কার্লসেন। তা-ও আবার ক্লাসিক্যাল দাবায়। বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুর ঘরে গিয়ে তাঁকে হারালেন গুকেশ। রবিবার সন্ধ্যায় নরওয়ের স্টাভেঙ্গারে দাবার বোর্ডের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল আবেগ। জেতা ম্যাচ হেরে গিয়ে নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারলেন না বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থানে থাকা ম্যাগনাস কার্লসেন। হতাশা প্রকাশ করলেন টেবিলে ঘুষি মেরে। স্বতঃস্ফূর্ত সেই আবেগের মুহূর্ত নিমেষে ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

    কার্লসেনের বিরুদ্ধে দাপট

    নরওয়ে ওপেনের ষষ্ঠ রাউন্ডে কার্লসেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় পিছিয়ে ছিলেন গুকেশ। সেখান থেকে ফিরে আসেন ভারতীয় দাবাড়ু। তাঁর কাছে হার মানতে পারেননি কার্লসেন। রেগে টেবিলে ঘুষি মারেন তিনি। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলছিলেন গুকেশ। কালো ঘুঁটি নিয়ে খেললেও ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখান কার্লসেন। ৩৪ বছরের নরওয়ের তারকাকে দেখে মনে হচ্ছিল, আরও একটা ম্যাচে গুকেশকে হারাবেন তিনি। খেলা শেষে গুকেশ জানান, একটা সময় তাঁর মনে হয়েছিল, খেলা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যান তিনি। তারই ফল পান গুকেশ।

    শৃঙ্খলা-সংযমের পরিচয় দিলেন গুকেশ

    কার্লসেনের (Magnus Carlsen vs D Gukesh) আক্রমণের জবাবে ভাল রক্ষণ ছিল গুকেশের। বেশির ভাগ সময় নিজের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাঁর হাতে সময়ও কম ছিল। কিন্তু ৪০ চালের পর খেলাটা বদলায়। ৪৪তম চালে ভুল করে বসেন কার্লসেন। তা কাজে লাগান গুকেশ। একটা সময় পর কার্লসেনেরও সময় কমে যায়। তাঁকেও তাড়াহুড়ো করতে হয়। এন্ডগেমে হার মানেন কার্লসেন। হারের পর টেবিলে জোরে একটা ঘুষি মারেন কার্লসেন। তাতে দু’একটা ঘুঁটি টেবিল থেকে নীচেও পড়ে যায়। তার পরে অবশ্য গুকেশের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তবে গোটা ম্যাচে শৃঙ্খলা-সংযমের পরিচয় দিয়েছেন গুকেশ। নরওয়ে দাবায় এত বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দাবায় কার্লসেনকে পরাজিত করেছে কোনও ভারতীয় কিশোর। গত বছর ছিল আর প্রজ্ঞানন্দ, আর এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জয় শুধুমাত্র গুকেশের কেরিয়ারের এক বড় মাইলস্টোন নয়। বরং আন্তর্জাতিক দাবার মঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যেরও প্রমাণ।

  • Tata Steel Chess India: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ফিডে রেটিং! ৩ বছরের অনীশকে দেখে অবাক পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেন

    Tata Steel Chess India: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ফিডে রেটিং! ৩ বছরের অনীশকে দেখে অবাক পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ফিডে রেটিং পাওয়া তিন বছরের অনীশকে দেখে অবাক পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন। ‘টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়া’ (Tata Steel Chess India) প্রতিযোগিতার উদ্বোধনের মঞ্চে মঙ্গলবার নজর কাড়ল কলকাতার অনীশ সরকার (Anish Sarkar)। কখনও নিজের মনে দাবা খেলল, কখনও সই নিল কার্লসেনের থেকে, কখনও আবার প্রজ্ঞানন্দর কোলে দেখা গেল কলকাতার সর্বকনিষ্ঠ ফিডে রেটিং পাওয়া দাবাড়ুকে। কোচ তথা গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া সারাক্ষণ আগলে রাখলেন ভবিষ্যতের সম্পদকে।

    অনীশের হাত ধরেই মুখোমুখি কার্লসেন-প্রজ্ঞানন্দ

    চেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানেও উজ্জ্বল অনীশ। সূচি প্রকাশে ছিল নতুনত্ব। টেবিলের উপর দশটি স্কার্ফ রাখা ছিল। প্রতিটিতে এক জন করে খেলোয়াড়ের নাম লেখা ছিল। পাশে ছিল দশটি বেলুন। তার মধ্যে ১ থেকে ১০ লেখা নম্বর। যাঁর স্কার্ফ উঠছিল, তিনি একটি বেলুন ফাটাচ্ছিলেন। তাতে যে নম্বর লেখা ছিল বোর্ডে তাঁর নাম সেখানে উঠে যাচ্ছিল। এ ভাবেই ১০ জনকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করে প্রথম রাউন্ডের সূচি তৈরি হয়েছে। সেখানে ওপেন ও মহিলাদের বিভাগে দু’টি করে স্কার্ফ তুলল অনীশ। মহিলাদের বিভাগে তার হাতে উঠল ভারতের এক নম্বর দাবা খেলোয়াড় কোনেরু হাম্পি ও প্রজ্ঞানন্দের দিদি রমেশবাবু বৈশালীর নাম। আর ওপেন বিভাগে কার্লসেন ও প্রজ্ঞানন্দের নাম। এক অদ্ভুত সমাপতন। অনীশই ঠিক করে দিল যে পাঁচ বছর পর কলকাতায় খেলতে এসে প্রথম রাউন্ডেই প্রজ্ঞার সামনে কার্লসেন।

    পাঁচ বছর পর কলকাতায় কার্লসেন

    পাঁচ বছর পর কলকাতায় কোনও প্রতিযোগিতা (Tata Steel Chess India) খেলতে নামছেন কার্লসেন। শেষ বার ২০১৯ সালে যখন খেলেছিলেন তখন তিনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তার পর অনেক কিছু হয়েছে সাদা-কালোর চৌষট্টি খোপে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন। আবার শূন্য থেকে শুরু করেছেন। অনীশকে দেখে অবাক কার্লসেনও। তিনি বললেন, “আমার চার বছর বয়সি এক ভাইপো আছে। সে দাবা খেলে। কিন্তু ১৫৫০ রেটিং পয়েন্টের কাছেও যায়নি। এই বয়সে এই রেটিং পয়েন্ট পাওয়া অবিশ্বাস্য।” অনীশকে পরামর্শও দিলেন টানা ১১ বছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর থাকা কার্লসেন। বললেন, “বাইরের কোনও কথা কানে নেবে না। নিজের উপর চাপ নেবে না। দাবাকে উপভোগ করো। মনের আনন্দে খেলো।” 

    আরও পড়ুন: ভারতের ‘না’! বিসিসিআই-কে মান্যতা, পাকিস্তানে বাতিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুষ্ঠান

    প্রজ্ঞানন্দের কোলে অনীশ

    মাত্র ১২ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার তিনি। সেই প্রজ্ঞাও উচ্ছ্বসিত অনীশকে দেখে। অনীশকে (Anish Sarkar) কোলে নিয়ে তিনি বললেন, “আমি তিন বছর বয়স থেকেই দাবা খেলছি। কিন্তু এত অল্প বয়সে রেটিং পাওয়া মুখের কথা নয়।” এ বারের চেস ইন্ডিয়া (Tata Steel Chess India) প্রতিযোগিতায় মহিলাদের বিভাগে খেলছেন আলেকসান্দ্রা গোরিয়াশকিনা, ক্যাটেরিনা লাগনো, আলেকসান্দ্রা কস্টেনিয়াক, নানা জাগনিদজ়ে, ভ্যালেন্টিনা গুনিয়া, কোনেরু হাম্পি, রমেশবাবু বৈশালী, হরিকা দ্রোনাবল্লি, দিব্যা দেশমুখ ও বন্তিকা আগরওয়াল। ওপেন বিভাগে খেলছেন ম্যাগনাস কার্লসেন, নোদিরবেক আবদুসাত্তারভ, ওয়েসলি সো, ভিনসেন্ট কেমার, ড্যানিল ডুবভ, অর্জুন এরিগাইসি, রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, বিদিত গুজরাতি, নিহাল সারিন ও এসএল নারায়ণন। ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রতিযোগিতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R Praggnanandhaa: শেষরক্ষা হল না! বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকে কার্লসেনের কাছে হার মানলেন প্রজ্ঞানন্দ

    R Praggnanandhaa: শেষরক্ষা হল না! বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকে কার্লসেনের কাছে হার মানলেন প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই!  অবশেষে অভিজ্ঞতার জয় হলেও মন জিতলেন ভারতের তরুণ প্রতিভাবান দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Rameshbabu Praggnanandhaa)। দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গেম ড্র। দ্বিতীয় গেমও ড্র। দুটি ক্লাসিকাল রাউন্ড ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারেও চলল টানটান লড়াই। শেষমেশ জয়ী ম্যাগনাস কার্লসেন (Magnus Carlsen)।

    হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

    বৃহস্পতিবার ফাইনালের প্রথম টাইব্রেক জিতে যান ম্যাগনাস কার্লসেন। ৪৭ মুভের পর দারুণ ফিনিশিংয়ে প্রথম টাইব্রেকে জিতে ১-০তে লিড নেন নরওয়ের কিংবদন্তি। প্রথম র‌্যাপিড রাউন্ডে একটি চাল দিতে সাড়ে ৬ মিনিট সময় নেন প্রজ্ঞা। ২৫ মিনিটের খেলায় সেই একটি চালই প্রজ্ঞাকে পিছিয়ে দেয়। প্রজ্ঞার ভুলের সুযোগ নিয়ে ২.৫-১.৫ পয়েন্টে জিতে যান কার্লসেন। ফলে প্রজ্ঞানন্দের কাছে ডু অর ডাই পরিস্থিতি দাঁড়ায়। দ্বিতীয় টাইব্রেক জিততেই হত ১৮ বছরের দাবাড়ুকে। র‌্যাপিডের দ্বিতীয় রাউন্ডে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলছিলেন কার্লসেন। ফলে শুরুতেই সুবিধা পান তিনি। প্রথম থেকেই সময়ের ব্যবধান বাড়তে থাকে। প্রজ্ঞার খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, যথেষ্ট চাপে রয়েছেন তিনি। ফলে প্রতিটি চাল দিতে সময় নিচ্ছিলেন। কার্লসেনের হাতে সময় থাকায় তিনি ফুরফুরে মেজাজে খেলছিলেন। ২২ চালের পরে ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুই প্রতিযোগী। ফলে খেলা জিতে যান কার্লসেন। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট হতে হল প্রজ্ঞাকে। আর এ বারের দাবা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেন নরওয়ের কার্লসেন। বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু তথা পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে হার মানলেন প্রজ্ঞানন্দ।

    আরও পড়ুন: ভারতে আসছেন নেইমার! চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুম্বই সিটি-আল হিলাল এক গ্রুপে

    মঙ্গল ও বুধবার দাবা বিশ্বকাপের দু’টি ক্লাসিক্যাল রাউন্ডের খেলা হয়েছিল। দু’টি খেলায় ড্র হয়। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই হারলেন ভারতীয় দাবাড়ু। কার্লসেন আরও এক বার দেখিয়ে দিলেন কেন তিনি পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে নিজের সেরা খেলাটা খেললেন নরওয়ের দাবাড়ু। তবে দাবা বিশ্বকাপে রানার-আপ হওয়ায় সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসাবে ক্যান্ডিডেটসের ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছেন প্রজ্ঞা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Praggnanandhaa Rameshbabu: বার বার তিনবার! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে ফের হারালেন প্রজ্ঞানন্দ

    Praggnanandhaa Rameshbabu: বার বার তিনবার! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে ফের হারালেন প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনকে (Magnus Carlsen) হারিয়ে দেশ তথা গোটা বিশ্বকে অবাক করেছিলেন ভারতের ক্ষুদে গ্র্যান্ডমাস্টার রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Praggnanandhaa)। গত ছয় মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার। ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারালেন ভারতের তরুণ দাবাড়ু প্রজ্ঞানন্দ। ১৭ বছরের ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার প্রজ্ঞানন্দ এবার মায়ামিতে ক্রিপটো কাপে শেষ রাউন্ডে কার্লসেনকে হারালেন। যদিও ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের কাছে হারলেও প্রতিযগিতার চ্যাম্পিয়ন হলেন কার্লসেন। নির্ধারিত সময়ে স্কোর ২-২ ছিল। শেষ অবধি ব্লিৎজ টাইব্রেকারে জেতেন প্রজ্ঞানন্দ। নিজের হারে হতবাক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Champion) কার্লসেন। 

    মাত্র ১০ বছরেই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার হয়ে নজির গড়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। এ বছর মে মাসে এয়ারথিংস মাস্টার্স ব়্যাপিড চেস প্রতিযোগিতায় কার্লসেনকে হারিয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। এবারের প্রতিযোগিতায় অনবদ্য শুরু করেছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। টানা চারটি ম্যাচে জিতেছিলেন। এর মধ্যে বিশ্বের ৬ নম্বর লেভন অ্যারোনিয়ানের বিরুদ্ধে ৩-১’র জয়ও রয়েছে। শুরুতে আলিরেজা ফিরোউজা, আরেক ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার অনিশ গিরি এবং হান্স নিয়েমানকে হারান প্রজ্ঞানন্দ। তাঁর জয়ের ধারা ধাক্কা পায় চিনের কোয়াং লিয়েম লি’র বিরুদ্ধে। পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে হারেন প্রজ্ঞানন্দ। ষষ্ঠ রাউন্ডে পোল্যান্ডের জান-কিজিস্টফ ডুডার কাছে টাইব্রেকারে হারেন। এই সময়ই পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন প্রজ্ঞানন্দ।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    শেষের দিকে ভালো খেললেও পয়েন্টের বিচারে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি ভারতীয় দাবাড়ু। তাও মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধান। শেষ দিকে পর পর তিনটি গেম জিতলেও পয়েন্টের বিচারে দ্বিতীয় হন প্রজ্ঞা। প্রজ্ঞার পয়েন্ট ১৫। অন্য দিকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা জিতেছেন কার্লসেন। প্রজ্ঞার কাছে হারলেও প্রতিযোগিতা জিততে পেরে খুশি কার্লসেন। তিনি বলেছেন,’সারা দিন ধরে খুব খারাপ খেলেছি। তার পরেও জিতেছি। হারতে ভাল লাগে না। কিন্তু সব দিন সমান থাকে না।’ অন্য দিকে দ্বিতীয় হয়ে খুশি নন প্রজ্ঞা। আরও ভাল ফলের আশা করেছিলেন তিনি। ভারতের ১৭ বছরের দাবাড়ু বলেছেন,’আরও ভাল ফল হতে পারত। কয়েকটা ম্যাচ খারাপ খেলেছি। তবে সব মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা খারাপ ফল নয়।’

  • Viswanathan Anand: ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে নরওয়ে প্রতিযোগিতার শীর্ষে বিশ্বনাথন আনন্দ

    Viswanathan Anand: ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে নরওয়ে প্রতিযোগিতার শীর্ষে বিশ্বনাথন আনন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরওয়ে দাবা টুর্নামেন্টে (Norway Chess tournament) ক্লাসিক্যাল বিভাগের পঞ্চম রাউন্ডে ম্যাগনাস কার্লসেনকে (Magnus Carlsen) হারিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এলেন ভারতীয় কিংবদন্তি দাবা চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ (Viswanathan Anand)।

    বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা দাবাপ্রেমীদের মধ্যে এই ম্যাচ নিয়ে এক  উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।  ক্লাসিক্যাল বিভাগের আগে  ব্লিটজ ইভেন্টে (Blitz event) নরওয়েজিয়ান সুপারস্টারকে পরাজিত করেন আনন্দ এবং ম্যাচে ৪০-এ ড্র হওয়ার পর আর্মাগেডনে জয়লাভ করেন তিনি। “সাডেন ডেথ” চলাকালীন ৫০ তম চালে নিজের জয় সুনিশ্চিত করেন ৫২ বছর বয়সী আনন্দ। ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। মাত্র ০.৫ পয়েন্টেই পিছিয়ে রয়েছেন কার্লসেন। তবে প্রতিযোগিতায় এখনও আরও ৪টি গেম বাকি।

    আরও পড়ুন: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    আনন্দ চতুর্থ রাউন্ডে প্রবেশ করার আগে ফ্রান্সের ম্যাক্সিমে ভাচিয়ার-লাগ্রাভ ( Maxime Vachier-Lagrave), বুলগেরিয়ার ভেসেলিন টোপালভ (Veselin Topalov) এবং চিনের হাও ওয়াং (Hao Wang)-কে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ডে  আমেরিকার ওয়েসলির (Wesley) সামনে ধাক্কা খেতে হয়। তারপর সোমবার প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে ফের জয় ছিনিয়ে নিলেন আনন্দ। দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারলেও, কার্লসেন ৯.৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। শাখরিয়ার মামেদিয়ারভ (Shakhriyar Mamedyarov) (আজারবাইজান) ৮.৫ পয়েন্টের সাথে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, যিনি আগে ব্লিটজ বিভাগে জয়লাভ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘পাহাড়ি’ পিয়ালীর জন্য পথে চন্দননগর

    অন্যান্য ম্যাচে ভাশিয়ার-লাগ্রাভ হারান ভেসেলিন টোপালভকে। পঞ্চম রাউন্ডে অনীশ গিরি (নেদারল্যান্ডস) তৈমুর রাদজাবভ( Teimour Radjabov)-কে (আজারবাইজান)হারান ও নরওয়ের আরিয়ান তারি, হাও ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। নরওয়ে দাবা টুর্নামেন্টের ক্লাসিক্যাল খেলায় ড্র আসায় খেলোয়াড়রা আর্মাগেডনে ‘সাডেন ডেথে’ অংশ নিয়েছে।

  • Rameshbabu Praggnanandhaa: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    Rameshbabu Praggnanandhaa: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেসেবেল মাস্টার্স (Chessable Masters) প্রতিযোগিতায় ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টার অনীশ গিরিকে (Anish Giri) পরাজিত করে ফাইনালে উঠল ভারতের বিস্ময় বালক, খুদে দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Rameshbabu Praggnanandhaa)।  

    গত ফেব্রুয়ারিতে ম্যাগনাস কার্লসেনের (Magnus Carlsen) বিরুদ্ধে কিস্তিমাত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় কিশোর রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। সেই জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাজিমাত। সম্প্রতি আরও একবার বিশ্বসেরা কার্লসেনকে হারিয়ে নজির গড়েছে সে।    

    কার্লসেনকে হারানোর পরে মেল্টওয়্যার চ্যাম্পিয়ন্স দাবা ট্যুরের নকআউট পর্বে সোমবার সকলকে চমকে দিয়ে চিনের ওয়েই ই-কে ২.৫-১.৫ হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। শেষ চারে তার সামনে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের ভারতীয় বংশোদ্ভুত দাবাড়ু অনীশ গিরি। অন্য সেমিফাইনালে কার্লসেন খেলেন চিনের ডিংলিরেনের বিরুদ্ধে। কার্লসেনকে হারিয়ে অন্যদিকে ফাইনালে উঠেছেন ডিংলিরেন ( Ding Liren)। এবার ফাইনালে মুখোমুখি প্রজ্ঞানন্দ-ডিংরিলেন।     
     
    ১৬ বছর বয়সী প্রজ্ঞানন্দর সামনে এবার দারুণ সুযোগ একই টুর্নামেন্টে বিশ্বের এক এবং দুনম্বরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেমিফাইনাল ম্যাচটাও প্রজ্ঞানন্দর কাছে এক কঠিন পরীক্ষা ছিল। কারণ তার প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন সমান শক্তিশালী। প্রথম চার রাউন্ডের পর রেজাল্ট ছিল ২-২। শেষ ম্যাচ ছিল টাইব্রেকার। আর তাতে পয়েন্টের বিচারে এগিয়ে থাকার জন্য ফাইনালে উঠে যায় প্রজ্ঞানন্দ। অনীশকে ৩.৫-২.৫ পয়েন্টে হারায় সে। ভারতীয় দাবাড়ু হিসেবে প্রজ্ঞানন্দই প্রথম, যে চেসেবেল টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল।  
     
    বুধবারের সেমিফাইনালে প্রজ্ঞানন্দ প্রথম দুটি রাউন্ডে ২-০ লিড নেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে অনীশ প্রত্যাবর্তন করেন। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে পয়েন্ট হয় ২-১। তৃতীয় রাউন্ডে অসাধারণ খেলেন অনীশ। পয়েন্ট সমানে সমানে নিয়ে আসেন ২-২ তে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি অনীশের। প্রজ্ঞানন্দ ৩.৫-২.৫ পয়েন্টে বাজিমাত করে হারিয়ে দেন নেদারল্যান্ডের অনীশ গিরিকে। 

    এই টুর্নামেন্টে অনীশ গিরি এখনও অবধি অপরাজেয় ছিলেন। প্রজ্ঞানন্দর কাছেই প্রথম হার অনীশের। ক্লাস ইলেভেনের ছাত্র প্রজ্ঞানন্দর দাবা পরীক্ষার সঙ্গে স্কুলের পরীক্ষাও চলছে। মঙ্গলবার রাতে জেতার পর ভারতীয় খুদে দাবাড়ুর প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল, ‘‘কাল সকাল ৮.৪৫- এর মধ্যে স্কুলে পৌঁছতে হবে। এদিকে, এখনই রাত দুটো!’’    

     

     

LinkedIn
Share