Tag: maha sasthi

maha sasthi

  • Durga Puja 2025: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    Durga Puja 2025: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয় তিথি অনুযায়ী, শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী হলেও, এদিন পঞ্চমী থাকবে দুপুর ১২টা ৪ মিনিট পর্যন্ত। তার পর থেকেই পড়ে যাচ্ছে ষষ্ঠী। ফলে, এদিন, অর্থাৎ, শনিবার সন্ধ্যাবেলা হবে দেবীর বোধন (Maha Sasthi Akalbodhan)। ১১ আশ্বিন ইংরেজি ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী থাকছে। সকাল ৯টা ১৬ মিনিটের মধ্যে শারদীয়া দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ। সন্ধ্যাবেলা হবে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। উদয় তিথি অনুসারে, গোটা দিনটাই ষষ্ঠী।

    মহাষষ্ঠী ও বোধন

    এবার দেখে নেওয়া যাক মহাষষ্ঠী ও বোধনের তাৎপর্য। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা তাঁর চার সন্তান— সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিককে নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন। ফলে এদিন থেকেই ঢাক ও কাঁসরের আওয়াজে চারিদিক যেন গমগম করে। মা দুর্গার আগমণে সবাই যোন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। উৎসবপ্রেমী বাঙালীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ হল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। পুজো শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বহু রাজ্যে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশেও বাঙালিরা উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করে থাকে পুজোর দিনগুলি।

    পুজোর পাঁচটি দিন- মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী, বিজয়া দশমীর কিছু তাৎপর্য রয়েছে। যেমন মহাষষ্ঠীর দিনেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে তা হল বোধন। এই ‘বোধন’ শব্দটির অর্থ হল জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের (Maha Sasthi Akalbodhan) রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয় এই দিনে। সাধারণত ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে এই নিয়মটি।

    বোধনের তাৎপর্য

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবীপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার বোধন করে পুজো করেন শ্রীরামচন্দ্র। এদিন মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পদার্পণ করেন ও দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ। এই দিন কল্পারম্ভ-এর মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর (Durga Puja 2025)। তারপর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে মা-কে বরণ করে নেওয়া হয়। অকাল বোধনের (Maha Sasthi Akalbodhan) মাধ্যমেই উন্মোচন করা হয় মায়ের মুখ। মনে করা হয় বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরের ও পুজো করা হয়। এরপরই মহা সমারোহে শুরু হয় দুর্গাপুজো।

    অকাল বোধনের কাহিনী

    বোধন কে আবার অকাল-বোধনও (Maha Sasthi Akalbodhan) বলা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাস দেবতাদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সকালে সমস্ত দেব-দেবীর পুজো করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রায় যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। কিন্তু দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। আর পুরাণ মতে, এই কাজটি সর্বপ্রথম করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। লঙ্কায় রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই তিথিতেই দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই ষষ্ঠীর বোধনে বা অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই এই বোধনকে অকাল-বোধনও (Maha Sasthi Akalbodhan) বলা হয়ে থাকে।

  • Durga Puja 2022: মহাষষ্ঠীতে পূজিত হন দেবী কাত্যায়নী, তিনি কে জানেন?

    Durga Puja 2022: মহাষষ্ঠীতে পূজিত হন দেবী কাত্যায়নী, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (maha Sasthi)। ষষ্ঠী হল চান্দ্র মাসের ষষ্ঠ দিন। সারা বছরই দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করা যায়। তবে সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরা (Mothers) যে দুটি ষষ্ঠীর ব্রত মূলত করেন, তার একটি হল অশোক ষষ্ঠী, আর অন্যটি হল দুর্গা ষষ্ঠী। ষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা পূজিত হন কাত্যায়নী (Katyani) রূপে।

    প্রশ্ন হল, কে এই কাত্যায়নী? দুর্গাপুজোর সময় ন দিন ধরে মহামায়ার নটি রূপের পুজো করা হয়। ষষ্ঠীর দিন পুজো হয় দেবী কাত্যায়নীর। তৈত্তিরীয় আরণ্যকে দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভীষণা এই দেবীর গাত্র বর্ণ দেবী চণ্ডীর মতোই লাল। মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত দেবীমাহাত্ম্যে দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। দেবী ভাগবত পুরাণেও মায়ের লীলা বর্ণিত হয়েছে। বৌদ্ধ, জৈন এবং তন্ত্রশাস্ত্রেও দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। দেবীর কথা বলা হয়েছে কালিকা পুরাণেও। আর জি ভাণ্ডারকরের মতে, কাত্য জাতির দ্বারা দেবী পূজিতা হতেন বলে তাঁর নাম কাত্যায়নী। আবার একটি মতে, মহর্ষি কাত্যায়নের কন্যা তিনি। তাই তাঁর নাম কাত্যায়নী।

    দেবী কাত্যায়নীর নানা রূপ। কোথাও তিনি দ্বিভুজা, কোথাও আবার চতুর্ভুজাও। আট, দশ কিংবা অষ্টাদশ ভুজা দেবমূর্তিরও পুজো হয় আমাদের দেশে। যেহেতু দেবী কাত্যায়নী মহামায়ারই এক রূপ, তাই তিনি বিশ্বমাতা। সেই কারণেই এদিন ষষ্ঠীর ব্রত করেন মহিলারা। লোকবিশ্বাস, দুর্গা ষষ্ঠীর ব্রত করলে বিপদ আপদ থেকে মনুষ্য সন্তানকে রক্ষা করেন স্বয়ং মহামায়া।

    তবে ষষ্ঠীর দিন যে কাত্যায়নীর পুজো হয়, সেটা নবরাত্রি উৎসবের অঙ্গ বলেই বিবেচনা করেন কেউ কেউ। যাঁদের ষষ্ঠ্যাদিকল্পে দুর্গা পুজো হয়, তাঁরা এদিন দেবীকে দুর্গা রূপেই পুজো করেন। এদিন বিল্ববৃক্ষতলে হয় দেবী বরণের অনুষ্ঠান। বরণ করেন পুরোহিত স্বয়ং। কোথাও কোথাও এয়োস্ত্রীরাও বরণ করেন। তবে তা নিতান্তই লোকাচার, শাস্ত্রসম্মত কিছু নয়। আসলে পরের দিন সপ্তমীর দিন সকালে যে দেবীকে বরণ করে নেবেন গৃহস্থ, এদিন তারই প্রস্তুতি শুরু হয়। বিশ্বাস, এদিন দেবী এসে অপেক্ষা করেন গৃহপ্রবেশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share