Tag: Maharashtra

Maharashtra

  • Eknath Shinde: টেবিলে উঠে নাচানাচি করায় শিন্ডের ধমক খেলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়করা!

    Eknath Shinde: টেবিলে উঠে নাচানাচি করায় শিন্ডের ধমক খেলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়করা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্রোহে ইতি। মিশনও সাকসেসফুল। তাই নয়া  মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) দেখেই আবেগে ভাসলেন গোয়ার (Goa) হোটেলে থাকা শিন্ডে শিবিরের বিধায়করা (MLA)। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অতি উৎসাহে টেবিলের ওপরে উঠে শুরু করলেন নাচানাচি। ব্যস, আর যায় কোথায়? ধমক খেলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। নৃত্যরত বিধায়কদের সাফ জানিয়ে দিলেন, বিধায়কদের আচরণ করতে হবে মার্জিত।

    আরও পড়ুন : শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    ৩০ জুন সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ছাড়া নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার জেরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান প্রথমে গুজরাটের সুরাটে ও পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে। ৩০ জুন মহারাষ্ট্রে এসে শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। যদিও অনুগত বিধায়কদের তখন আসাম থেকে এনে রাখা হয়েছিল গোয়ার একটি হোটেলে। শপথ নিয়ে রাতেই গোয়া উড়ে যান মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে দেখে খুশি গোপন করতে পারেননি ‘হোটেল বন্দি’ বিধায়করা। তাঁদেরই কয়েকজন টেবিলে উঠে নাচানাচি শুরু করে দেন। ধমক খান নয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে।

    আরও পড়ুন : “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    শিন্ডে শিবিরের এক বিধায়ক কেসরকর। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নিয়েই নয়া মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। বিধায়কদের মার্জিত আচরণ করার নির্দেশ দেন। সুখের মুহূর্তে কয়েকজন বিধায়ক এমন আচরণ করেছেন, যা যথোপযুক্ত নয়। এই বিধায়কদের ঘাড়ে শাস্তির খাঁড়া ঝুলছিল। এটা ছিল মুক্তির আনন্দ। তখনই শিন্ডে তাঁদের তিরস্কার করেন। নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, বিধায়কদের আরও রুচিশীল হতে হবে।

    [tw]


    [/tw]

    শুক্রবার মহারাষ্ট্র উড়ে যান শিন্ডে। তার আগে বিধায়কদের নিয়ে করেন বৈঠকও। ওই বৈঠকে মহারাষ্ট্রের আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। গোয়ার হোটেলের ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে শিন্ডে বলেন, আমি বৃষ্টি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মহারাষ্ট্র ফিরে যাচ্ছি। আমার সরকারের প্রথম কাজ হল মহারাষ্ট্রে যেন আর একজন কৃষকও আত্মহত্যা না করেন। তিনি জানান, বৃষ্টি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট কমিটির একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে।

     

  • Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)। শুক্রবারই শুরু হয় গণনা। হয়েছে ক্রস ভোটিংও (Cross Voting)। এদিকে, রাজ্যসভা (Rajya Sabha) ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়ে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay Highcourt)।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৪১ জন আগেই জয়ী হয়ে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে ২৩টিরই রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। কংগ্রেসের দখলে ৮টি। বাকি আসনগুলি রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দখলে। রাজ্যসভা থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নাকভি, কপিল সিব্বল , পি চিদাম্বরম প্রমুখ। নির্বাচন ঘিরে চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observers)। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি (Videography) করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিকে, ক্রস ভোটিং হয়েছে কর্নাটকে। এ রাজ্যের জনতা দল সেকুলারের দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এদিন যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

    ভোট শুরু হয় সকাল ৯টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। এদিন ভোট হয়েছে চারটি রাজ্যে। বাকি ১১টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী আগেই জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে শাসক ও বিরোধীর ভোটের অঙ্কে অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছেন। তাই ক্রস ভোটিং হওয়ারই ছিল। হয়েছেও তাই।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    যে ১৬টি আসনে এদিন ভোট হয়েছে, তার মধ্যে রাজস্থানে রয়েছে ৪টি আসন। সেখানে দুটি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। যদিও তাদের প্রার্থীর সংখ্যা তিন। এই তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাদের প্রয়োজন আরও ১৫ জনের সমর্থন। কর্নাটকের চার আসনে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হরিয়ানায় আসন দুটি। যদিও লড়ছেন তিন জন। মহারাষ্ট্রে আসন ছটি হলেও, প্রার্থী রয়েছেন সাতজন।

     

  • Organ Donation: মৃত্যুর পরও জীবনদান! ‘ব্রেন ডেথ’ তরুণীর অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

    Organ Donation: মৃত্যুর পরও জীবনদান! ‘ব্রেন ডেথ’ তরুণীর অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অঙ্গদান করে নজির গড়ে তুলল এক তরুণীর পরিবার। এই তরুণী অঙ্গদান করে পাঁচজনকে এক নতুন জীবন উপহার দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, এক মহিলাকে মহারাষ্ট্রের পুনের সাউদার্ন কমান্ড হাসপাতালে (Command Hospital Southern Command) নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন তাঁর ব্রেনডেথ হয়েছে। এরপরেই তাঁর পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন।

    আরও পড়ুন: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    যেই পাঁচজনকে অঙ্গ দেওয়া হয়েছে তাঁর মধ্যে দুজন ভারতীয় সেনাকর্মীও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ১৪ ও ১৫ জুলাই এই অঙ্গদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তরুণীটির দুটি কিডনি দুই জওয়ানকে দেওয়া হয়। পুনের রুবি হল ক্লিনিকে এক মহিলার শরীরে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। চোখ দুটিকে আই ব্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সেগুলি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়।

    পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, এক দুর্ঘটনা ঘটার পর তাঁকে একদম শেষ পর্যায়ে আনা হয়েছিল কমান্ড হাসপাতালে। এরপরে সেখানে তাঁর ব্রেন ডেথের কথা চিকিৎসকরা জানালে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। দেরি না করে হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাঁদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাঁদেরকেই ওই তরুণীর অঙ্গদান করা হবে বলে রাজি হয়েছিলেন পরিবার। তারপর শেষপর্যন্ত তরুণীর অঙ্গগুলোতেই এক নতুন জীবন পেলেন পাঁচ ব্যক্তি। তিনি বেঁচে না থাকলেও তাঁর অঙ্গ দিয়েই অন্যদের প্রাণ দিয়ে গেলেন। তরুণীর পরিবারের এই মহান কাজে সবাই তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে মাকে অপহৃত হওয়ার ফোন মার্কিন যুবতীর, পরে বেরোল আসল সত্য!

    এর আগেও কর্নাটকের বেলাগাভি নামক জায়গায় এক ৫১ বছর বয়সী ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তিনি তাঁর অঙ্গদান করে ছয়জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। তাঁর চোখ, কিডনি, লিভার, হার্ট দিয়ে রোগীদের এক নতুন জীবন দান করেছিলেন।  

     

  • Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে ফের নতুন মোড়। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP)-র জাতীয় স্তরে সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল (Praful Patel)। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।

    এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল বুধবার রাতে ট্যুইট করে লেখেন, “জাতীয় সভাপতি শরদ পওয়ারের অনুমতি অনুসারে জাতীয় স্তরের যাবতীয় বিভাগ ও শাখার অবিলম্বে অবলুপ্তি করা হচ্ছে। কেবল ন্যাশনালিস্ট উইমেনস উয়ং, ন্যাশনালিস্ট ইয়ুথ কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্টস কংগ্রেস থাকবে”। পরবর্তী আরেকটি ট্যুইটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র বা অন্য কোনও রাজ্য শাখার উপরে কার্যকরী হবে না। 

    [tw]


    [/tw]

    মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি  (MVA) জোট সরকারের পতনের তিন সপ্তাহের মধ্যে এনসিপি তাদের পার্টির সমস্ত পদ ও সেল বিলুপ্ত করা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। দলের সংগঠন ঢেলে সাজাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে এনসিপি (NCP) সূত্রে খবর। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের ভাঙন রুখতেই শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্ত। কেননা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনসিপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল।
     
     
    প্রশ্ন উঠছে, শিবসেনার পর কি এবার অন্তর্দ্বন্দ্বের আগুন ছড়াল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির অন্দরেও? এক্ষেত্রে ২০১৯-এর স্মৃতি এনসিপি সুপ্রিমোকে উস্কে দিয়েছে বলে দলের একাংশের মত। ওই বছর দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। এবারও কী সেরকম কিছু ঘটতে চলেছে? সেই আশঙ্কাতেই দল ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) ও ওই দলেরই নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) আনা বিভিন্ন মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ওই বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে ১ অগাস্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে ১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেল শিন্ডে ও উদ্ধব দুই শিবিরই। এই সময়সীমার মধ্যে দু’পক্ষের কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    শিবসেনা কার? উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিন্ডের, এনিয়ে মোট ছটি আবেদন জমা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে পাঁচটি আবেদন করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে। আর একটি মাত্র আবেদন করা হয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের তরফে। এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পক্ষে সওয়াল করতে হাজির হন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। আর শিন্ডে শিবিরের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে সিবাল বলেন, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্র ঘোর বিপদে। ওই রাজ্যে যা ঘটছে তাতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তামাশায় পরিণত হয়েছে। পাল্টা সওয়াল জবাবে সালভে বলেন, এই তর্ক এখানে একেবারেই যথাযথ নয়, যেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা।  

    দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ১ অগাস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে যাবতীয় নথি এবং জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে বিধায়কদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্না বলেন, আমার মনে হয়, বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য একে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো উচিত।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে দলেরেই নেতা উদ্ধব ঠাকরের। শেষমেশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব সরকারের। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় দু’পক্ষই।

     

  • Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Coronavirus)। ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হতেই রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক (Mask wearing compulsory) করল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। এপ্রিলের পর শুক্রবার রাজ্যে একদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়, আক্রান্তের সংখ্যাও এদিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার।

    ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা (Covid guidelines) জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের সব জেলাগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন খোদ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রদীপ ব্যাস। সেই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, “ভিড় জায়গায়, ট্রেন, বাস, সিনেমা, অডিটোরিয়াম, অফিস, হাসপাতাল, স্কুল এবং কলেজে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।” সংবাদমাধ্যমকে প্রদীপ ব্যাস জানান, রাজ্যে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তাই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।   

    অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আরও জানান, “গত কয়েক মাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফের রুদ্ররূপ ধারণ করতে শুরু করেছে করোনা। তিন মাস পর ফের দৈনিক সংক্রমণ এক হাজার পার করেছে। যা চিন্তার বিষয়। গত সপ্তাহে রাজ্যের নয় জেলায় সংক্রমণে বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ কয়েক জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে। সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।”  

    আরও পড়ুন: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    দেশজুড়ে আবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ৪ হাজারের গণ্ডি। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবিষয়ে বলেছেন, “সম্ভবত এটাই করোনার চতূর্থ ঢেউ (Corona 4th wave)। ভারত সরকার নিশ্চিত না করা অবধি কিছু বলা যাচ্ছে না।” রাজ্যবাসীকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এখনই ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। সরকার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।” 

    রবিবারই মহারাষ্ট্রে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪৯৪। এদিন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এযাবৎ এরাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮,৯৩,১৯৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ১,৪৭,৮৬৬ জনের।

     

     

     

     

     

     

     

  • Mask Mandatory in Flight: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক  

    Mask Mandatory in Flight: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশজুড়ে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। এর জেরে ফের করোনা বিধিতে কড়াকড়ি করল ডিজিসিএ (DGCA)। মাস্ক (Mask) বাধ্যতামূলক করা হল ফ্লাইটে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৫,২৩৩ জন। দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ২৮,৮৫৭। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৪৫ জন। একদিনে একলাফে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ৯৩ দিন পরে করোনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০০- এর গণ্ডি পেরলো।   

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    মঙ্গলবারই মুম্বাইয়ে একদিনে ১,২৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যদিও এদিন করোনায় মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC)। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিন কয়েক আগেও দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ছিল ০.৯১ শতাংশ। বর্তমানে তা পৌঁছেছে ১.৬২ শতাংশে। যে রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে প্রায় ৮১ শতাংশ। 

    করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন তীব্র সংক্রামক। এর ফলেই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে ওমিক্রনের বি.এ.৫- এ আক্রান্ত এক রোগীও পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। করোনা সংক্রমণের এই আকস্মিক বৃদ্ধিতে জনসাধারণের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    পালঘর, থানে ও মুম্বাইয়ে বিপুল পরিমাণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল ৮৩ শতাংশ। সোমবারে আক্রান্তের সংখ্যা কিছু কম ছিল। রবিবার অপেক্ষাকৃত কম করোনা পরীক্ষা হয়েছে, এটি তার বড় কারণ হতে পারে। 

    দিল্লিতেও একদিন নতুন করে আক্রান্ত ৪৯০ জন এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ওড়িশা, মিজোরাম, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।

     

     

     

  • Maharashtra: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    Maharashtra: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র জুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। শুক্রবার দহি-হান্ডি (Dahi Handi) উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ সমবেত হয়েছেন। মাসের শেষেই গণেশ চতুর্থী (Ganeshotsav )। কিন্তু উৎসবের মরশুমেই বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূল থেকে অস্ত্রবোঝাই একটি নৌকো বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই নৌকার সন্ধান পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এদিন সকাল থেকেই উপকূলে নজরদারি চালান হয়। নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর।

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল 

    যদিও এই ঘটনায় জঙ্গি নাশকতার কথা এখনই মানতে নারাজ মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘জেলেরা একটি ১৬ মিটারের পরিত্যক্ত নৌকো খুঁজে পেয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ সেই নৌকোর তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে তিনটি AK-47 রাইফেল ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই নৌকোটি একজন অস্ট্রেলিয়ার মহিলার। মাস্কাট থেকে ইউরোপে যাচ্ছিল। তবে মাঝ সমুদ্রেই কিছু গোলযোগ হয় এবং স্রোতের কারণে উপকূলের দিকে চলে এসেছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং এটিএস-ও কাজ করছে এর উপর। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হবে।’ তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও দিকই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমি কেবলমাত্র প্রাথমিক তথ্য় জানাচ্ছি যাতে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি না হয়।

    আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    বৃহস্পতিবার  হরিহরেশ্বর ঘাটের কাছে নৌকোটিকে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসতে দেখা যায়। সেই নৌকো থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি AK-47, কার্তুজ ও বিস্ফোরক পদার্থ। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বই জুড়ে। ২৬/১১-র মতো পুনরায় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সময়ও এইভাবেই মুম্বইয়ে অস্ত্র এসে পৌঁছেছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। মুম্বই উপকূলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্য়বস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে সেই অঞ্চলে। আপাতত সদা সজাগ রয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনার তদন্তও জারি রয়েছে।

  • Anil Parab: আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    Anil Parab: আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের পরিবহণমন্ত্রী অনিল পরবের বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।

    জমি লেনদেনে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ রোধ আইনে (PMLA) মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সূত্রেই এদিন মুম্বই, পুণে, রত্নগিরিসহ মোট সাতটি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালীন মুম্বইয়ের নরিমান পয়েন্টে নিজের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তিনবারের শিবসেনা বিধায়ক। গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে। আট ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন আধিকারিকরা। রাত আটটা নাগাদ তাঁর বাড়ি ছাড়ে ইডি। তারপরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান অনিল পরব।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে রত্নগিরির দাপোলি জেলায় ১ কোটি টাকা দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন অনিল। ২০১৯ সালের সেই জমি নথিভুক্ত করান। ইডির অভিযোগ, এর পরের বছর সদানন্দ কদম নামে মুম্বইয়ের এক কেবল অপারেটরকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ওই জমিতে একটি রিসর্ট নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চে আয়কর বিভাগের একটি তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালে ওই বেআইনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রিসর্টটি তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৬ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    যদিও ইডির অভিযোগ স্বীকার করে নেননি মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন রিসর্টটি তাঁর নয়, সদানন্দ কদমের নামে নথিভুক্ত। এর সঙ্গে আর্থিক তছরুপের কোনও যোগ নেই। এক বছর আগেও পরবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইডিই ছিল সেই তদন্তের দায়িত্বে। অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন যে, পুলিশদের পছন্দের জায়গায় বদলি দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশদের থেকে টাকা নিতেন অনিল পরব এবং এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। 

     

  • Maharashtra Loudspeaker: “ক্ষমতা আসে-যায়…” উদ্ধবকে কী হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ ঠাকরে?

    Maharashtra Loudspeaker: “ক্ষমতা আসে-যায়…” উদ্ধবকে কী হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ ঠাকরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতা স্থায়ী নয়। তা আসবে-যাবে। আজ যে সরকারে রয়েছে কাল তাঁর হাতে ক্ষমতা না-ও থাকতে পারে। এই চিরন্তন সত্যটা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra CM) উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) মনে রাখা উচিত বলে মনে করেন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে (RajThackeray)।

    মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তিনি শিবসেনা (Shivsena) প্রধান উদ্ধবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ঠিক নয়। মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার (Loudspeaker row) বিতর্কে অন্তত এক হাজার এমএনএস কর্মীকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। যা কখনওই ঠিক নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং রাজ্যের বাইরে  বহু জায়গায় এমএনএস কর্মীদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হয়েছে। যাঁরা আইন মানছেন তাঁদের আটক করা হচ্ছে। আর যাঁরা আইন ভাঙছেন তাঁরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বলে দাবি রাজের।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি রাজ ঠাকরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মহারাষ্ট্রের মসজিদগুলি থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে দিতে হবে। না হলে, মসজিদের বাইরে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করা হবে।  ইদের (Eid) আগে উস্কানিমূলক ওই ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার শীর্ষ নেতা রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে মামলা করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। রাজ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৩ মে-র মধ্যে মহারাষ্ট্রের মসজিদগুলি থেকে সব লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সেই হুমকিতে গুরুত্ব না দিয়ে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এমএনএস নেতার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করতে শুরু করে। লাউডস্পিকার সরানোর যে সময়সীমা বেধে দেন রাজ, তার আগেই অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মহারাষ্ট্রের একটি আদালত।

    রাজ জানিয়েছেন, স্পিকার বিষয়টি শুধু মসজিদের নয়। অনেক মন্দির আছে যেখানে অবৈধ ভাবে লাউডস্পিকার বাজানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “আমি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, অবৈধ লাউডস্পিকারের ব্যবহার কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়, এটি একটি সামাজিক বিষয়।” এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি রাজের। তাঁর কথায়, “সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করার কোনও ইচ্ছা নেই। এই শব্দদূষণ মহারাষ্ট্রে বন্ধ হওয়া উচিত। যত দিন না এই শব্দদূষণ বন্ধ হচ্ছে, তত দিন প্রতিবাদ চলবে।”

    এমএনএস প্রধানের হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না শিবসেনা। দলের মুখপাত্র সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কথায়, ‘‘লাউডস্পিকার নিয়ে যা হচ্ছে, তা আদতে হিন্দুত্বের শ্বাসরোধ করছে। বহু মন্দিরেও লাউডস্পিকার বাজানো হয়। কারণ, ভক্তেরা যাতে সকালে প্রার্থনা শুনতে পান। শিবসেনা কারও কাছ থেকে হিন্দুত্বের পাঠ নেবে না।’’

LinkedIn
Share