Tag: Maharashtra

Maharashtra

  • Eknath Shinde: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার শিন্ডে, মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে এবার কে?

    Eknath Shinde: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার শিন্ডে, মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে এবার কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আজ, মঙ্গলবারই শেষ মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ। তবে শিন্ডেকে নতুন সরকার গঠিত হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।

    নয়া সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে (Eknath Shinde)

    এদিনই পদত্যাগপত্র জমা দিতে রাজভবনে গিয়েছেন এনসিপি প্রধান অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীশও। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট। নয়া সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হতে পারে। কারণ, অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তিনি বিজেপির বিধায়ক। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল বিজেপিই। তবে মহারাষ্ট্রে চালকের আসনে কাকে বসানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা। দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার হলেও, শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখার পক্ষপাতী শিন্ডেসেনা (একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা) গোষ্ঠী।

    শিন্ডের অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই শিন্ডে তাঁর দলীয় কর্মীদের মুম্বইয়ে সমবেত না হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “আমার প্রতি ভালোবাসার জন্য, কিছু সমর্থক সবাইকে একত্রিত হয়ে মুম্বইয়ে আসার আবেদন করেছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তবে আমি অনুরোধ করছি যে কেউ যেন এভাবে আমার সমর্থনে একত্রিত না হন। আবারও বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে শিবসেনার কর্মীরা যেন বর্ষা বাংলো (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) বা অন্য কোথাও সমবেত না হন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    মহাযুতি জোটের শক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিপুল আসন নিয়ে জয়ের পরেও জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে।” পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মহাযুতির এই মহান বিজয়ের পরে, রাজ্যে ফের আমাদের সরকার গঠিত হবে। একটি বৃহৎ জোট হিসাবে, আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়েছি এবং আজও একত্রিত রয়েছি।” তিনি লিখেছেন, “একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী মহারাষ্ট্রের জন্য মহাযুতি সব সময়ই শক্তিশালী ছিল এবং থাকবে (Eknath Shinde)।”

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। জোট শরিক শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন। আর এক শরিক পেয়েছে ৪১টি আসন। সব মিলিয়ে বিজেপির (Maharashtra) নেতৃত্বাধীন এই জোট পেয়েছে ২৩৫টি আসন (Eknath Shinde)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: ‘দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়’! মহারাষ্ট্রে উদ্ধবদের বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

    Maharashtra: ‘দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়’! মহারাষ্ট্রে উদ্ধবদের বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচলের ফলের পরিপ্রেক্ষিতে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি মহা বিকাশ অঘাড়ীর (এমভিএ) পরাজয়ের জন্য ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে দায়ী করেছেন। ভোটে হেরে যাওয়ার পর বিরোধী দলের নেতাদের ‘মাথা খারাপ হয়েছে’ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির এই সাফল্য বিরোধী দলের নেতারা মেনে নিতে পারছে না। তাই, ফল বের হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে রাখছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

    ঠিক কী বলেছেন শিবসেনা নেতা?(Maharashtra)

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, শিন্ডেসেনা ও ইজিত পওয়ারের এনসিপির ‘মহাযুতি’ জোট। তারা ২৩৫টি আসন পেয়েছে। আর বিরোধী শক্তি এমভিএ মাত্র ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। ফলাফলের পর সঞ্জয় রাউত সাংবাদ মাধ্যমের সামনে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে কাগজের ব্যালটের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে আবার নির্বাচনের দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে ইভিএম একটি বড় সমস্যা হয়েছে। এই ফলাফলটি থাকুক। কিন্তু কাগজের ব্যালট দিয়ে আবার নির্বাচন পরিচালনা করুন এবং তারপরে আমাদের একই ফলাফল দেখান, তাহলে বুঝব মানুষের রায়ে ক্ষমতায় এসেছেন।’’ সেখানেই থামেননি সেনা ইউবিটি নেতা। তিনি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দিকে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘এই ফলাফলের জন্য প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় দায়ী।’’

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    কারচুপির অভিযোগ করছে বিরোধীরা!

    উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (উদ্ধব) গোষ্ঠী মাত্র ২০টি আসন পেয়েছে। আর একনাথ শিন্ডের (Maharashtra) নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (শিন্ডে) ৫৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। এনডিএ-র ঐতিহাসিক এই জয় এমভিএ-র মধ্যে দোষারোপের খেলাকে আরও তীব্র করেছে। হেরে যাওয়ার পর বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া, দলীয় কৌশল এবং বিচার বিভাগীয় পরিসংখ্যান সহ একাধিক কারণের দিকে আঙুল তুলছেন। অনেকে আবার মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য এনডিএকে ইভিএম কারচুপি করার জন্য দায়ী করেছেন। আদিত্য ঠাকরে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ-এর জয়কে “আশ্চর্যজনক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জনগনের রায়ে হয়েছে, না ইভিএমে কারচুপির কারণে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Election Results 2024: “আমি আধুনিক অভিমন্যু, চক্রব্যূহ থেকে বেরনোর পথ জানি”, বললেন ফড়নবিশ

    Maharashtra Election Results 2024: “আমি আধুনিক অভিমন্যু, চক্রব্যূহ থেকে বেরনোর পথ জানি”, বললেন ফড়নবিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি আধুনিক অভিমন্যু। চক্রব্যূহ কীভাবে ভেদ করে বের হতে হয়, তা আমি জানি।” বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট (Maharashtra Election Results 2024) ব্যাপক জয় পাওয়ার পর ফের একবার কথাগুলি বললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)।

    মহাভারতের প্রসঙ্গ

    উক্তিটি মহাভারতের একটি চরিত্র অভিমন্যুকে কেন্দ্র করে। অর্জুন ও সুভদ্রার পুত্র অভিমন্যু একজন যোদ্ধা ছিলেন। তিনি চক্রব্যূহে প্রবেশ করার পদ্ধতি জানতেন, যদিও সেখান থেকে বের হওয়ার পদ্ধতি জানতেন না। এই চক্রব্যূহে আটকে পড়ে কৌরবদের হাতে নিহত হন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসেই ফড়নবীশ বলেছিলেন, “বিরোধী জোট মহা বিকাশ আগাড়ি মনে করে যে তারা তাঁকে গোলকধাঁধায় ফাঁসিয়ে দেবে।” সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কিন্তু আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যূহে প্রবেশ করতে হয়, কীভাবেই বা সেখান থেকে বের হতে হয়।”

    আধুনিক অভিমন্যু

    শনিবার বিপুল জয়ের পর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যূহ ভাঙতে হয়। আমরা চক্রব্যূহ ভেঙেছি। এই জয়ের পেছনে আমার অবদান খুবই সামান্য। এই জয় (Maharashtra Election Results 2024) আমাদের টিমের।” প্রসঙ্গত, নাগপুর সাউথ ওয়েস্ট কেন্দ্র থেকে নিজেও জয়ী হয়েছেন ফড়নবীশ।

    মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে কোনও বিরোধ নেই। প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে নির্বাচনের পরে, তিনটি দল একত্রে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যা কিছু সিদ্ধান্ত হবে, তা সবার পক্ষেই গ্রহণযোগ্য হবে।”

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে ২৩১টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিরোধী মহা বিকাশ আগাড়ি জোট পেয়েছে মাত্র ৫০টি আসন। অথচ মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ফল করেছিল ওই জোট। বিধানসভা নির্বাচনে তারাই পড়ল মুখ থুবড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশই (Devendra Fadnavis) হতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হবে (Maharashtra Election Results 2024) শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবারই। এনডিএ শিবিরের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সেখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে জিতল তারা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে সর্বোচ্চ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এনিয়ে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ফলাফল সামনে আনল জনগণের বিশ্বাসকেই। জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারই উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।’’ অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের এই জয় আসলে উন্নয়নের জয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়।

    ঝাড়খণ্ডে সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি, সংখ্যায় ৫৯ লাখ ২০ হাজার

    নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে শতাংশের বিচারে সব চেয়ে বেশি মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন। এজন্য আমরা ওই প্রদেশের সমস্ত মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বিজেপি কর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে শুভকামনা জানাই।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। সংখ্যার বিচারে যেটা ৫৯ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে সরকার গড়লেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাপ্ত ভোটের হার ২৩ শতাংশ। বিজেপির থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে তারা।

    মোদির ওপর ভরসা রেখেছেন দেশের মানুষ

    একইসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সারা দেশ এক উন্নয়নের যুগের মধ্যে দিয়ে চলেছে। এর ওপরে ভরসা করছেন সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন হোক অথবা হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বিজেপির জয়জয়কার।’’ প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসন-বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি ২৩০টি আসন ছিনিয়ে নিল। সেখানে ৪৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস জোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’ এখন জাতীয় মন্ত্র! মহারাষ্ট্র জয়ের পরে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’ এখন জাতীয় মন্ত্র! মহারাষ্ট্র জয়ের পরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’, অর্থাৎ আমরা এক থাকলেই নিরাপদ। শনিবারই মারাঠাভূমে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় দিল্লির বিজেপি সদর দফতরের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, ‘‘বর্তমানে জাতীয় মন্ত্র হয়ে উঠেছে, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় ধ্বনি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘হরিয়ানার পরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন এক বড় ঐক্যের বার্তা দিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়- এই মন্ত্র সেই সমস্ত অপশক্তিকে থামাতে সক্ষম হয়েছে, যাঁরা দেশকে ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে, ভাষার ভিত্তিতে, প্রাদেশিকতার ভিত্তিতে ভাগ করতে চায়।’’

    উন্নয়ন, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার জিতেছে মহারাষ্ট্রে

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে এই মন্ত্র সেই সমস্ত বিভাজনকারীদের শাস্তি দিয়েছে, যাঁরা জনজাতি সমাজ, ওবিসি সমাজ, দলিতদের মধ্যে ভাগ করতে চায়। সমাজের প্রত্যেকটা ক্ষেত্র বিজেপি-এনডিএ এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’’ প্রসঙ্গত শনিবারই মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পায় বিজেপি জোট, সেরাজ্যে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩০টিই দখল করে বিজেপির জোট। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ১৪৯ আসনে, এর মধ্যে তাদের দখলে আসে ১৩৩ আসন। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের জয় আসলে সামনে আনল নেতিবাচক ও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির পরাজয়কেই।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘উন্নয়ন, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার জিতেছে মহারাষ্ট্রে। মিথ্যা এবং প্রতারণা পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আমি সমস্ত বিজেপি ও এনডিএ কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।’’

    বক্তব্য রাখেন জেপি নাড্ডাও

    এদিন দলীয় দফতরে বক্তব্য রাখেন বিজেপির জাতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডাও। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘আজকে হল ঐতিহাসিক দিন। মহারাষ্ট্রের জনগণ এবং সারা দেশ জুড়ে যে উপনির্বাচন হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, এনডিএ-এর ওপরে মানুষ আস্থা এবং বিশ্বাস রেখেছে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ইন্ডি জোটের নেতারা ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে ছিলেন যে তাঁরা ক্ষমতা দখল করতে পারবেন। জনগণের মধ্যে ভাগ করে, কিন্তু হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র তাদেরকে উত্তর দিয়ে দিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: উদ্ধব বা রাজ নয়! বালাসাহেবের রাজনৈতিক ‘উত্তরাধিকার’ রইল শিন্ডের হাতে

    Maharashtra: উদ্ধব বা রাজ নয়! বালাসাহেবের রাজনৈতিক ‘উত্তরাধিকার’ রইল শিন্ডের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ‘উত্তরাধিকার’ রইল না ঠাকরে পরিবারের হাতে। ২০২৪ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট করে দিল গুরু বালাসাহের ‘রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ এখন একনাথ শিন্ডে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রিত্ব, অবিভক্ত শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’ থেকে নাম সবটাই ঠাকরে পরিবারের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এবার মারাঠি ভোটব্যাঙ্কও গেল শিন্ডের কাছেই। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র সহযোগী হিসাবে ৮১টি আসনে লড়ে ৫৬টিতে জিততে চলছে শিন্ডেসেনা। তাদের ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট। অন্য দিকে, কংগ্রেসের সহযোগী উদ্ধবসেনা ২০-র বেশি আসনে জিততে পারেনি। অন্যদিকে রাজ ঠাকরের দল একটিও আসন পায়নি। বালাসাহেবের ব্যাটন তাই এখন শিন্ডের হাতে বলাই যায়।

    পরাস্ত উদ্ধব ঘনিষ্ঠরা

    উদ্ধব-পুত্র আদিত্য জিতেছেন মুম্বইয়ের ওরলিতে এবং তাঁর তুতো তাই বরুণ সরদেশাই বান্দ্রা পূর্ব আসনে জিতেছেন। তবে বাদবাকি সব হেভিওয়েটই ধরাশায়ী হয়েছেন মারাঠাভূমে (Maharashtra)। রাজন বিচারে, সুনীল প্রভুর মতো ঠাকরে পরিবারের বিশ্বস্ত সহযোগীরা হেরেছেন। শিন্ডে নিজে ঠাণে জেলায় তাঁর আসন কোপরি-পাচপাখাড়িতে হারিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত আনন্দ দিঘের ভাইপো কেদারকে। দীপক কেশরকর (সাওয়ন্তওয়াড়ি), উদয় সাওয়ন্ত (রত্নগিরি), সঞ্জয় রাঠৌরের (দিগরস) মতো একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠেরাও জিতেছেন। কংগ্রেস ছেড়ে আসা সঞ্জয় নিরুপম জিতেছেন দিন্দোসি কেন্দ্র থেকে।

    শিন্ডের উত্থানকাহিনি (Maharashtra)

    মহারাষ্ট্রে ২০১৯ সালে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও অবিভক্ত শিবসেনা জোট করেই লড়েছিল। শিবসেনা-বিজেপি জোট ভাঙে ভোটের পরে। বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ভিন্ন মতাদর্শের শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলান উদ্ধব। এরপর এনসিপি বিধায়ক এবং শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তবে সরকার পড়ে যায় দুদিন পরেই। এর পরে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডে হন (Eknath Shinde) নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী।

    শিন্ডে কীভাবে হলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ২০২২ সালের ২০ জুন একদল শিবসেনা বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ হন শিন্ডে। গুজরাত-অসম-গোয়ায় তিনি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে ঘুরতে থাকেন। বোঝা যায়, শিবসেনার (Maharashtra) অধিকাংশ বিধায়কই শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন। এরপরে নিরুপায় উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেন। ৩০ জুন বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সরকার গড়েন শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির ফডণবীস। এর পরে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিতও কাকার দলের অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএ-তে শামিল হন। পান উপমুখ্যমন্ত্রী পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Election Results 2024: “আমি আধুনিক অভিমন্যু, চক্রব্যূহ থেকে বেরনোর পথ জানি”, বললেন ফড়নবিশ

    Maharashtra Election Results 2024: “আমি আধুনিক অভিমন্যু, চক্রব্যূহ থেকে বেরনোর পথ জানি”, বললেন ফড়নবিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি আধুনিক অভিমন্যু। চক্রব্যূহ কীভাবে ভেদ করে বের হতে হয়, তা আমি জানি।” বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট (Maharashtra Election Results 2024) ব্যাপক জয় পাওয়ার পর ফের একবার কথাগুলি বললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)।

    মহাভারতের প্রসঙ্গ

    উক্তিটি মহাভারতের একটি চরিত্র অভিমন্যুকে কেন্দ্র করে। অর্জুন ও সুভদ্রার পুত্র অভিমন্যু একজন যোদ্ধা ছিলেন। তিনি চক্রব্যূহে প্রবেশ করার পদ্ধতি জানতেন, যদিও সেখান থেকে বের হওয়ার পদ্ধতি জানতেন না। এই চক্রব্যূহে আটকে পড়ে কৌরবদের হাতে নিহত হন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসেই ফড়নবীশ বলেছিলেন, “বিরোধী জোট মহা বিকাশ আগাড়ি মনে করে যে তারা তাঁকে গোলকধাঁধায় ফাঁসিয়ে দেবে।” সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কিন্তু আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যূহে প্রবেশ করতে হয়, কীভাবেই বা সেখান থেকে বের হতে হয়।”

    আধুনিক অভিমন্যু

    শনিবার বিপুল জয়ের পর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যূহ ভাঙতে হয়। আমরা চক্রব্যূহ ভেঙেছি। এই জয়ের পেছনে আমার অবদান খুবই সামান্য। এই জয় (Maharashtra Election Results 2024) আমাদের টিমের।” প্রসঙ্গত, নাগপুর সাউথ ওয়েস্ট কেন্দ্র থেকে নিজেও জয়ী হয়েছেন ফড়নবীশ।

    মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে কোনও বিরোধ নেই। প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে নির্বাচনের পরে, তিনটি দল একত্রে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যা কিছু সিদ্ধান্ত হবে, তা সবার পক্ষেই গ্রহণযোগ্য হবে।”

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে ২৩১টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিরোধী মহা বিকাশ আগাড়ি জোট পেয়েছে মাত্র ৫০টি আসন। অথচ মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ফল করেছিল ওই জোট। বিধানসভা নির্বাচনে তারাই পড়ল মুখ থুবড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশই (Devendra Fadnavis) হতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হবে (Maharashtra Election Results 2024) শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবারই। এনডিএ শিবিরের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সেখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে জিতল তারা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে সর্বোচ্চ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এনিয়ে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ফলাফল সামনে আনল জনগণের বিশ্বাসকেই। জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারই উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।’’ অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের এই জয় আসলে উন্নয়নের জয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়।

    ঝাড়খণ্ডে সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি, সংখ্যায় ৫৯ লাখ ২০ হাজার

    নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে শতাংশের বিচারে সব চেয়ে বেশি মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন। এজন্য আমরা ওই প্রদেশের সমস্ত মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বিজেপি কর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে শুভকামনা জানাই।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। সংখ্যার বিচারে যেটা ৫৯ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে সরকার গড়লেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাপ্ত ভোটের হার ২৩ শতাংশ। বিজেপির থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে তারা।

    মোদির ওপর ভরসা রেখেছেন দেশের মানুষ

    একইসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সারা দেশ এক উন্নয়নের যুগের মধ্যে দিয়ে চলেছে। এর ওপরে ভরসা করছেন সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন হোক অথবা হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বিজেপির জয়জয়কার।’’ প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসন-বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি ২৩০টি আসন ছিনিয়ে নিল। সেখানে ৪৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস জোট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবধান মাত্রই ছ’মাসের। এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে যে রাজ্যে পদ্মের হাল (Mahayuti) মলিন হয়ে গিয়েছিল, মাত্র ছ’মাস পরেই সেই রাজ্যই পদ্মময়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোটকে ধরাশায়ী করে জয়ডঙ্কা বাজাচ্ছে বিজেপি। এ রাজ্যে গেরুয়া শিবির বলে বলে গোল দিয়েছে বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের যে স্বপ্ন বিরোধীরা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই বিধানসভা নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল আরব সাগরের জলে। প্রশ্ন হল, কোন মন্ত্রবলে বিজেপির এই ঘুরে দাঁড়ানো আর বিরোধীদের অধঃপতন? আসছি সেই আলোচনায়ই।

    নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল (Maharashtra Assembly Elections)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর হাতে যে ছ’মাস ছিল, সেই সময় নিজেকে গড়েপিটে নিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি। শত্রুর ঘরে (পড়ুন বিরোধী শিবিরে) যখন নিত্য বয়ে গিয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত, তখন বিজেপি নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল। যারই সুফল গেরুয়া শিবির কুড়িয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। গত ছ’মাসে একের পর এক সাহসী এবং জনকল্যাণকর পদক্ষেপ নিয়েছেন গৈরিক নেতারা।

    জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ

    নীতিগত সংশোধনের পদক্ষেপের পাশাপাশি কৃষক, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মহরাষ্ট্র সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাযুতি সরকারের এসব পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হয়েছে। মহাযুতি সরকারের তিন শরিক— বিজেপি, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছে এই জোট। মহারাষ্ট্রে লোকসভা আসন রয়েছে ৪৮টি। তার মধ্যে (Maharashtra Assembly Elections) বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৭টি আসন (Mahayuti)। বাকি কেন্দ্রের রাশ গিয়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী (MVA) জোটের ঝুলিতে। শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়া শুরু হতেই চওড়া হতে থাকে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১২৪টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাযুতি সরকারের জোট শরিকরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা

    মহারাষ্ট্রবাসীর দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুফল যেমন বিজেপি কুড়িয়েছে, তেমনি আরএসএসের প্রচারও গৈরিক শিবিরের ঘরে তুলে দিয়েছে লাভের কড়ি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিল আরএসএস। বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক জোটের হয়ে ব্যাপক প্রচারও করেছে তারা। যার জেরে হতাশা কাটিয়ে উঠে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ভোটারদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও তাদের কঠোর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান জোরালো করে তোলে। বিজেপির স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘এক হো তো সেফ হো’, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (ভাগ হলেই পতন)-এর মতো ঝাঁঝালো স্লোগান। এগুলোও ভোটারদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এসবই জুগিয়েছে বিজেপির পালে হাওয়া। বিজেপি এবং আরএসএসের যুগলবন্দির মোকাবিলা করতে পারেনি মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। যার জেরে মহারাষ্ট্রে পানি পায়নি এই মহাজোট।

    ওবিসি সম্প্রদায়

    মারাঠা আন্দোলন (Maharashtra Assembly Elections) ওবিসি সম্প্রদায়গুলিকে মেরুকরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিজেপি তার জনসংযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ৩৫৩টি সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নেমেছিল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অঞ্চলভিত্তিকভাবে ওবিসি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সংযোগ স্থাপনের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছিলেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় সাতটি জাতি বা উপজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও রেখেছিল ওবিসি কমিশনের কাছে। ওবিসি সম্প্রদায়ের এই সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনা মহাযুতির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮টি। এর মধ্যে ১৭৫টি আসনে নির্ণায়ক শক্তি ওবিসি সম্প্রদায়। তার একটা বড় অংশই এবার গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। যার জেরে আরব সাগরের তীরের লোনা মাটিতেও ফুটেছে পদ্ম।

    ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি’

    মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর কৃষকদের ভোট পদ্ম-ঝুলিতে টানতে একাধিক পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার। এর মধ্যে ছিল রাজ্য বাজেটে সরকার ৭.৫ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত কৃষি পাম্প ব্যবহারকারী কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা। নির্বাচনী ইশতেহারে, মহাযুতি ফসল ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। ‘ভাবান্তর যোজনা’র মাধ্যমে এমএসপি এবং প্রকৃত ক্রয়মূল্যের পার্থক্য পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। এছাড়াও গুচ্ছ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে এসবই ডিভিডেন্ট দিয়েছে বিজেপিকে। তার জেরেই আরব সাগরের তীর হয়েছে (Mahayuti) পদ্মময়। মহারাষ্ট্রের কুর্সির রং হয়েছে গেরুয়া (Maharashtra Assembly Elections)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে শুরু ভোট গণনা, দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি জোট

    Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে শুরু ভোট গণনা, দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি জোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে যে ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র- এই দুই রাজ্যে সরকার গঠন করবে বিজেপি। সকাল থেকেই দুই রাজ্যেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের ছয় মাসের মাথাতে ভোট হচ্ছে দুই রাজ্যে। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে (Assembly Election 2024) শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এর পাশাপাশি গণনা চলছে বাংলার ছটি কেন্দ্রে (Election Results)। যেগুলিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে, উপনির্বাচন হচ্ছে ২ রাজ্যের ২ লোকসভা কেন্দ্রেও। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় লোকসভার পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে কেরলের ওয়েনাড়। সেখানেও গণনা চলছে। মোট ১৪টি রাজ্যের ৪৮টি বিধানসভা এবং দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন চলছে। রাজ্যগুলি হল- অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।

    পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্র সমেত গণনা ঝাড়খণ্ডেও (Assembly Election 2024)

    গণনা চলছে পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে (Election Results)। এগুলি হল-কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর। যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বাংলার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ন’টি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলও বের হবে আজ শনিবার। বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে (Assembly Election 2024) মোট ৮১টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে ভোট হয়েছিল প্রথম দফায়, গত ১৩ নভেম্বর। বাকি ৩৮টিতে দ্বিতীয় দফায়, ২০ নভেম্বর। মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনেই ২০ নভেম্বর এক দফায় ভোট হয়েছিল। 

    মহারাষ্ট্রের ভোট গণনা

    মহারাষ্ট্রে মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে), এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাযুতি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। এ ছাড়া ভোটের ময়দানে রয়েছে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাও, বাবাসাহেব আম্বেদকরের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ আম্বেদকর ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’ দলের হয়ে লড়ছেন। মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন ‘মহাযুতি’র গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Assembly Election 2024) তথা শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে (কোপরি-পাচপাখাড়ি), দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, এনসিপির অজিত পওয়ার (বারামতী) এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীস (নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share