Tag: Mahatma Gandhi

Mahatma Gandhi

  • Dandi March Day: “ডান্ডি মার্চ আজও অনুপ্রাণিত করে”, ৯৫তম বার্ষিকীতে লবণ সত্যাগ্রহকে স্মরণ মোদির

    Dandi March Day: “ডান্ডি মার্চ আজও অনুপ্রাণিত করে”, ৯৫তম বার্ষিকীতে লবণ সত্যাগ্রহকে স্মরণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডান্ডি মার্চ অর্থাৎ লবণ সত্যাগ্রহ (Dandi March Day) ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ঔপনিবেশিক ভারতে অহিংস আইন অমান্য আন্দোলন। ২০২৫ সালের ১২ মার্চ পালন করা হচ্ছে ৯৫তম ডান্ডি মার্চ। লবণ সত্যাগ্রহ নামেও পরিচিত ডান্ডি অভিযান। ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক শুরু হয়েছিল ডান্ডি পদযাত্রা। এই পদযাত্রাটি আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রম থেকে শুরু হয়েছিল এবং গুজরাটের ডান্ডি গ্রাম পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।

    ডান্ডি-মার্চকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ থেকে ১৯৩০ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী ডান্ডি মার্চ (Dandi March Day) ছিল ব্রিটিশ লবণের একচেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক কঠোর অভিযান। বুধবার, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “আজ আমরা ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চের সকল অংশগ্রহণকারীদের শ্রদ্ধা জানাই, যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অমোঘ অধ্যায়। মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক পরিচালিত এই মার্চ দেশব্যাপী আত্মনির্ভরতা এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিল। ডান্ডি মার্চের অংশগ্রহণকারীদের সাহস, ত্যাগ এবং সত্য ও অহিংসার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি আজও প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে।”

    ডান্ডি মার্চ-এক শক্তিশালী অবস্থান

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও এক্স-এ লিখে ডান্ডি মার্চকে (Dandi March Day) ঐতিহাসিক বলে সম্মান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ডান্ডি মার্চ দিবসে, আমরা মহাত্মা গান্ধীর উপনিবেশ বিরোধী সাহসী অবস্থানকে সম্মান জানাই। তাঁর ঐতিহাসিক লবণ মার্চ একটি আন্দোলনকে জন্ম দেয় যা ভারতের স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতার সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ডান্ডি মার্চের ৯৫তম বার্ষিকীতে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স-এ বলেছেন, “১৯৩০ সালের এই দিনে, গান্ধীজি লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ডান্ডি মার্চ শুরু করেছিলেন। এই সাহসী পদক্ষেপটি হাজার হাজার মানুষকে একত্রিত করে, যা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী অবস্থান হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

  • RSS: আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর যথার্থ উত্তরসূরি!

    RSS: আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর যথার্থ উত্তরসূরি!

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: আরএসএসের (RSS) নাম শুনলেই যাঁরা নাক সিঁটকান, তাঁরা জেনে রাখুন আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) যথার্থ উত্তরসূরি! কারণ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর আদর্শ ধরে রেখেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, যাঁরা আরএসএস নামেই পরিচিত।

    মহাত্মা গান্ধী (RSS)

    মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একনিষ্ঠ হিন্দু। হিন্দু ধর্ম, গো-সুরক্ষা, স্বদেশি ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ সম্পর্কে তাঁর ভাবনাগুলি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে আরএসএস। প্রকৃতপক্ষে, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন সংঘের অন্যতম বড় প্রশংসক। ১৯৩৪ সালে গান্ধী মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় একটি আরএসএস প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। এটি দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। কারণ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে সব বর্ণের যুবক ও বালকরা একসঙ্গে অবস্থান করছিল। তারা একই ছাদের নীচে খাচ্ছিল। সহ-স্বয়ংসেবকদের জাতি নিয়ে কোনও ভেদাভেদ ছিল না।

    গান্ধীর বক্তব্য

    স্বাধীনতার এক মাস পর, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে, দিল্লিতে এক ভাষণে আরএসএস কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গান্ধী স্মরণ করেছিলেন, “আমি বছর কয়েক আগে আরএসএস (RSS) শিবিরে গিয়েছিলাম। যখন প্রতিষ্ঠাতা শ্রীর (কেশব বালিরাম) হেডগেওয়ার উপস্থিত ছিলেন। তোমাদের শৃঙ্খলা, অস্পৃশ্যতার সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং কঠোর সরলতা আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছিল।” তিনি বলেছিলেন, “তখন থেকে সংঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে যে কোনও সংগঠন, যা সেবার উচ্চ আদর্শ এবং আত্মত্যাগ দ্বারা অনুপ্রাণিত, তা অবশ্যই শক্তিশালী হয়ে উঠবে (Mahatma Gandhi)।”

    হেডগেওয়ারের বক্তব্য

    ১৯৩৯ সালে পুণেতে সংঘ শিক্ষা বর্গ (আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবির) পরিদর্শন করেছিলেন ভারতীয় সংবিধানের জনক ভীমরাও অম্বেডকরও। তিনি যখন আরএসএসের (RSS) প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কে বি হেডগেওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে শিবিরে কোনও অস্পৃশ্য ব্যক্তি রয়েছেন কিনা। তখন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা উত্তর দিয়েছিলেন যে এখানে স্পৃশ্য বা অস্পৃশ্য কেউ নেই, কেবল হিন্দুরাই রয়েছেন। অম্বেডকর বলেছিলেন, “আমি আশ্চর্য হয়েছি দেখে যে স্বয়ংসেবকরা সম্পূর্ণ সমতা ও ভ্রাতৃত্বের সঙ্গে চলাফেরা করছে। তারা এমনকি একে অন্যের জাতপাত সম্পর্কে জানার প্রয়োজনও অনুভব করছে না।”

    ওয়াল্টার অ্যান্ডারসন

    আরএসএসের উচ্চকিত প্রশংসা করেছিলেন বিশ্বশ্রুত লেখক ওয়াল্টার অ্যান্ডারসনও। তিনি ছিলেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রধান। আরএসএসের ওপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন তিনি। ‘ইন্টিগ্রাল হিউম্যানিজম’ শীর্ষক একটি সংকলনে (দীনদয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রকাশ করেছে) তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ও চিন্তাবিদ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের তুলনা (RSS) করেছেন।

    অ্যান্ডারসনের বক্তব্য

    এই উপাধ্যায়ই ছিলেন ভারতীয় জনসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ববর্তী রূপ এই ভারতীয় জনসংঘ (Mahatma Gandhi)। “অখণ্ড মানবতাবাদ”-ই হল বিজেপির সরকারি মতাদর্শ। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘গান্ধী এবং দীনদয়াল: দুই ঋষি’ শীর্ষক প্রবন্ধে অ্যান্ডারসন গান্ধী ও উপাধ্যায়ের মধ্যে তুলনা করেছিলেন। তিনি তাঁদের দুজনের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। অ্যান্ডারসন লেখেন, “গান্ধী ও উপাধ্যায় মূলত সংগঠক ছিলেন। দার্শনিক জল্পনার চেয়ে সংগঠন গঠনে বেশি আগ্রহী ছিলেন। উভয়ই ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।” তিনি আরও লেখেন, “গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে রূপান্তরিত করেছিলেন। ‘মহাত্মা’ হিসেবে তার ক্যারিশমাটিক আবেদন কংগ্রেসকে স্বাধীনতা আন্দোলনের কার্যকর বাহিনীতে পরিণত করেছিল। উপাধ্যায়ও সাধুসুলভ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। জনসংঘের কর্মীদের ওপর তাঁরও একই রকম প্রভাব ছিল।”

    গান্ধী ও উপাধ্যায়

    গান্ধী ও উপাধ্যায় উভয়েই সরাসরি ক্ষমতার রাজনীতির বৃত্ত থেকে দূরে ছিলেন। দুজনেই তীক্ষ্ণ কিন্তু বাস্তববাদী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাঁদের তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। গান্ধী ছিলেন ‘স্বরাজ’ ও ‘স্বদেশী’র প্রবল সমর্থক। উপাধ্যায়ও ‘অখণ্ড মানবতাবাদে’র আলোচনায় একই দর্শনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, পশ্চিমি উন্নয়ন মডেলের প্রত্যাখ্যানই ছিল গান্ধী ও উপাধ্যায় উভয়ের চিন্তার মূল ভিত্তি। অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত, উভয়েই রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি সন্দিহান ছিলেন। এটি কীভাবে জননেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন। কেউই কখনও কোনও রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত হননি, এমনকি তা চাওয়ারও চেষ্টা করেননি”। তিনি লিখেছেন, “ভারত স্বাধীনতা লাভের কয়েক মাস পর গান্ধী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বলেছিলেন— ক্ষমতা পরিত্যাগ করে এবং ভোটারদের প্রতি বিশুদ্ধ ও নিঃস্বার্থ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে, আমরা তাঁদের পরিচালিত ও প্রভাবিত করতে পারি। এটি আমাদের প্রকৃত ক্ষমতা দেবে, যা আমরা সরকারে গিয়ে অর্জন করতে পারব না। আজ রাজনীতি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। যে কেউ এতে প্রবেশ করে, সে কলুষিত হয়। আসুন আমরা একেবারেই এর বাইরে থাকি। এর ফলে আমাদের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে।”

    গান্ধী এবং উপাধ্যায় উভয়েই একই (RSS) সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে সমাজে পুরুষ ও নারীর গুণগত মানই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আরএসএস মনে করে যে এমন পুরুষ ও নারীদের প্রস্তুত করার কাজই গত ৯৩ বছর ধরে দেশে কেবলমাত্র একটি সংগঠন— আরএসএসই নিরবচ্ছিন্নভাবে করে আসছে (Mahatma Gandhi)।

     

  • Singer Abhijeet Bhattacharya: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    Singer Abhijeet Bhattacharya: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনামে এসেছেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Singer Abhijeet Bhattacharya)। ফের খবরের হেডলাইন তিনি। কারণ, মহাত্মা গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের জনক’ বলেছেন তিনি। গায়কের এহেন মন্তব্যে বেজায় ক্ষিপ্ত (Mahatma Gandhi Remark) আইনজীবী অসীম সারোডে। গান্ধীকে নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণে ক্ষমা চাইতে হবে বলিউডের গায়ককে। এই দাবি জানিয়েই বাঙালি গায়ককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অসীম।

    কী বললেন সঙ্গীত শিল্পী? (Singer Abhijeet Bhattacharya)

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলার এই সঙ্গীত শিল্পী বলেন, “সুরকার আরডি বর্মন মহাত্মা গান্ধীর চেয়েও বড় ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী যেমন জাতির জনক, তেমনই আরডি বর্মন ছিলেন সঙ্গীত জগতের জনক।” এর পরেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বাঙালি গায়ক। বলেন, “মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জনক ছিলেন, ভারতের নয়। ভারতবর্ষের অস্তিত্ব তো ছিলই, পাকিস্তান পরে তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভুল করেই ভারতে গান্ধীকে জাতির জনক বলা হয়। পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য তিনিই দায়ী।”

    আইনীজীব সারোডে

    এতেই চটেছেন আইনীজীব সারোডে। লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে, ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পুণের এই আইনজীবী। আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি দেশের সম্মানকে চ্যালেঞ্জ করা। মহাত্মা গান্ধী একজন জাতির জনক। তাঁর প্রতি এমন অবমাননাকর মন্তব্য সহ্য করা হবে না।” পুণের ওই আইনজীবী বলেন, “যদি অভিজিৎ এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তবে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বাধ্য হব।” তাঁর দাবি, এমন মন্তব্য দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর (Singer Abhijeet Bhattacharya)।

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    অভিজিতের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন সঙ্গীত জগতেরও অনেকে। গান্ধীজি সম্পর্কে এহেন মন্তব্য দেশের ঐতিহ্যকে ছোট করার সমান। বিশেষত, জাতির জনক সম্পর্কে এমন আপত্তিকর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেই দাবি গায়ক সমাজের। প্রসঙ্গত, অভিজিতের এহেন মন্তব্য একেবারেই নতুন নয়। নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। শাহরুখ খান, সলমন খান, রণবীর কাপুর সহ অনেক বলিউড (Mahatma Gandhi Remark) তারকার বিরুদ্ধে আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি (Singer Abhijeet Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahatma Gandhi: “ওঁর জীবন অনুপ্রেরণার”, জাতির জনক গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Mahatma Gandhi: “ওঁর জীবন অনুপ্রেরণার”, জাতির জনক গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অহিংসার পথ প্রদর্শক তথা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নয়াদিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। গান্ধীর জীবনদর্শন স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷ বাপুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির শ্রদ্ধা

    জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘সকল দেশবাসীর তরফ থেকে শ্রদ্ধেয় বাপুকে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে শত শত প্রণাম। ওঁর জীবন ও আদর্শ সত্য, সম্প্রীতি ও সাম্যের উপর ভিত্তি করে, ওঁর জীবন দেশবাসীর কাছে সর্বদা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’ বিশেষ এই দিনে স্কুলপড়ুয়াদের সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধীর পাশাপাশি দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন আজ। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও এদিন শ্রদ্ধা জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দেশের সৈনিক ও কৃষকদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা।’

    জাতির জনককে স্মরণ রাষ্ট্রপতির

    বুধবার মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী। দেশব্যাপী পালন করা হচ্ছে ‘গান্ধী জয়ন্তী’। এদিন রাষ্ট্রপতি মুর্মু মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “গান্ধিজির মতে, যে দর্শন জীবনের জন্য উপযোগী নয়, তা হল ধূলোর মতো প্রাণহীন। তাঁর কথায়, কাজে ও চিন্তায় ছিল পূর্ণ ঐক্য। এই কারণেই তাঁর কথা আজও আমাদের সবার জন্য প্রাসঙ্গিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • August Kranti Day: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    August Kranti Day: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৯৪২। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (Second World War) চলছে। হিটলারের জার্মানি এবং তার সহযোগী দেশগুলি যুদ্ধজয়ের বিচারে সাফল্যের শীর্ষে। সবে সোভিয়েতের উপর হামলা করেছে অক্ষসেনা। টালমাটাল হচ্ছে ব্রিটিশরা। ঠিক সেই সময়েই ভারতেও তুঙ্গে উঠল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ (Indian National Movement)। অগাস্ট ক্রান্তি দিবস (August Kranti Day), যা কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট (Quit India Movement) দিবস নামে পরিচিত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক পর্ব। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে এই আন্দোলন শুরু হয়। এখনও প্রতিবছর পালিত হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবস। স্মরণ করা হয় ওই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অসংখ্য নাম জানা-না জানা মানুষদের। শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁদের ত্যাগের প্রতিও। এই বছর, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের ৮২তম বার্ষিকী উদযাপন করছে দেশ।

    ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি

    ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতার পর ব্রিটিশ শাসনের প্রতি ভারতীয়দের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ থেকে কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের (Quit India Movement) উৎপত্তি হয়। ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট, তৎকলীন বোম্বেতে (অধূনা মুম্বই) অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে কুইট ইন্ডিয়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ডাক দেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)। মহাত্মা গান্ধীর “করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে” স্লোগানকে সম্বল করেই শুরু হয়েছিল ভারতজোড়া এই অহিংস আন্দোলন। 

    আন্দোলনের বিস্তার

    ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য নির্বিশেষে এই আন্দোলনে (August Kranti Day) যোগ দিয়েছিলেন প্রায় সকলে। আইন অমান্য, মিছিল, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-ধর্মঘট সম্বল করেই দেশের নানা প্রান্তে ঢল নেমেছিল স্বাধীনতাকামী ভারতবাসীর। নেতারা গ্রেফতার হলেও স্বাধীনতাকামী যে কোনও ভারতীয় এই আন্দোলনে নামবেন এবং নেত্বত্ব দেবেন এমন সিদ্ধান্তই পাশ হয়েছিল কংগ্রেসের বোম্বে অধিবেশনে। ৯ অগাস্টই গ্রেফতার হয়ে যান কংগ্রেসের প্রথম সারির সকল নেতা। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, আবুল কালাম আজাদ-সহ প্রায় সকলেই গ্রেফতার হয়ে যান। তারপরেও চলেছে আন্দোলন। তার কদিনের মধ্যেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই আন্দোলন। অধিকাংশ এলাকাতেই সেই অর্থে স্থানীয় নেতৃত্ব বা কোনওরকম নেতৃত্ব ছাড়াই আন্দোলন গড়ে ওঠে। 

    পরাধীন ভারতে স্বাধীন সরকার

    ভারত ছাড়ো আন্দোলনের (Quit India Movement) আঁচ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের পটভূমিতেই পরাধীন ভারতে প্রথম গড়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের স্বাধীন সরকার। বাংলার তমলুকেই প্রথম গড়ে ওঠে স্বাধীন সরকার। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন বা অগাস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতবর্ষের নানা জায়গায় মহাভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন সরকার গঠিত হয়। ভারতবর্ষের বেশ কিছু জায়গায় স্বাধীন জাতীয় সরকার গঠিত হয়। মহারাষ্ট্রের সাতারা, উত্তরপ্রদেশের বলিয়া ও বাংলার বুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমায় গঠিত হয় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। 

    কঠোর দমন নীতি

    প্রথম থেকেই এই আন্দোলন (August Kranti Day) দমাতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছিল ব্রিটিশরা (British Rule in India)। শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন জিরো আওয়ার’। শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল, জেলে গিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন বাংলার নারী-পুরুষও। আন্দোলন চলাকালীন তমলুকে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরা। প্রবল অত্যাচারের কারণেই হয়ত ১৯৪৪ সালে সেই অর্থে গতি হারায় এই আন্দোলন। কিন্তু ততদিনে স্বাধীনতা আন্দোলন তার সর্বোচ্চ গতি পেয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছোট বালুকণার মধ্যেও অসীমের স্পর্শ পেতেন, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা কবিগুরুকে

    আন্তর্জাতিক স্তরে প্রভাব

    আন্তর্জাতিক স্তরে, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের (August Kranti Day) প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ব্রিটিশ রাজের শেষ কটা বছরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলন। ব্রিটিশদের হাত থেকে যে মুক্তি মেলা সম্ভব, সেই বিশ্বাস এবং তার জন্য লড়াই করার জেদ আপামর ভারতবাসীর মনে গেঁথে দেওয়ার জন্য ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব রয়েছে। এর কয়েক বছর পরেই ১৯৪৭ সালে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বাধীনতা পায় ভারত। তবে সইতে হয় দেশভাগের যন্ত্রণা। যা আজও ভারতীয়দের মনে এক গভীর ক্ষত। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন এখনও দেখে আসমুদ্র হিমাচল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আজ ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ মোদির, শ্রদ্ধা জানালেন মহাত্মা গান্ধী, বাজপেয়ীকে

    PM Modi: আজ ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ মোদির, শ্রদ্ধা জানালেন মহাত্মা গান্ধী, বাজপেয়ীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ জুন, রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সন্ধেয় রাষ্ট্রপতি ভবনে হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। তার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান মহাত্মা গান্ধীকে। সেখান থেকে তিনি যান সদৈব অটলে। সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানান মোদি। এর পর প্রধানমন্ত্রী যান ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের কাছে। পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রার্থনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগাগোড়াই ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

    কারা থাকবেন শপথের অনুষ্ঠানে

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর পর শপথ নেবেন নয়া মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও। জমকালো এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু-সহ পড়শি দেশের একাধিক রাষ্ট্রনেতা। এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও। তবে তিনি যাবেন কিনা, তা (PM Modi) এখনও স্পষ্ট নয়।

    কড়া নিরাপত্তার বলয়

    প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আঁটসাঁট করা হয়েছে দিল্লির নিরাপত্তা। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। এদিন বিকেল তিনটে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দিল্লির আকাশসীমায়ও আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন। নির্বাচন হয়েছিল লোকসভার ৫৪৩টি আসনে। সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ২৭২টি আসন। ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে ঢের বেশি আসন পাওয়ায় সরকার গড়ার দাবি জানায় এনডিএ।

    আর পড়ুন: আজ দিল্লিতে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন মোদি, মন্ত্রিসভায় কারা?

    বিজেপির তরফে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানান। তার আগেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন নরেন্দ্র মোদি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে যায় মন্ত্রিসভা। শুরু হয় নয়া সরকার গড়ার তোড়জোড়। তবে নয়া সরকার গঠিত না হওয়া ইস্তক কার্যনির্বাহী হিসেবে স্বপদে রয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress: হিন্দুত্ব-বিরোধী রাজনীতিই কাল হয়েছে কংগ্রেসের! অস্তিত্বের সঙ্কটে গান্ধীদের দল

    Congress: হিন্দুত্ব-বিরোধী রাজনীতিই কাল হয়েছে কংগ্রেসের! অস্তিত্বের সঙ্কটে গান্ধীদের দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নেতা বদলেছে। তবে ‘চরিত্র’ বদলায়নি। তাই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে ‘ইন্ডি’ জোটের সব চেয়ে বড় দল কংগ্রেস (Congress)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দু বিরোধী রাজনীতি করতে গিয়েই সর্বস্ব খুইয়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে সোনিয়া গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়্গের দল। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, চলতি লোকসভা নির্বাচনে কেবল কংগ্রেস নয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর কাছে গোহারা হারতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর বিধানসভা নির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের রাশ। তার পরেও দিব্যি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, তার জেরেই সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে ইন্দিরা গান্ধির দলের।

    চিন্তন শিবিরের দাবি (Congress)

    দলের হাল ফেরাতে ২০২২ সালের মে মাসে রাজস্থানে দু’দিনের চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস (Congress) নেতারা। এই চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিনে উত্তরের নেতারা যা বলেছিলেন, তার নির্যাস হিন্দুত্বের লাইনে না ফিরলে দলের সমূহ বিপদ। উত্তরের এই প্রতিনিধিরা বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতাদের উচিত ‘দহি হান্ডি’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, বিভিন্ন রাজ্য এবং জেলা কংগ্রেস কমিটির দফতরে গণেশ মূর্তি স্থাপন করা এবং অবশ্যই নবদুর্গা উৎসবের আয়োজন করা। উত্তরের নেতাদের দমিয়ে দিয়েছিলেন জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেসের দক্ষিণী নেতারা। তাঁরা সাফ বলেছিলেন, ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। বিজেপি লাইন (হিন্দুত্বের লাইন) থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলেও চিন্তন শিবিরে জানিয়েছিলেন এক প্রবীণ নেতা। কংগ্রেসের দক্ষিণী নেতারা নন, উত্তরের নেতারাই যে ঠিক বলেছিলেন, কংগ্রেসের ভোট ম্যানেজাররা তা টের পান রাজস্থান-সহ তিন রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর। তবে সরাসরি হিন্দুত্বের লাইনে না গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী দেশের বিভিন্ন মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন, ভারসাম্য বজায় রাখতে যোগ দিয়েছেন মুসলমানদের ইফতার পার্টিতেও।

    পার্টি লাইন নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে অতীতেও

    এই পার্টি লাইন নিয়ে অতীতে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে মতদ্বৈততা প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁরই শিষ্য জওহরলাল নেহরুরও। গান্ধি প্রায়ই বলতেন, “ধর্ম হল ধর্মনিরপেক্ষতার অবিচ্ছদ্য অঙ্গ। ধর্মহীন রাজনীতি আদতে ধুলো।” ওয়াকিবহালের মতে, এই সত্যটাই বুঝতে চাননি নেহরু। তারই মাশুল গুণছে দল। এক সময় যে দল রাজ করত দেশের সিংহভাগ রাজ্যে, এখন সেই দলটি পরিণত হতে চলেছে আঞ্চলিক দলে।

    কংগ্রেসের (Congress) এই দুর্দিন ঘুচবে কি?

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjeev Sanyal: বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে স্মরণ করলেন তাঁর নাতি তথা প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে স্মরণ করলেন তাঁর নাতি তথা প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩ এপ্রিল ছিল বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালের জন্মদিন। ঠিক এই সময়েই ফের একবার এই অগ্নিযুগের বিপ্লবী আলোচনায় উঠে এলেন তাঁর নাতির কারণে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য তথা ঐতিহাসিক সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal) স্মরণ করলেন তাঁর দাদু তথা বাংলার বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে। প্রসঙ্গত, শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ১৯০৭ সালে কলকাতায় অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন। শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ১৯০৯ সালে বারাণসীতে ‘ইয়ং ম্যান অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এক বিপ্লবী দল গঠন করেন। তিনি ছিলেন রাসবিহারী বসুর অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ। রাসবিহারী বসু তাঁকে লাট্টু নামে ডাকতেন বলে জানা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসবিহারী বসু সেনাবিদ্রোহের উদ্যোগ নেন। জানা যায় এই প্রচেষ্টার অন্যতম সহযোগী ছিলেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সঞ্জীব সান্যাল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে সঞ্জীব সান্যাল আলোচনা করেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল এর লেখা বই ‘Bandi Jeevan: A Life in Captivity’ এর ওপর। এ সংক্রান্ত আলোচনাটি চলতি সপ্তাহেই একটি ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা হয়। বর্তমানে ওই বইটি ইংরেজিতেও অনুবাদ করা হয়েছে।

    লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা নিক্ষেপ মামলা 

    সঞ্জীব সান্যালের (Sanjeev Sanyal) বক্তব্যে উঠে আসে ১৯১২ সালের সাড়া জাগানো বৈপ্লবিক ঘটনা লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা নিক্ষেপ মামলা। প্রসঙ্গত, রাসবিহারী বসুর নেওয়া এই উদ্যোগে নদীয়ার বসন্ত বিশ্বাস বোমা ছুড়ে ছিলেন বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ এর ওপরে। রাসবিহারী বসু চাকরি করতেন দেরাদুনের বন বিভাগে, সেখানে বসেই এই পরিকল্পনা রচনা করেন তিনি। বড়লাটের ওপর বোমা নিক্ষেপের ঘটনার পরে অতিসক্রিয় হয়েও ব্রিটিশ পুলিশ টিকি খুঁজে পায়নি রাসবিহারী বসুর। সঞ্জীব সান্যালের মতে, সে সময়ে ব্রিটিশ পুলিশের নজরে আসে অনুশীলন সমিতির কার্যকলাপও। তৎক্ষণাৎ শচীন্দ্রনাথ সান্যাল অনুশীলন সমিতির নাম বদল করেন। এমনটাই বলেছেন সঞ্জীব বাবু।

    হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মি

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও জানিয়েছেন, বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোম পড়েছিল চাঁদনি চকে। যা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই কাছে। বাংলার বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মিও তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ জারি রাখতে। তারও উল্লেখ করেছেন সঞ্জীব সান্যাল। প্রসঙ্গত,  ১৯২৪ সালেই প্রতিষ্ঠা হয় হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মি। এই বাহিনী গঠনের মূলে ছিল ১৯২২ সালের চৌরিচোরার ঘটনা। প্রসঙ্গত, চৌরিচোরার ঘটনায় আন্দোলনকারীদের হাতে পুলিশ কর্মীরা নিহত হলে অসহযোগ আন্দোলনকে তুলে নেন মহাত্মা গান্ধী। এই সময় শচীন্দ্রনাথ সান্যাল অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব। ওই সময়ে দেশের যুবসমাজের কংগ্রেস তথা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি অনাস্থাও পরিলক্ষিত হতে থাকে। দেশের যুব সমাজের বড় অংশ মনে করতে থাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রত্যাহারের কারণে ব্রিটিশরা শক্তিশালী হয়েছে। এই সময় বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তুলতে শচীন্দ্রনাথ সান্যাল নিয়োগ করতে শুরু করেন রামপ্রসাদ বিসমিল, রাজেন্দ্র লাহিড়ী, আশফাকুল্লাহ খান প্রভৃতি কলেজ ছাত্রদের। বারাণসী সংস্কৃত কলেজে পাঠরত সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদদেরও নিয়োগ করেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। ৯ অগাস্ট ১৯২৫ সালে কাকোরি ট্রেন অ্যাকশন যা কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলাতেও হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। এই আর্মির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভগৎ সিংও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’। সোমবার ঠিক এ কথাই বলতে শোনা গেল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মতে, ‘‘মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা এনেছিলেন। সত্যাগ্রহ এবং অহিংসা নীতিকে সম্বল করে। অন্যদিকে ভারতের সফলতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদেরকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে আমরা সর্বদাই যেতে চেয়েছি।’’ প্রসঙ্গত জগদীপ ধনখড় সোমবার বক্তব্য রাখেন জৈন ধর্মের প্রচারক ও দার্শনিক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে।

    মোদি ও গান্ধীর জীবনে রয়েছে আধ্যাত্মিকতার প্রতিফলন

    উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) এদিন শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির জীবন ও দর্শন নিয়েও আলোকপাত করেন তাঁর বক্তব্যে। প্রসঙ্গত, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি ১৮৬৭ জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটে। ১৯০১ সালে তাঁর প্রয়াণ ঘটে। জৈন ধর্মের প্রচারক এবং মহাত্মা গান্ধীকে আধ্যাত্মিক দর্শনদানের জন্য তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুজনেরই জীবনে যে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির প্রভাব রয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি আরও জানান যে দুজনেরই জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রজির দর্শন।

    নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি

    নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন যে কিছু শক্তি ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। তাদের সহ্য হচ্ছে না ভারতের এমন উন্নতি। উন্নয়নে বাধা দেওয়া এই শক্তিগুলি একত্রিত হয়েছে। যখনই দেশের ভাল কিছু হয় তখনই তারা বিরোধিতায় সামিল হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন যে আশেপাশে আপনারা যে সকল দেশগুলিকে দেখছেন তাদের ইতিহাস রয়েছে ৩০০ বছরের ৫০০ বছরের কী খুব বেশি হলে ৭০০ বছরের। কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাস রয়েছে ৫ হাজার বছরের।

    ‘শ্রীমাদ রাজচন্দ্র মিশন ধরমপুর’ হল একটি বিশ্বব্যাপী মিশন। আধ্যাত্মিকতার দ্বারা সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে এই মিশন। মিশনের আন্তর্জাতিক সদর দফতর রয়েছে গুজরাটে। মিশনের বেশ কতগুলো সৎসঙ্গ সেন্টারও রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রীমদ রাজচন্দ্রা ইয়ুথ গ্রুপস এবং শ্রীমৎ রাজচন্দ্রা ডিভাইন টাচ সেন্টার। জানা যায়, শ্রীমদ রাজচন্দ্রাজি এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রথম দেখা হয়েছিল মুম্বইতে ১৮৯১ সালে। সে সময়ে ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরেছিলেন গান্ধী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ অক্টোবর গান্ধী জন্মজয়ন্তী। গান্ধীজির সঙ্গে বঙ্গের আসানসোল (Asansol) বা রানীগঞ্জের যে সংযোগ ছিল, তার উল্লেখ অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে অবগত। সেই গান্ধীজির যুগের স্পর্শ রয়েছে আসানসোলের একটি স্কুলেও। তার আগে জানতে হবে আরও একটি বিষয়। জানেন কি আসানসোলে প্রথম তৈরি হয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কের ফরমুলা, যা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং গান্ধীজি! সেটি পাওয়ার পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবার একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি আজও শোভা পাচ্ছে আসানসোলের ওই স্কুলগাত্রে।

    গান্ধীজি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কোন স্কুলে (Asansol)?

    গান্ধীজির পাঠানো চিঠি রাখা হয়েছে আসানসোলের (Asansol) ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে। এক সময় এই বিদ্যালয়টি ছিল খ্রিস্টান পরিচালিত, যা স্বাধীনতার পূর্বের সময়ের ইতিহাস বহন করেছে। জেলার অন্যতম পুরনো বিদ্যালয়, যেখানে পড়ুয়াদের জন্য প্রথম তৈরি হয়েছিল শৌচালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক ফরমুলা, যা বর্তমানে বহুলভাবে প্রচলিত। সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষয়টি জানতে পেরে গান্ধীজি সেই ফরমুলা চেয়ে পাঠান। গুজরাটের সবরমতীতে গান্ধীজির আশ্রমের শৌচালয়ের জন্য এই ফরমুলা তিনি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তখন উষাগ্রাম বয়েজ হাইস্কুলের দায়িত্বে ছিলেন হিলিয়াম বায়ার্স। তাঁকেই প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজি। এরপর যে ইঞ্জিনিয়ার ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন, তিনি ফরমুলা পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজিকে। পরিবর্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি চিঠি গান্ধীজি পাঠিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এই চিঠি আজও সংরক্ষিত স্কুলে।

    বর্তমানে এই চিঠি সংরক্ষিত স্কুলে

    সঠিকভাবে সাল না জানা গেলেও, আনুমানিক স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা বলে দাবি করা হয়। গান্ধীজির পাঠানো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এই চিঠিটি ছিল হিলিয়াম বায়ার্স-এর পরিবারের কাছে। ২০১১ সালে হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি এই চিঠিটি বিদ্যালয় (Asansol) কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। আর তারপর থেকে গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি সাজিয়ে রাখা আছে বিদ্যালয়ে। গান্ধীজীর পাঠানো এই চিঠি বিদ্যালয়ের সঙ্গে গান্ধীজির যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলেই দাবি করা হয়।

    স্কুলের প্রতিক্রিয়া

    ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলের (Asansol) কমিটির সম্পাদিকা সুশীলা মল্লিক বলেন, “হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি ২০১১ সালে একটি বই আকারে গান্ধীজির চিঠিটি পাঠান। এরপর স্কুলের প্রেস থেকে ফেস্টের সময় ছাপিয়ে স্কুলের দেওয়ালে সেটি লাগানো হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা হল এই স্কুল।” স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জীব নস্কর বলেন, “আমাদের স্কুলেই প্রথম স্যানিটারি বিষয়টি এসেছিল। গান্ধীজি লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর আশ্রমে প্রয়োগ করেন। সমাজে স্বচ্ছতা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সেই সময় থেকে গান্ধীজি সচেতন ছিলেন। বাপুর এই চিঠি, স্কুলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share