Tag: Make in India

Make in India

  • Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ল ভারতে (India) বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন (Defence Production)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই উৎপাদন গড়েছে রেকর্ড। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেই জানানো হয়েছে একথা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১.২৭ লাখ কোটি টাকা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামেই উৎপাদন ছুঁয়েছে এই মাইলস্টোন।” ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। একলপ্তে সেটাই বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য (Defence Production)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম বছরের পর বছর নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। আমাদের শিল্পকে অনেক অভিনন্দন যার মধ্যে রয়েছে ডিপিএসইউ, অন্যান্য পিএসইউএস যারা প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে এবং ব্যক্তিগত শিল্প। ভারতকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার আরও সহায়ক ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রতিরক্ষা (Defence Production) খাতে ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “এই যাত্রায় যাঁরা শামিল হয়েছেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করা যায় না। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা পুরোপুরি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের নেতৃত্বস্থানীয় হাবে পরিণত করব।”

    আর পড়ুন: পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই মিলল মধ্যযুগের ইতিহাস, জনতার ভিড়

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে অসাধারণ অবদান রেখেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি ছুঁয়েছে ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার রেকর্ড। যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৫ শতাংশ বেশি। গত বছর টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।’ বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতাংশের বিচারে (India) এই বৃদ্ধির হার ৬০ (Defence Production)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Defence Exports: প্রথমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি ছাড়াল ২১ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি

    India Defence Exports: প্রথমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি ছাড়াল ২১ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য রেকর্ড পরিমাণ প্রতিরক্ষা সামগ্রী (India’s Defence Exports) রফতানি করল ভারত। সোমবার এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানিয়েছেন ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করেছে ভারত যা আগে কখনও হয়নি।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ট্যুইট 

    এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন রাজনাথ সিং। সমাজ মাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, ‘‘সবাইকে জানাতে পারে আমি আনন্দিত যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি এক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য ২১ হাজার (India’s Defence Exports) কোটি টাকারও বেশি প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করা গিয়েছে।’’

    আগের অর্থবছরে তুলনায় এই রফতানির পরিমাণ ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ভারত ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার (India’s Defence Exports) প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করতে পেরেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর মতে, আগের অর্থ বছরে তুলনায় এই রফতানির পরিমাণ ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে নাইজেরিয়াতে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সম্মেলনে যোগদান করেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার কথা বলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা রফতানিতে অগ্রগতির (India’s Defence Exports) লক্ষ্যে ভারতের স্লোগান হল, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া-মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড।’’

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পিউটার অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চিপ তৈরিতে এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এই সমস্ত দেশগুলির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তবে মোদি সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া (Make in India) কর্মসূচিতে এবার সফ্টওয়ারের পাশাপাশি হার্ডওয়ারেও দিশা দেখাবে ভারত। এবার দেশেই তৈরি হবে চিপ। গতকাল বৃহস্পতিবারই ৩টি সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মোদি সরকার।

    ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি চিপ ফ্যাবরিকেশন প্লান্ট

    জানা গিয়েছে, এই ৩টি প্ল্যান্ট “ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া”-র অধীনে অনুমোদিত হয়েছে। তিনটি প্ল্যান্টের মধ্যে দু’টি হবে পশ্চিম ভারতের গুজরাটে এবং অপরটি উত্তর পূর্ব ভারতের ১টি অসমে। ৩টি চিপ প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই চিপ প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান ১ লাখ মানুষের হবে বলেই জানা গিয়েছে (Make in India)। এনিয়ে ট্যুইট সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি এটিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতা বলে উল্লেখ করেছেন।

    গুজরাটে ২টি প্ল্যান্ট কোথায় কোথায় হবে?

    জানা গিয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ৯১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গুজরাটের ধলেরাতে (Make in India) একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। টাটা গ্রুপ ছাড়াও, সিজি পাওয়ার, জাপানের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের স্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের যৌথ উদ্যোগে গুজরাটের সানন্দ অপর প্ল্যান্টটি তৈরি হবে। সানন্দের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টটি ৭,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    অসমের মরিগাঁওয়ে হবে প্ল্যান্ট

    এছাড়াও টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড অসমের (Make in India) মরিগাঁওয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এটির প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ উৎপাদন করবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন প্ল্যান্টটি টাটা এবং পাওয়ারচিপ-তাইওয়ানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হবে। যার কারখানা হবে গুজরাটের ধলেরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দেশে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় গুজরাটে একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যেটি হবে ধলেরায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Google Smartphone: ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল-৮ স্মার্টফোন! উৎসবের আবহে বড় ঘোষণা গুগলের

    Google Smartphone: ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল-৮ স্মার্টফোন! উৎসবের আবহে বড় ঘোষণা গুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে শামিল হয়ে এ বার ভারতের মাটিতেই স্মার্টফোন তৈরি করতে চলেছে গুগল (Google Smartphone)। ‘গুগল ফর ইন্ডিয়া’র অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা করলেন গুগলের যন্ত্র এবং পরিষেবা বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক ওস্টারলো।

    কী জানালেন গুগুল সিইও

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতিতে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন গুগল সিইও (Google CEO) সুন্দর পিচাই। এবার ভারতে পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪-এর মধ্যে পিক্সেল-৮ স্মার্টফোনের (Pixel-8 smartphone) প্রথম ডিভাইস বাজারে আনার কথাও ঘোষণা করল গুগল। 

    কী বললেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ার দিকেই প্রায় ৯০ লক্ষ পিক্সেল ৮ স্মার্টফোন বাজারে এনেছে গুগল (Google Smartphone)। ভারতে তৈরি পিক্সেল ৮ স্মার্টফোন বাজারে আসবে ২০২৪ সালে। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে যে, ভারতে নির্মিত স্মার্টফোন শুধু দেশের মধ্যে নয় বিদেশের বাজারেও জায়গা করে নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ন’বছর আগে দেশে খুব সামান্য মোবাইল ফোন তৈরি হত, কিন্তু আজ প্রায় ৩৭০ কোটি টাকার মোবাইল তৈরি হয়, যার মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রফতানি করা হয়।

    আরও পড়ুন: পুজোর সময় রোল-চাউমিন! রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখেছেন?

    গুগলের প্রতিশ্রুতি

    গুগল (Google Smartphone) সিইও সুন্দর পিচাই সমাজ মাধ্যমে জানান, ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত পার্টনার হিসাবে গুগল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতে স্থানীয়ভাবে পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে গুগল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম পিক্সেল-৮ ফোন ২০২৪-এ ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যেভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন, তার প্রশংসাও করেছেন টেক-জায়ান্টের সিইও।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র অধীনে ভারতের মোবাইল ফোনের প্রোডাকশন এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তা ২ বিলিয়ন ইউনিট অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ এর চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধির হার (CAGR) হল ২৩ শতাংশ। বিপুল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং সরকারি উৎসাহ এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ, বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের কোথায় পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির কারখানা হবে এবং প্রথম দফায় কতকগুলি ফোন বাজারে আনা হবে, কী কী ফিচার থাকবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি গুগল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tata-Airbus C-295: এবার দেশে তৈরি হবে সামরিক পণ্যবাহী বিমান, চুক্তি স্বাক্ষর টাটা-বোয়িংয়ের

    Tata-Airbus C-295: এবার দেশে তৈরি হবে সামরিক পণ্যবাহী বিমান, চুক্তি স্বাক্ষর টাটা-বোয়িংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশেই তৈরি হবে C-295 এয়ারক্রাফট, ভারতীয় সেনার জন্য বিমান বানাবে টাটা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার রাজ্য গুজরাটের ভদোদরায় রবিবার এই কারখানাটির শুভ সূচনা করবেন। বারংবারই প্রধানমন্ত্রী মেড ইন ইন্ডিয়ার (Made In India) দিকে জোর দিয়েছেন।

    দেশীয় পদ্ধতিতে দেশের ভিতরেই এই বিমানগুলি নির্মাণ করলে বাইরে থেকে এই বিমানগুলির আমদানি করতে হবে না ফলে সেনা বাজেটে কিছুটা হলেও চাপ কমবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানা নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, হালকা এবং মাঝারি মাপের C-295 বিমানটি যে কোনও মিশনে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেকোনও আবহাওয়ায় সমানভাবেই কার্যকর এয়ারবাসের এই বিমান। মরুভূমির চরম-গরম বা বরফঢাকা পাহাড়ি এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে জুড়ি মেলা ভার এই বিমানের। অত্যাধিক গরমের মধ্যে যে কোনও উচ্চতায় এই বিমান বিপুল পরিমাণ ওজন বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সক্ষম। পাশাপাশি এই বিমানের জ্বালানির খরচ অন্যান্য বিমানের থেকে কমপক্ষে ৪ শতাংশ কম।

    ডিফেন্স সেক্রেটারি, অজয় কুমার বলেন, “প্রথমবারের মতো C-295 বিমানগুলি ইউরোপের বাইরে তৈরি করা হবে।” গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারত Airbus Defence and Space -এর সঙ্গে মিলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে, চুক্তিতে বলা আছে, মোট ৫৬ টি C-295 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট কেনার জন্য এবং ভারতীয় বায়ু সেনার পুরনো Avro-748 প্লেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করার জন্য, একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রকল্পের অধীনে ভারতে মিলিটারি বিমান তৈরি করা হবে, এবং ভারতে এমনটি এই প্রথমবার হবে।

    এই চুক্তির অধীনে, এয়ারবাসগুলি চার বছরের মধ্যে স্পেনের সেভিলে তার ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইন থেকে ‘ফ্লাই-অ্যাওয়ে’ অবস্থায় প্রথম 16টি বিমান সরবরাহ করবে এবং পরবর্তীতে আরও 40টি বিমান ভারতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম (TASL) দ্বারা তৈরি করা হবে।উদ্দেশ্যটি সফল করার লক্ষ্যে দুটি কোম্পানির মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনারশিপ তৈরি করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই রেগুলেটরটির অনুমোদন দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ অ্যারোনটিক্যাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (DGAQA)।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই কারখানায় প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বিমান তৈরি হবে।এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্র উচ্চ প্রযুক্তির ও তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বিমান তৈরির ক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। এর ফলে এই ধরনের বিমান আমদানি কমবে, বরং তা রফতানি করা হবে।২০২৬ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত এই বিমান বিদেশে রফতানি করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্যের ছোঁয়া। এবার ভারতে অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা স্যাব ( Swedish defence company Saab)। সুইডিশ প্রতিরক্ষা সংস্থা স্যাব (SAAB)-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা খুব শীঘ্রই ভারতে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা।  তবে কোথায় এই কারখানা গড়ে তোলা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    সুইডেনের এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে যে কারখানা গড়ে তোলা হবে, তাতে সংস্থার নির্মীত অন্যতম সফল অস্ত্র ‘কার্ল গুস্তাভ এম৪’ (Carl Gustaf M4) যুদ্ধট্যাঙ্ক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, সুইডেনের বাইরে এই প্রথম অন্য কোনও দেশে এই শোল্ডার মাউন্টেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার সিস্টেম উৎপাদন করা হবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এর জন্য ‘স্যাব এফএফভি ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন সংস্থা ২০২৪ সাল থেকে কার্ল গুস্তাভের রকেট লঞ্চার তৈরি করা শুরু করবে ভারতে।

    ভারতীয় সেনার জন্যই এই অস্ত্র তৈরি করা হবে। ১৯৭৬ সাল থেকেই স্যাবের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিককালে, ভারতীয় সেনার আধুনীকিকরণের ওপর জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর স্যাবের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের এই বিশেষ ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার সিস্টেমের বরাত সংক্রান্ত চুক্তি করে ভারতীয় সেনা। সেখানেই মেক ইন ইন্ডিয়া শর্তেই রাজি হয় স্যাব। সুইডিশ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই কারখানা থেকে উৎপাদিত অস্ত্রর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাই প্রাধান্য পাবে। পরবর্তীকালে, তা ভিন্ন দেশে রফতানিও করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সংস্থার আধিকারিক গর্জেন জোহানসন বলেন, ‘‘ভারতে কার্ল গুস্তাভ এম৪-এর কারখানার খোলার সিদ্ধান্ত খুবই সাধারণ পদক্ষেপ। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দিনের।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারত চাইছে একেবারে বিশ্বমানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করতে। আমরা ভারত সরকারের সেই লক্ষ্যে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত।” তবে যেহেতু এটাই সুইডেনের বাইরে স্যাবের প্রথম অস্ত্র প্রস্তুতকারক ইউনিট, তাই এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করতে চায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে ভারতীয় কোনও অংশীদারের খোঁজ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Bank Fears Recession: আগামী বছরই আর্থিক মন্দার গ্রাসে গোটা বিশ্ব, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    World Bank Fears Recession: আগামী বছরই আর্থিক মন্দার গ্রাসে গোটা বিশ্ব, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কার কালো মেঘ অনেক আগেই ঘনীভূত হয়েছে। সেই সম্ভাবনা আরও বেশি করে উস্কে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী বছরেই আর্থিক মন্দা গ্রাস করতে পারে গোটা বিশ্বকে।

    কেন এমন আশঙ্কা? বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্রুত গতিতে সুদের হার বাড়াচ্ছে। আর তাতে অর্থের জোগান ক্রমশ কমছে বাজারে। মুদ্রাস্ফীতির দর নিম্নমুখী হচ্ছে ঠিকই, তবে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে অর্থনীতিতে। চড়া সুদের হার থেকে বাঁচতে যে কোনও সংস্থা নতুন করে আর বিনিয়োগের পথে হাঁটতে চাইবে না। অনেক সংস্থা ব্যয় সংকোচের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে। তার জেরে বাণিজ্য ও আর্থিক বিকাশের পথ সঙ্কুচিত হয়ে আসে। তখনই গ্রাস করবে আর্থিক মন্দা (Global Recession)। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারাবেন। কমবে কর্মসংস্থান।

    আরও পড়ুন: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস (David Malpass) রিপোর্ট পেশ করার সময় বলেন, ‘এভাবে সুদের হার বাড়তে থাকলে আথির্ক মন্দা ঠেকানো যাবে না। এর পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে। নতুন নতুন যে সব বাণিজ্যক্ষেত্র খুলেছে, সেগুলি দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে উন্নয়শীল দেশগুলি।’

    সুদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে আমেরিকা। পিছিয়ে নেই ইউরোপের দেশগুলি। সেই তুলনায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, ভারতীয় অর্থনীতিকে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে আরও চাঙ্গা করা। সুদ বৃদ্ধি সেই প্রয়াসে বড় বাধা হতে পারে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা শুরু হলে ভারতও যে রেহাই পাবে না, বলাই বাহুল্য। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি রিপোর্টে এটা স্পষ্ট, অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারতীয় অর্থনীতি অনেকটাই মজবুত। বিশেষজ্ঞদের মতে, যা মূলত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সুফল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tejas:  তেজসের তেজ! কেন জানেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে আগ্রহী আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া

    Tejas: তেজসের তেজ! কেন জানেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে আগ্রহী আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বা রাশিয়ার যুদ্ধবিমান নয়। ভারতের তেজস (Tejas) ফাইটার জেট কিনতেই আগ্রহী মালয়েশিয়া (Malaysia), আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্স। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়াকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১৮টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গত বছরই ভারত সরকার ৮৩টি তেজস বিমান তৈরি করার জন্য হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড-এর (HAL)সঙ্গে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করেছে । ২০২৩ সালের মধ্যেই সেগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে অনুমান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্প যো এগিয়ে চলেছে তার প্রমাণ তেজস।

    তেজস ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মীত। বায়ুসেনার জরাগ্রস্ত মিগ-২১ বিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষায় সফলভাবে উতরেছে তেজস। ২০২০ সালে প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় রুশ নির্মিত ‘আইএল-৭৮’ জ্বালানিবাহী বিমান থেকে জ্বালানি ভরা হয় তেজসে। স্বল্প সময়েই প্রায় ১৯ হাজার লিটার জ্বালানি পৌঁছে যায় তেজসে। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে বিশ্বের প্রথম সারির সামরিক শক্তির তালিকায় নাম লেখায় ‘আত্মনির্ভর’ ভারত। এবার সেই বিমান কিনতে আগ্রহ দেখাল বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

    প্রতিরক্ষার বিষয়ে বিদেশের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠাই লক্ষ্য মোদি সরকারের। আর সেদিকেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তেজসের মতো বিমান তৈরি। চিনের জেএফ-১৭ জেটগুলির দাম কম হলেও তেজস মার্ক-১-এর মতো অতটা আধুনিক নয়। হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা নির্মিত ‘তেজস’ একটি একক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এবং অত্যন্ত সক্ষম মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট, যা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম। তেজসের গড়ন এবং প্রযুক্তিই একে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তেজসের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর ওজন। সুখোইয়ের থেকে ওজনে অনেক বেশি হালকা তেজস। আট টন পর্যন্ত ওজন বহনে সক্ষম তেজস। সুখোই ওজনে ভারী। কিন্তু সুখোইয়ের সমানই অস্ত্রশস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম তেজস। এ ছাড়াও দুরন্ত গতিও এগিয়ে রেখেছে তেজসকে। ৫২ হাজার ফুট উচুঁতেও এর গতির জুড়ি মেলা ভার।

  • US naval ship: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য! এই প্রথমবার মেরামতির জন্য ভারতে মার্কিন রণতরী

    US naval ship: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য! এই প্রথমবার মেরামতির জন্য ভারতে মার্কিন রণতরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথমবার। মেরামতির জন্য মার্কিন রণতরী (US naval ship) ভারতের উপকূলে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সাফল্য প্রত্যক্ষ করছে দেশ। ভারতীয় প্রযুক্তির উপর ভরসা রাখছে বিশ্ব। এই ছবিই দেখতে চেয়েছিল আপামর ভারতবাসী।

    কূটনৈতিক মহলের অভিমত, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক যত তিক্ত হচ্ছে, ততই ভারত-মার্কিন বোঝাপড়া দৃঢ় হচ্ছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এই প্রথমবার মার্কিন রণতরী ভারতের বন্দরে এসে ভিড়ল। তাও আবার মেরামত সম্পর্কিত কাজে। ইউএসএনএস চার্লস ড্রিউ (Charles Drew) নামে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি মালবাহী জাহাজ চেন্নাইয়ের কাট্টুপল্লি বন্দরে  (Kattupalli in Chennai ) এসেছে। ওখানে মেরামতির জন্য আপাতত ১১ দিন ওই জাহাজটির থাকার কথা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে গ্রেফতার আইএস জঙ্গি! আতঙ্ক রাজধানীতে

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই প্রথম মার্কিন নৌবাহিনীর কোনও জাহাজ ভারতের বন্দরে এসে ভিড়ল। এল অ্যান্ড টি  (Larsen & Toubro’s) জাহাজ মেরামতি কারখানার সঙ্গে ওদের একটি চুক্তি হয়েছে। যার অঙ্গ হিসেবে ভারতের ওই কোম্পানি মার্কিন জাহাজের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ঘটনায় ভারত-মার্কিন সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত খুলে গেল। বোঝাই যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের জাহাজ মেরামতের প্রযুক্তির উপর ভরসা করে বড় বড় দেশগুলিও। একমাত্র এদেশেই সুলভ মূল্যে অত্যাধুনিক নৌ প্রযুক্তিতে মেরামতির কাজ হয়। এখানে বিভিন্ন প্রকারের জাহাজ মেরামতির জন্য আধুনিক সরঞ্জাম ও দক্ষ কারিগরও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    মার্কিন নৌ বাহিনীর জাহাজকে চেন্নাই বন্দরে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং ভাইস চিফ অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাড়ে। চেন্নাইয়ের মার্কিন কনসাল জেনারেল জুডিথ রাভিন এবং সেদেশের প্রতিরক্ষা দূত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাইকেল বেকারও উপস্থিত ছিলেন বন্দরে।

  • Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তির দ্বারা সামরিক বাহিনীকে সাজাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে দেশ। তারই এক ধাপ হিসেবে ভারতীয় সেনার হাতে কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেইকেল (QRFV) তুলে দিল টাটারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে এই যুদ্ধ যান তৈরি করেছে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (Tata Advanced Systems Limited)। সম্প্রতি এক ট্যুইট বার্তায় কোম্পানির তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

    মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইটে ভিডিও পোস্ট করে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (TASL) লিখেছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে সফলভাবে QRFV তুলে দেওয়া হয়েছে।” কোম্পানির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে যে কোন রকমের সংঘর্ষের সময় এই যান ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারবে।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট বলেছিলেন  কেন্দ্র সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত দেশীয় প্রযুক্তি ও ডিজাইন ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে উৎসাহিত করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন সম্প্রসারণকেই পাখির চোখ করেছে মোদি সরকার।সম্প্রতি রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত গত চার বছরে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রের উদ্যোগে বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা আমদানি ৪৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৬ শতাংশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    এপ্রিল মাসে, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে QRFV-এর প্রথম সেট অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলে আসছে কেন্দ্র। সেই পথে নতুন দিশা দেখাবে টাটা অ্যাডভ্যান্সড  সিস্টেমের ডেলিভারি, বলে আশা প্রতিরক্ষা মহলে।

LinkedIn
Share