Tag: malaria disease

malaria disease

  • AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। এবার থেকে ভারতেই তৈরি হবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন, যার নাম অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax)। জানা যাচ্ছে, ভুবনেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যালেরিয়া রিসার্চ এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির যৌথ প্রচেষ্টাতেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে এই প্রথম এই ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, অর্থাৎ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় (Modi Government) আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রচেষ্টা। একাধিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে যুদ্ধ সরঞ্জাম, করোনা মহামারীতেও ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন সারা দুনিয়াতে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার গুণমানের জন্য। এবার এই আবহে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) নামের এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ভ্যাকসিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে।

    অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। এটা একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম-কে। প্রসঙ্গত, এই প্যারাসাইট ম্যালেরিয়ার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বলে মনে করা হয় এবং তা প্রাণঘাতীও হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। সেই প্যারাসাইটকেই একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে ভারতবর্ষে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স।

    কেন অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে আলাদা?

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে ফোকাস করে প্যারাসাইটের লাইফ সাইকেলের উপর। কিন্তু ভারতে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা সহজে এবং একেবারে শেষ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। ম্যালেরিয়ার ফলে মানবদেহে সংক্রমণ যে স্তরেই থাকুক না কেন, এই ভ্যাকসিন লড়াই চালাতে সক্ষম তার বিরুদ্ধে। এর আগে এই ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিকবার ল্যাব টেস্টিংও হয়েছে এবং সেখানে বিজ্ঞানীরা যে ফলাফল পেয়েছেন, তা এক কথায় অত্যন্ত ইতিবাচক।

    সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন

    বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করছেন, এই ভ্যাকসিনের ফলে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের প্রভূত উপকার হবে। বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, যেমন: RTS,S/AS01, R21/Matrix-M. এই সমস্ত প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলির থেকে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন অনেক দিকেই কাজ করবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে প্রতিরোধক ব্যবস্থা। অর্থাৎ, সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করবে — এর পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করবে।

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে?

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে, এর উত্তরও দিচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনকে ৯ মাস ধরে রাখা যেতে পারে ঘরের তাপমাত্রায় এবং খুব সহজেই এটা রাখা যাবে। সহজে এই ভ্যাকসিনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে, বিশেষত ক্রান্তীয় অঞ্চলে। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত খরচ-সাশ্রয়ী হতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, যাতে সাধারণ মানুষ এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন।

    সাত বছরের মধ্যে আসছে বাজারে

    এই ভ্যাকসিন (AdFalciVax) বর্তমানে প্রি-ক্লিনিকাল স্তরে রয়েছে এবং সমস্ত কিছু পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলেছে বলে জানাচ্ছেন এই ভ্যাকসিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। কতদিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে গবেষণা চলছে, তাতে ৭ বছর লাগবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে এই ভ্যাকসিন। একে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠোর।

    গোষ্ঠী সংক্রমণও রুখবে এই ভ্যাকসিন

    চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে তৈরি করতে ল্যাকটোকোকাস ল্যাকটিস (Lactococcus lactis) ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি নিরাপদ এবং প্রচলিত ব্যাকটেরিয়াম। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে এটি রোগীকে যেকোনো ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল— এই ভ্যাকসিন ম্যালেরিয়াকে যেকোনও গোষ্ঠীর মধ্যেও সংক্রমিত হওয়া থেকে বাধা দেবে।

    অনেক কোম্পানি তৈরি করতে পারবে এই ভ্যাকসিন

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর তরফ থেকে কর্তা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ভ্যাকসিন প্রযুক্তি অন্যান্য সংস্থাকেও দেবেন এবং নন-এক্সক্লুসিভ চুক্তির মাধ্যমে তাঁদেরকে তৈরি করার অনুমোদন দেবেন। অর্থাৎ, এর মানে হচ্ছে বিভিন্ন এবং অনেকগুলি কোম্পানি এই ভ্যাকসিনের উপর কাজ করতে পারবে এবং এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এর ফলে জনগণের যতটা চাহিদা থাকবে, ঠিক ততটাই ভ্যাকসিন বাজারে সর্বত্র পাওয়া যাবে।

  • Malaria: ৬০ পেরিয়ে ম্যালেরিয়ায় কি বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা? কীভাবে বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Malaria: ৬০ পেরিয়ে ম্যালেরিয়ায় কি বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা? কীভাবে বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার দাপটে শক্তি বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria)। মশাবাহিত এই রোগের দাপট কলকাতার পাশপাশি হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি জেলাতেও অব্যাহত। ম্যালেরিয়ার ওষুধ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আশঙ্কা বাড়ছে। ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু ঘটছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    কোন ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে? 

    সম্প্রতি লেকটাউনের বছর ৭০-এর বাসিন্দা ম্যালেরিয়ায় (Malaria) আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ওই প্রৌঢ় প্রায় আট দিন ম্যালেরিয়ায় ভুগেছিলেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। তিনি মারা যান। আর এই ঘটনায় স্পষ্ট হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও ম্যালেরিয়ায় প্রাণনাশের ঘটনা ঘটতেই পারে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি (Malaria)? 

    ম্যালেরিয়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে, সাবধানতা অবশ্যই সকলের সমান নেওয়া দরকার। কিন্তু শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি বাড়তি চিন্তার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ায় (Malaria) জ্বরের পাশপাশি সর্দি, মাথাব্যথা হয়। তবে, জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে ডায়ারিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। অনেক সময়েই ম্যালেরিয়া হলে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ দেশে বয়স্ক ও শিশুরা নানান ফুসফুস ঘটিত রোগে ভোগেন। ফলে, তাঁদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ফুসফুস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই পরিস্থিতি যে শ্বাসকষ্ট তৈরি করে, তা অত্যন্ত জটিল। তাই ম্যালেরিয়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ। 
    এছাড়াও চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া হলে ডায়ারিয়া হয়। ফলে, শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি বিপদ। ডিহাইড্রেশন শিশু ও বয়স্কদের প্রাণনাশের কারণ হতে পারে।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (Malaria)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বাড়ির আশপাশে জল জমতে দেওয়া চলবে না। আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। বাগান থাকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। টব বা অন্য কোনও জায়গায় যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই, মশাবাহিত রোগের দাপট কমানো সম্ভব। নিয়মিত নর্দমা ও আশপাশে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো জরুরি। 
    তবে, এরপরেও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয় না। তাই ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জ্বর তিনদিনের বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। ম্যালেরিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথাব্যথা, হাতে-পায়ে যন্ত্রণা, সর্দি-কাশি এবং ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। তাই এই লক্ষণ স্পষ্ট হলে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করা উচিত নয়। 
    ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সব সময় আলাদা ঘরে মশারির ভিতরে থাকা উচিত বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। যাতে রোগ সংক্রমণ না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। 
    ম্যালেরিয়া আক্রান্তের জল খাওয়া দরকার। শরীরে যাতে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ, ডিহাইড্রেশন রুখতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 
    পাশপাশি, ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের শৌচালয় ব্যবহারের আগে ও পরে ভালোভাবে শৌচালয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তাতে আক্রান্তের ডায়ারিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে। আবার অন্যদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই এদিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share