Tag: Malda

Malda

  • University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্ড সেমেস্টারের ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট অনিশ্চিত! কেন জানেন?

    University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্ড সেমেস্টারের ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট অনিশ্চিত! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক পরীক্ষকের কাছ থেকে বিএ থার্ড সেমেস্টারের বাংলা বিভাগের ১০ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে বিএ থার্ড সেমেস্টারের ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট বের হওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, ১০ জনের উত্তরপত্র না পাওয়া গেলে বাকীদের রেজাল্ট বের করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হতে মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University) জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার্থীরাও চরম ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, একজন পরীক্ষকের ভুলের মাশুল ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীকে কেন দিতে হবে? এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক সময়ে রেজাল্ট বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করুক।

    ঠিক কী হয়েছিল? (University)

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) পক্ষ থেকে তার অধীনে থাকা সব কলেজ কর্তৃপক্ষকে ১৭ মার্চের মধ্যে থার্ড সেমেস্টারের উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, সাতজন অধ্যাপক সময় মতো খাতা জমা দেননি। পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অন্যান্য কলেজের অধ্যাপকরা খাতা জমা করেন। কিন্তু, মালদহ কলেজের এক অধ্যাপক খাতা জমা করেননি বলে অভিযোগ। ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই অধ্যাপকের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করা হয়। ওই অধ্যাপক ২৪ মার্চ খাতা জমা করার কথা বলেন। সেই মতো ওই অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) আসেন। কিন্তু, খাতা জমা করার সময় দেখা যায়, ১০ জন পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) কয়েকজন অধ্যাপকদের মধ্যে একটি গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেখানে মালদহ কলেজের ওই অধ্যাপককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরে সেই অধ্যাপক গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপাচার্যের ঘরের সামনে বেশ কিছুক্ষণ ধর্নায় বসেন। ওই অধ্যাপকের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।

    কী বললেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক? University

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) অধীনস্থ মালদহ কলেজের ওই অধ্যাপক তথা পরীক্ষকের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, একজন পরীক্ষকের ভুলের মাশুল এখন ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীকে দিতে হচ্ছে। আর ওই অধ্যাপকের সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। কীভাবে থার্ড সেমেস্টারের দশটি উত্তরপত্র উধাও হয়ে গেল সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানা যাচ্ছে না। ওই অধ্যাপককে উত্তরপত্র খুঁজে বের করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সামিনেশন মনিটরিং কমিটি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন তাদের সিদ্ধান্তের উপরই অপেক্ষা করে থাকতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Protest:  মালদহে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভে স্থানীয়রা! কেন জানেন?

    Protest: মালদহে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভে স্থানীয়রা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভ (Protest) দেখালেন স্থানীয় অভিভাবকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস পচা ডিম দিয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বরাবরই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। লকডাউনের সময় ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার ও পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার শিশুর পাতে পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের সিডিপিও ( CDPO) আব্দুস সাত্তার বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

    কী বললেন অভিভাবকরা? Protest

    সেখ মানা নামে এক অভিভাবক বলেন, এদিন সেন্টার থেকে পচা ডিম দেওয়া হচ্ছিল, যা মুখে তোলা যায় না। পচা ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বলতে গেলে কোনও কর্নপাত করছেন না ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, গর্ভবতী মা ও প্রসূতি মায়েরা গোটা ডিম পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাই না। কোন কোন দিন শুধু সাদা ভাত ও কাঁচা ডিম দেওয়া হয়। এমনকী সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি রাখা হয়। ওই আলি নামে আরও এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সেন্টারের কর্মীকে পচা ডিম বা নিম্নমানের খাবার নিয়ে বলতে গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এদিন সাদা ভাত ও সিদ্ধ পচা ডিম শিশুদের দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা বলতে গেলে পচা ডিম ও ভাতগুলি সব পুকুরে ফেলে দেয়।

    কী বললেন অভিযুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী? Protest

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস বলেন, সেন্টার থেকে নিয়মিত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। আজকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল। পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগটি সরাসরি মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে মালদহ জেলায় তৃণমূলের কোন্দল (Conflict) প্রকাশ্যে চলে আসছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার মানিকচক থানার নুরপুর এলাকা। প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মানিকচক থানার নুরপুর এলাকায়।  বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তবে, গন্ডগোল শুধু হাতাহাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। আর তাতে চারজন কর্মী জখম হন। খবর পেয়ে নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরমপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। এর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। দলীয় নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দলের (Conflict) জেরে  নুরপুরে রক্তপাতের ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    এদিন নুরপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা বৈঠক হয়। সেখান চারজনের নাম ঠিক করা হয়। শেখ রজিম নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলীয় নেতাদের সামনে বুথে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছিল। আচমকাই জাবির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করা হয়। বৈঠকে যে প্রার্থী ঠিক করা হয় তা জাবিরদের পছন্দ নয়। তারা এই এলাকায় নিজেদের মতো প্রার্থী দেবে। সেই প্রার্থী আমাদের মানতে হবে। এটা হতে পারে না। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। দলীয় নেতৃত্বকে সব কিছু জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য (Conflict) হয়েছিল। তাতে সামান্য গন্ডগোল হয়। পরে, দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।

    সিপিএমের  মানিকচক-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আমিরুল হক বলেন, তৃণমূলের সব জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) হচ্ছে। আসলে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারলেই পাঁচ বছর ধরে চুরি করার সুযোগ মিলবে। সেটা কেউ হাত ছাড়া করতে চাইছে না বলেই গন্ডগোল হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টেট, গ্রুপ ডি এবং এসএসসির পর এবার দুর্নীতির(Scam) ছায়া আইসিডিএসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ বড় রকমের প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আইসিডিএসের হেল্পার মোসলেমা বেওয়া ও তাঁর মেয়ে পুতুল নশা পারভিন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়েকে আইসিডিএস-এ চাকরির টোপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, দুবছর হতে চলল এখনও চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। সামনেই জাহেদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে। তাই, পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

    চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?

    শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে জেনে জাহেদুল চাকরি পাওয়ার আশা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মতো জাহেদুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বন্ধক ও জমি বিক্রি করে নগদ চার লক্ষ টাকা তুলে দেন। জাহেদুল ইসলামের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার সময় ব্লকের সিডিপিও ও জেলার ঊর্ধ্বতন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের ভালো পরিচয় রয়েছে বলে ছিল। ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলেই চাকরি হয়। তাই, চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু, দুবছর হতে চলল চাকরি পাওয়ার কোনও আশা নেই। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। তাই, ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

     

    যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস-এর হেল্পার মোসলিমা বেওয়ার মেয়ে পুতুল নেশা পারভিন। তিনি বলেন, ওরা ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে।চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। আমার কাছে ওরা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছিল।এর আগেও ওদের টাকা ধার দিয়েছি। এদিন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কোনও ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতারিত জাহেদুলসাহেব থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সোনার দুর্গা মূর্তি উদ্ধার হল মালদার মানিকচক থেকে। চাষের জমি থেকে পাওয়া ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ নিয়ে হুলস্থুল মালদহের মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুরের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। কুড়িয়ে পাওয়া মূর্তি নিয়ে চলছে পুজো-অর্চনা। ওই মূর্তি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অগণিত ভক্ত। বসে গিয়েছে মেলাও। এই মূর্তি উদ্ধারের খবর পুলিশে দেওয়া হলে জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে মূর্তি তুলে দিতে সাফ না করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল মালদায়?

    সূত্রের খবর, মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত কালিন্দ্রি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষ। তাঁর জমিতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান তিনি। তাতে তিনি বেশ অবাক হয়ে যান। আর আশেপাশের লোকজনকে মূর্তির কথা বললে ভিড় জড়ো হয়। তাঁরা মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। স্থানীয়রা অনেকেই এটাকে সোনার দুর্গা মূর্তি হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে প্রশাসনিকভাবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ উদ্ধারের পর থেকেই গ্রামের মানুষ পূজো অর্চনায় মেতে উঠেছেন। ততক্ষণে মানিকচক থানার পুলিশ এসে যায় ঘটনাস্থলে। আর তদন্ত শুরু করে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    ওই মূর্তি সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। মূর্তিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলার মহকুমা শাসক লাডেন লেপচার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলের হাতে ওই মূর্তি তুলে দিতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তি নিয়ে যেতে হলে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিতে হবে। এক গ্রামবাসী বলেন, “যদি মূর্তি নিয়েই যেতে হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূর্তি আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, এই মর্মে লিখিত চাই আমাদের।”

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান

    কীভাবে এই মূর্তি উদ্ধার হল, তার কথা বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা অনুমান করেছেন যে, সোনার মূর্তি পাচার করতে গিয়েই এখানে পড়ে যায়। কোনও ব্যক্তি একাধিক মূর্তে নিয়ে এখান দিয়ে যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। তখন একটি সোনার মূর্তি কোনভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনই বিশদে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মূর্তিটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এটি সোনার কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মূর্তিটি নিয়ে যেতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হয় সরকারি আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • 100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ মালদার গাজোলে। একশো দিনের প্রকল্পে গরমিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময়েই প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। 

    কী কী অভিযোগ

    মালদার গাজোলে তৃণমূল পরিচালিত দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে ৩৫৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ড্রাগন ফলের চাষ, কলাগাছ চাষ, পোল্ট্রি শেড নির্মাণ। স্থানীয়দের দাবি, কোনও কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিজিয়া এবং ফারাদ। প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ। মালদার জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তাতে আপাতত শান্ত হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক 

    পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি ফারাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া সুলতানার এখনও  পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোথাও রিগিং করে, কোথাও আবার সদস্যদের কিনে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। আমরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে জানাব। এই সব ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘দল কাউকে দুর্নীতি করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন তদন্ত করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’  ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে গ্রেফতার মালদহের সুজাপুরের নাজিরপুর এলাকার যুবক। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হল হাসনাত শেখকে। সাহারানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের (Al Queda Indian Sub Continent) সদস্য। ২০১৫ সালে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার (Blogger) অভিজিৎ রায়। ওই ঘটনায় হাসনাতের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এ রাজ্যে জঙ্গিদের শেকড় কতটা গভীরে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের হাসনাত প্রথমে সুজাপুরের লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরে পড়াশোনা করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। বছর সাতেক আগে ধর্মশিক্ষার জন্য সে চলে যায় উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের একটি মাদ্রাসায়। মাস চারেক পরে মৌলবী হয়ে ফেরার কথা ছিল তার। ঘটনার জেরে বিস্মিত হাসনাতের প্রতিবেশীরা। নাজিরপুর এলাকায় ভদ্র ও মৃদুভাষী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই তার সঙ্গে জঙ্গিযোগের খবর মেনে নিতে পারছেন না হাসনাতের পরিবারও। হাসনাতের মা রেজি বিবি বলেন, কিছু দিন আগেই ছেলে বাড়ি ঘুরে গেল। ওর কাছে ফোন ছিল না। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদ্রাসা হস্টেলের সুপারের ফোন থেকে বাড়িতে কথা বলত। আমি বিশ্বাস করি না জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওর আছে।   

    আরও পড়ুন : বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তবে এসটিএফ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পেয়েছিলেন, বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের নেপথ্যে ছিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত। ওই ঘটনায় সম্প্রতি ফয়জল আহমেদ নামে ধৃত এক বাংলাদেশিকে জেরা করে হাসনাতের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পরেই হাসনাতকে গ্রেফতার করতে উঠপড়ে লাগে পুলিশ। প্রথমে তদন্তকারীরা যান সুজাপুরে। সেখানে তার নাগাল পাননি তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, হাসনাত রয়েছে সাহারানপুরে। এর পরেই তদন্তকারীদের একটি দল চলে যায় সেখানে। দিন কয়েক ধরে কড়া নজর রাখা হয় হাসনাতের গতিবিধির ওপর। শেষমেশ বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

    উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর। গত এক মাসেরও কম সময়ে এই এলাকা গুলি থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এবার সেই তালিকায় উঠল মালদহের সুজাপুরের নামও। কারণ সাহারানপুরে ধৃত হাসনাত এখানকারই বাসিন্দা।  

    বাংলা কি তবে ক্রমেই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে কালাজ্বরের (Black Fever) প্রকোপ। গত কয়েক সপ্তাহে বাংলার ১১টি জেলায় কালাজ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫ জন। সংক্রমণ রুখতে নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের (Health department) এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি জানান, দার্জিলিং (Darjeeling), মালদহ (Malda), উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur), দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) এবং কালিম্পংয়ে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানান ওই আধিকারিক।

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও কালাজ্বরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতেও এই রোগে সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বর ছড়ায় মাছি থেকে। রোগের উপসর্গ হল, জ্বর থাকবে ১৪ দিন ধরে। জ্বরের পাশাপাশি কমে যাবে খিদে, কমবে ওজন। চামড়া যাবে শুকিয়ে। রক্তাল্পতা ও বমি বমি ভাবের উপসর্গও থাকবে। সংক্রমিতের যকৃত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, সময় মতো কালাজ্বর ধরা পড়লে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, জেলায় এই জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও, কলাকাতায় এখনও সংক্রমিতের কোনও খবর মেলেনি। বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে যাঁরা দীর্ঘদিন ছিলেন, তাঁরাই এই জ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজনের শরীরেও এই জ্বরের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    রাজ্য থেকে কালাজ্বর নির্মূল হয়ে গিয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে ফের মিলছে সংক্রমিতের হদিশ। গত কয়েক দিনে ১১ জেলায় ৬৫ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। সংক্রমণ রুখতে সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কালাজ্বরে সংক্রমিতদের নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান রাজ্য সচিবালয়ের এক শীর্ষ আমলা। কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি কিংবা হাসপাতালে পরীক্ষায় যদি কালাজ্বরের জীবাণুর হদিশ মেলে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জ্বরে সংক্রমিতদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমলা। তবে এই রোগে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর মেলেনি বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

LinkedIn
Share