Tag: Mamata

Mamata

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা না ধনীর ছেলের ‘সামার ক্যাম্প’? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা না ধনীর ছেলের ‘সামার ক্যাম্প’? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব কোচবিহারের দিনহাটায়। ২৫ তারিখ আসছেন যুবরাজ, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঘড়ি ধরে অনুষ্ঠানসূচি। যার মধ্যে তিন তিনটে পাবলিক মিটিং। যার অর্থ, উনি বলবেন, বাকিরা শুনবেন। অর্থাৎ একমুখী কমিউনিকেশন। দলের বার্তার বাণী বিতরণ মাত্র। নিন্দুকরা বলছেন, এ কেমন জনসংযোগ কে জানে! এরপর বিকেল পাঁচটায় কর্মী অধিবেশন। জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো। মন বুঝবেন নেতাদের। তারপর নেতারা, কর্মীরা ভোট দেবেন। আর টুক করে তৈরি হয়ে যাবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। ‘গ্রামের মতামত’ যার নাম। দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।   

    জনসংযোগ নাকি যুবরাজের মৃগয়াযাত্রা?

    বিরোধীদের কটাক্ষ, এই গরমে তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) গ্রামদর্শন আসলে জনসংযোগ নাকি যুবরাজের মৃগয়াযাত্রা। রূপকথায় যেমন হয় আর কি! এখন তো আর রূপকথার যুগ নয়। তাই এখন রথ, ঘোড়া বা হাতিতে নয়, নেতা যাবেন সরাসরি সরকারি হেলিকপ্টারে। থাকবেন ক্যারাভ্যানে। ক্যারাভ্যানের নাম শোনেননি? গুগল সার্চ করলেই দেখতে পাবেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধাসহ বিলাসবহুল এক গাড়ি কাম বাড়িই ক্যারাভ্যান। সেখানেই আগামি দুই মাস। অত্যাধুনিক এই ক্যারাভ্যান কলকাতা থেকে উজিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোচবিহারে। সেখান থেকে নেতার সঙ্গে যাত্রা। থাকবে আগামি ষাট দিন!   

    আর কী কী যাচ্ছে সঙ্গে?

    কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত বিশেষ বাবুর্চি! এছাড়াও রান্না করার লোকজন, সেক্রেটারি টিম, আইটি সেল, সরকারি আধিকারিক ও বিশাল সুরক্ষা বাহিনী। যেখানে প্রথম দিনের রাত্রিবাস, সেই স্টেডিয়ামে ফেলা হয়েছে এয়ারকন্ডিশন বিলাসবহুল ক্যাম্প। যেখানে আছে সব কিছুর ব্যবস্থা। ক্যাম্পে থাকবেন জেলার নেতা, আধিকারিক, সুরক্ষা বাহিনী। এখানেই রাতের খাওয়া দাওয়া বৈঠক ও রাত্রিবাস। প্রথমদিন মাথাভাঙ্গায় রাত্রিবাস, সেখানে ১৮১টা এইরকম ক্যাম্প। এক জায়গাতেই। এখন চলছে সাজানো গোছানোর কাজ। কাজের বরাত পেয়েছে দিল্লির সংস্থা এনকে কাপুর প্রাইভেট লিমিটেড। এই রকম সব জায়গাতেই হবে। ফলে, শুধু গ্রামের লোকজন কেন, কোচবিহার শহর থেকেও এই রাজকীয় আয়োজন (Abhishek Banerjee) দেখতে লোকজন আসছেন। ভিড় বাড়ছে।

    খরচ দেখলে চোখ কপালে উঠবে

    এই রকম আদ্যন্ত স্টিলের স্ট্রাকচারের একটি ক্যাম্পের দৈনিক ভাড়া মাত্র ২৫০০০ টাকা। ভিতরে আসবাবপত্রের জন্য আলাদা খরচ। তাহলে ১৮১টা ক্যাম্পের একদিনের ভাড়া ৪৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তিনদিন এই ক্যাম্প থাকার কথা। মোট খরচ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা! অভিষেকের ঘোষণা, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৬০ দিনে কভার করবেন তিনি (Abhishek Banerjee)। খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি বাদে শুধু ওই ষাটদিনের রাত্রিবাসের আয়োজনেই খরচ হতে চলেছে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তবে রাত্রিবাসের জন্যই সাড়ে একাশি কোটি খরচ হলে, খাওয়াতে কত খরচ? তা সহজেই অনুমান করতে পারছেন রাজ্যের মানুষ। 
    কিন্তু অবশ্যই অনুমান করতে পারছেন না, একটি অত্যাধুনিক ক্যারাভ্যানের দৈনিক ভাড়া আর তেলের খরচ কত হতে পারে? বেশি না, বিলাসবহুল অত্যাধুনিক ক্যারাভ্যানের দৈনিক ভাড়া এই রাজ্যে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিদিনের তেল, নাইট স্টে, হল্টিং এবং জিএসটি সহ অন্যান্য খরচ বাদে। অর্থাৎ…? এবার নিজেরাই খাতা-পেন্সিল নিয়ে বসে পড়ুন। হল্টিং প্রতি ঘণ্টায় ৭০০ থেকে ৯০০টাকা। নাইট-স্টে প্রতি ঘন্টা ১৫০০-২০০০ টাকা। পেট্রোলের খরচ জিএসটি ড্রাইভার খালাসির বেতন ইত্যাদি ধরলে ক্যারাভ্যানের দৈনিক খরচ দাঁড়াবে ১ লক্ষ থেকে দেড়লক্ষ টাকা প্রতিদিন। তাহলে ষাটদিনের খরচ? কোটির অঙ্ক ছাড়িয়ে যাচ্ছে তো! সেই কারণেই হয়তো অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে বিরোধীরা বলছেন, “বড়লোকের ছেলের দু-মাসের সামার ক্যাম্প”!

    অ্যাসিড টেস্টে পাঠিয়েছেন মমতা?

    তবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বলে কথা! দলের দুই, তিন, চার, পাঁচ নম্বরে থাকা নেতাদের সরিয়ে তিনিই (Abhishek Banerjee) এখন শেষ কথা। তাঁর অভিষেক হল বলে। তার আগে নাকি অ্যাসিড টেস্টে পাঠিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের অভ্যন্তরে জোর জল্পনা। জনপ্রিয়তার মাপকাঠি বুঝে নেওয়ার বা দলের কর্মী নেতাদের মধ্যে, যুবরাজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে নেওয়ার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ‘পিসি’ আর ‘পিকে’-র এমন পরিকল্পনা। এক ঢিলে দুই পাখি। নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, দলীয় কর্মসূচির নাম করে যেমন দু’মাসের জন্য এড়ানো যাবে ইডি সিবিআই-এর জেরা তেমনই ভোটের আগে বার্তা দেওয়া কর্মীদেরম ইনিই ভবিষ্যতের কাণ্ডারী! সঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকার নামে তৃণমূল কর্মীদের মন বুঝে নেওয়া। যার জন্য পিকের টিম থাকছেই সঙ্গে। যারা তৈরি করে দেবে ভাষণ আর বক্তব্য বিষয়।
    আর বাকি যা থাকে তা হল, লুঠের টাকায়, দু’মাসের পিকনিক যুবরাজের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। ছাড়লেন বিধায়ক পদও। সোমবার বিধানসভায় পৌঁছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফাপত্র। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাপস। বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তাপস বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।”

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাপসের

    পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ (Tapas Roy) বলেন, “কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ রয়েছে। আজ কুণাল ঘোষ আমায় বোঝাতে এসেছিল। ও আমার সামনে শোকজ হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যাঁদের শোকজ বা সাসেপেন্ড হওয়ার কথা, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” তাপস বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    ব্যর্থ চেষ্টা, হাতছাড়া তাপস

    তাপসকে দলে ধরে রাখতে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। এদিন সাতসকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা। তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝানো হলেও, তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরেননি ঘাসফুল শিবিরের এই প্রাক্তন সেনানী। এক সময় কংগ্রেস করতেন তাপস (Tapas Roy)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে যখন তণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন, তখন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাপসও। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশ হন তাঁর অনুগামীরা। বাড়িতে ইডি কর্তারা হানা দিলে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এরপর অবশ্য চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ এদিন ছাড়লেন তৃণমূল-সঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?”

    BJP: “কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে অভিষেকের গড়ে মহা জনসম্পর্ক অভিযান করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী ড: দীনেশ শর্মা। বুধবার ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার মশাটহাটে মহা জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। এদিন তিনি দুপুরে বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। পরে তিনি বলেন, গত ৩ রা জুন থেকে মহা জনসম্পর্ক অভিযান শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গল রাজ চলছে। এখানে কোনও গণতন্ত্র নেই। বিরোধীরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারেন না। পিসি ও ভাতিজাকে উত্তরপ্রদেশে যেতে বলুন। কীভাবে প্রশাসন চালাতে হয়, তা শিখে আসতে হবে। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পিসি-ভাতিজা ৪৪০ ভোল্টের ঝটকা খাবেন। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারে মহা জনসম্পর্ক অভিযানে র‍্যালি করতে দেয়নি প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ তুলে তিনি সরব হন।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কী বললেন?

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের শাসক নিরপেক্ষ হয়ে দেখুক। তাহলে দেখা যাবে, কাদের দিকে লোক বেশি। অন্যদিকে বাংলার মাফিয়া রাজ নিয়েও সরব হন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্র রাজ্যকে কোনও ভাবেই বঞ্চিত করেনি। কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেল? 
    এদিনের মহা জনসম্পর্ক অভিযানে (BJP) পুলিশের কড়া নিরাপত্তা দেখা যায় এলাকায়।

    দেশজুড়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযানে বিজেপি (BJP)

    উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করেছে বিজেপি (BJP)। এই কর্মসূচির আহ্বায়ক তরুণ চুঘ জানিয়েছেন, দলের ১৪০০ র ওপর বিধায়ক এবং তিনশোর বেশি সাংসদ এই কর্মসূচিতে থাকবেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ বছরে মোদি সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তা দেশের প্রতিটি বুথেই পৌঁছে দেবেন বিজেপির কার্যকর্তারা। জানা গেছে, নাগরিক সেমিনারও যেমন হবে, তেমনি সমাজের বিশিষ্টদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বিজেপি (BJP) নেতারা। পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া বর্গের মানুষদের দিকেও। যাঁরা নরেন্দ্র মোদি সরকারের নয় বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, সারা দেশ জুড়ে জনসভা করবেন বিজেপি (BJP) নেতারা। বেশ কয়েকটি বড় জনসভাও হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো প্রথম সারি নেতারা। এ রাজ্যে এমন তিনটি জনসভা হবে বলে শোনা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে। উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ-নাড্ডা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এসেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তার আগে বৃহস্পতিবার জেলার মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট করলেন কলেজেরই ড্রপআউট হওয়া ছাত্র কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP)। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

    কী লেখা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে?

    ফেসবুক পোস্টে কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP) লিখেছেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল মাসিক ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। তবুও তিনি কলেজে না এসে অ্যাড সহকারে বাড়িতে টিউশন পড়ান। ছাত্র পিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মাইনে নিয়ে থাকেন। যেখানে কোর্ট থেকে পুরোপুরি বলা আছে, একজন স্কুলটিচার বা শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না, সেখানে একজন কলেজ প্রিন্সিপাল কীভাবে এইরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? এরাই আবার ডিএ-র (DA) জন্য আন্দোলনে বসে। নিজের লেখা বক্তব্যের সঙ্গে একটা ভিডিও ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করে কুণাল সেটিকে প্রিন্সিপালের প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও বলে দাবি করেছেন। এমনকী কুণাল তাঁর গোটা ফেসবুক পোস্টটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধও করছেন। 

    কী বললেন সেই কুণাল ভট্টাচার্য?

    এই ফেসবুক পোস্ট দেখার পর কুণাল ভট্টাচার্যর (TMCP) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি মেমারি থানার আমোদপুর গ্রামে। মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ফেসবুকে তিনিই পোস্ট করেছেন বলে কুণাল ভট্টাচার্য স্বীকার করে নেন। ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব বর্ধমানে আসার আগে এমন পোস্ট কেন? এর উত্তরে কুণাল দাবি করেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের কীর্তি আমার দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরার এটাই যথার্থ সময়। তাই বৃহস্পতিবার সেটাই করেছি। মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ভট্টাচার্য দাবি করেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকেই প্রিন্সিপাল সহ্য করতে পারেন না। কলেজের কোনও ছাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) করলে তাকেও প্রিন্সিপাল বিষনজরে দেখেন।” কুণালের দাবি, মেমারি কলেজে বিএ পাশ কোর্সে তিনি পড়তেন। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন বলে তিনিও প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিষনজরে পড়েন। আর সেই কারণেই তাঁকে ২০২০ সালে ড্রপআউট হতে হয়। কুণালের আরও অভিযোগ, প্রিন্সিপাল বেশিরভাগ দিন কলেজে আসেন না। যেদিন প্রিন্সিপাল কলেজে আসেন, সেদিন তৃণমূল সমর্থক কোনও ছাত্রী কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবার জন্য ওনার কাছে কোনও নথিতে সই করাতে গেলে তাদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। হাতে ব্যথা রয়েছে, এই অজুহাত খাড়া করে প্রিন্সিপাল সই করেন না। পাশাপাশি যে কোনও বিষয়েই প্রিন্সিপাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহার করেন বলে কুণাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ।

    কী জবাব দিলেন প্রিন্সিপাল?

    যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী। পাল্টা অভিযোগ এনে দেবাশিষবাবু বলেন, “এই কুণাল ভট্টাচার্য আসলে কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি (TMCP) নেতা তথা বর্তমান কলেজকর্মী মুকেশ শর্মার সাগরেদ। চক্রান্ত করে তাই কুণাল ভট্টাচার্য আমার নামে নানা মিথ্যা কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করছে”। প্রিন্সিপাল এও বলেন, “আমি যখন রামপুরহাট কলেজে ছিলাম, তখন প্রাইভেট পড়াতাম। মেমারি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে দায়িত্ব নেবার পর থেকে আমি প্রাইভেট পড়াই না। আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে আসি। বিকাল পাঁচটার পর কলেজ থেকে বের হই। আসলে সরকারি গাইডলাইন মেনে যথাযথভাবে কলেজ চালাচ্ছি, কোনও অনৈতিক কাজ করতে দিচ্ছি না, তাই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। এতে কিছু যায় আসে না বলে দেবাশিষ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন।

    প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেতৃত্বও

    অন্যদিকে মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তী কলেজের কথা, ছাত্রছাত্রীদের কথা কিছুই ভাবেন না। উনি কলেজে স্বৈরাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বিহিত হওয়া দরকার”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rozgar Mela: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    Rozgar Mela: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করুন। বেকার যুবকদের পুলিশের লাঠির বাড়ি নয়, চাকরি দিন। যুবরাই দেশের ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার এনজেপি-তে রোজগার মেলা (Rozgar Mela) অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি এই আবেদনই জানালেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন কাশ্মীর কলোনিতে রেলের ভিআইপি গেস্ট হাউসে এই রোজগার মেলায় মোট ২৫৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২১২ জন রেলের। এদিন একই সময়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও এই রোজগার মেলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দফতরে মোট ৭১ হাজার ৫০৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    পশ্চিমবঙ্গে বেকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    নিশীথ প্রামাণিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিমতো যুবদের চাকরি (Rozgar Mela) দিয়ে চলেছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বেকার ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে। ন্যায্য দাবির সেই কন্ঠকে রোধ করতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পুলিশ দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের পেটাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলবো, প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা না করে তাঁকে অনুসরণ করুন। বেকার ছেলেমেয়েদের পুলিশের লাঠির বাড়ি নয়, চাকরি দিন। তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এক প্রশ্নের উত্তরে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি চুরি করছেন। এক যুগ ধরে এরাজ্যে সরকারি দফতরে নিয়োগ নেই, শিল্প নেই। বেকার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় কাঁদছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যায্য ডিএ’র জন্য ধর্না দিচ্ছেন। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার সবদিকেই  চূড়ান্ত ব্যর্থ। আইন-শৃঙ্খলা, উন্নয়ন সবেতেই ব্যর্থ। অর্থনৈতিক দিক থেকেও বেহাল অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে এই রাজ্য। তবু এদের দুর্নীতি থেমে নেই। একের পর এক তদন্তে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা ধরা পড়ছেন। আগামীতে আরও রাঘববোয়াল ধরা পড়বে। 

    ‘খেলো ইন্ডিয়া’ নিয়ে রাজ্যকে তোপ

    রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) এক প্রশ্নের উত্তরে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, দুঃখ লাগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় কেন্দ্রের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এরাজ্যের খেলাধুলোর উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেননি। খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র তৈরির জন্য সব রাজ্যের কাছে প্রস্তাব চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সবাই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে একাধিক খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কোনও প্রস্তাব পাঠায়নি, বারবার বলা সত্ত্বেও। তাই রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো উত্তরবঙ্গ খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অথচ উত্তরবঙ্গে ফুটবল-ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স-এর প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। এদের আত্মপ্রকাশের জন্য রাজ্য সরকার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। শিলিগুড়িতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। সে ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তাঁরা যদি প্রস্তাব দেন, তাহলে কেন্দ্র সরকার শিলিগুড়িতে ক্রিকেটের জন্য স্টেডিয়াম তৈরি করে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতির মর্যাদা সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত (Tribal Movement) কুড়মি সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মিলল না। পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করে। ৪৫ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর প্রতিনিধিদলের নেতা রাজেশ‌ মাহাতো বলেন, বৈঠকের ফলাফল হতাশাজনক। কুড়মিদের তফসিলি জনজাতি তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রক রাজ্যের কাছে যে ব্যাখ্যা তলব করেছে, তা রাজ্য সরকার এখনও দেয়নি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসে এব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিই আমাদের দাবি। আমাদের দাবি ছিল কমিটি গঠনেরও। কিন্তু সেকথা উনি শোনেননি। কুড়মি সমাজের আরেকটি অংশ আবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। আদিবাসী কুড়মি সমাজের ব্যানারে তারা আন্দোলন (Tribal Movement) চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। 

    কী দাবি নিয়ে এই আন্দোলন?

    কুড়মি সমাজের বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন রেল এবং রাস্তা অবরোধ হচ্ছিল। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা, খড়্গপুর–টাটা শাখার রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপ ও সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা এই অবরোধ তুলে নেন। এসটি কোটায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে–মূলত এই তাঁদের দাবি। আগে তাঁরা প্রিমিটিভ ট্রাইবের অন্তর্গত ছিলেন। এরকম ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় ছিল। ১২টিকে এসটি কোটার অর্ন্তভুক্ত করা হয়। কেবল কুড়মি সমাজকে ওবিসি করা হয়। তাঁরা এই ওবিসি কোটা চান না। তাঁদের এসটি কোটার আওতায় আনতে হবে, এই দাবিতেই চলছে আন্দোলন (Tribal Movement)।

    মমতা-রেলমন্ত্রী কথা

    এদিকে কুর্মি আন্দোলনের (Tribal Movement) জেরে রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রেল পরিষেবা কিভাবে স্বাভাবিক করা যায়, তা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি,  শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর মধ্যে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হল উপভোক্তাদের। ফলে শিবিরে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি এলাকায়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল এদিন ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প (Duare Sarkar) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসীরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন। একেই সময়ের অনেক পরে কাজ চালু হয়, তার ওপর সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি ?

    যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে (Duare Sarkar) রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত  বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল পুরুলিয়া

    TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল পুরুলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেই দুর্নীতি, সেই স্বজনপোষণের অভিযোগ। এবার বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা। অকেজো হয়ে পড়া ত্রিফলার নিলাম ঘিরেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। লোকদেখানো নিলাম ডেকে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলারের ছেলেকে অকেজো ত্রিফলা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত পুরুলিয়া পুরসভা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শাসকদলেরই একাধিক কাউন্সিলার এনিয়ে সরব হয়েছেন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, আইন মেনেই নিলাম হয়েছে। কাউকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রসঙ্গত, অকেজো ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের কেটে ফেলা অংশ নিলাম করা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। গত শনিবার ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলির নিলাম হয়। নিলামে এই সমস্ত সামগ্রী পান বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার আনোয়ারি বিবির ছেলে শেখ সাহিদ।

    দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, কী বলছে তৃণমূল ?

    পুরুলিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার রবিশঙ্কর দাস বলেন, ওই ত্রিফলা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। ত্রিফলা আলো কেটে দেওয়ার সময়ই আপত্তি করেছিলাম। কারণ কিছু ত্রিফলা খারাপ হয়ে থাকলে তা সারানো যেত। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার আনোয়ারি বিবির ছেলেই নিলামে ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি পেয়েছে। আর এর ফলেই উঠেছে প্রশ্ন। কাউন্সিলারের ছেলেকে এই নিলাম পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    এ বিষয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সমীরণ রায় বলেন, নিলাম নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন উঠেছে আমাদের দলেরই কাউন্সিলার তথা বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তের ছেলেই নিলামে সব জিনিস পাচ্ছেন বলে। এই কারণেই সবাই দল এবং পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুনয় কবিরাজ বলেন, নিলাম হয়তো নিয়ম মেনে হয়েছে। কিন্তু বাইরে কে কী সেটিং করেছে, সেটা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি থাকলে নৈতিকভাবে এরকম নিলামে অংশগ্রহণ করতাম না।

    কী বলছেন পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা ?

    অন্যদিকে পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা প্রদীপ মুখার্জি বলেন, কাউন্সিলারের ছেলে ছাড়া আর কি কোনও ব্যবসায়ী নেই শহরে? গোটা নিলাম প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়ছে। একই সুর বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখার্জির গলাতেও। এবিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর আনোয়ারি বিবির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছেলে ও বরাত পাওয়া ঠিকাদার শেখ সাহিদের ভাই সেখ সাব্বির বলেন, সমস্ত আইন মেনেই ভাই নিলামে অংশগ্রহণ করে সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে ওই সামগ্রী পেয়েছে। কাউন্সিলারের ছেলে বলে নিলামে অংশ নিতে পারবে না, এমন কোনও আইন নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। 

    অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি করে কী যুক্তি দিলেন পুরপ্রধান ?

    পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ সঠিক নয়। সমস্ত আইন মেনেই নিলাম করা হয়েছে। নিলামে পাঁচজন অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রত্যেককে নিলামের আগে ৩ লক্ষ টাকা জমাও করতে হয়েছিল। ওপেন নিলামে যে কেউ অংশ নিতেই পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) । নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে (cmo) জমছে অভিযোগের পাহাড়। বেশিরভাগ দফতর কাজই করছে না। কথাই শুনছে না মুখ্যমন্ত্রীর। জেলায়  জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেও তার নিটফল যে শূন্য, তা বুঝতে পারছেন মুখ্য় সচিব  (chief secretary)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেই তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বারবার বলা সত্বেও অভিযোগের নিষ্পত্তিতে কেন দেরি হচ্ছে, বিভিন্ন দফতরের কাছে তার জবাব চাইছে নবান্ন (nabanna)।  চাপে পড়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H.K.Dwivedi) চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের। বকেয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অভিযোগ গুলি যাতে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেওয়া যায়, তার জন্য জানানো হয়েছে প্রতিটি দফতরকে। 

    এমাসের সাত তারিখেই এনিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব দফতরের শীর্ষ আধিকারিক বা HOD-কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ ফেলে রাখবেন না। সব অভিযোগের জবাব দিতে হবে সাতদিনের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বহু দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশি সময় নিচ্ছেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা তাই সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। সাতদিনের মধ্যে যদি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট জমা দেওয়া না যায়, তাহলে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাও যেন উল্লেখ করা হয়, বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। 

    কী আছে চিঠিতে? 
    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতর ও হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট গত ৬ মাসে গড়ে ৫৮ দিন রিপোর্ট দিতে দেরি করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতর দেরি করেছে ৫৭ দিন। আর ৩৯ দিন সময় নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা থেকে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতর। অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে পরিবহণ দফতরে। আর তারা সময় নিয়েছে ৩৫ দিন। এই দফতরগুলির বেশিরভাগই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। 

    জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনার। কালিম্পং জেলাশাসক দেরি করেছেন ৪১ দিন, ঝাড়গ্রাম ৩৭ দিন। আর উত্তর ২৪ পরগনা ২৬দিন। জেলাশাসক বদল করেও অসুখ সারছে না। পুলিশ সুপারদের পারফরম্যান্স খারাপ মালদা, বারাসত, হুগলি, মুর্শিদাবাদে। ৭ দিনের বদলে অভিযোগের উত্তর দিতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে।

     অনেক ক্ষেত্রেই  অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। ফের তার ব্যাখ্যা চেয়ে ফেরত পাঠায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এর ফলে কাজে আরও দেরি হয়ে যায়। বারবার এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সচিব বা জেলা আধিকারিকরা তাঁদের অধীনস্থ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন না। দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।

    অভিযোগ খতিয়ে দেখে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। আর এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গাফিলতির কথা। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলার পরও ‘ডিজপোজড’, ‘রিজল্ভড’, ‘অ্যাকশন টেকন’লিখে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, এভাবে লিখে ছেড়ে দিলেই হবে না। ঠিক কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,তাও উল্লেখ করতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, কাজ না করে সরকারের বেশিরভাগ দফতর গা এলিয়ে দিয়েছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন তিনি। 

    আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে। এই চিঠি মাধ্যমের হাতে আসায় বোঝা যাচ্ছে কীভাবে কাজ না করে দায়সারা হয়ে পড়েছে মমতা প্রশাসন। অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ছে নবান্নে। মুখ্য়মন্ত্রী দেখছেন, বুঝছেন, বলছেনও। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দলীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রী ধীরে ধীরে যেমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, তেমনি প্রশাসনিক স্তরেও কি রাশ আলগা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ? ১৪ তলা থেকে নির্দেশ গেলেও তা পালনে অনীহা প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসন? নবান্নের প্রতি তলায় সেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।  

     

     

     

  • Abhishek Banerjee at Dubai: সাত মাসে তিন বার দুবাই যাত্রা অভিষেকের, ফিসফিসানি দলের অন্দরেই

    Abhishek Banerjee at Dubai: সাত মাসে তিন বার দুবাই যাত্রা অভিষেকের, ফিসফিসানি দলের অন্দরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঘন ঘন দুবাই (Dubai) যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বেসর্বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal scam) ইডি-র (ED) প্রশ্নবাণের মুখে পড়ার দুবাই যাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়েছে। গত সাত মাসে তিন বার তিনি মরু দেশে গিয়েছেন। এখনও রয়েছেন দুবাইয়ে। কেন?  এই প্রশ্নেই তোলপাড় তৃণমূলের (TMC) অন্দরমহল। চলছে ফিসফিসানি।

    যদিও তৃণমূলের সর্বেসর্বার আশপাশের ব্যক্তিরা দলের নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়ে জানাচ্ছেন, চোখের চিকিৎসা করাতেই বার বার অভিষেককে দুবাই যেতে হচ্ছে। তা অবশ্য তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) শিবিরে থাকা নেতা-মন্ত্রীদের বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। তাঁরা অভিষেকের দুবাই যাত্রা নিয়ে সান্ধ্য আড্ডায় এমন চর্চাও করছেন যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতব্য নয়। তদন্তকারীরা অবশ্য জানেন কয়লা পাচার মামলায় ‘ভাগোড়া’ বিনয় মিশ্র বছর দুই আগে দুবাইয়ে কোনও সম্পত্তি কিনতে তৎপর হয়েছিলেন। সেই সম্পত্তির বিস্তারিত অবশ্য ইডি-সিবিআইয়ের (CBI) হাতে রয়েছে। বিনয় অবশ্য ফেরার, একটি ছোট দেশের নাগরিকত্বও নিয়ে নিয়েছেন। তবে মাঝে মধ্যেই তিনি দুবাই আসেন বলেও শোনা যায়।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    তৃণমূল সূত্রের দাবি, সম্প্রতি ১৪ অগাস্ট রাতের বিমানে দুবাই গিয়েছেন অভিষেক। সেদিন জাতির উদ্দেশে তাঁর ভাষণও ছিল। কিন্তু যে সময় তাঁর ভাষণ সম্প্রচারিত হয় সে সময় তিনি বিমানে ছিলেন। ফলে দলের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের বাইরে যাচ্ছেন তা ধামাচাপা দিতেই কি জাতির উদ্দেশে ভাষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দলে অভিষেকের ঘনিষ্ঠরা এনিয়ে কোনও অন্যায় দেখেন না। দেখার কথাও নয়। কারণ, কোনও নাগরিক বিদেশ গেলে প্রশ্ন করার মানে হয় না। তার পরেও তৃণমূলে মমতাপন্থীরা প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছেন না। গত সাত মাসে কতবার অভিষেক দুবাই গিয়েছেন সেই তালিকা তাঁরাই সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস করে দিয়েছেন। অভিষেকের মতো ভিভিআইপির মুভমেন্ট এ ভাবে প্রকাশ্যে এনে দেওয়ার পিছনে দলের একাংশ যে সক্রিয় তা নাকি সর্বেসর্বাও জানেন।

    সূত্রের দাবি, এর আগে ৩ জুন দুবাই গিয়েছিলেন অভিষেক, ফিরেছিলেন ১০ জুন। আট দিন ছিলেন দুবাইয়ে। তার আগে আরও একবার দুবাই গিয়েছিলেন ২৫ ফেব্রুয়ারি। ফিরেছিলেন ৪ মার্চ। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে অগাষ্ট পর্যন্ত সাত মাসে তিনবার দুবাই যাত্রা করেছেন তিনি। এবারও আট-দশ দিন পর ফিরবেন বলে শোনা যাচ্ছে। যার মানে, গত সাত মাসে গড়পরতা একমাস দুবাইতে কাটাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বেসর্বা।

    আরও পড়ুন: নিশুতি রাতে পাচার হত পাল পাল গরু, কীভাবে চলত অপারেশন?

    গত ২১ মার্চ দিল্লিতে ইডি অভিষেককে কয়লা পাচার কাণ্ডে জেরা করেছিল। এরপর ২৭ মার্চ তাঁর পুরো পরিবার দুবাইয়ের টিকিট কেটেছিল। কিন্তু ইডির লুক আউট সার্কুলার থাকায় সে দিন তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুবাই যেতে পারেননি। যদিও এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়া সেদিন দেশ ছেড়েছিলেন। এর পর চোখের চিকিৎসা করাতে দুবাই যেতে হবে বলে অভিষেক কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে এবং তিনি ৩ জুন দুবাই গিয়েছিলেন। আবার ইডি জেরার আগেও ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দুবাইয়ে ছিলেন। আদালতে জমা পড়ার আবেদনের ভিত্তিতে চিকিৎসা করাতেই তিনি বার বার দুবাই যাচ্ছেন। যা খুবই স্বাভাবিক। দলের অভিষেক বিরোধী লবি সে সব অবশ্য মানতে চাইছে না। দলের সর্বেসর্বার চিকিৎসা নিয়েও তাঁরা সন্দিহান হয়ে যাচ্ছেন।

    তাঁরাই জানাচ্ছেন, আগে নিয়মিত সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক যেতেন অভিষেক। এখন যাচ্ছেন দুবাই। ২০২১ সালে ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর মালদ্বীপে ছিলেন তিনি। ওই সময় কলকাতায় দুর্গাপুজো চলছিল। ২০২০ সালেও ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর দুর্গাপুজোর সময় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সে বছর ১৫ থেকে ২৪ জানুয়ারিও অবশ্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন অভিষেক। এবারও কি পুজোয় কলকাতার বাইরেই থাকবেন তিনি? ফিসফিসানি, চর্চা, আলোচনা চলছে দলের অন্দরেই।

LinkedIn
Share