Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur Violence: কুকি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক! মণিপুরে ভাইরাল নোটিশ ঘিরে ফের উত্তেজনা

    Manipur Violence: কুকি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক! মণিপুরে ভাইরাল নোটিশ ঘিরে ফের উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি বিতর্কিত নোটিশ নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই নোটিশে কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এক অজ্ঞাতনামা বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে অংশ নেবে কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। এই নোটিশটি কুকি-প্রধান এলাকার এক স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, সামসাও নামে পরিচিত একটি কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক আয়োজিত হবে। এই সংগঠনটিকে সাধারণত কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (KNF)-এর গুপ্ত বাহিনী হিসেবে ধরা হয়। গ্রামপ্রধানরা যেন নিশ্চিত করেন, এই বৈঠকে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (IRB), মণিপুর রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশের কুকি সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

    কেন এই নোটিশ ঘিরে আতঙ্ক

    ২০২৩ সাল থেকেই কুকি ও মেইতেইদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে রাজ্য জুড়ে। চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘অবাধ চলাচল’ নির্দেশের প্রতিবাদে মণিপুরের কুকি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ বন্‌ধ প্রত্যাহার করা হলেও কুকিরা জানিয়ে দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ তাঁরা মানবেন না৷ কুকিদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ‘অবাধ চলাচল’-এর বিরোধিতা করে যাবেন। এমন এক সংবেদনশীল সময়ে, এই ধরনের নোটিশ ভাইরাল হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপা আতঙ্ক।

    নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা

    নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নোটিশ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এটি এক ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করে। এটি দেখায় যে রাজ্য সরকারের সেবায় নিযুক্ত কর্মীরা হয়তো জোর করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতায় বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “জাতিগত ভিত্তিতে যদি বাহিনীর উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়, তবে তা সরকারি কাঠামোর উপরেই আঘাত। এটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।” সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে যদি কোনও ধরনের ‘সমন্বয়’ হয়, তবে তা রাজ্যের স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফেরানোর প্রচেষ্টায় বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মণিপুর সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা ব্যুরো (IB) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কড়া নজর রাখছে।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur Violence) জারি নিয়ে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। ওয়াকফ বিল পাশের পরে বুধবার গভীর রাতে বিরোধীরা দাবি তুললেন মণিপুরে নিয়ে আলোচনার। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তার পরে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বুধবার সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে।

    শাহি জবাব

    এদিন মণিপুর (Manipur Violence) প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সেখানে দুই জাতির সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিরোধীরা শুধু রাজনীতি করার জন্যই মণিপুর নিয়ে এত কথা বলছে।” অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়। উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। প্রায় দু’বছর ধরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিরামহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে মণিপুর। এই নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় বীরেন সিংকে। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং। ফেব্রুয়ারি মাসেই মণিপুরে জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

    সাংবিধানিক কারণেই মধ্যরাতে আলোচনা

    বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হয় রাত ১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর অধিবেশন মুলতুবি না করে স্পিকার ওম বিড়লা জানান এবার মণিপুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। মধ্যরাতে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকে সংসদ। কেন বুধবার রাতে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার কারণ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুর। তিনি জানান, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কারণেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কী কারণে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত মণিপুরে (Manipur) জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু অশান্তি তাতেও থেমে নেই। এখনও পর্যন্ত ইম্ফল, চুরাচান্দপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’বা আফস্পার (AFSPA) (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। রবিবার, ৩০ মার্চ এই ঘোষণা করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্যদিকে, গত ১৬ মার্চ মণিপুরে নিঁখোজ হন ২০ বছর বয়সি যুবক লুওয়াংথেম মুকেশ। তাঁর সন্ধানে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ-স্তরের অনুসন্ধান কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৬ মার্চ ইম্ফল পশ্চিমের কেইশাম্পাত লেইমাজম লেইকাই থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ওই যুবকের সন্ধান দিলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে মণিপুর সরকার।

    ৫ জেলার ১৩ থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই আফস্পা

    গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি জেলার ১৩টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে আফস্পার (AFSPA)। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় নতুন করেও ওই আইন বলবৎ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ শেষেও মণিপুরে ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। সেসময় ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম-সহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে বাকি রাজ্যে এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে এবার ১৩টি থানা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে বলবৎ হল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ছ’মাসের জন্য সমগ্র মণিপুর রাজ্যকেই ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কার্যকরী হচ্ছে ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে

    ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই মণিপুরে ২৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই আবহেই এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন (AFSPA) জারি হয়। মণিপুরের দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে নিহত এক, জখম ২৭ নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন প্রান্তে বন্‌ধ ডাকল কুকিরা

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে নিহত এক, জখম ২৭ নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন প্রান্তে বন্‌ধ ডাকল কুকিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত এক কুকি বিক্ষোভকারীর। জানা গিয়েছে, গতকাল শনিবার রাজ্য জুড়ে একাধিক হামলার ঘটনায় জখম হয়েছেন ২৭ জন নিরাপত্তাকর্মী। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেয় কুকিদের সংগঠন। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে মণিপুরে রাস্তাঘাট ‘সচল’ করতে পথে নামে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। এরপরেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তবে সারা দিনে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।

    নিহত এক তরুণ, জখম ২৭ নিরাপত্তা কর্মী (Manipur)

    শনিবার সকালে ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় যান চলাচল রুখতে পথ অবরোধ করেছিলেন কুকি জনগোষ্ঠীর (Kuki Groups) কিছু মহিলা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ শুরু করে। সেখানে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। তখন বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। এরপর কয়েকটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন তাঁরা। তখনই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণের। শনিবার মণিপুর পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর (Manipur) অন্তত ২৭ জন কর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

    দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে বিক্ষোভ জানাল কুকিদের সংগঠন

    এই আবহে কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে (Manipur) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত সংগঠন কুকি-জো কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত এবং কুকিদের রাজনৈতিক দাবিদাওয়াগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের তাদের বিক্ষোভ চলবে। প্রসঙ্গত, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর মণিপুরে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বর্তমানে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা। গত ২ মার্চ ভল্লা এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই হয় বিস্তারিত আলোচনা। বৈঠকের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের সব রাস্তা যেন সচল রাখতে হবে। রাজ্যের রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষ যেন বিনা বাধায় চলাচল করতে পারেন।

  • Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে (Kashmir-Manipur Remark) ভিত্তিহীন মন্তব্যের অভিযোগে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে তুর্কের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানান রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দায়সারা মন্তব্য করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগে সরব হন তিনি। ভারত সুস্থ ও বৈচিত্র্যময় গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদেই বিশ্বাসী বলে জানান অরিন্দম। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ভারতকে নিয়ে এসব ভিত্তিহীন ও সারবত্তাহীন দাবির থেকে বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    ভারতের কড়া জবাব

    রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন (ইউনাইটেড নেশন্‌স হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইট্‌স)-এর প্রধান ভল্কার তুর্কের কাশ্মীর ও মণিপুর প্রসঙ্গে মন্তব্য অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। সোমবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তুর্ক। ওই সময়ে ভারতের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তুর্ক জানান, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে আরও উদ্যোগী হওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন অরিন্দম।

    ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

    রাষ্ট্রপুঞ্জে অরিন্দম বাগচী বলেন, “যেহেতু ভারতকে নাম করে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমি প্রথমেই বলতে চাই, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতে একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা রয়েছে। অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্যগুলি বাস্তব পরিস্থিতির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।” অরিন্দমের মতে, এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগকে (Kashmir-Manipur Remark) বার বার ভুল প্রমাণ করেছেন ভারতবাসীরা। ভারতের বৈচিত্র এবং ভারতীয় সমাজের মুক্তচিন্তাকে আরও ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। তুর্কের উদ্বেগ উড়িয়ে দিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি রয়েছে এবং উন্নয়নও হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন, সেখানে ভোটদানের হার এবং পর্যটনের বিকাশের কথাও তুলে ধরে ভারত। এই ঘটনাগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত উন্নয়নের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় জানান অরিন্দম।

    ভারতের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হোক

    বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দিল্লি। জেনেভায় ওই সভায় তুর্ককে পাল্টা জবাব দিয়ে বাগচী বলেন, “এধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে বারবার ভারত ভুল প্রমাণিত করেছে। ভারত সম্পর্কে বলতে গেলে আরও পড়াশোনা করে আসার অনুরোধ রইল। ভারতের বৈচিত্র্য ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে সঠিক জ্ঞানটুকু থাকা প্রয়োজন।” রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সোমবার বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি তুলে ধরার সময়ে ইউক্রেন, গাজা, আমেরিকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে সেখানে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের সাফ বার্তা, যাঁরা বলছেন এসব কথা, তাঁদের উদ্দেশে একটাই পরামর্শ— আয়নায় নিজেকে ভালো করে দেখুন।

    মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

    উল্লেখ্য, অশান্তি কবলিত মণিপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি সংঘর্ষ। সেই থেকেই জাতিহিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যটি। এই মুহূর্তে মণিপুরের কী পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করণীয়, সবটাই আধিকারিকদের থেকে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দ্রুত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে আগামী দিনে বড়সড় পদক্ষেপ করা হতে পারে, বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কাশ্মীরে উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, এমন একটি যুগ ছিল যখন দেশের অন্যান্য অংশে আইন প্রয়োগ করা জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর করা যায়নি। সারা দেশে দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ৩৭০ ধারার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এখন সময় বদলেছে। ৩৭০ ধারা রদের পর সারা দেশ যে সুবিধা পায়, সেই সুবিধাই পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। এখানে সম্প্রতি পর্যটন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপত্যকায় নয়া রেল প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে যা সাহায্য করবে। উন্নয়নের শক্তি, পর্যটন সম্ভাবনা, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের নেতৃত্বই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশ, এমনই আশা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উন্নত ভারত গঠনের জন্য উন্নত-আধুনিক কাশ্মীরও চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মণিপুরে লাগাতার অশান্তি জিইয়ে রাখতে সেখানকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ইন্ধন জোগাচ্ছিল বিদেশি শক্তি। নির্বাচিত সরকার থাকলে ওই বিদ্রোহীদের দমন করা যায় না। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur) জারি করে মণিপুরের রাশ হাতে নিতে চাইল সরকার।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    মণিপুরের পরিস্থিতি

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উতপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। তার জেরেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur)।

  • Manipur: জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন! মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? আজ বৈঠক দিল্লিতে

    Manipur: জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন! মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? আজ বৈঠক দিল্লিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পরে মণিপুরের (Manipur) রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে, যতদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ততদিন বীরেন সিংকেই কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, মণিপুরের (Manipur) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক করতে আজ, বুধবার দিল্লিতে একটি বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে সেই রাজ্যের দলের সব বিধায়কে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ওই বৈঠকে কুকিদের ১০ জন বিধায়কও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। বিদায়ী বিধানসভার স্পিকার টি সত্যব্রত, মন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র দফায় দফায় বৈঠক করেও নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি। তাই বুধবারের বৈঠক। দলীয় সূত্রে জানানো হয়, বীরেনের বদলে এমন কোনও মুখ বেছে নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা মেইতেই ও কুকি উভয়পক্ষেই রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মণিপুরে (Manipur) রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। তবে, সেখানে তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন মণিপুরের কংগ্রেস সভাপতি কে মেঘচন্দ্রা। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সম্ভাব্য অশান্তির আশঙ্কায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে ইম্ফল জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মণিপুরে কুকি এবং মৈতৈ জনজাতির মধ্যে সংঘাত বজায় রয়েছে মণিপুরে। গত ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।

     

  • Manipur: মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির

    Manipur: মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সম্প্রতি সরে দাঁড়িয়েছেন বীরেন সিং। এই আবহে মণিপুরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ শুরু করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, ইম্ফলে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র (Resignation) পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। দীর্ঘ ২ বছর ধরে মণিপুরে (Manipur) লাগাতার হিংসার মাঝে অবশেষে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। রবিবার ইম্ফলে রাজভবনে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন তিনি। বীরেনের ইস্তফার পর কে হবেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী? চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিজেপি নেতৃত্ব নয়াদিল্লিতে কুকি-জো বিধায়কদের সাথে আলাদা করে দেখা করতে চলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব এমনক এক নেতাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যিনি মৈতৈ এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যকার এই চলমান হিংসা এবং সংঘাত মোকালিবা করতে পারবে।

    বিজেপির বৈঠক

    উত্তরপূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র আপাতত ইম্ফলের এক হোটেলে আছেন। এর আগে বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের সময়ও তিনি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার হোটেলের ঘরেই স্পিকার টি সত্যব্রত সিং, শিক্ষামন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ, টিএইচ বিশ্বজিৎ, প্রাক্তন মন্ত্রী থ রাধেশ্যাম এবং মন্ত্রী আওয়াংবোই নিউমাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন সম্বিত পাত্র। মনে করা হচ্ছে, বীরেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে এঁদের কাউকে। খেমচাঁদকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে কুকিদের কোনও আপত্তি নাও থাকতে পারে। এই আবহে সম্বিত পাত্রের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খেমচাঁদ বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা মেনে নেব। আমাদের লক্ষ্য রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।’ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘হাইকমান্ড যদি আমাকে প্রজেক্ট করে, আমি তা মেনে নেব।’

LinkedIn
Share