Tag: Manipur Violence

Manipur Violence

  • Manipur Violence: কুকি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক! মণিপুরে ভাইরাল নোটিশ ঘিরে ফের উত্তেজনা

    Manipur Violence: কুকি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক! মণিপুরে ভাইরাল নোটিশ ঘিরে ফের উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি বিতর্কিত নোটিশ নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই নোটিশে কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এক অজ্ঞাতনামা বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে অংশ নেবে কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। এই নোটিশটি কুকি-প্রধান এলাকার এক স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, সামসাও নামে পরিচিত একটি কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক আয়োজিত হবে। এই সংগঠনটিকে সাধারণত কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (KNF)-এর গুপ্ত বাহিনী হিসেবে ধরা হয়। গ্রামপ্রধানরা যেন নিশ্চিত করেন, এই বৈঠকে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (IRB), মণিপুর রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশের কুকি সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

    কেন এই নোটিশ ঘিরে আতঙ্ক

    ২০২৩ সাল থেকেই কুকি ও মেইতেইদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে রাজ্য জুড়ে। চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘অবাধ চলাচল’ নির্দেশের প্রতিবাদে মণিপুরের কুকি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ বন্‌ধ প্রত্যাহার করা হলেও কুকিরা জানিয়ে দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ তাঁরা মানবেন না৷ কুকিদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ‘অবাধ চলাচল’-এর বিরোধিতা করে যাবেন। এমন এক সংবেদনশীল সময়ে, এই ধরনের নোটিশ ভাইরাল হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপা আতঙ্ক।

    নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা

    নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নোটিশ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এটি এক ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করে। এটি দেখায় যে রাজ্য সরকারের সেবায় নিযুক্ত কর্মীরা হয়তো জোর করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতায় বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “জাতিগত ভিত্তিতে যদি বাহিনীর উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়, তবে তা সরকারি কাঠামোর উপরেই আঘাত। এটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।” সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে যদি কোনও ধরনের ‘সমন্বয়’ হয়, তবে তা রাজ্যের স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফেরানোর প্রচেষ্টায় বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মণিপুর সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা ব্যুরো (IB) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কড়া নজর রাখছে।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur Violence) জারি নিয়ে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। ওয়াকফ বিল পাশের পরে বুধবার গভীর রাতে বিরোধীরা দাবি তুললেন মণিপুরে নিয়ে আলোচনার। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তার পরে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বুধবার সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে।

    শাহি জবাব

    এদিন মণিপুর (Manipur Violence) প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সেখানে দুই জাতির সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিরোধীরা শুধু রাজনীতি করার জন্যই মণিপুর নিয়ে এত কথা বলছে।” অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়। উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। প্রায় দু’বছর ধরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিরামহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে মণিপুর। এই নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় বীরেন সিংকে। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং। ফেব্রুয়ারি মাসেই মণিপুরে জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

    সাংবিধানিক কারণেই মধ্যরাতে আলোচনা

    বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হয় রাত ১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর অধিবেশন মুলতুবি না করে স্পিকার ওম বিড়লা জানান এবার মণিপুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। মধ্যরাতে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকে সংসদ। কেন বুধবার রাতে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার কারণ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুর। তিনি জানান, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কারণেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কী কারণে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত মণিপুরে (Manipur) জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু অশান্তি তাতেও থেমে নেই। এখনও পর্যন্ত ইম্ফল, চুরাচান্দপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’বা আফস্পার (AFSPA) (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। রবিবার, ৩০ মার্চ এই ঘোষণা করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্যদিকে, গত ১৬ মার্চ মণিপুরে নিঁখোজ হন ২০ বছর বয়সি যুবক লুওয়াংথেম মুকেশ। তাঁর সন্ধানে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ-স্তরের অনুসন্ধান কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৬ মার্চ ইম্ফল পশ্চিমের কেইশাম্পাত লেইমাজম লেইকাই থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ওই যুবকের সন্ধান দিলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে মণিপুর সরকার।

    ৫ জেলার ১৩ থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই আফস্পা

    গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি জেলার ১৩টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে আফস্পার (AFSPA)। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় নতুন করেও ওই আইন বলবৎ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ শেষেও মণিপুরে ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। সেসময় ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম-সহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে বাকি রাজ্যে এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে এবার ১৩টি থানা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে বলবৎ হল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ছ’মাসের জন্য সমগ্র মণিপুর রাজ্যকেই ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কার্যকরী হচ্ছে ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে

    ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই মণিপুরে ২৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই আবহেই এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন (AFSPA) জারি হয়। মণিপুরের দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে নিহত এক, জখম ২৭ নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন প্রান্তে বন্‌ধ ডাকল কুকিরা

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে নিহত এক, জখম ২৭ নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন প্রান্তে বন্‌ধ ডাকল কুকিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত এক কুকি বিক্ষোভকারীর। জানা গিয়েছে, গতকাল শনিবার রাজ্য জুড়ে একাধিক হামলার ঘটনায় জখম হয়েছেন ২৭ জন নিরাপত্তাকর্মী। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেয় কুকিদের সংগঠন। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে মণিপুরে রাস্তাঘাট ‘সচল’ করতে পথে নামে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। এরপরেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তবে সারা দিনে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।

    নিহত এক তরুণ, জখম ২৭ নিরাপত্তা কর্মী (Manipur)

    শনিবার সকালে ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় যান চলাচল রুখতে পথ অবরোধ করেছিলেন কুকি জনগোষ্ঠীর (Kuki Groups) কিছু মহিলা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ শুরু করে। সেখানে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। তখন বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। এরপর কয়েকটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন তাঁরা। তখনই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণের। শনিবার মণিপুর পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর (Manipur) অন্তত ২৭ জন কর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

    দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে বিক্ষোভ জানাল কুকিদের সংগঠন

    এই আবহে কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে (Manipur) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত সংগঠন কুকি-জো কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত এবং কুকিদের রাজনৈতিক দাবিদাওয়াগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের তাদের বিক্ষোভ চলবে। প্রসঙ্গত, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর মণিপুরে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বর্তমানে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা। গত ২ মার্চ ভল্লা এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই হয় বিস্তারিত আলোচনা। বৈঠকের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের সব রাস্তা যেন সচল রাখতে হবে। রাজ্যের রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষ যেন বিনা বাধায় চলাচল করতে পারেন।

  • Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরাতে সক্রিয় কেন্দ্র। হাতে সাতদিন সময়। তার মধ্যেই নির্দেশ মানতে হবে। চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে দিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা। হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। নতুন কোনও মুখ্যমন্ত্রী বাছাই না করায় বর্তমানে রাজ্যে জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এর মাঝে রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা সমস্ত লুট করা অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল ভাল্লা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে লুটের অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দিতে হবে। তা না-করলে কঠোর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। এই সময়কালের মধ্যে যাঁরা বেআইনি অস্ত্র থানায় জমা দিয়ে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না, জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফেরাতে সম্প্রদায়দের নিজেদের মধ্যে শত্রুতা থামাতে হবে এবং সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। যদি সাতদিন সময়ের মধ্যে কেউ অস্ত্র জমা না দেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মে মাস থেকেই জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। সংরক্ষণ নিয়ে ভুল তথ্য ঘিরে কুকি ও মেতেই- দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তা বছরের পর বছর ধরে চলছে। হিংসায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

    শান্তি ফেরাতে মরিয়া প্রশাসন

    বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এর জন্য সমস্ত সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। শত্রুতা মনে রাখলে আর চলবে না। শান্তি বজায় রাখতে হবে।’’ রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘‘গত ২০ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছেন। মানুষের জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। আমি সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসুন এবং বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিকটবর্তী থানায় জমা দিয়ে যান। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করুন। সাত দিন বৃহস্পতিবার থেকে গোনা হবে। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য আপনাদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত কার্যকরী হবে।’’

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • Manipur: গত ২ দিনে মণিপুরে গ্রেফতার ১১ জঙ্গি, জানাল নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur: গত ২ দিনে মণিপুরে গ্রেফতার ১১ জঙ্গি, জানাল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দিনে মণিপুর (Manipur) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জন জঙ্গিক। একথা জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কুকি ন্যাশনাল আর্মির সাতজন সদস্য রয়েছে। যাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গত শুক্রবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে (Security Forces) কুকি ন্যাশনাল আর্মির জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।

    শনিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে অভিযান (Manipur)

    অন্যদিকে গতকাল শনিবার ইম্ফল (Manipur) পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে আরেকটি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন কাঙ্গেলিপাক কমিউনিস্ট পার্টি (পিডব্লিউজি গ্রুপ) এর চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই জঙ্গিদের (Manipur) কাছ থেকে দুটি AK-47 রাইফেল, পিস্তল, গুলি ও বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    গত বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

  • Manipur: জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন! মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? আজ বৈঠক দিল্লিতে

    Manipur: জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন! মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? আজ বৈঠক দিল্লিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পরে মণিপুরের (Manipur) রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে, যতদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ততদিন বীরেন সিংকেই কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, মণিপুরের (Manipur) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক করতে আজ, বুধবার দিল্লিতে একটি বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে সেই রাজ্যের দলের সব বিধায়কে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ওই বৈঠকে কুকিদের ১০ জন বিধায়কও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। বিদায়ী বিধানসভার স্পিকার টি সত্যব্রত, মন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র দফায় দফায় বৈঠক করেও নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি। তাই বুধবারের বৈঠক। দলীয় সূত্রে জানানো হয়, বীরেনের বদলে এমন কোনও মুখ বেছে নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা মেইতেই ও কুকি উভয়পক্ষেই রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মণিপুরে (Manipur) রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। তবে, সেখানে তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন মণিপুরের কংগ্রেস সভাপতি কে মেঘচন্দ্রা। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সম্ভাব্য অশান্তির আশঙ্কায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে ইম্ফল জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মণিপুরে কুকি এবং মৈতৈ জনজাতির মধ্যে সংঘাত বজায় রয়েছে মণিপুরে। গত ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।

     

  • Manipur: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    Manipur: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। রবিবারই ইম্ফলে গিয়ে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। এন বীরেন সিং তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur) মানুষের সেবা করতে পেরে আমি সম্মানিত। কেন্দ্রকে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা, উন্নয়ন, একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও কেন্দ্র যাতে একই পথে হাঁটে সেজন্য অনুরোধ করছি।’’ সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বীরেনকে সরে যেতে বলেন। শাহের সিদ্ধান্ত জানার পর পদত্যাগ করেন বীরেন।

    রবিবারই দিল্লি যান বীরেন

    রবিবার সকালেই নয়াদিল্লিতে অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন বীরেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি ও নাগা পিপল্‌স ফ্রন্ট (এনপিএফ)-এর ১৪ জন বিধায়ক। জানা গিয়েছে, এই বৈঠক হয় ১৫ মিনিটের। বৈঠকের পর ইম্ফলে ফিরেই বীরেন ইস্তফা দেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur)। এই আবহে ৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।

  • Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) ফের নিশানা করা হল অসম রাইফেলসকে। শনিবারই মণিপুরের কামজং জেলায় অসম রাইফেলসের একটি ঘাঁটিতে ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, শনিবার হংবেং এলাকার নাগা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। সেই সময় কাঠবোঝাই গাড়িটি আটকে দেন অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) জওয়ানরা। তখন থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

    গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু

    ঘটনার জেরে মণিপুরের (Manipur Violence) কাংপোকপি জেলার গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। জেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ থাকবে। দিন কয়েক আগেই কাংকোপকি জেলায় পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, তারপরে ফের সামনে এল এমন ঘটনা। এই ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা এবং সিআরপিএফ আধিকারিকেরা।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর 

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur Violence)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share