Tag: Manipur Violence

Manipur Violence

  • Manipur Violence: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নায়ক অমৃত সঞ্জেনবামের হাতে মণিপুরের দায়িত্ব

    Manipur Violence: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নায়ক অমৃত সঞ্জেনবামের হাতে মণিপুরের দায়িত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের মায়ানমারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা হয়তো মনে আছে। এই অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবাম। এবার তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হল অগ্নিগর্ভ মণিপুরকে (Manipur Violence) শান্ত করার। অবসরপ্রাপ্ত এই কর্নেল শৌর্য চক্র এবং কীর্তি চক্র সমেত একাধিক মেডেল পেয়েছেন। এবার তাঁরই হাতে মণিপুরের (Manipur Violence) ভার তুলে দিল এন বীরেন সিং সরকার। আগামী পাঁচ বছরের জন্য মণিপুর পুলিশ বিভাগের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট কমব্যাট পদে দায়িত্বভার সামলাবেন তিনি। মণিপুর অশান্ত হওয়ার পরপরই গত ১২ জুনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অমৃত সঞ্জনবামকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৮ অগাস্ট মণিপুরের (Manipur Violence) জয়েন্ট সেক্রেটারির এক বিবৃতিতে একথা সামনে আসে।

    বীরত্ব এবং সাহসী পদক্ষেপে অমৃত সঞ্জেনবানের জুড়ি মেলা ভার

    ২০১৫ সালে ধারাবাহিকভাবে মায়ানমারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অমৃত সঞ্জনবামকে। সে সময়ে বীরত্বের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান লাভ করেন এই সেনা আধিকারিক। জানা গিয়েছে মণিপুরের (Manipur Violence) বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরানোর কাজে তাঁকেই সবথেকে দক্ষ অফিসার বলে মনে করেছে সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার যখন তাঁকে শৌর্যচক্র দেয়, সে সময় অমৃত সঞ্জেনবাম সম্পর্কে সরকারের বিবৃতি ছিল ঠিক এরকম, ‘‘সবথেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রচনায়, অনুকরণীয় বীরত্ব প্রদর্শনে এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারদর্শী।’’

    চলতি বছরে  ৩মে থেকে মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি অশান্ত হয়

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে থেকে মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি অশান্ত হয়। এখনও পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের হিংসায় মারা গিয়েছেন ১৭০ জন মানুষ। এছাড়াও ভিটে মাটি হারা হয়েছেন আরও বহু মানুষ। হিংসার পাশাপাশি নারী নির্যাতনের খবরও শিরোনামে এসেছে। গত পাঁচ দিনেও সে রাজ্যে ১২ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ৩০ জন মানুষ। উপত্যকার অধিবাসী মেইতিদের সঙ্গে পাহাড়ের অধিবাসী কুকিদের এই সংঘর্ষ চলছেই (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুর হিংসার তদন্তে ১১ জন মহিলা অফিসার সহ ৫৩ জনের টিম গঠন সিবিআই-এর

    Manipur Violence: মণিপুর হিংসার তদন্তে ১১ জন মহিলা অফিসার সহ ৫৩ জনের টিম গঠন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur Violence) ইস্যু বাদ যায়নি প্রধানমন্ত্রীর লালকেল্লা ভাষণেও। চলতি বাদল অধিবেশনে লোকসভায় মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার পরে মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর (Manipur Violence) এবং অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে তৎপর প্রশাসন।’’ এবার মণিপুরের হিংসা এবং মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত করতে টিম গঠন করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।

    ৫৩ জনের সিবিআই টিম

    জানা গিয়েছে, ডিআইজি পদমর্যাদার দুইজন মহিলা আধিকারিক রয়েছেন এই টিমে। ৫৩ জনের অফিসারের এই টিমে ২৯ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। ১১টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করবে এই টিম। সবগুলিই মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত। এই  ১১টি মামলার মধ্যে গণধর্ষণের মামলা তিনটি রয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা রয়েছে ৫৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার গোপনাঙ্গের লাথি মারার। এই অভিযোগ এক সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। ৪টি মামলা আছে গণহিংসার (Manipur Violence)। যার মধ্যে তিনটি মেইতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে এবং একটি কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে দুটি গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, তৃতীয় গণধর্ষণের মামলাটিতে ৭ জন ব্যক্তি যার মধ্যে একজন নাবালক ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। গত ৪ মে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানোর যে ভিডিও ভাইরাল হয় সেই মামলায় (Manipur Violence) গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। সূত্রের খবর, এটাই হল এমন একটি তদন্ত টিম যেখানে সবথেকে বেশি সংখ্যায় মহিলা অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এবং সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তের ফরেন্সিক রিপোর্ট যেন দিল্লি থেকেই করানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও চলতি মাসের শুরুতেই বলেছিলেন, ‘‘ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর।’’ এবং তিনি কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের নেতাদের আবেদনও জানিয়েছিলেন আলোচনা টেবিলে বসার জন্য।

    ৩ মে থেকে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে থেকে কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত গত তিন মাস ধরে চলা সংঘর্ষে ১৫০ এর  বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। গৃহে অগ্নিসংযোগ, মহিলাদের উপর নির্যাতন কোনও কিছুই বাদ যায়নি। গত ৪ মে থেকেই রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় জিনিসপত্রের দামও সেখানে হু হু করে বাড়তে থাকে। পরিস্থিতির মোকাবিলা (Manipur Violence) করতে সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন। ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজও ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বলা হচ্ছে, এটা নাকি জাতি সংঘর্ষেরই ভয়ঙ্কর পরিণতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি তাই? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় ষড়যন্ত্র, এবং বিজেপি সরকারকে ফেলে দিয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার নোংরা রাজনীতি? যত দিন যাচ্ছে, এটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, ড্রাগ বা মাদকের আন্তর্জাতিক চোরাকারবার, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা এবং সর্বোপরি বিদেশি শক্তি, বিশেষত চিনের অঙ্গুলি হেলনেই এখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।

    হাইকোর্টের রায় দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে (Manipur Violence) বিক্ষোভকারীরা

    মণিপুরের ভৌগোলিক যা অবস্থান, তাতে ৯০ শতাংশ হল পাহাড়ি এলাকা, ঘন জঙ্গল এবং চিন, মায়ানমারের সীমান্ত। সবদিক থেকে আফিম চাষের আদর্শ জায়গা। তাই একদিকে আফিমের চাষ যেমন রমরম করে হয়ে আসছে, তেমনি সীমান্ত দিয়ে এর চোরাচালানের কারবারও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে দিনের পর দিন। ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে এটা হল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল। আর ঠিক এই জায়গাতেই আঘাত হানতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি শাসিত সেখানকার সরকার। নিজেদের বেআইনি সাম্রাজ্যে কোপ পড়তেই গোটা মণিপুরকে অশান্ত করার নোংরা খেলায় (Manipur Violence) নেমে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি। এই রকম একটা অবস্থায় আগুনে ঘি পড়েছে সেখানকার হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ে।

    কী বলা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে?

    এই রাজ্যে বাস করেন প্রায় ৩৪ টি জনজাতি সমাজের মানুষ। এঁদের মধ্যে নাগা, কুকি, মিজো, মেইতি উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সবথেকে বেশি হলেন মেইতি গোষ্ঠীর, যাঁরা মূলত সমতল অঞ্চলে বসবাস করেন। এই মেইতিরা মণিপুরের মোট যা এলাকা, তার ১০ শতাংশ অঞ্চলে বসবাস করেন। মণিপুরে বহুদিন ধরেই তাঁরা তফশিলি উপজাতির (ST) স্বীকৃতির দাবি করে আসছিলেন। আর এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে মেইতি-বিরোধী আদিবাসীরা। গত এপ্রিল মাসে মণিপুর হাইকোর্ট মেইতিদের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য সেখানকার রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দেয়। একদিকে কালো কারবারে সরকারের থাবা, অন্যদিকে নিজেদের বসবাসের এলাকাতেও আধিপত্য খর্ব হওয়ার আতঙ্ক, এই দুটি কারণে তারা হইহই করে মাঠে নেমে পড়ে। ৩ মে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ মণিপুর নামে সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। তাতে নেতৃত্ব দেন কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতারা। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরের কাছে তোরবুং এলাকায় প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়। ধীরে ধীরে আগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে মণিপুর। একে একে তোরবুং, গোবিন্দপুর, সাবাল মানিং, মামাং লেইকাই, কাংভাই, ফুবাকচাওতে বাড়িঘরে আগুন দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। মণিপুরে যে ব্যাপক হিংসা (Manipur Violence) হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের প্রাণ গেছে। ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে হিংসার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। মিজোরামের একটি রিপোর্টে বলা হয়, মণিপুর থেকে মোট ৬৫০০ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

    সংরক্ষণ কেন চান মেইতিরা (Manipur) আর কেন ক্ষুব্ধ (Manipur Violence) কুকিরা?

    মেইতিদের কাছে একটি স্পষ্ট তত্ত্ব হল, জনসংখ্যার তত্ত্ব। ১৯৫১ সালে মণিপুরে মেইতিদের জনসংখ্যার অনুপাত ছিল ৫৯ শতাংশ। আর ২০১১ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে। ফলে মণিপুরের জনজাতি হিসাবে কুকিরা তাঁদের জল-জঙ্গল-জমি দখল করছে বলেই মেইতিদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, এমনটাই দাবি তাঁদের। তাই মেইতিরা তাঁদের সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং জনজাতির পদমর্যাদা চান। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং বিজেপি সরকারকে মেইতি সমাজের প্রত্যক্ষ সমর্থক বলে অভিযোগ করছেন কুকিরা। এমনকী কুকি সমাজের এক রাজনৈতিক নেতা বলেন, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কুকি বিরোধী! তাই আমাদের আন্দোলন চলবে। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, শুধু জল-জঙ্গল-জমি নয়, সংরক্ষণের কারণে পুলিশ-প্রশাসনে তাঁরা যে সব সুবিধা ভোগ করে আসছেন, তাতেও ভাগ বসাবে মেইতিরা। মেইতিরা ধীরে ধীরে আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠবে। পাশাপাশি মেইতি জনগোষ্ঠীর মানুষ পাল্টা কুকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সমস্ত হিংসার পিছনে কুকিদের অস্ত্র কারবার, চোরাকারবার, মাদক পাচার, মাফিয়া, দুষ্কৃতী এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। ফলে দুই গোষ্ঠীর দাবি-পাল্টা দাবি ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত আগে থেকেই।

    মাদক চক্র কতটা প্রভাবশালী (Manipur Violence)?

    মণিপুরের এই অশান্তির (Manipur Violence) পিছনে সেখানকার মাদক চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারের প্রত্যক্ষ প্রভাব আছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলও মনে করছে। মণিপুর (Manipur) সরকারের সূত্র অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৮৬৬৪ একরের বেশি আফিম চাষ ধ্বংস করেছে বিজেপি শাসিত সরকারের পুলিশ। এর বেশির ভাগটাই করা হত পার্বত্য জেলায়। আবার ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৮৮৯ একর আফিম চাষ ধ্বংস করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। মণিপুরের এই মাদক চক্র শুধু ভারতেই নয়, মায়ানমার হয়ে লাওস, থাইল্যান্ড, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র হিসাবে কাজ করছে। তাই মণিপুরে মাদক চাষ বন্ধ হলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে চিন সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মাদক চোরাচালানে। আর সেই কারণেই সাময়িক ভাবে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। মণিপুরের আগের সরকারগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেস সরকারের আমলে আইন হলেও, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট ১৯৮৫, মাদক চোরাচালান রোধে তেমন কার্যকর হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী এবং কংগ্রেসের নেতাদের আর্থিক লাভে ভাটা পড়েনি। বর্তমানে বিজেপি সরকার এই অবৈধ মাদক চাষ এবং চোরাচালান রোধে কঠোর মনোভাব নিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের আড়ালে সক্রিয় হয়ে পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর করে তোলা হচ্ছে। মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম দিল্লিও (MTFD) মণিপুরের হিংসা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়ারা অতি সক্রিয় হয়েছে এখানে। 

    উল্লেখ্য মণিপুরে সাসপেনশন অফ অপারেশন এগ্রিমেন্ট (SoO) স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে কুকিদের সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মণিপুর এবং ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই কুকি সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরাই মেইতিদের মন্দির, ধর্মস্থলে হিংসাত্মক আক্রমণ করেছিল। অসম রাইফেল এই ঘটনায় বিশেষ অপারেশনও করেছিল। অভিযোগ আরও ওঠে যে এই কুকির সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরা বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং মিজোরাম থেকে অবৈধ আফিম, গাঁজা, কোকেন, হেরোইন, ইয়াবা মাদক চোরাচালানের কাজ করে থাকে। এছাড়াও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী পাচারের মোটা অর্থ কুকিদের এই জঙ্গি সংগঠনকে সতেজ রাখে। সেই রসদে ভাটা পড়তেই বিক্ষোভ, হিংসাত্মক আন্দোলন।

    আসলে বিজেপি সরকারকে সরিয়ে পাহাড় এবং মাদকের কারবারের রাশ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনাই যা আন্দোলনকারীদের মূল লক্ষ্য, তা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার। চিনের হাত মাথায় থাকায় এই কাজে বিক্ষোভকারীরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তথ্য বলছে, চোরাকারবারের কিং পিন যারা, তারা আসলে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী। মণিপুর এবং মিজোরামে কাজ করা চায়না ন্যাশনাল আর্মি (সি এন এ) এবং জোমি রিভলিউশনারি আর্মির (জেড আর এ) সঙ্গে এদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং অর্থ পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কে এন এ)।  

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের বক্তব্য (Manipur Violence)

    অপর দিকে দেশের প্রাক্তন সেনা প্রধান এমএম নরভানেও দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে মণিপুরের হিংসার (Manipur Violence) পিছনে বহিরাগত চিনের বিশেষ শক্তি মদত দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবাদী সংগঠনকে পরিচালনা করছে বাইরের শক্তি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা যেমন একটা বড় সমস্যা, তেমনি আমাদের দেশের অভ্যন্তরে কোনও সীমান্তবর্তী এলাকার সমস্যাও আমাদের জন্য আরও খারাপ। দেশের জাতীয় সুরক্ষা নীতিকে সুরক্ষিত রাখা একান্ত প্রয়োজন। বাইরের শত্রুর সঙ্গে সেনা লড়াই করছে, কিন্তু ভিতরের শত্রুর সঙ্গে নাগরিকদের লড়াই করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ভীষণ প্রয়োজন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কেন্দ্রের

    Manipur Violence: মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। ঘটনার ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। প্রধানমন্ত্রীও দোষীদের কড়া শাস্তি হবে বলে জানান তখন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সম্পূর্ণ বিচারপর্ব মণিপুরের বাইরে করতে চায় মোদি সরকার।

    ৪ মে মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগ ওঠে 

    গত ৪ মে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।  রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ (Manipur Violence)। দুই মহিলার মধ্যে একজনের ভাই ও বাবাকে হত্যাও করে আক্রমণকারীর। পর্যবেক্ষকদের দাবি, ঘটনার পরেই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিছু দিন আগে ২৬ সেকেন্ডের একটি  ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয় (Manipur Violence)। মণিপুরের ঘটনার নিন্দায় সরব হয় দেশের সমস্ত মহল। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ঘটনার নিন্দা করেন। তারপরেই একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হতে থাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি

    মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।’’ প্রসঙ্গত, গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুনে জ্বলে ওঠে মণিপুর। সে দিন রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন এই সংঘর্ষে (Manipur Violence)। কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেই সেখানের উন্নয়নের জন্য ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। অভিযোগ, কুকি এবং দু’সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাড়ি বাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

    বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডি যে তুলেছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে

    ২৬ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয় কয়েকদিন আগে। সেখানেই মণিপুরের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনা সামনে আসে। পরে মাঠে নিয়ে গিয়ে তাদের গণধর্ষণও করা হয় (Manipur Violence)। এই ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল। অত্যাচারের ভিডিও যে তুলেছিল, বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সূত্রের থেকে পাওয়া এই খবর জানিয়েছে দেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম। ধৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবারই মণিপুর সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। রবিবার মণিপুরে সংঘর্ষের (Manipur Violence) ফলে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশকর্মী-সহ পাঁচ জন। আহতের সংখ্যা অন্তত ১২।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি

    রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশে দু’দিন আগে থেকেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে রয়েছে। সাধারণ জনগণের উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বীরেনের দাবি, মণিপুরের এই সংঘর্ষের (Manipur Violence) মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর

    আজ, সোমবারই মণিপুরে (Manipur Violence) যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। ঠিক তার আগেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মণিপুরে যান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় পাহারায় রয়েছে। একে ৪৭ এবং এম ১৬-এর মতো রাইফেল ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করছে জঙ্গিরা। বহু গ্রামের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

    জনজাতি সংরক্ষণের নিয়মে বদল ঘিরে এপ্রিলের শেষভাগ থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছিল মণিপুরে (Manipur Violence)। মে মাসের গোড়াতেই সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। একটি মিছিল ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, ভাঙচুর-আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর-দোকানপাটে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার নতুন করে মণিপুরের সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, উত্তেজনা ছড়ায়। এরই মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে সেনা এনকাউন্টারে খতম ৪০ কুকি জঙ্গি! সোমবার পা রাখছেন অমিত শাহ

    Manipur: মণিপুরে সেনা এনকাউন্টারে খতম ৪০ কুকি জঙ্গি! সোমবার পা রাখছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে (Manipur) সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে বড়সড় সাফল্য মিলল। এদিন ৮ ঘণ্টার অপারেশনে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে এনকাউন্টারে খতম করা গেছে, এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। অন্যদিকে, সোমবার মণিপুরে পা রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মেইতেই এবং কুকি এই দুই সম্প্রদায়কেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে শনিবারে দুদিনের সফরে মণিপুরে এসে পৌঁছেছেন।

    আরও পড়ুন: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং?

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘৪০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদীকে এনকাউন্টারে খতম করতে পেরেছে সেনা এবং পুলিশ।’’ সূত্রের খবর ওই সন্ত্রাসীরা ak47, m16 এর মতো অত্যাধুনিক স্নাইপার বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় সাধারণ মানুষের উপর। গ্রামে গ্রামে তারা আগুন জ্বালাতে থাকে।’’ প্রসঙ্গত, কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি সারা মণিপুর জুড়েই। এপ্রসঙ্গে তাই মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘আমি ওদের কুকি যোদ্ধা বলতে চাই না। ওরা আসলে কুকি সন্ত্রাসবাদী ওরা নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলি চালিয়েছে। সশস্ত্র জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে। কোন নির্দিষ্ট দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়। আমি সাধারণ মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’ সূত্রের খবর এদিন দুপুর দুটো নাগাদ ইম্ফল উপত্যকায় হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। এদিন সন্ত্রাসবাদীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন কেনেডি নামের ২৭ বছরের এক তরুণ। 

    সংঘর্ষের কারণ……

    আসল ঘটনা হল রাজ্যের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী হল মেইতেই। কিন্তু উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত না হওয়ায় রাজ্যের মাত্র দশ শতাংশ জমির উপর অধিকার পায় এই জনগোষ্ঠী। বাকি পাহাড়ে, জঙ্গলের সংরক্ষিত জমিতে বসবাস করার অধিকার রয়েছে একমাত্র আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের। ৩ মে এক মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুর জুড়ে। এখনও অবধি এই হিংসায় ৭০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! গুলিতে নিহত ১, হামলা রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতেও

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! গুলিতে নিহত ১, হামলা রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের অশান্তি যেন কিছুতেই থামছে না। বুধবারে মণিপুরের (Manipur Violence) বিষ্ণুপুর জেলাতে গুলিতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভাঙচুর করা হল মণিপুরের মন্ত্রীর বাড়ি। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। জানা গেছে, মণিপুরের যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী গোবিন্দদাস কনথৌজামের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এই ঘটনার জেরে জারি হয়েছে কারফিউ। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর। সেখানে মেইটি, কুকি এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিরোধ এবং বিক্ষোভের জেরে এখনও মণিপুরে মারা গিয়েছেন ৭৪ জন।

    ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ

    জানা গেছে মণিপুরের (Manipur Violence) বিষ্ণুপুর জেলায় বুধবার জঙ্গিদের সঙ্গে একদল মানুষের সংঘর্ষ বাঁধে এবং তাতেই একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। মণিপুরের হিংসায় ঘটনা বহু মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এখন বিষ্ণুপুরের মোরাং এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে নিহত যুবকের নাম তৈজাম চন্দ্র মনি (৩০)। গত মঙ্গলবার রাতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বিষ্ণুপুর জেলার একটি গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। হঠাৎই বুধবার খবর আসে যে জঙ্গিরা গ্রামের একটি স্কুলে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে যান গ্রামবাসীরা। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয় জঙ্গি এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া

    জানা গিয়েছে, মণিপুরের ইম্ফলের পশ্চিমপ্রান্তে এখন পেট্রোলের দাম চলছে ১৭০ টাকা প্রতি লিটার। আলুর দাম হয়েছে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। ৩০ টি ডিম মণিপুরে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্থানীয়দের দাবি, তামাকজাত পণ্যের দামও হু হু করে বাড়ছে। শুধু তাই নয্‌ আগে যে মণিপুরে (Manipur Violence) ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ছিল ৯০০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৮০০ টাকা। একটি গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে লাগছে ১৮০০ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে নেওয়া হচ্ছে গ্রামের নাম। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরবাসীর (Manipur Violence) এহেন প্রবণতায় রাশ টানল মণিপুর সরকার। সাফ জানিয়ে দিল, জাতিগত সমীকরণের কথা ভেবে কোনও জায়গার নাম বদলানোর চেষ্টা হলে কারাদণ্ড হতে পারে তিন বছর পর্যন্ত। দু লাখ টাকা জরিমানাও হতে পারে।

    বিধানসভায় পাশ নয়া বিল 

    এই মর্মে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সরকার। রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। বিলটির নাম ‘মণিপুর নেম অফ প্লেসেস বিল ২০২৪’। বিলটিতে (Manipur Violence) বলা হয়েছে, জাতিগত সমীকরণের প্রেক্ষিতে কোনও জায়গার সরকারি নাম বদলের চেষ্টা হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি-সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।

    অশান্ত মণিপুর

    গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত বছর আচমকাই অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মণিপুরে একাধিক উপজাতির বাস। এর মধ্যে মূল দ্বন্দ্ব মেইতেইদের সঙ্গে কুকিদের। এ রাজ্যের জনসংখ্যার সিংহভাগই মেইতেই সম্প্রদায়ের। আর জো-কুকিরা রয়েছেন ৪০ শতাংশ। মেইতেইরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন জো-কুকি সহ অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষ। গত বছর ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিলকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা।

    আরও পড়ুুন: ‘পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না’, দলীয় সভায় সুব্রত বক্সির কাছে নালিশ জেলা তৃণমূল নেতার

    তার পরে রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে খুন হন বহু মানুষ। জখমও হন বহু মানুষ। ভিটে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান লোকজন। পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও নামানো হয়। তার পরেও মণিপুরে নেভেনি অশান্তির আগুন। জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। পরে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে শান্তি ফেরে চিত্রাঙ্গদার দেশে। তার পরেই জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে ফেলা হচ্ছে গ্রামের নাম। মণিপুরবাসীর এই প্রবণতা রুখতেই নয়া বিল পাশ করল মণিপুর সরকার (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের (Manipur Violence) ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। রবিবার মণিপুর প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছর বিষ্ণুপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। অসমের গুয়াহাটিতে কামরূপ (মেট্রো) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    কাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, লইসরাম প্রেম সিং, খুমুকচাম ধীরেন ওরফে থাপকপা, মৈরাঙথেম আনন্দ সিং, এথোকপাম কাজিত ওরফে কিশোরজিৎ, লৌক্রাকপাম মাইকেল মাংগাংছা ওরফে মাইকেল, কনথৌজাম রোমোজিৎ মেইতেই ওরফে রোমোজিৎ এবং কেইশাম জনসন ওরফে জনসন। গোষ্ঠী হিংসার জেরে (Manipur Violence) গত বছর হঠাৎই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি। খুন হন বহু মানুষ। সন্দেহের চোখে কোনও গৃহস্থ দেখতে থাকেন বহু চেনা তাঁর প্রতিবেশীটিকেও।

    পুরানো সেই দিনের কথা

    অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। গত অগাস্টের তিন তারিখে তিনশোরও বেশি অস্ত্র লুট করে জনতা। ১৯ হাজার ৮০০ রাউন্ড গুলি এবং অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম লুট হয়। বিষ্ণুপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়েনের সদর দফতরের দুটি ঘরে রাখা ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি লুঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন ক্যালিবারের প্রায় ৯ হাজার বুলেটও খোয়া যায়। লুঠ হয়ে যায় (Manipur Violence) একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ঘটক রাইফেল, ১৯৫টি সেল্ফলোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-ফাইভ বন্দুক, ১৬.৯ এমএম পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কার্বাইন এবং ১২৪টি হ্যান্ড গ্রেনেডও।

    আরও পড়ুুন: “৪০০ আসনে জিতবে বিজেপি”, প্রার্থী হয়েই বললেন রবি কিষান

    জানা গিয়েছে, উপজাতির লোকজন গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের গণকবর দেওয়ার আয়োজন করেছিল চূড়াচাঁদপুরে। মে মাসের তিন তারিখে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছিলেন এঁরা। সেদিনের ওই সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ২১৯জন। জখম হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা। তাতে আপত্তি জানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে চিত্রাঙ্গদার দেশ। প্রসঙ্গত, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। এঁরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। আর পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন নাগা এবং কুকিরা। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এঁরাই (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Manipur: ১৯৬১-র পরে আসা শরণার্থীদের ‘নির্বাসিত’ করা হবে, ঘোষণা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur: ১৯৬১-র পরে আসা শরণার্থীদের ‘নির্বাসিত’ করা হবে, ঘোষণা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ বসবাস ঠেকানোর উদ্দেশে বড় ঘোষণা করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।  মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৯৬১ সালের পর যাঁরা মণিপুরে এসে থাকছেন, তাঁদের রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। তিনি জানান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং মাদক মাফিয়ারাই মণিপুরের চলমান অশান্তির জন্য দায়ী। তাই অনুপ্রবেশ রুখতে, যাঁরা অবৈধ ভাবে রাজ্যে বসবাস করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ‘নির্বাসিত’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    লোকসভা ভোটের আগে সিএএ চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা সিএএ-কে সমর্থনের একটা ধাপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত সোমবার ‘প্রোজেক্ট বুনিয়াদ’ প্রকল্পের উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৬১ সালের পর রাজ্যে অনেক মানুষ এসে বসবাস শুরু করেছেন। জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। মণিপুরের ‘ইনার লাইন পারমিট সিস্টেম’কে কার্যকরী করতেই ১৯৬১ সালকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওই সালের পর যাঁরা রাজ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে নির্বাসিত করা হবে।’’

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের জন্যই আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জুন মাসে ১৯৬১ সালের পর মণিপুরে বসবাসকারীদের বিদেশি শরণার্থীদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বিধানসভায় গ্রহণ করা হয়েছিল। ইনার লাইন পারমিট কার্যকর করার জন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নেটিভ স্টেটাস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা নিয়ে কিছু জানাননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর মে মাস থেকে মণিপুরে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। রাজ্যে জাতি সংঘর্ষ আটকানো সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share