Tag: Manipur Violence

Manipur Violence

  • Manipur Violence: মঙ্গলবারও হিংসা ছড়াল মণিপুরে, জঙ্গি হামলায় জখম ৭ নিরাপত্তারক্ষী

    Manipur Violence: মঙ্গলবারও হিংসা ছড়াল মণিপুরে, জঙ্গি হামলায় জখম ৭ নিরাপত্তারক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের পয়লা দিনেই অশান্ত হয়েছিল মণিপুর (Manipur Violence)। গতকালই চারজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর মেলে হিংসায়। মঙ্গলবারও সেই রেশ বজায় থাকল। একজন বিএসএফ জওয়ান সমেত সাতজন পুলিশ কর্মী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন মণিপুরের হিংসায়। ঘটনাটি ঘটেছে মায়ানমারের সীমান্ত অঞ্চল মোরেহ-তে। শেষ পর্যন্ত খবর মিলেছে, এঁদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে ইম্ফলের ‘রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স’-এ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন।

    হামলায় বহিরাগত হাত?

    হাসপাতালেই মণিপুরের (Manipur Violence) মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় বহিরাগত শক্তির হাত থাকতে পারে। এই হামলার ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে ‘কুকি ন্যাশনাল আর্মি’কে। প্রসঙ্গত, গতকালই মণিপুরে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। এর পরে এদিন যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে বিএসএফ এবং রাজ্যের পুলিশ কর্মীরা, সে সময় মায়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল থেকেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। 

    উদ্ধার করতে আসা হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি

    জানা গিয়েছে, আহতদের উদ্ধার করতে নিরাপত্তারক্ষীরা হেলিকপ্টার নিয়ে যায়। সেই হেলিকপ্টারেও গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে হিংসায় (Manipur Violence)। গতকালের ঘটনার পরে রাজ্যের পাঁচ জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। কিন্তু মঙ্গলবারেও এড়ানো গেল না হিংসা।

    গতকালের ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    গতকালের ঘটনার পরে এদিন এক ভিডিও বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিরপরাধ মানুষদের হত্যার ঘটনায় আমি অপরিসীম দুঃখিত। আমরা অপরাধীদের ধরতে পুলিশের দলগুলিকে একত্রিত করছি। আমি হাত জোড় করে লিলংয়ের বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করছি, অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সরকারকে সাহায্য করুন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সরকার আইনের অধীনে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। রাজ্য সরকার ঘটনাটিকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছে না। অপরাধীদের ধরতে এলাকায় আরও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্তির আগুন, গুলি চলল মণিপুরে, উদ্ধার ১৩ লাশ  

    Manipur Violence: ফের অশান্তির আগুন, গুলি চলল মণিপুরে, উদ্ধার ১৩ লাশ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Violence)। হিংসার শিকার কমপক্ষে ১৩ জন। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে টেংনুপাল জেলার সাইবোলের কাছে লেইথু গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে সংঘর্ষ বাঁধে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এলোপাথাড়ি চলে গুলি। ঘটনাস্থল থেকে তখন নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন ১০ কিলোমিটার দূরে।

    হিংসার বলি ১৩

    খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন রক্ষীরা। ততক্ষণে পড়ে গিয়েছে ১৩টি লাশ। জানা গিয়েছে, যাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা কেউই লেইথু কিংবা আশপাশ এলাকার নন। সম্ভবত অন্য জায়গা থেকে এসেছিলেন। মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কোন সম্প্রদায়ের, তাও জানা যায়নি। মণিপুর পুলিশের এক কর্তার কথায়, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারাই তদন্ত করবে বিষয়টি।” নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে (Manipur Violence) খবর, যে এলাকায় এদিন দেহ উদ্ধার হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে সেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তাই ঠিক কী কারণে এখানে জ্বলল অশান্তির আগুন, তা নিয়ে ধন্দে বাহিনীর একাংশও। মাত্র এক দিন আগেই মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছিল মণিপুরের বিস্তীর্ণ অংশে। তার পরেই ফের জ্বলল হিংসার আগুন। যার বলি হলেন অন্তত ১৩ জন।

    ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল সরকার

    দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রবিবারই মণিপুরের কয়েকটি জায়গা বাদে সর্বত্র ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল সরকার। পরিষেবা চালু থাকার কথা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসব কথা বিবেচনা করেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।” 

    আরও পড়ুুন: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    গত ৩ মে সংঘর্ষ শুরু হয় মণিপুরে। হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকিদের সংঘর্ষ বাঁধে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের বলি হয়েছেন ১৮০ জন। মেইতেইদের তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। প্রসঙ্গত, মাত্র চারদিন আগেই কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মণিপুরে সশস্ত্র সংগঠন ইউএনএলএফের। তার ঠিক চারদিন পরেই ফের সংঘর্ষ বাঁধায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিত্রাঙ্গদার দেশের বাসিন্দারা (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পর অবশেষে মণিপুরে (Manipur Violence) নিভেছে অশান্তির আগুন। এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। চিত্রাঙ্গদার দেশের হিংসায় এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    ইউএপিএ অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে। মণিপুরে মেইতেইরা সংখ্যাগুরু। অভিযোগ, এদেরই ন’টি সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। যে সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি (Manipur Violence) হল, জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির রাজনৈতিক শাখা রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাকের সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি এবং কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা কাংলেইপাক রেড আর্মি।

    আগেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মণিপুরে যে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এক যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “অদূর ভবিষ্যতে মণিপুরে উঠবে শান্তির সূর্য, মণিপুর আবার এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।”

    আরও পড়ুুন: জে পি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা!

    গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তার জেরেই শুরু হয় মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ। মেইতেইরা হিন্দু। আর কুকি সহ সেখানকার তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় (Manipur Violence) দু’শোজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। রাজধানী ইম্ফলের পরিস্থিতি হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বুধবার সন্ধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের দফতরের অদূরে চলল গুলি। খবর, এদিন এক দল জনতা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি থানা ঘেরাও করে নেয়। থানা ঘিরে ফেলার পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র, গুলিগোলা দাবি করতে থাকে। স্থানীয় আরামবাই তেঙ্গল গ্রুপ এই ঘেরাও করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। 

    অশান্ত ইম্ফল

    মঙ্গলবার মায়ানমার-মণিপুর (Manipur Violence) সীমান্তের টেঙ্গনৌপলে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মোরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিওপি) চিংথাম আনন্দ। আদিবাসীদের চালানো গুলিতেই ওই পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও লাভ হয়নি। এই ঘটনার পরই মণিপুরে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়। সেই বাহিনী মোরেহ শহরে পৌঁছতেই কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গেছে, মণিপুরের ইন্দো–মায়ানমার জাতীয় সড়কের উপরে দুই জায়গায় পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথম হামলাটি চলে বংগ্যাং গ্রামে। এরপর কে সিনাম গ্রামে ফের পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা হয়। 

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    সেই ঘটনার প্রতিবাদে মেইতেই যুব সংগঠন বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে। সেই আন্দোলন থেকেই ইম্ফলে (Manipur Violence) অশান্তি ছড়ায় রাতে। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাঝে মাঝেই অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার থানা লুট করার উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানাকে লুট হওয়া থেকে বাঁচাতে শূন্যে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। এর পর জনতাকে হঠাতে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে ইম্ফলে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই

    Manipur Violence: মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ মে থেকে হিংসা (Manipur Violence) ছড়ায় মণিপুরে। ঠিক তার পরের দিন ৪ মে অভিযোগ ওঠে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে দুই কুকির জনজাতি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর। আরও অভিযোগ তাঁদেরকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, সোমবারই চার্জশিট জমা দিল। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে মোট ৭ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। এই ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বেশ কয়েকদিন আগে সারা দেশ জুড়ে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে চমকে ওঠে সারা দেশ।

    নির্যাতিতা কী বললেন?

    ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই দুই নির্যাতিতার (Manipur Violence) মধ্যে একজন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। ওই নির্যাতিতার দাবি, খুনের ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা জনসমক্ষে সেদিন তাঁকে বিবস্ত্র করেছিল। ওই ঘটনার পরে স্থানীয় থানাতে ১৮ মে এফআইআরও করেন নির্যাতিতা। ওই নির্যাতিতার আরও দাবি, ৪ মে তাঁর বাবা এবং ভাইকেও খুন করেছিল বিক্ষোভকারীরা। অভিযুক্তরা কেউই গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। চলতি বছরের ২৭ জুলাই মণিপুরের সরকার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নির্দেশ চায় এবং সেই মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তা অনুমোদনও করে। ২৯ জুলাই থেকে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সোমবারই জমা পড়ল তার চার্জশিট।

    মে মাস থেকেই অশান্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত হয় মণিপুর। ৩ মে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ (Manipur Violence) ছড়ায় কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে। লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণধর্ষণ এ সমস্ত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন হিংসার ঘটনায়।  হিংসা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও যান মণিপুর সফর করেন বেশ কয়েকমাস আগে। ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজও ঘোষণা করেন অমিত শাহ। দুপক্ষের অর্থাৎ কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের কাছে শান্তির আবেদনও জানান অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AFSPA In Manipur: মণিপুরে আফস্পা আইনের মেয়াদ বাড়ল, জারি আরও ৬ মাস

    AFSPA In Manipur: মণিপুরে আফস্পা আইনের মেয়াদ বাড়ল, জারি আরও ৬ মাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন, ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ এর মেয়াদ বৃদ্ধি সিদ্ধান্ত নিল সে রাজ্যের সরকার (AFSPA In Manipur)। জানা গিয়েছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৬ মাস পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। তবে আফস্পা (AFSPA In Manipur) তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে ইম্ফল উপত্যকাকে।  

    ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন ২ পড়ুয়া

    প্রসঙ্গত, মণিপুরে হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং তাঁদেরকে হত্যা করার ঘটনায় নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয় এই রাজ্যের পরিস্থিতি। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে গত ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন এই দুই ছাত্রছাত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের মৃতদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়ে এবং এতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। গত দুই দিন ধরে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ইম্ফল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের ঠেকাতে বাহিনী টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় ও স্মোক বোমার ব্যবহার করে।  নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তপক্ষে ১০০ ছাত্র-ছাত্রী জখম হন। ইম্ফলজুড়ে মোতায়েন করা হয়- মণিপুর পুলিশ, সিআরপিএফ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।

    মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিংয়ের বিবৃতি

    ১৭ বছরের ছাত্রী হিজাম লিন্থোগাম্বি ও বছর কুড়ির ছাত্র ফিজাম হেমজিৎ-এর মৃত্যু ঘিরে সামনে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং লেখেন, ‘‘দুই নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যের মানুষকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, রাজ্যে ও কেন্দ্র উভয় সরকারই আততায়ীদের ধরতে একযোগে কাজ করছে।’’ তারই মধ্যে আফস্পা আইনের (AFSPA In Manipur) মেয়াদ বাড়ানো হয়। ১ অক্টোবর সন্ধে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। তবে, মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে ১৯টি থানা এলাকাকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকাতেও বাড়ানো হয়েছে এই আইনের মেয়াদ। সেখানেও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে এই মেয়াদ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার নতুন করে ইন্টারনেট পরিষেবা নিষেধ করা হয়। 

    ৫ মাস ধরে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে ঘিরে হিংসা ছড়ায়। প্রায় পাঁচ মাস ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে মণিপুর। সে রাজ্যের কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবং ঘর ছাড়া সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। উত্তর-পূর্ব রাজ্যের জঙ্গি তৎপরতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর হাতে বিশেষ ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে আফস্পা আইন জারি করেছিল তৎকালীন কেন্দ্র সরকার। পরে ধাপে ধাপে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আফস্পা (AFSPA In Manipur) প্রত্যাহার করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই অসমের ২৪টি জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল আফস্পা আইন। মণিপুরের হিংসা অনেক কিছু বদলে দিয়েছে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মতি নিয়ে রাজ্য সরকার এই আইন জারি করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: হাই-অ্যালার্ট মণিপুরে! দুই পড়ুয়াকে খুনের জের, ফের পাঁচ দিন বন্ধ ইন্টারনেট

    Manipur Violence: হাই-অ্যালার্ট মণিপুরে! দুই পড়ুয়াকে খুনের জের, ফের পাঁচ দিন বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। এক নাবালক ও নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী ইম্ফল(Imphal)। হিংসা  আটকানোর জন্য আগামী পাঁচদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দুই কিশোর-কিশোরীর হত্য়ার তদন্ত সিবিআই(CBI)-র হাতে তুলে দিয়েছে মণিপুর সরকার। বুধবারই বিশেষ বিমানে ইম্ফলে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। থাকবেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরও।

    রাজ্য জুড়ে হাই-অ্যালার্ট 

    গত জুলাই মাস থেকে এক কিশোর ও কিশোরী নিখোঁজ ছিল। সম্প্রতিই ওই দুইজনকে নৃশংসভাবে খুন করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় শতাধিক পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। মৃত দুই পড়ুয়াই মেইতেই সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে মণিপুর (Manipur Violence) জুড়ে। সে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে হাই-অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উত্তপ্ত বেশ কয়েকটি জায়গায়। 

    বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

    প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পরে গত ২৫ জুলাই গোষ্ঠীহিংসা দীর্ণ মণিপুরে (Manipur Violence) আংশিক ভাবে ফিরেছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রাথমিক ভাবে যাঁদের স্থায়ী ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ রয়েছে, তাঁদেরই কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের উত্তেজনা ছড়ানোয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব টি রঞ্জিত সিংহ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিলেন, ‘আপৎকালীন পরিস্থিতি এবং জননিরাপত্তা আইন’ মেনে সাময়িক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হল ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ রাখার সেই সিদ্ধান্ত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মণিপুরে মোবাইল ইন্টারনেট ডেটা পরিষেবার উপর সাময়িক বিধিনিষেধ পরবর্তী পাঁচ দিন চলবে। আগামী ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা। তার পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

    মণিপুরে সিবিআই

    মঙ্গলবার রাতেই মণিপুরের (Manipur Violence) মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, ওই দুই নাবালিকার মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঘটনার সমস্ত আপডেট জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরপরই জানা যায় যে বুধবারই বিশেষ বিমানে মণিপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের দলে থাকবেন সিবিআইয়েরর সেকেন্ড-ইন কম্য়ান্ড অজয় ভাটনগর। ইতিমধ্যেই মণিপুরে উপস্থিত রয়েছেন সিবিআইয়ের যুগ্ন ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। এছাড়াও তদন্তকারী দলে স্পেশাল ক্রাইমের একাধিক শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন, যারা ঘটনাস্থল পুনর্নিমাণ, জেরা ও টেকনিক্যাল সার্ভেল্যান্সে পারদর্শী। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির আধিকারিকরাও যাচ্ছেন মণিপুরে।

    আরও পড়ুন: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় সরকার

    গত চার মাস ধরে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর (Manipur Violence)। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। যদিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল মণিপুর। শিথিল করা হয়েছিল সে রাজ্যের একাধিক জেলায় জারি থাকা কার্ফু। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মণিপুর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, মণিপুরে সমস্যা বহুদিন ধরেই।  রাজ্য এমনকি দেশের বাইরে থেকেও মণিপুরে ঢোকেন বহু মানুষ। অশান্তির পিছনে এটি একটি বড় কারণ। সঙ্গে জাতিগত সমস্যাও রয়েছে। তবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সক্রিয়। খুব শীঘ্রই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থিতাবস্থা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Manipur Violence: ফের হিংসা মণিপুরে, দিনের বেলায় গুলির লড়াই, মৃত ২

    Manipur Violence: ফের হিংসা মণিপুরে, দিনের বেলায় গুলির লড়াই, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন চিত্রাঙ্গদার দেশে (Manipur Violence)। মঙ্গলবারই আলোচনা ও সাংবিধানিক উপায়ে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রস্তাব পাশ করেছে মণিপুর বিধানসভা। সেদিনই সংঘর্ষে উত্তাল হল উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যটি। এদিন সকালে কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামরক্ষী বাহিনীও। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’ জনের। সালাম জ্যোতি সিংহ নামে একজন জখম হয়েছেন। এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফের যাতে উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে এলাকা, তাই তল্লাটে টহল দেওয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    কুকি-জো অধ্যুষিত গ্রামে হামলা

    কুকিদের সংগঠন আইটিএলএফ জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের একজন হলেন জাংমিনলুন গাংতে। অন্যজনের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এদিকে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ (Manipur Violence)। পূর্ব ইম্ফল ও বিষ্ণুপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    বাড়িতে আগুন

    মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষের আগে অশান্তি হয়েছিল রবিবারও। রাজধানী ইম্ফলে তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই দিন গভীর রাতে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ডিরেক্টর কে রাজোর বাড়ির নিরাপত্তরক্ষীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

    ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত মণিপুরে (Manipur Violence)। রাজ্যের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো সহ কয়েকটি তফশিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে  প্রায় দু’শো জনের। ঘরছাড়া হয়েছেন কমবেশি ষাট হাজার মানুষ। পোড়ানো হয়েছে বহু বাড়ি। লুটপাট হয়েছে দোকান। জখম হয়েছেন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা বাহিনী ও অসম রাইফেলসের অতিরিক্ত বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: আকসাই চিনে বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন, যুদ্ধের প্রস্তুতি লালফৌজের?

    এদিকে, অশান্তি শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম বসে বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশন চলে মিনিট পনের। এর মধ্যেই পাশ করানো হয় আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব। এদিনের অধিবেশনে যোগ দেননি কুকি-জো গোষ্ঠীর দশ বিধায়ক (Manipur Violence)। নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেননি বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত যে মামলাগুলির তদন্ত রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে, তার শুনানি হবে অসমের গুয়াহাটিতে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই মামলাগুলির বিচারের জন্য নিম্ন আদালত মনোনয়নের ভার গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, অভিযুক্তদের হাজিরা, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত এবং হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা হবে অনলাইনে।

    গুয়াহাটির আদালতে হাজিরা

    নির্যাতনের শিকার, সাক্ষী এবং সিবিআই মামলায় যুক্ত কারও যদি অনলাইনে মুখ দেখাতে আপত্তি বা ভয় থাকে, তাহলে তিনি গুয়াহাটির আদালতে সরাসরি হাজিরা দিতে পারেন। অনলাইন বিচারের জন্য মণিপুর সরকারকে সচল ও দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, মণিপুরের কংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনা সহ মোট ১০টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ২১ অগাস্ট মণিপুরের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ত্রাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিচারপতি গীতা মিত্তলকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত প্যানেল তিনটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্ষতিপূরণের বৃদ্ধি ইত্যাদি।

    টিম গড়েছে সিবিআই

    মণিপুর হিংসার ঘটনাগুলি তদন্তের জন্য চলতি মাসেই ২৯ জন মহিলা আধিকারিক সহ মোট ৫৩জন আধিকারিককে নিয়ে টিম গড়েছে সিবিআই। এই টিমে (Supreme Court) পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার তিন মহিলা অফিসার। দু’ জন অতিরিক্ত সুপার এবং ছ’ জন ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার মহিলা অফিসারও রয়েছেন। তদন্ত প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই মামলাগুলি প্রতিবেশী রাজ্যে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর যুক্তি ছিল, মণিপুরে বিচার প্রক্রিয়া চললে বিচারপতিদের জাতি পরিচয় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    এদিকে, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের তলব পেয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে গিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার শাহের বাসভবনে হবে ওই বৈঠক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। আজ, শুক্রবার ভোরে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হয় গুলি বিনিময়ও। সংঘর্ষ থামলে দেহ উদ্ধার হয় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন যুবকের। এঁরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। হিংসা দীর্ণ এই রাজ্যের (Manipur) কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরাই খুন করেছে ওই তিনজনকে।

    ফের অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে

    পক্ষকাল শান্তি থাকার পরে ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনায় ত্রস্ত মণিপুরবাসী। অশান্তির আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে থোয়াই গ্রামে। উখরুলের পুলিশ সুপার এন ভাশুম বলেন, “গ্রামের পূর্ব দিকে থাকা পাহাড়ি এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গ্রামের প্রহরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতের কোনও খবর নেই।

    দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান

    ঘটনার পরে পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে (Manipur) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও সেনা। গত ৫ অগাস্ট বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন মেইতেই এবং দুজন কুকি সম্প্রদায়ের। তার পর থেকে শান্তির সুপবন বয়ে যাচ্ছিল চিত্রাঙ্গদার দেশে। শুক্রবার ভোরে ফের অশান্তির আগুন জ্বলায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও।

    তফশিলি জাতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিংসার সূত্রপাত তা থেকেই। সংঘর্ষের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩ মে। হিংসার আগুনে পুড়েছে ঘরবাড়ি, দোকানদানি। ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখমও হয়েছেন বহু। হিংসার জেরে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল মেইতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর, ইম্ফল পূর্ব, পশ্চিম এবং কাকচিং।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    কুকি-জোমি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও কাঙ্গপোকপি এলাকাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। মণিপুরের এই হিংসায় অবশ্য জড়িয়ে পড়েননি সে রাজ্যের নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মণিপুরে (Manipur) ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে ভারত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share