Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: “সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত বাধ্য হবে”, মণিপুরকাণ্ডে বললেন চন্দ্রচূড়

    Manipur: “সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত বাধ্য হবে”, মণিপুরকাণ্ডে বললেন চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ঘটনায় (Manipur) আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।” বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামিকাল, শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুনানিও হবে এদিন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”

    প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা

    মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।” বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে এই ভাষায়ই মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত ও ক্রুদ্ধ, তাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট-বার্তায় ঘটনার নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি লেখেন, মণিপুরে ২ মহিলার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা নিন্দনীয় ও সম্পূর্ণ অমানবিক।

    চিন্তিত চন্দ্রচূড় 

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গতকাল ভিডিও দেখার পর আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, চিন্তিত। আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সময় হয়েছে সরকারের পদক্ষেপ করার। এই ঘটনা অনস্বীকার্য, এটা মানা যায় না।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি। যদি সরকার পদক্ষেপ না করে, তবে আদালত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। এই ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটানোর জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তার দিকে নজর রাখছে আদালত। সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও দেখা গিয়েছে, তা সংবিধান উল্ঘনের প্রমাণ।”

    আরও পড়ুুন: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে ট্যুইটার, কড়া পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র

    Manipur: মণিপুরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে ট্যুইটার, কড়া পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে দুই মহিলাকে। তাঁদের পেছনে পেছনে চলেছেন যাঁরা ওই মহিলাদের ‘শাস্তি’ দিচ্ছেন, তাঁরা। মণিপুরের (Manipur) অসভ্য এবং বর্বরোচিত এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যথারীতি। অবশ্য ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে এই ভিডিও ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। ঘটনার জেরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে হল, “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।”

    ভিডিও দ্রুত সরানোর নির্দেশ

    প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়ার আগেই অবশ্য পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ট্যুইটার সহ সমস্ত সমাজমাধ্যমকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ওই ভিডিও দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে, বুঝেই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের। তার বদলে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ যেভাবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে, তাতে প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

    ছিঃ ছিঃ ছিঃ

    ট্যুইটার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনও ভেঙেছে বলে মনে করছে সরকার। ট্যুইটার ও অন্য সমাজ মাধ্যমগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়া রুখতে চাইছে কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্ত মন্ত্রক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরের কাংপোকপি জেলার। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে আতঙ্কে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের।

    পরে বছর ছাপান্নর এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। পরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় দুই মহিলাকে। বছর একুশের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ২১ জুন ওই মহিলারা দায়ের করেন এফআইআর।প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

    আরও পড়ুুন: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Manipur: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।” বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে এই ভাষায়ই মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত ও ক্রুদ্ধ, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিলগুলি সাংসদরা সমর্থন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘‘আজ আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত, ক্রোধে পূর্ণ। মণিপুরের যে ঘটনা সামনে এসেছে, তা কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক। অপরাধীরা অপরাধ করে নিজের নিজের জায়জায়। কিন্তু এই ঘটনায় সারা দেশ অপমানিত হয়েছে। ১৪০ কোটি দেশবাসী লজ্জিত।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মা বোনেদের রক্ষা করার জন্য আমি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, নিজেদের রাজ্যে আইনব্যবস্থা আরও মজবুত করুন। রাজস্থান, ছত্তীসগড় হোক বা মণিপুর— সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আহ্বান করছি, রাজনীতির উপরে উঠে, যে কোনও রাজ্যে আগে নারীর সম্মান রক্ষা হোক। মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছেন, কোনও অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না। আইন তার সর্বশক্তি দিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ নেবে।

    প্রকাশ্যে ভিডিও

    সম্প্রতি, মণিপুরের (Manipur) একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হচ্ছে। ওই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দলগুলির একাংশ ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফা দাবি করেছে। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের পক্ষে এদিন নোটিশ দেওয়া হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভায়। ট্যুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ওই ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

    লজ্জাজনক ঘটনা

    জানা গিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরের কাংপোকপি জেলার। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে আতঙ্কে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন।

    পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের। পরে বছর ছাপান্নর এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। পরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় দুই মহিলাকে। বছর একুশের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ২১ জুন ওই মহিলারা দায়ের করেন এফআইআর।

    প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় ঘটনার নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি লেখেন, মণিপুরে ২ মহিলার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা নিন্দনীয় ও সম্পূর্ণ অমানবিক।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বাদল অধিবেশন চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত। এই অধিবেশনে পাশ করানো হতে পারে ৩১টি বিল। এর মধ্যে নতুন বিল পেশ হতে পারে ২১টি।

     

    আরও পড়ুুন: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ‘‘শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা কেন?’’ পাঁচলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রশ্ন হিমন্তর

    Manipur: ‘‘শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা কেন?’’ পাঁচলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রশ্ন হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোয় ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে দেশজুড়ে। অথচ দেশের অন্যান্য রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটলেও, কেবল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কিছু ঘটলে হইচই হচ্ছে বলে অভিযোগ। মণিপুরের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার পাঁচলায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অথচ তা নিয়ে কোনও সমালোচনা হচ্ছে না। অন্তত এমনই অভিযোগ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। প্রসঙ্গত, পাঁচলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে তৃণমূল কর্মীরা নগ্ন করে ঘোরায় বলে অভিযোগ। বিজেপির এক প্রার্থীর মুখে তৃণমূল কর্মীরা প্রস্রাব করে দেয় বলেও অভিযোগ।  

    হিমন্তর ট্যুইট-বাণ

    সাম্প্রতিককালে দেশের অন্যান্য অংশের ছ’টি যৌন হেনস্থার ঘটনার কথাও ট্যুইট-বার্তায় তুলে ধরেছেন তিনি। লিখেছেন, মণিপুরের ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীরা আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তথাকথিত মুক্তচেতাদের মধ্যে একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটা হল, তাঁদের ক্রোধ কেবল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতি। অথচ দেশের অন্য প্রান্তে যখন এই জাতীয় নৃশংস ঘটনা ঘটে, তখন তারা তাকে উপেক্ষা করে যান।

    ঘটনার ঘনঘটা

    এর পরেই তিনি (Manipur) ছ’টি ঘটনার কথা শেয়ার করেন। প্রথম ঘটনাটি জোধপুরের। ১৯ জুলাই ছ মাসের শিশু সহ একই পরিবারের চারজনকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৬ জুলাই জোধপুরেই এক দলিত নাবালিকাকে তার বয়ফ্রেন্ডের সামনেই গণধর্ষণ করা হয়। ১৩ জুলাই বিজেপির এক কার্যকর্তা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয় বলে অভিযোগ। ৮ জুলাই বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে তৃণমূল কর্মীরা হাঁটায় বলে অভিযোগ।

    ৭ জুন বিহারে উপজাতি সম্প্রদায়ের এক নাবালিকাকে ৮ জন মিলে ধর্ষণ করে। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় গত বছর ২০ অক্টোবর উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে ১০ জন মিলে ধর্ষণ করে। তাঁর প্রশ্ন, দেশের বিভিন্ন অংশে এমন ঘটনা ঘটলে কেবল বেছে বেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা করা হচ্ছে কেন?

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    এদিকে, মণিপুরের (Manipur) বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব মিলিয়ে মোট ৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। সাম্প্রতিক ওই মহিলাদের নির্যাতনের পর গোটা রাজ্যেই বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। অশান্তির আঁচ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক। তিনি জানান, ভুল তথ্য যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dilip Ghosh: ‘মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’! বিরোধী জোটকে কটাক্ষ, রাজ্যে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh: ‘মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’! বিরোধী জোটকে কটাক্ষ, রাজ্যে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা হায় গণতন্ত্র বলে সাড়া দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের রাজ্যে গণতন্ত্র মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে। কোর্টে যেতে হয় গণতন্ত্র খুঁজতে। বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বুধবার পথে নামছে বিজেপি। যদিও এই মিছিলে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘পুলিশ নিজেই অশান্তি করছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি বহাল রাখব। পুলিশের অনুমতি না মিললেও, মহা মিছিল হবে। আমরা আমাদের কাজ করব, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। সাড়া দেশে গণতন্ত্রের জন্য দৌড়চ্ছেন আর রাজ্যে যে গণতন্ত্র মাটির তলায় চলে গিয়েছে। চশমার দোষ আছে।’  বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে ১১জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার কর্মী।  তাঁদের মধ্যে ৬৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে ১২ হাজার ৪৯২টি বুথ দখল হয়েছেএবং ২১ হাজার বুথে ভোটই না হওয়ার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। 

    ভাঙড় অশান্তি

    ভাঙড়-অশান্তি নিয়েও মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি চান না, তাই ভাঙড়ে শান্তি ফিরছে না। ওঁরা হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে ভাঙড়ে নিজে থেকেই শান্তি ফিরে আসবে। নওশাদকে তো আটকে দিয়েছে। ঢুকতেই পারেনি। ওখানে মানুষ যাকে জিতিয়েছে, তাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে যাদের হারিয়েছে, তারাই ওখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাইরে থেকে গুন্ডা মস্তান পাঠিয়ে ওখানে বোমা-গুলি-সন্ত্রাস কায়েম করেছে। অন্য জায়গার বিধায়ক ওখানে ঢুকে বসে আছে। আর ওখানকার বিধায়ককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দোষটা কার? যদি তৃণমূল মনে করে ওটা মুক্তাঞ্চল এবং ওখানে ওরাই দাপিয়ে বেড়াবে, তাহলে তো প্রতিরোধ হবেই। ”

    আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মোদি-বিরোধী নয়া জোট

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে টিপ্পনি করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটুতেই হাওয়া খেয়ে যান। কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কখনও নীতীশ কুমার, কখনও বা সনিয়া গান্ধী ওনাকে হাওয়া দিচ্ছেন”। দিলীপের (Dilip Ghosh) কথায়, “ওঁরা চাইছেন মমতাকে নেতা বানিয়ে নরেন্দ্র মোদির সামনে ছুঁড়ে দিতে। কেউ এরিনায় ঢুকে খেলতে চাইছেন না। যারা ঢুকেছে, তাদের অত্যন্ত দূরাবস্থা। অনেকে আর সাংসদ নেই। তাই কেউ মোদির সামনে যাবে না।”

    মোদির সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই

    দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “ভারতের সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই। মোদির সঙ্গে না। ইন্ডিয়া বিদেশি ভাবধারার একটা ভাবাদর্শ। যারা এতদিন ভারতকে গোলাম করে রেখেছিলেন, যাদের লোকেরা মনের দিক থেকে এতদিন গোলাম হয়ে থেকেছেন, তারা ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি। আমরা তো ভারত মাতার জয় বলে শুরু করেছি। তাতে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এখন মোদির নাম জড়িয়ে আছে। দেশে বিদেশে সম্মান আসছে। দেশ তার নিজের আদর্শে এগোচ্ছে। তাই ভারতের জয় হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mirabai Chanu: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    Mirabai Chanu: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে শান্তি (Manipur Violence) ফেরানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)-কে চিঠি লিখলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu)। অলিম্পিয়াড মীরাবাঈ চানু বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তবে বিদেশে থাকলেও নিজের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন তিনি। 

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সরাসরি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu)। চিঠিতে তিনি মণিপুরের অশান্তি (Manipur Violence) থামানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। এব্যাপারে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো-বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন মীরাবাঈ। তিনি বলছেন, “মণিপুরে সংঘাতের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে, কিন্তু এখনও শান্তি ফিরে আসেনি। এই সংঘাতের কারণে অনেক খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি, শিশুদের পড়াশোনাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন করতে চাই যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সংঘাতের অবসান ঘটান এবং মণিপুরের সমস্ত মানুষকে বাঁচাতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করুন।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    ভাইরাল চানুর ভিডিয়ো

    ভিডিওবার্তায় চানু (Mirabai Chanu) বলেন, “আসন্ন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান গেমসের প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আমার বাড়ি মণিপুরে। আমি মণিপুরে না থাকলেও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি সবসময় চিন্তিত, কবে এই সংঘাতের অবসান ঘটবে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে মীরাবাই চানুর এই ভিডিয়ো। মণিপুরে (Manipur Violence) গত কয়েক মাস ধরেই কুকি ও মেইতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এখনও তা পুরোপুরি থামেনি। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলে জাবি করছে মণিপুর সরকার। ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি মণিপুরে, ঘরে ঢুকে মহিলাকে গুলি দুর্বৃত্তদের, গাড়িতে আগুন

    Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি মণিপুরে, ঘরে ঢুকে মহিলাকে গুলি দুর্বৃত্তদের, গাড়িতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। যদিও অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। তার জেরে বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির। শনিবার ভর সন্ধেয় গুলি করে খুন করা হয় এক মহিলাকে। দুষ্কৃতীরা ওই মহিলার মুখে গুলি চালায়। তার জেরে বিকৃত হয়ে যায় মুখ। পূর্ব ইম্ফলের সাওয়ামবাগ অঞ্চলের ঘটনায় ফের ছড়িয়েছে উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধেয় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে দুর্বৃত্তরা। মহিলার মুখ লক্ষ্য করে ছোড়ে গুলি। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে ঘিরে ফেলে এলাকাটি। তল্লাশি চালানো হয় ওই মহিলার প্রতিবেশী কয়েকজনের বাড়িতে।

    অশান্তির খণ্ডচিত্র

    জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ম্যারিং নাগা সম্প্রদায়ের। খুনের কারণ জানতে চলছে তদন্ত। ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তাঁকে খুনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। এদিকে, এদিনই (Manipur) খালি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই তিনটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়িগুলি ইম্ফলের দিক থেকে আসছিল। সেকমাইয়ের কাছে সেগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ইম্ফলের দিক থেকে আসা গাড়িগুলি রাস্তার ধারে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিল। তাতেই লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

    বন্ধ ইন্টারনেট

    তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কারা, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে গাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, রাজ্যের (Manipur) সর্বত্র যাতে অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আরও পাঁচ দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। তবে ইন্টারনেট লিজ লাইন ব্যবহারকারীরা অবশ্য অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবহার করতে পারবেন ইন্টারনেট।

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবি মন্তব্যের জেরে কারাদণ্ড, সাজা মকুব করতে সুপ্রিম কোর্টে রাহুল

    প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে ঘিরে হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকিদের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ মে। খুন-জখম-রাহাজানির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। শতাংশের বিচারে রাজ্যে মেইতেইরা রয়েছেন ৫৩। এঁদের সিংহভাগই বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। নাগা এবং কুকি সম্প্রদায়ের হার ৪০ শতাংশ। এরা বাস করে পাহাড়ি এলাকায়। মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০-রও বেশি মানুষ। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) শান্ত হোক। সংখ্যালঘুদের জীবন হোক সুরক্ষিত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (EU) পার্লামেন্ট। জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

    অরিন্দম বাগচির ট্যুইট-বার্তা

    বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন। আমরা দেখেছি, ইউরোপিয় সংসদ মণিপুর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং একটি তথাকথিত জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”  

    পার্লামেন্টে পেশ করা প্রস্তাব

    ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ভারত, মণিপুরের পরিস্থিতি নামে একটি প্রস্তাব পেশ করে সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের প্রগতিশীল জোট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (Manipur) জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করার ও সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে ইউরোপীয় সংসদ। মণিপুরের হিংসার স্বাধীন তদন্ত করার জন্য অনুমতিও চেয়েছে পার্লামেন্ট। বিবদমান সমস্ত পক্ষকে উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকেও ভারতের কাছে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রেস বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দাবি তুলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মণিপুরের হিংসার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দিক।

    আরও পড়ুুন: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি

    হিন্দু মেইতি ও খ্রিস্টান কুকি জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন উপত্যকায়, কুকিরা পাহাড়ি এলাকায়। মেইতিরা নিজেদের তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানান। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। যার জেরে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur: বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত হিংসার, মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ  

    Manipur: বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত হিংসার, মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। খোলা হয়েছে স্কুল। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই কারণেই ফের মেয়াদ বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার। নিষেধাজ্ঞা লাগু থাকবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মণিপুর রাজ্যে শান্তিভঙ্গে ও আইনশৃঙ্খলায় যাতে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ জুলাই বেলা ৩টে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বিবৃতিতে পুলিশের ডিজির চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে, গুলি চলছে। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চতুর্থবার বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

    বিক্ষিপ্ত অশান্তি

    এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে থাউবাল জেলায় (Manipur) ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল লুণ্ঠনকারীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা রক্ষী ও দাঙ্গাকারীদের মধ্যে। প্রায় ৭০০ দাঙ্গাকারীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় মৃত্যু হয় সামারাম নামে বছর সাতাশের এক যুবকের। তার পরেই দাঙ্গাকারীরা ওয়াংবলে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের তিন নম্বর ক্যাম্পে চলে আসে। পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করে। বাধা দেন জওয়ানরা।

    চলল গুলি

    শূন্যে গুলি ছুড়তে শুরু করে দাঙ্গাকারীরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। এর পরেই পিছু হটে দাঙ্গাকারীরা। পরে তারা পিছু নেয় অসম রাইফেলসের জওয়ানদের। আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁদের যানবাহনে। জওয়ানদের (Manipur) লক্ষ্য করে গুলিও চালাতে শুরু করে। গুলি লাগে এক জওয়ানের পায়ে। রোনাল্ডো নামের ওই জওয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে ইম্ফল হাসপাতালে। ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন আরও ১০জনও। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আরও পড়ুুন: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    এদিকে, মাস দুয়েক বন্ধ থাকার পর বুধবারই খুলেছে মণিপুরের ৪ হাজার ৫২১টি স্কুলের তালা। তবে উপস্থিতির হার ছিল কম। হিংসাদীর্ণ কাংপকপি ও চূড়াচাঁদপুরের স্কুলগুলির তালা অবশ্য খোলেনি। এই দুই জেলায় স্কুল রয়েছে ৯৬টির কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণের দাবিতে সোচ্চার হন হিন্দু মেইতেইরা (Manipur)। তার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের সঙ্গে। সেই কারণেই মাস দুয়েক ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

  • Manipur Violence: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    Manipur Violence: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার রাতে থৌবল জেলায় সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়ে, সেখান থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা। যা বাধা দিলে, উন্মত্ত জনতার সঙ্গে সেনা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপরই ফের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু অসম রাইফেলস ও সেনারা একযোগে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা প্রতিহত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নাগালের মধ্যে বলে সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।

    অস্ত্র লুটের চেষ্টা

    একটু একটু করে শান্ত হচ্ছিল মণিপুর (Manipur Violence) । উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য শান্ত হলে, বুধবার থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। বুধবার থেকে যখন মণিপুরে স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু হয়, তার আগেই ফের অশান্তি ছড়াল থৌবল জেলায়। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় ২৩ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন থৌবল জেলার ৩ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে চড়াও হয় কয়েকশো মানুষ। গুলি ও অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করে তারা।

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    কুকিদের মধ্যে মতানৈক্য

    এদিকে, অভিযোগ, জনজাতি যৌথ মঞ্চের মত ছাড়াই মণিপুরের ২ নম্বর জাতীয় সড়কে চলা অবরোধ রবিবার উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুকি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ কেএনও। এই ঘটনার পরে কুকিদের নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ ও মতানৈক্য বাড়ে। সোমবার রাতে কেএনওর মুখপাত্র সেইলেন হাওকিপের লামকার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুড়েছে তাঁর গাড়িও। তবে কেউ হতাহত হননি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইউনিফায়েড কমান্ডের বৈঠকের পরে রাজ্যে থাকা সব অবৈধ বাঙ্কার ভেঙে (Manipur Violence) ফেলার যে ঘোষণা করেন তার বিরোধিতা করে জনজাতি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বলে, কুকিরা মেইতেইদের আক্রমণ করেনি কিন্তু মেইতেইরা বারবার হানা দিচ্ছে, তাই কুকিদের গ্রাম রক্ষা করতে বাঙ্কার জরুরি। বীরেন মেইতেইদের হামলার সুবিধা করে দিতেই বাঙ্কার ভাঙার ছক কষছেন। তা মানা হবে না। না হলে কুকিরা আরও অরক্ষিত হয়ে পড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share