Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Manipur: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ নিভু নিভু। তবে আগুন এখনও নেভেনি। যে কোনও মুহূর্তেই তুষের আগুন জ্বলতে পারে দাউ দাউ করে। তাই আপাতত মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্তই নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩ মে কুকি-মেইতেই সংর্ঘষের জেরে আক্ষরিক অর্থেই আগুন জ্বলেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। তার পর থেকে অশান্তির আগুন জ্বলছে কখনও ধিকি ধিকি করে, কখনও আবার দাউ দাউ করে। হিংসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মোতায়েন করা হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনী। ঠিক ছিল, বাহিনী মোতায়েন থাকবে ১০ জুন পর্যন্ত। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গোটা জুন মাসই বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মণিপুরে মোট ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। এর মধ্যে ৫২ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৪৩ কোম্পানি বিএসএফ। চলতি সপ্তাহেই আরও ৩০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বাহিনী পরিচালনা করার জন্য ডেপুটি কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ২০ জন আধিকারিককে মণিপুরে রাখা হয়েছে।

    চলছে হিংসা

    হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই (Manipur) জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনী। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাসাধিককাল কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই কারণেই পরিস্থিতি যাতে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে না ওঠে, তাই পুরো জুন মাস সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসাধিককাল ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে বিদেশিদের হাত। অন্তত এমনই আশঙ্কা মণিপুরের আদিবাসীদের সংগঠনের। অশান্তির ফোকর গলে অনুপ্রবেশও চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের (India) এই রাজ্যে। যার জেরে বদলে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনসংখ্যার গ্রাফ। আদিবাসীদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে

    মণিপুরে আদিবাসীদের সংগঠনের নাম নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম। সম্প্রতি অসমের গুয়াহাটির ভগবতী প্রসাদ বরুয়া ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন এই সংগঠনের জনা তিরিশেক সদস্য। সেখানেই অশান্তির নেপথ্যে থাকা বিদেশি শক্তির অদৃশ্য হাতের (যদি থাকে) ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মণিপুরে। তাই নিত্য বাড়ছে সমস্যা। বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যার গ্রাফ। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। অশান্তির (Manipur) নেপথ্যে কোন শক্তি, তাও তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্র।

    আদিবাসী সংগঠনের আবেদন

    রাজ্যে বাইরে থেকে কেউ আসছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্যও সংগঠন আবেদন করেছে মণিপুরবাসীর কাছে। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের চেয়ারম্যান অনুট চেটিয়া বলেন, “মণিপুরের এই সঙ্কটের পিছনে বিদেশিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি। যদি বিদেশিদের কোনও ইন্ধন থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুুন: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    সংগঠনের দাবি, মণিপুরে বসবাসকারী সব কুকি মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী নয়। গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে এসেছে কুকি-চিন জাতির লোকজন। দখল করেছে মণিপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। তাই মণিপুরে (Manipur) এখন কুকি-চিন উপজাতির জনসংখ্যা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা চূড়াচাঁদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্তচাষ করছে। এই পোস্তচাষ বন্ধেই উদ্যোগী হয়েছে সরকার। দখলিকৃত বনাঞ্চল ফেরত পেতেও চলছে অভিযান। সংগঠনের অনুমান, সেই কারণেই মেইতেইদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে অনুপ্রবেশকারীরা।

    এদিকে, ফের অশান্তির আশঙ্কায় এখনই অস্ত্র সমর্পণ করতে চাইছেন না মণিপুরবাসীর একাংশ। দিন কয়েক আগে অস্ত্র সমর্পণ করতে তাঁদের অনুরোধ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর শুরু হয়েছিল অস্ত্র সমর্পণের কাজ। যদিও ফের অশান্তি শুরু হওয়ায় এখনই অস্ত্র সমর্পণে রাজি নন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। পরিস্থিতি শান্ত করতে মণিপুর গিয়ে সেখানে শান্তি-প্রস্তাব রাখলেন অমিত শাহ।

    বৈঠকে দেওয়া হল প্রস্তাব

    সোমবার রাতে চারদিনের সফরে মণিপুর পৌঁছন শাহ। রাজধানী ইম্ফলে নেমেই তিনি দফায় দফায় রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন সেনা কর্তা ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। কথা বলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। এর পাশাপাশি, তিনি বিবাদমান জনজাতি গোষ্ঠী প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও মিলিত হন (Manipur Violence)। তাঁদের অভিযোগ শুনে সমস্যার মূলে পৌঁছে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে কুকি জনজাতি প্রতিনিধিদলের তরফে তাঁর সামনে একাধিক দাবি পেশ করা হয়। শাহ সবকিছু ধৈর্য সহকারে শুনে কথা দেন, সব দাবি বিবেচনা করা হবে। এর সঙ্গেই বিবাদমান দুই জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদলের সামনে অমিত শাহ অনুরোধ করেন, ১৫ দিনের জন্য হিংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। শাহের মতে, হিংসা দিয়ে নয়, যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে শান্তির পরিবেশেই।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিদর্শন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আজ বুধবার, মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা, মূলত যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন কাঙ্গপোকপি জেলায় যান শাহ। মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি (Manipur Violence) ছড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কাঙ্গপোকপি। এই অঞ্চল কুকি অধ্যুষিত হলেও, সেখানে মৈতেই জনজাতিরও বসবাস রয়েছে। অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই জনজাতির বাড়িই ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) নিহতদের পরিবারের জন্য গতকাল যৌথ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয় নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এছাড়া, নিহতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের খাদ্য সঙ্কট মেটাতে শীঘ্রই ২০ টন চাল বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    Manipur Violence: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ। এই মর্মে যৌথভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করল কেন্দ্র ও মণিপুর সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের ১ জনের জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।

    পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুরে অমিত শাহ

    জাতিগত হিংসায় প্রায় এক মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। এখনও পর্যন্ত এই হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। আহত বহু। ঘরছাড়া শতাধিক। এই পরিস্থিতিতেই চারদিনের সফরে মণিপুর গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা এবং আইবির ডিরেক্টর তপনকুমার ডেকা। সোমবার রাতে ইম্ফলে পা রেখেই পর পর বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক এক করে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং, মণিপুরের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, নিরাপত্তা আধিকারিক এবং রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। 

    আরও পড়ুন: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

    অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মণিপুরে দ্রুত শান্তি (Manipur Violence) এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে। এই জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে। এর পরই, এই প্যাকেজের সিদ্ধান্ত করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে, বাকি ৫ লাখ টাকা দেবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংঘর্ষে মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। 

    পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জন্য চাল, ডাল, রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীও মজুত রাখার নির্দেশ সরকারকে দিয়েছেন অমিত শাহ। শাহের বৈঠকে এ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পেট্রল, রান্নার গ্যাস, চাল এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের জোগান বৃদ্ধি করা হবে। যাতে অভাবজনিত মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি ঠেকানো যায় (Manipur Violence)।

  • Amit Shah: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    Amit Shah: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপজাতি সংঘর্ষের আগুনে এখনও জ্বলছে মণিপুর। তার মধ্যেই অশান্ত রাজ্যে চারদিনের সফরে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। আগামী ক’দিন গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার মণিপুরে পা রেখেই পর পর বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একটা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে। পাশাপাশি বৈঠক করেন মন্ত্রিসভার সকল সদস্যদের সঙ্গেও। এছাড়া, সোমবারই অমিত শাহ পরিস্থিতি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সারেন রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গেও। পৃথক বৈঠক করেন মণিপুর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তপন ডেকার সঙ্গে। একইসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংয়ের সঙ্গেও।

    লক্ষ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা

    সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার, সেনার সঙ্গে বৈঠক করার কথা অমিত শাহের (Amit Shah)। পাশাপাশি, জনজাতি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা হতে পারে। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার তিনি এ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল ছেড়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁর। অমিত শাহের এই সফরে তাঁর সঙ্গী রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। অশান্ত মণিপুরে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন চিফ অফ ডিফেন্স জেনারেল অনিল চৌহানও। প্রতিনিয়ত সামরিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সম্প্রতি, মণিপুরে এসেছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। 

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    এখনও অগ্নিগর্ভ মণিপুর

    মে মাসের শুরু থেকেই অগ্নিগর্ভ মণিপুর। দুই জনজাতি সংগঠন— মৈতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘাত থেকে ভয়াবহ হিংসা বাঁধে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। তার জেরে ইতিমধ্যেই ৭৫ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। ঘরছাড়া অনেকে। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, জঙ্গিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে। এর পরই সেনা অভিযানে নামে। প্রায় বিগত ৪ দিনে ৪০ জন সশস্ত্র কুকি জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আর এরপরই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই রাজ্যে। শনিবার থেকে সেই রাজ্যে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। অমিত শাহের (Amit Shah) সফরের ঠিক আগে রবিবার নতুন করে হিংসার আগুনে জ্বলে মণিপুর। এক পুলিশকর্মী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। সোমবারও দিনভর গুলির লড়াই এবং অশান্তি হয় মণিপুরের একাধিক এলাকায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: সোমবার অশান্ত মণিপুরে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

    Amit Shah: সোমবার অশান্ত মণিপুরে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুর সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার (২৯ মে) মণিপুর পরিদর্শনে যাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার শাহ বলেছিলেন, ‘‘কিছু দিনের মধ্যেই আমি নিজে মণিপুর যাব। সেখানে আমি ৩ দিন থাকব। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মণিপুরবাসীর সঙ্গে কথা বলব।’’ তারপরই শুক্রবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই কথা জানান।

    অশান্ত মণিপুর

    বেশ কয়েকদিন শান্ত থাকলেও গত বুধবার নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুরে। রাজধানী ইম্ফল-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে কারফিউ জারি করতে হয়েছিল প্রশাসনকে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় শুক্রবার কারফিউ শিথিল করা হয়।

    গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের ইম্ফলের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। মণিপুরের বেশ কয়েকটি জায়গাতে অশান্তির খবর সামনে এসেছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী মেইতেই এবং কুকি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত মণিপুরের বিভিন্ন অংশ। যার মধ্যে নতুন করে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে

    তিনদিনের জন্যে মণিপুরে শাহ

    এই পরিস্থিতিতে তিনদিনের জন্যে মণিপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah)। শুধু যাওয়া নয়, উত্তর-পূর্বে এই রাজ্যের মানুষের কথা শুনবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।  সম্প্রতি এক বার্তায় মণিপুরের দুই জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষকেই শান্ত থাকার অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে বলেন, মণিপুর খুব শীঘ্রই আমি যাব। সেখানে থেকে সবার কথা শোনার কথাও জানান তিনি। সবাই সুবিচার পাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শাহ। সূত্রের খবর, ২৯ মে মণিপুরে পৌঁছবেন শাহ। থাকবেন ১ লা জুন পর্যন্ত। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই অশান্ত মণিপুরে গিয়েছেন। সেখানে থেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্তি মণিপুরে, পুড়ে খাক বাড়ি, জারি কার্ফু

    Manipur: ফের অশান্তি মণিপুরে, পুড়ে খাক বাড়ি, জারি কার্ফু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার অশান্তি হয়েছিল মণিপুরের (Manipur) রাজধানী ইম্ফলে। অশান্তির সেই আগুন (Violence) ছড়িয়ে পড়ল মঙ্গলবারে। এবার অকুস্থল বিষ্ণুপুর জেলার ফউবাকচা এলাকা। আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে মোট ৭টি বাড়ি। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জখম হয়েছেন দুজন। অশান্তির আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নতুন করে জারি করা হয়েছে কার্ফু। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার চুপ করে বসে নেই।

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির আগুন

    ৩ মে অশান্তি শুরু হয় মণিপুরে। সেই সময় যেসব জায়গায় সব চেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, সেগুলির মধ্যে রয়েছে বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর। এই বিষ্ণুপুরে আগে যে অশান্তি হয়েছিল, তখন মৃত্যু হয়েছিল এক সেনা জওয়ান ও পুলিশ কমান্ডোর। আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। সোমবার ইম্ফলে যে অশান্তি হয়, সেখানে নিউ লাম্বুলেন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। নিউ কেইথিলমানবি এলাকা থেকেও বন্দুক ও গুলি সহ গ্রেফতার করা হয় একজনকে। পুলিশের দাবি, এরা হিংসার সঙ্গে যুক্ত।

    শান্তি বজায় রাখার আর্জি

    মণিপুর (Manipur) সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ জানান, মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। হিংসার ঘটনা রুখতে রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নতুন করে কার্ফু জারি করা হয়েছে। তবে দৈনন্দিন কাজের জন্য কিছু সময়ের জন্য কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, এদিনই মণিপুরের দুই সাংসদ দেখা করেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন কুকি ও মণিপুর জনগোষ্ঠীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানান তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    মণিপুরের (Manipur) স্পিয়ার কর্পসের তরফে জানানো হয়েছে, কাংচুক চিংখং জংশন এলাকায় মোবাইল ভেহিক্যাল চেক পোস্ট বসানো হয়েছিল। সেখানে একটি মারুতি অল্টো আটক করা হয় হয়। গাড়িটি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫টি শটগান, ৫টি গ্রেনেড এবং ৩ কার্টন শটগানের বারুদ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে।

    প্রসঙ্গত, মণিপুরের সিংহভাগ জনতা মেইতেই সম্প্রদায়ভুক্ত। তফশিলি জনজাতি মর্যাদার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছেন তাঁরা। তাঁদের এই দাবির বিরোধিতা করে মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর। সেখান থেকেই শুরু হয় অশান্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। রাজধানী ইম্ফলের চেকন অঞ্চলে সোমবার ফের সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। অশান্তি রুখতে তলব করা হয়েছে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীকে। ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    মণিপুরে (Manipur) হিংসার কারণ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চেকন বাজারে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

    হিংসায় ক্ষতির খতিয়ান

    দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জনজাতির মর্যাদা চেয়ে আসছেন মেইতেইরা (Manipur)। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। এর বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরে ৩ মে প্রথম অশান্তির আগুন জ্বলে মণিপুরে। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে নেভানো হয় সেই অশান্তির আগুন। যদিও ততক্ষণে সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ’তিনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭০০র বেশি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    প্রথম দফায় যখন অশান্তি ছড়িয়েছিল, তখন চেকন (Manipur) এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি। এদিনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। তিনি জানান, রাজধানীতে যাতে বাইরে আটকে থাকা গাড়ি ঢুকতে পারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের আকাল দেখা না দেয়, সেজন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা ও অসম রাইফেলস বিভিন্ন এলাকায় টহলও দিচ্ছে। চেকান (Manipur) এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেয় সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur CM: ‘হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন’, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ শাহের

    Manipur CM: ‘হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন’, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) অব্যাহত হিংসা। রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার ব্যাপারে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Manipur CM) নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। হিংসা থামাতে কেন্দ্র সব রকম সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি। মেইতে সহ রাজ্যের সমস্ত জনগোষ্ঠী সুবিচার পাবে বলেও আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এক সপ্তাহ আগেও মণিপুরে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন শাহ। গত সোমবার তিনি বলেছিলেন, মণিপুরের (Manipur CM) পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। যদিও এখনও মণিপুরে কারফিউ জারি রয়েছে। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য, সে ব্যাপারে মণিপুর সরকার আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছিলেন শাহ।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur CM) দাবি… 

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতীয় সেনা ও মণিপুর পুলিশের টিম জঙ্গি গোষ্ঠী ক্যাম্পগুলি ঘুরে দেখেছে। দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্ত্র রয়েছে। ওই অস্ত্রগুলি বেআইনিভাবে মায়ানমার থেকে আনা হয়েছিল। বীরেন সিংহ বলেন, অমিত শাহ জানিয়েছেন, যারা বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, এই হিংসায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকার জন্য কী করতে হবে সে সংক্রান্ত একটা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন মিছিল বা কর্মসূচি গ্রহণ না করার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছে। কোথাও কোনও গুজবে বা প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: জঙ্গি নিশানায় কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলন! উপত্যকায় অভিযান এনআইএ-র

    এদিকে, রবিবার মণিপুর (Manipur CM) সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ জানান, মণিপুরে হিংসায় এ পর্যন্ত নিহত ৭৩ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন ২৪৩ জন। তফশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেইতেই জনগোষ্ঠীর লোকজন। প্রতিবাদ করে কুকিরা। তার জেরে ৩ মে থেকে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। তার পরের দিন মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ৮টি জেলায়। মৃত্যুর পাশাপাশি জখম হয়েছেন প্রায় তিনশো বাসিন্দা। সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে বহু বাড়ি, দোকান, হোটেল এবং ধর্মস্থান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। নামানো হয় সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • N Biren Singh: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    N Biren Singh: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩ মে-র দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩১ জন। সেই সঙ্গে ১৭০০-র কাছাকাছি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমি রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করছি। আটকে পড়া মানুষদের তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ (N Biren Singh)। তিনি বলেন, “মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা ঘরছাড়া হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে সরকার। এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন”।

    এন বীরেন সিংহের (N Biren Singh) হুঁশিয়ারি…

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ (সোমবার) পর্যন্ত আমরা ২১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪২৭৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছি। যাঁরা এখনও নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের তা সমর্পণ করতে বলেছি”। মণিপুরের এই পরিস্থিতির জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করতে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। যেসব সরকার ও প্রশাসনিক কর্তা পরিস্থিতি সামলাতে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদেরও কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান এন বীরেন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh) বলেন, “হিংসার প্রথম দিন থেকে শাহ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছেন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ”। এদিকে, মণিপুরে প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগের গতি বাড়াতে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধর্মীয় উপাসনাস্থলগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    গত বুধবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে প্রথম হিংসার ঘটনা ঘটে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। মণিপুরের সিংহভাগ বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ভুক্ত। তফশিলি উপজাতি ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে তারা। এই দাবির বিরোধিতা করে বুধবার মিছিল বের করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। তার পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share