Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    Manipur: মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) যৌথ অভিযানে উখরুল জেলার ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষের বাগান নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এদিন উখরুল জেলা পুলিশ, বনবিভাগ, ১৮ অসম রাইফেল এবং রাজ্যের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে খামাসোম পাহাড়ি অঞ্চলে বেআইনি এই চাষকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Viren Singh) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছেন। এর ফলে মাদক পাচারকারীরা জোর ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে (Manipur)

    উখরুল (Manipur) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ আফিম বাগানের মধ্যে পাওয়া ৮টি ঝুপড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই পুলিশ এই অবৈধ আফিম চাষের উপর নজর রেখেছিল। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Chief Minister Viren Singh) নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “মাদক পাচার এবং অবৈধ আফিম চাষের বিরুদ্ধে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম প্রশংসার যোগ্য।”

    মাদকচক্র থেকে মুক্তি দেওয়াই লক্ষ্য

    মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং (Chief Minister Viren Singh) আরও বলেন, “আমাদের রাজ্যকে (Manipur) মাদকচক্র থেকে মুক্তি দেওয়াই একমাত্র প্রধান লক্ষ্য। পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীরা নিরলস কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। রাজ্যকে ভয় মুক্ত এবং নিরাপদে রাখাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য। এই মাদক চাষের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” উল্লেখ্য এই জেলায় আগে ৭ ডিসেম্বর একই ভাবে আফিম চাষের উপর অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।

    মণিপুরে বেআইনি আফিম চাষের কারবার ব্যাপকহারে চলছিল। বিজেপির অভিযোগ, আগের দীর্ঘ সময় ধরে চলমান কংগ্রেস শাসিত সরকার এই অবৈধ আফিম চাষের প্রচার প্রসার ঘটেয়েছিল। অনেক নিরাপাত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মণিপুরে অশান্তির মূল কারণ হল এই অবৈধ আফিম চাষের উপর কর্তৃত্ব বা অধিকার এবং অবৈধ লেনদেন।  আফিম থেকে প্রাপ্ত অর্থ নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করা হয় বলে জানান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: বন্ধ ইন্টারনেট, মণিপুরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি! অসমেও মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী

    Manipur Violence: বন্ধ ইন্টারনেট, মণিপুরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি! অসমেও মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির জের অব্যাহত মণিপুরে (Manipur Violence)। তাই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছিল, রবিবার থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে রবিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মণিপুর সরকার। তাতেই বলা হয়েছে, আপাতত বুধবারের আগে চালু হচ্ছে না ইন্টারনেট। রাজ্যের ন’টি জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

    কোন কোন জেলায় নিষেধাজ্ঞা

    রাজ্য সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে বলা হয়েছে, মণিপুরের (Manipur Violence) ন’টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজওল এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। গত মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। চলতি মাসে মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। দিন কয়েক পরে অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে আসে। প্রকাশ্যে আসে শিউরে ওঠার মতো ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। জিরিবামের এই ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। 

    আরও পড়ুন: প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় নাম যোগনগরী হৃষিকেশের, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ধামীর

    অসমে প্রভাব

    রবিবার অসমের (Assam) মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, মণিপুরে (Manipur Violence) যে হিংসা চলছে তার জেরে অসমের শান্তিতে প্রভাব ফেলছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব পড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্যে হিংসার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মণিপুর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে অসমের লাখিপুর মহকুমা। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই কথা জানান তিনি। প্রসঙ্গত গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুরের হাজার হাজার বাসিন্দা অসমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনেকেই সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। সরকারি তথ্য় অনুসারে প্রায় ৫০০০ জিরিবামের বাসিন্দা কাছাড়ে বাস করা শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্য়ে বেশিরভাগই ফিরে যান। ৭ নভেম্বর ফের জিরবামে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপরই ফের বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ায় মণিপুর লাগোয়া অসমের কাছাড়ে। এরপর ২০০ কিমি সীমান্ত এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। বরাক উপত্যকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরের কোনও প্রভাব অসমে না পড়ে। উল্লেখ্য, অসমের কাছাড় জেলার বরাক উপত্যকা মণিপুরের জিরিবাম জেলার লাগোয়া। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরের ইম্ফলে শিথিল করা হল কারফিউ, ফের খুলল স্কুল-কলেজ, পড়ুয়ারা ফিরছে ক্লাসে

    Manipur: মণিপুরের ইম্ফলে শিথিল করা হল কারফিউ, ফের খুলল স্কুল-কলেজ, পড়ুয়ারা ফিরছে ক্লাসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে অশান্তির আবহ কাটিয়ে মণিপুরের (Manipur) ইম্ফল উপত্যকা এবং জিরিবাম জেলার স্কুল ও কলেজগুলি ফের খোলা শুরু হল। শুক্রবার থেকে স্কুল-কলেজে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। উপত্যকার জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের স্কুল ইউনিফর্ম এবং অভিভাবকদের রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে।

    কী নির্দেশে দিয়েছে শিক্ষা দফতর? (Manipur)

    স্কুল শিক্ষা দফতর এবং উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল (Manipur) পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থৌবাল এবং জিরিবাম জেলায় ক্লাস পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুল খোলা প্রসঙ্গে এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক কে বিকেন সিং বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলে ইম্ফলের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনা করে। একজন ক্লাস সিক্স, একজন ক্লাস সেভেনে পড়ে। তাদের ফাইনাল পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। কিন্তু, পাঠ্যক্রমের কিছু অংশ এখনও শেষ হয়নি। তাই, আমরা চরম উদ্বেগে ছিলাম। স্কুলগুলি পুনরায় খোলার ফলে শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। ছেলেরাও স্কুল যেতে পেরে ভালো লাগবে। এটা আমাদের কাছে বড় স্বস্তির খবর।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    শিথিল করা হল কারফিউ!

    একটি সরকারি আদেশ অনুসারে, রাজ্য সরকার (Manipur) সমস্ত পাঁচটি উপত্যকা জেলা এবং জিরিবামে শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে মানুষজন প্রয়োজনীয় খাবার, জিনিসপত্র এবং ওষুধ কিনতে পারে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘শিথিলের সময়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনও জমায়েত/বসা/সমাবেশ করা যাবে না।’’ সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। সেই আবহেই মণিপুর ও অসমের জিরি ও বরাক নদী থেকে জিরিবামে দুই দফায় মহিলা ও শিশুসহ ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর ফের স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: অশান্ত মণিপুরে আসছে আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, উদ্ধার ৩ হাজার অস্ত্রশস্ত্র

    Manipur Clash: অশান্ত মণিপুরে আসছে আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, উদ্ধার ৩ হাজার অস্ত্রশস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর (Manipur Clash)। উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে শান্তি ফেরাতে আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে জওয়ান রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জন। সব মিলিয়ে মণিপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে ২৮৮ কোম্পানি জওয়ান। মণিপুর সরকারের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলেন, “অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ঝুঁকিপূর্ণ, সংবেদনশীল, সীমান্তবর্তী এবং মিশ্র জনসংখ্যার এলাকাগুলিতে।”

    অশান্ত জিরিবাম (Manipur Clash)

    ৭ নভেম্বর থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। সব চেয়ে বেশি অশান্তি হচ্ছে জিরিবাম জেলায়। এই দফার গোষ্ঠী সংঘর্ষে এই জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ নভেম্বর ফের লাগু হয়েছে আফস্পা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৮ নভেম্বর সেখানে ৫০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এবার পাঠানো হচ্ছে আরও ৯০ কোম্পানি সেনা (Manipur Clash)।

    কী বলছেন মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা?

    মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং জানান, এই জওয়ানরা এলাকার বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করবেন। প্রত্যেক জেলায় আলাদা করে কন্ট্রোল রুম ও কো-অর্ডিনেশন সেল খোলা হচ্ছে। আধাসেনার তালিকায় রয়েছে সিআরপিএফের পাশাপাশি থাকবে বিএসএফ, সেনা, অসম রাইফেলস, আইটিবিপি এবং সশস্ত্র সীমাবল। জানা গিয়েছে, যেসব অস্ত্রশস্ত্র লুট করা হয়েছিল, তার মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাবে নিরাপত্তাবাহিনী। কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে শুরু ভোট গণনা, দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি জোট

    এর আগে প্রবীণ এক পুলিশ কর্তা বলেছিলেন, গত বছরের ৩ মে থেকে মণিপুর অশান্ত হওয়ার পর থেকে সব মিলিয়ে লুঠ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৬৯টি উন্নতমানের অস্ত্র এবং লক্ষাধিক রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের (Central Forces) গুলি। প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তাদের কাছে হস্তান্তরিত সমস্ত মামলার তদন্ত শুরু করেছে (Manipur Clash)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুর, ইম্ফল উপত্যকায় ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ স্কুল-কলেজ, মোবাইল ইন্টারনেট

    Manipur: অশান্ত মণিপুর, ইম্ফল উপত্যকায় ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ স্কুল-কলেজ, মোবাইল ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরের (Manipur) ইম্ফল উপত্যকায় শনিবার, ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। প্রসঙ্গত, সে রাজ্যের পড়ুয়াদের ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, জিরিবামের পাশাপাশি, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাই, বিষ্ণুপুর, কাকচিং জেলাতে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে শুরু করে। এরই মধ্যে ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত কার্ফুতে কিছু ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে জনগণ নিজেদের অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলোকে সারতে পারবেন। তবুও অত্যন্ত সতর্কভাবেই এগোতে চাইছে প্রশাসন। নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে কোথাও যেন ভিড় না জমে।

    আরও তিনদিন বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা

    ঠিক এই আবহে মণিপুরের (Manipur) সরকার সাত জেলায় আরও তিনদিন (শনিবার পর্যন্ত) মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সাত জেলা হল— ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপি। প্রসঙ্গত, অশান্তি ঠেকাতে ১৬ নভেম্বর থেকে মণিপুরের সাত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পরে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু হলেও, মোবাইলে ফেরেনি ইন্টারনেট সংযোগ। এবার তা আরও তিনদিন বৃদ্ধি করা হল।

    চিদম্বরমের বিতর্কিত মন্তব্য, ব্যবস্থার দাবি মণিপুর (Manipur) কংগ্রেসের

    একই সঙ্গে এই আবহে মণিপুর (Manipur violence) কংগ্রেস, দলেরই কেন্দ্রীয় নেতা পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখল মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। মণিপুরের (Manipur) এই হিংসার ঘটনায় চিদম্বরম প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলেছিলেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এ নিয়েই শুরু হয় জল ঘোলা। দলের সভাপতিকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস নেতারা বলেন, ‘‘আমরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। মণিপুরের সংকটের সময় এমন মন্তব্য কখনও মানা যায় না।’’ শুধু তাই নয়, ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘এমন ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন চিদম্বরম, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও অশান্তি ছড়াবে বলে মনে হচ্ছে।’’

    কুকিদের বিরুদ্ধে মহিলা-শিশুদের অপহরণ ও খুনের অভিযোগ

    সম্প্রতি, মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয় জনকে অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মণিপুরের কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মণিপুরের (Manipur) উদ্বাস্তু ক্যাম্পে থাকা তিন জন মহিলা সহ তিনজন শিশু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। মেইতেই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তাঁদেরকে অপহরণ করেছে কুকি জঙ্গিরা। গত ১১ নভেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা বোরোবেকরা অঞ্চলে  পুলিশ স্টেশনের হামলা চালায়। জানা যায়, হামলা চালানোর পরে সেখান থেকে ফেরার সময় তারা তিন মহিলা সহ তিন শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ৬ জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর থেকেই ফের হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে মণিপুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন মণিপুরের (Manipur Crisis) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Biren Singh)। মেইতেই পরিবারের ছ’জন নারী ও শিশুকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে। তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ১১ নভেম্বর সশস্ত্র বেশ কিছু জঙ্গি হামলা চালায় একটি ত্রাণ শিবিরে। কয়েকদিন পরে ওই শিবিরের মেলে আটজন মেইতেই বাসিন্দার দেহ। এই ঘটনার পর সিআরপিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ১০ জন জঙ্গির। 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Manipur Crisis)

    ১১ নভেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে ভিডিও বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। জিরিবামে নিরীহ তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। এমন বর্বরোচিত কাজ কোনও সভ্য সমাজে স্থান পেতে পারে না।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই জঙ্গিদের খোঁজার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের কাঠগড়ায় তোলা হবে। আমরা তাদের অমানবিক কাজের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত থামব না।”

    বাহিনীর প্রশংসা

    সিআরপিএফ এবং রাজ্য বাহিনীর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন (Manipur Crisis), “সিআরপিএফ এবং রাজ্যের বাহিনীর অসাধারণ সাহস এবং তাদের কর্তব্যের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আমার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যাঁরা রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ২০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরও ৫০টি কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সংঘাত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্ন নিয়ে।” তাঁর অভিযোগ, এই সংঘাতের বীজ বপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, পি চিদম্বরম কর্তৃক জোমি রেভলিউশনারি আর্মি (জেডআরএ)-এর সঙ্গে একটি ‘সাসপেনশন অফ অপারেশন্স’ চুক্তি করার মাধ্যমে।জানা গিয়েছে, বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে, বীরেন সিংহ সরকার জেডআরএ-সহ দুই কুকি-জো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে করা ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। এই গোষ্ঠীগুলি বনের জমি দখলকারীদের মধ্যে আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার (Biren Singh) জেরেই বাতিল করা হয় চুক্তি (Manipur Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Situation: অশান্ত মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ

    Manipur Situation: অশান্ত মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Situation) শান্তি ফেরাতেই পাঠানো হচ্ছে বাহিনী। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শাহ।

    মণিপুরের পরিস্থিতি (Manipur Situation)

    সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় মণিপুরে পাঠানো হবে অতিরিক্ত বাহিনী। (এক একটি কোম্পানিতে থাকেন প্রায় ১০০ জন জওয়ান।) মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও চিত্রাঙ্গদার দেশে জ্বলছে অশান্তির আগুন। সেই কারণেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি দল মণিপুরে পাঠানো হতে পারে বলেও খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে।

    উত্তপ্ত মণিপুর

    ছ’জনের দেহ উদ্ধারের পর থেকে মেইতেইদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত মণিপুর। তাই মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Manipur Situation)। সোমবার বসেন বৈঠকে। এদিনই সকালে মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে কোন মামলাগুলি এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। কেবল জানা গিয়েছে, হিংসা, প্রাণহানি সংক্রান্ত তিন মামলার তদন্ত করছিল মণিপুর পুলিশ। সেই মামলাগুলিই তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    এদিকে, এদিনই (Manipur Situation) সন্ধ্যায় রাজধানী ইম্ফলে বিজেপি ও শরিক দলগুলির বিধায়কদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে ওই বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। এতদিন এই সংঘাতের আঁচ পড়ছিল না জিরিবাম জেলায়। দিন কয়েক আগে সেখানে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। সেই সময়ই মেইতেই পরিবারের তিন মহিলা ও তিন শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তদের।

    এদিন জিরি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’জনের দেহ। মেইতেইদের দাবি, দেহগুলি অপহৃতদের। বস্তুত, তার পর থেকেই উত্তপ্ত জিরিবাম জেলা। অশান্তির আঁচ এসে পড়েছে ইম্ফল উপত্যকায়ও। মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইম্ফল পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বাহিনী (Amit Shah)। এবার পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী (Manipur Situation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নারী ও শিশুদের নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা, কেন্দ্র-রাজ্যকে সমাধানের বার্তা আরএসএস-এর

    Manipur: মণিপুরে নারী ও শিশুদের নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা, কেন্দ্র-রাজ্যকে সমাধানের বার্তা আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) নারী ও শিশুদের নৃশংস হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে সমাধান চেয়েছে এই হিন্দুত্ববাদী সামাজিক সংগঠন। ইতিমধ্যে খুনের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ! গোটা রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছরের ৩ মে থেকেই এই রাজ্যে হিংসার ধারা অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া এবং ২২০ জনের বেশি মানুষ গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছেন। সাধারণ জনজীবন অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন।

    নিরপরাধ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত (Manipur)

    মণিপুর (Manipur) প্রান্তের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) হিংসা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, “নিরপরাধ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত। সংঘাতের জেরে রাজ্য গভীর সঙ্কটে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। নারীহত্যা, শিশুহত্যা এবং অপহরণ অত্যন্ত কাপুরুষোচিত ঘটনা, যা মানব সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। সভ্যতার নিরিখে মানব স্বার্থের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উচিত সদর্থকভাবে এগিয়ে আসা। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই সামাজিকভাবে আইনশৃঙ্খলাও বলবৎ করতে হবে।”

    জিরি ও বরাক নদীর মিলনস্থলে উদ্ধার দেহ!

    চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই মণিপুরে (Manipur) ফের দুষ্কৃতীরা নাশকতার পন্থা অবলম্বন শুরু করেছিল। গত ১১ নভেম্বর থেকে জিবিরাম জেলায় বেশ কিছু নারী এবং শিশু নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছিল। এরপর ১৫ এবং ১৬ নভেম্বর তাঁদের মধ্যে মোট ছ’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে ৩ জন নারী এবং ৩ জন শিশু। এই মৃতদেহগুলি মণিপুর-অসম সীমান্তের কাছে জিরি এবং বরাক নদীর মিলনস্থলের কাছে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে সবগুলি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফ-এর সংঘর্ষ

    জানা গিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফ-এর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই লড়াইতে মোট ১০ জন সন্দেহজনক জঙ্গি নিহত হয়। আবার অন্য আরেকটি ঘটনায় জিবিরাম জেলায় বোরোবেকরা মহকুমায় অবস্থিত জাকুরাধোর একটি ত্রাণশিবির থেকে জঙ্গিরা ১০ জন সাধারণ নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযানের ফলে মাইবাম কেশো (৭৫) এবং লাইশরাম বেরল (৬১) নামে দুই প্রবীণ নাগরিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এই হিংসার ঘটনায় কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মেইতি গোষ্ঠী দাবি করেছে, “উদ্ধার হওয়া তিন নারী এবং তিন শিশুকে প্রথমে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁদের নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও তাঁদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। মানুষের মনে হিংসাকে আরও বড়িয়ে দিচ্ছে এইসব ঘটনা। যার জেরে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়েছে।”

    মন্ত্রী, বিধায়কের বাড়িতে হামলা 

    সম্প্রতি এই রাজ্যের (Manipur) রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি আমলা-সহ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে পর্যন্ত হামলা হয়। বিশেষ করে ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ক্রমবর্ধমান অশান্তির ঘটনা ক্রমে মারাত্মক রূপ নিচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে আরএসএস দুই গোষ্ঠীর রক্তপাতের বিষয়ে আলোচনা, পরস্পর সহাবস্থান এবং সরকারের ভূমিকাকে বিশেষ ভাবে ইঙ্গিত করে সমাধানের দাবি জানিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

    সরব আরএসএস

    উল্লেখ্য, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএস (RSS) হিংসার বিরুদ্ধে সরব। মণিপুর (Manipur) সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিয়েও বার বার প্রশ্ন তুলেছে তারা। সরকারি ক্ষমতার অক্ষমতাকে ইঙ্গিত করে সতর্কবার্তা দিয়েছে এদিন। গত ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুর উত্তপ্ত। গত লোকসভা নির্বাচনের পর একটি সভায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্খের সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “মণিপুরের সমস্যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেন্দ্র সরকারের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার পক্ষকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: বড় সিদ্ধান্ত? মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন শাহ

    Manipur: বড় সিদ্ধান্ত? মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। হিংসা ছড়িয়েছে সে রাজ্যের একাধিক জেলায়। কার্ফু জারির পরেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। রবিবার জিরিবাম জেলার জিরি নদী থেকে বৃদ্ধা এবং এক শিশুর দু’টি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে, শনিবারও পাওয়া গিয়েছিল তিনটি মৃতদেহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঠিক এই আবহে, আজ সোমবার দুপুর ১২টায় উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সব মহল।

    উদ্বাস্তু শিবির থেকে অপহরণ করা হয় মেইতেই সম্প্রদায়ের ৬ জনকে 

    প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পরেই (Manipur) পশ্চিম ইম্ফল এবং পূর্ব ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়। সাত জেলায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয় জনকে অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মণিপুরের কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে ফের অশান্তি ছড়ায় মণিপুরে। প্রসঙ্গত মণিপুরের (Manipur) উদ্বাস্তু ক্যাম্পে থাকা তিন জন মহিলা সহ তিনজন শিশু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষের পরেই। তখন এই মেইতেই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তাঁদেরকে অপহরণ করেছে কুকি জঙ্গিরা। গত ১১ নভেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা বোরোবেকরা অঞ্চলে  পুলিশ স্টেশনের হামলা চালায়। জানা যায়, হামলা চালানোর পরে সেখান থেকে ফেরার সময় তারা ওই তিন মহিলা সহ তিন শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ৬ জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    সমর্থন তুলল এনপিপি, পড়বে না কোনও প্রভাব

    এই অবস্থায় সে রাজ্যে বিজেপির শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ইতিমধ্যে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখেছে। তারা জানিয়েছে, মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এরপরে এনপিপি সরকার থেকে সমর্থন তুলেছে। তবে এতে কোনও প্রভাব পড়বে না। প্রসঙ্গত, ৬০ আসন বিশিষ্ট মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির একারই রয়েছে ৩৭ বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে সহিংসতার মধ্যেই মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) আরোপ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর আইন জিরিবাম সহ ছয়টি থানায় পুনর্বহাল করা হয়েছে। উল্লেখ্য এখানেই শেষবার হিংসা সংগঠিত হয়েছিল। উল্লেখ্য গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষে ১০ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গোটা এলাকা এখনও থমথমে।

    কোন কোন থানায় পুনর্বহাল আফস্পা (Manipur)?

    সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই এলাকাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই নিরাপত্তা বিষয়ে কড়া নজর রাখা হয়েছে। এলাকায় আফস্পা আরোপ করা হয়েছে। এই ছয় থানা হল— ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই, লামসাং, ইম্ফলপূর্ব জেলার জিরিবাম, কাংপোকপির লেইমাখং এবং বিষ্ণুপুরের মৈইরাং।

    পুলিশের বিবৃতি

    অশান্তির ঘটনা না ঘটায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে মণিপুরের ১৯টি থানায় আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল আগেই। কিন্তু ফের গত সপ্তাহে অশান্তির কারণে কড়া অবস্থান নিয়েছে সেনা। মণিপুর (Manipur) রাজ্যের পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গত ৯ সেপ্টেম্বর মেইতি এবং কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর বন্দুক দিয়ে লড়াই হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজন চুরাচাঁদপুর জেলার কুকি বিদ্রোহী বলে জানা গিয়েছে। চতুর্থ মৃতদেহটি জিরবামের কুকি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। আবার পঞ্চম মৃতদেহ মেইতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (পাম্বে)-এর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি

    ২০২৩ সালে হাইকোর্টের সংরক্ষণ বিষয়ক রায়কে ঘিরে মণিপুরের (Manipur) মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য চোরাচালান, ড্রাগ কারবারি এবং মায়ানমারের একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকারের যৌথ আহ্বানে কুকি-জো উপজাতিদের প্রায় ২৪টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একটি যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর করেছিল আগেই। যার নাম সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি। তাতে বলা হয়, বিদ্রোহীরা নির্ধারিত ক্যাম্পে থাকতে হবে এবং তাদের অস্ত্র জমা রাখতে হবে। নিয়মিত চলবে নজরদারি। যদিও এই চুক্তি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। এখনও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে মণিপুরে অশান্তির কালো মেঘ এখনও কাটেনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share