Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো ও গণধর্ষণ! গ্রেফতার ষষ্ঠ অভিযুক্ত

    Manipur: মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো ও গণধর্ষণ! গ্রেফতার ষষ্ঠ অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪ মে মণিপুরে (Manipur) দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ২৬ সেকেন্ডের ভিডিও সামনে আসে। দুই মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। গত বুধবারই এই ভিডিও প্রথম সামনে আসে। যদিও তার সত্যতা পরীক্ষা করেনি মাধ্যম। এরপরই নড়েচড়ে বসে মণিপুর প্রশাসন। দোষীদের কড়া শাস্তি হবে বলে ঘোষণা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় পাঁচ অভিযুক্তকে। শনিবার এই  ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত নাবালক বলে জানা গিয়েছে। থৌবল জেলার এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহল থেকেই। বিবস্ত্র করা এক মহিলার বাবা ও ভাইকে খুন করার অভিযোগও উঠেছে।

    পুলিশের মামলা…

    পুলিশের তরফ থেকে করা মামলা অনুযায়ী, ‘‘৮০০-১০০০ সংখ্যার একটি ভিড় থৌবল জেলায় স্থানীয় গ্রামে আক্রমণ করে ৪ মে। এর পরে সেখানকার বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হতে  থাকে। ওই ভিড়ের বেশ কয়েক জনের কাছে ছিল আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।’’ এফআইআর-এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিবস্ত্র করা মহিলাকে গণধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে তাঁর ভাইকেও হত্যা করে আক্রমণকারীরা। তবে থৌবলের মতো আরও নারী নির্যাতন হয়েছে মণিপুর (Manipur) জুড়ে। যা প্রকাশ্যে আসছে ক্রমশ। জানা গিয়েছে, সাইকুল জেলায় ২১ বছর বয়সী এক মহিলা এবং তাঁর ২৪ বছরের বান্ধবীকেও একই ভাবে গণধর্ষণ করা হয়।

    আড়াই মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)

    প্রসঙ্গত, বিগত আড়াই মাস ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর। একাধিক জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণাও করেছে। হিংসার সূত্রপাত গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর (Manipur)’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে। ওই রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বাড়িঘর লুঠ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা চলতে থাকে। দুই সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে চলা হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “মণিপুরকে ভাগ হতে দেব না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    Manipur: “মণিপুরকে ভাগ হতে দেব না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) হিংসা অব্যাহত। প্রায় দুই মাস পার করে গেলেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। মণিপুরের এমন পরিস্থিতিতেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী লিখে ফেলেছিলেন ইস্তফাপত্র, জমাও দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপালের কাছে। শেষ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করেন মুখ্য়মন্ত্রী। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না।”

    ৩ মে থেকেই চলছে মণিপুর (Manipur) হিংসা 

    মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ শুরু হয় বিগত ৩ মে থেকে। জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সেদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। সরকারি হিসাবে এখনও অবধি ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। কমপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে ১০১ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

    কী বলছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী?

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেন, “মণিপুর (Manipur) যাতে বিভক্ত না হয় এবং ভিন্ন প্রশাসন তৈরি না হয়, তার জন্য আমি চেষ্টা করব। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং বিজেপির তরফ থেকেও বলছি যে ভিন্ন প্রশাসন তৈরি করে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না। রাজ্যের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব ধরনের ত্যাগ করতে রাজি।” সংঘর্ষের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেও বিভ্রান্ত যে কেন এই সংঘর্ষ হচ্ছে। মণিপুর হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে মেতেইদের তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবনা জমা দিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আমি পাহাড়ি এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বলেছিলেন যে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তার জন্য যেন কিছু সময় দেওয়া হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • All Party Meeting: মণিপুর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক অমিত শাহের! কী সিদ্ধান্ত হল?

    All Party Meeting: মণিপুর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক অমিত শাহের! কী সিদ্ধান্ত হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এদিন সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meeting) ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সেখানে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে। বৈঠকের মধ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানিয়েছে কোনও কোনও দল, এমনটাই জানা গিয়েছে। 

    চলতি বছরের ৩ মে থেকে অশান্তি চলছে মণিপুরে 

    এদিন সংসদের লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক (All Party Meeting)। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী হল মেইতেই। কিন্তু উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত না হওয়ায় রাজ্যের মাত্র দশ শতাংশ জমির উপর অধিকার পায় এই জনগোষ্ঠী। বাকি পাহাড়ে, জঙ্গলের সংরক্ষিত জমিতে বসবাস করার অধিকার রয়েছে একমাত্র আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের। ৩ মে এক মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুর জুড়ে। এখনও অবধি এই হিংসায় ১৪০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যে সেখানে ১০১ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

    কোন কোন দল এদিন উপস্থিত ছিল?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে (All Party Meeting) এদিন হাজির হাজির ছিল কমবেশি সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিই। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পওয়ার এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিল। তবে তাঁর বদলে এদিন হাজির ছিলেন এনসিপির সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্র ভর্মা ও মণিপুরে এনসিপি প্রধান সোরান ইবোয়াইমা সিং। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে যোগ দেন। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন ইবোবি সিং, বিআরএসের বিনোদ কুমার, আরজেডির মনোজ ঝা, শিবসেনা (উবিটি)-র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। প্রত্যেক দলের প্রতিনিধিকে ১০ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ‘আদিপুরুষে’র! শাহকে চিঠি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

    RSS: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে চলা হিংসার ঘটনায় নিন্দা জানাল আরএসএস (RSS)। পাশাপাশি সে রাজ্যের প্রশাসন, নিরাপত্তা আধিকারিক সমেত রাজ্য সরকারের কাছে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। আর্ত এবং দুর্গতদের মধ্যে সেবাকাজও শুরু করেছে সঙ্ঘ (RSS)। প্রসঙ্গত,সেখানকার মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। হিংসায় প্রায় ১০০ এর বেশি মানুষ নিহত হন। ১১টি জেলাতে জারি করতে হয় কার্ফু। বন্ধ রাখতে হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সেখানে  শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে দিন কয়েক আগেই পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘোষণা করেন ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ।

    আরএসএস-এর প্রেস বিবৃতি…  

    রবিবার এক প্রেস বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানান, বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পারস্পরিক ঘৃণা এবং হিংসার কোনও স্থান নেই। কুকি এবং মেইতেই  দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য পারস্পরিক আলোচনার আবেদনও জানিয়েছে সঙ্ঘ। মণিপুরের সাধারণ নাগরিক, বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও সঙ্ঘ আর্জি জানিয়েছে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। ওই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী মণিপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সঙ্ঘ। সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, বিগত ৪৫ দিন ধরে মণিপুরে যা চলছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেখানে শান্তি স্থাপন করতে হবে।

    গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে ফের শুরু হয়েছে হিংসা

    শুক্রবার রাত থেকে আবারও অশান্তির আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। লাগানো হয়েছে আগুন। গুলি চালানোর খবরও মিলেছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কাওয়াকতা ও কাঙ্গভাইয়ে গুলি চলে। আজ, শনিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি চলেছে বলে পুলিশ ও সেনা সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে ভাঙচুর, লাগানো হয়েছে আগুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলার বলি ৩, সিট গঠন সিবিআই-এর

    Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলার বলি ৩, সিট গঠন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। জানা গিয়েছে কাংপোকপি এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলার সীমানায় খোকেন গ্রামে ৩ জনকে খুন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরাই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেখানে। অমিত শাহের সফর এবং ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ ঘোষণার পরে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছিল মণিপুর। কিন্তু ফের অশান্তির আশঙ্কার দিন গুনছেন সেখানকার মানুষ। অশান্তির পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে সিবিআই।

    সিট গঠন করল সিবিআই

    মণিপুরে কুকি-মেইতেই গোষ্ঠীহিংসার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ধান পেতে শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ১০ সদস্যের সিট-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। মণিপুর (Manipur) হিংসায় দায়ের হওয়া মোট এফআইআর সংখ্যা ৩,৭০০ হলেও সিবিআইয়ের তরফে শুক্রবার ৬টি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায় ইম্ফল যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করেছিলেন। উভয় গোষ্ঠীর নেতাদের শান্তি রাখতে আবেদনও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    মেইতেই-কুকি বিবাদ ৩ মে থেকে চরম আকার ধারণ করে

     হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ১ মাস কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর! ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    Manipur: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর! ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের গৃহহারাদের জন্য ১০১.৭৫ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের  নির্দেশেই এদিন এই ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন মণিপুর সরকারের নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং।

    কী বলছেন মণিপুর (Manipur) সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা?

    নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং বলেন, “বর্তমানে মণিপুরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে কোনও হিংসার খবর পাওয়া যায়নি।” তাঁর আরও সংযোজন, “মণিপুরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ত্রাণ প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০১.৭৫ কোটি টাকার একটি ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।” কুলদীপ সিং আরও বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার পোরোম্পট থানা এলাকা থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৪৫ রাউন্ড গুলি এবং ৪১টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলা থেকেও ১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুটি বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

    অমিত শাহের আবেদন 

    শুধু ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণাই নয়, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে গত কয়েকদিনে বারেবারেই কুকি জঙ্গিদের অস্ত্র সমর্পণ করার আবেদন করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বহু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৯৬টি অস্ত্র, ১১,৭৬৩ রাউন্ড গুলি এবং বিভিন্ন ধরনের ২০০টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    শান্তি ফিরছে মণিপুরে (Manipur)

    একদিকে, অস্ত্র-গোলাগুলি উদ্ধার হচ্ছে এবং নতুন করে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে জারি করা কারফিউ-ও শিথিল করা হয়েছে। উপত্যকা এলাকার পাঁচটি জেলায় ১২ ঘণ্টার জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলিতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত তা শিথিল করা হয়েছে। বাকি ছয় পার্বত্য জেলায় আগে থেকেই কারফিউ ছিল না। ৩৭ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়িও চলছে। প্রসঙ্গত, এই সড়ককেই মণিপুরের লাইফলাইন বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু সপ্তাহ আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন বিএসএফ (BSF) জওয়ান রঞ্জিত যাদব। মঙ্গলবার সাত সকালেই কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকায়। তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার সহ গোটা ভাড়পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।

    কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও বাবা, মা, ভাই, বোন রয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। ভাইরা ছোট। ফলে, কেউ রোজগার করেন না। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বিএসএফে (BSF) চাকরি পেয়েছিলেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন কিছুটা সুখের মুখ দেখা শুরু করেছিলেন। কারণ, রঞ্জিতবাবু ছিলেন পরিবারে একমাত্র রোজগেরে। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী কৌশল্যা যাদব বলেন, “২৬ মে ও মণিপুর গিয়েছিল। সোমবার রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। খুব বেশিক্ষণ কথা হয়নি। কারণ, ও যেখানে ডিউটি করছিল, সেখানে গুলি চলছিল। ও কথা বলতে চাইলেও বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি। কয়েক মিনিট কথা বলার পর আমি ফোন রেখে দিয়েছিলাম। আমাকে সাবধানে থাকতে বলেছিল। ছেলে আর পরিবারের খেয়াল রাখার কথা বলেছিল। ওটাই যে শেষ কথা হবে, তা ভাবতে পারিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি জায়গায় ডিউটিতে যাওয়ার কথা ও বলেছিল। সকাল সাতটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। সেখানে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই ও গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিল। এখন সন্তান আর পরিবার নিয়ে কী করে সংসার চালাব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার?

    এদিনের ঘটনার পর পরই রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলারদের এক প্রতিনিধি দল আসে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার গোপাল রাউত বলেন, “বিএসএফ (BSF) জওয়ান শহিদ হয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের সবরকমভাবে আমরা সাহায্য করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবারই মণিপুর সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। রবিবার মণিপুরে সংঘর্ষের (Manipur Violence) ফলে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশকর্মী-সহ পাঁচ জন। আহতের সংখ্যা অন্তত ১২।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি

    রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশে দু’দিন আগে থেকেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে রয়েছে। সাধারণ জনগণের উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বীরেনের দাবি, মণিপুরের এই সংঘর্ষের (Manipur Violence) মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর

    আজ, সোমবারই মণিপুরে (Manipur Violence) যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। ঠিক তার আগেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মণিপুরে যান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় পাহারায় রয়েছে। একে ৪৭ এবং এম ১৬-এর মতো রাইফেল ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করছে জঙ্গিরা। বহু গ্রামের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

    জনজাতি সংরক্ষণের নিয়মে বদল ঘিরে এপ্রিলের শেষভাগ থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছিল মণিপুরে (Manipur Violence)। মে মাসের গোড়াতেই সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। একটি মিছিল ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, ভাঙচুর-আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর-দোকানপাটে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার নতুন করে মণিপুরের সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, উত্তেজনা ছড়ায়। এরই মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫৪,  স্থগিত নিট ইউজি ২০২৩

    Manipur Clash: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫৪, স্থগিত নিট ইউজি ২০২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Clash)। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন প্রচুর মানুষ। রিমস এবং জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

    উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Clash)…

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার জওয়ান। হিংসা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের পাঠানো হয়েছে সেনা ক্যাম্পে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে উপদ্রুত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করেছে। তাঁর দাবি, চূড়াচাঁদপুর, কাংপোকপি, মোরে ও কাকচিংয়ের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। জানা গিয়েছে, শনিবার দোকানপাট ও বাজার খুলেছে। মানুষ কেনাকাটা (Manipur Clash) করেছেন। রাস্তায় বেরিয়েছে যানবাহন। এদিনই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম আইয়োবি উত্তেজনা কমাতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে সহমত পোষণ করেছেন।

    এদিকে, মণিপুরে যাঁদের নিট ইউজি ২০২৩ এর সিট পড়েছিল, তাঁদের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতির কারণেই স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা। হিংসার কারণে পরীক্ষার্থীরা ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন না বলেই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা। পাহাড়ে থাকা মেইতেই (Manipur Clash) এবং ইম্ফল উপত্যকায় থাকা কুকিদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হিংসাদীর্ণ এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত কয়েক দিনে আটটি পুলিশ পোস্ট থেকে যেসব অস্ত্র লুঠ হয়েছে, সেগুলি ফেরত দিতেও বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার পথ বাতলালেন ডিএ আন্দোলনকারীদের, কী বললেন শুভেন্দু?

    পরিস্থিতি যাতে ফের হাতের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী। আরও ২০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। গত কয়েক দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে মেইতেই সম্প্রদায়ই সংখ্যা গরিষ্ঠ। এই মেইতেই গোষ্ঠীর তফশিলি জনজাতি তকমার দাবিতে আন্দোলন শুরু করার পরেই সে রাজ্যে হিংসার সূত্রপাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Manipur: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    Manipur: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের পর ফের শনিবার। উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা অবধি জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ (Night Curfew)। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটও। এদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলায় বন দফতরের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে দমকল। আগুনও নেভানো হয়। যদিও তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অফিসের বহু নথিপত্র। নষ্ট হয়েছে প্রচুর সরকারি সম্পত্তিও। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়। প্রসঙ্গত, স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে আন্দোলন চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।

    উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)…

    মণিপুরের তখতে রয়েছে বিজেপি (BJP) সরকার। সম্প্রতি সংরক্ষিত ও সংরক্ষিত বন ও হ্রদগুলির ওপর সমীক্ষা শুরু করেছে সরকার। মূলত তা নিয়েই আপত্তি আন্দোলনকারীদের। কেবল তাই নয়, বিজেপি সরকার ধর্মস্থলগুলিকে সম্মান দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের। চার্চে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করছে তারা। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, রাজনৈতিক উসকানির জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের পরিস্থিতি।

    আদিবাসী (Manipur) সংগঠন ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের সম্পাদক মন টোমবিং বলেন, সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা জারি থাকবে। এন বীরেন সিংহ সরকারের সঙ্গে আপোসের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি বলেন, যদি সমীক্ষা করতেই হয়, তাহলে তা করতে হবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে। জোর করে কিছুই করা যাবে না। ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট জৌকুমার লংজাম জানান, সমীক্ষাটি করা হচ্ছে বন দফতর ও রাজস্ব দফতরের মধ্যে তৈরি হওয়া সংশয় দূর করতে।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এর সঙ্গে উচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে প্রক্রিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুলচুক হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি দফতরের কাজে কিছু ভুল হচ্ছে বলে মনে করলে আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা। এজন্য যে কেউ আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু হিংসায় কোনও সুফল মিলবে না। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৭ তারিখে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের। তার আগেই অনুষ্ঠানস্থল এলাকায় চালানো হয় ভাঙচুর। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তার পরেই নৈশ কারফিউ এবং ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share