Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর! ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    Manipur: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর! ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের গৃহহারাদের জন্য ১০১.৭৫ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের  নির্দেশেই এদিন এই ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন মণিপুর সরকারের নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং।

    কী বলছেন মণিপুর (Manipur) সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা?

    নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং বলেন, “বর্তমানে মণিপুরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে কোনও হিংসার খবর পাওয়া যায়নি।” তাঁর আরও সংযোজন, “মণিপুরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ত্রাণ প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০১.৭৫ কোটি টাকার একটি ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।” কুলদীপ সিং আরও বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার পোরোম্পট থানা এলাকা থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৪৫ রাউন্ড গুলি এবং ৪১টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলা থেকেও ১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুটি বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

    অমিত শাহের আবেদন 

    শুধু ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণাই নয়, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে গত কয়েকদিনে বারেবারেই কুকি জঙ্গিদের অস্ত্র সমর্পণ করার আবেদন করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বহু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৯৬টি অস্ত্র, ১১,৭৬৩ রাউন্ড গুলি এবং বিভিন্ন ধরনের ২০০টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    শান্তি ফিরছে মণিপুরে (Manipur)

    একদিকে, অস্ত্র-গোলাগুলি উদ্ধার হচ্ছে এবং নতুন করে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে জারি করা কারফিউ-ও শিথিল করা হয়েছে। উপত্যকা এলাকার পাঁচটি জেলায় ১২ ঘণ্টার জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলিতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত তা শিথিল করা হয়েছে। বাকি ছয় পার্বত্য জেলায় আগে থেকেই কারফিউ ছিল না। ৩৭ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়িও চলছে। প্রসঙ্গত, এই সড়ককেই মণিপুরের লাইফলাইন বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু সপ্তাহ আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন বিএসএফ (BSF) জওয়ান রঞ্জিত যাদব। মঙ্গলবার সাত সকালেই কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকায়। তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার সহ গোটা ভাড়পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।

    কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও বাবা, মা, ভাই, বোন রয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। ভাইরা ছোট। ফলে, কেউ রোজগার করেন না। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বিএসএফে (BSF) চাকরি পেয়েছিলেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন কিছুটা সুখের মুখ দেখা শুরু করেছিলেন। কারণ, রঞ্জিতবাবু ছিলেন পরিবারে একমাত্র রোজগেরে। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী কৌশল্যা যাদব বলেন, “২৬ মে ও মণিপুর গিয়েছিল। সোমবার রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। খুব বেশিক্ষণ কথা হয়নি। কারণ, ও যেখানে ডিউটি করছিল, সেখানে গুলি চলছিল। ও কথা বলতে চাইলেও বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি। কয়েক মিনিট কথা বলার পর আমি ফোন রেখে দিয়েছিলাম। আমাকে সাবধানে থাকতে বলেছিল। ছেলে আর পরিবারের খেয়াল রাখার কথা বলেছিল। ওটাই যে শেষ কথা হবে, তা ভাবতে পারিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি জায়গায় ডিউটিতে যাওয়ার কথা ও বলেছিল। সকাল সাতটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। সেখানে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই ও গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিল। এখন সন্তান আর পরিবার নিয়ে কী করে সংসার চালাব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার?

    এদিনের ঘটনার পর পরই রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলারদের এক প্রতিনিধি দল আসে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার গোপাল রাউত বলেন, “বিএসএফ (BSF) জওয়ান শহিদ হয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের সবরকমভাবে আমরা সাহায্য করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবারই মণিপুর সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। রবিবার মণিপুরে সংঘর্ষের (Manipur Violence) ফলে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশকর্মী-সহ পাঁচ জন। আহতের সংখ্যা অন্তত ১২।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি

    রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশে দু’দিন আগে থেকেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে রয়েছে। সাধারণ জনগণের উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বীরেনের দাবি, মণিপুরের এই সংঘর্ষের (Manipur Violence) মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর

    আজ, সোমবারই মণিপুরে (Manipur Violence) যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। ঠিক তার আগেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মণিপুরে যান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় পাহারায় রয়েছে। একে ৪৭ এবং এম ১৬-এর মতো রাইফেল ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করছে জঙ্গিরা। বহু গ্রামের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

    জনজাতি সংরক্ষণের নিয়মে বদল ঘিরে এপ্রিলের শেষভাগ থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছিল মণিপুরে (Manipur Violence)। মে মাসের গোড়াতেই সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। একটি মিছিল ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, ভাঙচুর-আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর-দোকানপাটে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার নতুন করে মণিপুরের সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, উত্তেজনা ছড়ায়। এরই মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫৪,  স্থগিত নিট ইউজি ২০২৩

    Manipur Clash: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫৪, স্থগিত নিট ইউজি ২০২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Clash)। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন প্রচুর মানুষ। রিমস এবং জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

    উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Clash)…

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার জওয়ান। হিংসা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের পাঠানো হয়েছে সেনা ক্যাম্পে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে উপদ্রুত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করেছে। তাঁর দাবি, চূড়াচাঁদপুর, কাংপোকপি, মোরে ও কাকচিংয়ের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। জানা গিয়েছে, শনিবার দোকানপাট ও বাজার খুলেছে। মানুষ কেনাকাটা (Manipur Clash) করেছেন। রাস্তায় বেরিয়েছে যানবাহন। এদিনই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম আইয়োবি উত্তেজনা কমাতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে সহমত পোষণ করেছেন।

    এদিকে, মণিপুরে যাঁদের নিট ইউজি ২০২৩ এর সিট পড়েছিল, তাঁদের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতির কারণেই স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা। হিংসার কারণে পরীক্ষার্থীরা ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন না বলেই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা। পাহাড়ে থাকা মেইতেই (Manipur Clash) এবং ইম্ফল উপত্যকায় থাকা কুকিদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হিংসাদীর্ণ এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত কয়েক দিনে আটটি পুলিশ পোস্ট থেকে যেসব অস্ত্র লুঠ হয়েছে, সেগুলি ফেরত দিতেও বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার পথ বাতলালেন ডিএ আন্দোলনকারীদের, কী বললেন শুভেন্দু?

    পরিস্থিতি যাতে ফের হাতের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী। আরও ২০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। গত কয়েক দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে মেইতেই সম্প্রদায়ই সংখ্যা গরিষ্ঠ। এই মেইতেই গোষ্ঠীর তফশিলি জনজাতি তকমার দাবিতে আন্দোলন শুরু করার পরেই সে রাজ্যে হিংসার সূত্রপাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Manipur: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    Manipur: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের পর ফের শনিবার। উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা অবধি জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ (Night Curfew)। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটও। এদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলায় বন দফতরের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে দমকল। আগুনও নেভানো হয়। যদিও তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অফিসের বহু নথিপত্র। নষ্ট হয়েছে প্রচুর সরকারি সম্পত্তিও। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়। প্রসঙ্গত, স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে আন্দোলন চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।

    উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)…

    মণিপুরের তখতে রয়েছে বিজেপি (BJP) সরকার। সম্প্রতি সংরক্ষিত ও সংরক্ষিত বন ও হ্রদগুলির ওপর সমীক্ষা শুরু করেছে সরকার। মূলত তা নিয়েই আপত্তি আন্দোলনকারীদের। কেবল তাই নয়, বিজেপি সরকার ধর্মস্থলগুলিকে সম্মান দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের। চার্চে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করছে তারা। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, রাজনৈতিক উসকানির জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের পরিস্থিতি।

    আদিবাসী (Manipur) সংগঠন ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের সম্পাদক মন টোমবিং বলেন, সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা জারি থাকবে। এন বীরেন সিংহ সরকারের সঙ্গে আপোসের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি বলেন, যদি সমীক্ষা করতেই হয়, তাহলে তা করতে হবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে। জোর করে কিছুই করা যাবে না। ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট জৌকুমার লংজাম জানান, সমীক্ষাটি করা হচ্ছে বন দফতর ও রাজস্ব দফতরের মধ্যে তৈরি হওয়া সংশয় দূর করতে।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এর সঙ্গে উচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে প্রক্রিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুলচুক হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি দফতরের কাজে কিছু ভুল হচ্ছে বলে মনে করলে আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা। এজন্য যে কেউ আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু হিংসায় কোনও সুফল মিলবে না। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৭ তারিখে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের। তার আগেই অনুষ্ঠানস্থল এলাকায় চালানো হয় ভাঙচুর। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তার পরেই নৈশ কারফিউ এবং ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nagaland Manipur: নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা! আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল, কড়া নিরাপত্তা মেঘালয়ে

    Nagaland Manipur: নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা! আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল, কড়া নিরাপত্তা মেঘালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই মেঘালয়, নাগাল্যান্ড বিধানসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। চোখে পড়েছে লম্বা লাইন। মেঘালয়ে মোট ২১ লক্ষ ভোটার ৩৬৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নিজেদের পছন্দ মতো প্রতিনিধি বেছে নেবে জনসাধারণ। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডে ১৩ লক্ষ ভোটার আজ, ১৮৩ জন প্রার্থীর ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে যাতে কেউ এখানে প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য ভোটগ্রহণ ঘিরে দুই রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ২ তারিখ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ না হওয়া অবধি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল থাকবে। ভোটারদের অবাধে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নাগাল্যান্ডে উত্তেজনা

    নাগাল্যান্ডে এবারও জোট করেই লড়াই করছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। নাগাল্যান্ডে নিফো রিওর দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি)-র সঙ্গে জোটে লড়াই করছে দেশের শাসকদল। এনডিপিপি ৪০টি আসনে, ২০টি আসনে বিজেপি লড়াই করছে। এই দু’দলের জোট সরকারই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে নাগাল্যান্ডে। আবারও তাঁরা ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এবারে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা। এখানে নাগা পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২২টি আসনে লড়াই করছে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২৩টি আসনে।

    ভোটগ্রহণ চলার সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠল নাগাল্যান্ডের একটি ভোটকেন্দ্র। অভিযোগ, বুথের ভিতরেই এনপিপি সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক এনপিএফ সমর্থক। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    মেঘালয়ে কড়া নিরাপত্তা

    মেঘালয়ে ৬০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী কানরাড সাংমার দল এনপিপি। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তৎপর দুই রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। ভোটে অশান্তি এড়াতে দুই রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আবার মেঘালয়ের ৯০০টি বুথ স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই ওই বুথগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এফ আর খারকোনগোর ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manipur: মণিপুরে ২৫৯ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠাল সরকার, উঠছে এনআরসি-র দাবি

    Manipur: মণিপুরে ২৫৯ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠাল সরকার, উঠছে এনআরসি-র দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩ মে থেকে ২৫৯ জন মায়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে মণিপুর (Manipur) সরকার, এক বিবৃতিতে একথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা কোনও রকম নথিপত্র ছাড়াই মণিপুরে প্রবেশ করেছিলেন। চান্দেল, চুরাচাঁদপুর, কামজং প্রভৃতি সীমান্ত দিয়েই অবৈধভাবে প্রবেশ করেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং যিনি সে রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন, বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই কথাগুলি বলেন। অশান্তির আবহে মণিপুরে (Manipur) উঠতে শুরু করেছে এনআরসি-এর দাবিও।

    মণিপুরে উঠছে এনআরসি-র দাবি

    প্রসঙ্গত, মায়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন কংগ্রেসের বিধায়ক লোহেশর সিং। উল্লেখ্য, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের আবহে সেদেশের ৬,৭৪৫ জন নাগরিক বর্তমানে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অসংখ্য নারী এবং শিশুরাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মণিপুরে (Manipur) এমন অনুপ্রবেশের কারণেই গত ১ মার্চ সে রাজ্যের বিধানসভাতে তাংখুল নাগা নামের এক বিধায়ক এনআরসি-র দাবি তোলেন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, মণিপুরের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে সেখানে এনআরসি খুবই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। জনবিন্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এনআরসি প্রয়োজন সে রাজ্যে এবং এই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে মণিপুরের (Manipur) সরকার। রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছেন এনআরসি করার বিষয়ে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে টেক্কা! যাদবপুরে প্রচার শুরু বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মণিপুরকে ১০টি ‘কিউআরএফ ভেহিক্যল’ বরাদ্দ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে, মণিপুরের (Manipur) এমন অশান্তির আবহে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বজায় রাখতে দশটি ল্যান্ড মাইন্ড নিরোধক ‘কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিক্যল’ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ১০টির মধ্যে ৭টি ভেহিক্যল রাজ্যে চলেও এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে শান্তি ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন বলে খবর। এই যানবাহনগুলি নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রভূত সাহায্য করবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। এবং যে কোনও দুর্গম জায়গাতে এবং সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতে সহজেই নিরাপত্তারক্ষীরা পৌঁছাতে পারবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে নেওয়া হচ্ছে গ্রামের নাম। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরবাসীর (Manipur Violence) এহেন প্রবণতায় রাশ টানল মণিপুর সরকার। সাফ জানিয়ে দিল, জাতিগত সমীকরণের কথা ভেবে কোনও জায়গার নাম বদলানোর চেষ্টা হলে কারাদণ্ড হতে পারে তিন বছর পর্যন্ত। দু লাখ টাকা জরিমানাও হতে পারে।

    বিধানসভায় পাশ নয়া বিল 

    এই মর্মে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সরকার। রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। বিলটির নাম ‘মণিপুর নেম অফ প্লেসেস বিল ২০২৪’। বিলটিতে (Manipur Violence) বলা হয়েছে, জাতিগত সমীকরণের প্রেক্ষিতে কোনও জায়গার সরকারি নাম বদলের চেষ্টা হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি-সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।

    অশান্ত মণিপুর

    গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত বছর আচমকাই অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মণিপুরে একাধিক উপজাতির বাস। এর মধ্যে মূল দ্বন্দ্ব মেইতেইদের সঙ্গে কুকিদের। এ রাজ্যের জনসংখ্যার সিংহভাগই মেইতেই সম্প্রদায়ের। আর জো-কুকিরা রয়েছেন ৪০ শতাংশ। মেইতেইরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন জো-কুকি সহ অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষ। গত বছর ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিলকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা।

    আরও পড়ুুন: ‘পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না’, দলীয় সভায় সুব্রত বক্সির কাছে নালিশ জেলা তৃণমূল নেতার

    তার পরে রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে খুন হন বহু মানুষ। জখমও হন বহু মানুষ। ভিটে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান লোকজন। পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও নামানো হয়। তার পরেও মণিপুরে নেভেনি অশান্তির আগুন। জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। পরে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে শান্তি ফেরে চিত্রাঙ্গদার দেশে। তার পরেই জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে ফেলা হচ্ছে গ্রামের নাম। মণিপুরবাসীর এই প্রবণতা রুখতেই নয়া বিল পাশ করল মণিপুর সরকার (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের (Manipur Violence) ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। রবিবার মণিপুর প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছর বিষ্ণুপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। অসমের গুয়াহাটিতে কামরূপ (মেট্রো) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    কাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, লইসরাম প্রেম সিং, খুমুকচাম ধীরেন ওরফে থাপকপা, মৈরাঙথেম আনন্দ সিং, এথোকপাম কাজিত ওরফে কিশোরজিৎ, লৌক্রাকপাম মাইকেল মাংগাংছা ওরফে মাইকেল, কনথৌজাম রোমোজিৎ মেইতেই ওরফে রোমোজিৎ এবং কেইশাম জনসন ওরফে জনসন। গোষ্ঠী হিংসার জেরে (Manipur Violence) গত বছর হঠাৎই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি। খুন হন বহু মানুষ। সন্দেহের চোখে কোনও গৃহস্থ দেখতে থাকেন বহু চেনা তাঁর প্রতিবেশীটিকেও।

    পুরানো সেই দিনের কথা

    অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। গত অগাস্টের তিন তারিখে তিনশোরও বেশি অস্ত্র লুট করে জনতা। ১৯ হাজার ৮০০ রাউন্ড গুলি এবং অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম লুট হয়। বিষ্ণুপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়েনের সদর দফতরের দুটি ঘরে রাখা ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি লুঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন ক্যালিবারের প্রায় ৯ হাজার বুলেটও খোয়া যায়। লুঠ হয়ে যায় (Manipur Violence) একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ঘটক রাইফেল, ১৯৫টি সেল্ফলোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-ফাইভ বন্দুক, ১৬.৯ এমএম পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কার্বাইন এবং ১২৪টি হ্যান্ড গ্রেনেডও।

    আরও পড়ুুন: “৪০০ আসনে জিতবে বিজেপি”, প্রার্থী হয়েই বললেন রবি কিষান

    জানা গিয়েছে, উপজাতির লোকজন গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের গণকবর দেওয়ার আয়োজন করেছিল চূড়াচাঁদপুরে। মে মাসের তিন তারিখে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছিলেন এঁরা। সেদিনের ওই সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ২১৯জন। জখম হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা। তাতে আপত্তি জানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে চিত্রাঙ্গদার দেশ। প্রসঙ্গত, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। এঁরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। আর পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন নাগা এবং কুকিরা। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এঁরাই (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Clash)। এক হেড কনস্টেবলের সাসপেনশনকে কেন্দ্র করে এবারের অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনায় এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার জেরে চূড়াচাঁদপুর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    তাণ্ডব জনতার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে চূড়াচাঁদপুরে এসপি এবং ডিসির অফিসে হামলা চালায় ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের একটি দল (Manipur Clash)। সরকারি সম্পত্তি তছনছ করার পাশাপাশি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। তার পরেই পাঁচ দিনের জন্য এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

    সংঘর্ষে মৃত ২

    একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা (Manipur Clash) যায়, চূড়াচাঁদপুর জেলার এক হেড কনস্টেবলকে কয়েকজন সশস্ত্র লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনাটি নজরে পড়ে পুলিশের বড় কর্তাদের। এর পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। ওই হেড কনস্টেবলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। সেই দাবি জানিয়েই ওই রাতে এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকটি বাস, ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। দু পক্ষের সংঘর্ষে কুকি-জো অধ্যুষিত এই এলাকায় মৃত্যু হয় দু জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    আরও পড়ুুন: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মণিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিন-চারশো জনের একটি দল এসপি অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে। তারা পাথর ছুড়তে থাকে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। চূড়াচাঁদপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সিয়ামলালপলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কয়েকজন অস্ত্রধারী নাগরিকের সঙ্গে ভিডিও তৈরি করছেন। সিয়ামলালপলকে বিনা অনুমতিতে রাজ্যের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    এদিকে, ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে এসপি শিবাবনন্দকেই। ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এসপি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করছেন না। আমরা তাঁকে কোনও আদিবাসি এলাকায় থাকতে দেব না। এখনই ওই কনস্টেবলের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই জেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য এসপি শিবানন্দ সার্ভে দায়ী থাকবেন (Manipur Clash)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share