Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পর অবশেষে মণিপুরে (Manipur Violence) নিভেছে অশান্তির আগুন। এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। চিত্রাঙ্গদার দেশের হিংসায় এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    ইউএপিএ অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে। মণিপুরে মেইতেইরা সংখ্যাগুরু। অভিযোগ, এদেরই ন’টি সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। যে সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি (Manipur Violence) হল, জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির রাজনৈতিক শাখা রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাকের সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি এবং কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা কাংলেইপাক রেড আর্মি।

    আগেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মণিপুরে যে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এক যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “অদূর ভবিষ্যতে মণিপুরে উঠবে শান্তির সূর্য, মণিপুর আবার এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।”

    আরও পড়ুুন: জে পি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা!

    গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তার জেরেই শুরু হয় মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ। মেইতেইরা হিন্দু। আর কুকি সহ সেখানকার তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় (Manipur Violence) দু’শোজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। রাজধানী ইম্ফলের পরিস্থিতি হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বুধবার সন্ধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের দফতরের অদূরে চলল গুলি। খবর, এদিন এক দল জনতা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি থানা ঘেরাও করে নেয়। থানা ঘিরে ফেলার পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র, গুলিগোলা দাবি করতে থাকে। স্থানীয় আরামবাই তেঙ্গল গ্রুপ এই ঘেরাও করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। 

    অশান্ত ইম্ফল

    মঙ্গলবার মায়ানমার-মণিপুর (Manipur Violence) সীমান্তের টেঙ্গনৌপলে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মোরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিওপি) চিংথাম আনন্দ। আদিবাসীদের চালানো গুলিতেই ওই পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও লাভ হয়নি। এই ঘটনার পরই মণিপুরে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়। সেই বাহিনী মোরেহ শহরে পৌঁছতেই কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গেছে, মণিপুরের ইন্দো–মায়ানমার জাতীয় সড়কের উপরে দুই জায়গায় পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথম হামলাটি চলে বংগ্যাং গ্রামে। এরপর কে সিনাম গ্রামে ফের পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা হয়। 

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    সেই ঘটনার প্রতিবাদে মেইতেই যুব সংগঠন বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে। সেই আন্দোলন থেকেই ইম্ফলে (Manipur Violence) অশান্তি ছড়ায় রাতে। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাঝে মাঝেই অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার থানা লুট করার উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানাকে লুট হওয়া থেকে বাঁচাতে শূন্যে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। এর পর জনতাকে হঠাতে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে ইম্ফলে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Governor: মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল, পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস

    Manipur Governor: মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল, পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর। গত পরশুদিন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাসভবনে হামলার ছক করেছিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবার মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor)। জুলাই মাসে দুই ছাত্রছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় গত বুধবার থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী ইম্ফল। উল্লেখ্য এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র শোরগোল পড়ে যায় ইম্ফলে।

    মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে রাজ্যপাল (Manipur Governor)

    শুক্রবার মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে সন্তান হারা দুই পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পশ্চিম ইম্ফলের জেলায় এই দুই মৃত পড়ুয়ার পরিবার থাকেন। রাজ্যপাল পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজভবন সূত্রে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “জুলাইতে অপহরণ হাওয়া পড়ুয়াদের ছবি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকেই ফের উত্তেজনা ছাড়ায়। রাজ্যপাল স্বয়ং মৃত দুই পড়ুয়ার পরিবারের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাবা-মা অনেক দিন ধরে অনশন করছিলেন, তাঁদের জল দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।”

    রাজ্যপালের আশ্বাস

    মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারকে রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পাশাপাশি, গত মঙ্গলবারে ২ পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে যেসকল ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের মারে জখম হন, তাঁদেরকেও শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।

    রাজভবন থেকে বিশেষ বিবৃতি দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকদের উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল বলেন, “অবিভাবকরা ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য পরামর্শ দিন, আইন যেন হাতে তুলে না নেন তাঁরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে নিলে ছাত্রজীবনে দীর্ঘ স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে।” এদিন রাজ্যপাল লাঙ্গোলের শিজা হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আহত ছাত্র-ছাত্রীদের দেখতে যান। তাঁদের বাবা-মায়ের হাতে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে শান্তির বার্তা দেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে হামলা বিজেপি দফতরে, ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরানো হল আগুন

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে হামলা বিজেপি দফতরে, ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরানো হল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে আক্রান্ত বিজেপির অফিস। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অশান্তির আগুনে ফের জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। বুধবার সন্ধ্যায় সেই আঁচ পরল থৌবলের বিজেপি দফতরে। অভিযোগ বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা। জেলা বিজেপি দফতরে রাখা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ।

    মণিপুরে (Manipur) যেন হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সেখানে আফস্পার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও ভাঙচুর, লুট, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, অপহরণের মতো ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। মঙ্গলবার দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধেছে। এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্যে মণিপুরে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তদন্তভার সামলাচ্ছে সিবিআই। বুধবারই সিবিআই-এর ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর ইম্ফলে পৌঁছেছেন। 

    অপহরণ করে ২ পড়ুয়াকে খুন

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই দুই জন পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে কুকি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে একজন হলেন ফিজাম হেমজিদ তাঁর বয়স ২০ এবং অপরজন হিজাম লিনথোইগাম্ভি এই নাবালিকার বয়স ১৭। সোশ্যাল মিডিয়াতে হঠাৎ করে ভাইরাল হয় এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি যা নিয়ে ফের জ্বলে ওঠে মণিপুর। মনিপুরের তুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, অমিত শাহ তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, যারা এই অপহরণ এবং হত্যার সঙ্গে যুক্ত, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

    হিংসা চলছে ৫ মাস ধরে 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়। ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও হিংসা বন্ধের কোনও লক্ষণ সেখানে দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সরকারি হিসেবে প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিংসার ঘটনায় ঘর ছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি বীরেনের  

    Manipur: মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি বীরেনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে হাত রয়েছে বহিরাগতদের। কিছুদিন আগেই এমন দাবি করেছিল মেইতেইদের সংগঠন। মেইতেইদের দাবি যে নেহাত অমূলক নয়, তা জানা গিয়েছিল একটি রিপোর্টেও। এবার মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহার করে নিতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল মণিপুর (Manipur) সরকার।

    বিশেষ সুযোগ প্রত্যাহারের আর্জি

    মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, এই বিশেষ সুযোগ প্রত্যাহার করতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিআরওকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে মন্ত্রী এল হওকিপের নেতৃত্বে একটি সাব কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মণিপুরে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

    চালু ইন্টারনেট পরিষেবা

    ভারত-মানায়মার আন্তর্জাতিক সীমান্তের দু’ দিকে ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের মণিপুর (Manipur)-মায়ানপার যাতায়াত করতে ভিসা লাগে না। দু’ দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম’ চুক্তি। অভিযোগ, এই চুক্তির সুযোগ নিয়ে মণিপুরে অপরাধ করে দুর্বৃত্তরা গা ঢাকা দিচ্ছে মায়ানমারে। সেই কারণেই জানানো হয়েছে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি। এদিকে প্রায় চার মাস পরে মণিপুরে চালু হল ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গুজব ঠেকাতে ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া রুখতে হিংসা শুরুর পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই ফের চালু করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় নিজ্জর, ছক ভারতে হামলারও, চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের

    তিনি জানান, আফিম চাষের বিরুদ্ধে তাঁর সরকার অভিযান তীব্রতর করবে। সেজন্য নর্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এবং নার্কোটিক্স অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স অফ বর্ডারকে নিয়ে যৌথ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে এম আনন্দ সিংহকে মণিপুর থেকে দিল্লিতে নিয়ে গেল এনআইএ। তার বিরুদ্ধে মণিপুরে (Manipur) অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rajnath Singh: আফিম চাষ ধ্বংস করতেই ক্ষিপ্ত জঙ্গিরা! প্রয়োজনে বিমান ব্যবহারের আশ্বাস রাজনাথের

    Rajnath Singh: আফিম চাষ ধ্বংস করতেই ক্ষিপ্ত জঙ্গিরা! প্রয়োজনে বিমান ব্যবহারের আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর সরকার চাইলেই রাজ্যে আফিম চাষ ধ্বংস করতে বায়ুসেনার বিমান ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। মেইতেইদের এক সংগঠনের দাবি, সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল তারা। তখনই রাজনাথ এই আশ্বাস দেন।  

    সেনা জওয়ানের দেহ উদ্ধার 

    দু’ মাস হতে চলল। এখনও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা  ঘটছে উত্তর-পূ্র্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে। দিন কয়েক আগে বাড়ি থেকে এক সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। অপহৃত ওই জওয়ানের নাম সর্থো থাংকাথং কোম। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাতে পশ্চিম ইম্ফল জেলার তারংয়ে তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন উদ্ধার হয় দেহ। এহেন আবহে সম্প্রতি দিল্লি মেইতেই কো-অর্ডিনেটিং কমিটির এক প্রতিনিধিদল দেখা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) সঙ্গে।

    বায়ুসেনার বিমান ব্যবহারের আশ্বাস 

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সংঘর্ষের অন্যতম কারণ হিসেবে তারা জানায়, আফিম চাষ ধ্বংস করতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ তৎপর হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে কুকি জঙ্গিরা। এর পরেই রাজ্যে আফিম চাষ ধ্বংস করতে বায়ুসেনাকে ব্যবহারের অনুরোধ জানায় মেইতেইদের ওই সংগঠন। তাদের দাবি, মণিপুর সরকার প্রক্রিয়া মেনে চিঠি লিখলে বিমান ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    মণিপুরে হিংসা রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সেই সেনা মেইতেইদের সঙ্গে একরকম এবং কুকিদের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করছে বলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Rajnath Singh) জানায় মেইতেইদের প্রতিনিধি দল। তারা জানায়, মেইতেইদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতে লাঠিচার্জ করা হয়, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়, চালানো হয় রাবার বুলেটও। কোনও কোনও সময় গুলিও চালানো হয়। আর কুকিদের আন্দোলন রুখতে বাবা-বাছা করা হয়। এসব ব্যবহার করা হয় না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    কুকিদের সঙ্গে সেনা জওয়ানদের এহেন আচরণ মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগের সঞ্চার করছে। প্রতিনিধিদলের বক্তব্য, জওয়ানরা মেইতেই এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেই একরূপ আচরণ করুক। প্রসঙ্গত, মণিপুরে হিংসার নেপথ্যে যে বহিঃশক্তির হাত রয়েছে, তা আগেই জানা গিয়েছিল একটি রিপোর্টে। মেইতেইরাও এমন দাবি করেছিলেন। স্থানীয় একটি সূত্রের খবর, সরকার আফিম চাষ বন্ধে উদ্যোগী হতেই হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের হিংসা মণিপুরে, দিনের বেলায় গুলির লড়াই, মৃত ২

    Manipur Violence: ফের হিংসা মণিপুরে, দিনের বেলায় গুলির লড়াই, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন চিত্রাঙ্গদার দেশে (Manipur Violence)। মঙ্গলবারই আলোচনা ও সাংবিধানিক উপায়ে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রস্তাব পাশ করেছে মণিপুর বিধানসভা। সেদিনই সংঘর্ষে উত্তাল হল উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যটি। এদিন সকালে কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামরক্ষী বাহিনীও। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’ জনের। সালাম জ্যোতি সিংহ নামে একজন জখম হয়েছেন। এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফের যাতে উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে এলাকা, তাই তল্লাটে টহল দেওয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    কুকি-জো অধ্যুষিত গ্রামে হামলা

    কুকিদের সংগঠন আইটিএলএফ জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের একজন হলেন জাংমিনলুন গাংতে। অন্যজনের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এদিকে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ (Manipur Violence)। পূর্ব ইম্ফল ও বিষ্ণুপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    বাড়িতে আগুন

    মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষের আগে অশান্তি হয়েছিল রবিবারও। রাজধানী ইম্ফলে তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই দিন গভীর রাতে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ডিরেক্টর কে রাজোর বাড়ির নিরাপত্তরক্ষীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

    ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত মণিপুরে (Manipur Violence)। রাজ্যের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো সহ কয়েকটি তফশিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে  প্রায় দু’শো জনের। ঘরছাড়া হয়েছেন কমবেশি ষাট হাজার মানুষ। পোড়ানো হয়েছে বহু বাড়ি। লুটপাট হয়েছে দোকান। জখম হয়েছেন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা বাহিনী ও অসম রাইফেলসের অতিরিক্ত বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: আকসাই চিনে বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন, যুদ্ধের প্রস্তুতি লালফৌজের?

    এদিকে, অশান্তি শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম বসে বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশন চলে মিনিট পনের। এর মধ্যেই পাশ করানো হয় আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব। এদিনের অধিবেশনে যোগ দেননি কুকি-জো গোষ্ঠীর দশ বিধায়ক (Manipur Violence)। নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেননি বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। আজ, শুক্রবার ভোরে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হয় গুলি বিনিময়ও। সংঘর্ষ থামলে দেহ উদ্ধার হয় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন যুবকের। এঁরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। হিংসা দীর্ণ এই রাজ্যের (Manipur) কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরাই খুন করেছে ওই তিনজনকে।

    ফের অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে

    পক্ষকাল শান্তি থাকার পরে ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনায় ত্রস্ত মণিপুরবাসী। অশান্তির আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে থোয়াই গ্রামে। উখরুলের পুলিশ সুপার এন ভাশুম বলেন, “গ্রামের পূর্ব দিকে থাকা পাহাড়ি এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গ্রামের প্রহরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতের কোনও খবর নেই।

    দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান

    ঘটনার পরে পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে (Manipur) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও সেনা। গত ৫ অগাস্ট বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন মেইতেই এবং দুজন কুকি সম্প্রদায়ের। তার পর থেকে শান্তির সুপবন বয়ে যাচ্ছিল চিত্রাঙ্গদার দেশে। শুক্রবার ভোরে ফের অশান্তির আগুন জ্বলায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও।

    তফশিলি জাতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিংসার সূত্রপাত তা থেকেই। সংঘর্ষের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩ মে। হিংসার আগুনে পুড়েছে ঘরবাড়ি, দোকানদানি। ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখমও হয়েছেন বহু। হিংসার জেরে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল মেইতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর, ইম্ফল পূর্ব, পশ্চিম এবং কাকচিং।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    কুকি-জোমি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও কাঙ্গপোকপি এলাকাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। মণিপুরের এই হিংসায় অবশ্য জড়িয়ে পড়েননি সে রাজ্যের নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মণিপুরে (Manipur) ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে ভারত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর হিংসায় (Manipur Violence) আরও ন’টি মামলার তদন্তভার বর্তাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানান, সব মিলিয়ে ১৭টি মামলার তদন্তভার পেল সিবিআই। তবে এই ১৭টি মামলায়ই সীমাবদ্ধ থাকবে না সিবিআই, আরও বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তভারও পেতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। মহিলাদের প্রতি অপরাধ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে সিবিআইকে। মণিপুরে সিবিআইয়ের হাতে যে আটটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। আধিকারিকরা জানান, এর ওপর আরও ন’টি মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানান, চূড়াচাঁদপুর জেলায় যৌন নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে তাঁদের হাতে।

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সিবিআই

    মণিপুরে (Manipur Violence) ঘটনার তদন্ত করাটা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে খুবই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চিত্রাঙ্গদার দেশে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার শেকড় মূলত দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গভীরে। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, তাই তদন্ত করতে গিয়ে আধিকারিকদের পা ফেলতে হচ্ছে সাবধানে। তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে, পরীক্ষার জন্য সেগুলি পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মহিলা সংক্রান্ত যেসব মামলার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, সেগুলিতে মহিলা আধিকারিকদের কাজে লাগানো হয়েছে। নির্যাতিত মহিলাদের বয়ান রেকর্ড এবং প্রশ্ন করার জন্যও কাজে লাগানো হচ্ছে ওই মহিলা আধিকারিকদের।

    আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ৩ মে হিংসা শুরু হয় মণিপুরে (Manipur Violence)। মেইতেই এবং কুকিদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্য। হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। জখমও হয়েছেন কয়েকশো। দীর্ঘদিন ধরে তফশিলি জাতির দাবি জানিয়ে আসছেন মেইতেইরা। এই নিয়েই শুরু হয় সংঘর্ষ। এদিকে, দোরগোড়ায় স্বাধীনতা দিবস। তার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল মণিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, উপদ্রুত অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলা-বারুদ। স্বাধীনতা দিবসে বনধের ডাক দিয়েছে উপত্যকার কয়েকটি সংগঠন। এক আধিকারিক বলেন, শনিবার চূড়াচাঁদপুরে পিস গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা দিবসের রিহার্সাল হয়েছে। অংশ নিয়েছিল বিএসএফ, পুলিশ এবং অসম রাইফেলস।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। তবে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন পকেটে বিক্ষিপ্তভাবে জ্বলছে অশান্তির আগুন। গোয়েন্দা রিপোর্টে স্পষ্ট, চিত্রঙ্গদার দেশে অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের হাত। নেপালকে ভায়া করে মণিপুরে তারা নিত্য বুনছে অশান্তির বীজ।

    বৈঠকে বসছেন মোদি

    যার জেরে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ছবির মতো সাজানো এই রাজ্যটি। অশান্তির আগুনে জল ঢালতে আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে মণিপুর সহ উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি করে আসন নিয়ে ফিরতে ৩১ জুলাই থেকে বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার তিনি বৈঠকে বসবেন অসম, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সাংসদদের সঙ্গে।

    বিক্ষিপ্ত অশান্তি 

    এদিকে, রবিবারই মণিপুরের (Manipur) বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের প্রশাসনে এই দলের দুই বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকেকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দিয়েছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। মেইতেই ও কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে অশান্ত হয়ে ছিল মণিপুর। পরে অশান্তি দমনে কোমর কষে নামে কেন্দ্র। তার পরেও অবশ্য বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির। শুক্র ও শনিবার দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে অন্তত ছ জনকে। এমতাবস্থায় এদিন উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সাংসদরা ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কিরেন রিজিজু এবং নীতিন গড়করিরও।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    এদিকে, মণিপুরে (Manipur) বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে রাশ টানতে আরও ৯০০ কোম্পানি আধাসামরিক জওয়ান পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই মণিপুরে ৪০ হাজারেরও বেশি সেনা ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এবার ফের পাঠানো হয়েছে আরও ৯০০ কোম্পানি। অন্যদিকে, গত ৪ মে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানো ও গণধর্ষণের ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে নঙ্গপোক সেকমেই থানার ইনচার্জ সহ পাঁচ পুলিশ কর্মীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share