Tag: Mansarovar

  • India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল! এক সময় যে দেশ শত্রু ছিল, সেই দেশই পরে কোনও একটি দেশের বন্ধু হতে পারে। আবার বন্ধুও নিজের স্বার্থে পরিণত হতে পারে শত্রুতে। এই যেমন চিন ও ভারতের সম্পর্ক (India China Ties)। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের (Mansarovar Yatra) বরফ ক্রমশ গলতে শুরু করে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হল, ভারত ও চিন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের শুরু করতে যাচ্ছে সরাসরি বিমান পরিষেবা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে অগাস্টের শেষে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে।

    ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান (India China Ties)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আগামী মাসের মধ্যেই যাতে ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান ফের চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো বিমানসংস্থাগুলিকে অল্প সময়ের নোটিশে চিনে বিমান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। একই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গও। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে অগাস্টের শেষে এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি ফ্লাইটগুলি কোভিড-১৯ অতিমারির পর স্থগিত রাখা হয়েছিল। যার ফলে ভারত থেকে চিনগামী যাত্রীদের ভায়া হংকং বা সিঙ্গাপুর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এই বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো-সহ চিনের এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এবং চায়না ইস্টার্নের মতো বিমান সংস্থাগুলি উভয় দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে পরিষেবা দিত (India China Ties)।

    এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেও

    উল্লেখ্য যে, এটি ভারত ও চিনের সরাসরি ফের বিমান চালুর প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এরকম উদ্যোগ জানুয়ারি এবং জুন মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে তা থমকে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ফের উড়ান চলাচল শুরু হওয়া এই ইঙ্গিতও দেয় যে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের ছন্দে ফিরছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডিজেলের একটি চালানও চিনের পথে পাড়ি দিয়েছে (Mansarovar Yatra)। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নয়রার ভাদিনার টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪,৯৬,০০০ ব্যারেল অতিনিম্ন সালফারযুক্ত ডিজেল বহনকারী একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে চিনের উদ্দেশে (India China Ties)।

    চিনে যাচ্ছেন মোদি

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সফর হবে গত সাত বছরে মোদির প্রথম চিন সফর। এর মাধ্যমে ১০ মাস আগে রাশিয়ায় মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু শুধু এটুকুই সব নয়। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তখন চিন প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয় এবং এর বিদেশনীতির সিদ্ধান্ত অন্য কোনও দেশের দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, তা সে যতই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন।”

    অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে

    ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ছবিও এই বার্তার সঙ্গে যুক্ত করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি, যা ভারতের প্রতীক এবং একটি বেসবল ব্যাট, যা মার্কিন শুল্কের প্রতীক (Mansarovar Yatra)। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত পাঁচ বছরের বিরতির পর ভারত ২৪শে জুলাই থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ফের পর্যটন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফের চালু হয়েছে ভারত ও চিন কৈলাশ মানসসরোবর যাত্রাও (India China Ties)। দুই দেশের এই কূটনৈতিক উষ্ণতা অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত-চিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি কতদূর যাবে, সেটি আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।”

    তবে এই সব কিছুই ঘটেছে গত বছরের অক্টোবরে ভারত ও চিন টহল ব্যবস্থা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছনোর পর। দুই দেশ একটি সীমান্ত (Mansarovar Yatra) পরিকল্পনায় একমত হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে, এবং ভারতীয় রাখালরা আবারও পশুচারণ শুরু করতে পেরেছে (India China Ties)।

  • Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল এই যাত্রা। এবার ফের চালু হতে চলেছে। শীঘ্রই জারি হবে নাম নথিভুক্তকরণের বিজ্ঞপ্তি (New Route)। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ইঙ্গিত। কোভিড-১৯ অতিমারি এবং দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ ছিল এই তীর্থ যাত্রা। এবারই ফের শুরু হচ্ছে যাত্রা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। এই যাত্রাকে ঐতিহ্যগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শুদ্ধির পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হিমালয়ের দুর্বোধ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীকও।

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)

    ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় সহিংস সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক ও ডেপসাংয়ের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জেরে যাত্রা ফের চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই ফের যাত্রা শুরু সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যাত্রা অচিরেই শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে (New Route)।”

    নয়া পথের সন্ধান

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করতে ভারত ও চিনের কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর নয়া পথের সন্ধান মিলেছে। সূত্রের খবর, লিপুলেখ পাসের ঐতিহ্যবাহী পথের পাশাপাশি ডেমচোক দিয়েও যাত্রাপথ বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আরও কিছু সমীক্ষার পর। দুই দেশের মধ্যে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে যাত্রার নিরাপত্তা ও সুগমতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Kailash Mansarovar Yatra)।যদিও নতুন রুটগুলির নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ২০২৫ সালে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

    যাত্রা বন্ধ ছিল পাঁচ বছর

    সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে একটি এই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। তবে, কোভিড-১৯ অতিমারি ও পরবর্তী কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এই যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উভয় দেশই এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্কের এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে উভয় দেশের শীর্ষ কর্তারা বেইজিংয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, যার মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (New Route)।

    গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি গত বছর নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই তীর্থযাত্রা ফের শুরু করতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা আরও শক্তিশালী হয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানুয়ারি ২০২৫-এর আলোচনায় যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী ভক্তদের জন্য একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে (Kailash Mansarovar Yatra)।

    কোন পথে যাত্রা

    এর আগে মূলত সিকিমের নাথু লা এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করতেন ভারতীয়রা। তারপর কড়া নিরাপত্তার বলয়ে তাঁদের কৈলাস-মানস পর্যন্ত নিয়ে যেত চিন প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের পথে এই যাত্রার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড় (New Route)। এই ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রাস্তাটা গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যায় (Kailash Mansarovar Yatra)।

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

LinkedIn
Share