Tag: mao

mao

  • Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “আমি আগেও বলেছিলাম যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই দেশ মাওবাদ মুক্ত হবে। আজ আমি আবারও বলতে চাই, যেভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বীরত্ব দেখাচ্ছে, তাতে আমরা অবশ্যই এই লক্ষ্য পূরণ করব।” রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষ্ণু দেও সাই (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় আত্মসমর্পণ নীতি তৈরি করেছেন। আসুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং ছত্তিশগড়ের উন্নয়নে অবদান রাখুন। এ জন্য কোনও আলাপ-আলোচনার দরকার নেই। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন। অস্ত্র ত্যাগ করুন এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।”

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান (Amit Shah)

    ছত্তিশগড় সরকার যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছে, সে জন্যও শাহ প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ে বিষ্ণু দেব সাইয়ের সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল তাঁরা বন্ধ হয়ে থাকা নকশালবিরোধী অভিযানকে দ্রুত গতিতে চালু করেছেন। আমি দেখেছি, সরকার গঠনের পর থেকেই এই দুই নেতা শুধু অভিযানকে গতি দেননি, বরং সময়ে সময়ে এর দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী উৎসাহিত হয়েছে এবং এই লড়াই আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিজয় শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী সাইকে নকশালবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    অটল বিহারী বাজপেয়ী

    এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করেন শাহ। ছত্তিশগড় গঠনের জন্য তাঁকে কৃতিত্বও দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী। আমি গত ১১ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে আসছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, ছত্তিশগড় গঠনের পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর। ছত্তিশগড়কে (Chhattisgarh) সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছত্তিশগড় সরকার তাদের ২৫ বছর উদযাপন করছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে (Amit Shah)।”

    ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি

    ছত্তিশগড়ের নব রায়পুরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ছত্তিশগড় ও মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরও মজবুত করবে।” শাহ বলেন, “আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বলা যায়, আজ থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে যা এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে – ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এনএফএসইউ-এর ট্রানজিট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে (Amit Shah)।”

    চাকরির গ্যারান্টি

    শাহ জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ছত্তিশগড় সরকার ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে (Chhattisgarh)। এর মাধ্যমে রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ের আই-হাবেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের যুব সমাজ যদি নিজেদের উদ্যোগে শিল্পপতি হওয়ার চেষ্টা না করে, তাহলে ছত্তিশগড়ে প্রকৃত শিল্প বিপ্লব হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আই-হাব (i-hub) যুবকদের স্টার্টআপ শুরু করতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেবে। এটি ছত্তিশগড়ের যুবকদের জন্য এক বড় সুযোগ এবং মঞ্চ তৈরি করবে। এখানকার যুবসমাজ যদি এমএসএমই (MSME) শিল্পপতি না হয় এবং এই ধরণের সংস্কৃতি না গড়ে তোলে, তাহলে ছত্তিশগড় কখনওই উন্নত হতে পারবে না।” তিনি এনএফএসইউতে চালু হতে যাওয়া কোর্সগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বলেন, “মোদি সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এনএফএসইউয়ের গ্র্যাজুয়েশন মানেই চাকরির গ্যারান্টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশের ফলে ফরেনসিক স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য বড় শহরের (Chhattisgarh) ওপর নির্ভরতা কমে যাবে (Amit Shah)।”

  • Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশার সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে (Andhra Pradesh) মাওবাদীদের তুমুল লড়াই। এনকাউন্টারে খতম তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতা (Maoist Gjarala Ravi)। বুধবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে এই সাফল্য পায় যৌথবাহিনী। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারি গজারলা রবি ওরফে উদয়, ইস্টার্ন বিভাগের সেক্রেটারি বরি ভেঙ্কা চৈতন্য ওরফে অরুণা এবং মাওবাদী নেত্রী অঞ্জু। অরুণা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা চালাপতির স্ত্রী। ২০১৫ সালে খতম করা হয় চালাপতিকে। অরুণা মাওবাদীদের খাতায় নাম লিখিয়েছিল বছর পঁচিশ আগে। সে ছিল মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশ জোনাল কমিটির সদস্য।

    উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত (Maoist Gjarala Ravi)

    পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে উদয়ের বয়স ৬২। সে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। আটের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের পিপলস ওয়ার গ্রুপে। দেশে বহু নাশকতার ঘটনায় নাম জড়ায় তার। ২০০৪-০৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গে মাওবাদীদের শান্তি আলোচনায় যে দল যোগ দিয়েছিল, সেই দলে ছিলেন উদয়ও। পুলিশের দাবি, উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। যৌথবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় উদয়ের দাদা আজাদ এবং শ্যালিকা। আত্মসমর্পণ করে উদয়ের ভাই।

    খতম উদয়-সহ তিন মাওবাদী

    পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে মারেদুমিল্লির জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় ১৬ জন মাওবাদীর একটি দল আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় বাহিনী। এর পরেই এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় তল্লাশি। কোণঠাসা হয়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। শেষমেশ খতম হয় উদয়-সহ তিন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র (Maoist Gjarala Ravi)।

    জানা গিয়েছে, এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারির পাশাপাশি উদয় ছিলেন অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার জোনাল কমিটির সদস্যও। তার মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। ২৫ লাখ টাকা মাথার দাম ছিল অরুণারও। আরাকুর বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বরা রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিভেরি সোমার হত্যাকাণ্ডে অরুণা জড়িত (Andhra Pradesh) ছিলেন। অরুণার বাড়ি বিশাখাপত্তনমের পেন্ডুরথি মণ্ডলের কারাকাভানিপালেম এলাকায় (Maoist Gjarala Ravi)।

  • India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ডোডো পাখির দশা হতে চলেছে মাওবাদীদের (Naxalism)! রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংগঠনে এখন মাত্র ৩০০ জন নকশাল সদস্য রয়েছে। অথচ বছর কয়েক আগেও ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত মাওবাদীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এরা বনপার্টি নামে পরিচিত। এই বনপার্টির ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকতেন জঙ্গলের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষজন। ছত্তিশগড়ের গভীর জঙ্গলে হাজার হাজার নকশাল শিবির ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাও দমনে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তার পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ছত্রখান সংগঠন (India)

    নিরাপত্তাবাহিনীর এই অপারেশনে খতম হয় বেশ কিছু মাওবাদী। প্রাণভয়ে আত্মসমর্পণও করে বহু মাওবাদী। নেতাদের সিংহভাগই নিকেশ হয়ে যাওয়ায় কিংবা ধরা পড়ে যাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে সংগঠন। নেতৃত্বের সংকটের পাশাপাশি হু হু করে কমছে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা। মাওবাদীদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি, যাকে পলিটব্যুরো বলা হয়, সেখানে এখন মাত্র ৪ জন সদস্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ জনে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পলিটব্যুরোর ১৪ জন সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছে, নয়তো নিহত হয়েছে। এখন কেবল ৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এরা হল মুপল্লা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি, মল্লোজুলা ভেনুগোপাল ওরফে অভয়, থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেওজি এবং মিসির বেসরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, গণপতি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে।

    বেহাল দশা সংগঠনের

    কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই কমিটির ২৬ জন সদস্য গ্রেফতার বা নিহত হয়েছে। কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে এই কমিটিতে মাত্র ১৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন পলিটব্যুরো নেতা। বস্তার অঞ্চলের আইজিপি সুন্দররাজ পি বলেন, “মাওবাদীদের কমান্ড কাঠামো এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিক গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান ও আত্মসমর্পণের ফলে সংগঠন টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে এবং দিশাহীন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ সশস্ত্র ক্যাডার দণ্ডকারণ্য ও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছে (Naxalism)। তাদের সামনে দুটি পথ খোলা — হয় আত্মসমর্পণ করা অথবা ধ্বংস হওয়া (India)।”

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান

    নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো দুর্বল করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে সংগঠনের বহু প্রভাবশালী নেতাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় শীর্ষস্থানীয় নকশাল নেতা ভাস্করের। তার মাথার দাম ছিল ৪৫ লাখ টাকা। সে ছিল ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন (India)। ২০২৫ সালের মে মাসে নিরাপত্তা বাহিনী কুখ্যাত মাওবাদী নেতা নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে হত্যা করে। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও বড় মাপের নকশাল নেতা খতম হয়েছে। এই অভিযানটি পরিচালনা করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশের বিশেষ বাহিনী ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG)।

    নিকেশ একের পর এক নকশাল চাঁই

    গত ৬ জুন নারসিমহা চালাম যে সুধাকর নামেও পরিচিত, আর একজন প্রভাবশালী নকশাল কমান্ডারও একই জেলায় নিহত হয়। বসভারাজুর পর সুধাকরকে নকশাল আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তার মাথার দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। নকশালপন্থী হওয়ার (Naxalism) আগে সে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেছিল (India)। ২০২৪ সালের পর থেকে নকশালবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং পুলিশ যৌথভাবে নকশালদের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০-এর বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৪ সালে ২৯০ জন নকশাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে, ১,০৯০ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং ৮৮১ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    শাহি ডেডলাইন

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সাল থেকে সরকার তাদের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২২৬ জন নকশাল নিহত হয়েছে, ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রাণ ভয়ে ৮৯৬ জন অস্ত্র ফেলে (Naxalism) আত্মসমর্পণ করেছে। নকশালদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কারেগুট্টা পাহাড়ও খালি করে দেওয়া হয়েছে (India)। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, ভারতে নকশালবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদের অবসান ঘটানো (India)।

  • Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ (Anti Maoist Operation) বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত নিকেশ হয়েছে অন্তত ৩১ জন মাওবাদী (Bijapur)।

    ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Anti Maoist Operation)

    পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় চলছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। তাতেই মিলেছে ৩১ জন নিকেশ হওয়ার খবর। এই অভিযান সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টা পাহাড়ের আশপাশের ঘন জঙ্গলে অপারেশন চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই মাওবাদীদের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব।

    ২০ জনকে শনাক্ত

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ১১ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে। বাকিদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ২১ এপ্রিল শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক ইউনিট – ছত্তিশগড় পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিট এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার জওয়ান ঘিরে রেখেছে এই জঙ্গল। জঙ্গলে প্রায় ৫০০ জন মাওবাদী রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৪০০টিরও বেশি আইইডি, প্রায় ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় ২ টন বিস্ফোরক। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের ঘাঁটি (Anti Maoist Operation) চিহ্নিত করে একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে তাদের ঘাঁটি ও অস্ত্রভান্ডার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো মাও-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে ব্যাপক গতি পেয়েছে মাওবাদী অভিযান। জানা গিয়েছে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকাটি মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এখনও (Bijapur) পর্যন্ত ওই এলাকায় চালানো হয়েছে ৩৫টি অভিযান (Anti Maoist Operation)।

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে।” কথাগুলি বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি (Mohan Charan Majhi)। তাঁর দাবি, ওড়িশায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনগণের জন্য সেবা প্রদান করতে শুরু করেছে। মাও দমনে (Maoist Free) ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    মাওবাদী মুক্ত রাজ্য (Mohan Charan Majhi)

    তিনিও বলেছিলেন, “৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ।” বিধানসভার রাজ্যপালের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব বিতর্কের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের বিজেপি সরকার অগ্রগতি সাধন করছে এবং প্রথম আট মাসের মধ্যে তার সাফল্য বিজেডির ২৪ বছরের কাজের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রভাব বিশেষ করে পরিকাঠামো খাতে তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। সড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য পরিবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” তিনি জানান, তাঁর সরকার ওডিশার ৩০টি জেলাকেই রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi) বলেন, “গত আট মাসে সমস্ত মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মহিলা সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার একক সংখ্যায় ছিল। আইপিসি সংক্রান্ত মামলার হার ১২ শতাংশের নীচে ছিল। আগামী দিনে আপনি অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হারে উন্নতি দেখতে পাবেন।”

    মাওবাদী ও নকশাল সমস্যা মোকাবিলায় তাঁর সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এই আগস্ট হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর জাতীয় সময়সীমার অনেক আগেই ওডিশা থেকে মাওবাদী হিংসার অবসান ঘটবে। আপনারা জানেন, ওডিশার কিছু এলাকা একসময় মাওবাদী-প্রভাবিত ছিল। তবে গত কয়েক দিনে আমরা এই অঞ্চলটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পেরেছি।” মাওবাদীদের (Maoist Free) প্রতি তাঁর আবেদন, “হিংসা ছেড়ে আপনারা সমাজের মূলস্রোতে যোগ দিন। তা না হলে ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে (Mohan Charan Majhi)।”

  • Maoist Leader: এনআইএর জালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা দীনেশ, শিখ সেজে ব্যবসা করছিলেন নেপালে!

    Maoist Leader: এনআইএর জালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা দীনেশ, শিখ সেজে ব্যবসা করছিলেন নেপালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল (Nepal) থেকে গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা (Maoist Leader) দীনেশ গোপ (Dinesh Gope) ওরফে কুলদীপ যাদব ওরফে বাদকু। ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে শিখের ছদ্মবেশ ধারণ করে একটি ধাবা চালাচ্ছিলেন তিনি। রবিবার ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার বাসিন্দা দীনেশকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ।

    ছদ্মবেশে নেপালে ছিলেন দীনেশ (Maoist Leader)

    গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মাওবাদীদের। ওই সংঘর্ষে মাওবাদীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দীনেশ। তার পরেই গা-ঢাকা দেয় সে। যদিও দু দশক ধরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন দীনেশ (Maoist Leader)। ছদ্মবেশে নেপালে গিয়ে বিরাটনগরে খুলেছিলেন একটি ধাবা। পুলিশের নাগাল এড়াতে মাথায় পাগড়ি পরে শিখ সেজে পরিচয় গোপন করে দিব্যি চালাচ্ছিলেন ব্যবসা। ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি বিরাটনগর থেকেই বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে এরিয়া কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই শীর্ষ মাওবাদী নেতা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতিবার ফোনে কথা বলার পর সেই সিম ও মোবাইল নষ্ট করে ফেলতেন দীনেশ। হঠাৎই একদিন ব্যক্তিগত নম্বর থেকে ফোন করেন এই ছদ্মবেশী। পুলিশ ফোনের অবস্থান লোকেট করে। বিরাটনগরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    দীনেশের (Maoist Leader) বিরুদ্ধে মামলার পাহাড়

    সূত্রের খবর, শীর্ষ এই মাওবাদী নেতার (Maoist Leader) বিরুদ্ধে ১০২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশায় খুন, অপহরণ, হুমকি, তোলাবাজি এবং পিএলএফআইয়ের হয়ে তহবিল সংগ্রহ করা সহ ১০২টি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দীনেশকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৩০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে এনআইএ ঘোষণা করেছিল ৫ লক্ষ টাকা। আর ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। বিরাটনগরে আটক করার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    ২০০৭ সালে গঠিত হয় পিএলএফআই। তার পর থেকে মাওবাদী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ওঠে খুন, জখম সহ নানা অভিযোগ। কয়লা ব্যবসায়ী, রেলের ঠিকাদার এবং শিল্পোদ্যোগীদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগও রয়েছে দীনেশের (Maoist Leader) সংগঠনের একাংশের বিরুদ্ধে। বেকার যুবক-যুবতীদের বাইক, মোবাইলের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ত্র শিক্ষা দিত দীনের ওই সংগঠন। পরে তাদেরই কাজে লাগানো হত জঙ্গি কার্যকলাপে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share