Tag: Maoist

Maoist

  • Chhattisgarh: ভূপতি ও রূপেশের পর মাওবাদী নেতা রামধনও করতে পারেন আত্মসমর্পণ

    Chhattisgarh: ভূপতি ও রূপেশের পর মাওবাদী নেতা রামধনও করতে পারেন আত্মসমর্পণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ভূপতি এবং রূপেশের পর বস্তারে অস্ত্র সমর্পণ করার সম্ভাবনা রয়েছে আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতার। প্রধান নেতৃত্বদের মধ্যে মাওবাদী (Maoist) কমান্ডার রামধনের নিরাপত্তারক্ষীরা ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন। ৩০-৪০ জন মাওবাদী অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন আবুঝামাদ-সহ উত্তরের বস্তার অঞ্চল মাওবাদী প্রভাব মুক্ত হয়েছে।

    ২৫০ জনের বেশি কট্টর মাওবাদীর অস্ত্র সমর্পণ (Chhattisgarh)

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার এবং মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলা প্রশাসনের কাছে ২৫০ জনেরও বেশি কট্টর মাওবাদী অস্ত্র সমর্পণ করার পরই এই খবর আসে। তবে এই জেলা দীর্ঘদিন মাওবাদীদের কুখ্যাত শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যেসব মাওবাদী (Maoist) নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাল্লুজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি। তিনি অবশ্য নিষিদ্ধ সিপিআইএম মাওবাদীর পলিটব্যুরো সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। রূপেশ নিজেও উচ্চপদের মাওবাদী নেতা ছিলেন। তবে সেনাবাহিনীর মাওবাদী দমন অভিযান গত কয়েক মাসে বিরাট সাফল্য এসেছে। তবে উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ হল মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করিয়ে তাঁদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা।

    রামধনের কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে

    ভূপতি এবং রূপেশের আত্মসমর্পণের পর মাদ অঞ্চলে আরও এক প্রধান মাওবাদী নেতার অস্ত্র সমর্পণের ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর, মাওবাদীদের (Maoist) সিসিএম রামধনের কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। খুব দ্রুত যে কোনও সময়ে অস্ত্রসমর্পণ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এই কুখ্যাত নেতা রামধনের উত্তর বস্তার অঞ্চলে সক্রিয় ছিলেন এবং তাঁর মাথার দাম ছিল বিরাট অঙ্কের টাকা। তিনি কাঙ্কের জেলার পানখাঢঞ্জুরের কাছে মাহলা ক্যাম্পের (Chhattisgarh) কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

    উদ্ধার হয়েছিল অস্ত্র

    অক্টোবরেই ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) জগদলপুরে ১১০ জন মহিলা ক্যাডার এবং ৯৮ জন পুরুষ মাওবাদী (Maoist) আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওবাদী নেতা ছিলেন ভাস্কর ওরফে রাজমান মান্ডভি, রনিতা, রাজু সালাম, ধন্নু ভেট্টি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার দন্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি, রতন এলম অঞ্চলিক কমিটির সদস্য। তাঁদের কাছে পাওয়া অস্ত্রগুলির মধ্যে ছিল ১৯টি একে-৪৭, ১৭টি এসএলআর রাইফেল, ২৩টি আইএনএসএ রাইফেল, একটি আইএনএসএএস এলএমজি, ৩৬টি ৩০৩ রাইফেল, চারটি কার্বাইন, ১১টি বিজিইএল লঞ্চার, ৪১টি বারো-বোর বা সিঙ্গেল শট বন্দুক এবং একটি পিস্তল।

  • Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার পর থেকে জোরকদমে চলছে মাও-দমন (Maoist Leaders) অভিযান। কেন্দ্রীয় সরকারের রুদ্রমূর্তি দেখে এবং অন্নুনত এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়ায় সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্ব। মাস কয়েক আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী নেতা কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। দিন দুয়েক আগে ৬০ জন সহযোদ্ধা-সহ আত্মসমর্পণ করেছেন কিষেনজির ভাই বেণুগোপাল ওরফে সোনু ওরফে ভূপতি।

    ঐতিহাসিক মাইলফলক (Amit Shah)

    মাওবাদী নেতাদের এই আত্মসমর্পণের ঢেউয়ের প্রশংসা করেছেন শাহ। তিনি একে সরকারের মাওবাদ নির্মূলীকরণের চলমান প্রচেষ্টায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৬ থেকে কমে এখন তিনে নেমে এসেছে। আর মোট প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয়েছে ১১।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে সরকার যে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে, একদিকে লাগাতার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং অন্যদিকে উন্নয়নমূলক নানা পদক্ষেপ, তা বামপন্থী চরমপন্থার প্রভাব ও বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের স্বপ্নের অধীনে অবিরাম সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নের ফলে বামপন্থী উগ্রপন্থীদের কর্মক্ষেত্র ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তাদের লুকিয়ে থাকার আর কোনও জায়গা থাকছে না। ২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত মাওবাদের অভিশাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে।”

    এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে মাওবাদীদের ৫০ জন ক্যাডার, যার মধ্যে ৩৯ জন মহিলা, ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোয়ালিবেদা এলাকায় বিএসএফের ৪০তম ব্যাটেলিয়নের কামতেরার ক্যাম্পে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। দক্ষিণ জোনাল কমিটির সদস্য ও প্রবীণ মাওবাদী নেতা রাজমান মাণ্ডাভি এবং রাজু সালামের নেতৃত্বে ঘটে এই আত্মসমর্পণের ঘটনা। আত্মসমর্পণকারী ক্যাডাররা (Maoist Leaders) মোট ৩৯টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, ২টি এসএলআর, ৪টি ইনসাস রাইফেল, ১টি ইনসাস এলএমজি এবং ১টি স্টেইন গান (Amit Shah)।

  • Malloujula Venugopal Rao: এবার আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী নেতা কিষেনজির ভাই বেণুগোপালও

    Malloujula Venugopal Rao: এবার আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী নেতা কিষেনজির ভাই বেণুগোপালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী নেতা (Maoist Leader) কিষেনজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে সোনু (Malloujula Venugopal Rao)। তিনি একা নন, এদিন তাঁর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছেন আরও ৬০ মাওবাদী। বেণুগোপাল আত্মসমর্পণ করায় মাওবাদীরা হারাল দলের পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে।

    আত্মসমর্পণ করলেন বেণুগোপালও (Malloujula Venugopal Rao)

    বেণুগোপাল ওরফে সোনু পরিচিত ছিলেন ভূপতি ওরফে রাজন ওরফে বিবেক ওরফে অভয় নামেও। দলের আদর্শিক প্রধান হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলিও দেখতেন বছর সত্তরের এই মাওবাদী নেতা। আটের দশকে তিনি যোগ দেন পিপলস ওয়ার গ্রুপে। ২০১০ সালে নিযুক্ত হন সিপিআই (মাওবাদী)-র মুখপাত্র। পশ্চিমবঙ্গের লালগড় অভিযান চলাকালীন কিষেনজির মৃত্যুর পর অভিযানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনিই। মাস কয়েক আগে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বেণুগোপালের স্ত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা। তিনি ছিলেন পিএলজিএর কমান্ডার এবং দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী। তাঁর আত্মসমর্পণের ১০ মাসের মধ্যেই সমাজের মূলধারায় ফিরতে চেয়ে আত্মসমর্পণ করলেন বেণুগোপালও।

    আত্মসমর্পণ করলেন আরও ৬০

    সোমবার গভীর রাতে গড়ছিরৌলিতে ৬০ জন মাওবাদী সদস্যকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বেণুগোপাল। গত সেপ্টেম্বরেই অস্ত্র সমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর তরফে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেণুগোপাল লিখেছিলেন, দল বাঁচাতে সশস্ত্র সংগ্রাম বন্ধ করার সময় এসেছে। গত এপ্রিল মাসেও তাঁর নাম করে একটি শান্তিবার্তা এসেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। তাতে বলা হয়েছিল, হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত মাওবাদী পলিটব্যুরো বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রকে শান্তি আলোচনা ও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। সেই থেকেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছিল, শীঘ্রই আত্মসমর্পণ করতে পারেন তিনি। শেষমেশ তা-ই হল (Malloujula Venugopal Rao)।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্য পূরণে কোমর কষে মাঠে নামে ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনার সরকার। এই তিন রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাওবাদীদের নির্মূল করতে চালানো হয় একের পর এক অভিযান। যৌথ বাহিনীর লাগাতার অভিযানে খতম হন মাওবাদীদের একাধিক শীর্ষ নেতা। তার পর থেকেই আত্মসমর্পণ করতে থাকেন একের পর (Maoist Leader) এক নেতা। সেই তালিকায় জুড়ে গেল বেণুগোপাল ও তাঁর ৬০ সহযোদ্ধার নাম (Malloujula Venugopal Rao)।

  • Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী শিবিরে কি তাহলে শেষমেশ ভাঙন ধরল? মাওবাদীদের মুখপাত্র ও পলিটব্যুরো সদস্য (Maoist Leader) অভয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে অস্ত্র সমর্পণ এবং শান্তি আলোচনা শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসায় মাও-শিবিরে ফাটল ধরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। দিন কয়েক আগেই একটি চিঠি এবং একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে (Abhays Call For Surrender)। এগুলি আসল বলেই নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে সিপিআই মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটি ওই ঘোষণা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এটি দলের সরকারি অবস্থান নয়, অভয়ের ব্যক্তিগত মতামত। এই প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ফাটল ধরেছে মাওবাদীদের সংগঠনে। প্রকাশ্যে এসেছে অন্য একটি বিবৃতিও। এটি নাকি মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটির মুখপাত্র জগনের লেখা।

    কী লিখলেন জগন (Maoist Leader)

    তিনি অভয়ের অবস্থানের সমালোচনা করেন। জগন লেখেন, “যদি অভয় তাঁর মতামত সঠিক পার্টি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতেন, তবে তিনি উত্তর পেতেন।” তিনি বলেন,  “বরং, এ ধরনের একটি গুরুতর বিষয়কে এভাবে প্রকাশ্যে আনা পার্টির ভেতরে এবং বিপ্লবী শিবিরে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তিনি যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তা আন্দোলনের কাজে আসছে না, বরং তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।” বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মল্লোজুলা ভেনুগোপাল রাও, নিহত শীর্ষ নকশাল নেতা মল্লোজুলা কোটেশ্বর রাওয়ের ভাই, যিনি ‘অভয়’ এবং ‘সোনু’ নামে পরিচিত। তিনি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্য। এগুলি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা।

    অভয়ের চিঠি

    গত ১৫ অগাস্ট লেখা চিঠিতে (Maoist Leader) অভয় অন্যান্য বামপন্থী চিন্তাবিদ, কর্মী এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ও অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকেও মতামত চান। তিনি তাঁদের বলেন, অস্ত্র সমর্পণ প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত যেন ইমেইল বা একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে অভয়ের একটি ছবি-ও যুক্ত ছিল। এর উত্তরে জগন সংঘাতের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “সারা দেশে অসংখ্য বুদ্ধিজীবী, সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে অনেক রাজ্যে সভা-সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জোরালোভাবে কাগার যুদ্ধ অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছে। এর পরেও বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে (Abhays Call For Surrender) যে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, সংবিধান ও আইন অমান্য করে, তারা যে করেই হোক এই নির্মূল অভিযান চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে হামলা আরও বেড়েছে (Maoist Leader)।”

  • Maoist Leader: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এনকাউন্টারে খতম সহদেব-সহ ৩ মাওবাদী

    Maoist Leader: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এনকাউন্টারে খতম সহদেব-সহ ৩ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই তেলঙ্গানা পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। কয়েক দশক ধরে নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ আত্মসমর্পণ করেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির ওই নেত্রী (Maoist Leader)। সুজাতা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তবে সোমবার এনকাউন্টারে খতম হল তিন মাওবাদী। এদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। তিনিও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর নাম সহদেব সোরেন (Sahadev Soren)।

    ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমন অভিযান (Maoist Leader)

    সোমবার ছত্তিশগড়ের পর ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমন অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সহদেবের মাথার দাম ছিল কোটি টাকা। অনেক দিন ধরেই তাঁকে খুঁজছিল যৌথবাহিনী। শেষমেশ ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে তাঁর হদিশ পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তার পরেই শুরু হয় অভিযান। এদিন সকাল ৬টায় জঙ্গলে ঢুকে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় দু’পক্ষে গুলির লড়াই। তাতেই নিকেশ হয় সহদেব। শীর্ষ এই মাওবাদী নেতা ছাড়াও এদিন নিকেশ করা হয়েছে আরও দুই মাওবাদীকে। এদের একজনের নাম রঘুনাথ হেমব্রম ওরফে চঞ্চল, আর অন্যজন হলেন বীরসেন গানঝু ওরফে রামকেলাওয়ান। রঘুনাথ ছিলেন বিহার-ঝাড়খণ্ড বিশেষ এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। বীরসেন ছিলেন ওই এলাকারই জোনাল কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা (Maoist Leader)।

    খতম সনাতন-সহ তিন মাওবাদী

    ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ সনাতন ওই এলাকায় রয়েছে শুনেই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। কোবরা ব্যাটেলিয়ান, গিরিডি থানা ও হাজারিবাগ থানার পুলিশ। তারা সটান চলে যায় সীমানা ঘেঁষা কারান্ডি গ্রামে। সেখানেই চলে অভিযান। শুরু হয় গুলির লড়াই। খতম হন সনাতন-সহ তিন মাওবাদী। এনকাউন্টার শেষে নিরাপত্তাবাহিনী গভীর জঙ্গল থেকে খতম হওয়া তিন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার গভীর জঙ্গলে এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত (Sahadev Soren) গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই গত চার মাসে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির তিন সদস্যকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী (Maoist Leader)।

  • Kishenjis Wife: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এবার আত্মসমর্পণ কিষেনজির বউয়ের

    Kishenjis Wife: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এবার আত্মসমর্পণ কিষেনজির বউয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সালে এনকাউন্টারে খতম হয়েছিলেন মাওবাদী (Maoist) কমান্ডার কিষেনজি। তার পর তাঁর ঘাড়েই বর্তেছিল সংগঠনের দায়। তিনি কিষেনজির স্ত্রী (Kishenjis Wife) তথা সংগঠনের শীর্ষ নেত্রী পোথুলা পদ্মাবতী। তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। সেই তিনিই এবার আত্মসমর্পণ করলেন তেলঙ্গনা পুলিশের কাছে। বছর বাষট্টির পদ্মাবতী কল্পনা ওরফে সুজাতা নামেও পরিচিত। ১৯৮২ সাল থেকে পুলিশ খুঁজছিল তাঁকে। গোপন আস্তানা থেকেই চালাচ্ছিলেন সংগঠনের যাবতীয় কাজকর্ম। সংগঠনের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। সামলেছেন দক্ষিণ উপ-জোনাল ব্যুরো সেক্রেটারির দায়িত্ব। দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটিতে জনতান্ত্রিক সরকারের প্রধানও ছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ সংগঠন মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন পদ্মাবতী। শনিবার হায়দরাবাদে তেলঙ্গনা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

    কৃষক পরিবারে জন্ম সুজাতার (Kishenjis Wife)

    তেলঙ্গনার জোগুলাম্বা গাদওয়াল জেলার এক কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন পদ্মাবতী। ১৯৮৪ সালে তিনি মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেনজিকে বিয়ে করেন। কিষেনজি ছিলেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকার বুড়িশোলের জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হন কিষেনজি। জানা গিয়েছে, তুতো ভাই প্যাটেল সুধাকর রেড্ডির হাতেই বিপ্লবে হাতেখড়ি কল্পনা ওরফে সুজাতার। ২০০৯ সালে মারা যান সুধাকর। সুজাতাকেই ধরা হয় মাওবাদীদের প্রথম প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি। তিনি ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গনা এবং ওড়িশা দাপিয়ে বেড়াতেন। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয় (Maoist)। সেই সুজাতাই তাঁর তিন মহিলা সঙ্গীকে নিয়ে এদিন করেন আত্মসমর্পণ। বিভিন্ন রাজ্যে সুজাতার বিরুদ্ধে মোট ১০৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সব সময় ঘুরতেন একে-৪৭ নিয়ে (Kishenjis Wife)।

    কেন আত্মসমর্পণ

    হঠাৎ কেন আত্মসমর্পণ করলেন কিষেনজির পত্নী? পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। ডিজিপি জানিয়েছেন, পদ্মাবতী ২০২৫ সালে মে মাসে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সংগঠন ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। সে কথা দলের বাকিদের তিনি জানিয়েওছিলেন। এদিন নিজেই ধরা দিলেন পুলিশের হাতে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪০৪ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি মাওবাদীদের প্রতি আবেদন জানিয়ে তেলঙ্গনা পুলিশের ডিজি জিতেন্দ্র বলেন, “অস্ত্র জমা দিন, আপনারা গ্রামে ফিরে যান এবং তেলঙ্গনার উন্নয়নে যোগ দিন।”

    উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই মহারাষ্ট্রে আত্মসমর্পণ করেন কিষেনজির ভাইবউ। তাঁর স্বামী (Maoist) মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (Kishenjis Wife)।

  • Maoist Killed in Chhattisgarh: আগামী মার্চেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ, ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সাফল্যকে কুর্নিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

    Maoist Killed in Chhattisgarh: আগামী মার্চেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ, ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সাফল্যকে কুর্নিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে ফের বড় সাফল্য় পেল নিরাপত্তা বাহিনী ৷ গুলির লড়াইয়ে নিহত মাওবাদী (Maoist Killed in Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনোজ। বৃহস্পতিবার, ছত্তিশগড়ের গারিয়াবন্দ জেলায় একটি অভিযানে আরও ৯ জন নকশালপন্থীকে খতম করেছে পুলিশ। মাওবাদী নেতা মনোজ অনেকের কাছে মোডেম বালাকৃষ্ণ নামেও পরিচিত ছিল। তার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মনোজ থেকে শুরু করে বালানা, রামচন্দর ও ভাস্কর-সহ একাধিক নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বালাকৃষ্ণ৷ তাকে খতম করা অবশ্য়ই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে একটি বড় সাফল্য ৷ নিরপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷

    নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে খবর মেলে মইনপুর জঙ্গলে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে। রাতেই অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাওবাদীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই মোট ১০ জন মাওবাদী নিহত হয়। তার মধ্যেই অনেকেই প্রবীণ নেতা। যাদের অন্যতম হল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনোজ ওরফে মোডেম বালাকৃষ্ণ। যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এদিনই খবর এসেছে যে ছত্তিশগড়ের বস্তারে আত্মসমর্পণ করেছে ১৬ মাওবাদী। বুধবার রাতে বস্তারের নারায়ণপুরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।

    শাহি ফরমান

    নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে ৷ কোবরা কমান্ডোদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন ছত্তিশগড় পুলিশের কর্মীরা ৷ তাতে ১০ জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ এই তালিকায় ছিল মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় মডেম বালাকৃষ্ণ ওরফে মনোজ ৷ তার মাথার দাম ছিল কোটি টাকা !’’ অমিত শাহ মনে করেন, এখনও যে সমস্ত মাওবাদীরা সন্ত্রাসের পথে আছে তাদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা উচিত ৷ এদিন আরও একবার ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের সম্পূর্ণরূপে নিকেশ করার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি ৷

    মাও দমনে তৎপর কেন্দ্র

    দেশে মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্ণরূপে বন্ধ করতে ইতিমধ্য়েই তৎপরতা দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতীক অতীতেও একাধিকবার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত থেকে মাওবাদীদের অস্বিত্ব মুছে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য ৷ ঘোষণার পর থেকেই ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গায় আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে বাহিনী ৷ কখনও অভিযান করে মাওবাদীদের নিকেশ করা হচ্ছে, কখনও আবার তাঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে ৷ বহু মাওবদী ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে ৷ বাকিরাও যাতে দ্রুত এই পথে হাঁটে তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার ৷

  • Maoist: ঝাড়খণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Maoist: ঝাড়খণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পশ্চিম সিংভুম জেলার গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল মাওবাদীদের জোনাল কমান্ডার অমিত হাঁসদা ওরফে ‘আপ্তন’ (Maoist)। দীর্ঘদিন ধরে সে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল এবং তার মাথার দাম ঘোষিত হয়েছিল দশ লক্ষ টাকা।

    রবিবার ভোরের অভিযানেই খতম আপ্তন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার ভোরে রেলাপারাল বনাঞ্চলে যৌথ অভিযানে নামে ঝাড়খণ্ড পুলিশ, সিআরপিএফ, কোবরা এবং ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার বাহিনী। অভিযান শুরু হতেই, মাওবাদীরা (Maoist) নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে শেষে নিহত হয় ‘আপ্তন’। ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয় একটি SLR রাইফেল, প্রচুর গুলি ও অন্যান্য সামগ্রী।

    বোকাড়োর বাসিন্দা ছিল এই মাওবাদী নেতা (Maoist)

    বোকাড়োর (Jharkhand) বাসিন্দা অমিত হাঁসদা ওরফে ‘আপ্তন’ গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিম সিংভুম, খুঁটি ও সেরাইকেলা-খারসাওয়ান এলাকায় সক্রিয় ছিল। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, তোলাবাজি ও গ্রামীণ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার মূল কার্যকলাপ। ঝাড়খণ্ড পুলিশের মতে, তার মৃত্যু মাওবাদীদের ওপর বড় আঘাত।

    কী বলছে পুলিশ?

    কলহান রেঞ্জের ডিআইজি অনুরঞ্জন কিসপোত্তা বলেন, ‘‘আপ্তনের মৃত্যুর ফলে মাওবাদীদের সংগঠন দুর্বল হবে। বহুদিন ধরেই তাকে ধরার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে আজকের অভিযানে তা সফল হল।’’ পুলিশ সুপার রাকেশ রঞ্জনও জানিয়েছেন, অভিযান এখনও চলছে। এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযান জোরদার করা হবে। প্রসঙ্গত, অমিত হাঁসদার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, বিস্ফোরণ ও অস্ত্র মামলার অভিযোগ ছিল। তাকে ঝাড়খণ্ডের উদীয়মান মাওবাদী নেতাদের (Maoist) অন্যতম হিসেবে মনে করা হত। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, তার খতম হওয়া মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

    ৩ সেপ্টেম্বরের অভিযান

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পালামৌ জেলার মানাতু থানার কেদাল জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পুলিশকর্মী শহিদ হন এবং গুরুতর জখম হন আরও এক পুলিশ কর্মী। সেদিন, মাওবাদী সংগঠন তৃতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি (টিএসপিসি)–র কুখ্যাত জোনাল কমান্ডার শশীকান্ত গঞ্জুর অবস্থান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পরই বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। শশীকান্ত গঞ্জুর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। অভিযানের সময় হঠাৎই শশীকান্ত ও তার সশস্ত্র দল নিরাপত্তা বাহিনীর উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। তবে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান দুই পুলিশকর্মী, আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

  • Chhattisgarh: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে জোর দেওয়া হবে মাও দমনে

    Chhattisgarh: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে জোর দেওয়া হবে মাও দমনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) জোর দেওয়া হবে মাও দমনে (Maoist)। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে নকশাল দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্ষার আগে জোর কদমে চলেছিল মাও দমন অভিযান। আপাতত তাতে ঢিলে দেওয়া হলেও, বর্ষার পরে ফের জোরদার করা হবে মাও দমন অভিযান। সরকারি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৪৩ জন শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডারের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্ষার মরশুম শেষ হলে তাদের লক্ষ্য করে জোরদার অভিযান চালানো হবে।

    শীর্ষ নকশাল নেতা (Chhattisgarh)

    ওই তালিকায় রয়েছে ২৫ জন ছত্তিশগড়ভিত্তিক শীর্ষ নকশাল নেতা, যার মধ্যে রয়েছে মাদাভি হিদমা, নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ৪৩ জন ওয়ান্টেডের মধ্যে ৫ জন নকশাল অন্ধ্রপ্রদেশের, আর ৪ জন করে ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গনার। ওই তালিকায় রয়েছে, মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাও এবং মিশির বেসরাও। মিশির ঝাড়খণ্ডের ওয়েস্ট সিংভূম-কোলহান অঞ্চলে সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। মাওবাদীদের শীর্ষ ক্যাডারদের লক্ষ্য করে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিনিয়র আধিকারিকদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে। কর্তৃপক্ষের মতে, নজরদারির অধীন রাজ্যগুলির মধ্যে রিয়েল টাইম তথ্য বিনিময় এবং গোয়েন্দা সংগ্রহ ব্যবস্থায় সমন্বয় বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানগুলি আরও গোয়েন্দা নির্ভর করা হবে এবং বাহিনীগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)  প্রযুক্তিও ব্যবহার করবে (Chhattisgarh)।

    মাওবাদীকে নিরস্ত্র

    ছত্তিশগড়ে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪০০-এরও বেশি মাওবাদীকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে পরিচালিত এক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মাওবাদী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও বা বসবরাজুকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত, সরকার গত কয়েক বছরে তীব্র অভিযান ছাড়াও নকশাল বিদ্রোহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শয়ে শয়ে নিরাপত্তা শিবির স্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আবুজমাড অঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা, যা নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রাক্তন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত (Maoist) ছিল। ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা-সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যেও একই ধরনের অভিযান বিশেষ সাফল্য এনে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে (Chhattisgarh)।

  • Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডির বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২২ অগাস্ট একটি সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ অভিযোগ করেন, যদি রেড্ডি বস্তারের আদিবাসী নেতৃত্বাধীন মাওবাদবিরোধী (Naxalism) আন্দোলন ‘সলওয়া জুডুমে’র বিরুদ্ধে রায় না দিতেন, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে নির্মূল হয়ে যেত মাওবাদীদের সন্ত্রাস। তিনি বলেন, “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি সলওয়া জুডুম বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন। যদি সেই রায় না দেওয়া হত, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই নকশাল সন্ত্রাসের অবসান হয়ে যেত। তিনি সেই মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, যার ফলেই সলওয়া জুডুমের রায় দেওয়া হয়েছিল।” ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের ‘সলওয়া জুডুম’ সংক্রান্ত রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তোপ (Amit Shah)

    তাঁর মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নির্বাচনের কারণে কেরালায় কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, “কেরলের মানুষ অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে বামপন্থী দলগুলির চাপে কংগ্রেস এমন একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাচ্ছে, যিনি নকশালবাদের পক্ষে ছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি পবিত্র মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ পুলিশ অফিসার (SPO) বা সালওয়া জুডুম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেন। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন, জুডুম সদস্যদের অবিলম্বে নিরস্ত্র করতে হবে।

    লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা

    ‘নন্দিনী সুন্দর ও অন্যান্য বনাম ছত্তিশগড় রাজ্য’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তখন রাজ্যের লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে সালওয়া জুডুমের সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তৎকালীন ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ছত্তিশগড় অক্সিলিয়ারি আর্মড পুলিশ ফোর্স আইন পাশ করে (Naxalism)। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ের ঝিরম ঘাঁটিতে রাজনৈতিক নেতাদের এক কনভয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং সলওয়া জুডুম  আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব মহেন্দ্র করমা-সহ দু’ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হন (Amit Shah)।

    আগামী মাসে দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। এজন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর জমা দেওয়া ২৮টি মনোনয়নপত্র রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। ২০২৫ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং রাজ্যসভার মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোট ২৭ জন প্রার্থীর ৪০টি মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। জানা (Naxalism) গিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বরের ওই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী হয়েছেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। আর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের বি সুদর্শন রেড্ডি (Amit Shah)।

LinkedIn
Share