Tag: Maoist

Maoist

  • Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশার সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে (Andhra Pradesh) মাওবাদীদের তুমুল লড়াই। এনকাউন্টারে খতম তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতা (Maoist Gjarala Ravi)। বুধবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে এই সাফল্য পায় যৌথবাহিনী। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারি গজারলা রবি ওরফে উদয়, ইস্টার্ন বিভাগের সেক্রেটারি বরি ভেঙ্কা চৈতন্য ওরফে অরুণা এবং মাওবাদী নেত্রী অঞ্জু। অরুণা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা চালাপতির স্ত্রী। ২০১৫ সালে খতম করা হয় চালাপতিকে। অরুণা মাওবাদীদের খাতায় নাম লিখিয়েছিল বছর পঁচিশ আগে। সে ছিল মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশ জোনাল কমিটির সদস্য।

    উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত (Maoist Gjarala Ravi)

    পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে উদয়ের বয়স ৬২। সে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। আটের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের পিপলস ওয়ার গ্রুপে। দেশে বহু নাশকতার ঘটনায় নাম জড়ায় তার। ২০০৪-০৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গে মাওবাদীদের শান্তি আলোচনায় যে দল যোগ দিয়েছিল, সেই দলে ছিলেন উদয়ও। পুলিশের দাবি, উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। যৌথবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় উদয়ের দাদা আজাদ এবং শ্যালিকা। আত্মসমর্পণ করে উদয়ের ভাই।

    খতম উদয়-সহ তিন মাওবাদী

    পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে মারেদুমিল্লির জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় ১৬ জন মাওবাদীর একটি দল আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় বাহিনী। এর পরেই এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় তল্লাশি। কোণঠাসা হয়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। শেষমেশ খতম হয় উদয়-সহ তিন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র (Maoist Gjarala Ravi)।

    জানা গিয়েছে, এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারির পাশাপাশি উদয় ছিলেন অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার জোনাল কমিটির সদস্যও। তার মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। ২৫ লাখ টাকা মাথার দাম ছিল অরুণারও। আরাকুর বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বরা রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিভেরি সোমার হত্যাকাণ্ডে অরুণা জড়িত (Andhra Pradesh) ছিলেন। অরুণার বাড়ি বিশাখাপত্তনমের পেন্ডুরথি মণ্ডলের কারাকাভানিপালেম এলাকায় (Maoist Gjarala Ravi)।

  • India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ডোডো পাখির দশা হতে চলেছে মাওবাদীদের (Naxalism)! রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংগঠনে এখন মাত্র ৩০০ জন নকশাল সদস্য রয়েছে। অথচ বছর কয়েক আগেও ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত মাওবাদীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এরা বনপার্টি নামে পরিচিত। এই বনপার্টির ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকতেন জঙ্গলের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষজন। ছত্তিশগড়ের গভীর জঙ্গলে হাজার হাজার নকশাল শিবির ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাও দমনে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তার পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ছত্রখান সংগঠন (India)

    নিরাপত্তাবাহিনীর এই অপারেশনে খতম হয় বেশ কিছু মাওবাদী। প্রাণভয়ে আত্মসমর্পণও করে বহু মাওবাদী। নেতাদের সিংহভাগই নিকেশ হয়ে যাওয়ায় কিংবা ধরা পড়ে যাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে সংগঠন। নেতৃত্বের সংকটের পাশাপাশি হু হু করে কমছে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা। মাওবাদীদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি, যাকে পলিটব্যুরো বলা হয়, সেখানে এখন মাত্র ৪ জন সদস্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ জনে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পলিটব্যুরোর ১৪ জন সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছে, নয়তো নিহত হয়েছে। এখন কেবল ৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এরা হল মুপল্লা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি, মল্লোজুলা ভেনুগোপাল ওরফে অভয়, থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেওজি এবং মিসির বেসরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, গণপতি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে।

    বেহাল দশা সংগঠনের

    কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই কমিটির ২৬ জন সদস্য গ্রেফতার বা নিহত হয়েছে। কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে এই কমিটিতে মাত্র ১৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন পলিটব্যুরো নেতা। বস্তার অঞ্চলের আইজিপি সুন্দররাজ পি বলেন, “মাওবাদীদের কমান্ড কাঠামো এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিক গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান ও আত্মসমর্পণের ফলে সংগঠন টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে এবং দিশাহীন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ সশস্ত্র ক্যাডার দণ্ডকারণ্য ও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছে (Naxalism)। তাদের সামনে দুটি পথ খোলা — হয় আত্মসমর্পণ করা অথবা ধ্বংস হওয়া (India)।”

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান

    নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো দুর্বল করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে সংগঠনের বহু প্রভাবশালী নেতাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় শীর্ষস্থানীয় নকশাল নেতা ভাস্করের। তার মাথার দাম ছিল ৪৫ লাখ টাকা। সে ছিল ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন (India)। ২০২৫ সালের মে মাসে নিরাপত্তা বাহিনী কুখ্যাত মাওবাদী নেতা নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে হত্যা করে। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও বড় মাপের নকশাল নেতা খতম হয়েছে। এই অভিযানটি পরিচালনা করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশের বিশেষ বাহিনী ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG)।

    নিকেশ একের পর এক নকশাল চাঁই

    গত ৬ জুন নারসিমহা চালাম যে সুধাকর নামেও পরিচিত, আর একজন প্রভাবশালী নকশাল কমান্ডারও একই জেলায় নিহত হয়। বসভারাজুর পর সুধাকরকে নকশাল আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তার মাথার দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। নকশালপন্থী হওয়ার (Naxalism) আগে সে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেছিল (India)। ২০২৪ সালের পর থেকে নকশালবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং পুলিশ যৌথভাবে নকশালদের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০-এর বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৪ সালে ২৯০ জন নকশাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে, ১,০৯০ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং ৮৮১ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    শাহি ডেডলাইন

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সাল থেকে সরকার তাদের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২২৬ জন নকশাল নিহত হয়েছে, ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রাণ ভয়ে ৮৯৬ জন অস্ত্র ফেলে (Naxalism) আত্মসমর্পণ করেছে। নকশালদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কারেগুট্টা পাহাড়ও খালি করে দেওয়া হয়েছে (India)। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, ভারতে নকশালবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদের অবসান ঘটানো (India)।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকশাল দমনে ফের বড়সড় সাফল্য। বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় খতম হল মাওবাদী কমান্ডার তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকর। জানা গিয়েছে এই নেতার মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। বহুদিন ধরেই সুধাকরের খোঁজ চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার খতম করা গেল এই মাওবাদী নেতাকে। এর পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র এবং বিস্ফোরক (Top Maoist Leader)।

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সঙ্গে ছিল জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোবাহিনী ‘কোবরা’। জঙ্গলে ওই অভিযানের সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় মাওবাদীদের।

    মে মাসে খতম হয় ২৯ মাওবাদী (Chhattisgarh)

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই অপর এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা তথা সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে খতম করে বাহিনী। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। ওই অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পায় নিরাপত্তা বাহিনী। বাসবরাজের পাশাপাশি আরও ২৯ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল (Top Maoist Leader)।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল মে মাসের অভিযান (Chhattisgarh)

    মে মাসের ওই অভিযানটি নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ, তিন দশকের লড়াইয়ে প্রথম কোনও অভিযানে সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। এনিয়ে নিজেদের সমাজমাধ্যমের পাতায় নিরাপত্তাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত মাসে মাওবাদী দমন অভিযানে ওই সাফল্যের পর বৃহস্পতিবার আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হল নিরাপত্তাবাহিনী।প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী নিশ্চিহ্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ (Anti Maoist Operation) বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত নিকেশ হয়েছে অন্তত ৩১ জন মাওবাদী (Bijapur)।

    ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Anti Maoist Operation)

    পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় চলছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। তাতেই মিলেছে ৩১ জন নিকেশ হওয়ার খবর। এই অভিযান সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টা পাহাড়ের আশপাশের ঘন জঙ্গলে অপারেশন চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই মাওবাদীদের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব।

    ২০ জনকে শনাক্ত

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ১১ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে। বাকিদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ২১ এপ্রিল শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক ইউনিট – ছত্তিশগড় পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিট এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার জওয়ান ঘিরে রেখেছে এই জঙ্গল। জঙ্গলে প্রায় ৫০০ জন মাওবাদী রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৪০০টিরও বেশি আইইডি, প্রায় ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় ২ টন বিস্ফোরক। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের ঘাঁটি (Anti Maoist Operation) চিহ্নিত করে একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে তাদের ঘাঁটি ও অস্ত্রভান্ডার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো মাও-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে ব্যাপক গতি পেয়েছে মাওবাদী অভিযান। জানা গিয়েছে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকাটি মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এখনও (Bijapur) পর্যন্ত ওই এলাকায় চালানো হয়েছে ৩৫টি অভিযান (Anti Maoist Operation)।

  • Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় (Sukma) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ফের খতম হল ১৬ জন মাওবাদী। এই নিয়ে চলতি বছর ১৩০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। এই সংঘর্ষে সামান্য আহত হয়েছেন বাহিনীর (Chhattisgarh Encounter) দুই জওয়ান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান জারি আছে বলে জানিয়েছেন বস্তার রেঞ্জের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দরজ পি সাইড।

    রাতভর গুলির লড়াই

    পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তারা খবর পায় যে, সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে মাওবাদীদের (Chhattisgarh Encounter) একটি দল। সেই খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার রাতে সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং পুলিশের যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছিল বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর গুলির লড়াই চলেছে। শনিবার ভোরেও গুলির লড়াই জারি ছিল। পুলিশের দাবি, এই সংঘর্ষে ১৬ জন মাওবাদী খতম হয়েছে। মাওবাদীরা সংখ্যায় কত জন ছিল সেই সংখ্যাটি স্পষ্ট হয়নি।

    অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার

    সুকমা হল বস্তার এলাকার সবথেকে দুর্ধর্ষ নকশাল উপদ্রুত এলাকা। অতীতে বহুবার এই এলাকায় মাওবাদী হামলা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে কেরলাপাল এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে মাওবাদীরা (Chhattisgarh Encounter)। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যৌথ অভিযান চালায় রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (Security forces)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত ১৬ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে।

    মাওবাদী মুক্ত ভারত

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে বিগত বহু মাস ধরে ক্রমাগত মাও নিধন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। এই আবহে ২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে ২১৯ জন মাওবাদীকে মারা হয়েছিল। ২০২৩ সালে যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ২২, আর ২০২২ সালে তা ছিল ৩০। এদিকে ২০২৫ সালে আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ১১৩ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। এছাড়া ১০৪ জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    রেড করিডর এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) বস্তার বিভাগের বস্তার, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, কোন্ডাগাঁও এবং সুকমা মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। ‘রেড করিডর’ নামে পরিচিত মাওবাদী বিরোধী অভিযানের জন্য এইসব এলাকায় হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের পিছনে ঠেলে দিতে লগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বের মাওবাদী নিয়ন্ত্রিত ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল সহ ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্র-আবুঝমাড়-এ ১৭টি নতুন ক্যাম্প তৈরি করেছে।

    জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার ঘোষণা আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে বিজেপি ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় আসার পরে মাওবাদী দমনে যৌথ বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক কিছু সূত্রের দাবি। তার পর থেকেই পুরো শক্তি কাজে লাগিয়ে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। বাহিনীর এই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণ দেও সাই। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘২০২৬–এর মধ্যে বস্তার ভয়মুক্ত হয়ে বাঁচবে, আমি নিশ্চিত। ছত্তিশগড়ে মাওবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রবল পরাক্রমে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি দেশ তথা ছত্তিশগড় থেকে ২০২৬ মার্চের মধ্যে মাওবাদ মুছে ফেলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী তাতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।’

    মাওবাদীদের ঘরে ফেরার বার্তা

    তবে শুধু মাওবাদী দমন (Chhattisgarh Encounter) অভিযানই নয়, তাদের ঘরে ফেরার বার্তাও দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও ঘোষণা করেছেন, নতুন প্রকল্পে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হবে নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে।” কথাগুলি বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি (Mohan Charan Majhi)। তাঁর দাবি, ওড়িশায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনগণের জন্য সেবা প্রদান করতে শুরু করেছে। মাও দমনে (Maoist Free) ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    মাওবাদী মুক্ত রাজ্য (Mohan Charan Majhi)

    তিনিও বলেছিলেন, “৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ।” বিধানসভার রাজ্যপালের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব বিতর্কের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের বিজেপি সরকার অগ্রগতি সাধন করছে এবং প্রথম আট মাসের মধ্যে তার সাফল্য বিজেডির ২৪ বছরের কাজের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রভাব বিশেষ করে পরিকাঠামো খাতে তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। সড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য পরিবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” তিনি জানান, তাঁর সরকার ওডিশার ৩০টি জেলাকেই রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi) বলেন, “গত আট মাসে সমস্ত মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মহিলা সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার একক সংখ্যায় ছিল। আইপিসি সংক্রান্ত মামলার হার ১২ শতাংশের নীচে ছিল। আগামী দিনে আপনি অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হারে উন্নতি দেখতে পাবেন।”

    মাওবাদী ও নকশাল সমস্যা মোকাবিলায় তাঁর সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এই আগস্ট হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর জাতীয় সময়সীমার অনেক আগেই ওডিশা থেকে মাওবাদী হিংসার অবসান ঘটবে। আপনারা জানেন, ওডিশার কিছু এলাকা একসময় মাওবাদী-প্রভাবিত ছিল। তবে গত কয়েক দিনে আমরা এই অঞ্চলটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পেরেছি।” মাওবাদীদের (Maoist Free) প্রতি তাঁর আবেদন, “হিংসা ছেড়ে আপনারা সমাজের মূলস্রোতে যোগ দিন। তা না হলে ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে (Mohan Charan Majhi)।”

  • Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে ফের মিলল সাফল্য। সোমবার, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের কাঁকের জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদীদের (Maoist Guerrilla Killed) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর এক সদস্যের। এ নিয়ে গত মাসের অভিযানে বস্তার ডিভিশনে সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি-সহ মোট ৩৪ জন গেরিলা খতম হল। শনিবারই রাতে কাঁকেরের পাশের জেলা বিজাপুরে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিলেন আট মাওবাদী।

    মাও দমনে অভিযান (Maoist Guerrilla Killed)

    এদিন উত্তর বস্তার ও মাঢ় ডিভিশনের সীমানায় অবুঝমারের জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান।

    পুলিশ কর্তার বক্তব্য

    অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য ধারাবাহিক প্রচারও চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে (Maoist Guerrilla Killed) কাজল। ছত্তিশগড় পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কয়েকজন মাওবাদী খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছেন অল্প কয়েকজন। মাওবাদীদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।”

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে ৫০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ৯জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিঃশর্তে শৃঙ্গেরিতে এসপি আমাথের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর চুয়াল্লিশের কোটেহোল্ডা রবীন্দ্র (Chhattisgarh)। তিনি ‘এ’ ক্যাটেগরির নকশাল (Maoist Guerrilla Killed)।

  • Maoist Surrender: মাথার দাম মোট ৩২ লক্ষ টাকা, ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ চার মাওবাদী কমান্ডারের

    Maoist Surrender: মাথার দাম মোট ৩২ লক্ষ টাকা, ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ চার মাওবাদী কমান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরিকল্পনা মতোই দেশে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে মাওবাদীরা। ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে (Joint Mission) মাওবাদী (Maoists) কার্যকলাপ কমছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণের (Surrender) প্রবণতাও। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের (Bastar) চার শীর্ষ মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, যাঁদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল মোট ৮ লক্ষ টাকা করে।

    সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই লক্ষ্য

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বুধবার নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন চার মাওবাদী কমান্ডার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতিও। ওই চার জনের বিরুদ্ধে খুন, নাশকতা-সহ ৪০টিরও বেশি গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে যৌথবাহিনীর অভিযান নয়, এই সাফল্য ছত্তিশগড় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচির সাফল্য বলে জানিয়েছেন প্রভাত। তিনি বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় আরও কয়েক জন নেতা-নেত্রী ভবিষ্যতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরবেন।’’

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    যৌথ অভিযান, স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক সাফল্যের রসায়ন

    ধৃতদের মধ্যে গান্ধী তাঁতি ওরফে আরব ওরফে কমলেশ (৩৫) ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় যৌথবাহিনীর উপর ভয়ঙ্কর হামলায় ৭৬ জন জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এদিকে মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম (৩৫) নিষিদ্ধ সিপিআই (মাও)-এর আমদাই এরিয়া কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন (৩০) এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলও আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের ফলে দেশে মাওবাদী গেরিলা বাহিনী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি রাজ্য স্তরে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করাই মাওবাদী প্রভাব কমানোর মূল চাবিকাঠি। এর ফলে মাওবাদী গেরিলারা অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বীজাপুরে মাও হামলা, ফের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শাহ

    Amit Shah: বীজাপুরে মাও হামলা, ফের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন আগেই। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আরও একবার জানিয়ে দিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশ থেকে নকশালদের (Naxal Elimination) সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দ্বারা নিহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

    মাও হামলা (Amit Shah)

    সোমবার দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মাও-দমন অভিযান সেরে এসইউভি গাড়িতে চড়ে বীজাপুরের কুটরু রোড এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এই সময় আচমকাই ঘটে আইইডি বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি। শহিদ হন ৯ জন জওয়ান।

    কী লিখলেন শাহ?

    ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে শোক জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “এই শোককে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব, তবে আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে আমাদের সেনাদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। আমরা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারতের মাওবাদী সন্ত্রাস (নকশালবাদ) সমাপ্ত করব।” গত দুবছরে এটিই ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মাওবাদীদের সব চেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এটি চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে চতুর্থ মাওবাদী হামলার ঘটনা। গত ৩ জানুয়ারি গড়িয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে ৩ মাওবাদীর মৃত্যু হয়।

    প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের (Amit Shah) এদিনের ঘটনা জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর হামলার স্মৃতি উসকে দিল। পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ওই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান।

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    এদিকে, ছত্তিশগড়েরই দক্ষিণ আবুজমাদে শনিবার গভীর রাতে গুলি বিনিময় হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের। এনকাউন্টার চলাকালীনই উদ্ধার হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরা ৪ মাওবাদীর দেহ। সোমবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় (Amit Shah) আরও এক মাওবাদীর (Naxal Elimination) দেহ। মৃত ৫ জনের মধ্যে ২জন মহিলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share