Tag: Maoists

Maoists

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্যের পরেই রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    এ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ

    তিনি এক্ষেত্রে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি খুবই পরিষ্কার। যে সমস্ত মাওবাদী (Chhattisgarh) উন্নয়নের পথকে বেছে নেবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করবে, তাদেরকে নতুনভাবে সমাজের স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের উদ্দেশে, যারা এখনও পর্যন্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করেনি। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীকে দেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।

    কী বলছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা?

    এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, সরকার সর্বদা বল প্রয়োগ করে মাওবাদী দমনে বিশ্বাস রাখছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই (সশস্ত্র) পথে আছে তারা সেই পথ ছেড়ে দিক। চলতি বছরে ১৩৩ জন মাওবাদীকে মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছত্তিশগড় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৮০০ থেকে ২৯০০ মাওবাদী (Maoists) হয় আত্মসমর্পণ করেছে, নয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা খতম করা হয়েছে।

  • Maoists in Chhattisgarh: জিরো টলারেন্স নীতি মোদি সরকারের, ৮০ দিনে ছত্তিশগড়ে খতম ১১৩ মাওবাদী

    Maoists in Chhattisgarh: জিরো টলারেন্স নীতি মোদি সরকারের, ৮০ দিনে ছত্তিশগড়ে খতম ১১৩ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের (Maoists in Chhattisgarh) বস্তার রিজিয়নে দু’টি পৃথক এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ৩০ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ (ডিআরজি)–এর এক জওয়ানের। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বস্তার এবং গারিয়াবন্দে কমপক্ষে ১১৩ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ৩১ জন মাওবাদী, শহিদ হন দুই জওয়ান।

    মাও-দমনে বড় অভিযান

    বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ জানান, বস্তারের গঙ্গালুর এলাকায় মাওবাদী উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযানে গিয়েছিল বিজাপুর ও সুকমার ডিআরজি, কোবরা এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ শুরু হয় গুলিযুদ্ধ, চলে দুপুর পর্যন্ত। গুলিযুদ্ধে ২৬ জন মাওবাদীর (Maoists in Chhattisgarh) প্রাণ গিয়েছে বলে বাহিনীসূত্রে খবর। উদ্ধার হয়েছে স্বয়ংক্রিয়, সেমি–অটোমেটিক একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। অন্যদিকে, কাঙ্কের ও নারায়ণপুর জেলার সীমানা লাগোয়া জঙ্গলেও নর্থ বস্তার মার ডিভিশনে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর মিলেছিল। ডিআরজি এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী সেখানে তল্লাশি অভিযানে যায়। কাঙ্কেরের জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে চার জনের প্রাণ গিয়েছে বলে খবর। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল বিস্ফোরক।

    মাওবাদী কমান্ডার ডিডমার-এর খোঁজ

    বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়ায় রাত পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলার খবর মিলেছে। কিন্তু এখনও মাওবাদী কমান্ডার ডিডমার হদিস মেলেনি। তাঁরই খোঁজে তিন রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। জানা গিয়েছে, মাওবাদী নেতা ডিডমার খোঁজে ছত্তিশগড়, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানায় ১২৫টি গ্রামে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ড্রোন দিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই তিন রাজ্যের কোনও একটি সীমানা এলাকায় ডিডমা আত্মগোপন করে আছেন বলে মনে করছে পুলিশ। কারণ এই তিন রাজ্যের সীমানা এলাকায় মাওবাদীরা অত্যন্ত সক্রিয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    সক্রিয় ছত্তিশগড় সরকার

    ২০২৩ সালে ছত্তিশগড়ে (Maoists in Chhattisgarh) বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। ফলে গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে রাজ্যে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি। গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, গত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ১১৭৭ জন। আত্মসমর্পণ করেছে ৯৮৫ মাওবাদী। আর এটাকেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। তবে অভিযান জারি রাখা হয়েছে। বরং আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে। মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    সমাজের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান

    হিংসা ছেড়ে মাওবাদীদের (Maoists in Chhattisgarh) সমাজের মূল স্রোতে ফেরারও আহ্বান জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। রাজ্য সরকার তাদের সমস্যার সমাধান এবং দাবি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের ‘আহ্বানে’ সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণও করেছে বহু মাওবাদী। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্যকে স্যালুট জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই–ও। তাঁর বক্তব্য, ‘২০২৬–এর মধ্যে বস্তার ভয়মুক্ত হয়ে বাঁচবে, আমি নিশ্চিত। ছত্তিশগড়ে মাওবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রবল পরাক্রমে এগোচ্ছে। তবে ডিআরজি জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর পেয়ে আমি মর্মাহত। তাঁর আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি দেশ তথা ছত্তিশগড় থেকে ২০২৬ মার্চের মধ্যে মাওবাদ মুছে ফেলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী তাতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।’

    মাওবাদী মুক্ত দেশের স্বপ্ন

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে ‘মাওবাদীমুক্ত’ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই লক্ষ্যে দেশ আরও কয়েক ধাপ এগোল বলে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহ। এ দিন মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্যের খবর মিলতেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, ‘আজ আমাদের জওয়ানরা ‘নকশাল মুক্ত ভারত অভিযান’–এর (Maoists in Chhattisgarh) লক্ষ্যে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আপসহীন পদক্ষেপ করছে। আত্মসমর্পণ এবং মূলস্রোতে ফেরানোর একাধিক সুযোগ দেওয়ার পরও যে সব মাওবাদী সারেন্ডার করেনি তাদের ক্ষেত্রে মোদি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়ার পক্ষপাতী। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ মাওবাদীমুক্ত হয়ে যাবে।’

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • PM Modi: ‘‘জঙ্গলের মাওবাদ শেষ, বিপদ বাড়াচ্ছে শহুরে নকশালরা’’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জঙ্গলের মাওবাদ শেষ, বিপদ বাড়াচ্ছে শহুরে নকশালরা’’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘জঙ্গল থেকে মাওবাদীদেরকে (Maoists) নির্মূল করা গিয়েছে। বিপদ বাড়াচ্ছে শহুরে নকশালরা এবং তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলিতে অনুপ্রবেশ করছেন’’। বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই ছদ্ম মাওবাদ বিপদকে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘‘ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে থেকে যে ধরনের ভাষা এবং শব্দ শহুরে ছদ্মবেশী মাওবাদীরা ব্যবহার করছেন, তাতে একটা কথাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে জঙ্গলের মাওবাদীদের সঙ্গে এদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘দেশে মাওবাদ সমস্যার সমাধান একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। আগে যেখানে মাওবাদ অধ্যুষিত জেলার সংখ্যা এই দেশে ১০০-র বেশি ছিল, বিগত এক দশক ধরে তা চব্বিশে নামানো গিয়েছে।’’

    উন্নয়নেই পিছু হঠেছে মাওবাদ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এর পুরো কৃতিত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে পরিকাঠামোর বৃদ্ধি এবং ভূমিস্তর পর্যন্ত উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার কারণেই এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। প্রসঙ্গত, শহুরে ছদ্মবেশী মাওবাদীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিতে গিয়ে সেখানকার নীতি নির্ধারক হয়ে পড়ছেন। যে রাজনৈতিক দলগুলি একসময় গান্ধীবাদী আদর্শকে ধারণ করে চলত, তারাই এখন মাওবাদীদের ন্যারেটিভ নিয়ে চলছে। এদের প্রভাব সর্বত্র এবং তা ভারতের উন্নতি এবং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’’

    দেশ ক্রমশ উন্নতির পথে রয়েছে

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরেও ভারত ছিল বিশ্বের একাদশতম অর্থনীতি। কিন্তু বিগত ১ দশকে ভারত হয়েছে পঞ্চম অর্থনীতি। এ দেশ ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০০৭ সালে ভারতের জিডিপি পৌঁছেছিল বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বর্তমানে প্রতি তিন মাসে ভারতে এই জিডিপি পৌঁছে যায়। এখানেই বোঝা যাচ্ছে দেশ ক্রমশ উন্নতির পথে রয়েছে।’’

    ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রতার সমস্যা থেকে মুক্ত করা গিয়েছে

    নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘‘২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রতার সমস্যা থেকে মুক্ত করা গিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পে উন্নতি নিয়েও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আমাদেরকে রাইফেল পর্যন্ত আমদানি করতে হত কিন্তু এখন আমরা যুদ্ধের সরঞ্জাম কুড়ি গুণ বেশি রফতানি করতে পারছি। আগের থেকে সোলার এনার্জি ক্ষেত্রেও আমাদের উৎপাদন বেড়েছে ৩০ গুণ। বিদেশে আমরা বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী অনেক বেশি বিক্রি করতে পারছি।’’

    সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার আয়োজিত সম্মেলনে হাজির ছিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এই কথাগুলি বলেন। নিজের বক্তব্যে তিনি খোঁচা দেন বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতে, ‘‘কংগ্রেস জনগণের আশা আকাঙ্খাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। এই কারণেই জনগণ কংগ্রেসের ওপর আর কোনওভাবেই ভরসা করে না।’’ তিনি জানান, তাঁর সরকার ক্ষমতা আসার পরে বিগত এক দশকে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। জনগণের ভরসা, আকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাস তাঁর সরকারের ওপর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্যে আরও বলেন, ‘‘আজকের ভারত অনেক বড় বড় চিন্তা করে। অনেক বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং তা অর্জন করে।’’

    দেশবাসীর নিরাপত্তায় সদা সজাগ তাঁর সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘দেশে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ক্ষেত্রে সরকার কঠোর পরিশ্রম করছে। সরকার সদা সজাগ রয়েছে, এই বিষয়ে। একটা সময় সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং সন্ত্রাসবাদীদের স্লিপারসেল এখন আর খবরে শিরোনামে আসে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘দেশের জনগণ কংগ্রেসের কাছে আর কিছুই আশা করে না। কিন্তু বিগত ১০ বছরে আমাদের কাছ থেকে তাঁরা অনেক কিছু আশা করেন।’’ তিনি আরও জানান, একটা সময় দেশবাসীর ধারণা ছিল এদেশ ডুবে যাবে। কিন্তু বর্তমানে ভারত লক্ষ্য রেখেছে নিজের সাফল্যের দিকে। এর পাশাপাশি ভারত বিশ্বজুড়ে আশার সঞ্চারও করতে পারছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • Maoists: দেশে এখন সক্রিয় ১২ মাওবাদী কমান্ডার ও ৪০০ ক্যাডার, নির্মূল হবে ১ বছরেই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    Maoists: দেশে এখন সক্রিয় ১২ মাওবাদী কমান্ডার ও ৪০০ ক্যাডার, নির্মূল হবে ১ বছরেই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoists) বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানে প্রায় নিশ্চিহ্ন লাল-সন্ত্রাস। এই অবস্থায় মাওবাদীদের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার সবরকমের প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অন্তত এমনটাই বলছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার পরেই দেখা যাচ্ছে, আর মাত্র ১২ জন কমান্ডার ও ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার জীবিত রয়েছে, যাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের জন্য আর এক বছর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই ৩৬৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা তাদেরকে নির্মূলের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্য (Maoists)

    মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযান অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে ২০২১ সাল থেকে ৩৮৫ জন মাওবাদীকে এখনও পর্যন্ত নিকেশ করা গিয়েছে। আরও চমকপ্রদ তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, এই নিকেশ অভিযানে ৩৮৫ মাওবাদীর মধ্যে ৩১০ জনকেই নিকেশ করা গিয়েছে ২০২৪ সালে। অর্থাৎ চমকপ্রদ সাফল্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক জনসভা ও অথবা সরকারি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটা কথাই বারে বারে ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে ব্য়াপক সফলও হয়েছে মোদি সরকার।

    শীর্ষ মাওবাদী নেতারা কেউই জীবিত নেই (Maoists)

    মাওবাদী দমন এই অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকও সামনে এসেছে। কোন পদ্ধতিতে হয় এই অভিযান সে নিয়ে মুখও খুলেছেন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর তরফ থেকে প্রথম টার্গেট করা হয় মাওবাদী কমান্ডারদের এবং এই কারণেই শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতারা এখন আর প্রায় কেউই জীবিত নেই। এদের আঘাত করে গোটা সংগঠনকে নাড়িয়ে দিতে চায় নিরাপত্তা বাহিনী। কারণ এই কমান্ডারদের নির্দেশেই কাজ করে ক্যাডাররা। কমান্ডোরা মূলত নির্দেশ দেওয়ার কাজ করত মাওবাদী ক্যাডারদেরকে (Maoists)। এবার তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ায় দিশাহীন হয়ে পড়েছে ক্যাডাররা। এর ফলে মাওবাদীরা দ্রুতই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথেই রয়েছে। এইখানেই সফল মোদি সরকার। আগেই বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে তথ্য রয়েছে আর মাত্র ১২ জন সক্রিয় মাওবাদী কমান্ডার বেঁচে রয়েছে এবং তারাই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তেই মাওবাদীরা ব্যাপক আর্থিক সংকটেও ভুগছে।

    শেষবার মাওবাদী দমনের অভিযানের আগে ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার সক্রিয় ছিল বস্তারে

    প্রসঙ্গত, বস্তার ডিভিশনে শেষবার মাওবাদী দমনের অভিযানের আগে ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার (Maoists) সক্রিয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, সেখানে আরও অন্যান্য ৮০০ মাওবাদী ছিল। এই মাওবাদীরা অবশ্য মাঠে নেমে যুদ্ধ করত না। তারা মাওবাদী ক্যাডারদের বিভিন্ন সাহায্য করত, যারা যুদ্ধ করত তাদেরকে। সাপোর্টিং ক্যাডার হিসেবে থাকত এই ৮০০ মাওবাদী। এদের মধ্যে অনেকে মাওবাদী আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করত। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শাখা সংগঠনের যুক্ত থাকত।

    নিরাপত্তা বাহিনীর টার্গেট মাধবী হিদমা

    এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, তাঁরা মাওবাদী আন্দোলনকে (Maoists) একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সময়সীমা নির্ধারিত করেছে, তার আগেই মাওবাদীদের শীর্ষ কমান্ডারদের তাঁরা নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এখন টার্গেট করেছে মাওবাদীদের এক নম্বর ব্যাটালিয়নকে। এর নেতৃত্ব রয়েছেন মাও-নেত্রী মাধবী হিদমা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী লাগাতার অভিযান চালিয়ে মাওবাদীদের এই ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ৯০ শতাংশ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী যে ব্যাটালিয়ন-১ আর সেভাবে কখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

    আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও

    ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করা উচিত এবং যদি তারা সেটা না করে তাহলে তাদেরকে নিকেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে মাওবাদী কমান্ডারররা অচিরেই আত্মসমর্পণ করবেন (Red Terrorism)। কারণ যেভাবে তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, গোয়েন্দা দফতরও মাওবাদীদের উপরে সম্পূর্ণভাবে নজর রাখছে।

    চলছে উন্নয়নমূল কাজ

    মাওবাদীদের দমন অভিযানে অন্যান্য গঠনমূলক কাজও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেমন যে সমস্ত অঞ্চলগুলিতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল সেই এলাকাগুলিতে রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল, শিক্ষা— এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এর ফলেই মাওবাদীরা আর সেই সমস্ত জায়গাতে ঢুকতে পারছে না। কারণ অভাব, দরিদ্রতা ও অনুন্নয়নকে কাজে লাগিয়েই মাওবাদীরা নিজেদের কথা বলতে শুরু করে।

  • BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়াল সরকার। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ছত্তিশগড়ের বিজেপি (BJP) সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। এই কারণেই গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য

    প্রসঙ্গত, রবিবারই বস্তারের জঙ্গলে প্রশিক্ষিত কমান্ডোদের একটি বাহিনী অভিযানে যায়। দলটিতে ছিলেন ৬০০ জন কমান্ডো। সেই অভিযানেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হন। শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ানও। রবিবারের মাওবাদী দমনের ওই অভিযানকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বড় সাফল্য’ বলে দাবি করেন। এ বছরে এখনও পর্যন্ত ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

    ১৩ মাসে হত ৩৫৮ মাওবাদী

    ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১,১৭৭ জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পণ করেছেন ৯৮৫ মাওবাদী। এটাকেই মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। প্রতিনিয়ত অভিযানের গতি বাড়ছে। আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে মাওবাদ বিরোধী অভিযান। মাওবাদীদের নিকেশ করতে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় আসতেই শুরু জোরালো অভিযান

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছত্তিশগড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের (BJP) মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের। ঠিক এই কারণেই গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি।

  • Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন ৩১ জন মাওবাদী (Maoists Death)। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও। জখমও হয়েছেন দুজন। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল অন্তত ১৮ জন মাওবাদী। এদিন দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে চলছে অভিযান।

    পুলিশের বক্তব্য (Maoists Death)

    ছত্তিশগড় পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্ক খবর মেলে সূত্র মারফত। তার পরেই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ৩১ জন মাওবাদীর দেহ।” চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তার জেরেই হচ্ছে এনকাউন্টার। নিকেশ হচ্ছেন একের পর এক মাওবাদী। যাঁদের অনেকেরই মাথার দাম কোটি টাকা।

    মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা

    মাও-দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলছে মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে শামিল করানোর প্রয়াস (Maoists Death)। প্রশাসনের এই প্রচারে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদীরা।

    নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে প্রায় ৬০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ১১জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী (Maoists Death)।

  • Chattisgarh: ‘বিজেপি ছাড়ো, নয়তো মরো’, ছত্তিশগড়ে দুই প্রাক্তন প্রধানকে হত্যা করে লিফলেট ছড়াল মাওবাদীরা

    Chattisgarh: ‘বিজেপি ছাড়ো, নয়তো মরো’, ছত্তিশগড়ে দুই প্রাক্তন প্রধানকে হত্যা করে লিফলেট ছড়াল মাওবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) দুজন প্রাক্তন প্রধানকে নৃশংসভাবে হত্যা করল মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের বিজাপুর জেলায় এই হত্যালীলা চালিয়েছে মাওবাদীরা (Maoists)। দুজন নিহত প্রাক্তন প্রধানের নাম শুক্ল ফর্সা ও সুখরাম অভলাম। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করার জন্যই তাঁদেরকে হত্যা করে মাওবাদীরা। ওই দুই নেতাকে হত্যা করার পরে মাওবাদীরা তাঁদের নিহত শরীরের কাছে লিফলেট ছড়িয়ে গিয়েছে এবং সেখানে লেখা রয়েছে, ‘হয় বিজেপি ছাড়ো নয়তো মরো’।

    আরও পড়ুন: আগরতলা-কলকাতার ২ কূটনীতিককে জরুরি তলব করল বাংলাদেশ সরকার

    বুধবার সকালেই উদ্ধার হয় ওই দুই নেতার দেহ (Chattisgarh)

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সকালেই (Chattisgarh) উদ্ধার হয় ওই দুই নেতার দেহ। এরপরই সারা জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, পুরো একদিন ওই দুই নেতা নিখোঁজ ছিলেন। এদের মধ্যে শুক্ল ফর্সা দুটি ধাপে স্থানীয় বিলিয়াভূমি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের ব্লকের বিজেপির কিষাণ মোর্চার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, সুখরাম অভলামও ছিলেন প্রাক্তন গ্রাম প্রধান।

    অপহরণ করে খুন (Chattisgarh)

    চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যা বেলায় শুক্ল ফর্সাকে অপহরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা (Chattisgarh) জানিয়েছেন, যখন তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, তখন তিনজন মাস্ক পরা মাওবাদী (Maoists) তাঁকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপরই তাঁকে হত্যা করা হয়। অন্য আরেক নিহত নেতা সুখরাম, তাঁকে স্থানীয় কাদের গ্রাম থেকে গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অপহরণ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত সুখরামকে দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলে। পরবর্তীকালে কাদের গ্রামের কাছেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share